Sunday, December 10, 2023

পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এক বছরে ২২ কোটি টাকা দান

চলতি বছরে চারবার খোলা হয়েছে কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স। এ চারবারে মোট ২১ কোটি ৮৭ লাখ ৮৫ হাজার ১৮১ টাকা পাওয়া গেছে। টাকার পাশাপাশি হীরা, বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকারও পাওয়া গেছে বিপুল পরিমাণ।

সবশেষ শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টায় মসজিদের ৯টি দানবাক্স খুলে ২৩ বস্তা টাকা পাওয়া যায়। ২২০ জনের একটি দল ১৫ ঘণ্টা গণনা শেষ রেকর্ড ছয় কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৪২৩ টাকা পাওয়া গেছে বলে জানায়।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ এবং পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখের উপস্থিতিতে মসজিদের দানবাক্সগুলো খোলা হয়।

এরআগে গত ১৯ আগস্ট মসজিদের আটটি দানবাক্স খোলা হয়েছিল। তখন ২৩ বস্তায় পাঁচ কোটি ৭৮ লাখ ৯ হাজার ৩২৫ টাকা এবং বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা, স্বর্ণালংকার ও হীরা পাওয়া যায়।

তার আগে ৬ মে রমজানের কারণে চারমাস পর দানবাক্স খোলা হয়েছিল। তখন ১৯টি বস্তায় পাঁচ কোটি ৫৯ লাখ ৭ হাজার ৬৮৯ টাকা এবং বৈদেশিক মুদ্রা, স্বর্ণালংকার ও হীরা পাওয়া গিয়েছিল।

এছাড়া চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি তিন মাস একদিন পর দানবাক্স খোলা হয়েছিল। ২০টি বস্তায় তখন পাওয়া যায় চার কোটি ১৮ লাখ ১৬ হাজার ৭৪৪ টাকা এবং বৈদেশিক মুদ্রা, স্বর্ণালংকার ও হীরা।

ঐতিহ্যবাহী পাগলা মসজিদে আটটি লোহার দানবাক্স থাকলেও এবার আরও একটি দানবাক্স বাড়ানো হয়েছে। দানের পরিমাণ বাড়ায় এখন পাগলা মসজিদের দানবাক্সের সংখ্যা ৯টি।

পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটি সূত্র জানিয়েছে, মসজিদের দান থেকে পাওয়া এসব অর্থ সংশ্লিষ্ট মসজিদসহ জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদরাসা ও এতিমখানার পাশাপাশি বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় হয়। এছাড়া করোনাকালে রোগীদের সেবায় নিয়োজিত শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৮০ জন স্বেচ্ছাসেবককেও অনুদান দেওয়া হয়েছিল এ দানের টাকা থেকে।

মসজিদটিকে আন্তর্জাতিকমানের দৃষ্টিনন্দন ইসলামিক কমপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যার নামকরণ হবে ‘পাগলা মসজিদ ইসলামিক কমপ্লেক্স’। খুব শিগগির এর কাজ শুরু হবে। এটি নির্মাণে প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৫ কোটি টাকা। সেখানে ৩০ হাজার মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন।

জনশ্রুতি রয়েছে, একসময় এক সাধকের বাস ছিল কিশোরগঞ্জ শহরের হারুয়া ও রাখুয়াইল এলাকার মাঝপথে প্রবাহিত নরসুন্দা নদের মধ্যবর্তী স্থানে জেগে ওঠা উঁচু টিলাকৃতির স্থানটিতে। মুসলিম-হিন্দু নির্বিশেষে সব ধর্মের লোকজনের যাতায়াত ছিল ওই সাধকের আস্তানায়। ওই সাধকের দেহাবসানের পর তার উপাসনালয়টিকে মসজিদ হিসেবে ব্যবহার শুরু করেন এলাকাবাসী।

কিন্তু ওই সাধকের দেহাবসানের পর থেকে আশ্চর্যজনকভাবে স্থানীয় এমনকি দেশের দূর-দূরান্তের লোকজনের ভিড় বাড়তে থাকে সেখানে। মানত কিংবা দান খয়রাত করলে মনের বাসনা পূরণ হয়—এমন বিশ্বাস থেকে বিভিন্ন ধর্ম-বর্ণের নারী-পুরুষ ছুটে আসেন এ মসজিদে। তারা নগদ টাকা-পয়সা, সোনা ও রুপার অলংকারের পাশাপাশি গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগি দান করেন।

বিশেষ করে প্রতি শুক্রবার এ মসজিদে মানত নিয়ে আসা বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষের ঢল নামে। আগতদের মধ্যে মুসলিমদের বেশিরভাগই জুমার নামাজ আদায় করেন মসজিদে। এ ইতিহাস প্রায় আড়াইশ বছরেরও পুরোনো বলে জানা যায়।

The post পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এক বছরে ২২ কোটি টাকা দান appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/w6RLPMp

Thursday, November 2, 2023

প্রফেসর মাওলানা হামীদুর রহমান আর নেই

হাফেজ্জী হুজুর রহ. ও মুহিউস সুন্নাহ মাওলানা শাহ আবরারুল হক ছাহেব রহ.-এর খলীফা, প্রফেসর হযরতখ্যাত মাওলানা প্রফেসর মুহাম্মাদ হামীদুর রহমান ইন্তেকাল করেছেন।

ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

তার ছেলে মুহাম্মদ আরিফুর রহমান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, আজ দুপুর ৩টা ২০ মিনিটের দিকে তিনি ইন্তেকাল করেন।

তিনি আরো জানান, ঢাকার ধানমণ্ডির আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে তিনি ভর্তি ছিলেন। ডা. রাশিদুল হাসানের অধীনে চিকিৎসা চলছিল। বুকে প্রচণ্ড কফ জমে ছিল। অক্সিজেন উঠানামা করছিলো।

এর আগে তার আরেক ছেলে মুহাম্মদ মাসিহুর রহমান জানান, এর আগে আব্বুর দুইবার করোনা হয়েছে। এছাড়া বার্ধক্যজনিত নানা রোগে তিনি ভোগছিলেন। আব্বুর মাগফেরাতের জন্য আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই।

The post প্রফেসর মাওলানা হামীদুর রহমান আর নেই appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/JIErOm5

Saturday, October 28, 2023

কেমন আছে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ‘দারুল আরকাম মাদরাসা’

|| তাসনিফ আবীদ ||

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনার আলোকে ২০১৭ সালে ইসলামিক ফাউন্ডেশন পরিচালিত ‘মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্প’(৬ষ্ঠ পর্যায়)-এর আওতায় দেশের প্রতি উপজেলায় যেখানে প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই, সেখানে ‘দারুল আরকাম’ নামে ১০১০টি মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করা হয়। ২০১৮ সালে ১০১০জন কওমি ও ১০১০জন আলিয়া মাদরাসার সনদধারী আলেম নিয়োগের মাধ্যমে এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়।

শুরুতেই ছিল শঙ্কা-
কিন্তু একটি মাদরাসা শিক্ষাব্যবস্থা দেখভাল করার মতো লোকবল, সামর্থ্য ও অভিজ্ঞতা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ছিলো না। যে কারণে শুরু থেকেই প্রকল্পটি নিয়ে নানা কথা চলছিলো। প্রকল্পটির ভবিষ্যত নিয়েও দেখা দিয়েছিলো নানা শঙ্কা ও উদ্বেগ। সেই শঙ্কা পদে পদে বাস্তববে রূপ নেয়।

শঙ্কা রূপ নেয় অনিশ্চয়তায়-
‘দারুল আরকাম ইবতেদায়ি মাদরাসা’ ছিল একটি প্রকল্প। কওমি সনদের স্বীকৃতির পর এটিই প্রথম কওমি আলেমদের সরকারি নিয়োগ। শুরুতে ইফার নিজস্ব সিলেবাসে ৩য় শ্রেণী পর্যন্ত পাঠদান শুরু হলেও ২০১৯ সালে এসব মাদরাসা ৫ম শ্রেণীতে উন্নীত করা হয়। কিন্তু একই বছরের ৩১ ডিসেম্বর শেষ হয় প্রকল্পের মেয়াদ। এক সময় এই প্রকল্পটিও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রকল্প থেকে বাদ পড়ে। এরপর থেকে শিক্ষকরা চরম অনিশ্চয়তায় পড়েন। শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়েও নানা শঙ্কা দেখা দেয়। তবে ধর্ম-মন্ত্রণালয়ের বিশেষ চাহিদায় প্রকল্পের কার্যক্রম চলমান রাখা হয়।

দারুল আরকামের শিক্ষকরা জানান, ‘২০১৯ সালে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলে একটি জটিলতা তৈরি হবে এটা আমরা আগে থেকেই বুঝেছিলাম। সেজন্য বারবার আমাদের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে দাবি ছিল যেন সরকারের বিধি অনুসরণ করে এসব মাদরাসাগুলো এমপিওভুক্ত করা হয়। কিন্তু সেটা হয়নি। করোনা মহামারীতে এ কারণে আমাদেরকে খুব কষ্টে জীবন-যাপন করতে হয়।’

অনিশ্চয়তা কাটিয়ে আলোর মুখ-
২০২০ সালের পুরো বছরটিই এভাবে কাটে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের দারুল আরকাম ইবতেদায়ি মাদ্রাসার দুই হাজার ২০ জন শিক্ষকের। ওই সময় তাদের উদ্যোগে জেলা প্রশাসকের বরাবর স্মারক লিপি, বিভিন্ন মন্ত্রীদের কাছে স্মারক লিপি, প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারক লিপি ও মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচী পালন করা হয়। এসব কর্মসূচীর পর আবারও আলোর মুখ দেখে প্রধানমন্ত্রী প্রতিষ্ঠিত ‘দারুল আরকাম’।

২ শ’ কোটি টাকার প্রকল্প-
সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষাদান করতে ‘দারুল আরকাম ইবতেদায়ি মাদ্রাসা স্থাপন ও পরিচালনা’ নামে নতুন করে ১৯৯ কোটি ৬ লাখ টাকার প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এই প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয় ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে। প্রকল্পটির বাস্তবায়নকাল ধরা হয় ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর।

প্রকল্পের উদ্দেশ্যে বলা হয়: (ক) জনগণের অংশগ্রহণের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত মোট ১০১০টি দারুল আরকাম ইবতেদায়ি মাদ্রাসার কার্যক্রম পরিচালনা অব্যাহত রাখা; (খ) সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষাদানের মাধ্যমে ধর্মীয় জ্ঞান অর্জনের সুযোগ সৃষ্টি ও দেশে স্বাক্ষরতার হার বৃদ্ধি; (গ) আরবি ভাষাশিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে দক্ষতার মানোন্নয়ন; (ঘ) সাধারণ শিক্ষিতদের পাশাপাশি মাদ্রাসা শিক্ষায় শিক্ষিতদের বিশেষ করে সরকার স্বীকৃত সনদধারী আলিয়া ও কওমি মাদ্রাসা থেকে উত্তীর্ণ আলেমদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি।

প্রকল্পটির প্রধান কার্যক্রমের মধ্যে রাখা হয়: (ক) ৩০৩০ জনের সম্মানি (২০২০ জন শিক্ষকের মাসিক সম্মানি ও ১০১০ জন সহায়ক কর্মীর সম্মানি); (খ) কমিটির সভা ও অন্যান্য ব্যয়; (গ) ৪০৫০ জন প্রশিক্ষণ; (ঘ) ৩৮৩৮০টি শিক্ষা ও শিক্ষণ উপকরণ, ৭৪০৩টি আসবাবপত্র, ৩০৪৩টি অফিস সরঞ্জাম ও ৮টি কম্পিউটার ক্রয়; (ঙ) ১০১১টি ইন্টারনেট/ফ্যাক্স, ৩০৩৪টি বইপত্র/সাময়িকী, ৪০৪০টি প্রচার/বিজ্ঞাপন, ৫৩৫৯২টি মুদ্রণ/বাঁধাই; (চ) ২টি যানবাহন চুক্তিভিত্তিক ব্যবহার।

কিছুটা স্বস্তিতে দারুল আরকামের শিক্ষকরা-
প্রকল্পটি ২০২২ সালে পাশ হলেও এর মেয়াদকাল যেহেতু ২০২১ থেকে ধরা হয় এবং ধর্ম-মন্ত্রণালয়ের বিশেষ চাহিদায় দারুল আরকামের কার্যক্রম শুরু থেকেই চলমান রাখা হয়, তাই চলতি বছরের মাঝামাঝিতে শিক্ষকদের আটকে থাকা বকেয়া বেতন পরিশোধ করা হয়। পাশাপাশি আগের মেয়াদের ১১ হাজার ৩০০টাকা বেতনকে বাড়িয়ে এই মেয়াদে করা হয় ১২ হাজার ৫০০টাকা। এসবের পর দারুল আরকামের শিক্ষকদের মনে কিছুটা প্রশান্তি এলেও জটিলতা তাদের পিছু ছাড়ছে না।

দারুল আরকামে যত জটিলতা-
দারুল আরকামের শিক্ষকদের মতামত হচ্ছে, মুসলিম ছাত্ররা যেন প্রাথমিক ইসলামের জ্ঞান অর্জন করতে পারে সে জন্য প্রত্যেক উপজেলায় ২ টি করে এবতেদায়ি দারুল আরকাম মাদ্রাসা স্হাপন করা হয়েছে; যা প্রশংসার যোগ্য। ইসলামি ফাউন্ডেশনের আওতায় এই মাদ্রাসা সারা দেশেই সুনাম অর্জন করছে। কিন্তু মাদ্রাসার জাতীয় করণের উদ্যোগ নেয়া হলেও এখনো আটকে আছে, যা হাজার হাজার শিক্ষকদেরকে অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলছে।

তাদের দাবি, ‘ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কোন প্রতিষ্ঠান এখন পর্যন্ত রাজস্বখাতে যায়নি। তাই দারুল আরকাম এবতেদায়ি মাদ্রাসাকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাদ্রাসা ও কারিগরী শিক্ষা বিভাগের অধীনে নিয়ে জাতীয়করণ করা হোক। পর্যাপ্ত ভবন নির্মাণ করা হোক। শিক্ষার্থীদের জন্য ক্যাম্পাসে বিনোদনের ব্যবস্হা করা হোক।’ তাহলে প্রাইমারী স্কুলের মতো দারুল আরকামের শিক্ষকরাও ইসলামের শিক্ষা শিশুদের অন্তরে ঢেলে দিয়ে দেশপ্রেমিক নাগরিক তৈরি করতে সক্ষম হবে।

দারুল আরকামে শিক্ষকতা করেন ময়মনসিংহের ভালুকার এমন এক শিক্ষক জানান, দারুল আরকামে ছাত্র-ছাত্রী ধরে রাখতে হলে উপবৃত্তি প্রয়োজন। সরকার প্রাইমারি সেক্টরে ছাত্র-ছাত্রী ধরে রাখার জন্য উপবৃত্তির ব্যবস্হা করেছে। এমনকি, ইতিমধ্যে দেখেছি উপবৃত্তি দ্বিগুণ করেছে। দরিদ্র এলাকায় অভিভাবকরা এসব বিষয় মাথায় রাখে। তাই তারা তাদের সন্তানকে অনেক সময় উপবৃত্তির জন্য প্রাইমারিতে পাঠিয়ে দেয়। আমাদের দাবী, দারুল আরকাম ইবতেদায়ী মাদরাসায় উবৃত্তি চালু করা হোক। না হয় দরিদ্র এলাকায় শিক্ষার্থী ধরে রাখতে পারবে না দারুল আরকাম।

এদিকে দারুল আরকামের শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় প্রকল্পটির আরো কিছু জটিলতার কথা। দারুল আকরামের সিলেবাস নিয়ে দ্রুতই কাজ করার দাবি তাদের। বর্তমানে দারুল আরকাম মাদ্রাসায় কিরাআতুল কুরআন, আল-হাদীসুন্নাবী, আল-লুগাতুল আরাবিয়া, আদ্দীনিয়াত, সমাজ বিজ্ঞান, বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বিষয়ে শিক্ষা দেয়া হয়। তারা জানান, শিশুদের জন্য চলমান সিলেবাসটি খুবই কঠিন হয়ে যায়। তাছাড়া বইয়ের পরিমাণও অনেক। শিশুদের জন্য সবগুলো বই আত্মস্থ করা জটিল হয়ে যায়। পাশাপাশি পর্যাপ্ত শ্রেণি শিক্ষকের অভাবও রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে চালু হওয়া এই মাদরাসা ব্যবস্থাকে আরো কীভাবে সৃজনশীল করা যায় সে বিষয়ে উদ্যোগ নিতে হবে কর্তৃপক্ষকে।

এদিকে প্রত্যন্ত অঞ্চলের এক শিক্ষক জানান, দারুল আরকামে চাকরি করছি ঠিক কিন্তু কোন রকম শান্তিতে নাই। পোস্টিং নিজ উপজেলা থেকে প্রায় ১১০ কি.মি. দূরে। এছাড়া থাকার জায়গা নেই। পেশাব-পায়খানার ভাল জায়গাও নেই। কোন রকম একটি ছিল, তা বন্যায় একবারে ভেঙ্গে গেছে। এমন আরো অনেক সমস্যাই পোহাতে হচ্ছে।

আবারো অনিশ্চয়তায় পড়তে পারে দারুল আরকাম-
দারুল আরকাম একটি অলটারনেটিভ শিক্ষা ব্যবস্থা। এটা শিশু ও গণশিক্ষার মতো নয়। আর কোনো প্রকল্প বা প্রজেক্ট সারাজীবন চলে না। দারুল আরকাম মাদরাসার চলমান প্রকল্পটি শেষ হবে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে। এবারের মেয়াদ শেষ হলে ২০২০ সালের মতো আবারো বড় কোনো সঙ্কায় হয়তো পড়তে পারে দারুল আরকামের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। ঝরে পড়তে পারে কয়েক লাখ শিক্ষার্থী। তাই যত দ্রুত সম্ভব একে রাজস্বকরণের দাবি তুলছে সংশ্লিষ্টরা।

The post কেমন আছে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ‘দারুল আরকাম মাদরাসা’ appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/loBuQ8S

Tuesday, October 3, 2023

পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পেলেন যে তিন বিজ্ঞানী

ফাতেহ ডেস্ক:

পদার্থবিজ্ঞানে বিশেষ অবদান রাখায় এ বছর নোবেল পুরস্কার পেলেন পিয়া অগোস্টিনি, ফেরেঙ্ক ক্রুসজ এবং অ্যান ল’হুইলার। ইলেকট্রন গতিবিদ্যার গবেষণায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তাদের এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় বিকেল পৌনে ৪টার দিকে সুইডেনের র‌য়্যাল সুইডিশ একাডেমি বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন।

ইলেকট্রন গতিবিদ্যায় পরীক্ষামূলক পদ্ধতি ব্যবহার করে আলোর অ্যাটোসেকেন্ড পালস তৈরি করার বিষয়টি ওই তিনজন বিজ্ঞানীর গবেষণায় দেখানো হয়েছে। তার তিনজন এমন আলোর ফ্ল্যাশ (ঝলকানি) তৈরি করেছেন যেগুলো ‘অতি দ্রুত চলাচলকারী’ ইলেকট্রনের স্ন্যাপশট নিতে পারে।

প্রতিবছর অক্টোবর মাসের প্রথম সোমবার শুরু হয় নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা। প্রথম দিন ঘোষণা করা হয় চিকিৎসাশাস্ত্রের নোবেল। ছয়টি বিভাগে ছয় দিন নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। নোবেল শান্তি পুরস্কার ঘোষণা হয় নরওয়ে থেকে। সাহিত্য ও অর্থনীতির মতো অন্য পুরস্কারগুলো সুইডেন থেকে ঘোষণা করা হয়। প্রতিটি পুরস্কারের মূল্য ১ কোটি সুইডিশ ক্রোনার (প্রায় ৯ লাখ ডলার)।

১৯০১ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল দেওয়া শুরু হয়। এরপর থেকে ১১৬ বার এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত ২২২ জন পদার্থবিজ্ঞানী সম্মানজনক এই পুরস্কার জিতেছেন।

মূলত মোট ছয়টি বিভাগে ছয় দিনে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। এর আগে সোমবার (২ অক্টোবর) এ বছরের নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা শুরু হয়। প্রথম দিন ঘোষণা করা হয়েছে চিকিৎসাশাস্ত্রের নোবেল। চিকিৎসাবিজ্ঞানে এ বছর নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন করোনাভাইরাসের টিকার দুই গবেষক। যৌথভাবে নোবেলজয়ী এই দুই গবেষক হলেন- হাঙ্গেরিয়ায় জন্মগ্রহণকারী কাটালিন কারিকো এবং যুক্তরাষ্ট্রের ড্রিউ ওয়েইজম্যান।

এদিকে বুধবার (৪ অক্টোবর) রসায়নে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে। এরপর ৫ অক্টোবর সাহিত্যে আর ৬ অক্টোবর শান্তিতে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে। দুই দিন বিরতি দিয়ে ৯ অক্টোবর অর্থনীতিতে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের পর্দা নামবে।

The post পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পেলেন যে তিন বিজ্ঞানী appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/7BJj0di

Saturday, September 23, 2023

মাধ্যমিক শিক্ষার উন্নয়নে বিশ্বব্যাংকের ৩০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন

ফাতেহ ডেস্ক:

করোনার সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় মাধ্যমিক শিক্ষার যে ক্ষতি হয়েছে তা পুনরুদ্ধারে ৩০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন করেছে বিশ্বব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক বোর্ড। বাংলাদেশি টাকায় এ অর্থের পরিমাণ ৩ হাজার ২৮০ কোটি টাকা।

ওয়াশিংটন সময় শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিশ্বব্যাংকে প্রধান কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বাংলাদেশকে এই ঋণ ক্রেডিটটি বিশ্বব্যাংকের ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইডিএ) দেওয়া হয়েছে। যা ৫ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩০ বছরের মেয়াদে পরিশোধ করতে হবে।

বাংলাদেশ ও ভুটানের জন্য বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক জানান, বাংলাদেশ কয়েক বছর ধরে শিক্ষার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে এবং নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে লিঙ্গ সমতা অর্জনকারী প্রথম কয়েকটি উন্নয়নশীল দেশের মধ্যে ছিল। কিন্তু কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালীন দীর্ঘায়িত স্কুল বন্ধ থাকার ফলে শিক্ষার ওপর গভীরভাবে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে এবং অনেক দরিদ্র মেয়েকে স্কুল ছেড়ে যেতে বাধ্য করেছে। বিশ্বব্যাংক শেখার ফলাফল এবং শিক্ষার গুণমান উন্নত করে শেখার ক্ষতি থেকে পুনরুদ্ধার করতে বাংলাদেশকে সহায়তা করবে। যাতে শিক্ষার্থীরা সমৃদ্ধ ও পরিপূর্ণ জীবনযাপন এবং সমাজে সংগ্রামের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা নিয়ে স্নাতক হতে পারে।

বিশ্বব্যাংক জানায়, লার্নিং অ্যাক্সিলারেশন ইন সেকেন্ডারি এডুকেশন অপারেশন সরকারের সেকেন্ডারি এডুকেশন প্রোগ্রামকে সমর্থন করবে। শিক্ষাকে ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে, প্রোগ্রামটি ৬, ৪তম গ্রেডের জন্য গণিত, ইংরেজি এবং বাংলার মতো মূল বিষয়গুলোতে ফোকাস করবে, কারণ এগুলো ভবিষ্যতের শিক্ষার ভিত্তি। এটির লক্ষ্য চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের গণিতে দক্ষতা বর্তমান ২৮ শতাংশ থেকে ৬৫ শতাংশে এবং বাংলায় ৬৬ শতাংশ থেকে ৯০ শতাংশে উন্নীত করা। ঝরে পড়ার হার কমাতে, প্রোগ্রামটি ৪ মিলিয়ন শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি পেতে সহায়তা করবে। এছাড়া, আরও প্রায় ৭ হাজার ২০০টি স্কুলে পড়ার দক্ষতা উন্নত করার জন্য প্রোগ্রাম থাকবে এবং ১৫ হাজার শিক্ষক তাদের শেখানোর দক্ষতা উন্নত করার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রোগ্রামটি মানসিক স্বাস্থ্য কাউন্সেলিংকেও সহায়তা করবে এবং কমপক্ষে ৩০ শতাংশ লক্ষ্যযুক্ত বিদ্যালয়ে লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধে সহায়তা করবে।

সংস্থাটি আরও জানায়, কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালীন শিক্ষার ক্ষতি থেকে পুনরুদ্ধার করতে প্রোগ্রামটি নতুন অনুমোদিত পাঠ্যক্রমের ডিজিটাইজেশন এবং পর্যায়ক্রমে রোলআউটের পাশাপাশি শেখার পুনরুদ্ধারের জন্য অতিরিক্ত প্রতিকারমূলক ক্লাসগুলোকে সহায়তা করবে। এটি সরকারের মিশ্রিত শিক্ষার মাস্টারপ্ল্যানকেও সমর্থন করবে। এছাড়া, ক্লাসে এবং অনলাইন শিক্ষার সংমিশ্রণ শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগতকৃত সংস্থানগুলো অফার করবে যাতে তারা তাদের নিজস্ব গতিতে শিখতে পারে।

বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র এডুকেশন স্পেশালিস্ট এবং প্রকল্পের দলনেতা টি.এম.আসাদুজ্জামান জানান, জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে শিশুদের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে রাখার জন্য, প্রোগ্রামটি উপবৃত্তি প্রদানের বাইরেও অতিরিক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। যারা বাদ পড়েছেন তাদের পুনরায় তালিকাভুক্ত করতেও সহায়তা করবে। জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায়, বন্যা বা ঘূর্ণিঝড়ের কারণে স্কুলগুলো বন্ধ করতে বাধ্য হলেও মিশ্রিত শিক্ষা ট্র্যাকে শিখতে সাহায্য করবে। এই প্রোগ্রামটি জলবায়ু-স্মার্ট মানসিকতা এবং আচরণকে উত্সাহিত করার জন্য পাঠ্যক্রমের মূলধারার জলবায়ু শিক্ষাকেও যুক্ত করবে।

The post মাধ্যমিক শিক্ষার উন্নয়নে বিশ্বব্যাংকের ৩০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/P9kGn4T

Monday, September 18, 2023

খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ল

ফাতেহ ডেস্ক:

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে আগের দু’টি শর্তেই মুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ানো হয়েছে। মুক্তির মেয়াদ বাড়িয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

এর আগে গত ১০ সেপ্টেম্বর আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক সচিবালয়ে সাংবাদিকদের জানান, খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ানোর বিষয়ে মত দিয়ে এ সংক্রান্ত ফাইল আইন মন্ত্রণালয় থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, খালেদা জিয়া আগের মতোই ঢাকার নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করবেন। এই সময় তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না। এই দুটি শর্তেই দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।

দুটি মামলায় সাজা হওয়ায় কারাবন্দি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বর্তমানে নির্বাহী আদেশে দণ্ড স্থগিত থাকায় তিনি কারামুক্তি রয়েছেন।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ আদালত। রায়ের পর তাকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রাখা হয়। এরপর ৩০ অক্টোবর এই মামলায় আপিলে তার সাজা আরও পাঁচ বছর বাড়িয়ে ১০ বছর করেন হাইকোর্ট।

একই বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেন একই আদালত।

২০২০ সালের মার্চে করোনা মহামারি শুরু হলে পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে সরকার নির্বাহী আদেশে দণ্ড স্থগিত করে খালেদা জিয়াকে শর্তসাপেক্ষে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেয়।

খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে মুক্তির সবশেষ মেয়াদ শেষ হবার কথা ছিলো আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর। এর আগেই তার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আবেদন করা হয়। এর প্রেক্ষিতে অষ্টমবারের মতো খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়লো।

The post খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ল appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/qc29Y7l

ওমরার স্বপ্ন চলে যাচ্ছে নাগালের বাইরে

আব্দুল্লাহ আফফান।।

বাংলাদেশ থেকে বহু ধর্মপ্রাণ মুসল্লি হজ ও ওমরা পালন করেন। তাদের অধিকাংশই পুরো জীবন টাকা জমান মক্কা, মদিনায় একবার যাওয়ার জন্য। এই শহর দু’টির সাথে জড়িয়ে আছে ধর্মীয় ভাবাবেগ। নতুন হিজরি সাল শুরুর পর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে ওমরা পালন করেছেন ২ লাখ ৩১ হাজারের বেশি মানুষ। নতুন হিজরি বর্ষ শুরুর প্রথম ৬ মাসের ওমরাকারীদের তথ্য জানাতে গিয়ে এমনটাই জানিয়েছে সৌদি হজ ও ওমরা মন্ত্রণালয়। ২০১৯ সালে বাংলাদেশ থেকে ওমরা করেছিল ৫২ হাজার ৮৪৮ জন। সে হিসেবে গত তিন বছরে ওমরাকারী বেড়েছে প্রায় কয়েকগুন।

করোনার আগে এজেন্সিভেদে ওমরার সর্বনিম্ন প্যাকেজ ছিল ৮০ হাজার টাকা। করোনা বিধিনিষেধের কারণে ওমরা পালনে ব্যয় বেড়েছিল কয়েকগুন। চলতি বছর হজ ও ওমরার খরচ কমিয়েছে সৌদি সরকার। সৌদির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় ৪১৩ সৌদি রিয়াল কমিয়েছে। গত বছর করোনার কারণে আবাসন ও পরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মানা বাধ্যতামূলক ছিল। যা এ বছর শিথিল হয়েছে। তবে সে তুলনায় বাংলাদেশে কমেনি ওমরা খরচ। গত বছর এজেন্সিভেদে ওমরা খরচ ছিল এক লাখ ৪৫ হাজার টাকা। চলতি বছর ওমরা করতে খরচ হবে ১ লাখ ২০ হাজার থেকে ২ লক্ষ ১০ হাজার পর্যন্ত।

দিন দিন মধ্যবিত্তদের আওয়ার বাইরে চলে যাচ্ছে ওমরার খরচ। এবিষয়ে জানতে চাইলে ফাতেহ টোয়েন্টিফোরকে হলি টুরিজম বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর শাহাদাত হোসাইন জানিয়েছেন, হজ ও ওমরা এটি শারীরিক ও আর্থিক এবাদত। শারীরিক সুস্থতা ও আর্থিক সক্ষমদের জন্য হজ ও ওমরা। যাদের আর্থিক সক্ষমতা নেই তারা ওমরা করবে না। এটা তো ফরজ না। আর হজ ফরজ হয় আর্থিক সক্ষমতার ভিত্তিতে। তাই খরচ বাড়াকে খুব বড় সমস্যা মনে হয় না।

এবিষয়ে স্কাই হলিডেইজের প্রশাসন বিভাগের হেড সাইয়্যেদ মিনহাজ নবী জানিয়েছেন, করোনার পর ভিসার খরচ কিছুটা কমিয়েছে সৌদি আরব। তবে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে বিমান ভাড়া বেশি। এছাড়া ডলারের রেটও বেশি। এসব কারণে খুব বেশি কমেনি ওমরার খরচ।

ভারত, পাকিস্তানসহ এশিয়ার দেশগুলোর হজের খরচ একই। তবে আমাদের বিমান ভাড়া তুলনামূলক বেশি। এছাড়া হজের অন্যান্য খরচে কোন পার্থক্য নেই বলে দাবি করেছেন হলি টুরিজম বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর শাহাদাত হোসাইন।

শাহাদাত হোসাইন বলেন, সৌদি আরবে যাওয়া ও আসার বিমান ভাড়ায় পার্থক্য রয়েছে। যাওয়ার ভাড়া তুলনামূলক বেশি হয়ে থাকে। অথচ রুট এক, বিমান এক, তেল খরচও এক; তবুও খরচে পার্থক্য হবে কেন? অন্য সময়ের চেয়ে হজের সময় বিমান ভাড়া বেশি রাখা হয়। এমনটা কেন করা হয় বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) ভালো বলতে পারবে।

জানা যায়, গত বছর ভারতে থেকে হজ করতে খরচ হয়েছে (বাংলাদেশি টাকায়) ৪ লাখ টাকার কম। পাকিস্তানের খরচ হয়েছে (বাংলাদেশি টাকায়) ৪ লাখ ৪৭ হাজার ৬১৮ টাকা। বাংলাদেশ থেকে বেসরকারি ভাবে খরচ হয়েছে ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৭৪৪ টাকা।

এ বছর বিমান ভাড়া বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে শাহাদাত হোসাইন বলেন, প্রতি বছরই আমরা বিমান ভাড়া বিষয়ে কথা বলি। এবছর বিমান ভাড়া কমানো বিষয়ে বিমান প্রতিমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছে হজ্জ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)। চিঠির জবাব এলে এ বছর বিমানের ভাড়া কমবে কিনা সেটা বলা যাবে।

ওমরার খরচ বাড়া-কমার কারণ হিসেবে স্কাই হলিডেইজের সাইয়্যেদ মিনহাজ নবী বলেছেন, এয়ারলাইন্সগুলোর টিকেট গ্রুপ ভিত্তিক আগের থেকে নিতে পারলে খরচ কিছুটা সাশ্রয়ী হয়। সৌদি আরবে লোকাল, ইন্টারন্যশনাল ছুটির কারণে খরচ কম-বেশি হয়। বাইতুল্লাহ থেকে হোটেলের দূরত্ব, রুম ও ট্রান্সপোর্ট শেয়ার, বাসের পরিবর্তে আলাদা গাড়ি ব্যবহারে খরচ বাড়ে। এছাড়া জ্বালানি মূল্য ও ডলার মূল্য বৃদ্ধি তো আছেই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ওমরা প্রত্যাশী জানান, কাবা ছোঁয়া, রাসূল সা. এর করব জিয়ারত করা সকল মুসলমানের স্বপ্ন। আগের তুলনায় এখন ওমরা করা সহজ। কিন্তু খরচের কারণে ওমরা করতে পারছে না অনেকে। ওমরার খরচ কমলে সাধারণ মানুষের জন্য সুবিধা হয়। তারা ওমরা করার সুযোগ পায়। করোনার পর পর ওমরার খরচ অনেক বেশি ছিল। এখন কিছুটা কমেছে। সরকার অনেক ক্ষেত্রে ভুর্তুকি দেয়। হজ ওমরাতেও যদি কিছুটা ভূর্তুকি দিতো, তাহলে সাধারণ মানুষের ওমরা করতে সহজ হতো।

হজ ও ওমরা সহজ করতে স্বচেষ্ট সৌদি সরকার

সৌদি সরকার হজ ও ওহরা সহজ করার জন্য বেশ কিছু প্রকল্প হাতে নিয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম নুসুক অ্যাপ। এর মাধ্যমে হজ ও ওমরার আবেদন করা যায়। বাংলাদেশ থেকে হজ ব্যবস্থাপনা আরও সহজ ও গতিশীল করতে ‘নুসুক’ অ্যাপ উদ্বোধন করেছে সৌদি আরব। এর ফলে বাংলাদেশিদের জন্য সৌদি আরব ভ্রমণ আরও সহজ হবে। ওমরাহ পালনে ব্যক্তিগতভাবেই আবেদন করতে পারবেন আগ্রহীরা। অ্যাপটি ইউরোপ-আমেরিকায় আগেই চালু করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ধীরে ধীরে কমে আসবে এজেন্সি-নির্ভরতা।

The post ওমরার স্বপ্ন চলে যাচ্ছে নাগালের বাইরে appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/0UgLpEf

Saturday, September 16, 2023

হাফেজ রেজাউল করিম হত্যার বিচার কি হবে না?

মাদরাসার ছাত্র রেজাউল করিম হত্যার পর তো অনেক দিন পার হয়ে গেল। কোনো বিচার শুরু হয়েছে বলে শোনা যায়নি। কাউকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও খবর পাওয়া যায়নি। ইতিমধ্যে পাঠকবৃন্দ জেনে গেছেন-‘রাজধানীর গুলিস্তানে ‘শান্তি সমাবেশ’শেষে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের সময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নিহত রেজাউল করিম (২১) যাত্রাবাড়ীর একটি মাদরাসায় পড়তেন। কোনো রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না তিনি। রোববার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেন ঢামেকের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসকরা। এর আগে ঘটনার দিন রাতে সিআইডির একটি দল ময়নাতদন্ত করে। রোববার বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

রেজাউলের ফুপু ফারিয়া যুগান্তরকে জানান, তার ভাতিজা যাত্রাবাড়ীর জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলূম মাদরাসায় জালালাইন জামাতে অধ্যয়নরত ছিল। কোনো রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিল না। আওয়ামী লীগের নিজেদের মধ্যকার বিরোধ একটি নিরপরাধ ছেলের জীবন কেড়ে নিয়েছে। রেজাউল অসুস্থ ছিল। করোনার পর তার ডেঙ্গু হয়। সুস্থ হওয়ার পর জন্ডিস হয়। তাই নিয়মিত ডাক্তার দেখাত, ওষুধ খেত।

নিহতের বেয়াই রাসেল মিয়া জানান, গত বুধবার গ্রাম থেকে এসে রাজধানীর খিলগাঁও গোড়ানে তার বাসায় ওঠে রেজাউল। সেখানে অসুস্থতা অনুভব করে। বৃহস্পতিবার রাতে চিকিৎসকের কাছে গেলে তাকে বাসায় অবস্থান করে প্রয়োজনীয় ওষুধ খেতে পরামর্শ দেওয়া হয়। পরদিন শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে রেজাউল বাসা থেকে বের হয়। যাওয়ার সময় বলে যায়, মাদরাসায় গিয়ে ছুটি নিয়ে ফিরবে। শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি জানতে পারেন, গুলিস্তানে এক যুবক মারা গেছে। এরপর ঢামেকে গিয়ে তিনি রেজাউলের লাশ শনাক্ত করেন।’-যুগান্তর, ৩১ জুলাই ২০২৩

একটি দেশের রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে দিনে-দুপুরে প্রকাশ্যে কওমী মাদরাসার একজন ছাত্রকে হত্যা করা হল। এ নিয়ে কারও তেমন কোনো প্রতিক্রিয়া শোনা গেল না। চারদিক থেকে তার মতো বা তার সহপাঠীদের গালমন্দ বা বকাঝকা শুনে দুচারটা বিবৃতি পর্যন্ত গিয়েই থেমে গেছে। অথচ এটা তো স্বতঃস্বিদ্ধ বিষয় যে, ঘটনাটা ঘটিয়েছে ক্ষমতাসীন দলের লোকজন। তাদের পারস্পরিক সংঘর্ষের মাঝে এই ছেলেকে তারা নির্মমভাবে হত্যা করেছে। এখান থেকে বহু প্রশ্ন, বহু কিছুই উত্থাপিত হয়। অনলাইন নিউজ পোর্টাল ঢাকা পোস্টের শিরোনাম ছিল, ‘আ.লীগের সংঘর্ষ চলাকালে রেজাউলের পায়ে কোপ দিল কারা?’

ক্ষমতাসীনদের অতীত তো এদেশের দ্বীনদার সমাজ ভুলবে না। তারা অতীতে ধর্মীয় লোকদের সাথে, মাদরাসার মানুষদের সাথে ১৯৯৬ থেকে ২০০১, ২০১৩, ২০১৪, ২০২১ পিরিয়ডে কী আচরণ করে এসেছে- তা কারও অজানা নয়। মাঝে মাঝে মনে হয়, তারা এসব থেকে কিছু না কিছু শিক্ষা নেয়। কিছু পরিবর্তন দেখায়। ভাব দেখায়, আমরা ধর্মীয় লোকজন, মাদরাসা-মসজিদের বিরোধী নই। কিন্তু মাঝে মাঝেই এমন ঘটনা ঘটে, যা থেকে প্রতীয়মান হয়- তারা যেই সেই রয়ে গিয়েছে। এখানে তো তাদের বিরুদ্ধে কেউ আন্দোলন করতে যায়নি। কেউ কিছু বলতেও যায়নি। এ ছেলে কোনো রাজনীতি করে- এমন কোনো তথ্য-প্রমাণ, পরিচয় এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।

গুলিস্তান এলাকা কি ক্ষমতাসীন দলকে ভাড়া দিয়ে দেওয়া হয়েছে? ওখানকার ফুটপাথ, রাস্তা দিয়ে কেউ হেঁটে গেলে ওই দলের লোকজন মেরে ফেলবে? অনেকেই মনে করেন, এ ঘটনা ইচ্ছাকৃত ঘটানো হয়েছে। হয়তো তাদের দলের ধর্মবিদ্বেষী লোকজন এ ছেলেকে দাড়ি-টুপিওয়ালা দেখে প্রতিপক্ষের ধার্মিক সদস্য মনে করে ইচ্ছে করেই মেরে ফেলেছে। যারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? আমরা কি প্রতিকার করতে পেরেছি? খুব স্বাভাবিকভাবেই মাদরাসার ছাত্ররা দলীয় রাজনীতি করে না, ছাত্ররা তাদের শিক্ষকদের দিকনির্দেশনার বাইরে গিয়ে আন্দোলনও করে না। এ অবস্থার সুযোগ নিয়ে মাদরাসার দায়িত্বশীল বোর্ডগুলোর একটি-দুটি বিবৃতি দিয়েই কি দায়িত্ব শেষ হয়ে যায়? এ ঘটনায় বোঝাপড়া করে দোষীদের গ্রেফতার করিয়ে বিচারের আওতায় আনার দায়িত্ব কি নেই কারও? কিন্তু এসব দায় গ্রহণ ও দায়িত্ব পালনের কোনো কিছুই দেখা যাচ্ছে না। একজন মাদরাসার শিক্ষার্থীকে যারা এভাবে শেষ করে দিয়েছে তারা কি এমনি এমনিই পার পেয়ে যাবে? আল্লাহর বিচার তো আছেই। এধরনের হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে তারা যদি পার পেতে থাকে তাহলে তারা অন্য সময়ও এমন খুন-খারাবি করতে দ্বিধা করবে না।

আলকাউসারের অনেক পাঠকই এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। আমরা মনে করি, এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করে সুষ্ঠু বিচারের মুখোমুখি করা দরকার। সরকার ব্যবস্থা না নিলে কওমী মাদরাসার বোর্ডগুলোর নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ সরকারের উচ্চপর্যায়ে বিষয়টি উত্থাপন করে এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সোচ্চার হতে পারেন।

বিজ্ঞ কিছু মহল থেকে আরেকটি বিষয়েও দীর্ঘদিন থেকে চাপা অসন্তোষ লক্ষ করা যাচ্ছে। তা হচ্ছে, কওমী মাদরাসার একটি বড় বোর্ডের ফেইসবুক-প্রীতি। তারা নাকি কোনো নোটিশ প্রদান করলে তা ফেইসবুকে করেন। বিবৃতি দেন ফেইসবুকে মহাপরিচালকের স্বাক্ষরে। এটি কেমন কথা! তাহলে কি তারা ধরে নিচ্ছেন যে, তাদের বোর্ড-সংশ্লিষ্ট সব ছাত্র-শিক্ষক বা মাদরাসাওয়ালারা অবশ্যই ফেইসবুক ব্যবহার করেন। ফেইসবুকে বিবৃতি দিতে হবে কেন? সেটা কি মাদরাসা-সংশ্লিষ্টদের ফেইসবুকের প্রতি আকর্ষণের একটি নীরব দাওয়াত হয়ে যাচ্ছে না? যদি অনলাইনেই দিতে হয়, তাহলে সেটা তো নিজস্ব ওয়েবসাইটেও প্রচার করা যেতে পারে। মাদরাসার ছাত্র রেজাউল করিম রাহ. হত্যার পর চারদিক থেকে শোকাহত লোকজনের প্রতিবাদী আওয়াজ ওঠার পর নাকি ফেইসবুকে একটি বিবৃতি এসেছে। কেউ কেউ বলছেন, তাতে নাকি অনেক ব্যক্তিত্বের নামের মাঝে মরহুম রেজাউল করিমের নাম বের করে নেয়া কষ্টকর ছিল। আবার ভিন্ন বিবৃতিতে নিহত ছাত্রটির পরিবারকে টাকা প্রদানের কথাও প্রচার করা হয়েছে। তাতেও দুঃখ লেগেছে অনেকের মনে। এ প্রচারণার কী অর্থ? এমন তো নয় যে আপনারা এক কোটি টাকা দিয়ে দিয়েছেন। ৫০ লক্ষ টাকা দিয়ে দিয়েছেন। এক লাখ টাকা দিয়ে আপনি প্রচার করছেন পুরো দুনিয়া। কোনো অনুদান দিলে তা তো ছেলেটির পরিবারকে নীরবেই দেওয়া যেত। এ ধরনের প্রচারণা কি শোকাহত পরিবারটির জন্য বিব্রতকর ও আরও কষ্টকর নয়?

এখানে আমরা তালেবে ইলমদের প্রতি একটি আহ্বান রাখতে চাই। সেটা হল, এ মুহূর্তে রাজনীতির মাঠ চারদিকে উত্তপ্ত। এসময়ে তালেবে ইলমদের চলা-ফেরায় খুব সতর্ক থাকা দরকার। বিনা প্রয়োজনে মাদরাসা থেকে বের না হওয়া। যে এলাকায় গণ্ডগোল কিংবা দলীয় কর্মসূচি চলছে, সেসব এলাকা থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকা। এসব বিষয়ে সতর্কতা কাম্য। মাদরাসা কর্তৃপক্ষ ও তালেবে ইলম সবারই সতর্ক থাকা দরকার। বুঝতে হবে, এখনকার রাজনীতি মানুষকে মানুষ মনে করে না। নিজেদের ক্ষমতাটাকেই বড় বিষয় হিসেবে ধরে নিয়েছে। তাই নিজেদের সতর্কতা অবলম্বন অতীব জরুরি।

আল্লাহ তাআলা মাদরাসা-সংশ্লিষ্ট সকল স্তরের উলামা-তলাবা-অভিভাবকদেরকে হেফাজত করুন। অন্যদের অনিষ্ট থেকে, ষড়যন্ত্র থেকে এবং অন্যদের আধিপত্যের মুখে পড়া থেকে রক্ষা করুন।

(আল-কাউসার থেকে নেয়া)

The post হাফেজ রেজাউল করিম হত্যার বিচার কি হবে না? appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/crtmC7N

Thursday, August 17, 2023

প্রশ্নফাঁসের গুজব ছড়ালে কঠোর ব্যবস্থা: শিক্ষামন্ত্রী

ফাতেহ ডেস্ক:

গত ৫ বছরে কোনো প্রশ্নফাঁস হয়নি উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, যা হয়েছে তাহলো সামাজিক মাধ্যমে গুজব ছড়ানো। প্রশ্নফাঁসের গুজব ছড়ানো হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) সকাল ১০টায় দেশের ৮ শিক্ষাবোর্ডের অধীনে শুরু হওয়া এইচএসসি পরীক্ষার তেজগাঁও কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ২০১৫ সালের পর প্রশ্নফাঁসের মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি। পরীক্ষা এলেই একটি শ্রেণি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করে। এদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর আছে।

এ ছাড়া ডেঙ্গুতে আক্রান্ত পরীক্ষার্থীর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখার নির্দেশনাও দেন শিক্ষামন্ত্রী।

ডা. দীপু মনি বলেন, করোনা ভাইরাস মহামারি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে গত দুই-তিন বছর আমাদের একাডেমিক ক্যালেন্ডার একটু এলোমেলো হয়েছে। আগামী বছর থেকে এটা ঠিক হয়ে যাবে আশা করি। আগামী বছর আমরা চেষ্টা করব এইচএসসি পরীক্ষা এপ্রিলে এবং এসএসসি পরীক্ষা ফেব্রুয়ারিতে নেয়ার। সে অনুযায়ী ক্লাসে পাঠদান করানো হবে।

এর আগে নির্দেশনা অনুযায়ী পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে প্রায় সব পরীক্ষার্থীই কেন্দ্রে প্রবেশ করেন। আর যারা একটু দেরিতে আসেন, তাদের নাম, রোল নম্বর, প্রবেশের সময় ও বিলম্বের কারণ রেজিস্টারে লিখে নিয়ে প্রবেশ করতে হয়েছে।

প্রথম দিনে বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা হচ্ছে। এবার পুনর্বিন্যাস করা পাঠ্যসূচি অনুযায়ী, একটি বাদে সব বিষয়ে পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণ সময়ে পরীক্ষা হবে। শুধু তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) পরীক্ষা ১০০ নম্বরের পরিবর্তে ৭৫ নম্বরে নেয়া হবে।

The post প্রশ্নফাঁসের গুজব ছড়ালে কঠোর ব্যবস্থা: শিক্ষামন্ত্রী appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/Et7hrX9

Sunday, August 13, 2023

স্যালাইনের অধিক দাম নিলে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি

ফাতেহ ডেস্ক:

ডেঙ্গু চিকিৎসায় রোগীদের বাড়তি খরচের চাপে না ফেলতে বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে অনুরোধ জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। একই সঙ্গে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে কেউ স্যালাইনের অতিরিক্ত দাম নিলে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি।

রোববার (১৩ আগস্ট) দুপুরে মানিকগঞ্জ কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গুর কারণে মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। দুর্ভোগে কেউ সুযোগ নিবেন না। কৃত্রিম সংকট তৈরি করে কেউ স্যালাইনের অতিরিক্ত দাম নিলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

স্যালাইনের সংকট মেকাবিলায় বিদেশ থেকে স্যালাইন আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, জেলা পর্যায়ে রোগী বাড়লেও ঢাকায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি স্থিতাবস্থায় আছে। সবার সহযোগিতা পেলে করোনার মতো ডেঙ্গুকেও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।

শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে স্বাস্থ্য বিভাগের আয়োজনে সারা দেশে একযোগে শুরু হয়েছে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি। আজ দুপুরে মানিকগঞ্জে কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রাঙ্গণে এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

এ সময় দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ, হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রসহ ৫৪০টি প্রতিষ্ঠান ভার্চুয়ালি ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির শুভ সূচনা করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, এই কর্মসূচিতে সারা দেশে স্বাস্থ্য বিভাগের ২০ হাজার প্রতিষ্ঠানে প্রায় আড়াই লাখ গাছ লাগানো হবে। এই কর্মসূচিকে উৎসর্গ করা হয়েছে জাতির জনক ও তার পরিবারের প্রতি।

The post স্যালাইনের অধিক দাম নিলে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/aiIuPeH

Tuesday, August 8, 2023

কাবা চত্বরে না ঘুমাতে ওমরাহযাত্রীদের প্রতি সৌদির অনুরোধ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ওমরাহ করতে আসা যাত্রীদেরকে কাবা চত্বরে না ঘুমানোর অনুরোধ জানিয়েছে সৌদির ওমরাহ ও হজ মন্ত্রণালয়।

রোববার মন্ত্রণালয় থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ (টুইটার) এই অনুরোধ জানিয়ে বলা হয়, ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে পবিত্র স্থান কাবা শরিফের চত্বরে অলস সময় কাটানো বা ঘুমানো এই স্থানটির পবিত্রতা ও শৃঙ্খলা পরিপন্থী। অতএব হে আল্লাহর অতিথিগন (ওমরাহযাত্রীবৃন্দ), আপনাদের প্রতি অনুরোধ, আপনারা কাবা চত্বরের করিডোর, প্রার্থনাকক্ষ, হাঁটার পথ এবং শারীরিকভাবে চলাচলে অক্ষমদের জন্য তৈরি করা গাড়িগুলোর ওপর অলস সময় কাটানো এবং নিদ্রা থেকে বিরত থাকবেন।

এর আগে কাবা শরিফে ভিড় করে দাঁড়িয়ে থাকা এবং ঠেলাঠেলি করতে মুসল্লিদের নিষেধ করেছিল হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়।

চলতি ২০২৩ সালের হজ মৌসুমে হজ আদায় করেছেন ১ কোটি ৮০ লাখ দেশি-বিদেশি হজযাত্রী। করোনা মহামারির ধাক্কা কেটে যাওয়ার পর এই প্রথম এত সংখ্যক মানুষ হজ আদায় করেছেন বলে জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

হজ শেষে জুলাই থেকে শুরু হয়েছে ওমরাহ মৌসুম, থাকবে আরও অন্তত ১০ মাস। এই মৌসুমে অন্তত ১ কোটি দেশি-বিদেশি মুসল্লি ওমরাহ করবেন বলে আশা করছে হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

The post কাবা চত্বরে না ঘুমাতে ওমরাহযাত্রীদের প্রতি সৌদির অনুরোধ appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/oX2OMWj

Tuesday, July 25, 2023

সৌদি আরবে এবার বাধ্যতামূলক হলো ওমরাহ বিমা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

বিদেশি ওমরাহযাত্রীদের জন্য ‘ওমরাহ বিমা’ বাধ্যতামূলক করেছে সৌদি আরব। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ।

সোমবার (২৪ জুলাই) সৌদি সরকারের হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চলতি মৌসুমে ওমরাহ পালনের উদ্দেশে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আগত যাত্রীদের বাধ্যতামূলকভাবে ওমরাহ বিমা বাবদ অতিরিক্ত অর্থ জমা দিতে হবে। এই অর্থের পরিমাণ সর্বোচ্চ ১ লাখ রিয়াল।

ওমরাহ ফি’র সঙ্গেই এই অর্থ জমা দিতে হবে বলেও জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, জরুরি স্বাস্থ্য পরিষেবা, অপ্রত্যাশিত করোনা সংক্রমণ, দুর্ঘটনা, মৃত্যু, ফ্লাইট বাতিল হলে নতুন ফ্লাইটের জন্য টিকেট ক্রয়সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই বিমার সুবিধা পাবেন ওমরাহযাত্রীরা।

এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য জানতে হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দাফতরিক কমিউনিকেশন চ্যানেলগুলোর সহায়তা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে সৌদি সরকার।

এর আগে, সৌদি আরবের নাগরিকরা বিদেশে থাকা তাদের মুসলিম বন্ধুদের ‘ব্যক্তিগত ভিজিট ভিসায়’ পবিত্র ওমরাহ পালনের জন্য আমন্ত্রণ জানাতে পারবেন বলে জানায় হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়।

গেল বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় এক টুইটবার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত করে। এতে বলা হয়, ব্যক্তিগত ভিজিট ভিসা অনলাইনে আবেদন করেও পাওয়া যাবে, যা সিঙ্গেল বা মাল্টিপল এন্ট্রি হতে পারে।

এই ভিসায় সৌদি আরবে গিয়ে বিদেশিরা ওমরাহ পালনের পাশাপাশি মসজিদে নববী পরিদর্শনসহ দেশটির বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রেও ভ্রমণ করতে পারবেন বলে জানানো হয়েছে। ব্যক্তিগত ভিজিট ভিসার জন্য সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভিসা প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আবেদন করা যাবে।

The post সৌদি আরবে এবার বাধ্যতামূলক হলো ওমরাহ বিমা appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/noRY9aT

Wednesday, July 19, 2023

এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশের তারিখ নির্ধারণ

ফাতেহ ডেস্ক:

চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল আগামী ২৮ জুলাই প্রকাশ করা হবে। বুধবার (১৯ জুলাই) ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান তপন কুমার সরকার সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি অনুযায়ী আগামী ২৮ জুলাই ফল প্রকাশ করা হবে। আমরা ২৫ থেকে ২৭ জুলাইয়ের মধ্যে এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশের জন্য প্রস্তাব পাঠিয়েছিলাম। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ২৮ জুলাই ফল প্রকাশের জন্য সময় দিয়ে সম্মতি দিয়েছেন। তাই সেদিনই ফল প্রকাশ করা হবে।

তপন কুমার সরকার বলেন, ৩০ জুলাই এসএসসি পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিন পূর্ণ হবে। সাধারণত দুই মাসের মধ্যে ফল প্রকাশের রেওয়াজ আছে। এবারও এর ব্যত্যয় ঘটবে না। রীতি অনুযায়ী ফলের সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করা হয়। ফল প্রকাশের দিন সকালে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফলের সারসংক্ষেপ তুলে দেন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর সময় অনুমতি চাওয়া হয়। ‌তাই প্রধানমন্ত্রী যে সময় দিয়েছেন সেই তারিখে ফল প্রকাশ করতে হবে।

গত ৩০ এপ্রিল শুরু হয় এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। শেষ হয় ২৮ মে। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশের বিধান রয়েছে।

উল্লেখ্য, এবার ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদরাসা এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডসহ ১১টি শিক্ষা বোর্ডের আওতায় মোট ২০ লাখ ২১ হাজার ৮৬৮ পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে। সারাদেশে ২৯ হাজার ৫৯১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এসব শিক্ষার্থী মোট ৩ হাজার ৭৯০টি কেন্দ্রে পরীক্ষা দেয়।

২০১০ সাল থেকে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে এসএসসি এবং এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয়ে আসছিল। তবে ২০২০ সালে করোনা মহামারির প্রকোপ শুরু হলে সেই ধারাবাহিকতা আর ঠিক রাখা যায়নি। ২০২১ ও ২০২২ সালে পরীক্ষা নেওয়া হয় সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে। ২০২২ সালে বন্যার কারণে এইচএসসি পরীক্ষা আরও পিছিয়ে নভেম্বর মাসে মাসে নেওয়া হয়। এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা মে মাসে নেওয়া হয়। আর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ১৭ আগস্ট শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।

The post এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশের তারিখ নির্ধারণ appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/cRtbOeS

Sunday, July 16, 2023

করোনা আর যুদ্ধে দরিদ্র ১৬ কোটি মানুষ: জাতিসংঘ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

করোনা মহামারি, জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি এবং ইউক্রেনের যুদ্ধ বিশ্বের ১৬ কোটি ৫০ লাখ মানুষকে দারিদ্র্যের দিকে ঠেলে দিয়েছে। সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে জাতিসংঘ এ তথ্য জানিয়েছে।

‘ইউনাইটেড নেশনস ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের’ (ইউএনডিপি) ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অবিলম্বে উন্নয়নশীল দেশগুলোর ঘাড় থেকে বিপুল পরিমাণের ঋণের বোঝা না কমালে আরও বেশি মানুষ দারিদ্রসীমার নিচে বাস করতে বাধ্য হবেন।

এই ১৬ কোটি ৫০ লাখ মানুষ হয় মহামারিতে কোনো না কোনো ভাবে চাকরি বা কাজ হারিয়েছেন। অথবা রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ প্রভাব পড়েছে তাদের ওপর।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বিশ্বের অন্তত সাড়ে সাত কোটি মানুষ মাত্র ২.১৫ ডলারে দিন কাটান। তাদের ‘অতি দরিদ্রের’ তালিকায় রেখেছে জাতিসংঘ।

এছাড়া, আরও অন্তত ৯ কোটি মানুষ এখন দারিদ্রসীমার নিচে বসবাস করছেন। যারা সংসার চালাতে দিনে গড়ে ৩.৬৫ ডলার খরচ করতে পারেন।

প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বিশ্বের অন্তত ৩০০.৩ কোটি মানুষ এমন সব দেশে বসবাস করছেন, যেখানকার সরকার নাগরিকদের স্বাস্থ্য বা শিক্ষা খাতের তুলনায় ঋণ পরিশোধে বেশি অর্থ খরচ করে থাকে।

অবিলম্বে তাই ওইসব দেশের ঋণ পরিশোধ প্রক্রিয়া বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।

The post করোনা আর যুদ্ধে দরিদ্র ১৬ কোটি মানুষ: জাতিসংঘ appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/D4fXRjs

Monday, July 10, 2023

চকৎস বজঞন গবষণয জর দত বললন পরধনমনতর

ফাতেহ ডেস্ক:

দেশে চিকিৎসাবিজ্ঞানে গবেষণার অভাবের বিষয়টি তুলে ধরে এ বিষয়ে জোর দিতে চিকিৎসকদের বিশেষ তাগিদ দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চিকিৎসাবিদ্যার ওপর দেশে গবেষণা না হওয়া অত্যন্ত দুঃখের বলেও আক্ষেপ করেন সরকারপ্রধান।

ঢাকা মেডিকেল কলেজের ৭৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে আজ সোমবার দুপুরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে কথা বলেন। তিনি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাস প্রান্তে আয়োজিত মূল অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি একটু দঃখের কথা বলবো যে, আমাদের চিকিৎসাবিজ্ঞানে গবেষণার খুব অভাব। চিকিৎসাবিজ্ঞানে কিন্তু গবেষণা হচ্ছে না। হাতেগোনা মাত্র কয়েকজন গবেষণা করে থাকেন। বর্তমান যুগে গবেষণা কিন্তু অপরিহার্য। গবেষণার জন্য আমরা বিশেষ অনুদানও দিই। আমরা যে একটা শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট ফান্ড আমরা করেছি এবং প্রধানমন্ত্রী ফেলোশীপের ব্যবস্থাও আমরা করেছি। সেখানেও কিন্তু কেউ এই গবেষণার জন্য আর্থিক সহায়তা ফান্ড পেতে পারেন। আপনারা দয়া করে একটু গবেষণার দিকে দৃষ্টি দেবেন।

প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে প্রতিনিয়ত আধুনিক প্রযুক্তি উদভাবন হচ্ছে পাশাপাশি নানা ধরনের রোগের প্রাদুর্ভাব হওয়ার বিষয়টিও তুলে ধরেন। করোনা ভাইরাস মহামারীর সময় চিকিৎসাসেবা বা ভ্যাকসিন দেওয়া কার্যক্রম নিয়ে চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, আমরা সেবা দিয়েছি। যার ফলে আমাদের দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব হয়েছে কিন্তু মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়নি। আমরা ভালোভাবে মোকাবেলা করতে পেরেছি, যেটা অনেক উন্নত দেশ পারেনি। আমাদের ভূখন্ড ছোট কিন্তু ১৭ কোটি মানুষ, এত মানুষের চিকিৎসাসেবা দেওয়া এবং তাদের কাজ করানো এটা কিন্তু একটা কঠিন দায়িত্ব। সেই কঠিন দায়িত্বগুলো সবাই পালন করে যাচ্ছেন।

চিকিৎসকরা ঢাকার বাইরে থাকতে চান না আর সেটিও দুঃখের বিষয় বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি গ্রাম বা উপজেলা পর্যায়ে যোগাযোগসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা তৈরি হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেন।

সরকারপ্রধান বলেন, ‘দঃখের বিষয় সবাই ঢাকাকেন্দ্রিক বেশি থাকতে চান। ঢাকার বাইরে কেউ থাকতে চান না। এখন কিন্তু আমাদের প্রত্যেকটা গ্রামে বিদ্যুৎ আছে। প্রত্যেকটা গ্রাম পর্যায়ে পর্যন্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা আছে। গ্রাম পর্যায়ে ওয়াইফাই কানেকশন আছে। গ্রামে এখন সব রকমের ব্যবস্থা আছে। আর আমরা সেই সঙ্গে সঙ্গে অনেক উপজেলায় বাসস্থানের ব্যবস্থাটাও করে দিচ্ছি। কাজেই যারা যখনই যে বিষয়ে দায়িত্ব পাবেন তিনি তার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত যদি এই সেবা যাতে নিশ্চিত হয় এতগুলো হাসপাতাল এত চমৎকার জায়গা করে দিয়েছি। আর সেখানে যদি যন্ত্রপাতিগুলোও আরেক জায়গায় পড়ে থাকে, সেগুলোর যথাযথ ব্যবহারও হয় না তা দুঃখের। কাজেই নতুন আধুনিক যে যন্ত্রপাতি আসছে সেগুলো ব্যবহার করার মতো লোক আপনাদের ট্রেনিং দেওয়াতে হবে। প্রয়োজনে দেশে না হোক বাইরের থেকে ট্রেনিং করিয়ে নিয়ে আসতে হবে। সেগুলোর দিকে সবাই একটু দৃষ্টি দেবেন আমি সেটাই চাই।

প্রতিষ্ঠার পর থেকে সবাইকে সেবাদানের ক্ষেত্রে ঢাকা মেডিকেল কলেজ সর্বসেরা মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কাজেই এই মেডিকেল কলেজ আরও উন্নত হোক সেটাই আমি চাই। ভবিষ্যতে যারা নতুন প্রজন্ম আসবে তারা আরও জ্ঞান সম্পন্ন হবে। প্রয়োজনে আমরা দেশে বিদেশেও শিক্ষা দিয়ে নিয়ে আসবো। ট্রেনিং করাবো।’

‘আরেকটা কাজ মনে হয় করা উচিৎ যে আমরা দরজা বন্ধ করে না রেখে পৃথিবীর বিভিন্ন নামী হাসপাতাল থেকে বিভিন্ন বিশেষজ্ঞদের কিছু দিনের জন্য নিয়ে আসতে পারি। তাদের অপারেশন বা তাদের চিকিৎসা পাশে থেকে দেখলে আমাদের অনেক ডাক্তাররা উপকৃত হবেন, শিখতে পারবেন, জানতে পারবেন।

সীমিত আকারে হলেও এই সুযোগ সৃষ্টি করার তাগিদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কিছু বিদেশ থেকে ভালো ডাক্তারদের আনতে পারি। তাতে আমাদের দেশের স্বাস্থ্যসেবার মানটা আরও উন্নত হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’

The post চিকিৎসা বিজ্ঞানে গবেষণায় জোর দিতে বললেন প্রধানমন্ত্রী appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/5HyaBPm

Saturday, June 24, 2023

আজ থক পবতর হজর আনষঠনকত শর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে আজ। ভোরে সৌদি আরবের মক্কা থেকে মিনার উদ্দেশে যাত্রার মধ্য দিয়ে সূচনা হয়েছে ইসলামের অন্যতম এ স্তম্ভের প্রয়োজনীয় কার্যক্রমের।

২৭ জুন আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করে আল্লাহর দুয়ারে নিজেদের উপস্থিতির জানান দেবেন মুসল্লিরা (হজের মূল অনুষজ্ঞ)। সেদিন ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে মুখর হবে ময়দান।

করোনার পর এবার সর্বাধিক মুসল্লি পবিত্র হজ পালন করবেন। সৌদি আরবের গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, বাংলাদেশসহ ১৬০ দেশ থেকে ১৬ লাখ পাঁচ হাজার মুসল্লি হাজির হয়েছেন মক্কায়। এর সঙ্গে সৌদি আরবের আরও চার লাখের বেশি মুসল্লি অংশ নেবেন হজে।

হাজিদের নির্বিঘ্নে হজ পালনের জন্য সৌদি সরকারের পক্ষ থেকে কড়া নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জননিরাপত্তা বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ আল বাসামী শনিবার জানিয়েছেন, দুই লাখ ৩৮ হাজার নিরাপত্তাকর্মী হাজিদের সেবায় প্রস্তুত রয়েছেন।

সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রী ডা. তৌফিক আল রাবিয়া বলেন, এ বছর ৩২ হাজারের বেশি স্বাস্থ্যকর্মী হজযাত্রীদের সেবা দেবেন। গরমসহ নানাবিধ কারণে কোনো হজযাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পর্যাপ্ত পরিমাণ চিকিৎসা কর্মকর্তা নিয়োজিত রয়েছে। মক্কা, মিনা, আরাফাত ময়দান ও মুজদালিফায় বহু অ্যাম্বুলেন্স, অস্থায়ী চিকিৎসাকেন্দ্র ও হেলিকপ্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এসব এলাকার পথে পথে হাজিদের বিভিন্ন তথ্য দিয়ে সহায়তার জন্য বিভিন্ন ভাষার কয়েক হাজার স্বেচ্ছাসেবী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

২০২২ সালে ৯ লাখ ২৬ হাজারেরও বেশি লোক হজ পালন করেছেন। এর আগের বছর প্রায় ৫৯ হাজার জন হজ পালন করেছেন। করোনা মহামারির আগে ২০১৯ সালে প্রায় ২৫ লাখ লোক হজ পালন করেছেন। এবার কোভিড-১৯ বিধিনিষেধ সম্পূর্ণভাবে তুলে নেওয়া হয়েছে এবং বয়সের সীমা বাতিল করা হয়েছে।

বাংলাদেশ থেকে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এক লাখ ২২ হাজার হজযাত্রী সৌদি পৌঁছেছেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১০ হাজার ৩২১ ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এক লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন।

The post আজ থেকে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/vbc2Dqf

Wednesday, June 21, 2023

রজরভ সবসত ফর আসর সমভবন জরল হচছ : পরধনমনতর

ফাতেহ ডেস্ক:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অপ্রয়োজনীয় আমদানি নিরুৎসাহিত করা এবং প্রবাসী আয়ে উৎসাহিত করার মতো বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। ফলে আগামীতে রিজার্ভে স্বস্তি ফিরে আসার সম্ভাবনা জোরালো হচ্ছে।

বুধবার (২১ জুন) জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৩২ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন ডলার। মূল্যস্ফীতির চাপ এবং কোভিড পরবর্তীকালীন চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ২০২১-২২ অর্থবছরে আমদানি বেড়ে যায়। তাই বাংলাদেশের বাণিজ্য ভারসাম্যের ওপর কিছুটা চাপ তৈরি হয়। এ চাপ মোকাবিলা করতে পরবর্তীতে রিজার্ভ কমতে শুরু করে।

তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার মান ধরে রাখতে গিয়ে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ব্যবহার শুরু করে বংলাদেশ ব্যাংক। এর ফলে রিজার্ভের পরিমাণ কমে যাওয়ার হার আরও বেড়ে যায়। সবশেষ ৩১ মে’র হিসাব অনুযায়ী রিজার্ভের পরিমাণ হয়েছে ২৯ দশমিক ৮৭ বিলিয়ন ডলার; যা চার মাসের বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানোর জন্য যথেষ্ট।

এক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের কৃষিবান্ধব নীতি গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ফলে ধান, ভুট্টা, আলু, সবজি ও ফলসহ অন্যান্য ফসলের উৎপাদন ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশ বিশ্বে চাল উৎপাদনে তৃতীয় স্থানে উন্নীত হয়েছে। এছাড়া ২২টি কৃষি পণ্য উৎপাদনে বিশ্বে শীর্ষ ১০ দেশের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, করোনার অভিঘাত মোকাবিলায় দেশের কৃষিখাত অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে। বর্তমান সংকট মোকাবিলায় কৃষি উৎপাদন অব্যাহত রাখতে সচেষ্ট রয়েছে সরকার। উদ্যোগ গ্রহণ করার ফলে প্রায় ৫৫ হাজার হেক্টর পতিত জমি চাষাবাদের আওতায় এসেছে।

The post রিজার্ভে স্বস্তি ফিরে আসার সম্ভাবনা জোরালো হচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/8lTAou0

Tuesday, June 13, 2023

বাংলাদেশকে ৪০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিচ্ছে এডিবি

ফাতেহ ডেস্ক:

অভ্যন্তরীণ সম্পদের ব্যবহার, পাবলিক খাতের উন্নয়ন এবং নারী উদ্যোক্তাদের কর্মক্ষমতা ও আওতা বাড়ানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশকে ৪০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিচ্ছে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি)। মূলত করোনা পরবর্তী সময়ে ২০২১ সালের অক্টোবরে এডিবির চালু করা ‘সাস্টেইনেবল ইকোনোমিক রিকভারি প্রোগ্রাম’র আওতায় বাংলাদেশকে এ ঋণ দিচ্ছে এডিবি।

মঙ্গলবার (১৩ জুন) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ম্যানিলাভিত্তিক সংস্থাটি।

বিজ্ঞপ্তিতে এডিবির দক্ষিণ এশিয়ার প্রিন্সিপাল পাবলিক ম্যানেজমেন্টের অর্থনীতিবিদ আমিনুর রহমান বলেন, এই প্রোগ্রামটি বাংলাদেশকে রাজস্ব বাড়াতে, সরকারি ব্যয় ও পাবলিক প্রকিউরমেন্টে দক্ষতা ও স্বচ্ছতা বাড়াতে এবং রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের সংস্কারে সহায়তা করবে। একই সঙ্গে ক্ষুদ্র ব্যবসা ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ব্যাংকিং খাত থেকে স্বল্প সুদে সাশ্রয়ীভাবে ঋণ পেতে সাহায্য করবে।

এছাড়া এই সাব প্রোগ্রামটি জেন্ডার, জলবায়ু পরিবর্তন ও ডিজিটাইজেশনের ওপর বেশি গুরুত্ব দেয়, যা দেশের দ্ররিদ্র জনপদের আয় বাড়াতে সরকারের প্রচেষ্টাকে আরও জোরদার করতে সহায়তা করবে বলেও মন্তব্য করেন এই অর্থনীতিবিদ।

নতুন এ প্যাকেজটি বাংলাদেশ ব্যাংকের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে চালু করা ডিজিটাল চ্যানেল এবং ই-ওয়ালেট ব্যবহার করে স্বল্পসুদের ক্ষুদ্রঋণ দেয়ার উদ্ভাবনী অর্থায়ন পরিষেবায় সহায়তা করবে বলেও উল্লেখ করেছে সংস্থাটি।

এডিবি আরও জানিয়েছে, এটি প্রান্তিক ও ভূমিহীন কৃষক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং নিম্ন আয়ের মানুষের ব্যাংক ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে। এছাড়া ভূমি ও স্থাবর সম্পত্তিহীন যেসব ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও নারী উদ্যোক্তারা রয়েছেন তারাও তাদের লেনদেনের রশিদ ও অস্থাবর অন্যান্য সম্পত্তি যেমন ক্ষুদ্র যন্ত্রাংশ ও মেশিনারিজের জন্য জামানতের ভিত্তিতে ঋণ নিতে পারবেন।

এ প্রোগ্রামের আওতায় নতুন আয়কর আইনের মাধ্যমে আয়কর সংগ্রহ বাড়বে বলেও জানিয়েছে এডিবি। সংস্থাটির মতে, প্রোগ্রামটি একই সঙ্গে কর আদায়ে বিদ্যমান ফাঁক-ফোকর কমিয়ে আনবে, কর আইন বাস্তবায়নের ব্যবস্থা আরও জোরালো হবে। এছাড়া ইলেকট্রনিক প্রকিউরমেন্ট এবং ইলেকট্রনিক পেমেন্ট সিস্টেমকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে পাবলিক খাতের স্বচ্ছতা ও দক্ষতা বাড়ানো হবে। পাশাপাশি নতুন চালু হওয়া ডিজিটাল পদ্ধতির ব্যবহার করে বিভিন্ন পাবলিক প্রকল্পের অনুমোদন ও মূল্যায়ণ করা সম্ভব হবে বলেও জানিয়েছে এডিবি।

The post বাংলাদেশকে ৪০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিচ্ছে এডিবি appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/L86eUzo

Saturday, June 10, 2023

এবার এমপি পদ থেকে পদত্যাগ ঘোষণা বরিস জনসনের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

২০২২ সালে জুলাই মাসে পার্টি গেট কেলেঙ্কারির জন্য প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এ ঘটনার এক বছর হওয়ার আগেই এবার দেশটির পার্লামেন্টের সদস্য (এমপি) পদ থেকেও পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন বরিস।

পার্টিগেট কেলেঙ্কারির ঘটনায় দেওয়া এক তদন্ত প্রতিবেদনের জেরে শুক্রবার তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দেন বলে এক প্রতিবেদনে জানায় বার্তা সংস্থা বিবিসি নিউজ।

শুক্রবার সকালে প্রিভিলেজেস কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনের একটি অনুলিপি হাতে পান জনসন।

শুক্রবার সন্ধ্যায় দেওয়া এক বিবৃতিতে পদত্যাগের বিষয়ে বরিস জানান, প্রিভিলেজেস কমিটির প্রতিবেদনের কারণে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। ওই তদন্ত প্রতিবেদনে তাঁকে অন্যায়ভাবে এমপি পদ থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।

বরিস দাবি করেন, ওই প্রতিবেদন অসত্য ও পক্ষপাতে পরিপূর্ণ। কমিটি কোন প্রমাণও হাজির করতে সক্ষম হয়নি যাতে প্রমাণ হয় যে, তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে হাউস অব কমনসকে (পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ) বিভ্রান্ত করেছেন।

২০২০–২১ সালে করোনা মহামারি চলাকালীন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বরিস জনসন। সে সময় করোনার বিধিনিষেধ না মেনে তার কার্যালয়ে একাধিক পানাহারের আয়োজন করেন তিনি। এ ঘটনাকেই ‘পার্টি গেট’ কেলেঙ্কারি বলা হয়। এসব অভিযোগকে কেন্দ্র করেই প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন বরিস জনসন।

The post এবার এমপি পদ থেকে পদত্যাগ ঘোষণা বরিস জনসনের appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/6Wpytn5

Saturday, June 3, 2023

হজের সর্ববৃহৎ কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

করোনার পর সর্ববৃহৎ হজের কর্মপরিকল্পনা ঘোষিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১ জুন) এই পরিকল্পনার উদ্বোধন করেন মক্কা ও মদিনার পবিত্র দুই মসজিদের পরিচালনা পর্ষদের প্রধান শায়খ ড. আবদুর রহমান আল-সুদাইস।

এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন— সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রী ড. তাওফিক বিন ফাওজান আল-রবিয়াহ।

শায়খ ড. আবদুর রহমান আল-সুদাইস বলেন, ‘জেনারেল প্রেসিডেন্সি এবার হজ মৌসুমের সর্ববৃহৎ কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। করোনা মহামারির সমাপ্তি ও হজযাত্রীদের স্বাভাবিক অংশগ্রহণের ঘোষণার পর সমন্বিত ব্যবস্থায় সর্বোচ্চ মানের সেবা নিশ্চিত করতে কাজ করছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। ভিশন ২০৩০-এর সঙ্গে মিল রেখে অতীতের সাফল্য ও অভিজ্ঞতার আলোকে সৌদি সরকারের ২০২৪ সালের কৌশলগত লক্ষ্য বাস্তবায়নে এবারের কর্মপরিকল্পনাটি প্রস্তুত করা হয়।’

তিনি বলেন, ১৪ হাজার কর্মীর পাশাপাশি এবার জেনারেল প্রেসিডেন্সির আওতায় হজের মৌসুমে আট হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবী কাজ করবে। তারা পবিত্র দুই মসজিদের ১০টি ক্ষেত্রে দুই লাখের বেশি কর্মঘণ্টা সেবায় নিয়োজিত থাকবে।

মক্কা ও মদিনায় হজযাত্রীদের ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক ভ্রমণের অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জেনারেল প্রেসিডেন্সির আওতায় ৪৯টি স্টেশনের মাধ্যমে বিশ্বের ৫১ ভাষায় হজযাত্রীদের অনুবাদসেবা দেওয়া হবে। তা ছাড়া মসজিদে থাকবে কোরআন পাঠ, মুখস্থ ও শিক্ষাবিষয়ক প্রগ্রামের ব্যবস্থা। সৌদির শীর্ষ আলেমদের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত ৩৫ হাজার ঘণ্টার প্রগ্রাম ১০ ভাষায় সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।

The post হজের সর্ববৃহৎ কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/txbVDpX

Sunday, March 19, 2023

রমজানে তারাবি পাচ্ছেন না হাফেজগণ

যুবাইর ইসহাক

দরজায় কড়া নাড়ছে রমজান। এ সময়ে অন্যদের মতো হাফেজদেরও ব্যস্ততা বেড়েছে। তাদের অনেকে তারাবির জন্য মসজিদ ঠিক করছেন, তারাবির প্রস্তুতি নিচ্ছেন।  রমজানের তারাবি হাফেজদের জন্য সুবর্ণ সুযোগ। তারাবির মাধ্যমে হাফেজরা সারা বছরের তেলাওয়াতের ঘাটতি কাটিয়ে ওঠেন।

তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অনেক হাফেজ তারাবি পাচ্ছেন না। আগে তারাবি পড়ালেও বর্তমানে তারাবির বাইরে থেকে যাচ্ছেন তারা। হাফেজদের তুলনায় পর্যাপ্ত মসজিদে খতমে তারাবি না হওয়ার পাশাপাশি স্বজনপ্রীতিসহ নানান কারণ উল্লেখ করেছেন হাফেজগণ। ফাতেহের কাছে তুলে ধরেছেন ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা।


কেন তারাবি হচ্ছে না?

হাফেজ মাওলানা মামনূন মারজান। বর্তমানে কওমি ধারার উচ্চমাধ্যমিক স্তরের একটি মাদরাসায় শিক্ষকতা করছেন। হিফজ শেষ করেছেন ১২ বছর আগে। এরপর থেকে নিয়মিত খতমে তারাবি পড়িয়ে আসছিলেন। কিন্তু দুই হাজার বিশ ও বাইশ সালে তার তারাবির পড়ানো হয় নি। এবার এখনো তারাবির ব্যাপারে নিশ্চিত নন।

তারাবি না হওয়া প্রসঙ্গে তিনি ফাতেহকে জানান, ‘আমাদের দেশে এখন হাফেজের সংখ্যা অনেক। প্রতি বছর নতুন অনেকে হিফজ শেষ করে বের হচ্ছেন। কিন্তু সে অনুপাতে মসজিদগুলোতে খতমে তারাবি হচ্ছে না। বিশেষ করে, করোনার পর সে সংখ্যা আরো কমে গেছে। আগে অনেক জামে মসজিদে খতমে তারাবি হলেও এখন তারা নিজেদের ইমাম দিয়ে সুরা তারাবি আদায় করেন।’

মামনূন মারজান সহজে তারাবির না পাওয়ার ব্যাপারে মসজিদ কমিটির সমস্যার কথাও উল্লেখ করেন। তিনি জানান, ‘ অনেক মসজিদে কমিটির  প্রভাবশালীরা নিজেদের পরিচিত হাফেজ রাখতে চান। কখনো এ নিয়ে তাদের মধ্যে মতবিরোধও দেখা দেয়। ফলে বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা থেকে বাঁচতে খতমে তারাবি বন্ধ হয়ে যায়।’

হাফেজ মাওলানা উবায়দুল্লাহ তাসনিম প্রতি বছর নতুন হাফেজ বের হচ্ছে, একে ইতিবাচক চিত্র হিসেবেই দেখেন। তবে তাদের তারাবি না হওয়ার পেছনে স্বজনপ্রীতিকে উল্লেখ করেন। তার মতে, তারাবি দিন দিন চাকরির বাজারের মতো হয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘প্রভাবশালী আত্মীয়-স্বজন না থাকলে যেমন চাকরি হয় না, এখন দেখা যাচ্ছে, আত্মীয়-স্বজন না থাকলে তারাবিও হয় না।’  বিপরীতে যাদের হচ্ছে, অনেক ক্ষেত্রেই তাদের সাপোর্টার অথবা আত্মীয়স্বজনের সুবাদে সুযোগ মিলছে।  মানে, ব্যাপারটা পুরো চাকরির বাজারে পরিণত হয়েছে।’ 

হাফেজ মাওলানা ফয়সল আহমদ হাফেজ বৃদ্ধির পাশাপাশি মসজিদের নিয়মিত ইমাম ও মুসল্লিদের অনীহার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘অনেক ইমাম সাহেব মসজিদে খতমে তারাবি চান না। এতে রমজানে তার সুযোগ কমে যায়। অবশ্য এ সংখ্যা নগন্য। পাশাপাশি অনেক মসজিদে বৃদ্ধ মুসল্লিদের কথা ভেবে খতমে তারাবির আয়োজন করা হয় না। আবার কোনো কোনো দরিদ্র এলাকায় মুসল্লিগণের জন্য হাদিয়া দেওয়া কষ্টকর হয়ে পড়ে। তাই তারা খতমে তারাবি পড়তে চান না।’

হাফেজ জাকির সোহরাব হাফেজের আধিক্যতা ও স্বজনপ্রীতির পাশাপাশি কমিটির চাহিদার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘কমিটির চাহিদা থাকে বেশি। দেখা যায়, বর্তমানে খুব ছোটবেলায় ছাত্ররা হিফজে ভর্তি হয়ে দশবারো বা তারচেয়েও কম বয়সে হাফিজ হয়ে যায়। এ বয়সে দাড়ি না থাকা বা গায়েগতরে একটু কমজোর হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু এটা কমিটির প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়।”হাফিজ সাহেব তো ছোট! দাড়ি নেই। পড়াতে পারবেন তো?” তারা আরো নানান যুক্তি দেখান।’

তারাবি না পড়ানোর ক্ষতি 

মাওলানা মারজান মনে করেন, তারাবি পড়ানোর ফলে সারা বছর নিয়মিত তেলাওয়াত না করায় যে ঘাটতি সৃষ্টি হয়, সেটা কাটিয়ে উঠা যায়। তারাবির জন্য প্রস্তুতি নিলে হিফজের দুর্বলতা কেটে যায়। বিপরীতে তারাবি না হলে  সে সুযোগ হয়ে উঠে না। ফলে হিফজ দুর্বল হতে থাকে। 

উবায়দুল্লাহ তাসনিম বলেন, ‘সবচে’ বড় সমস্যা আমার কাছে যা মনে হয়, তারাবি না হওয়ায় আমরা কুরআন নাজিলের মহিমান্বিত মাসেও কুরআন তিলাওয়াতের সাথে জুড়তে পারি না।  আলসেমি বা দুনিয়ার নানা জঞ্জালে পড়ে বলতে গেলে সারা বছর আমাদের কুরআন তিলাওয়াতের সাথে সম্পৃক্ততা থাকে না। রমজানই যা ভরসা। দেখা যায়, তারাবি না হলে এ মাসেও খুব একটা তেলাওয়াত হয় না’

ফয়সল আহমদ তেলাওয়াতের ঘাটতির পাশাপাশি সামাজিক তাচ্ছিল্যের বিষয়টিও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘অনেক সময় যে হাফেজ সাহেবদের তারাবি হয় না, তাদেরকে সমাজে কিছুটা ছোট করে দেখেন।’

জাকির সোহরাবের মতে, ‘ মুখস্থ শক্তির হ্রাস পায়, এটি প্রধান সমস্যা। এক বছর তারাবি না পড়ালে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়, তা পরবর্তী বছর তারাবি পড়াতে গেলে বুঝা যায়। হিফজ শেষ করে হাফিজ সাহেবরা কেউ কেউ কিতাব বিভাগে অধ্যায়নে যান। কেউ কেউ অন্যান্য পেশায় নিজেকে জড়িয়ে নেন। এ কারণে কোরআন শরিফের পেছনে প্রয়োজন অনুযায়ী মেহনত করা হয় না। এছাড়া তারাবি না হলে আশেপাশের লোকদের খোঁচানো, কটু কথায় রীতিমতো মানসিক অশান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।’

সমাধান কি সম্ভব? 

মামনূন মারজান মনে করেন, প্রত্যেক জামে মসজিদে যথাসম্ভব খতমে তারাবির আয়োজন করতে হবে। যেসব মসজিদে হাদিয়ার কারণে তারাবি হয় না, সেক্ষেত্রে তিনি হাফেজদের অর্থনৈতিক মানসিকতা থেকে বের হয়ে আসার কথা বলেন। হাফেজ নিয়োগে অধিকতর স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে, তিনি এ বিষয়েও জোর দেন।

ফয়সল আহমদ বলছেন, তারাবির ক্ষেত্রে দুয়েকজন হাফেজ নির্ধারণ না করে তিনচার জন হাফেজ নিয়োগ দিলে তারাবি না পাওয়া হাফেজের সংখ্যা অনেক কমে আসবে। তাছাড়া যে এলাকায় হাদিয়ার জটিলতায় তারাবি হচ্ছে না, তারা যদি আগে বলে হাদিয়া ছাড়া পড়াতে রাজি এমন হাফেজ নিয়োগ নেন, তাহলে সেখানেও তারাবি আয়োজন সম্ভব। তবে নিয়োগের ক্ষেত্রে কমিটির মধ্যে স্বচ্ছতা থাকা জরুরি।

তারাবির বাইরে থাকা হাফেজগণ তারাবিতে ফিরতে চান। তারা রমজান মাসে নিজেকে কুরআন তেলাওয়াত ও কুরআনের খেতমতে ব্যস্ত রাখতে আগ্রহী। তারাবি না হলে হাফেজরা ভুগেন নানাবিধ সামাজিক-ব্যক্তিগত জটিলতায়।

The post রমজানে তারাবি পাচ্ছেন না হাফেজগণ appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/wNf3PuO

Saturday, February 25, 2023

বাংলাদেশি হাজিদের বিমানভাড়া এত বেশি কেন?

মুনশী নাঈম:

প্রতি বছর বাড়ছে হজে যাওয়ার খরচ। বিমান ভাড়াসহ সব খরচ মিলিয়ে চলতি বছর হজ প্যাকেজ ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় ১ লাখ ৫৫ হাজার ৬৭৫ টাকা বেশি। এর মধ্যে গত বছরের চেয়ে চলতি বছর বিমানের ভাড়াই বেড়েছে ৫৮ হাজার টাকা। গত চার বছরে হজ প্যাকেজের মূল্য বেড়েছে ৩ লাখ ৩৮ হাজার টাকা। আর ২০১৭ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বিমান ভাড়া বেড়েছে ৭৯ হাজার ২৬৩ টাকা। এই ভাড়া গত বছরের চেয়ে বেড়েছে ৫৮ হাজার টাকা।

হাব ও হজ এজেন্সিগুলো বলছে, সরকার চাইলে বিমান ভাড়া আরও কমাতে পারতো। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে হজের ভাড়া কম। দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে তারা ভর্তুকি দেয়। না হলে অন্তত যা খরচ হয় সেই ভাড়া নির্ধারণ করে। কিন্তু বাংলাদেশে রাষ্ট্রায়ত্ত এয়ারলাইন্স বিমান এককভাবে অতিরিক্ত মুনাফায় ভাড়া প্রস্তাব করে। সারা বছর লোকসান কমায় হজের মৌসুমে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে। হজ ফ্লাইট থেকে বিমান ৮০-১৫০ কোটি টাকা পর্যন্ত মুনাফা করে। বিমানের আয়ের ১৫ শতাংশ হয় হজ ফ্লাইট থেকে।

জানা গেছে, চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে হজ করতে যাবেন ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন। তাদের বহন করবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, সৌদি আরবের সৌদি ও ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স। বিমান ৫০ শতাংশ যাত্রী বহন করবে। বিমানের প্রস্তাবিত ভাড়ার ভিত্তিতে ভাড়া নির্ধারণ করে ধর্ম মন্ত্রণালয়। চলতি বছর ভাড়া ৭০ হাজার টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব দেয় বিমান। এর প্রেক্ষিতে ৫৮ হাজার টাকা বৃদ্ধি করে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

বিমান কর্তৃপক্ষের দাবি

বিমান কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সাধারণ ফ্লাইটের চাইতে হজ ফ্লাইটে খরচ অনেক বেশি হয়। ফ্লাইট এমনভাবে পরিচালনা করা হয় যেখানে সাধারণত অন্যান্য যাত্রীদের নেয়া হয় না। হজ ফ্লাইটে যাত্রীদের সৌদি নামিয়ে খালি ফিরতে হয়, অন্যদিকে আনতে যাওয়ার সময়ও যেতে হয় খালি। তাদের হিসেবে যেহেতু যাত্রীপ্রতি চারবার বিমান উড্ডয়ন করা হচ্ছে সেহেতু ভাড়া সর্বোচ্চ দ্বিগুণ হয়।

তবে প্রতিবেশী দেশ ভারতে হজের সাধারণ সময়কার সমানই বিমান ভাড়া নেয় হাজিদের থেকে। বাংলাদেশের তুলনায় দেশটি থেকে হজে বেশি সংখ্যক মানুষ যান। ইন্দোনেশিয়া এবং পাকিস্তানেও ভাড়া নেয়া হয় অন্যান্য সময়ের মতোই।

দ্বিগুণ ভাড়া কেন নেয়া হয় জানতে চাইলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ কর্মকর্তা শাকিল মিরাজ এ প্রশ্নের জবাবে ফাতেহকে বলেন, ‘বিমান বাংলাদেশ অন্যান্য দেশের এয়ারলাইন্স প্রতিষ্ঠানগুলোর তুলনায় ভিন্ন। কারণ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং সৌদি এয়ারলাইন্স হাজিদের জন্য সরাসরি ফ্লাইটের ব্যবস্থা করে। এর মানে হলো ফ্লাইটগুলো কোথাও ট্রানজিট নেয় না। তবে ভারতীয় এবং ইন্দোনেশিয়ার হাজিরা এ সুবিধা পান না। যখন কোনো বিমান ট্রানজিট নেয় তখন সেটি গন্তব্যে পৌঁছাতে চার থেকে ছয় ঘণ্টা বেশি সময় নেয়। এটা হাজিদের ভোগান্তিতে ফেলে। আর বাংলাদেশ থেকে হজে যাওয়ার ব্যক্তিরা অন্যান্য দেশের হাজিদের তুলনায় বেশি বয়স্ক থাকেন। এছাড়া চলতি বছর জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টি তো আছেই। এ কারণেই মূলত এ বছর এত বেশি ভাড়া রাখতে হয়েছে।’

বিশেষজ্ঞরা বলছেন ‘কমানো যেতে পারতো’

এয়ারলাইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিমানের খরচ অনেকটা কমানো যেতে পারে। কিভাবে কমানো যেতে পারে তা উল্লেখ করে বাংলাদেশ বিমানের সাবেক পরিচালক নাফিস উদ্দিন ইমতিয়াজ বলেন, ফ্লাইটগুলোকে এয়ারপোর্টকে টাকা দিতে হয় সেখানে কতজন যাত্রী রয়েছেন তা এবং ওজনের ওপর নির্ভর করে। কিন্তু হজ ফ্লাইটের চারবার যাত্রার দুইবারেরই যাত্রী থাকছে না। এছাড়া যাত্রীরা টার্মিনাল ব্যবহার করায়ও যে ফি বিমানবন্দরকে দিতে হয় তাও দিতে হচ্ছে না দুইবার। এছাড়া হজ ফ্লাইটগুলো পরিচালনার জন্য বিমানবন্দরে বিমান তেমন হ্যাংগিং অবস্থায় রাখার দরকার না হওয়ায় এক্ষেত্রেও বেশকিছুটা টাকা বেঁচে যায় এয়ারলাইনগুলোর। এতক্ষেত্র থেকে টাকা বেঁচে যাওয়ায় সৌদি কর্তৃপক্ষকে হজ র‌য়্যালটি ফি দিতে হলেও স্বাভাবিক হিসেবই বলছে বিমান চাইলে যাত্রীপ্রতি অন্তত ২৫ হাজার টাকা কমাতে পারে বিমান কর্তৃপক্ষ।

ট্র্যাভেল এজেন্সিদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ট্র্যাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশের (আটাব) নেতৃবৃন্দ প্রধানমন্ত্রীর কাছে দেওয়া লিখিত আবেদনে বলেছেন, হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া এবার অনেক বেশি ধরা হয়েছে। সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রায় প্রত্যেক হজযাত্রীর ব্যয় হবে ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৫ টাকা। পাশাপাশি পশু কোরবানির জন্য ন্যূনতম খরচ হবে ২৮ হাজার ৩৯০ টাকা। গত বছর কোরবানির খরচ ছিল ১৯ হাজার ৬৮৩ টাকা। এ বছর বেড়েছে ৮ হাজার ৭০৭ টাকা। ফলে গত বছরের তুলনায় এবার খরচ বেড়েছে ১ লাখ ৭০ হাজার ৫৭২ টাকা। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীদের জন্য সর্বনিম্ন প্যাকেজমূল্য ৬ লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা নির্ধারণ করেছে হাব। এর সঙ্গে কোরবানির খরচ যুক্ত হবে। এ বছর হজযাত্রী বিমানভাড়া ধরা হয়েছে ১ লাখ ৯৭ হাজার ৭৯৭ টাকা, যা গত বছর থেকে ৫৭ হাজার ৭৯৭ টাকা বেশি। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে হজের ব্যয় বেড়েছে ৩ লাখ ৩৮ হাজার ১৫ টাকা। যদিও এ বছর সৌদি সরকার হজের আনুষঙ্গিক ব্যয় কমিয়েছে। বিমানভাড়া যৌক্তিক পর্যায়ে নির্ধারিত করা হলে হজযাত্রীদের আর্থিক ও মানসিক চাপ অনেকটাই হ্রাস পাবে।

এ বিষয়ে আটাবের মহাসচিব আব্দুস সালাম আরেফ ফাতেহকে বলেন, এ বছর হজে খরচ অনেক বেশি ধরা হয়েছে। আগে যেখানে প্রিমিয়াম প্যাকেজের যাত্রীরা ৬-৭ লাখ টাকায় যেতেন, এবার সেখানে সাধারণ প্যাকেজেই খরচ পড়বে ৭ লাখ টাকা। বিশেষ করে বিমানভাড়া অত্যধিক বেশি ধরা হয়েছে। এজন্য হজযাত্রীরা অনেকেই মত পরিবর্তন করেছেন। তারা হজে যেতে পারবেন না বুঝতে পেরে এখন ওমরায় যাচ্ছেন। এ জন্য ওমরাহ যাত্রী এখন অনেক বেড়ে গেছে। হজে বিমানভাড়া সর্বোচ্চ ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা হতে পারত। কিন্তু প্রায় ৩৮ হাজার টাকা বেশি নেওয়া হচ্ছে। হজে খরচ এত বেশি ধরায় এবার ৩০ হাজারের বেশি হজযাত্রী পাওয়া যাবে না বলেও তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম গণমাধ্যমকে বলেছেন, করোনার আগে যারা হজে যাওয়ার আশায় প্রাক-নিবন্ধন করেছিলেন তাদের বাজেটে টান পড়েছে। তারা যে বাজেটে হজে যাওয়ার টার্গেট করে রেখেছিলেন তার প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে এবারের হজ প্যাকেজ ও বিমানভাড়া। ২০১৯ সালের তুলনায় এই ২০২৩ সালে হজের মাথাপিছু ব্যয় বেড়েছে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকা। সৌদি আরব হজের খরচ না বাড়ালেও টাকার সঙ্গে ডলার ও রিয়ালের বিনিময় হার বেড়েছে। এর চাপ এসে পড়েছে প্যাকেজে। তবে প্রধানমন্ত্রী যদি বিমানভাড়া কমানোর ব্যবস্থা নেন, তাহলে সংগতি হীন হজযাত্রীদের জন্য হজ করার পথ সুগম হতে পারে। হজযাত্রীরা অনেক উপকৃত হবেন এবং তার জন্য দোয়া করবেন।

The post বাংলাদেশি হাজিদের বিমানভাড়া এত বেশি কেন? appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/tlK2nFg

Tuesday, February 21, 2023

১৪ দিনে হজযাত্রী নিবন্ধন হয়েছে মাত্র সাত শতাংশ!

ফাতেহ ডেস্ক:

করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় বাংলাদেশ থেকে এবার পূর্ণ কোটা এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন পবিত্র হজ পালনের সুযোগ পাচ্ছেন। এ জন্য গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে হজযাত্রীদের চূড়ান্ত নিবন্ধন শুরু হয়েছে। শেষ হবে আগামীকাল ২৩ ফেব্রুয়ারি। কিন্তু গত ১৪ দিনে মাত্র ৮ হাজার ৮২৭ জন নিবন্ধন করেছেন। অর্থাৎ মোট হজযাত্রীর মাত্র সাত শতাংশ নিবন্ধন হয়েছে।

এ বছর এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন পবিত্র হজ পালনের সুযোগ পাচ্ছেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় যেতে পারবেন ১৫ হাজার। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ এজেন্সির মাধ্যমে যেতে পারবেন এক লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন। কোনো ব্যক্তিকে হজে যেতে এখন প্রাক-নিবন্ধন ও নিবন্ধন দু’টি ধাপ পার হতে হয়। প্রাক-নিবন্ধন সারা বছরই চলে। ৩০ হাজার টাকা দিয়ে প্রাক-নিবন্ধন করা যায়। হজের আগে প্রাক-নিবন্ধিত ব্যক্তিকে চূড়ান্ত নিবন্ধন করতে হয়। এ বছর ইতোমধ্যে সৌদির সাথে বাংলাদেশের হজচুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। হজে সৌদি অংশে যে খরচ রয়েছে তাও জানিয়ে দিয়েছে সৌদি।

হজের পাঁচ দিনে মিনা, আরাফাহ ও মুজদালিফায় মোয়াল্লেমের সেবার ভিত্তিতে চারটি ক্যাটাগরি করা হয়েছে। সর্বনিম্ন ডি ক্যাটাগরির জন্য পাঁচ দিনে খরচ ধরা হয়েছে এক লাখ ৩৬ হাজার ১৩০ টাকা, সি ক্যাটাগরির জন্য এক লাখ ৬০ হাজার ৬৩০ টাকা, বি ক্যাটাগরির জন্য খরচ হবে দুই লাখ ২৪ হাজার ৬২১ টাকা এবং এ ক্যাটাগরির জন্য খরচ ধরা হয়েছে দুই লাখ ৯০ হাজার ৯৩০ টাকা। এ বছর আগেভাগেই হজের কার্যক্রম শুরু করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। গত ১ ফেব্রুয়ারি সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যেতে খরচের প্যাকেজ ঘোষণা করেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী। তিনি জানান, এ বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যেতে একটি মাত্র প্যাকেজে খরচ হবে ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৫ টাকা। এর সাথে কোরবানির খরচ ২৮ হাজার ৩৯০ টাকা যুক্ত হবে। যাতে হজযাত্রীরা সি ক্যাটাগরির সুবিধা পাবেন। গত বছরের তুলনায় এবার খরচ বেড়েছে এক লাখ ৭০ হাজার ৫৭২ টাকা।

বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যেতে সর্বনিম্ন খরচ ৬ লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা ঘোষণা করেছে বেসরকারি এজেন্সি মালিকদের সংগঠন হাব। এ বছর চূড়ান্ত নিবন্ধনও শুরু হয়েছে আগেভাগেই। গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে হজের নিবন্ধন শুরু হয়।

ধর্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে আগামীকাল ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এ নিবন্ধন চলবে। কিন্তু গতকাল একুশে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গত ১৪ দিনে মাত্র আট হাজার ৮২৭ জন নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পাঁচ হাজার ছয় জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় করেছেন মাত্র তিন হাজার ৭২১ জন।

হজ এজেন্সি মালিকরা বলছেন, হজের খরচ বেড়ে যাওয়ায় মানুষের জন্য ব্যয় মেটানো কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। এজন্য যারা প্রাক-নিবন্ধন করেছেন তাদের অনেকেই এত টাকা খরচ করে হজে যেতে চাচ্ছেন না। তারা এখন ওমরাহ পালনে যেতে চাচ্ছেন। এ কারণে এখন ওমরাহ যাত্রী অনেক বেড়ে গেছে।

The post ১৪ দিনে হজযাত্রী নিবন্ধন হয়েছে মাত্র সাত শতাংশ! appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/NH1oc70

Saturday, February 18, 2023

ছয় মাসে ৫০ লাখ মুসল্লির ওমরা পালন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

চলতি হিজরি বর্ষের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৫০ লাখ মুসল্লি ওমরাহ পালনের উদ্দেশে সৌদি আরব গিয়েছেন। চলতি ওমরাহ মৌসুমে সৌদির আকাশ, স্থল, সমুদ্র পথ দিয়ে ৪৮ লাখ ৪০ হাজার ৭৬৪ জন ওমরাহযাত্রী সৌদি যান। ১৪ ফেব্রুয়ারি এক বিবৃতিতে দেশটির হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানায়। খবর আরব নিউজের।

গত বছর ৩০ জুলাই থেকে ওমরাহ মৌসুম শুরু হয়। এর পর থেকে গত ছয় মাসের বেশি সময়ে অর্ধকোটি লোক ওমরাহ পালন করেন। তাঁদের মধ্যে ৪২ লাখ ৫৮ হাজার ১৫১ জন মুসল্লি নিজ দেশের উদ্দেশে ফিরে গেছেন। বর্তমানে সৌদিতে পাঁচ লাখ ৮২ হাজার ৬১৩ জন অবস্থান করছেন।

ওমরাহযাত্রীদের মধ্যে বিমানযোগে ৪৩ লাখ ২৯ হাজার ৩৪৯ জন, স্থলবন্দর দিয়ে পাঁচ লাখ সাত হাজার ৪৩০ জন এবং সমুদ্রপথ দিয়ে তিন হাজার ৯৮৫ জন সৌদি প্রবেশ করেন। ওমরাহযাত্রীদের মধ্যে মদিনার প্রিন্স মোহাম্মদ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট দিয়ে যান ১৩ লাখ ৫১ হাজার ৭৩১ জন এবং ইয়ানবু অঞ্চলের প্রিন্স আবদুল মুহসিন বিন আবদুল আজিজ এয়ারপোর্ট দিয়ে যান ১১ হাজার ১৩২ জন।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। এবার বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন।

করোনার আগে ২০১৯ সালে ২৫ লাখের বেশি মুসল্লি পবিত্র হজ পালন করেন। করোনার দুই বছর কঠোর বিধি-নিষেধ মেনে সীমিতসংখ্যক লোক হজ পালন করেন। এরপর ২০২২ সালের ৩০ জুন হজ পালন করেন বিশ্বের ১০ লাখ লোক।

The post ছয় মাসে ৫০ লাখ মুসল্লির ওমরা পালন appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/LbS4Hqw

Wednesday, February 15, 2023

হজের পাহাড়সম খরচ কমাতে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি

ফাতেহ ডেস্ক:

সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ যাত্রায় প্রত্যেক হজ যাত্রীর ছয় লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা ব্যয় হবে। গত বছরের তুলনায় খরচ সর্বোচ্চ এক লাখ ৬১ হাজার ৮৬৮ টাকা বেড়েছে। পাশাপাশি কোরবানি ছাড়া বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ যাত্রীদের জন্য প্যাকেজ মূল্য ৬ লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা নির্ধারণ করেছে হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)। হজে যাওয়ার প্লেন ভাড়া কমিয়ে হজের প্যাকেজ আরও সহনীয় পর্যায়ে আনতে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছে এয়ার টিকিট বিক্রেতা ট্রাভেল এজেন্সিরা।

মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ট্রাভেল এজেন্সিদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশের (আটাব) সভাপতি এস এন মঞ্জুর মোর্শেদ গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি নিজেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর চিঠিটি পাঠিয়েছেন। চিঠিটি ইতোমধ্যে গ্রহণ করেছে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের ডাল গ্রহণ ও বিতরণ শাখা।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুসারে ২০১৫ সালে হজের সর্বনিম্ন খরচ ছিল ২ লাখ ৯৬ হাজার ২০৬ টাকা। ২০১৬ সালে ৩ লাখ ৪ হাজার টাকা, ২০১৭ সালে লাখ ১৯ হাজার টাকা, ২০১৮ সালে ৩ লাখ ৩১ হাজার টাকা, ২০১৯ সালে ৩ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। করোনা মারামারির কারণে ২০২০ ও ২০২১ সালে বাংলাদেশ থেকে হজে যাওয়া পুরোপুরি বন্ধ ছিল। ২০২২ সালে হজ প্যাকেজের মূল্য ছিল ৫ লাখ ২৭ হাজার ৩৪০ টাকা এবং ২০২৩ সালে ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হিসেবে বিবেচনায় নিলে, ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে হজের ব্যয় বেড়েছে ৩ লাখ ৩৮ হাজার ১৫ টাকা। এই বছর সৌদি সরকার হজের আনুষঙ্গিক ব্যয় কমিয়েছে। গত ২০১৭ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ৬ বছরে হজ যাত্রীদের নির্ধারিত বিমান ভাড়া ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ২০২৩ সালে নির্ধারিত বিমান ভাড়া পূর্বের তুলনায় প্রায় ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে।

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, বিমান ভাড়া বৃদ্ধি পাওয়ায় স্বাভাবিকভাবে হজের প্যাকেজের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে সৌদি রিয়ালের মূল্য হিসেব করে সৌদি আরবের খরচ নির্ধারণ করা হলেও হজের সময় রিয়ালের মূল্য টাকার বিনিময় মূল্যের হার বৃদ্ধি পাবে বলে সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া সারাবিশ্বে আর্থিক মন্দার কারণে যে ডলার সংকট বিরাজ করছে, তার প্রস্তাব হজ যাত্রীদের আর্থিক চাপ আরও বৃদ্ধি পাবে এবং ভবিষ্যতে এর ধারা অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশ থেকে হাজীরা হজ করতে যাওয়ার সামর্থ্য হারিয়ে ফেলবেন। বিমান ভাড়া যৌক্তিক পর্যায়ে নির্ধারিত করা হলে হজ যাত্রীদের আর্থিক ও মানসিক চাপ অনেকটাই হ্রাস পাবে।

এমতাবস্থায়, ২০২৩ সালে হজের প্যাকেজে উল্লেখিত বিমান ভাড়া হ্রাসসহ প্যাকেজ মূল্য পুনর্বিবেচনা করতে হাজীদের অর্থ- কষ্ট লাঘব করার জন্য বিশেষভাবে আবেদন জানাচ্ছি, বলে উল্লেখ করা হয় চিঠিতে।

The post হজের পাহাড়সম খরচ কমাতে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/G4W1NfC

Monday, February 13, 2023

৬ মাসে দেশে সোয়া কোটি কমেছে ফেসবুক ব্যবহারকারী

ফাতেহ ডেস্ক:

করোনা মহামারির সময় লকডাউনের ঘরবন্দি দিনগুলোতে বাংলাদেশে হু হু করে বেড়ে যায় ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা। তবে গত ছয় মাসে তা অনেকটাই কমেছে। সামাজিক মাধ্যম ব্যবস্থাপনার পোল্যান্ডভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম নেপোলিয়নক্যাটের সাম্প্রতিক এক জরিপ বলছে, ২০২২ সালের জুলাই মাসের পর থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত ছয় মাসে দেশে ফেসবুক ব্যবহারকারী কমেছে প্রায় সোয়া কোটি।

জরিপ অনুযায়ী, গত বছরের জুলাই মাসে দেশে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল প্রায় পাঁচ কোটি ৮৯ লাখ ৪৩ হাজার ৪০০ জন। এ বছরের জানুয়ারিতে এ সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে চার কোটি ৬৫ লাখ ৪৮ হাজার ৩০০ জনে। এ হিসাবে ছয় মাসে বাংলাদেশে প্রায় এক কোটি ২৪ লাখ (২১ শতাংশ) ফেসবুক ব্যবহারকারী কমেছে।

নেপোলিয়নক্যাট বলছে, জানুয়ারিতে যে চার কোটি ৬৫ লাখ ৪৮ হাজার ৩০০ জন ফেসবুক ব্যবহারকারী তা দেশের মোট জনসংখ্যার ২৬ দশমিক ৬ শতাংশ। যেখানে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের মধ্যে পুরুষ ৬৭ দশমিক ৯ শতাংশ। এছাড়া ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সীদের মধ্যে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা দুই কোটি পাঁচ লাখ।

ফেসবুক ব্যবহারের ক্ষেত্রে ২৫ থেকে ৩৪ বছর বয়সীদের নারী-পুরুষের মধ্যে সংখ্যাগত ব্যবধান সবচেয়ে বেশি। যেখানে পুরুষ ব্যবহারকারী রয়েছেন এক কোটি এক লাখ।

নেপোলিয়নক্যাট মূলত ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম ও লিঙ্কডইনসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার তথ্য বিশ্লেষণ করে। তবে ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা বাংলাদেশে বর্তমানে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা কত, সে তথ্য প্রকাশ করেনি।

ফেসবুকের পাশাপাশি গত ছয় মাসে দেশে মেটার অন্য দুই প্ল্যাটফর্ম ইনস্টাগ্রাম ও মেসেঞ্জারেও ব্যবহারকারীর সংখ্যা কমেছে। এসময়ে ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারী ৬ লাখ ৭০ হাজার আর মেসেঞ্জার ব্যবহারকারীর সংখ্যা এক কোটিরও বেশি কমেছে।

এছাড়া বাংলাদেশে দ্রুত কমছে লিঙ্কডইন ব্যবহারকারীর সংখ্যাও। এ প্ল্যাটফর্মে গত ডিসেম্বরে ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ৫০ লাখ। এরপর মাত্র এক মাসের ব্যবধানে জানুয়ারিতে তা কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখে।

The post ৬ মাসে দেশে সোয়া কোটি কমেছে ফেসবুক ব্যবহারকারী appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/PyMvTOA

Saturday, January 28, 2023

মুফতি শহিদুল ইসলাম: মানবসেবায় উৎসর্গ যার জীবন

মুনশী নাঈম:

মানব সেবামূলক সংগঠন আল মারকাজুল ইসলামীর (এএমআই) চেয়ারম্যান, নড়াইল-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মুফতি শহিদুল ইসলাম ইন্তেকাল করেছেন। বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১২টার দিকে মানিকগঞ্জে তার প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসা আবু হুরায়রায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ডায়াবেটিস, প্রেশারসহ নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ চত্বরে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় ইমামতি করেন ফিলিস্তিনের বায়তুল মুকাদ্দাসের ইমাম শায়খ আলী ওমর আল আব্বাসি। পরে কেরানীগঞ্জে তার প্রতিষ্ঠিত জামিআতুল উলুম আল ইসলামিয়া মাদ্রাসার পাশে কবর দেওয়া হয়।

হেফাজতের আমীর আল্লামা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব আল্লামা শায়েখ সাজিদুর রহমান বলেছেন, আল মারকাজুল ইসলামীর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান বিশিষ্ট সমাজসেবক মুফতি শহীদুল ইসলামের ইন্তেকালে দেশ একজন বিশিষ্ট আলেম সমাজসেবককে হারিয়েছে। তার মৃত্যুতে দেশ ও ইসলামি অঙ্গনের যে ক্ষতি হয়েছে, তা অপূরণীয়। মারকাজুল ইসলামীর মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের সেবায় অসামান্য অবদান রেখেছেন। তিনি তার সেবামূলক কাজের জন্য আজীবন স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।

এই মানুষটি তার ভূমিকা, সেবা, অবদানে এদেশে একটি শিরোনামে পরিণত হয়েছিলেন। সেবক-আলেম হিসেবে শত্রু-মিত্র দেশের সব পক্ষের মানুষ তাকে চিনতো। বাংলাদেশের আলেম-সমাজের জন্য প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সেবার অঙ্গনের দরজা দৃশ্যমানভাবে প্রথমে খুলে দিয়েছেন তিনি। এই লেখায় তার সংক্ষিপ্ত জীবন-বিবরণী তুলে ধরছি।

জন্ম, পড়াশোনা, পরিবার

মুফতি শহীদুল ইসলাম হাফি: ১৫ মার্চ ১৯৬০ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) ফরিদপুরের ঝিলটুলী এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন। পৈত্রিক নিবাস নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলায়। তার পিতা শামসুল হক সরদার।

গোপালগঞ্জের গহরডাঙ্গা মাদ্রাসায় তিনি তার শিক্ষা জীবন শুরু করেন। গওহারডাঙ্গায় হিফজ শেষ করার পর এসে ভর্তি হন জামিয়া মুহাম্মদিয়া যাত্রাবাড়ীতে। সেখানে ডক্টর আসাদুল্লাহ গালিবের কাছে ‘ফিকহে মুহাম্মদী’ অধ্যয়ন করেন। পরবর্তীতে লালবাগ মাদরাসা এবং কামরাঙ্গীরচর মাদরাসায় পড়ে পাকিস্তানের করাচীর বিন্নুরী টাউন মাদ্রাসায় ভর্তি হোন। সেখান থেকে ১৯৮৮ সালে দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স) শেষ করে ইফতাও (ইসলামি আইনশাস্ত্রের পাণ্ডিত্ত্ব) সম্পন্ন করেন।

ব্যক্তিগত জীবনে তিনি দুই পুত্র ও চার কন্যার জনক ছিলেন। পুত্র দুইজন হলেন: মুফতি তালহা ইসলাম এবং মাওলানা হামজা ইসলাম। হামজা ইসলাম মারকাজের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।

আল-মারকাজুল ইসলামী প্রতিষ্ঠা

তার কর্মজীবনের বড় একটি অধ্যায়জুড়ে রয়েছে সেবাসংস্থা আল-মারকাজুল ইসলামী। বেসরকারি এই সেবা সংস্থা দেশ-বিদেশের ধর্মপ্রাণ মানুষের সাহায্য-সহযোগিতায় বিভিন্ন সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। বিন্নুরী টাউন মাদ্রাসায় অধ্যয়নকালে ১৯৮৮ সালে তিনি আল মারকাজুল ইসলামী প্রতিষ্ঠা করেন। বিভিন্ন দেশের বন্ধুদের পরামর্শে এই সংস্থার প্রথম নামকরণ করেন ‘মুসলিম ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন’। পরে বিন্নুরী টাউনের এক উস্তাযের পরামর্শে ‘আল মারকাযুল ইসলামী বাংলাদেশ’ নাম রাখেন। পাকিস্তানে এ সংস্থার অর্থ জমা রাখতেন শায়খ আব্দুল মালেক হাফি.-এর কাছে।

দেশ-বিদেশের বিভিন্ন ধর্মপ্রাণ ব্যক্তির অর্থ-সহযোগিতা বিশেষ করে সৌদি আরব, কাতার, দুবাই, আরব আমিরাতসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের ধনাঢ্য ব্যক্তিদের সহযোগিতায় মারকাযের বিভিন্ন সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। নব্বই দশকের শুরুতে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মারকাজের কার্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়। বাবর রোড ও শ্যামলীতে সংস্থাটির নিজস্ব সম্পত্তি রয়েছে। বর্তমানে কেরানীগঞ্জ উপজেলার সিরাজনগর ইউনিয়নে ১৬০ বিঘা জমির ওপর আল মারকাযুল ইসলামীর বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

এ সংস্থার অধীনে বেশ কয়েকটি কওমি ও মহিলা মাদ্রাসা পরিচালিত হয়। এ ছাড়া মারকাজুল ইসলামী অসংখ্য মসজিদ-মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রেখেছে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে নলকূপ স্থাপন করে বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করেছে, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের ফ্রি চিকিৎসার পাশাপাশি ঠোঁট কাটা, তালু কাটা রোগীদের ফ্রি চিকিৎসা করেছে। মারকাজুল ইসলামীর অধীনে মানবসেবামূলক নানা কাজ চালু রয়েছে। হাসপাতাল, অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস, লাশ বহন, লাশের গোসল করানো থেকে শুরু করে বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের সংক্রমণের সময় মৃতদের দাফন ও সৎকার কার্যক্রম নিয়ে সর্বমহলের ব্যাপক প্রশংসা পায় সংস্থাটি। ১৯৮৮ সালের বন্যার সময় বাংলাদেশের প্রায় সব মাদ্রাসায় চাউল বিতরণ করেছিলেন তিনি।

তিনি মানবসেবার উদ্দেশ্যে বহু এম্বুলেন্স ক্রয় করেছেন। রাজধানী ঢাকায় যে কোনো শীর্ষ আলেমের ইন্তিকাল হলেই আল মারকাযুল ইসলামীর এম্বুলেন্স এসে হাজির হয়ে যায়। এম্বুলেন্সের প্রথম টাকা দিয়েছিলেন তার মা। বিভিন্ন ঘরোয়া আলোচনায় তিনি এ কথা জানিয়েছেন।

শিক্ষা বিস্তারে অবদান

বাংলাদেশে আরবী ভাষা-সাহিত্যের জোয়ার তৈরীর পেছনের তার অবদান খাটো করে দেখা যাবে না। তিনি মারকাযুল ইসলামীর অধীনে আরবী সাহিত্য বিভাগ খুলে এর দায়িত্ব অর্পণ করেছিলেন শায়খ শহীদুল্লাহ ফজলুল বারী রহ: এর হাতে। তিনি তার নিপুণ কারিশমায় দেশে আরবি চর্চার জোয়ার তৈরী করেন।

মুফতী শহীদুল ইসলাম আল মারকাযুল ইসলামীর পক্ষ থেকে প্রতি মাসে আরবী ম্যাগাজিন প্রকাশ করতেন। বিভিন্ন ইসলামী রাষ্ট্র থেকে আরবী ভাষার বিভিন্ন কিতাব এনে বাংলাদেশের উলামা-তালাবার মাঝে বিনামূল্যে বিতরণ করতেন। তার ভাষ্যমতে, বিভিন্ন দেশ থেকে আগত কিতাব অনেক সময় মুফতী আবদুর রহমান বসুন্ধরা রহ: এর পরিচালনাধীন আল মারকাযুল ইসলামীতে চলে যেতো।

তিনি দৃষ্টিপ্রতিবন্ধিদের শিক্ষা-দীক্ষার লক্ষ্যে আফ্রিকা থেকে শিক্ষক এনে অন্ধ বিভাগ চালু করেন। যার মাধ্যমে শত শত অন্ধ মানুষ কুরআন এবং দ্বীনী জ্ঞান অর্জন করতে সক্ষম হচ্ছে।

রাজনৈতিক জীবন

তিনি ইসলামী ঐক্যজোট করতেন এবং মজলিসে শূরার সদস্য ছিলেন। পরে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস (২০০১-২০০৯) করেছেন। মজলিসের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির ছিলেন। ২০১১ সালের ২১ জুলাই দলটির নায়েবে আমিরের পদ থেকে পদত্যাগ করেন। ২০০৯ সালে বাংলাদেশ গণসেবা আন্দোলন নামে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেন। তিনি এ দলের চেয়ারম্যান।

চারদলীয় ঐক্যজোটের অধীনে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের পক্ষ থেকে ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নড়াইল-২ আসনে সাংসদ পদে নির্বাচনে করেন। এ নির্বাচনে শেখ হাসিনা ৪ হাজার ২৩৩ ভোটে জয়ী হয়েছিলেন। পরে শেখ হাসিনা আসনটি ছেড়ে দিলে ২০০২ সালের উপনির্বাচনে তিনি বিজয়ী হন। ২০০৮ সালের নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। এরপর ২০১৪ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকেন। ২০১৮ সালে নড়াইল-২ আসনে একাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন। কিন্তু তাকে মনোনয়ন দেয়া হয়নি।

মুফতি আজিজুল হক কাসেমী স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘মুফতি শহিদুল ইসলাম শাইখুল হাদীস আল্লামা আজিজুল হক রহ.-এর অত্যন্ত প্রিয়ভাজন ছিলেন। চারদলীয় ঐক্যজোটের পক্ষ থেকে ইসলামী ঐক্যজোটকে একটি মন্ত্রীত্বের পদ দিতে চাইলে শায়খুল হাদীস রহ. সে পদটি মুফতী শহীদুল ইসলামকে দেওয়ার আবেদন করেছিলেন। মুফতী সাহেব সে মন্ত্রীত্বের পদ নিতে রাজি হননি। যখন শাইখুল হাদীস আল্লামা আজিজুল হক রহ. ঢাকা পল্টনের মুক্তাঙ্গনে স্বীকৃতির জন্য ডাক দিয়েছিলেন, তখন তিনি শাইখুল হাদীস রহ.-এর ডান হাত ছিলেন। তখনকার সময়ে উলামা-তালাবার খানার ব্যবস্থা তিনিই করতেন। তিনি আমাদেরকে বলেছেন, সে আন্দোলনে প্রথম দিনের প্রথম খাবার ব্যবস্থা করেছিল আমার এক হিন্দু ভক্ত।’

শেষ বিদায়

২৪ জানুয়ারি এএমআই সিটি কেরাণীগঞ্জে অবস্থিত জামিআতুল উলূম আল ইসলামিয়া মাদ্রাসার ২০২৩-এর বার্ষিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এএমআই -এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মুফতী শহিদুল ইসলাম । মোট ৪টি অধিবেশনে মোট ৯টি বিষয়ে শিক্ষার্থীরা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। চতুর্থ অধিবেশনে পুরস্কার বিতরণ ও গুণীজনদের মূল্যায়নের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হয় এ অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে তিনি ছাত্রদের বলেন, ‘তোমারা আমার জন্য দোয়া করবে, আমি শহিদুল ইসলাম যেন শহিদ হয়ে মারা যাই।’

তিনি চলে গেলেন জুমার পবিত্র এক রাতে। রেখে গেলেন তার কর্মবহুল জীবন। যে মানুষের সেবায় জীবন উৎসর্গ করে দিয়েছেন এই আলেম, সে মানুষের দোয়ায় তার কবর হয়ে উঠুক জান্নাত। তার কবরে ঝরে পড়ুক রহমতের শবনম।

The post মুফতি শহিদুল ইসলাম: মানবসেবায় উৎসর্গ যার জীবন appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/gbcsA1y

Saturday, January 21, 2023

একুশে বইমেলায় ইসলামি প্রকাশনীগুলো কেন স্টল বরাদ্দ পায় না?

রাকিবুল হাসান নাঈম:

রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের স্মৃতিজড়িত ফেব্রুয়ারির প্রথম দিন ২০২৩ সালের অমর একুশে বইমেলা শুরু করতে যাচ্ছে বাংলা একাডেমি। করোনা অতিমারির কারণে গত দুটি বইমেলা ঐতিহ্যবাহী রীতি অনুসারে ফেব্রুয়ারির প্রথম দিন শুরু হতে পারেনি। এবার মেলার মূল প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘পড় বই গড় দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’।

বইমেলার স্টল বরাদ্দের আবেদন গ্রহণ শুরু হয়েছিল ৬ ডিসেম্বর, যা শেষ হয়েছে ২০ ডিসেম্বর। ৪৫৩টি প্রতিষ্ঠান আবেদন করেছে। স্টল নং নির্ধারিত না হলেও কে কতটি স্টল পাবে, তা বরাদ্দ দেওয়া দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে ইসলামি প্রকাশনীর সংখ্যা নিতান্তই হাতেগোণা। তালিকা পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, ইসলামি প্রকাশনীগুলোর মধ্যে স্টল বরাদ্দ পেয়েছে রাহনুমা প্রকাশনী, হুদহুদ প্রকাশন, সন্দ্বীপন প্রকাশন, বইঘর, বিশ্বকল্যান পাবলিকেশন্স এবং বাড কম্প্রিন্ট এন্ড পাবলিকেশন্স। তারা গত বছরও স্টল বরাদ্দ পেয়েছিল। নতুন কোনো ইসলামি প্রকাশনী এবার বরাদ্দ পায়নি এখন পর্যন্ত।

কেন বাতিল জানা যায় না কারণ

প্রতি বছরই অনেক ইসলামি প্রকাশনী স্টল বরাদ্দ চেয়ে আবেদন জানায়। কিন্তু স্টল বরাদ্দ পায় না। এমনকি কী কারণে স্টল বরাদ্দ পেলো না, তার কারণও জানতে পারে না প্রকাশনী কর্তৃপক্ষ। কারণ না জেনেই প্রতি বছর অবেদন করতে হচ্ছে তাদের। এদের মধ্যে অন্যতম একটি প্রকাশনী হলো গার্ডিয়ান পাবিলিকেশন্স।

এ প্রসঙ্গে কথা হয় গার্ডিয়ান পাবিলিকেশন্সের জিএম নাজমুল হুদার সঙ্গে। তিনি ফাতেহকে বলেন, ‘গত কয়েক বছর ধরেই আমরা স্টল বরাদ্দের আবেদন করে আসছি। ইতোমধ্যে আমাদের বইয়ের সংখ্যা ১৩০। এরমধ্যে চলতি বছরই প্রকাশ করেছি ৩৩টি বই। কিন্তু অন্যবারের মতো এবারও আমরা স্টল বরাদ্দ পাইনি।’

কেন বারবার রিজেক্ট হচ্ছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের জানামতে আমরা সমস্ত প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসহই আবেদন করেছি। কিন্তু কেন বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে না, তা জানতে পারিনি। জানার কোনো মাধ্যমও নেই। বাংলা একেডেমি কাকে কেন রিজক্টে করা হচ্ছে, তার কোনো ব্যাখ্যা দেয় না। এই ব্যাখ্যা না জানলেও প্রতিবছর আবেদন করে যাচ্ছি। সামনেও আবেদন করে যাব।’

তিনি আরও বলেন, ‘তবে এটা নিয়ে আমরা তেমন চিন্তিত নই। কারণ, আমরা বিশ্বাস করি, আমরা যদি ভালো কন্টেন্ট দেই, তাহলে মানুষ পড়বে। সারা বছরই আমাদের বই বিক্রি হয়। এতটুকু সত্য, একুশে বইমেলায় স্টল পেলে আমাদের আরও প্রচার-প্রসার হতো। তবে সেটা যেহেতু হচ্ছে না, কেন হচ্ছে না সেটাও যেহেতু জানতে পারছি না, তাই বিষয়টি নিয়ে অতটা চিন্তিত নই।’

কেন পাচ্ছে না স্টল?

গত কয়েক বছর ধরেই একুশে বইমেলায় স্টল পেয়ে থাকে বিশ্বকল্যান পাবলিকেশন্স। এর কর্ণধার মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের সঙ্গে কথা হয় প্রতিবেদকের। তার কাছে জানতে চাই, অনেকে বলে বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ ইসলামি প্রকাশকদের স্টল দেয় না। অথচ আপনি সবসময় মেলায় স্টল পাচ্ছেন। এর পেছনে সবচে বড় ভূমিকা কোন জিনিসের? তিনি ফাতেহকে বলেন, ‘আমরা নিজেদের যোগ্যতাবলে স্টল বরাদ্দ পাই, কারও দয়ায় পাই না। আমাদের কন্টেন্ট দেখেন, বুঝতে পারবেন। আমরা সমাজের মূল স্রোতের সাথে মেশার চেষ্টা করি। দেশের ও দশের কথা বলি। বাংলায় কথা বলি। ইসলামি প্রকাশনীগুলো বাংলা একাডেমিতে যায়ই না। বই মেলায় স্টল পাওয়ার জন্য তারা আবেদনই করে না। তারা মিথ্যাচার করছে যে, বাংলা একাডেমি ইসলামি প্রকাশনাগুলোকে স্টল দেয় না। বাংলা একাডেমির ডিজিসহ আরো উর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে আমি নিজে কথা বলেছি, তাদেরকে আমার অনেক ধর্মপরায়ণ মনে হয়েছে। গত বছর পর্যন্ত বাংলা একাডেমির সচিব ও বই মেলার দায়িত্বে ছিলেন জালাল আহমেদ। তিনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন। এ বছর তিনি রিটায়ার্ড হয়েছেন। ‘

অনেকে আবেদন করে। তবুও স্টল পায় না। কেন পায় না? মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘একটু খতিয়ে দেখুন, তাদের কোনো ট্রেড লাইসেন্সই হয়তো নেই। তারা সরকারকে ঠিক মতো ট্যাক্সও দেয় না। বইতে হাজার হাজার বানান ভুল এবং মনমতো অনুবাদ প্রকাশ করেন তারা। লেখকের সাথে ঝামেলা তো বেধেই থাকে। এমনকি প্রকাশনাগত কোনো আইনও তারা মানেন না। বাংলা ভাষা বাদ দিয়ে উর্দূ নাম দিয়ে যারা বই প্রকাশ করেন, বাংলা একাডেমি কেন তাদের স্টলের জায়গা দেবে! তাদেরকে যে এখনও এই ব্যবসা করতে দিচ্ছে এটাই তো কপাল। বই মেলাতে ইসলামি প্রকাশনীগুলো স্টল না পাওয়ার পিছনে দায়ী তারাই। এর বাহিরে আর আমি কিছুই মনে করি না।’

এবার স্টল পেয়েছে সন্দ্বীপন প্রকাশন। যারা স্টল পাচ্ছে না কেন পাচ্ছে না জানতে চাইলে এর কর্ণধার রুকনুদ্দিন ফাতেহকে বলেন, ‘আমাদের প্রকাশকরা প্রফেশনাল না। অনেকে আবেদন করে ঠিক। কিন্তু দেখা যায়, তাদের ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন করা নেই। সরকারের টেক্স পরিশোধ করা নেই ঠিকমতো। ফলে আবেদন একাডেমি গ্রহণই করে না।’

আবেদনের প্রস্তুতি নিচ্ছে কেউ কেউ

এতবছর আবেদন করেনি। তবে সামনে বছর বইমেলায় স্টল বরাদ্দের জন্য আবেদন করবে মুহাম্মদ পাবলিকেশন। এর কর্ণধার মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ খান ফাতেহকে বলেন, ‘বইমেলায় স্টল বরাদ্দের আবেদন করার জন্য সমস্ত ডকুমেন্টস আমাদের আছে। তবুও আবেদন করিনি।’ কেন করেননি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের দৃষ্টিতে শর্ত পূর্ণ হলেই হবে না, একাডেমি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিতেও সেটা পূর্ণ লাগতে হবে। তাদের দৃষ্টিতে পূর্ণ না হলে হবে না।’ একডেমিক শর্তের বাইরে ‘কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি’ জিনিসটা কী খোলাসা করেননি তিনি।

তবে বিষয়টি তিনি খোলাসা না করলেও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রকাশক দাবি করেছেন, ‘স্ট্রং লবিং ছাড়া একুশে বইমেলায় স্টল বরাদ্দ পাওয়া যায় না। দেখা যাচ্ছে, সব শর্ত প্রকাশনী পূর্ণ করেছে, কিন্তু লবিং না থাকার কারণে প্রকাশনী স্টল বরাদ্দ পাচ্ছে না।’

এ প্রসঙ্গে কথা হয় একাডেমির পরিচালক (প্রশাসন) ও মেলা কমিটির সদস্যসচিব কে এম মুজাহিদুল ইসলামের সঙ্গে। ইসলামি প্রকাশনীগুলো একাডেমির মেলায় কেন বরাদ্দ পায় না জানতে চাইলে ফাতেহকে তিনি বলেন, ‘স্টল বরাদ্দ পায় না ভুল কথা। বরাদ্দ পায় তারাই, যারা শর্ত মেনে আবেদন করে। শর্ত পূরণ না করলে আবেদন গ্রহণ করা হয় না। এছাড়া বাংলা একাডেমি তাদেরকে স্টল না দেয়ার অন্য কোনো কারণ থাকতে পারে না। ইসলামিক-ননইসলামিক ধরনের বৈষম্য বাংলা একাডেমি সৃষ্টি করে না, ধর্মভিত্তিক বিভাজন হিসেবেও বাংলা একাডেমি কাউকে স্টল দেয় না। বইয়ের গুণগত মান, ৫ বছরে কমপক্ষে নিজস্ব ৫০ টা বই এবং যে বছরে আবেদন করছে সে বছরে ২৫টা বই ছাপছে কি না তা দেখে। এ বিষয়গুলো তো আমরা দেখি না, বইমেলার জন্য আমাদের কমিটি আছে। সে কমিটিতে পুস্তক প্রকাশনা সমিতির সাধারণ সম্পাদক থাকে, প্রতিনিধি থাকে। সকলের মূল্যায়ন বিবেচনায় যে সমস্ত প্রকাশনাগুলোর নাম আসে তাদের স্টল দেয়া হয়।’

এতটুকু বলেই কথা সমাপ্ত করেন মেলা কমিটির সদস্যসচিব। এ প্রসঙ্গে আরও কথা বলার জন্য মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয় মেলা কমিটির সদস্য সাহেদ মন্তাজের সঙ্গে। কিন্তু তিনি জানান, বইমেলা নিয়ে তিনি সঠিক তথ্য দিতে পারবেন না। যা বলার সদস্যসচিবই বলবেন। আর তিনি যদি বলে থাকেন কিছু, তার বাইরে আমার কোনো কথা নেই।

এবারের মেলাও হবে দুটি অংশে। বাংলা একাডেমির মাঠে থাকবে সরকারি–বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার স্টল। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বরাদ্দ থাকবে প্রকাশকদের জন্য। উদ্যানের প্রায় ছয় লাখ বর্গফুট এলাকা নিয়ে হবে মেলার পরিসর। প্রকাশনার সব স্টল থাকবে স্বাধীনতাস্তম্ভের সামনে থেকে উদ্যানের পশ্চিম অংশে। শিশুদের বইয়ের কর্নার থাকবে মুক্তমঞ্চের কাছে। এই অংশে এবার অন্য কোনো স্টল থাকবে না। ফলে যারা শুধু বই কিনতে চান, তাদের আর পূর্ব–পশ্চিম দুই প্রান্ত ঘুরতে হবে না। পূর্ব প্রান্ত অর্থাৎ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের পাশের অংশে থাকবে খাবারের দোকান, মোড়ক উন্মোচন, লেখক বলছি মঞ্চ, নামাজের স্থান, শৌচাগার ও মেলার সহায়তাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর স্থাপনা। এবার মেলার ভেতরে ক্রেতাদের বসার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকবে। গাড়ি পার্কিং থাকবে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন প্রান্তের প্রবেশপথের পাশে। এ ছাড়া এবার ক্রেতাদের সুবিধার্থে প্রবেশপথের সামনে বড় আকারের দুটি ডিজিটাল বোর্ডে মেলার দিকনির্দেশনা থাকবে। উপরন্তু প্রতি সারির সামনে স্টলের নম্বর ও প্রকাশকদের পরিচিতিসহ একটি করে ডিজিটাল বোর্ড বসানো হবে। এতে পছন্দের প্রকাশকদের স্টল খুঁজে পাওয়া সহজ হবে।

The post একুশে বইমেলায় ইসলামি প্রকাশনীগুলো কেন স্টল বরাদ্দ পায় না? appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/OtP2lxF

Tuesday, January 17, 2023

অন্যদেশের নয়, শুধু সৌদির হজযাত্রীদের খরচ কমবে ৩০ শতাংশ: হাব

ফাতেহ ডেস্ক:

চলতি বছর হজে সব দেশের জন্য নয়, শুধু সৌদি আরবের নিজস্ব (ডোমেস্টিক) হজযাত্রীদের খরচ ৩০ শতাংশ কমবে বলে জানিয়েছে হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)।

চলতি বছর থেকে সারাবিশ্বের মুসল্লিদের জন্য হজ প্যাকেজের মূল্য কমালো সৌদি আরব সরকার। ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে হজের খরচ ৩০ শতাংশ কমানো হয়েছে। দেশটির হজ ও উমরাহ মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব ড. আমর বিন রেদা আল মাদ্দাহ রোববার (১৫ জানুয়ারি) এ তথ্য জানান বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) রাতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি স্পষ্ট করলো হজ এজেন্সিগুলোর সংগঠন হাব।

এতে বলা হয়, বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খবর পরিবেশন করা হচ্ছে যে, আগামী ২০২৩ সালের হজযাত্রীদের হজব্রত পালনের খরচ ৩০ শতাংশ কমিয়েছে সৌদি সরকার। প্রকৃতপক্ষে ৩০ শতাংশ খরচ কমানোর এ খবরটি শুধু সৌদি আরবের ডোমেস্টিক হজযাত্রীদের জন্য প্রযোজ্য। বাংলাদেশের কিংবা অন্যান্য দেশের হজযাত্রীদের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য নয়।

হজের মতো একটি স্পর্শকাতর বিষয়ে যাতে কোনোরূপ বিভ্রান্তি তৈরি না হয়, সে কারণে সংশ্লিষ্ট সবার অবগতির জন্য বিষয়টি স্পষ্টিকরণ করা হলো বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানায় হাব।

চলতি বছর হজ পালনে গত ৯ জানুয়ারি সৌদি আরবের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক হজচুক্তি করেছে বাংলাদেশ। গত ১৫ জানুয়ারি ধর্মবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান সাংবাদিকদের জানান, সম্পাদিত হজচুক্তি অনুযায়ী করোনা উত্তর পরিস্থিতিতে এ বছর বাংলাদেশের কোটার পূর্ণ সংখ্যক হজযাত্রী হজে যেতে পারবেন। এ বছর সর্বমোট এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজযাত্রী বাংলাদেশ থেকে হজে গমন করবেন। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এক লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন পবিত্র হজ পালন করবেন।

এ বছর বয়সের সর্বোচ্চ সীমার শর্ত তুলে দেওয়া হয়েছে অর্থাৎ ৬৫ বছরের বেশি বয়সী হজযাত্রীরা হজে যেতে পারবেন বলে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।

The post অন্যদেশের নয়, শুধু সৌদির হজযাত্রীদের খরচ কমবে ৩০ শতাংশ: হাব appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/ldh469m

Wednesday, January 11, 2023

টঙ্গীর তুরাগ তীরে মুসল্লিদের ঢল

ফাতেহ ডেস্ক:

করোনার কারণে গত দুই বছর বিশ্ব ইজতেমা হয়নি। এবার ২০২৩ সালে এসে হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমা। ১৩ জানুয়ারি, শুক্রবার ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু হবে। এরই মধ্যে টঙ্গীর তুরাগ তীরে মুসল্লিদের ঢল নেমেছে। রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশ থেকে মুসল্লিরা আসছেন বিশ্ব ইজতেমা মাঠে। বিদেশিরাও এসেছেন। শীত উপেক্ষা করে চটের ছাউনির নিচে অবস্থান নিয়েছেন তারা।

এবার ইজতেমার মাঠকে ৯১টি খিত্তায় ভাগ করা হয়েছে। বিভিন্ন জেলার মুসল্লিরা তাদের নিজ নিজ জেলার খিত্তায় অবস্থান নিচ্ছেন। ১৬০ একর খোলা ময়দানে বাঁশের খুঁটির ওপর পাটের চট দিয়ে টানানো হয়েছে বিশাল প্যান্ডেল। তবে বিদেশি মেহমানদের জন্য টিন দিয়ে করা হয়েছে আবাসস্থল।

বুধবার (১১ জানুয়ারি) বিকেল পর্যন্ত ইজতেমা ময়দানে ২৫টি দেশের প্রায় দেড় হাজার বিদেশি মেহমান উপস্থিত হয়েছেন বলে জানিয়েছে আয়োজক কর্তৃপক্ষ।

এদিকে টঙ্গীর তুরাগ পাড়ে অবস্থান নিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। তারা মুসল্লিদের নিরাপত্তায় সচেষ্ট রয়েছেন। এছাড়া সাধারণ মানুষের ইজতেমা ময়দানে প্রবেশের সুবিধার্থে তৈরি করা হয়েছে ম্যাপ। গাড়ি পার্কিংয়ের বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছে পুলিশ। কোন রাস্তা কখন খোলা বা বন্ধ থাকবে সে নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। ইজতেমার নিরাপত্তার জন্য ওয়াচ টাওয়ার ও সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। সাদা পোশাক ও পোশাকে থাকবে পুলিশ।

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ ১৪টি কন্ট্রোল রুম করেছে। র‌্যাবের কন্ট্রোল রুম থাকবে। এছাড়া ডিএমপি তার এলাকায় কন্ট্রোল রুম খুলবে। এসবি, এটিও, সিআইডি, নৌপুলিশ, অবজারভেশন টিম থাকবে, র‌্যাবের হেলিকপ্টার টহলে থাকবে। ডগ স্কোয়াড টিম, মোবাইল পেট্রোল টিম, বোম ডিসপোজাল টিম থাকবে।

এদিকে ইজতেমায় আসা-যাওয়ার জন্য পাঁচ জোড়া বিশেষ ট্রেন চালু করেছে রেলওয়ে। অন্যদিকে গাজীপুরের স্বাস্থ্য বিভাগের সবার ছুটি বাতিল করা হয়েছে ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত। এছাড়া বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা এবং ওষুধ প্রদান করবে শতাধিক স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান।

The post টঙ্গীর তুরাগ তীরে মুসল্লিদের ঢল appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/xFNGVR7

Sunday, January 8, 2023

রিজার্ভ নামলো ৩২ বিলিয়নের ঘরে

ফাতেহ ডেস্ক:

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত (রিজার্ভ) আরও কমেছে। এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) ১১২ কোটি ডলার পরিশোধের পর ৩২ বিলিয়ন ডলারের ঘরে নেমেছে রিজার্ভ। রোববার (৮ জানুয়ারি) দিন শেষে রিজার্ভ কমে দাঁড়ায় ৩২ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন বা ৩ হাজার ২৫৭ কোটি মার্কিন ডলার।

অন্যদিকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)-এর মানদণ্ড অনুযায়ী বর্তমান রিজার্ভ থেকে আরও ৮ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার বাদ যাবে। এতে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ দাঁড়াবে ২৪ বিলিয়ন ডলারের ঘরে। আইএমএফ’র মানদণ্ড অনুসারে, দেশের মজুতকৃত রিজার্ভ থেকে রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) থেকে শ্রীলঙ্কাকে দেওয়া ঋণ এবং রিজার্ভ থেকে দেশীয় প্রকল্পে অর্থায়নের ব্যয় বাদ যাবে। তবে সরকার এখন আইএমএফ এবং নিজস্ব অর্থাৎ দুই ধরনের হিসাবই রাখছে।

অন্যদিকে বৈদেশিক মুদ্রাবাজার ইতিবাচক ধারায় ফিরিয়ে আনতে আমদানি দায় কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন আমদানিতে বাণিজ্যিক ঋণপত্র (এলসি) কমলেও আগের দায় পরিশোধে কিছুটা চাপের কারণে বৈদেশিক মুদ্রার খরচ কমেনি। গত নভেম্বর মাস পর্যন্ত পাঁচ মাসে আমদানি দায় পরিশোধ বেড়েছে ৪ দশমিক ৪১ শতাংশ। বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন ডলার। আর একই সময়ে সামগ্রিক লেনদেন ভারসাম্যে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৩৮ বিলিয়ন ডলারে।

আমদানি দায় পরিশোধে গত বছর রিজার্ভ থেকে ১২ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এসবের প্রভাবে কমেছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ।

২০২১ সালের আগস্টে প্রথমবারের মতো দেশের ইতিহাসে রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছিল। আর ২০১৭ সালের মাঝামাঝি ৩৩ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করেছিল রিজার্ভ। করোনার প্রভাব আর রাশিয়া-ইউক্রেন পরিস্থিতির কারণে রিজার্ভ কমতে থাকে। সবশেষ রিজার্ভ ৩৩ থেকে ৩৪ বিলিয়ন ডলারের ঘরে ওঠানামার মধ্যে ছিল।

অন্যদিকে রিজার্ভের পতন ঠেকাতে আইএমএফ’র তহবিল থেকে সাড়ে ৪ বিরিয়ন ডলার ঋণ নেওয়ার আলোচনাও চূড়ান্ত পর্যায়ে। তাছাড়া দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্বার্থে সরকার বিশ্বব্যাংক, জাইকাসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে ঋণ নেওয়ার চেষ্টা করছে।

আকু হলো একটি আন্তঃদেশীয় লেনদেন নিষ্পত্তি ব্যবস্থা। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল ও পাকিস্তানের মধ্যেকার লেনদেনের দায় পরিশোধ করা হয়। দায় পরিশোধের মতো রিজার্ভ না থাকায় গত অক্টোবরে আকু থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করেছে শ্রীলঙ্কা।

The post রিজার্ভ নামলো ৩২ বিলিয়নের ঘরে appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/K8l53Bm

এবার হজে যাবেন ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন

ফাতেহ ডেস্ক:

২০২৩ সালে দেশের সম্ভাব্য হজযাত্রীর কোটা ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন বলে জানিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান।

রোববার জাতীয় সংসদে এম আব্দুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে হজযাত্রীর সংখ্যা ছিল ৫৮ হাজার ৬২৮ জন, যা ২০১৯ সালে বেড়ে হয় ১ লাখ ২৬ হাজার ৯২৩ জন; কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে ২০২২ সালে হজযাত্রীর সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ৬০ হাজার ১৪৬ জনে।

তিনি বলেন, চলতি বছরে (২০২৩) হজযাত্রীর সম্ভাব্য কোটা বেড়ে হচ্ছে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন; যা ২০০৯ এর তুলনায় ১৪৮ শতাংশ বেড়েছে; এটা সরকারের সাফল্যের একটি মাইলফলক।

The post এবার হজে যাবেন ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/1B7Jbrj

Wednesday, January 4, 2023

আরও ১৮ হাজার কর্মী ছাঁটাই করবে অ্যামাজন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

অনিশ্চিত অর্থনীতির দোহাই দিয়ে ১৮ হাজার কর্মী ছাঁটাই করার কথা ঘোষণা দিয়েছে অ্যামাজন।

বুধবার প্রতিষ্ঠানটি এমন ঘোষণা দেয়।

অ্যামাজনের সিইও অ্যান্ডি জেসি বলেছেন, ‘আমরা জানি, ছাঁটাই হওয়া কর্মীদের জীবন কতটা কঠিন হয়ে যায়। আমরাও বিষয়টি হালকাভাবে নিচ্ছি না।’

করোনাকালে চাহিদা সামলাতে দ্রুত প্রচুর কর্মী নিয়োগ করেছিল অ্যামাজন। এর আগে নভেম্বরে তারা ১০ হাজার কর্মী ছাঁটাই করে। এবার করছে ১৮ হাজার।

অ্যামাজনের সিইও বলেছেন, ‘নভেম্বরের পর এবার আমরা আরো ১৮ হাজার কর্মীকে ছাঁটাই করছি। প্রতিটি কর্মীকে আমরা প্যাকেজ দিচ্ছি। সেপারেশন পেমেন্ট যেমন করা হবে, তেমনই তারা যাতে স্বাস্থ্যবিমার সুযোগ পান, সেটাও দেখা হবে। অন্য চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রেও তাদের সাহায্য করা হবে।’

জেসি জানিয়েছেন, ১৮ জানুয়ারি থেকে ছাঁটাই শুরু হবে। এর মধ্যে ইউরোপে কিছু ছাঁটাই হবে। তিনি জানিয়েছেন, তাদের এক সহযোগী খবরটা ফাঁস করে দেয়ায় তারা হঠাৎ এই ঘোষণা করতে বাধ্য হচ্ছেন।

জেসি বলেছেন, ‘অতীতেও অ্যামাজন অনিশ্চিত অর্থনীতির চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করেছে। এবারো করবে।’

অ্যামাজন ২০২০ থেকে ২০২২ পর্যন্ত প্রচুর কর্মী নিয়োগ করেছিল। বিশ্বজুড়ে তাদের কর্মীর সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে যায়। গত সেপ্টেম্বরের হিসাব অনুযায়ী, অ্যামাজনের কর্মীসংখ্যা ছিল ১৫ লাখ ৪০ হাজার। এর মধ্যে উৎসবের সময় কয়েকমাসের জন্য যে অতিরিক্ত কর্মী নিয়োগ করা হয়, তা ধরা হয়নি।

সূত্র : ডয়েচে ভেলে

The post আরও ১৮ হাজার কর্মী ছাঁটাই করবে অ্যামাজন appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/iab1gMG