Thursday, July 30, 2020

মাহমুদ মুযযাম্মিলের দুটি কবিতা

কুকুর

কুকুরের ঘেউ ঘেউ স্বভাবতই ভয় জাগায় মনে ৷

কুকুরের কামড় বিপজ্জনকও বটে ৷

ভাদ্রমাসে কুত্তাকুত্তির খোলামাঠে বেলেল্লা মিলন

সবাইকে বিব্রত করে বৈকি ৷

শিশুরা মক্তব থেকে ফিরতে পারে না

নেড়িকুত্তার ডরে ৷

পাড়ায় পাড়ায় কতো কুকুর আমরা তাড়িয়ে বেড়াই

মেরেও ফেলি কয়েক ডজন কুকুর

গর্তে চাপা দিই দারুণ উল্লাসে

মনে মনে স্বস্তি নিই—

আপাতত কুকুরীয় উৎপাত থেকে রেহাই মিললো ৷

 

কিন্তু না,

আসল কুকুরগুলো ফুলেফেঁপে উঠছে

মানুষের বসবাস হারাম করে দিতে ৷

 

ওইসব বেজন্মার কোনো বিহিত কেউ করে না ।

 

ক্যান্টিন ও কোয়ারেন্টিন

আমার মা থাকেন গ্রামে ৷

গেরস্ত তদারকির জীবন তার ৷

ন্যূনতম শিক্ষাও যদি পেতেন সেই কালে ৷

আমি শহরের কপিলবর্ণের ফ্ল্যাট ভাড়া করে থাকি

পড়ি ইউনিভার্সিটিতে

খাই-দাই ভার্সিটি লাগোয়া হলুদবর্ণের ক্যান্টিনে ৷

 

একদিন মা জানতে চাইলেন—

কী খাস? কোথায় খাস?

বললাম— ভাত-রুটি, চা বিস্কিট সবই

ক্যান্টিনে যখন যা পাই তাই খেয়ে নিই

আঁৎকে উঠলেন মা

হাউমাউ কান্না জুড়ে দিলেন

তুই ‘কেন্টিনে’ আছত?

করোনা অইছে তর? আমি জানি না!

কবে থেইকারে বাবা?

তর গুলশানের মামারও ত করোনা

এহন ‘কেন্টিনে’ আছে ৷

 

আরে মা!

আমার করোনা হয়নি

আমি ক্যান্টিনেও নই

আমি বাসায় সুস্থ আছি ৷

শোনো,

করোনা-রোগীর জন্য হলো ‘কোয়ারেন্টিন’

আমাদের খাবারের দোকানের নাম ‘ক্যান্টিন’

তুমি ‘কোয়ারেন্টিনকে’ ‘কেন্টিন’ বলো কেনো?

গেরামের সবাই ত কয়

হেরে বাবা!

মুরুক্ষ অইয়া তোগো কত কষ্ট দেই ৷

সাবধানে থাকিস বাবা ৷

করোনা অইলে কিন্তু ‘কেন্টিনে’ যাইতে অইব ৷

 

The post মাহমুদ মুযযাম্মিলের দুটি কবিতা appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/39TWzVn

অচিনপুর

জাবের আল হুদা চৌধুরী:

সিরাজ সাহেবের সামনে চেয়ারে যে লোকটা বসে আছে তাকে তিনি চিনেন না। চেনার কথাও না। লোকটা গভীর মনোযোগ দিয়ে পান খাচ্ছে। মুখটা হাসি হাসি।

কিছু বলবেন ভাইজান? কোন সেবা টেবা লাগবে? চেয়ারে বসা লোকটার গলাটা শ্যালো মেশিন স্টার্ট দেওয়ার মত খেক খেক করে উঠলো। বলেই যাচ্ছে-

আমার নাম বুলবুল। গানের গলা ভালো। মাঝে মাঝে বাউল গান গাই। লোকে আমাকে বাউল বুলবুলি ডাকে। বাড়ি নোয়াখালি। এই হাসপাতালে পঁচিশ বছর হয়ে গেছে।

আপনার সাথে পরিচয় হয়ে ভালই হইলো বাউল বুলবুলি সাহেব। সিরাজ সাহেব বললেন, আপনে মজার মানুষ। সো ইন্টারেস্টিং। পান খাওয়া লোকগুলো এমনই হয়। সিরাজ সাহেব ব্যাগ থেকে পানের বাটা বের করলেন।

আপনের মুখের পান শেষ। আরেকটা নেন বাউল ভাই। বুলবুলি দাঁত বের করে হাসলো।

বুলবুলির পান মুখে দেয়ার ভঙ্গি দেখে সিরাজ সাহেব খিলখিল করে হেসে দিলেন।

আপনার হাসার হেতু কী?

সাধারণত কোন হেতু নাই। আমি এমনিতেই একটু ফুর্তি-ফার্তিতে থাকার চেষ্টা করি। ফুর্তির মূল উপাদান হাসি। তা ছাড়া আপনার পান খাওয়া দেখে মনে হইতেছিল রসগোল্লা খাইতেছেন।

আমার কাছে পান রসগোল্লার চেয়ে কম কিছু না সিরাজ ভাই। পঁচিশ বছর ধইরা ডাক্তারদের সাথে উঠা বসা। তারা বিড়ি সিগারেট খায়। আমি খাই পান। জিনিস একই। শুকনা আর ভেজা। পার্থক্য এতটুকুই। তারপরও পানে তাদের এলার্জি। ছাড়াইতে পারে নাই। তামাক দুনোটাই। পান খাইলে দোষ। সিগারেটে দোষ নাই! আচ্ছা, আমি আপনার কী সেবা করতে পারি বললেন নাতো?

সেবা-টেবা কিছু না। আমার একজন অচেনা মানুষ দরকার।

অচেনা মানুষ দিয়ে করবেন?

এখন সময়টা খারাপ। চেনা জানা আপনজন পর হয়ে গেছে। আপনজনের সংখ্যা খুব দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে। যারাওবা আছে, এরা পর মানুষের মত আচরণ করতেছে। দুনিয়ায় থাকতেই হাশরের ময়দান কায়েম হয়ে গেছে বুলবুলি ভাই! চেনা মানুষগুলোর অচেনা আচরণ মনে বড় কষ্ট দেয়।

এই কারণে অচেনা মানুষ দরকার। অচেনা মানুষ কষ্ট দিলে গায়ে লাগে না।

আমি আপনের সাথে যাবো। মানুষ নিয়া আমার খেলা নেলা। আমি মানুষ চিনি। আমি বোঝে গেছি। আপনে একজন কামেল মানুষ। চাকরী বাকরী করার সময় এখন না। আমার গলার দড়ি আপনের হাতে। দড়িতে টান দিবেন, আমি হাজির।

সিরাজ সাহেব হাসলেন। বাটা থেকে পান বের করে মুখে দিলেন। হাজি ক্যাম্পের পাশে প্রাইভেট এই হাসপাতালটার নাম ফরাজী বিশেষায়িত হাসপাতাল। সারি সারি ডাক্তারের চেম্বারগুলো শূন্য পড়ে আছে। রিসেপশন ডেস্কের পিছনে পিচ্চি মতন একটা ছেলে পুরনো মাস্ক পরে ভয়ার্ত মুখ নিয়ে বসে আছে। বিশাল হাসপাতাল কম্পাউন্ডে জঙ্গলের নির্জনতা বিরাজ করছে। ভয়, আতংক মৃত্যুর হাহাকার ধ্বনি এখন স্বাভাবিক হয়ে গেছে।

সবাই অপেক্ষা করছে- এই বুঝি তার পালা আসলো। মানবজাতির মৃত্যুভীতির এই ক্রান্তিকালে পৃথিবী আঁধার করে ঝমঝম করে বৃষ্টি নামলো। সিরাজ সাহেব বাউল বুলবুলিকে নিয়ে বৃষ্টির মধ্যেই বের হয়ে আসলেন।

হাসপাতালের গেইট সংলগ্ন একটা চায়ের স্টল। লকডাউনের কারণে সেটা বন্ধ। তবে পাশের বিল্ডিংয়ের সিঁড়ির নিচে বসে পান সিগারেট দেদারসে বিক্রি হচ্ছে। লোকজন আড়ালে দাঁড়িয়ে একবার চায়ে চুমুক দিচ্ছে, আরেকবার পিছন দিকে তাকিয়ে দেখছে পুলিশ আসে কিনা। সিরাজ সাহেব বুলবুলি বাউলকে নিয়ে সেখানে চা খাচ্ছেন। বুলবুলির হাতে সিগারেট।

সিরাজ সাব!

বলেন, বাউল ভাই।

সিগারেট আমি আগে খাইতামনা। অভ্যাস নাই। ইদানিং খাই। মনটা ভীষণ খারাপ। তিনটা ছেলে এক সপ্তার মধ্যে মারা গেছে। যে দিকে তাকাই শুধু লাশ দেখতে পাই। বউয়ের লাশটা তিন দিন পরে দাফন করা হয়েছে। জানাজা হয় নাই। এলাকায় কওমী মাদ্রাসার চার পাঁচটা ছাত্র লাশ দাফনের কাজগুলো করছিলো, গতকাল খবর পেলাম সবাই আক্রান্ত।

মসজিদে আজান হয় না আজ কতদিন! আমার মসজিদের ইমাম সাব শত শত জানাজা পড়িয়েছেন, সকালে তার লাশ দাফন হয়েছে। জানাজায় লোক ছিল দুইজন।

ভাই!

হুঁ, কন।

এখন আমরা কোথায় যাবো?

আমরা প্রত্যেকেই গোরস্থানে যাব বুলবুলি! টেনশন মত কর। যতদিন আছি, ভয়হীন সময় কাটাইতে চাই। বিপদ সবার কান্দে সমান তালে সওয়ার হইছে। আপনে একা না। আমি আপনার চেয়ে আরো বেশি বিপদে আছি। বললেন সিরাজ সাহেব।

আপনারে দেখে তো বিপদে আছেন মনে হয় না।

কী মনে হয়?

মনে হয় আপনে চা টা খেয়েই সিনেমা দেখতে যাবেন।

এটা একটা ভাল আইডিয়া বাউল! আপনে মনে হয় আমার ফিলিংটা ধরতে পেরেছেন?

বেশি বিপদের সময় আনন্দ ফূর্তি করো- রাস্তা খুলে যাবে। বিপদ হালকা মনে হবে। বিপদে ঘাবড়ে যাওয়া মানে পরাজয়কে ফুলের মালা পিন্দানো। বুঝলে ভালো, না বুঝলে আরো বেশি ভালো। ঐযে শোনেন নাই, করোনা ভাইরাস আসার পর থাইকাই প্রশাসনের লোকজন বলছে- ডোন্ট পেনিক। পেনিক হবেন না। পেনিক মানে কী?

পেনিক মানে আতঙ্ক, ভয়। সিরাজ সাহেব চা শেষ করে পকেট থেকে একটা কৌটা বের করে কালো জিরা খেলেন।

আপনি খাবেন?

দেন খাই।

খান। এটা হলো ভাইরাসসহ যে কোন রোগের মহা ওষুধ। নবিজির বাতলানো মহা ওষুধ। দামে সস্তা। কাজে উস্তাদ। বিশ্বাসটা শর্ত। বিশ্বাসে মুক্তি মিলে।

বাউল বুলবুল অতি ভদ্র একজন শ্রোতা। সিরাজ সাহেব খুব খুশি। দশ দিন হাজি ক্যাম্পের আইসোলেশনে থেকে জীবনটাকে তার বিষ মনে হয়েছে। কথা শোনার কেউ নাই। এখানে বেশিরভাগ লোক বিদেশি। বিদেশিরা কথা বেশি বলে। দেশে এসে এরা বাংলাদেশের সবাইকে শ্রোতা মনে করে। খালি পটর পটর।

সিরাজ সাহেব বললেন, শুনেন বাউল সাহেব। হ্যানিম্যানের নাম শুনেছেন? শুনেননি। শোনার কথাওনা। আপনে তো আর আমার মত প্রাইমারী স্কুলের হেড মাস্টার না যে, ইতিহাস ঐতিহ্য মুখস্থ রাখতে হবে।

হ্যানিম্যান হইলো – হোমিওপ্যাথির আবিস্কারক। ঠিকানা জার্মানী। হোমিও ওষুধ পানির মত দেখতে। ইউরোপিয়ানরা পানির মত দেখতে কোন কিছুকে মেডিসিন মনে করেনা। হ্যানিম্যান বললেন, ওহে ইউরোপবাসী! ট্রিট দ্যা প্যাশেন্ট, নট দ্যা ডিজিজ- চিকিৎসা রোগের হয় না, রোগীর চিকিৎসা আসল। তেজোদীপ্ত মানব মন হইলো শক্তিশালী মেডিসিন। তোমরা অবিশ্বাসী, আমার ওষুধ তোমাদেরকে ক্রিয়া করবে  না। আটলান্টিকে আমি হোমিও’র মেডিসিন ভাসিয়ে দিলাম। বিশ্বাসী ভারতবাসী তা খাবে আর পট পট করে রোগমুক্ত হবে।

কথা আপনে জ্ঞানের বলেছেন স্যার। বাউল বুলবুল এখন সিরাজ সাহেবকে স্যার ডাকতে শুরু করলো। হাতের ধরা সিগারেটটাও ফেলে দিল। এখন থেকে আমি আপনাকে স্যার ডাকবো সিরাজ সাহেব।

ডাকতে পারেন, কারণ আমাকে অনেকেই স্যার ডাকে।

পড়ন্ত বিকেলে ঢাকা শহরে এক ধরণের গুমোট ভাব থাকে। চৈত্র্যের শেষ দুপুরে গরমে গা শন শন করে। এক পশলা বৃষ্টির পরে ঢাকার রাজপথ জনমানবহীন তেপান্তরের মত লাগছে। তাতানো রোদে হয়ে যাওয়া আষাঢ়ে বাঁদল বৃষ্টির পর জনমানবহীন ঢাকার রাজপথ কেমন অচেনা নিষ্ঠুরতার চাদরে যেন ঢেকে আছে।

বিমানবন্দর রেল লাইন ক্রস করে সিরাজ সাহেব ধীর পায়ে সামনে যাচ্ছেন। তার ডান পাশে বাউল বুলবুলি। সিরাজ সাহেব পাঞ্জাবীর বুক পকেট থেকে চশমা বের করে চোখে দিলেন। বিমাবন্দর গোল চত্বরে লাইন ধরে পুলিশের লোকজন দাঁড়িয়ে আছে। সবার মুখে নীল রঙ্গের মাস্ক। হাতে গ্লাভস। চোখে ভীতির ছাপ। এয়ারপোর্টে ঢোকার মূল প্রবেশমুখে তেরপাল দিয়ে তাঁবু টানিয়ে রাখা হয়েছে। ভেতরে অল্প কিছু পুলিশ সদস্য লুঙ্গি পরে ভাবলেশহীনভাবে বসে আছে। বড় ডেগচিতে খাবার রান্না হচ্ছে। রাস্তায় গাড়ি-ঘোড়া একদমই নাই। মাঝে মাঝে দু’ একটা এ্যাম্বুলেন্স কিংবা প্রশাসনিক গাড়ি হুইসেল বাজিয়ে এদিক সেদিক ছুটছে। চিরাচরিত বিমান বন্দর এলাকার ব্যস্ততা, ছুটে চলা মানুষের ঢল এখন নাই। ঢাকার বেশিরভাগ মানুষ মারা গেছে। গ্রামে গঞ্জে পালিয়ে গেছে অনেকেই। আশেপাশে দোকানগুলো বন্ধ। কিছু দোকানের শাটারগুলো ভাঙ্গা। এদিক সেদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে কিছু কসমেটিক্স ও অন্যান্য মালামাল। খাওয়া যায় এমন কিছু চোখে পড়ছেনা তাতে। একটা ফার্মেসীতে পিপিই পরে তরুণ বয়সের একটা ছেলে ভীত চেহারায় বসে বসে বাদাম খাচ্ছে। এই সময়ে সে বাদাম কোথায় পেল জিজ্ঞেস করা দরকার ছিল।

স্যার, কিছু ভাবতেছেন? হুঁ।

কি ভাবেন?।

ভাবতেছি তোমাকে কাজের কথাটা বলে ফেলা দরকার। তুমি কি আমার সাথে যাবে? সিরাজ সাহেব বুলবুলিকে তুমি বলতে শুরু করেছেন। এতে বুলবুলি খুশিই হয়েছে মনে হয়।

আপনে কামেল মানুষ। আপনের সাথে যাওন দরকার। আজাব গজবের সময় কামেল মানুষদের সঙ্গ ছাড়া উপায় নাই।

তোমার কথা অনেক দামী। বুলবুলি!

বলেন স্যার।

আমি জীবনে কোনদিন ভয় পাই নাই।

এখন ভয় পাইতেছেন?

হুঁ।

কেন ভয় পাইতেছি জিজ্ঞাসা কর।

কেন ভয় পাইতেছেন?

ঢাকায় আমি কালে ভদ্রে আসি। বাংলাবাজার যাই। পুরানা বই পত্র কিনি। সন্ধ্যার আগেই নারায়ণগঞ্জের তিলাপাড়ায় ফেরত যাই। গত মাসের আটাশ তারিখে ঢাকায় আসি কুয়েত থেকে আসা আমার এক ছাত্রকে রিসিভ করতে। মজনু। মতিউর রহমান মজনু। ছেলেটা ভাল। বিদেশে গিয়েও স্যারকে ভুলে নাই। গরীব। মা ছাড়া ঘরে আর কেউ নাই। ওর আব্দার আমি যেন তাকে নিতে আসি। আমি আসিও। ইমিগ্রেশন পার হয়ে ছেলেটা আমার হাত ধরা অবস্থায় মারা যায়। কভিড উনিশে আক্রান্ত বাংলাদেশে এটাই প্রথম মৃত্যু। আজিমপুরে প্রশাসনের লোকজন ওকে দাফন করে দেয়। আমাকে হাজি ক্যাম্পে আইসোলেশনে রাখা হয় দশদিন। আজ সকালে সেখান থেকে আমি পালিয়ে আসি।

তাইলে তো স্যার আপনার সামনে মহামুসিবত। সামনে পুলিশ। ডোন্ট পেনিক বাউল। আমার ভয় এটা না। আমার সিক্সথ সেন্স খুব ভালো। সিক্সথ সেন্স মানে হলো ষষ্ঠইন্দ্রীয়। আমার ষষ্ঠইন্দ্রীয় বলছে- আমরা আরো অনেকেই মারা যাবো। মারা যাওয়া উচিতও। কারণ, আমরা এমন সব কাজ কাম করা শুরু করেছিলাম, যার কারণে আমাদের প্রত্যেকের তিনবার করে মরা উচিত। আমার কথা কি বুঝতে পারতেছো বাউল?

তিনবার করে মরার বিষয়টা বুঝতে অসুবিধা হইতেছে কিঞ্চিত। তিনবার করে মরার অর্থ হলো- আমরা মানবজাতি এমন উল্টা পাল্টা আকাম কুকাম করেছি, যেগুলোর শাস্তি স্বরূপ আমাদের তিনবার মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত। বুলবুলি, এটা ভাইরাস না। এইটা হইলো খোদাপাকের গোস্বা। খোদাপাকের গোস্বার আগুন নিভানোর ক্ষমতা মানুষের নাই। মানুষ দুর্বল। মানুষ নিজের গোস্বার আগুনই নিভাইতে পারেনা। খোদা পাকের গোস্বা কিভাবে নিভাইবে।

তাইলে এখন কি হইবে মানবজাতির? আমি তো দেখতেছি মানবজাতি পেটের ক্ষুধার আগুন নিভাইতে ব্যস্ত, খোদাপাকের গোস্বার আগুন নিভাইবে কোন সময়?

তুমি হক কথা বলেছো বাউল। মানুষ খোদাপাকের রাগ গোস্বার বিষয়টা ধরতে পারে নাই। মানবজাতি এখনও গ্লাভস আর মাস্ক নিয়া পড়ে আছে। কাজেই অপেক্ষা কর। বিপদ আরো ভয়াবহ। বসন্তের ঝরা পাতার মতন আমরা ঝরতে থাকবো। অগনিত

চেনা মানুষগুলো আমরা সদলবলে দৃষ্টির আড়াল হয়ে যাবো। ভয় পাওয়ার কিছু নাই। ভয় দিয়ে মরণ আটকানো যায় না। মানবজাতি এই সময়টাতে ভড়কে যায়। ভড়কানো উচিত না। হ্যামিংওয়ে কি বলেছেন জানো? A Man Can Be Destroyed but Not Defeated – মানুষ ধ্বংস হতে পারে, পরাজিত হতে পারে না। আমি এ কারণে ভীত না। আমার ভয় স্মৃতিশক্তি নিয়ে। চেনা মানুষগুলোকে চিনতে পারছি না। চেনা রোড ঘাট ভুলে যাচ্ছি। কালকে খবর পেলাম মজনুর মা আক্রান্ত হয়েছে। ছেলের জন্য সে অপেক্ষা করছে। মজনুর মৃত্যুর খবরটা তাকে দিতে হবে।

সিরাজ সাহেবের পেটে প্রচণ্ড ক্ষিদা পেয়েছে। হাঁটতে হাঁটতে তারা বিমানবন্দর রেল-স্টেশনে এসে পৌঁছেছেন। বিপদের সময় মানুষ ক্ষিধার কথা ভুলে যায়। পেশাবের বেগ বেশি হয়। শিকদার সাহেব ক্ষিধের কথা ভুলে গেলেন। তার কানদুটো শোঁ শোঁ আওয়াজ করতে লাগলো। লক্ষণ শুভ।

বাউল!

বলেন স্যার।

পান খাবা?

আপনে খান স্যার। আমার ডর লাগতাছে।

ডরানোর কিছু নাই। এখন ভালো কিছু একটা হতে যাচ্ছে। আমার কানে শোঁ শোঁ আওয়াজ করলেই আমার ষষ্ঠইন্দ্রীয় জাগ্রত হয়।

আপনের ষষ্ঠইন্দ্রীয় এখন কি বলতেছে?

সিরাজ সাহেব বিমানবন্দর রেল স্টেশনের প্লাটফর্মে বসে পড়লেন। বুলবুলিও তার পাশে বসলো। সিরাজ সাহেব তার দিকে ঝুকে এলেন।

বাউল!

বলেন স্যার!

আমার ষষ্ঠ ইন্দ্রীয় বলছে, আমি এই মুহূর্তে মারা যাবো!

কি আজে বাজে কথা বলতেছেন স্যার!

বাউল তোমাকে একটা কথা বলে মরতে চাই। মানবজাতিকে জানিয়ে দাও, এটা কিছুইনা। ভাইরাসও না, মহামারীও না। এটা ভয়, শুধুই ভয়। কিন্তু আফসোসের ব্যাপার কী জান? জীবনের এই শেষ বেলায় এসে অজানা এই ভয়ের কাছে আমি নিজেই পরাজিত হতে চলেছি।

বুলবুল দেখলো সিরাজ সাহেবের প্রচণ্ড শ্বাস কষ্ট শুরু হলো। তিনি প্লাটফ্রমে লুটিয়ে পড়লেন। এই মুহূর্তে কি করা যায়, তা ভেবে উঠার আগেই সিরাজ সাহেব মারা গেলেন…..

The post অচিনপুর appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/2CY7cdI

অচেনা এক নগরীর গল্প

মাহফুজ আবেদীন

পত্রিকার পাতায় গভীর ধ্যানমগ্ন সময় পার করছে শাফিন। খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে ছোট-বড়, প্রয়োজনীয়-অপ্রয়োজনীয় সব খবর পড়ে যাচ্ছে। বিসিএস পরীক্ষার্থীরা যেভাবে পত্রিকার পাতায় ডুবে যায় ঠিক তেমন। তবে শাফিনের খবর পড়াটা মুখ্য নয়। হোম কোয়ারেন্টিনের একঘেয়ে ও বেকার সময়গুলো পার করাই আসল কথা। রীমা এসে দুপুরের খবার প্রস্তুত জানিয়ে গেল। স্ত্রীর কথা কানে পড়লেও ভাবলেশহীন বসে থাকল শাফিন। পত্রিকা রেখে উদাস দৃষ্টিতে সামনের দেয়ালের দিকে তাকিয়ে থাকল। দেয়ালে সাটানো কেলেন্ডারের পাতা জানান দিচ্ছে লকডাউনের দুমাস পার হতে চলেছে। দু দুটো মাস কিভাবে সে কর্মহীন ঘরে বসে কাটিয়ে দিল ভেবে খুব অবাক লাগল তার। প্রথম প্রথম মনে হয়েছিল হয়ত সপ্তাহ দুয়েক পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে। সবকিছু আগের মতই শুরু হবে আবার। মাঝ দিয়ে বরং দু’এক সপ্তাহের বড় সড় একটা ছুটি পাওয়া গেল। কিন্তু না। দিন যত গড়াতে লাগল প্রতীক্ষার প্রহর বাড়তে লাগল। চাতক পাখির মত ভালো কোনো খবরের প্রত্যাশায় অস্থির সময় কাটতে লাগল। সরকারী অফিসের অধিকাংশ চাকুরীজীবিরা সময়টাকে বেশ আয়েশের সাথে পার করছে। যেনো ‘করোনা’ মহামারী আশীর্বাদ হিসেবেই এসেছে তাদের জন্য। ঘরে বসে বেতন ভাতা সব পেয়ে যাচ্ছে। পরিবার পরিজন নিয়ে ভাবনাহীন জীবন কাটাচ্ছে। অসুবিধা হল শাফিনের মত বেসরকারি অফিসের চাকুরীজীবিদের। প্রথম একমাস অফিস বন্ধ থাকলেও বেতন ঠিকঠাক পেয়ে গেছে। এরপর থেকে কাজকর্মও বন্ধ বেতনও বন্ধ। অনির্দিষ্টকালের জন্য সমস্ত কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে দিয়েছে তার কোম্পানি।

আজকে মাসের বাইশ তারিখ। বাড়িওয়ালা ভাড়া পরিশোধের তাগিদ দিয়ে গেছে। হাতে সামান্য কিছু টাকা আছে। ভাড়া পরিশোধ করার পর খুব সামান্যই বাকি থাকবে। কিভাবে সংসারের খরচপাতি যোগাবে আর কিভাবে ঋণ মেটাবে দোটানায় পড়ে গেছে শাফিন। গাজীপুরের দিকে দশ শতাংশের মত একটা জায়গা কিনতে গিয়ে বড় একটা ঋণ করতে হয়েছিল। সেলারির টাকা থেকে কিছু কিছু আদায় করে আসছিল এপর্যন্ত। সেই পথ এখন বন্ধ। বিকল্প কিছু একটা করতে হবে। কিন্তু কী করবে সেটাই মাথায় ধরেনা শাফিনের।

রীমা আবার আসল। ‘অত কী ভাবছো? ব্যবস্থা একটা না একটা হবেই। পুরুষ মানুষ এত ভেঙে পড়লে হয়? আগে এসো খেয়ে নাও।’

শাফিন রীমার কথার উত্তর দেবার প্রয়োজন বোধ করলনা। পেরেশানির রেখা কপালে নিয়েই খাবার খেতে উঠে দাঁড়ালো।

খাবারের মান ও তরকারীর পদ সংখ্যা উভয়ই হ্রাস পাচ্ছে দিন দিন। খাবার টেবিলে বসলেই সেটা বুঝতে পারে শাফিন। রীমা যথাসম্ভব কম খরচের মধ্যেই সব কিছু আঞ্জাম দেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু এভাবে জোড়াতালি দিয়ে কতদিন চলবে?  অথচ কদিন আগের কথাই। খাবার দাবার কিংবা সংসারের খরচাপাতির জন্য কখনো ভাবতে হয়নি তাদের। সেলারির টাকা দিয়ে বাসা ভাড়া ও সমস্ত খরচপাতি অনায়েসেই হয়ে যেত তাদের। কিছু টাকা আয়ও করতে পেরেছিল। জমি কিনতে গিয়ে সেগুলোও ব্যায় হয়ে গেছে। কে জানত অজানা অদেখা এক ভাইরাস সব কিছু এলোমেলো করে দিবে? নিশ্চিন্ত জীবনে অনিশ্চয়তার দামামা বেজে উঠবে?

খাবার খেতে খেতে রীমা কথা উঠালো, ‘শুনেছি কিছু কিছু কোম্পানি খুলে দিচ্ছে। কাগজপত্র জমা দিয়ে দেখ কোনো ব্যবস্থা হয় কিনা। তোমার রেজাল্ট তো মন্দ নয়, অভিজ্ঞতাও আছে সাথে। আমার বিশ্বাস চেষ্টা করলে ব্যবস্থা একটা হয়েই যাবে।’

শাফিন একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ল, ‘কিছু কিছু কোম্পানি খুলছে তা সত্য। কিন্তু বিশ্বব্যাপী ব্যবসা বাণিজ্য মন্দা যাচ্ছে। কোম্পানিগুলো খুললেও ব্যাপকভাবে লোক ছাটাই করে দিবে। নতুন নিয়োগের তো প্রশ্নই ওঠেনা।’

রীমা জবাব খুঁজে পায়না। কথা তো ঠিকই বলেছে শাফিন। নামি-দামি কোম্পানিগুলোও মেরুদণ্ড সোজা করে দাঁড়াতে পারছেনা। ছোটখাটো কোম্পানিগুলো তো বিলীন হবার উপক্রম। সেখানে নতুন চাকরি প্রত্যাশা করাটাও বোকামী।

সন্ধ্যাবেলা রীমা শাফিনের হাতে একটা জুয়েলারি বক্স ধরিয়ে দিল, ‘আমার স্বর্ণের চেইনটা এমনিতেই পড়ে আছে। এটা বেচে আপাতত বাসা ভাড়াটা দিয়ে দাও। আর হাতে যা টাকা আছে সেগুলো দিয়ে কয়েকদিন সংসার চালিয়ে নাও। এর মধ্যে একটা কিছু ব্যবস্থা করতে হবে।’

শাফিন জানে এই চেইনটা রীমা শখ করে বানিয়েছিল। নিয়মিত ব্যবহারও করত। গত বছর তাদের প্রথম সন্তান প্রসবের পর সন্তানটি মারা যায়। সেই সময় সে শোকে সব গয়নাগাটি খুলে রেখেছিল। এরপর থেকে শাফিন এই চেইনটি পরতে দেখেনি রীমাকে।

শাফিনের মন এটা বিক্রি করতে সায় দিচ্ছিলনা। কিন্তু রীমার পিড়াপিড়ি আর নির্মম পরিস্থিতি তাকে বাধ্য করল চেইনটি বিক্রি করতে।

আরো কটা দিন এভাবে কেটে গেল। এরই মধ্যে একদিন নোমান সাহেব এসে উপস্থিত হলেন। মগবাজারে টাইলস এর পাইকারি ব্যবসা তার। তিন লাখ টাকা তিনি শাফিনকে দিয়েছিলেন জমি কেনার সময়। লাখ খানেক টাকা পরিশোধ হয়ে গেছে এরই মধ্যে। জানালেন তার ব্যবসা বাণিজ্য বন্ধ। দিনকাল ভালো যাচ্ছে না। এক সপ্তাহের মধ্যে কিছু টাকা যেকোনো মূল্যেই তাকে দিতে হবে। শাফিন তাকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে বিদায় করেছে। কিন্তু এক সপ্তাহ পর যে তিনি আবার আসবেন না এর কোনো নিশ্চয়তা শাফিনের কাছে নেই। কারণ প্রত্যেকটা মানুষই অকস্মাৎ নিজ নিজ জায়গায় থমকে গেছে। সবাই দিশেহারা। কী করবে, কিভাবে চলবে কেউ জানেনা। দিনকাল ভালো থাকলে নোমান সাহেব চাপ দিতেন না। এতটুকু ভরসা শাফিনের আছে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে কারোও উপর ভরসা করা যায়না।

এক সপ্তাহ পর নোমান সাহেব ঠিক ঠিক আবার আসলেন। তিনি নাছোড়বান্দা। ত্রিশ, চল্লিশ হাজার টাকা কমপক্ষে দিতে হবে। না হলে তার চলবে না। শাফিন থলে ঝাড়ার মত করে সব মিলিয়ে বিশ হাজার টাকা নোমান সাহেবের হাতে তুলে দিল। নোমান সাহেব এই বিশ হাজার টাকা পেয়েই যেনো লাখ টাকা পেয়ে গেলেন। গদগদ কণ্ঠে ‘থ্যাংকস’ বলে প্রস্থান করলেন। শাফিন খুব অবাক হল। এত বড় একজন ব্যবসায়ীকেও পরিস্থিতি কোথায় এনে দাঁড় করিয়েছে। কতটা নতজানু করে ছেড়েছে। আর সে তো সামান্য চাকুরিজীবী মাত্র। মূহুর্তেই নিজের অপারগতার দায়ভার যেনো কিছুটা কমে এল তার।

আজ থেকে সম্পূর্ণরূপে কপর্দকহীন হয়ে গেল শাফিন। বুঝমান হওয়ার পর কখনো এমন অর্থনৈতিক টানপোড়নে পরেছে বলে তার মনে পড়ে না।

পরদিন খুব সকাল সকাল বেড়িয়ে পরল শাফিন। রীমা জানতে চাইলে শুধু বলল, ‘একজনের সাথে দেখা করতে হবে। ফিরতে দেরি হবে।’

রীমা দরজা খুলে শাফিনের গমন পথে তাকিয়ে থাকল। স্বামীকে এমন বৈরী পরিস্থিতিতে কখনো দেখে অভ্যস্ত না সে। কী নিদারুণ পেরেশানি আর হতাশার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে সে। স্ত্রী হয়ে সান্ত্বনা দেয়া ছাড়া কিছুই করার নেই তার।

সারাদিন কেটে গেল। শাফিন বাসায় ফেরেনি। কোথায় আছে, কী করছে কিছুই জানেনা সে। বিকেলের দিকে ফোন করে জানাল, ফিরতে রাত হবে তার। এতটুকুই। রীমা এক রুম থেকে আরেক রুম অস্থির পায়চারি করতে লাগল। রাত নয়টার দিকে শাফিন এল। চেহারা শরীরে ক্লান্তির ছাপ। রীমা জিজ্ঞেস করল, ‘কোথায় ছিলে সারা দিন?’

‘এই তো চাকরির খোঁজখবর নিতে এদিক ওদিক ছুটাছুটি করতে হল।’

‘তো! ব্যবস্থা কিছু হল?’

‘এখনোও হয়নি। দুএক দিনের মধ্যে হবে ইনশাআল্লাহ।’

শাফিন আর কিছু বললনা। যেনো নীরবতার সামিয়ানায় কোনো কিছু আড়াল করে রাখতে চাইছে।

দুদিন পর শাফিন জানাল তার ছোটখাটো একটা চাকরি হয়েছে। কিন্তু ডিউটি করতে হবে রাত নয়টা পর্যন্ত। সেলারিও যৎসামান্য। রীমা খুশি হলেও ভেতরে ভেতরে মুষড়ে পড়ল। কোথায় যেনো একটা চিনচিন ব্যাথা অনূভুত হল। স্বামীর কষ্ট লাঘব করার মত কোনো উপায় তার কাছে নেই। নিয়তিকে মেনে নেয়া ছাড়া কীইবা করার আছে?

শাফিন সকাল সকাল কর্মস্থলে ছুটল। আজ নতুন ঠিকানায় নতুন কর্ম দিবস তার। মগবাজার থেকে পায়ে হেটে রওয়ানা হল সদরঘাটের উদ্দেশ্যে। বাস চলাচল বন্ধ। রিকশা কিংবা সিএনজিতে যেতে বড় অংকের টাকা গুণতে হবে। দুই তিনশ টাকাই এখন শাফিনের কাছে বড় অংক। হাটতে হাটতে পায়ে টান ধরেছে। অভ্যাস না থাকলে যা হয়। কিন্তু অভ্যাসের দোহায় দিয়ে এখন কাজ নেই। নয়টায় পৌঁছতে হবে তাকে। দুই মাস আগেও যেই শহরকে সে জ্যাম নগরী হিসেবে চিনত সেই চীরচেনা চিত্র এখন আর নেই। পথঘাট সম্পূর্ণ ফাঁকা। লোকজনের এলোপাথাড়ি চলাচলের ভীড়ে যেখানে ফুটপাতগুলোতে পা ফেলা দায় ছিল সেই ফুটপাতগুলো আজ কুকুরেরা দখলে নিয়েছে। সিগন্যালগুলোতে লাল বাতি নিভে আবার সবুজ বাতি জ্বলে উঠছে একের পর এক। কিন্তু কে আগে যাবে সেই প্রতিযোগিতা করার মত কোনো গাড়ি নেই। নেই হেল্পারদের ‘নিউ মার্কে, গুলিস্তান,  শাহাবাগ, মালিবাগ, এয়ারপোর্ট’ ইত্যাদি হাঁকডাক। উঁচু উঁচু দালানকোঠা যেনো শহরের এই রূপ দেখে বিস্মিত। শাফিন ঘন্টার পর ঘন্টা জ্যামে আটকে থেকে কত দোয়া করেছে যেনো এই অবস্থার পরিবর্তন হয়। কিন্তু প্রিয় শহরের এমন ভৌতিক পরিবর্তন হবে তা কি কেউ কোনো দিন চেয়েছে?

সদর ঘাট পৌঁছে শাফিন সোজা আনোয়ার ভাইয়ের অফিসে ঢুকল। অফিস বলতে টিনশেডের একটি জীর্ণ ঘর। আনোয়ার ভাই তার গ্রামের বন্ধু। এখন সদর ঘাটে মাছের পাইকারি সেল করে। অনেক বছর থেকেই সে এই ব্যবসার সাথে লেগে আছে। এখন সে এই অঙ্গনে মোটামুটি ফেমাস একজন লোক। শাফিন মাঝে মাঝে আনোয়ার ভাইয়ের কাছে ফোন দিয়ে সারা মাসের মাছ কিনে রাখত। গত সপ্তাহে আনোয়ার ভাই ফোন করে জিজ্ঞেস করল, ‘এই মাসে তো মাছ টাছ নিলানা শাফিন! পোলাপানরে দিয়া বাসায় পাঠায়া দিমুনি কিছু? ভালো রুই কাতলা আছে!’

শাফিন চুপ মেরে থাকে। কি বলবে খুঁজে পায় না। কিভাবে বুঝাবে যে তার এখন এক মাস তো দূরের কথা এক দিনের মাছ কেনারও সামর্থ্য নেই।

‘ভাই! এই মাসে মাছ নিতে পারছি না। হাত একেবারে খালি। লাগলে আপনাকে জানাবো। আপনার ব্যবসা কেমন চলছে ভাই!’

শাফিন প্রসঙ্গ ঘুরিয়ে দিতে চাইল।

‘আল্লাহর ইচ্ছায় আমার ব্যবসা তো এহনও ভালোই চলতাছে। যেমনে সরকার লকডাউন মারতাছে ভবিষ্যতে কি না কি অয় অইডাই ভাবতেছি।’

শাফিন এই প্রথম কারো অবস্থা ভালো শুনতে পেল।  এরপর থেকে যখনই কিভাবে চলবে, কী করবে ইত্যাদি ভাবত তখনই তার আনোয়ার ভাইয়ের কথা মনে হত। এই কঠিন সময়েও তার ব্যবসা দিব্য চলছে। নোমান সাহেবকে ধুয়ে মুছে বিশ হাজার টাকা দিয়ে দেয়ার পর একবার মনে হল আনোয়ার ভাইকে বলে অস্থায়ী একটা কাজ যোগাড় করা যায় কিনা। নানা দ্বিধা দ্বন্দ্বে ভোগার পর একদিন আনোয়ার ভাইকে ফোন দিয়ে সব বলল শাফিন। তিনি কথা দিয়েছেন একটা ব্যবস্থা তিনি করবেন সেই আশ্বাস নিয়ে আজ শাফিন আনোয়ার ভাইয়ের অফিসে এসে হাজির হল।

শুরু হল অন্য এক জগতের সাথে পথ চলা। যেই জগতে শাফিন কোনো দিন পা ফেলেনি। পা ফেলার কথা ভাবেওনি। নির্মম নিয়তি তাকে আজ সেই পথেই টেনে আনল। আজ থেকে পথই তার অফিস, পথই তার কর্মস্থল। শাফিন ভাবে, এই মহামারী তার মত না জানি কত মধ্যবিত্তকে নিমিষেই পথে নামিয়ে দিয়েছে।

সারা দিনের হাড়ভাংগা খাটা খটনির পর সন্ধ্যাবেলা জামা কাপড় পালটে আবার হাটা পথে মগবাজার রওয়ানা হল। এবার যেনো কিছুতেই তার পা এগোয় না। শরীরটাকে বিরাট বোঝার মত মনে হচ্ছে। দুপুরে ডাল ভাজি দিয়ে দুটি  পরোটা খেয়েছিল। ক্ষুধায় পেটের ভেতর চিন চিন ব্যথা করছে। তবুও হাটতে হবে। বাসায় পৌঁছতে হবে নয়টার মধ্যেই। নয়ত রীমা আবার টেনশনে পড়ে যাবে।

The post অচেনা এক নগরীর গল্প appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3fmDWdO

মসজিদে ঈদের নামাজে ১৩ শর্ত

ফাতেহ ডেস্ক:

করোনা মহামারীর মধ্যে দ্বিতীয় ঈদ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আগস্ট মাসের প্রথম দিনের সকালেই অনুষ্ঠিত হবে ঈদুল আজহা। এবার করোনার মধ্যে ঈদের নামাজের জন্য বেশ কিছু নিয়ম বেঁধে দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। ঈদগা ময়দান, খোলা মাঠ বা উন্মুক্ত স্থানে নয় মসজিদেই এবার ঈদুল আজহার নামাজ পড়তে হবে। পাশাপাশি একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি ও হাত মেলানো থেকে বিরত থাকতে হবে।

ধর্ম মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে একটি নির্দেশানা জারি করেছে। নির্দেশনায় ১৩টি শর্ত উল্লেখ করা হয়েছে:

১. করোনাভাইরাস পরিস্থিতিজনিত কারণে মুসল্লিদের জীবন ঝুঁকি বিবেচনা করে এ বছর ঈদুল আজহার জামাত ঈদগাহ বা খোলা জায়গার পরিবর্তে কাছের মসজিদে আদায় করতে হবে। প্রয়োজনে একই মসজিদে একাধিক জামাত আদায় করা যাবে।

২. জামাতের সময় মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না। নামাজের পূর্বে মসজিদ জীবাণুনাশক দ্বারা পরিষ্কার করতে হবে। মুসল্লিরা প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসবেন।

৩. প্রত্যেককে বাসা থেকে অজু করে মসজিদে আসতে হবে এবং অজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।

৪. মসজিদে অজুর স্থানে সাবান/হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে।

৫. মসজিদের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার/হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান-পানি রাখতে হবে।

৬. জামাতে আগত মুসল্লিদের অবশ্যই মাস্ক পরে আসতে হবে। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না।

৭. নামাজ আদায়ের সময় কাতারে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে দাঁড়াতে হবে এবং এক কাতার অন্তর অন্তর কাতার করতে হবে।

৮. শিশু, বৃদ্ধ, যেকোনো ধরনের অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি জামাতে অংশগ্রহণ করবেন না।

৯. স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে।

১০. জামাত শেষে কোলাকুলি এবং পরস্পর হাত মেলানো থেকে বিরত থাকতে হবে।

১১. নামাজ শেষে খতিব ও ইমামরা মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে দোয়া চাইবেন।

১২. খতিব, ইমাম, মসজিদ পরিচালনা কমিটি ও স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়গুলো বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।

১৩. কোরবানির ক্ষেত্রে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা যথাযথভাবে পালন করতে হবে। স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, জনপ্রতিনিধি, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্ট মসজিদের পরিচালনা কমিটি এসব নির্দেশনা বাস্তবায়ন করবেন।

The post মসজিদে ঈদের নামাজে ১৩ শর্ত appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3hVclC5

ঈদ ও বন্যায় করোনার সংক্রমণ বাড়তে পারে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ফাতেহ ডেস্ক:

বন্যা ও ঈদুল আজহার কারণে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আবারও বাড়তে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) সকালে সচিবালয়ের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ঈদে মানুষ হাটে, বাজারে যাবে এতে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া বন্যায় এক জায়গায় অনেক মানুষ থাকছে এতেও সংক্রমণ বাড়তে পারে।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের সময়ে যথার্থ উদ্যোগ নেয়ার ফলেই দেশের কোভিড হাসপাতাল এখন ৬০ ভাগ শয্যা খালি পড়ে আছে। কোভিড ডেডিকেটেড অর্ধেক আইসিইউ বেডে কোনো রোগী নেই। শুরুতে পরিস্থিতি বুঝতে কিছুটা সময় লাগলেও এখন দেশের চিকিৎসাখাত কোভিড-১৯ চিকিৎসায় সঠিক অবস্থানেই রয়েছে।’

হাসপাতালে কোভিড-১৯ রোগী সংখ্যা কম থাকা প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন, ‘কোভিড-১৯ মোকাবিলায় সরকার দ্রুত কিছু উদ্যোগ নিতে সক্ষম হয়েছে। প্রথমদিকে কেবলমাত্র ঢাকা মেডিকেল কলেজে সেন্ট্রাল অক্সিজেন ব্যবস্থা চালু ছিল। এখন জেলা শহরেও সেন্ট্রাল অক্সিজেন ব্যবস্থা চালু করাসহ প্রায় ৭০টি হাসপাতাল সেন্ট্রাল অক্সিজেন ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আমাদের টেলি মেডিসিন ব্যবস্থার মাধ্যমে শত শত চিকিৎসক অনলাইনে কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী নতুন কিছু কার্যকরী চিকিৎসা সেবা কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলোতে দেয়া হচ্ছে। এর ফলে, দেশে ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার কমতে শুরু করেছে।’

কোভিড পরীক্ষা সংখ্যা কমে যাচ্ছে এমন এক প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী পরীক্ষা করতে মানুষের অনীহা, বন্যা দুর্যোগ ও যত্রতত্র লক্ষণবিহীন পরীক্ষা না করতেই কিছুটা কমে থাকতে পারে বলে জানান। সামনে ৩০ হাজার নার্স নিয়োগ করা হবে বলেও সভায় তিনি উল্লেখ করেন।

উল্লেখ্য, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলী নূর-এর সভাপতিত্বে সভায় ৫টি দপ্তরের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর হয়। স্বাক্ষরিত দপ্তরগুলি হচ্ছে- পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর, নিপোর্ট, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী চুক্তিকৃত দপ্তর প্রধানদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাইডলাইন অনুযায়ী স্বচ্ছতা ও দক্ষতার সাথে কাজ করার আহ্বান জানান।

The post ঈদ ও বন্যায় করোনার সংক্রমণ বাড়তে পারে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3f9cfVr

ঈদের নামাজ নিকটস্থ মসজিদে পড়ার নির্দেশনা ধর্ম মন্ত্রণালয়ের

ফাতেহ ডেস্ক:

আগামী ১ আগস্ট সারাদেশে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে।

করোনায় মুসল্লিদের জীবনের ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে এবারের ঈদের জামায়াত ঈদগাহ বা খোলা জায়গার পরিবর্তে নিকটস্থ মসজিদে আদায় করতে হবে। প্রয়োজনে একই মসজিদে একাধিক ঈদ জামায়াত আদায় করা যাবে।

ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক নির্দেশনায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সরকারের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের জারিকৃত স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে শর্তসাপেক্ষে ঈদ জামায়াত মসজিদে আদায়ের জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়।

উল্লেখ্য, করোনা পরিস্থিতির কারণে গত ঈদুল ফিতরের জামায়াত ঈদগাহে আদায় না করে মসজিদে আদায় করা হয়েছিল।

মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এবার পবিত্র ঈদুল আযহার নামাজের জামায়াতের সময় মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না। নামাজের আগে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবানুনাশক দ্বারা পরিষ্কার করতে হবে।

মুসল্লিরা প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্বে বাসা থেকে জায়নামাজ নিয়ে আসবেন। প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে ওযু করে মসজিদে আসবেন এবং ওযু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে।

করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধ নিশ্চিতে মসজিদে ওযুর স্থানে সাবান বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে। মসজিদের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান-পানি রাখতে হবে।

জামায়াতে আসা মুসল্লিকে অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করতে পারবেন না মুসল্লিরা।

ঈদের নামাজ আদায়ের সময় কাতারে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে দাঁড়াতে হবে এবং এক কাতার অন্তর অন্তর কাতার করতে হবে।

শিশু, বৃদ্ধ, যে কোনো ধরণের অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি ঈদের নামাজের জামায়াতে অংশগ্রহণ করবেন না বলে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।

সর্বসাধারণের সুরক্ষার নিশ্চতে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে।

করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে মসজিদে জামায়াত শেষে কোলাকুলি এবং পরস্পর হাত মেলানো পরিহার করতে হবে মুসল্লিদের।

করোনা মহামারী থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ঈদের নামাজ শেষে মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া করার জন্য খতিব ও ইমামগণের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

খতিব, ইমাম, মসজিদ পরিচালনা কমিটি ও স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়গুলো বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার অনুরোধ জানিয়ে মন্ত্রণালয় বলেছে, পশু কোরবানির ক্ষেত্রে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা যথাযথভাবে পালন করতে হবে।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে স্থানীয় প্রশাসন, আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী, জনপ্রতিনিধি, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্ট মসজিদের পরিচালনা কমিটি উল্লিখিত নির্দেশনা বাস্তবায়ন করবেন।

The post ঈদের নামাজ নিকটস্থ মসজিদে পড়ার নির্দেশনা ধর্ম মন্ত্রণালয়ের appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/2P5v6X5

টেলিমেডিসিনের কারণে করোনা হাসপাতালের ৬০ ভাগ বেড খালি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ফাতেহ ডেস্ক:

টেলিমেডিসিনের (ঘরে বসে ফোনে চিকিৎসাসেবা গ্রহণ) কারণেই মূলত লোকজন হাসপাতালে যাচ্ছেন না বলে দাবি করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে একটি অনুষ্ঠানে এমন দাবি করেন তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের জন্য নির্ধারিত হাসপাতালে ৬০ শতাংশ বেডই এখন খালি অবস্থায় আছে।

তার দাবি, টেলিমেডিসিনের কারণেই মূলত লোকজন হাসপাতালে যাচ্ছেন না।

অবশ্য করোনা রোগীদের হাসপাতাল বিমুখ হওয়া, আস্থাহীনতা তৈরি এবং নমুনা পরীক্ষায় অনাগ্রহ নিয়ে খোদ সরকারেই দ্বিমত আছে।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলে আসছেন, দুটি হাসপাতালে করোনা চিকিৎসা ও নমুনা পরীক্ষায় জালিয়াতি এবং নমুনার ফল পেতে দীর্ঘসূত্রিতার কারণে রোগীদের মাঝে আস্থাহীনতা তৈরি হয়েছে।

রোগীদের আস্থা ফেরাতে তিনি হাসপাতালগুলোর প্রতি বরাবরই আহ্বান জানিয়ে আসছেন। একই সঙ্গে সতর্ক করেছেন, আক্রান্তরা পরীক্ষা না করালে করোনা সংক্রমণ বাড়তে পারে।

এদিকে ঈদ ও বন্যার কারণে ফের করোনাভাইরাস সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

অন্যদিকে সরকারি হিসাব অনুযায়ী, দেশে বুধবার সকাল নাগাদ করোনায় মৃতের সংখ্যা ৩ হাজার ৩৫ জনে দাঁড়িয়েছে। এখন পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছে ২ লাখ ৩২ হাজার ১৯৪ জন।

The post টেলিমেডিসিনের কারণে করোনা হাসপাতালের ৬০ ভাগ বেড খালি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/33axQe6

দেশে একদিনে মৃত্যু ৪৮, শনাক্ত ২৬৯৫

ফাতেহ ডেস্ক:

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে চব্বিশ ঘণ্টায় ৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে ১২ হাজার ৯৩৭ টি নমুনা পরীক্ষা করে সংক্রমণ ধরা পড়েছে ২ হাজার ৬৯৫ জনের শরীরে।

দেশে গত মার্চের শুরুর দিকে কভিড-১৯ এর সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার পর বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৩ হাজার ৮৩ জনে।

আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২ লাখ ৩৪ হাজার ৮৮৯ জন। এর মধ্যে ২ হাজার ৬৬৮ জনসহ মোট সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ৩২ হাজার ৯৬০ জন।

সবশেষ তথ্যানুযায়ী, দেশে করোনার নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ২০.৮৩ শতাংশ, শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১.৩১ শতংশ এবং সুস্থতার হার ৫৬.৬১ শতাংশ।

দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে বৃহস্পতিবার দুপুরে এসব তথ্য তুলে ধরেন অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

চব্বিশ ঘণ্টায় যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের মধ্যে ৩৬ জন পুরুষ, ১২ জন নারী। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগের ১৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১২ জন, খুলনা, সিলেট বিভাগে পাঁচজন করে, রাজশাহী বিভাগে তিনজন এবং বরিশাল, ময়মনসিংহ ও রংপুর বিভাগে দুজন করে।

বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, চব্বিশ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে ৫১-৬০ বছর বয়সীদের মধ্যে, ৬১-৭০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ১২ জন, ১১ জন আছেন ৭১-৮০ বছরের মধ্যে, চারজনের বয়স ৪১-৫০ বছরের মধ্যে এবং একজন করে মৃত্যু হয়েছে ৩১-৪০ ও ৯১-১০০ বছরের মধ্যে।

চব্বিশ ঘণ্টায় আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে ৬৩৫ জন, ছাড় পেয়েছেন ৭৩৬ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৮ হাজার ৫৬৮ জন।

এই সময়ে কোয়ারেন্টাইনে যুক্ত হয়েছেন ২ হাজার ৪৫৩ জন, ছাড় পেয়েছেন ২ হাজার ২৭২ জন; বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৫৭ হাজার ৪২৫ জন।

The post দেশে একদিনে মৃত্যু ৪৮, শনাক্ত ২৬৯৫ appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3jSTTvr

Wednesday, July 29, 2020

ভারতের কর্ণাটকে স্কুলের পাঠ্য থেকে টিপু সুলতানের ইতিহাস বাদ

ফাতেহ ডেস্ক:

দক্ষিণ ভারতীয় কর্ণাটকের সরকার সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যসূচি থেকে টিপু সুলতান ও তার বাবা হায়দার আলি সংক্রান্ত অধ্যায়টি বাদ দিয়েছে। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।

অবশ্য কর্তৃপক্ষ বলছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণের জন্য স্কুল বন্ধ, তাই প্রতিটা শ্রেণির পাঠ্যসূচিই কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সে জন্যই টিপু সুলতানের অধ্যায় যেমন বাদ পড়েছে, তেমনই বাদ পড়েছে শিবাজী, ইসলাম ও খৃস্টান ধর্ম সম্বন্ধীয় কয়েকটি অধ্যায় এবং ভারতের সংবিধানের অধ্যায়ও।

ওই রাজ্যের বিজেপি শাসিত সরকার এর আগেও পরিকল্পনা করেছিল টিপু সুলতানের বিষয়টি স্কুলের পাঠ্যক্রম থেকে বাদ দিতে। তাই বিষয়টি নিয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে।

সরকার বলছে, প্রথম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত প্রতিটি ক্লাসের সিলেবাসই অন্তত ৩০ শতাংশ কমানো প্রয়োজন। সংক্ষেপিত সিলেবাস স্কুল শিক্ষা দপ্তরের ওয়েবসাইটে দেয়ার পরেই জানা যায়, সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যক্রম থেকে বাদ পড়েছে মহীশুরের শাসক টিপু সুলতান এবং তার বাবা হায়দার আলি সংক্রান্ত অধ্যায়টি।

যদিও সরকার যুক্তি দিচ্ছে, ষষ্ঠ এবং দশম শ্রেণিতে টিপু সুলতানের বিষয়ে পড়ানো বন্ধ হচ্ছে না, তবে এ শাসককে নিয়ে গবেষণা করেছেন, মহীশুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সাবেক অধ্যাপক সেবাস্টিয়ান যোসেফ বলেন, করোনা সংক্রমণকে সামনে রেখে আসলে যেসব বিষয় সরকারের পছন্দ নয়, সেগুলোকেই বাদ দেওয়া হয়েছে।

তার কথায়, “করোনা সংক্রমণের কারণে স্কুলের পাঠ্যক্রম কিছুটা কমাতে হবে বলা হচ্ছে। এটা তাদের কাছে একটা সুযোগ এনে দিয়েছে – যেসব বিষয়গুলো তাদের অপছন্দের, সেগুলো বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে যেমন হায়দার আলি, টিপু সুলতান আছেন, তেমনই ভারতের সংবিধানের বিষয়ও বাদ পড়েছে।”

তিনি বলেন, বাদ দেওয়া প্রতিটা বিষয়ই কর্ণাটক এবং ভারতের ইতিহাসের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

“স্বাধীনতার পর থেকেই স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস পাঠ্যক্রমে একটা সুষমতা ছিল। কিন্তু যখনই দলীয় চিন্তাভাবনা অনুযায়ী কিছু বিষয় বাদ দেওয়া হতে থাকবে, তখন তো ইতিহাস অধ্যয়নের বড় ক্ষতি করা হবে।”

কর্ণাটকের বিজেপি শাসিত সরকার এর আগেও টিপু সুলতানের বিষয়টি স্কুলের পাঠ্যক্রম থেকে বাদ দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছিল। কংগ্রেস সরকারের আমলে শুরু হওয়া টিপু জয়ন্তী পালনও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

হিন্দুত্ববাদী ইতিহাসবিদরা বলে থাকেন— টিপু সুলতানকে ব্রিটিশ বিরোধী লড়াইয়ের জন্য মনে রাখা হয়, কিন্তু আসলে তিনি ছিলেন একজন অত্যাচারী শাসক। কোডাগু জেলায় শত শত হিন্দুকে তিনি হত্যা করিয়েছিলেন এবং জোর করে ধর্মান্তরিত করেছিলেন বলেও তারা মনে করেন।

তবে কিছু হত্যা এবং ধর্মান্তরকরণের ঘটনা ওই সময়ে হলেও তার জন্য টিপু সুলতান কোনোমতেই দায়ী ছিলেন না বলে মনে করেন অন্য ইতিহাসদিদেরা।

তারা বলে থাকেন, টিপু সুলতান ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে যেভাবে রুখে দাঁড়িয়ে ছিলেন, তাতেই বিব্রত হয়ে ব্রিটিশরা টিপু সুলতানকে অত্যাচারী শাসক বলে প্রতিপন্ন করতে চেয়েছিলেন। সেই ধারাই এখন হিন্দুত্ববাদীদের গলায় শোনা যাচ্ছে বলে মনে করেন যোসেফের মতো ইতিহাসবিদরা।

এর আগে যখন ইতিহাস বই থেকে টিপু সুলতানকে বাদ দেয়ার প্রসঙ্গ এসেছিল, সেই সময়ে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি করা হয়, যার প্রধান ছিলেন হাম্পি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক টি. আর. চন্দ্রশেখর।

তিনি বলছিলেন, “আমরা সরকারকে স্পষ্টভাবেই জানিয়ে দিয়েছিলাম যে টিপু সুলতানের ইতিহাস পাঠ্যক্রম থেকে বাদ দেয়া যাবে না। কিন্তু এবারে করোনার জন্য সিলেবাসে যে কাটছাঁট করা হয়েছে তার আগে সরকার আমাদের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করেনি। সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে বুধবার শিক্ষা দপ্তর থেকে ফোন করে বলা হয় যে তারা সংক্ষেপিত সিলেবাস আমাদের পাঠাবে। কিন্তু এখন সেটা পাঠিয়ে কী লাভ – সিদ্ধান্ত তো তারা নিয়েই নিয়েছে।”

শুধু যে হায়দার আলি বা টিপু সুলতানের বিষয়গুলি বাদ দেওয়া হয়েছে সিলেবাস থেকে, তা নয়। বাদ পড়েছে শিবাজী, ইসলাম, খৃস্টান ধর্ম সম্বন্ধীয় বেশ কিছু অধ্যায় এবং ভারতের সংবিধানের অধ্যায়টিও।

ব্যাঙ্গালোরের আর্চবিশপ পিটার ম্যাকাডো মনে করেন, যে সব বিষয় বাদ দেয়া হয়েছে, সেগুলো কমবয়সী ছাত্রদের মনে গেঁথে দেওয়ার এটাই উপযুক্ত সময়।

“করোনার জন্য সিলেবাস কমাতে হবে, সেই যুক্তি ঠিকই আছে। কিন্তু ধর্মীয় বিষয়গুলো পাঠ্যক্রম থেকে বাদ দেওয়া উচিত নয়। স্কুলের ছাত্রদের বয়সেই তাদের সব ধর্মের ইতিহাস জানা উচিত। ভারতের সব ধর্মের সহাবস্থান রয়েছে— সেটাই তো ছাত্রদের মাথায় ছোটবেলাতেই গেঁথে দেওয়া উচিত।”

এ দিকে সরকারি টেক্সট বুক কমিটি জানিয়েছে, কোনো কিছুই বাদ দেয়নি, কিন্তু যেসব অধ্যায় এক ক্লাসে পড়ানো হচ্ছে বা হবে, সেগুলো সব ক্লাসে আবারও পড়ানোর প্রয়োজন ছিল বলে তারা মনে করে নি। আবার বাদ পড়া কিছু বিষয় তারা বাড়ির কাজ এবং প্রোজেক্ট ওয়ার্কের মাধ্যমে সিলেবাসে রেখেছেন।

তবে সমালোচনার মুখে বুধবার জানানো হয়, কাটছাঁট করা সিলেবাস পড়ানোর সিদ্ধান্ত আপাতত কার্যকর করা হবে না।

The post ভারতের কর্ণাটকে স্কুলের পাঠ্য থেকে টিপু সুলতানের ইতিহাস বাদ appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3jT55s9

এবার‌ও ঈদের জামাত শেষে কোলাকুলি মানা

ফাতেহ ডেস্ক:

ঈদ জামাত ও কোরবানিকে কেন্দ্র করে ধর্ম মন্ত্রণালয় ১৩টি নির্দেশনা দিয়েছে। এই নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে ঈদগাহ ময়দান, খোলা মাঠ বা উন্মুক্ত স্থানে নামাজ পড়া যাবে না। নামাজ মসজিদেই পড়তে হবে। একইসঙ্গে একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি ও হাত মেলানো থেকে বিরত থাকতে হবে।

আজ বুধবার জারি করা ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশাবলীতে এ কথা বলা হয়েছে।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবজনিত প্রেক্ষাপটে শর্তসাপেক্ষে ঈদুল ফিতরের নামাজের জামাত খোলা মাঠ/ঈদগায়ে আদায় না করে মসজিদে আদায় করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় ঈদুল আজহার নামাজ আদায় সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে ১২ জুলাই দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেম-ওলেমা এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভা করেন। ওই সভায় পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ মসজিদে আদায় করার সিদ্ধান্ত হয়।

শর্তগুলো হলো-

১. করোনাভাইরাস পরিস্থিতিজনিত কারণে মুসল্লিদের জীবন ঝুঁকি বিবেচনা করে এ বছর ঈদুল আজহার জামাত ঈদগাহ বা খোলা জায়গার পরিবর্তে কাছের মসজিদে আদায় করতে হবে। প্রয়োজনে একই মসজিদে একাধিক জামাত আদায় করা যাবে।

২. জামাতের সময় মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না। নামাজের পূর্বে মসজিদ জীবাণুনাশক দ্বারা পরিষ্কার করতে হবে। মুসল্লিরা প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসবেন।

৩. প্রত্যেককে বাসা থেকে অজু করে মসজিদে আসতে হবে এবং অজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।

৪. মসজিদে অজুর স্থানে সাবান/হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে।

৫. মসজিদের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার/হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান-পানি রাখতে হবে।

৬. জামাতে আগত মুসল্লিদের অবশ্যই মাস্ক পরে আসতে হবে। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না।

৭. নামাজ আদায়ের সময় কাতারে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে দাঁড়াতে হবে এবং এক কাতার অন্তর অন্তর কাতার করতে হবে।

৮. শিশু, বৃদ্ধ, যেকোনো ধরনের অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি জামাতে অংশগ্রহণ করবেন না।

৯. স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে।

১০. জামাত শেষে কোলাকুলি এবং পরস্পর হাত মেলানো থেকে বিরত থাকতে হবে।

১১. নামাজ শেষে খতিব ও ইমামরা মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে দোয়া চাইবেন।

১২. খতিব, ইমাম, মসজিদ পরিচালনা কমিটি ও স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়গুলো বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।

১৩. কোরবানির ক্ষেত্রে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা যথাযথভাবে পালন করতে হবে। স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, জনপ্রতিনিধি, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্ট মসজিদের পরিচালনা কমিটি এসব নির্দেশনা বাস্তবায়ন করবেন।

The post এবার‌ও ঈদের জামাত শেষে কোলাকুলি মানা appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/2DfJuJx

বিশ্বে করোনায় মৃত ৬ লাখ ৬৫ হাজার

ফাতেহ ডেস্ক:

মহামারি নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে মৃতের সংখ্যা বাড়ছেই। শেষ খবর অনুযায়ী, আজ বুধবার রাতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ছয় লাখ ৬৫ হাজার ৬৮৮ জনে। বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের সর্বশেষ পরিসংখ্যান জানার অন্যতম ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার এ তথ্য জানিয়েছে।

ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে বিশ্বের এক কোটি ৭০ লাখ এক হাজার ২৬৪ জন। তাদের মধ্যে বর্তমানে ৫৮ লাখ চার হাজার ২০৯ জন চিকিৎসাধীন এবং ৬৬ হাজার ৫১১ জন আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে।

এ ছাড়া করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত এক কোটি পাঁচ লাখ ৩১ হাজার ৫৬৭ জন সুস্থ হয়ে উঠেছে।

এদিকে কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে দেশে ২৪ ঘণ্টায় আরো ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে তিন হাজার ৩৫ জনের মৃত্যু হলো। এ ছাড়া দেশে নতুন করে আরো তিন হাজার ৯ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট দুই লাখ ৩২ হাজার ১৯৪ জন করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে।

বুধবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত নিয়মিত বুলেটিনে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এসব তথ্য জানান।

ডা. নাসিমা সুলতানার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ৮২টি ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৪ হাজার ২৫৩টি। নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৪ হাজার ১২৭টি। মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১১ লাখ ৫১ হাজার ২৫৮টি।

অধ্যাপক নাসিমা আরো জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২১ দশমিক ৩০ শতাংশ। মোট পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২০ দশমিক ১৭ শতাংশ। আর শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩১ শতাংশ।

এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৩৫ জনের মধ্যে পুরুষ ৩০ এবং নারী পাঁচজন।

এদিকে, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছে আরো দুই হাজার ৮৭৮ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৩০ হাজার ২৯২ জন। সুস্থতার হার ৫৬ দশমিক ১১ শতাংশ।

দেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়ার কথা জানানো হয় এবং প্রথম মৃত্যু ঘটে গত ১৮ মার্চ। এরপর গত ১৪ এপ্রিল ৩৮তম দিনে কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা এক হাজারে দাঁড়ায়। বর্তমানে দেশে দুই লাখ ৩২ হাজার ১৯৪ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৮২টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা করা হয়েছে।

The post বিশ্বে করোনায় মৃত ৬ লাখ ৬৫ হাজার appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/2CSydPL

৪ থেকে ৫ হাজার টাকা পড়বে মডার্নার ভ্যাকসিনের দাম!

ফাতেহ ডেস্ক:

করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিস্কারে বিশ্বব্যাপী যেসকল কোম্পানি কাজ করছে তার মধ্যে অন্যতম আমেরিকান বায়োটেকনোলজি কোম্পানি মডার্না। মরণঘাতি ভাইরাসটির ভ্যাকসিন আবিস্কারের ক্ষেত্রে অনেক দূর এগিয়ে গেছে প্রতিষ্ঠানটি। ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, তাদের উৎপাদিত ভ্যাকসিন বাজারে আসলে প্রতি দুই ডোজ কোর্স ভ্যাকসিনের দাম ৫০ থেকে ৬০ ডলার হতে পারে।

আর সেটা যদি হয় তাহলে বাংলাদেশি টাকায় এই ভ্যাকসিনের প্রতি কোর্সের দাম পড়তে পারে ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা। এক্ষেত্রে আমেরিকান আরেক ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ফাইজার ইনকর্পোরেশন ও জার্মানির বায়োএনটেকের ভ্যাকসিনের তুলনায় মডার্নার ভ্যাকসিনের দাম অন্তত ১১ ডলার বেশি পড়বে।

বাজার বিশ্লেষকদের মতে, ফাইজার ও বায়োটেক ২০০ কোটি ডলারের যৌথ চুক্তির ফলে করায় ব্যাপক সংখ্যক ডোজ উৎপাদনের চেষ্টা চলছে। এর ফলে অন্তত ৫ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিন দেয়া যাবে বলে ধারণা তাদের।

বিশ্বজুড়ে তাণ্ডব চালানো করোনাভাইরাসটিকে দমাতে ভ্যাকসিন আবিষ্কারে চেষ্টায় আছে অনেক প্রতিষ্ঠান। যদিও এখনো কেউই চূড়ান্তভাবে সফল হয়নি। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ফাইজার, মডার্না ও মেরক অ্যান্ড কোং জানিয়েছে, ভ্যাকসিন আবিষ্কার করতে পারলে লাভ নিশ্চিত করেই বিক্রি করবে তারা। তবে জনসন অ্যান্ড জনসনসহ বেশ কিছু ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ঘোষণা দিয়েছে, লাভের চিন্তা করে এই ভ্যাকসিন বিক্রির পরিকল্পনা নেই তাদের।

The post ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা পড়বে মডার্নার ভ্যাকসিনের দাম! appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/2X9HHgd

স্বাস্থ্যবিধি মেনে নামাজ আদায়ের আহ্বান আইনমন্ত্রীর

ফাতেহ ডেস্ক:

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের সংসদ সদস্য ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আমার মনটা কসবা আখাউড়ায় পড়ে আছে। কথা ছিল সামনা-সামনি দেখা হবে, কথা হবে। রোজার ঈদ একসঙ্গে পালন করব, কোরবানির ঈদও সুন্দরভাবে একসঙ্গে পালন করব। কিন্তু এভাবে দেখা হবার, কথা হবার কথা ছিল না। করোনাভাইরাসের কারণে সবকিছু এলোমেলো হয়ে গেল।

তিনি এবারের ঈদেও সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদের নামাজ আদায়ের আহ্বান জানান। বুধবার (২৯ জুলাই) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে স্থানীয় প্রশাসনের আয়োজিত ভার্চুয়াল কনফারেন্সে দলীয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি এলাকার ইমামদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সময়ে বন্যায় ভাসছে সারা দেশ। কসবা, আখাউড়ার বিভিন্ন এলাকায় বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যায় ত্রাণ কার্যক্রম যেন যথাযথ প্রক্রিয়ায় হয় সে ব্যাপারে জনপ্রতিনিধিসহ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। পাশাপাশি সামনে শোকের মাস আগস্ট। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনার জন্যে তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।

সভায় মন্ত্রী বলেন, আজ আমার ডাকে আপনারা একত্রিত হয়েছেন। উপস্থিত হয়েছেন। আমি আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ। আপনারা জানেন একটা কথা আছে মানুষ আশা করেন। আল্লাহতালা তা পূরণ করেন। আল্লাহর ইচ্ছে সব হয়। মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে দূরত্ব বজায় রাখতে হয়েছে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, আপনারা জানেন চলতি বছরের ১৮ এপ্রিল আমার মমতাময়ী মাকে হারিয়েছি। করোনার কারণে আমার মাকে কসবা নিয়ে আসতে পারিনি। আমার মনে বড় দু:খ আছে। ঈদের পরে আপনাদের সাথে সামনা-সামনি দেখা হবে কথা হবে আশা রাখি। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার মরহুম মমতাময়ী মায়ের জন্য দোয়া করবেন। সবাই ভাল থাকবেন।

এ সময় মন্ত্রী সভায় উপস্থিত কসবা উপজেলাবাসীকে আগাম ঈদ শুভেচ্ছা জানান। কসবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ উল আলমের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল (ভিডিও) কনফারেন্সে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কসবা উপজেলা চেয়ারম্যান রাশেদুল কাউছার ভূঁইয়া জীবন, কসবা পৌরসভার মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন প্রমুখ।

The post স্বাস্থ্যবিধি মেনে নামাজ আদায়ের আহ্বান আইনমন্ত্রীর appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/2P3VD6T

দেশবাসীকে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর

ফাতেহ ডেস্ক:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

বুধবার (২৯ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি অডিও বার্তায় দেশবাসীকে ঈদুল-আজহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এবং এটি মোবাইল ব্যবহারকারীদের কাছে তাদের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পাঠানো হচ্ছে।

শুভেচ্ছা বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আসসালামু আলাইকুম, আমি শেখ হাসিনা, বছর ঘুরে আবার পবিত্র ঈদুল আজহা আমাদের মাঝে এসেছে। আমি পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আপনাকে এবং আপনার পরিবারের সবাইকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।’

তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, করোনাভাইরাস মহামারীর সব অন্ধকার কাটিয়ে ঈদুল আজহা সবার মাঝে আনন্দ বয়ে আনবে।

প্রধানমন্ত্রী ত্যাগের মহিমায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশ ও জনগণের কল্যাণে আত্মনিয়োগ করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

বার্তাটির শেষে, তিনি করোনাভাইরাসের বিস্তার বন্ধে স্বাস্থ্য নির্দেশিকাগুলো যথাযথভাবে অনুসরণ করার জন্য সকলকে অনুরোধ জানিয়ে সবার উদ্দেশে বলেন, ভাল থাকুন এবং সুরক্ষিত থাকুন, ঈদ মোবারক।

The post দেশবাসীকে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/307Of0I

দেশে একদিনে মৃত্যু ৩৫, শনাক্ত ৩০০৯

ফাতেহ ডেস্ক:

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চব্বিশ ঘণ্টায় দেশে ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে ১৪ হাজার ১২৭ টি নমুনা পরীক্ষা করে সংক্রমণ পাওয়া গেছে ৩ হাজার ৯ জনের শরীরে।

দেশে গত মার্চের শুরুর দিকে কভিড-১৯ এর সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার পর বুধবার পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৩ হাজার ৩৫ জনে।

আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২ লাখ ৩২ হাজার ১৯৪ জন।

এর মধ্যে ২ হাজার ৮৭৮ জনসহ মোট সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ৩০ হাজার ২৯২ জন।
দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে বুধবার দুপুরে এসব তথ্য তুলে ধরেন অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

The post দেশে একদিনে মৃত্যু ৩৫, শনাক্ত ৩০০৯ appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/2X6szjK

দেশের ঐতিহাসিক ঈদগাহ ময়দান শোলাকিয়ায় এবারও হচ্ছে না ঈদের জামাত

ফাতেহ ডেস্ক:

করোনার কারণে দেশের ঐতিহাসিক ঈদগাহ ময়দান শোলাকিয়ায় ঈদুল ফিতরের জামাতের পর এবার ঈদুল আজহার জামাতও অনুষ্ঠিত হচ্ছে না।কিশোরগঞ্জ কালেক্টৎরেট ভবনে ১৯৩তম ঈদুল আজহার প্রস্তুতি সভা শেষে সোমবার সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঈদ উদযাপন প্রস্তুতি কমিটির সভাপতি কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী।

এর আগে করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে এর আগে এ ঐতিহাসিক ঈদগাহ ময়দানের ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠানও বন্ধ ঘোষণা করা জেলা করোনা প্রতিরোধ এবং ঈদ ঈৎসব উদযাপন কমিটি।

জানা গেছে, কিশোরগঞ্জ শহরের উপকণ্ঠে নরসুন্দা নদীর তীরে দুইশত বছরের পুরনো ও ঐতিহ্যবাহী এ ঈদগাহ ময়দানে প্রতি বছর দেশ বিদেশের তিন লাখেরও বেশি ধর্মপ্রাণ মুসল্লী ঈদের জামাত আদায় করে আসছিলেন। এক সময় এ ঈদগাহ ময়দানটি দেশ এমনকি উপ-মহাদেশের সর্ববৃহৎ ঈদের জামাতের খ্যাতি অর্জন করে।

The post দেশের ঐতিহাসিক ঈদগাহ ময়দান শোলাকিয়ায় এবারও হচ্ছে না ঈদের জামাত appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3hM8C9P

Tuesday, July 28, 2020

অনুমতি ছাড়া মাশায়েরে মুকাদ্দাসায় প্রবেশ করায় ১৬ জনকে জরিমানা

ফাতেহ ডেস্ক:

বিনা অনুমতিতে মাশায়েরে মুকাদ্দাসায় (হজের বিধি-বিধান পালনের বিশেষ স্থানসমূহ) প্রবেশের অপরাধে সৌদি আরবের জননিরাপত্তা বাহিনী ১৬ জনকে আর্থিক জরিমানা করেছে।

সৌদি সুরক্ষা সংস্থা শনিবার, ২৫ জুলাই ঘোষণা করেছ, অনুমতি ব্যতীত মাশায়েরে মুকাদ্দাসা অর্থাৎ মিনা, আরাফাত এবং মুজদালিফায় প্রবেশের দায়ে ১৬ জনকে ১০,০০০ সৌদি রিয়াল করে জরিমানা করা হয়েছে।

সৌদি সুরক্ষা পরিষেবার মুখপাত্র বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বলেছেন, এ বছর হজ অনুষ্ঠানে গত সপ্তাহে ১৬ জন করোনা সংক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক প্রোটোকলের বিরুদ্ধে কাজ করেছে।

তিনি মিনা, আরাফাত এবং মুজদালিফায় বিনা অনুমতিতে প্রবেশকৃত ব্যক্তিদের শাস্তি কার্যকর করার কথা উল্লেখ বলেন: এই ১৬ জন ব্যক্তিকে ১০ হাজার সৌদি রিয়াল করে জরিমানা করা হয়েছে।

সরকারী মুখপাত্র সকল সৌদি নাগরিককে হজের আদেশ মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে বলেন: সুরক্ষা বাহিনী এই আইনটি কার্যকর করতে এবং মিনা, আরাফাত এবং মুজদালিফায় বিনা অনুমতিতে প্রবেশকৃত ব্যক্তিদের আটক করার জন্য একটি শক্তিশালী সুরক্ষা রিং প্রতিষ্ঠা করেছে।

The post অনুমতি ছাড়া মাশায়েরে মুকাদ্দাসায় প্রবেশ করায় ১৬ জনকে জরিমানা appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3jKV2p7

টানা ১২ দিন বিশ্বব্যাপী ২ লাখ করে শনাক্ত

ফাতেহ ডেস্ক:

নভেল করোনাভাইরাসে টানা ১২ দিন গোটা পৃথিবীতে ২ লাখের বেশি করে মানুষ কভিড-১৯ পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, সংক্রমণের এই ঊর্ধ্বগতি শুরু হয়েছে চলতি মাসের ১৬ তারিখ থেকে।

গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ২৬ হাজার ৭৮৩ জন।

আন্তর্জাতিক জরিপকারী সংস্থা ওয়ার্ল্ডওমিটারের হিসাব অনুযায়ী (রিয়েল টাইমে), বুধবার সকাল আটটা পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৬৮ লাখ ৯২ হাজার ৩১৯ জন। সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ৪ লাখ ৫৬ হাজার ৩০৭ জন। বিপরীতে মারা গেছেন ৬ লাখ ৬৩ হাজার ৪০৮ জন।

আক্রান্ত ও মৃতের তালিকায় শীর্ষে থাকা যুক্তরাষ্ট্রে ৪৪ লাখ ৯৮ হাজার ৩৪৩ জন শনাক্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ১ লাখ ৫২ হাজার ৩২০ জন। বিপরীতে মোট সুস্থ হয়েছেন ২১ লাখ ৮৫ হাজার ৮৯৪ জন।

ব্রাজিলে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ২৪ লাখ ৮৪ হাজার ৬৪৯ জন। সুস্থ হয়েছেন ১৭ লাখ ২১ হাজার ৫৬০ জন।

তিন নম্বরে থাকা ভারতে প্রায় প্রতিদিন রোগী বাড়ছে। দেশটিতে মোট ১৫ লাখ ৩২ হাজার ১৩৫ জন ১৯ কভিড-১৯ পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন, মৃত্যু ৩৪ হাজার ২২৪ জনের।

রাশিয়ায় এখন পর্যন্ত ৮ লাখ ২৩ হাজার ৫১৫ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ১৩ হাজার ৫০৪ জন।

পাঁচ নম্বরে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকায় ৪ লাখ ৫৯ হাজার ৭৬১ জন শনাক্ত হয়েছেন। দেশটিতে মারা গেছেন ৭ হাজার ২৫৭ জন।

The post টানা ১২ দিন বিশ্বব্যাপী ২ লাখ করে শনাক্ত appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/332HEqb

মুম্বাইয়ের বস্তিবাসীর অর্ধেকই করোনায় আক্রান্ত: জরিপ

ফাতেহ ডেস্ক:

ভারতের মুম্বাই শহরের বস্তিবাসীদের অর্ধেকের মাঝেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া গেছে বলে সিটি কমিশন পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে। এতে এই নগরীসহ দেশজুড়ে আক্রান্তের যে সংখ্যা সরকারি হিসেবে বলা হচ্ছে তা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।

করোনায় আক্রান্তে বৈশ্বিক তালিকায় তৃতীয়স্থানে আছে ভারত। দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা এরই মধ্যে ১৫ লাখ ৩২ হাজার ছাড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলের পরেই তাদের অবস্থান। মৃত্যুর বৈশ্বিক তালিকায় ষষ্ঠস্থানে আছে ভারত, ৩৩ হাজার ৪০০ ছাড়িয়েছে।

আগে থেকেই বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতে টেস্টের সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম টেস্ট হচ্ছে। টেস্ট বাড়ানো হলে শনাক্তের প্রকৃত সংখ্যা অনেক বেশি হয়ে থাকতে পারে।

মহারাষ্ট্রের রাজধানী মুম্বাইয়ে চালানো জরিপের ফল বিশেষজ্ঞদের সেই ধারণাই জোরালো করল।

জরিপের ফলে বলা হয়েছে, মুম্বাই শহরে অনির্দিষ্টভাবে বাছাই করা ৬ হাজার ৯৩৬ জনের রক্তের নমুনা নিয়ে কভিড-১৯ টেস্ট করা হয়। তাতে ৫৭ শতাংশ বস্তিবাসীর শরীরে সংক্রমণ পাওয়া গেছে। আর বস্তিবাসীদের বাইরের অধিবাসীদের মধ্যে ১৬ শতাংশ মানুষের শরীরে করোনার লক্ষণ পাওয়া গেছে।

ভারতের অন্যতম জনবসতিপূর্ণ শহর মুম্বাইয়ের ৪০ শতাংশ মানুষের বসবাস বস্তিতে। ২ কোটি মানুষের শহরটিতে এখন পর্যন্ত সরকারি হিসেবে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ১০ হাজার। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৬ হাজারের বেশি মানুষের।

ভারতের বৃহত্তম ধারাভি বস্তিটির অবস্থান এই মুম্বাইয়ে। সেখানে আনুমানিক ১০ লাখ মানুষের বসবাস। তবে সেখানে করোনায় মৃত্যুর খবর খুব একটা পাওয়া যায়নি। স্থানীয় কর্তৃপক্ষর দাবি, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে তাদের নেওয়া কঠোর পদক্ষেপগুলো কাজে দিয়েছে।

এর আগে ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লির প্রায় এক-চতুর্থাংশ মানুষই করোনাভাইরাসে সংক্রমিত বলে একটি জরিপের ফলে উঠে আসে।

The post মুম্বাইয়ের বস্তিবাসীর অর্ধেকই করোনায় আক্রান্ত: জরিপ appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/335Yq7Y

ঈদুল আজহার পরে খুলছে আদালত: আইনমন্ত্রী

ফাতেহ ডেস্ক:

চার মাসের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর, ঈদুল আজহার পরে বাংলাদেশের আদালতগুলো পুনরায় খুলে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেছেন,‘আমরা এই ধারণায় উপনীত হয়েছি যে, আমাদের করোনাভাইরাস, কোভিড-১৯ এর সাথে বসবাস করতে হবে। সেজন্য আমি যদ্দুর জানি, মাননীয় প্রধান বিচারপতির সঙ্গে আমার শেষ যে আলাপ হয়েছে, সেটা হচ্ছে ঈদের পরে স্বাভাবিক আদালতগুলো (নিম্ন আদালত) খুলে দেয়া হবে।’

তবে ফৌজদারি মামলার বিচারিক কাজে বা সাক্ষ্যগ্রহণ প্রক্রিয়ায় কিছু বাধ্যবাধকতা থাকতে পারে বলে তিনি জানান। কিন্তু দেওয়ানি মামলায় সেটা নাও থাকতে পারে।

আইনমন্ত্রী বলছেন,‘এর কারণ হচ্ছে, যেসব আসামী কারাগারে আছেন, এখন পর্যন্ত আমাদের কারাগারগুলোয় কোভিড-১৯ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হয় নাই। এবং আমরা সেই অবস্থায় রাখতে চাই। আদালতের সেই কাজটা কীভাবে করবো, আইনের কী পরিবর্তন লাগবে, সেদিকে আমরা এগিয়ে যাবো।’

‘কিন্তু অন্যান্য কাজের সবকিছুই স্বাভাবিকভাবে, সাধারণ আদালতের যেভাবে কাজ হচ্ছিল, সেই ভাবেই হবে। সেটা ঈদের পরেপরেই খুলে দেয়া হবে’, বলছেন মি. হক।

হাইকোর্ট বা সুপ্রিম কোর্ট কবে খুলবে বা কীভাবে চলবে, সেই ব্যাপারে প্রধান বিচারপতি সিদ্ধান্ত নেবেন বলে তিনি জানান। বাংলাদেশে গত মার্চ মাসে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হওয়ার প্রেক্ষাপটে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হলে উচ্চ ও নিম্ন আদালতের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।

তবে ৩১শে মে থেকে ভার্চুয়াল আদালতের মাধ্যমে বিচারিক কর্মকাণ্ড শুরু হয়। কিন্তু নিম্ন আদালতে শুধুমাত্র জামিন শুনানি এবং নতুন মামলার আবেদন গ্রহণের মধ্যেই এই আদালতের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রয়েছে। তবে উচ্চ আদালতে বিভিন্ন বিষয়ে শুনানি হয়েছে।

বিচার প্রত্যাশী ও আইনজীবীদের সংকট

বাংলাদেশে চারমাস ধরে আদালতের নিয়মিত কার্যক্রম বন্ধ থাকায় একদিকে সংকটে পড়েছেন সাধারণ বিচার প্রত্যাশী মানুষ, অন্যদিকে এই পেশার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা। চট্টগ্রামের বাসিন্দা মোঃ রোকন বলছেন, পারিবারিক বিষয় ঘিরে আমার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, কিন্তু আমি নিশ্চিত, বিচার শুরু হলেই এটা মিথ্যা বলে প্রমাণিত হবে। তদন্ত রিপোর্টও দিয়েছে. কিন্তু আদালতের সিদ্ধান্তের আগেই বন্ধ হয়ে গেছে।”

“এখন আমি জানিনা আদালত কি এটাকে মামলা হিসাবে গ্রহণ করবেন নাকি খারিজ করে দেবেন। ফলে একদিকে আমি উদ্বেগে ভুগছি, সামাজিকভাবে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছি।

অন্যদিকে বরিশালের বাসিন্দা মোস্তাফিজুর রহমান বলছেন, ”আমাদের জমির রেকর্ডে ভুল করেছে। সেটা সংশোধনের জন্য মামলা করেছি। কিন্তু আদালত বন্ধ, কোন কাজ হচ্ছে না। কবে হবে তাও জানি না।”

শুধু এই রকম বিচার প্রত্যাশীরাই নয়, সংকটে পড়েছেন আইনজীবী, তাদের সহকারী থেকে শুরু করে আইনি পেশার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরাও। বাংলাদেশে ৫০ হাজারের বেশি আইনজীবী রয়েছেন। আদালতের নিয়মিত কার্যক্রম না থাকায় আইনজীবীদের আয়-রোজগার প্রায় শূন্যে নেমে এসেছে। যদিও সংগঠনের পক্ষ থেকে কিছুটা সহায়তা করা হচ্ছে, কিন্তু তাও পর্যাপ্ত নয়।

কয়েকজন আইনজীবী জানিয়েছেন, তাদের বাড়িভাড়াও বকেয়া পড়ে গেছে। ঢাকার জজ আদালতের আইনজীবী তানিয়া পারভীন বলছেন, আমাদের পুরোপুরি কাজের ওপর নির্ভর করতে হয়। কিন্তু এই সময় সব মামলা থেমে আছে। আগে মামলা থেকে, হাজিরা থেকে, শুনানি থেকে আমরা যে টাকাটা পেতাম, সেটা একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে।
আইনজীবী মানে অনেকে অনেক কিছু মনে করেন। কিন্তু আমরা কাউকে বলতে পারছি না যে, আমাদের বাসায় খাবার নেই, আমাদের অফিস চলছে না, বাড়িওয়ালাকে বলতে পারছি না। শুধু আমি নই, আমার মতো হাজার অনেক আইনজীবী রয়েছেন, যারা এই সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন।

মামলা জটের আশঙ্কা?

করোনাভাইরাসে টানা দুইমাসের বেশি সময় দেশের সব আদালত বন্ধ থাকার পর, অধ্যাদেশ জারি ও আইন সংশোধনের পর মে মাসের ৩১ তারিখ থেকে বাংলাদেশে ভার্চুয়াল আদালত শুরু হয়। কিন্তু সেখানে শুধুমাত্র মামলার আবেদন গ্রহণ আর জামিন আবেদনের শুনানি করা হচ্ছে। সাক্ষ্যপ্রমাণ গ্রহণের মাধ্যমে নিয়মিত বিচার কার্যক্রম বা ট্রায়াল বন্ধ রয়েছে। ফলে একদিকে যেমন পুরনো মামলার কাজ বন্ধ, তেমনি নতুন নতুন মামলাও যোগ হচ্ছে। ফলে মামলা জট তৈরি হওয়ার আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের হিসাবেই দেশে অন্তত ৩১ লাখ মামলা ঝুলে রয়েছে। এই সংকট সামলাতে কী ভাবছে দেশটির সরকার?
বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলছেন, চিন্তাভাবনা আছে বলেই এই পরিস্থিতিতে প্রথমে অধ্যাদেশ জারি, পরে আইনটা পাশ করেছি। যাতে আদালত বন্ধ থাকার কারণে ইমেডিয়েট যে প্রেশার তৈরি হয়েছে, সেটাকে কমিয়ে আনা যায়। আমার মনে হয়, আমরা সেই ব্যাপারে সার্থক হয়েছি। সূত্র : বিবিসি

The post ঈদুল আজহার পরে খুলছে আদালত: আইনমন্ত্রী appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/332mdWn

Monday, July 27, 2020

মিশরে মাত্র ১টি মসজিদে ঈদুল আজহার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে

ফাতেহ ডেস্ক:

মিশরের প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, ঈদুল ফিতরের মতো ঈদুল আজহার নামাজও শুধুমাত্র একটি বড় মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে।

মিশরের প্রধানমন্ত্রী মোস্তফা মাদবুলি রবিবার ঘোষণা করেছেন, এবারের ঈদুল আজহার নামাজ ঈদুল ফিতরের নামাজে নির্ধারিত বিধি অনুসারে অনুষ্ঠিত হবে।

এ প্রসঙ্গে মিশরের প্রধানমন্ত্রী মোস্তফা মাদবুলি আরও বলেন, এ বছর ঈদুল আজহার নামাজ নামাজটি দেশের একটি বৃহত্তম মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি গুরুত্বারোপ করে বলেন: সকল মুসল্লিদের অবশ্যই স্বাস্থ্যকর প্রোটোকলগুলি পালন করতে হবে এবং মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।

উল্লেখ্য যে, মিশরে এপর্যন্ত ৯১৫৭৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এরমধ্যে ৪৫৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।

The post মিশরে মাত্র ১টি মসজিদে ঈদুল আজহার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/32ZN713

শিক্ষার্থীদের স্বল্পমূল্যে ইন্টারনেট দিতে কাজ করছে সরকার: শিক্ষামন্ত্রী

ফাতেহ ডেস্ক:

বিনামূল্যে না হলেও স্বল্পমূল্যে শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেট সুবিধা নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি জানান, এ জন্য বিভিন্ন মোবাইলফোন অপারেটরদের সাথে সরকার যোগাযোগ শুরু করেছে।

আলোচনা ফলপ্রসূ হলে অচিরেই শিক্ষার্থীরা এ সুবিধা ভোগ করতে পারবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

সোমবার সন্ধ্যায় চাঁদপুরে করোনা পরীক্ষায় আরটি পিসিআর ল্যাব উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

দীপু মনি বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও এতে শিক্ষার্থীরা ক্ষতির মুখে পড়বে না। তাদের যাতে কোনো ধরণের সমস্যা তৈরি না হয়, সেই দিক লক্ষ্য রেখেই সরকার চিন্তাভাবনা করছে।

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিমেল সাইন্স বিশ্ববিদ্যালয় ও চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের সহযোগিতা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বাবা প্রয়াত ভাষাবীর এম এ ওয়াদুদ মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনে এ আরটি পিসিআর ল্যাব স্থাপন করা হলো।

The post শিক্ষার্থীদের স্বল্পমূল্যে ইন্টারনেট দিতে কাজ করছে সরকার: শিক্ষামন্ত্রী appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3jKThbo

দেশে আরও ৪৩ অক্সিজেন ট্যাঙ্ক স্থাপিত হচ্ছে

ফাতেহ ডেস্ক:

দেশের হাসপাতালগুলোতে বর্তমানে আরও ৪৩টি লিকুইড অক্সিজেন ট্যাঙ্ক নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা সোমবার নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিন উপস্থাপনকালে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ২০২০ সালের আগে সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে লিকুইড অক্সিজেন ট্যাঙ্ক ছিল মাত্র ২২টি। করোনা সংক্রমণের পর সম্প্রতি স্থাপিত হয়েছে ৮টি লিকুইড অক্সিজেন ট্যাঙ্ক। বর্তমানে আরও ৪৩টি লিকুইড অক্সিজেন ট্যাঙ্ক নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে।

দেশের লিকুইড অক্সিজেন ট্যাঙ্কের তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, সম্প্রতি ন্যাশনাল ইলেকট্রো-মেডিকেল ইক্যুইপমেন্ট মেইনটেন্যান্স ওয়ার্কশপ অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার (নিমিউ) ছয়টি লিকুইড অক্সিজেন ট্যাঙ্ক স্থাপন করেছে। স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরও সম্প্রতি একটি লিকুইড অক্সিজেন ট্যাঙ্ক স্থাপন করে। নিজস্ব উদ্যোগে সরকারি হাসপাতালে স্থাপিত অক্সিজেন প্ল্যান্ট বা লিকুইড অক্সিজেন ট্যাঙ্ক স্থাপন করা হয়েছে একটি। নিমিউর অধীনে লিকুইড অক্সিজেন ট্যাঙ্ক নির্মাণকাজ চলমান ২০টি প্রতিষ্ঠানে। স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের মাধ্যমে ২৩টি প্রতিষ্ঠানে লিকুইড অক্সিজেন ট্যাঙ্ক নির্মাণকাজ চলমান।

তিনি জানান, সারাদেশে অক্সিজেন সিলিন্ডারের সংখ্যা ১২ হাজার ৩৪১টি। হাই ফ্লো নেজাল ক্যানোলার সংখ্যা ৩০৫টি। অক্সিজেন কনসেনট্রেটরের সংখ্যা ১১২টি।

The post দেশে আরও ৪৩ অক্সিজেন ট্যাঙ্ক স্থাপিত হচ্ছে appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/305JtAN

কৃষি মন্ত্রণালয়ে ২৬০ কর্মকর্তা-কর্মচারি করোনা আক্রান্ত

ফাতেহ ডেস্ক:

কৃষি মন্ত্রণালয়ের ২৬০ কর্মকর্তা-কর্মচারি এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যুবরণ করেছেন ৫ জন।

চিকিৎসাধীন ও আইসোলেশনে রয়েছেন ১১৬ কর্মকর্তা-কর্মচারি। আর এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৩৯ জন।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা বলা হয়।

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের ডাক্তার-নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মী এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী যেমন ফ্রন্টলাইনে থেকে কাজ করে যাচ্ছে, তেমনি কৃষিতে প্রয়োজনে ঝুঁকি নিয়ে হলেও কাজ করে যাওয়ার নির্দেশ দেন।

তিনি বলেন, মহামারি করোনা, আম্পান, বন্যা প্রভৃতি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নির্দেশিত স্থাস্থ্যবিধি মেনে প্রয়োজনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হলেও নিরলসভাবে কাজ করে যেতে হবে। যাতে করে দেশে খাদ্যের কোন ঘাটতি না হয়, সংকট না হয়।

খবর: বাসস।

The post কৃষি মন্ত্রণালয়ে ২৬০ কর্মকর্তা-কর্মচারি করোনা আক্রান্ত appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3f1lg2R

অর্থের অভাবে ফিরতে না পেরে থাইল্যান্ডের জঙ্গলে ৩ বাংলাদেশি

ফাতেহ ডেস্ক:

কম্বোডিয়া ঘুরতে গিয়েছিলেন সেই মার্চে। এর ভেতর করোনার কারণে সব স্থবির হয়ে পড়ে। কাছে যা টাকা ছিল তাও যায় ফুরিয়ে। ওদিকে দেশটিতে নেই বাংলাদেশের দূতাবাস। এমন পরিস্থিতিতে থাইল্যান্ডে প্রবেশ করতে গিয়ে পথ হারিয়ে জঙ্গলে ঢুকে পড়েন তিন বাংলাদেশি।

থাইল্যান্ডের গণমাধ্যম পাতায়া নিউজ জানিয়েছে, সা কেও প্রদেশ থেকে সম্প্রতি ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, তিন ব্যক্তির একজনের নাম সোহেল পারভেজ। তার বয়স ৪০ বছর। আরেক জনকে শুধু মোহাম্মদ (২৭) হিসেবে পরিচয় করানো হয়েছে। আরেক জন ৩৩ বছর বয়সী আব্দুল করিম আজাদ। তিন জনের কাছেই বাংলাদেশি পাসপোর্ট আছে।

আজাদরা পুলিশকে নিজেদের সমস্যার কথা জানিয়ে বলেছেন, কম্বোডিয়ায় বাংলাদেশের অফিসিয়াল দূতাবাস নেই বলে তারা ব্যাংককে এসেছেন, যাতে এখান থেকে সাহায্য পাওয়া যায়।

থাইল্যান্ড সীমান্ত পুলিশ জানিয়েছে, তিন জনকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। ১৪ দিন পর দূতাবাসকে তাদের বিষয়ে অবগত করে সাহায্যের আহ্বান জানানো হবে।

The post অর্থের অভাবে ফিরতে না পেরে থাইল্যান্ডের জঙ্গলে ৩ বাংলাদেশি appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/2ByLAUt

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ২৮ কর্মকর্তা রদবদল

ফাতেহ ডেস্ক:

করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে নানা বিতর্কের মুখে এবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ২৮ জন কর্মকর্তাকে রদবদল করা হয়েছে।

বিবিসি বাংলা জানায়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে এক সপ্তাহ ধরেই চলছে নানা পট পরিবর্তন।

এর মধ্যে আছে মহাপরিচালকের (জিডি) পদত্যাগ ও নতুন মহাপরিচালক নিয়োগ।

জেকেজি হেলথ কেয়ার ও রিজেন্ট হাসপাতালের ভুয়া করোনা সনদ নিয়ে নানা অভিযোগ ওঠার পরেই দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়।

নানা সমালোচনার মুখে গত ২১ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজি অধ্যাপক ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন।

তার পদত্যাগপত্র গৃহীত হওয়ার পর ২৩ জুলাই নতুন ডিজি হিসেবে নিয়োগ পান আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।

এছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার নতুন পরিচালক আমিনুল হাসানকে ওএসডি করে তার জায়গায় ডা. ফরিদ হোসেন মিয়াকে নিয়োগ দিয়েছে সরকার।

The post স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ২৮ কর্মকর্তা রদবদল appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/2D6EPtw

করোনায় একদিনে আরও ৩৭ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ২৭৭২

ফাতেহ ডেস্ক:

দেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে (কভিড-১৯) ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৭ জন মারা গেছেন। একই সময়ে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও ২ হাজার ৭৭২ জনের।

এ নিয়ে দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২ হাজার ৯৬৫ জনে দাঁড়িয়েছে। মোট শনাক্ত হয়েছেন ২ লাখ ২৬ হাজার ২২৫ জন।

সোমবার আড়াইটায় নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ হাজার ৮৫৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। শনাক্ত হয়েছেন ২ হাজার ৭৭২ জন। এ নিয়ে শনাক্তের সংখ্যা ২ লাখ ২৬ হাজার ২২৫ জনে দাঁড়িয়েছে।

অধ্যাপক সুলতানা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরও ৩৭ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ৯৬৫ জনে দাঁড়িয়েছে। সর্বশেষ মারা যাওয়া ৩৭ জনের মধ্যে ২৬ জন পুরুষ।

ব্রিফিংয়ে আরও বলা হয়, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সেরে উঠেছেন আরও ১ হাজার ৮০১ জন। এ নিয়ে মোট ১ লাখ ২৫ হাজার ৬৮৩ জন সুস্থ হয়েছে। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৫৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ।

The post করোনায় একদিনে আরও ৩৭ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ২৭৭২ appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/2PccZil

Sunday, July 26, 2020

চার দেশে অর্থ পাচার করত সাহেদ: র‍্যাব

ফাতেহ ডেস্ক:

সাহেদের উত্তরা রিজেন্ট অফিস থেকে উদ্ধারকৃত পাসপোর্টে চার দেশের ভিসা ছিল। র‍্যাব বলছে, ওই চার দেশে সাহেদের অর্থ পাচারের তথ্য পেয়েছে।

রোববার (২৬ জুলাই ) র‍্যাব সদর দফতরে ব্রিফিং করে গণমাধ্যমকে বিষয়টি জানান র‍্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ।

র‍্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, আগামীকাল ঢাকা কারাগার থেকে সাহেদকে খুলনায় ৬ দফতরে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে অস্ত্র মামলার রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে সেটির কার্যক্রম পরিচালিত হবে। তবে তার কার্যালয় থেকে যে পাসপোর্ট জব্দ করা হয়েছে। সেটিতে চারটি দেশের ভিসা লাগানো ছিল। সাহেদ ওই চারটি দেশেই যাতায়াত করেছেন এবং সেখানেই অর্থ পাচার করেছেন বলে তথ্য পেয়েছি।

এদিকে সাহেদের অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের চার মামলার রিমান্ড শুনানির পর আদালত ২৮ দিনের এবং তার সহযোগী প্রতিষ্ঠানটির এমডি মাসুদ পারভেজের তিন মামলায় ২১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন বিচারক।

সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সাহেদ ও মাসুদকে আদালতে হাজির করে হাজতখানায় রাখা হয়। এরপর দুপুর সোয়া ১২টার দিকে রিমান্ড শুনানির জন্য আদালতে ওঠানো হয়। সাহেদের চার মামলায় ১০ দিন করে ৪০ দিন এবং মাসুদের তিন মামলায় ১০ দিন করে ৩০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ।

এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু ও সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর আজাদ রহমান ও হেমায়ত উদ্দিন খান হিরন রিমান্ডের পক্ষে এবং আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট নাজমুল হোসেন, শাহ আলম ও মনিরুজ্জামান রিমান্ড বাতিল করে জামিন চেয়ে শুনানি করেন।

শুনানির একপর্যায়ে সাহেদ আদালতের অনুমতি নিয়ে কথা বলেন।

তিনি বিচারককে বলেন, ‘আমি তো অন্যায় করেছি। সব অপরাধের সাথে আমি জড়িত। যারা আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছে, তাদের সব টাকা-পয়সা পরিশোধ করে দেবো।

সাহেদ বলেন, গত ১২-১৩ দিন ধরে আমি কী অবস্থার মধ্যে আছি। আমি আর পারতেছি না। প্রেশারের মধ্যে আছি। আমি অসুস্থ।’

এ সময় ঈদের পর রিমান্ড শুনানির তারিখ ধার্য করার প্রার্থনা জানান সাহেদ।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর সাহেদের বিরোধিতা করে বলেন, বিনা টাকায় করোনা পরীক্ষা করার কথা থাকলেও আসামি রোগীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করেছে। সে একজন মহাপ্রতারক। অসুস্থ না হয়েও গত ১৬ জুলাই আদালতে সে নিজেকে করোনা রোগী দাবি করে। পুলিশ তার যে রিমান্ড চেয়েছে আমরা তা মঞ্জুরের প্রার্থনা করছি।

The post চার দেশে অর্থ পাচার করত সাহেদ: র‍্যাব appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/2WTpFPh

বন্যা দীর্ঘ হলে তা মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত থাকতে বললেন প্রধানমন্ত্রী

ফাতেহ ডেস্ক:

দেশের বন্যা দীর্ঘ হলে যেকোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকার জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

রবিবার বিকেলে ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকদের সমন্বয় সভায় ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশ দেন। দেশের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে গণভবন থেকে জাহাঙ্গীর কবির নানকের মোবাইল ফোনে ভিডিও কলে যুক্ত হন শেখ হাসিনা।

শেখ হাসিনা বলেন, এবারের বন্যা সম্ভবত দীর্ঘ হতে পারে। ১৯৯৮ সালের বন্যা দীর্ঘস্থায়ী ৬৯ দিন ছিল অপর দিকে ১৯৮৮ সালের বন্যা ছিল দুই সপ্তাহ। এবারের বন্যা যদি ১৯৯৮ সালের মত দীর্ঘ হয়, তবে, আমাদের কি করণীয় সে ধরণের প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে।

শেখ হাসিনা ১৯৯৮ সালে বন্যা মোকালার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, ওই সময় অনেকেই বলেছিল যে, ২ কোটি মানুষ না খেয়ে মারা যাবে। আমরা ব্যবস্থা নিয়েছিলাম। আল্লাহর রহমতে কোনো মানুষ না খেয়ে মারা যায়নি। তিনি অতীতে বন্যার সময় দুর্যোগ কবলিত এলাকায় কীভাবে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন সে বিষয়েও স্মৃতিচারণ করেন। এ সময় তিনি নিজ হাতে রুটি বানানোর কথা, খাবার বিতরণের কথা, খাবার পানি, স্যালাইন তৈরিসহ ওষুধ বিতরণের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সবধরনের প্রস্তুতি ও ব্যবস্থা যথেষ্ট রয়েছে। তারপরও আমাদের সেভাবেই তৈরি থাকতে হবে।

তিনি বলেন, যেসব এলাকায় বন্যা, সেসব এলাকার স্থানীয় সংগঠনগুলোকে সক্রিয় করে বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিতে হবে। এদিকে আবার করোনা ভাইরাস, এটা নিয়েও সতর্ক থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বন্যার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। আমাদের সকলকে কাজ করতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, বন্যায় যারা ঘরবাড়ি হারিয়েছে, তাদের ঘরবাড়ি করে দিচ্ছি। বন্যার্তদের আপাতত স্কুল-কলেজে থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হচ্ছে, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। সরকারের পক্ষ থেকে সবধরনের সহায়তা করা হচ্ছে। করোনা ভাইরাসে কৃষকদের ধান কাটাও আমরা নেতাকর্মীদের সহায়তায় ভালোভাবে করতে পেরেছি। জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীতে ১৫ আগস্ট যেভাবে করতে চেয়েছিলাম সেভাবে পারলাম না। তাই, আমরা একদিকে বৃক্ষরোপণ করব, আরেকদিকে বন্যা দুর্গতদের মাঝে ত্রাণ দেবো। দোয়া-মোনাজাত করা হবে। বন্যাদুর্গত মানুষের ঘরে ঘরে ত্রাণ পৌঁছানো, খাবার বিতরণ এবং তাদের পাশে দাঁড়িয়ে সাহায্য-সহযোগিতা করা- এটাই হবে আমাদের কাজ।

সবাইকে ঈদের আগাম শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এবার যেহেতু করোনা ভাইরাস। তারপরও কোরবানির ঈদ। অনেকেই কোরবানি দেবে। সবাই সবার মতো মানুষকে সাহায্য করতে হবে, মানুষের পাশে থাকতে হবে। স্বাস্থ্য সচেতন ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। এ ব্যাপারে সিটি করপোরেশন সবধরনের ব্যবস্থা নেবে। আমাদের সবাইকেও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, করোনায় আমরা সবচেয়ে বেশি আমাদের নেতাকর্মী হারালাম। কারণ, এই করোনায় সবাই কাজ করেছে। আসলে এই সময়ে অনেকেই আমাদের ছেড়ে চলে গেলো। আমার কাছে সব খবর আছে। আসলে এখন এমন একটা সময় যে, মারা গেলেও দেখতে যেতে পারছি না। তারপরও সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

তিনি বলেন, ‘এখন উত্তরবঙ্গের কিছু এলাকা বন্যা কবলিত। এরপর মধ্য এলাকায় নেমে আসবে। হয়তো জুলাইয়ের শেষে দিকে মধ্য এলাকা এবং আগস্টের শেষ দিক দক্ষিণাঞ্চল বন্যা কবলিত হবে। এটা আমাদের দেশের প্রাকৃতিক নিয়ম। মধ্য উপকলূীয় এলাকায় বন্যা তেমন হয়নি। কিন্তু পদ্মার ওপারের এলাকায় এবার বন্যাটা ব্যাপক হারে দেখা যেতে পারে এবং এই বন্যাটা স্থায়ী হতে পারে।

এ সময়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আব্দুর রহমান, তথ্যমন্ত্রী ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি ও আ ফ ম বাহা উদ্দিন নাছিস, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন ও শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সুবর, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

The post বন্যা দীর্ঘ হলে তা মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত থাকতে বললেন প্রধানমন্ত্রী appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3eZSP5n

মারা গেলেন এমপি ইসরাফিল আলম

ফাতেহ ডেস্ক:

নওগাঁ-৬ (আত্রাই-রাণীনগর) আসনের সংসদ সদস্য ইসরাফিল আলম মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

সোমবার সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে বেসরকারি স্কয়ার হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল মামুন স্থানীয় এই এমপির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে ইসরাফিল আলমকে শনিবার রাত ১০টার দিকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। আগে থেকেই তিনি ওই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।

এমপির পারিবারিক সূত্র জানায়, ইসরাফিল আলম দিন পনের আগে অসুস্থ বোধ করেলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এরপর সুস্থ হয়ে ১৪ জুলাই তিনি নওগাঁয় নিজের বাড়ি যান। সেখান থেকে ঢাকায় ফিরে আসার পর ২৩ জুলাই আবার তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর তার করোনা শনাক্ত হয়।

The post মারা গেলেন এমপি ইসরাফিল আলম appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3g2osg9

বন্যা মোকাবিলায় সরকার উদাসীন: বিএনপি

ফাতেহ ডেস্ক:

দেশের বন্যা পরিস্থিতির ক্রমাবনতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিএনপি অভিযোগ করেছে, বন্যা মোকাবিলায় সরকার একেবারেই উদাসীন। সভায় বন্যা দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বিএনপি একটি ত্রাণ কমিটিও গঠন করেছে।

রবিবার বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুর কবির খান স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে। এর আগে দলের স্থায়ী কমিটির সভায় করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনার পাশাপাশি রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক বিষয়ে আলোচনা করেন কমিটির সদস্যরা।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিএনপির স্থায়ী কমিটি মনে করে, ভারত অভিন্ন নদী গুলোর সব বাঁধ ও ব্যারাজের গেট খুলে দেওয়ায় উজান থেকে নেমে আসা বন্যার পানি বাংলাদেশে ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, মেঘনা, মহানন্দা, পদ্মা, তিস্তা ও ধরলা নদীর অববাহিকায় ইতোমধ্যে প্রায় ৩৪টি নদী প্লাবিত হয়েছে এবং সব কটি নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। রংপুর বিভাগ ও রাজশাহী বিভাগের প্রায় সব কটি জেলা, জামালপুর, ময়মনসিংহ, সুনামগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ জেলা ইতোমধ্যেই বন্যা কবলিত হয়েছে এবং অধিকাংশ নদীতেই পানি বাড়ছে। দেশের অধিকাংশ অঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

বন্যা কবলিত এলাকায় দুর্গত মানুষ অসহায় অবস্থায় বাড়ি-ঘর ছেড়ে রাস্তায় বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে। গবাদি পশুর মৃত্যু হয়েছে। সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগে কালাতিপাত করছে। করোনা ভাইরাসের সঙ্গে এই বন্যা জনজীবনে ভয়াবহ দুর্যোগ সৃষ্টি করেছে। সরকার এ বিষয়ে একেবারেই উদাসীন। এখন পর্যন্ত কোনও উদ্ধার বা ত্রাণ কার্যক্রম শুরু করেছে বলে জানা নেই।

সভায় বন্যা দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুকে আহ্বায়ক করে একটি ত্রাণ কমিটি গঠন করা হয়। টুকু অবিলম্বে ত্রাণ কার্যক্রম শুরু করবেন। সভায় বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠন সমূহের সব পর্যায়ের সব নেতা কর্মীকে দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানানো হয়।

করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিএনপি’র সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আউয়াল খানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। এছাড়া, সারাদেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের জন্য শোক প্রকাশ ও বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়। তাদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করা হয়।

সভায় ১ আগস্ট পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজের পড়ে বেলা ১১টায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান কবর জিয়ারত ও শ্রদ্ধা নিবেদনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান এবং ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।

The post বন্যা মোকাবিলায় সরকার উদাসীন: বিএনপি appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3huYPF0

মালয়েশিয়ার উপকূলে ডুবে ২৪ রোহিঙ্গার মৃত্যুর শঙ্কা

ফাতেহ ডেস্ক:

থাইল্যান্ড ঘেঁষা মালয়েশিয়ার উপকূলে অভিবাসন প্রত্যাশী রোহিঙ্গা বোঝাই একটি নৌকা ডুবে অন্তত ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা করা হচ্ছে। নৌকাটি থেকে সাঁতরে উপকূলে পৌঁছাতে পারা এক রোহিঙ্গা যুবকের বরাত দিয়ে দেশটির কোস্ট গার্ড সূত্র এমনটাই জানিয়েছে বলে সংবাদ প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা এএফপি।

মালয়েশিয়ার উত্তরাঞ্চলের কেদাহ ও পেরলিস রাজ্যের কোস্ট গার্ড প্রধান মোহামাদ জাওয়াউই আবদুল্লাহ রোববার জানান, সাঁতরে লাংকাউই দ্বীপের তীরে পৌঁছানোর পর ওই রোহিঙ্গা যু্বককে আটক করে পুলিশ। তার নাম নুর হোসেন, বয়স ২৭।

পুলিশ থেকে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে এএফপিকে জাওয়াউই আবদুল্লাহ বলেন, “পুলিশের তথ্যানুযায়ী, এই অবৈধ রোহিঙ্গা আরও ২৪ জনের সঙ্গে নৌকা থেকে লাফ দিয়েছিল। সেই কেবল সাঁতরে নিরাপদে তীরে পৌঁছাতে পেরেছে।”

এ ঘটনা জানার পর অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান চালানো হয়েছে। কিন্তু আরেকজন কর্মকর্তা এএফপিকে জানিয়েছেন, কোনো মৃতদেহ বা জীবিত কাউকে পাননি তারা। নৌকাটির ভাগ্যে কী ঘটেছে তা পরিষ্কার নয়।

বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠের মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের বিদেশে পাড়ি জমানোর ক্ষেত্রে ইন্দোনেশিয়া ও পার্শ্ববর্তী মালয়েশিয়া পছন্দের ঠিকানা। কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারির প্রেক্ষাপটে এসব অবৈধ রোহিঙ্গাদের প্রবেশ থামাতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে মালয়েশিয়া সরকার।

রোহিঙ্গাদের বেশির ভাগই মিয়ানমার বা বাংলাদেশের রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে সমুদ্র পাড়ি জমায়। মৃত্যু হাতে নিয়ে প্রতিবছর বিপজ্জনক সমুদ্র পাড়ি দিয়ে অন্য দেশে পৌঁছাতে গিয়ে প্রাণ হারায় অনেক মানুষ।

The post মালয়েশিয়ার উপকূলে ডুবে ২৪ রোহিঙ্গার মৃত্যুর শঙ্কা appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/2Burria

শাহেদ আরও ২৮ দিনের রিমান্ডে

ফাতেহ ডেস্ক:

রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান শাহেদ করিমকে ৪ মামলায় ৭ দিন করে রিমান্ড দিয়েছে আদালত। রোববার (২৬ জুলাই) ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তাকে রিমান্ডের আদেশ দেন।

জানা গেছে, শাহেদের বিরুদ্ধে করা ৪ মামলায় ৭ দিন করে ২৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে। এর আগে, টানা ১০ দিনের রিমান্ড শেষে সকালে শাহেদ করিমকে আদালতে হাজির করে ৪ মামলায় ৪০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ।

করোনা টেস্ট পরীক্ষা প্রতারণার অভিযোগে ১৫ জুলাই ভোরে সাতক্ষীরার সীমান্তের দেবহাটা থানার সাকড় বাজারের পাশে অবস্থিত লবঙ্গপতি এলাকা থেকে নৌকায় পালিয়ে যাওয়া অবস্থায় রিজেন্ট হাসপাতালের শাহেদকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। এরপরে বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) শাহেদকে ১০ দিনের রিমান্ডে পাঠায় আদালত।

গত ৬ জুলাই করোনা পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগে র‍্যাব উত্তরার রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালায়। এরপর রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখা সিলগালা করে দেয়া হয়। ৭ জুলাই করোনা পরীক্ষা না করেই সার্টিফিকেট প্রদানসহ বিভিন্ন অভিযোগে রিজেন্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করে র‌্যাব। মামলায় রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান শাহেদ করিমকে প্রধান আসামি করে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয় এজাহারে।

-এ

The post শাহেদ আরও ২৮ দিনের রিমান্ডে appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/2WSZPuE

একদিনে মৃত্যু ৫৪, শনাক্ত ২২৭৫

ফাতেহ ডেস্ক:

চব্বিশ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে ১০ হাজার ৭৮ টি নমুনা পরীক্ষা করে সংক্রমণ ধরা পড়েছে ২ হাজার ২৭৫ জনের শরীরে।

দেশে গত মার্চের শুরুর দিকে কভিড-১৯ এর সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার পর শনিবার পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২ হাজার ৯২৮ জনে।

আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২ লাখ ২৩ হাজার ৪৫৩ জন। এর মধ্যে ১ হাজার ৭৯২ জনসহ মোট সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ২৩ হাজার ৮৮২ জন।

সবশেষ তথ্যানুযায়ী দেশে করোনার নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ২২.৫৭ শতাংশ, শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১.৩১ শতাংশ এবং সুস্থতার হার ৫৪.৪৪ শতাংশ।

দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে রবিবার দুপুরে এসব তথ্য তুলে ধরেন অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

চব্বিশ ঘণ্টায় যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের মধ্যে ৪০ জন পুরুষ, ১৪ জন নারী। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগের ১৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ১০ জন, খুলনা বিভাগের আটজন, রাজশাহী বিভাগের সাতজন, সিলেট বিভাগের ছয়জন, রংপুর বিভাগের তিনজন এবং বরিশাল বিভাগের একজন।

বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, সর্বোচ্চ ১৭ জনের বয়স ৬১-৭০ বছরের মধ্যে, ১৫ জনের বয়স ৫১-৬০ বছরের মধ্যে, ৪১-৫০ বছরের মধ্যে রয়েছেন আটজন, ৭১-৮০ বছরের মধ্যে রয়েছেন সাতজন, ৮১-৯০ বছরের মধ্যে আছেন তিনজন এবং ২১-৩০ বছরের মধ্যে রয়েছেন একজন।

চব্বিশ ঘণ্টায় আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে ৭৬৭ জনকে, ছাড় পেয়েছেন ৭৩৭ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৯ হাজার ১৩২ জন।

এই সময়ে কোয়ারেন্টাইনে নেওয়া হয়েছে ২ হাজার ৮৫ জনকে, ছাড় পেয়েছেন ২ হাজার ৭৩৬ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৫৮ হাজার ৭৯৯ জন।

The post একদিনে মৃত্যু ৫৪, শনাক্ত ২২৭৫ appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/39vw8F9

Saturday, July 25, 2020

করোনায় বাংলাদেশে কাজ করতে এসে আটকা কয়েক হাজার ভারতীয়

ফাতেহ ডেস্ক: করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকাগুলোতে কয়েক হাজার ভারতীয় নাগরিক আটকা পড়ে আছেন। এরা মূলত পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা এবং বাংলাদেশে কাজ করতেন।

বিবিসি বাংলা আরও জানায়, বিশেষ পারিবারিক প্রয়োজন এবং অসুস্থতার মতো কারণ ছাড়া স্থল সীমান্ত দিয়ে এখনো ভারতে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। আবার ঢাকা থেকে বিমানে করে বাংলাদেশে আটকে পড়া ভারতীয়দের দেশে ফেরানোর যে ব্যবস্থা করেছিল দিল্লি, অর্থনৈতিক কারণে এরা সেই সুযোগও নিতে পারছেন না।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রগুলো জানাচ্ছে, বেনাপোল এবং বাংলাবান্ধা- শুধু এই দুটি সীমান্ত অঞ্চলেই প্রায় আড়াই হাজার ভারতীয় নাগরিক আটকা পড়েছেন। এরা প্রায় সবাই পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা।

তবে অন্যান্য কয়েকটি সূত্র যা বলছে তা থেকে আন্দাজ করা যাচ্ছে যে আটকে পড়া মানুষের সংখ্যাটা আরও অনেকটা বেশি। এরা সীমান্ত এলাকাগুলোতে কারও বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন, বা কোথাও স্কুল-বাড়ির বারান্দায় কোনো মতে থাকছেন। অনেক নারীও রয়েছেন বলে জানা গেছে।

বেনাপোল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মামুন খান জানান, ভারতীয় ইমিগ্রেশন বিভাগ এদের গ্রহণ করছে না এখনো। নিয়মিতই এসব আটকে পড়া মানুষ তার কাছে আসছেন বা ফোন করছেন। তবে এদের আটকে পড়ার কারণটা স্পষ্ট করে কোনো সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়নি।

বিবিসি বাংলার পক্ষ থেকে ভারতের বিদেশ মন্ত্রণালয় এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকার- উভয়ের সঙ্গেই যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছিল, কিন্তু কেউই আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি এখন পর্যন্ত।

কিন্তু নানা সূত্র থেকে যেটা জানা যাচ্ছে, তাহলো- ভারতের স্থল বন্দরগুলো দিয়ে এখনো নিয়মিত মানুষ চলাচল শুরু হয়নি, শুধু পণ্য আমদানি-রপ্তানি হচ্ছে।

আবার ভারতে যেসব বাংলাদেশি নাগরিক আটকা পড়ে ছিলেন, তাদের নিজের দেশে ফিরে যেতে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু ভারতে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।

যদিও ২৪ মে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা এক নির্দেশিকায় জানানো হয়েছিল, বিমানে যেসব ভারতীয় নাগরিক দেশে ফিরবেন, তাদের কী প্রোটোকল মেনে চলতে হবে। ওই নির্দেশিকাতেই লেখা আছে যে স্থল সীমান্ত দিয়ে যারা আসবেন, তাদেরও একই প্রোটোকল মেনে আসতে হবে।

নির্দেশিকা থাকা সত্ত্বেও কেন এই কয়েক হাজার ভারতীয় সীমান্ত এলাকাগুলোতে আটকে আছেন, সেটা স্পষ্ট নয়। দীর্ঘদিন ধরে সীমান্তে আটকে থাকার ফলে ভারতীয়দের খাবার যোগাড় করতেও সমস্যা হচ্ছে। হাতে সেরকম অর্থও বিশেষ নেই অনেকের। স্থানীয়ভাবেই কিছু খাবারদাবার হয়তো তারা যোগাড় করছেন এখনো। কিন্তু এভাবে আর কতদিন চালাতে পারবেন, তা অনেকেই জানেন না।

আবার সামনে আসছে কোরবানির ঈদ। বাংলাদেশে বেশ কয়েকদিন দোকানপাটও বন্ধ থাকবে। সেই সময়ে কীভাবে খাবার দাবার যোগাড় করা যাবে, সেটা অনিশ্চিত। তবে কিছু চাল, ডাল, তেল ও লবণ- এসব পাঠানোর বন্দোবস্ত করছেন ঢাকার কয়েকজন সমাজকর্মী।

The post করোনায় বাংলাদেশে কাজ করতে এসে আটকা কয়েক হাজার ভারতীয় appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3f55T9E

হজের খুতবা প্রচারিত হবে বাংলাতেও

ফাতেহ ডেস্ক:

মরণঘাতী মহামারির কারণে এবার সীমিত পরিসরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে পবিত্র হজ। ইতোমধ্যে হজের আনুষ্ঠানিকতার অংশ হিসেবে হজের জন্য নির্বাচিত মুসল্লিদের আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। গত ১৯ জুলাই শুরু হওয়া আইসোলেশন চলবে এক সপ্তাহ। ইসলাম ধর্মের ৫টি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভের অন্যতম এই হজে এবার অন্যান্য ভাষার পাশাপাশি বাংলাতেও খুতবা দেওয়া হবে।

জানা গেছে, গত বছর ৫টি ভাষায় এই খুতবার অনুবাদ প্রচারিত হয়। তবে এ বছর আরো ৫টি ভাষায় প্রচারিত হবে হজের খুতবা। যার মধ্যে রয়েছে আমাদের মাতৃভাষা বাংলাও। অর্থাৎ চলতি বছর হজের খুতবা শোনা যাবে মোট ১০টি ভাষায়।

প্রতি বছর আরবি জিলহজ মাসের ৯ তারিখ আরাফার ময়দানে হজের খুতবা অনুষ্ঠিত হয়। সাধারণত আরবি ভাষাতেই এই খুতবা অনুষ্ঠিত হয়। তবে গত বছর পাঁচটি ভাষায় এর অনুবাদ প্রচার করা হয়। এ বছর সেখানে যুক্ত হলো আরো পাঁচটি ভাষা।

গালফ নিউজ এক প্রতিবেদনে বলেছে, পবিত্র দুই নগরী মক্কার গ্র্যান্ড মসজিদ তথা এবং মদিনার মসজিদে নববির জেনারেল অ্যাফেয়ার্সের চেয়ারম্যান ড. আব্দুল রহমান বিন আব্দুল আজিজ আল সুদাইস এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, চলতি বছর আরবি ছাড়াও ১০টি ভাষায় হজের খুতবা অনুষ্ঠিত হবে। অন্য ভাষাগুলো হলো- উর্দু, ফার্সি, ইংরেজি, মালয়, ফ্রেঞ্চ, মান্দারিন, তুর্কি, রুশ, বাংলা ও হাবশি।

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো সৌদি আরবেও করোনার মহামারি চলছে। আর সংক্রমণের হার মক্কা নগরীতেই বেশি। ফলে অনেক ভেবে-চিন্তে এবার সীমিত পরিসরে হজ পালনের সিদ্ধান্ত হয়। গত ২২ জুন এক ঘোষণায় সৌদি কর্তৃপক্ষ জানায়, দেশটিতে বসবাসকারী বিভিন্ন দেশের নাগরিক এবং স্থানীয়দের সমন্বয়ে এক হাজারের মতো লোক এবারের হজে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।

সেই অনুসারে হজের জন্য এ বছর যারা নির্বাচিত হয়েছেন, গত ১৯ জুলাই থেকে তাদের আইসোলেশন শুরু হয়েছে। আগামী সাত দিন তারা আইসোলেশনে থাকবেন। এর পর স্বাস্থ্য পরীক্ষার মাধ্যমে এবারের হজের কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছে সৌদির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়।

তবে সীমিত পরিসরে হলেও এবারের হজ পালনের ক্ষেত্রে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি পরিপালনের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। সে অনুযায়ী সৌদি হজ কর্তৃপক্ষ যাবতীয় ব্যবস্থাও গ্রহণ করেছে। তারই অংশ হিসেবে হজে অংশগ্রহণকারীদের ৭ দিনের আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। সেইসঙ্গে বিনা অনুমতিতে মক্কা ও এর আশপাশের এলাকায় প্রবেশের ওপর কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এই নিয়মের লঙ্ঘন হলে তাকে জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।

The post হজের খুতবা প্রচারিত হবে বাংলাতেও appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/2CPAY4b

হজে অংশ নেওয়ার প্রধান শর্ত সুস্বাস্থ্য

ফাতেহ ডেস্ক:

করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে এ বছর সীমিত আকারে পালন করা হবে হজ। সংক্রমণ যাতে না ছড়াতে পারে সেজন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে সৌদি সরকার। অংশ নিতে যাওয়া হাজিদেরও বিভিন্ন ধাপের মধ্য দিয়ে পার হতে হচ্ছে। তাদের হজে অংশ নেয়ার সবচেয়ে বড় শর্ত হলো সুস্থতা। এ তথ্য জানিয়েছে সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ)।

এ প্রসঙ্গে সৌদি হজমন্ত্রী মোহাম্মদ বেনতেন বলেন, হাজিদের হজে অংশগ্রহণ করতে গেলে বেশ কিছু নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সুস্থ থাকা। কারণ অসুস্থ অবস্থায় কাউকে হজে অংশগ্রহণ করতে দেয়া হবে না।

আল আরাবিয়ার বরাতে জানা যায়, এ বছর বেশ কিছু শর্ত নিয়েই শুরু হতে যাচ্ছে পবিত্র হজ। নিরাপত্তার স্বার্থেই ৬৫ বছর বয়সের অধিক কেউ হজে অংশ নিতে পারবেন না। গত ২০ জুলাই থেকে হাজিদের ৭ দিনে বাধ্যতামূলক আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। এতে করে কারো মধ্যে ভাইরাসটির উপস্থিতি থাকলে তা ধরা পড়বে।

সৌদি হজ মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, এবারের হজ নিরাপদ ও পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে পালন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এতে অংশগ্রহণকারী সবাইকে সামাজিক দূরত্বের নিয়ম মেনে চলতে হবে। মনে রাখতে হবে, হজের মাধ্যমে যেন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে না যায়।

হজ চলাকালীন কঠোর কিছু নিয়মও করেছে সৌদি সরকার। অনুমতি ছাড়া কাবা, মিনা ও আরাফায় কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। যদি কেউ বিনা অনুমতিতে এসব এলাকায় প্রবেশের চেষ্টা করা তাহলে ১০ হাজার সৌদি রিয়াল জরিমানা করা হবে। দ্বিতীয়বার কেউ একই প্রচেষ্টা করলে দ্বিগুণ জরিমানা করা হবে।

The post হজে অংশ নেওয়ার প্রধান শর্ত সুস্বাস্থ্য appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/2BvxT8P

সংক্রমণ রোধে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার: ওবায়েদুল কাদের

ফাতেহ ডেস্ক: দেশে নভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ রোধে ও আক্রান্তদের চিকিৎসায় সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আজ শনিবার বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশনের (বিআরটিসি) প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা জানান।

আসন্ন কোরবানির ঈদ উপলক্ষে ঈদ সার্ভিস পরিচালনায় বিআরটিসির গৃহীত পদক্ষেপ ও দিক-নির্দেশনার বিষয়ে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় অবস্থিত নিচের সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এতে যুক্ত হন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবেলায় ও আক্রান্তদের চিকিৎসায় সরকার সর্বোচ্চ প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। সকলকে আওয়ামী লীগ সরকারে ওপর আস্থা ও নিজেদের মনোবল দৃঢ় রাখতে হবে। পাশাপাশি সুরক্ষিত থাকতে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে চলতে হবে। তাহলেই করোনার এই অমানিশা কেটে যাবে। ফিরে আসবে সেই চিরচেনা কোলাহল। আবারও সতেজ পৃথিবীতে ফিরতে পারবো আমরা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমান দুর্যোগ ও সংকট মোকাবেলায় প্রতিটি বিষয় নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই দেশে হাজার হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপিত হয়েছে। দেশের জনগণের দোরগোড়ার পৌঁছে দিয়েছেন চিকিৎসা সেবা। এ জন্য প্রতিটি জেলায় স্থাপন করা হয়েছে মেডিকেল কলেজ এবং বিভাগীয় পর্যায়ে স্থাপন করা হয়েছে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।

সকলকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরো বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা দেশের জনগণের মুখে হাসি ফোটাতে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তিনি নিজের জীবনের সব আশা-আকাঙ্খা দেশের দেশের সঙ্গে মিলিয়েছেন। তিনিই সংকটে সকলের আস্থার প্রতীক।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ঈদের সময় সড়ক দুর্ঘটনা অনেক বেড়ে যায়। এর ফলে জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ঘটে মূল্যবান প্রাণহানি।

তাই ঈদে সড়ক দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি এড়াতে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের সতর্কতার সঙ্গে যানবাহন চালানোর অনুরোধ জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।

বিআরটিসির সমস্যা শ্রমিক-কর্মচারীর মধ্যে নয় জানিয়ে তিনি আরো বলেন, প্রতিষ্ঠানটির সমস্যা ডিপো কেন্দ্রিক। তাই ডিপো কেন্দ্রিক এ অনিয়ম শক্তভাবে নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি।

কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয় উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার অনিয়ামের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। বিআরটিসিকেও অনিয়ামের ধারা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। শ্রমিক-কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে।

The post সংক্রমণ রোধে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার: ওবায়েদুল কাদের appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/39uE4pW

নকল মাস্ককাণ্ডে ৩ দিনের রিমান্ডে শারমিন

ফাতেহ ডেস্ক:

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের করোনা ইউনিটে নকল এন-৯৫ মাস্ক সরবরাহের মামলায় অপরাজিতা ইন্টারন্যাশনালের মালিক শারমিন জাহানের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে সিএমএম আদালত।

শনিবার দুপুরে মহানগর মুখ্য হাকিম মাইনুল ইসলামের আদালতে তাকে তোলা হয়। পরে ৩ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হলে তা মঞ্জুর করেন আদালত।

এর আগে, শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর শাহবাগ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর শারমিনকে ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়।

শারমিন জাহান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। এরপর কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসম্পাদক পদে ছিলেন। আওয়ামী লীগের গত কমিটিতে মহিলা ও শিশুবিষয়ক কেন্দ্রীয় উপকমিটির সদস্য ছিলেন। এর আগের কমিটিতে একই উপকমিটির সহসম্পাদক ছিলেন তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগে স্নাতকোত্তর শেষে বিশ্ববিদ্যালয়েরই প্রশাসন-১ শাখায় সহকারী রেজিস্ট্রার হিসেবে কর্মরত তিনি। তার বাড়ি নেত্রকোনার পূর্বধলার শ্যামগঞ্জের গোহালকান্দায়। তিনি মাস্ক সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান অপরাজিতা ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী।

মামলায় বিএসএমএমইউর প্রক্টর মো. মোজাফফর আহমেদ বলেছেন, গত ২৭ জুন শারমিন জাহানকে ১১ হাজার মাস্ক সরবরাহের কার্যাদেশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয়। কার্যাদেশের বিপরীতে ৩০ জুন প্রথম দফায় ১ হাজার ৩০০টি; ২ জুলাই দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় ৪৬০টি ও ১ হাজারটি এবং ১৩ জুলাই চতুর্থ দফায় ৭০০টি মাস্ক সরবরাহ করে। প্রথম ও দ্বিতীয় লটের মাস্কে কোনো সমস্যা ছিল না। তৃতীয় ও চতুর্থ দফায় লট বিতরণ ও ব্যবহারে ত্রুটি পাওয়া যায় এবং মাস্কের গুণগত মান স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী পাওয়া যায়নি। কোনো মাস্কের বন্ধনী ফিতা ছিঁড়ে গেছে, কোনো মাস্কের ছাপানো লেখায় ত্রুটিপূর্ণ ইংরেজি লেখা পাওয়া গেছে, কোনো কোনো মাস্কের নিরাপত্তা কোড ও লট নম্বর প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে গিয়ে নকল বলে জানা গেছে। এ কারণে কর্তৃপক্ষ বুঝতে পারে যে মাস্কের গুণগত মান নিম্নমানের ছিল।

মামলায় বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শারমিন জাহানকে ১৮ জুলাই কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছিল। শারমিন ২০ জুলাই দেয়া জবাবে ‘দুঃখ প্রকাশ’ করেন, যা দোষ স্বীকারের শামিল। মামলায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শারমিনের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আইনি ব্যবস্থা নেয়ার অভিযোগ করেছে।

মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে শারমিন জাহান বলেন, তিনি নকল মাস্ক সরবরাহ করেননি। বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সহকারী পরিচালক পণ্যগুলো যাচাই করে গ্রহণ করেছেন। এত দিন পর এসে তারা বলছেন পণ্যে ত্রুটি ছিল। এটা ঠিক নয়। শারমিনের দাবি, মাস্ক তিনি প্রস্তুত করেন না। অন্য প্রতিষ্ঠান থেকে এনে সরবরাহ করেন। সে ক্ষেত্রে কোনো ত্রুটি যদি থেকেও থাকে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তা বদলে দেয়ার কথা বলতে পারত। কিন্তু তা না করেই তারা মামলা করে দিল। তিনি এখানে ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন।

কারণ দর্শানোর নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে দুঃখ প্রকাশের বিষয়ে শারমিন বলেন, মাস্ক সরবরাহের জন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করেননি। তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন এমন একটি পরিস্থিতির উদ্ভব হওয়ার জন্য।

The post নকল মাস্ককাণ্ডে ৩ দিনের রিমান্ডে শারমিন appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/2D9Tvru

দেশে একদিনে মৃত্যু ৩৮, শনাক্ত ২৫২০

ফাতেহ ডেস্ক:

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চব্বিশ ঘণ্টায় দেশে ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে ১০ হাজার ৪৪৬ টি নমুনা পরীক্ষা করে সংক্রমণ ধরা পড়েছে ২ হাজার ৫২০ জনের শরীরে।

দেশে গত মার্চের শুরুর দিকে কভিড-১৯ এর সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার পর শনিবার পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২ হাজার ৮৭৪ জনে।

আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২ লাখ ২১ হাজার ১৭৮ জন। এর মধ্যে ১ হাজার ১১৪ জনসহ মোট সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ২২ হাজার ৯০ জন।

সবশেষ তথ্যানুযায়ী, দেশে করোনার নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৪.১২ শতাংশ, শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১.৩০ শতাংশ এবং সুস্থতার হার ৫৫.২০ শতাংশ।

দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে শনিবার দুপুরে এসব তথ্য তুলে ধরেন অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

চব্বিশ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণ করাদের মধ্যে ২৯ জন পুরুষ, নয়জন নারী। তাদের মধ্যে হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে ৩৪ জনের, বাড়িতে তিনজনের এবং একজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে।

গত একদিনে যারা মৃত্যুবরণ করেছেন, তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগেরই ১৭ জন, আটজন রাজশাহী বিভাগের, খুলনা ও চট্টগ্রাম বিভাগের রয়েছেন চারজন করে, তিনজন ময়মনসিংহ বিভাগের এবং একজন করে আছেন রংপুর ও সিলেট বিভাগের।

বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, চব্বিশ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণ করাদের মধ্যে নয়জনের বয়স ৭১-৮০ বছরের মধ্যে, আটজনের বয়স ৬১-৭০, ছয়জনের বয়স ৪১-৫০ বছর, চারজনের বয়স ৮১-৯০, তিনজনের বয়স ৩১-৪০ বছরের মধ্যে এবং একজনের বয়স একশো বছরের ঊর্ধ্বে।

চব্বিশ ঘণ্টায় আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে ৬৪৯ জনকে, ছাড় পেয়েছেন ৪১৭ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৯ হাজার ২০২ জন।

এই সময়ে কোয়ারেন্টাইনে নেওয়া হয়েছে ১ হাজার ৭০৯ জনকে, ছাড় পেয়েছেন ১ হাজার ৭৮৯ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৫৯ হাজার ৪৫০ জন।

The post দেশে একদিনে মৃত্যু ৩৮, শনাক্ত ২৫২০ appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3hD8uJQ