Wednesday, June 29, 2022

বাংলাদেশি হাজি: যে কারণে বেড়েছে হজের ব্যয়

রাকিবুল হাসান নাঈম: 

করোনা মহামারির কারণে গত দুই বছর বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশ থেকেও কেউ হজে যেতে পারেননি। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় চলতি বছর বিভিন্ন দেশ থেকে ১০ লাখ মুসল্লিকে হজ পালনের অনুমতি দেয় সৌদি কর্তৃপক্ষ। আগের কোটা অনুযায়ী, চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে ৫৭ হাজার ৫৮৫ জন মুসল্লি পবিত্র হজ পালনের সুযোগ পাচ্ছেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার ৫৬৪ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫৩ হাজার ৫৮৫ জন মুসল্লি পবিত্র হজে যেতে পারছেন। পরে কোটা বাড়ানোয় বাংলাদেশ থেকে আরও ২ হাজার ৪১৫ জন পবিত্র হজ করার সুযোগ পাবেন।

দুই বছর পর অনেকটা স্বাভাবিক পরিবেশে পবিত্র হজ পালনের সুযোগ তৈরি হলেও এবার বাংলাদেশিদের হজে যেতে খরচ বাড়ছে এক লাখ টাকার বেশি। সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রথম প্যাকেজে খরচ হচ্ছে মোট ৫ লাখ ২৭ হাজার ৩৪০ টাকা। এটি ২০২০ সালের তুলনায় ১ লাখ ২ হাজার ৩৪০ টাকা বেশি। আর দ্বিতীয় প্যাকেজে খরচ হচ্ছে ৪ লাখ ৬২ হাজার ১৫০ টাকা। এটি ২০২০ সালের তুলনায় ১ লাখ ২ হাজার ১৫০ টাকা বেশি। ২০২০ সালে সরকারি ব্যবস্থাপনায় তৃতীয় প্যাকেজ ছিল ৩ লাখ ১৫ হাজার টাকার। এ বছর এই প্যাকেজটি রাখা হয়নি। এর বাইরে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় কোরবানির খরচ ব্যতীত হজ প্যাকেজের খরচ পড়বে ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৭৪৪ টাকা। কোরবানি খরচ বাবদ প্রত্যেক হজযাত্রীকে কমপক্ষে ৮১০ (আট শত দশ) সৌদি রিয়াল বা ১৯ হাজার টাকা আলাদাভাবে নিজ দায়িত্বে সঙ্গে নিতে হবে। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় প্যাকেজটির নাম ‘সাধারণ প্যাকেজ’।

এ বছরের হজ প্যাকেজে খরচ বাড়ল কেন জানতে চাইলে সরকার নিবন্ধিত হজ এজেন্সি ইলিয়াস এয়ার বিডির পরিচালক মাকারিম মুহাম্মদদ আহমাদুল্লাহ ফাতেহকে বলেন, ‘সৌদিতে মুআল্লিম খরচ বেড়ে যাওয়ায় হজের খরচ বেড়ে গেছে। এটাই প্যাকেজের মূল্যবৃদ্ধির অন্যতম কারণ। আগে মুআল্লিম খরচ ছিল ৮০০/১০০০ রিয়াল। এ বছর মুআল্লিম খরচ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৩৫০ রিয়ালে। তার মানে শুধু মুআল্লিম খরচই বেড়ে গেছে ৫ হাজার রিয়াল। এদিকে রিয়ালের বিনিময় হারও বাড়তি। এছাড়াও সৌদিতে হোটেল বাড়া বেড়েছে, খাবারের দাম বেড়েছে। বাংলাদেশে বিমানের টিকেটের দাম বেড়েছে। এসব কারণেই মূলত খরচটা বেড়েছে।’

সরকার নিবন্ধিত আরেক হজ এজেন্সি ইউনিভার্সাল ট্রাভেল বিডির পরিচালক তানভির আহমদও একই কথা বললেন। এ বছরের হজ প্যাকেজে খরচ বাড়ল কেন জানতে চাইলে ফাতেহকে তিনি বলেন, ‘এবার মুআল্লিম খরচটাই বেশি হয়ে গেছে। গত মওসুমের তুলনায় বেড়েছে পাঁচগুণ। এ ছাড়া সৌদি আরব সব খাতের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট, সার্ভিস চার্জ ও কর অন্তর্ভুক্ত করেছে। হোটেল ও বাড়িভাড়া বৃদ্ধি পেয়েছে। এবার বিমান ভাড়া জনপ্রতি ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। সব মিলিয়েই প্যাকেজের খরচ বেড়েছে।

শুধু বাংলাদেশেই হজের খরচ বাড়েনি। বরং খরচ বেড়েছে পুরো আরব দেশেই।

এই মওসুমে হজের খরচ বাড়ার পেছনে বেশ কয়েকটি কারণকে দায়ী করেছে সিরিয়ার হজ উচ্চ কমিটি। এরমধ্যে কিছু বৈশ্বিক পরিস্থিতির সঙ্গে সম্পর্কিত এবং অন্যগুলো সৌদি আরবের উচ্চব্যয় এবং ফি সম্পর্কিত। কারণগুলো হলো: ১. বৈশ্বিক মুদ্রাস্ফীতি, যা বিভিন্ন মূল্যকে প্রভাবিত করে। এবার বিশেষ করে এটি সৌদি আরবের বাসস্থান এবং খাবারে প্রভাব ফেলেছে। ২. বাধ্যতামূলক পরিষেবার দাম বৃদ্ধি। যেমন এরমধ্যে রয়েছে শেয়ারিং পরিষেবা এবং পরিবহন পরিষেবা। ৩. নতুন বাধ্যতামূলক পরিষেবা যোগ করা। যেমন জরুরি সেবা, স্বাস্থ্য বীমা এবং ভিসা ফি। ৪. সৌদি আরবে মূল্য সংযোজন করের হার ৫% থেকে ১৫% বৃদ্ধি । ৫. বিশ্বের সমস্ত কোম্পানিতে এয়ারলাইন টিকিটের মূল্য বৃদ্ধি।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (২৮ জুন) পর্যন্ত গত ২৪ দিনে সৌদি আরবে গেছেন ৪৪ হাজার ২৩৩ জন হজযাত্রী। এ পর্যন্ত ১২৩টি হজ ফ্লাইটে হজযাত্রীরা সৌদি আরব গেছেন। গত ৫ জুন হজ ফ্লাইট শুরু হয়েছিল। সৌদি আরব যাওয়া হজযাত্রীদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনার ৩ হাজার ৩৮৫ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনার ৪০ হাজার ৮৪৮ জন রয়েছেন।

The post বাংলাদেশি হাজি: যে কারণে বেড়েছে হজের ব্যয় appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/ut3sYWj

 আরব দেশে হজের ব্যয় বৃদ্ধি: কোন দেশে কত বাড়ল

রাকিবুল হাসান নাঈম:

২০১৯ সালে বিশ্বের ২৫ লাখ মুসলিম হজ পালনের সুযোগ পেলেও পরবর্তী দুই বছর করোনার বিধিনিষেধের কারণে কেবল সৌদির কিছু মুসল্লি হজ পালন করতে পেরেছেন। এর মধ্যে ২০২০ সালে মাত্র এক হাজার মুসল্লি এবং ২০২১ সালে করোনার প্রকোপ কিছুটা কমে আসায় সৌদিতে অবস্থানকারী বিদেশিসহ ৬০ হাজার মুসল্লি পবিত্র হজ পালনের সুযোগ পেয়েছিলেন। তবে এ বছর করোনার টিকা নেওয়া আছে এমন মুসল্লিরা যে কোনো দেশ থেকেই সৌদি আরবে এসে হজ পালনের সুযোগ পাচ্ছেন। চলতি বছরের এপ্রিল থেকে সৌদি আরবে করোনার বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হয়েছে। করোনার প্রকোপ কমে যাওয়ায় এ মওসুমে সৌদি আরবসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ১০ লাখ মুসল্লি পবিত্র হজ পালনের সুযোগ পাচ্ছেন। আগামী ৭ জুলাই থেকে সৌদি আরবে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। এ বছর বিশ্বের সব দেশেই বেড়েছে পবিত্র হজের ব্যয়। আরব দেশগুলোও এ বাড়তি খরচের বাইরে নয়। জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি পাওয়ায় এবং সৌদি আরব হজযাত্রীদের কর ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করায় এ বছর হজের খরচ বেড়েছে।

কেন বেড়েছে হজযাত্রার ব্যয়

এই মওসুমে হজের উচ্চ খরচের জন্য বেশ কয়েকটি কারণ দায়ী। এরমধ্যে কিছু বৈশ্বিক পরিস্থিতির সঙ্গে সম্পর্কিত এবং অন্যগুলো সৌদি আরবের উচ্চব্যয় এবং ফি সম্পর্কিত। সিরিয়ার হজ উচ্চ কমিটি উচ্চব্যয়ের জন্য ৫টি কারণ চিহ্নিত করেছে।

১. বৈশ্বিক মুদ্রাস্ফীতি, যা বিভিন্ন মূল্যকে প্রভাবিত করে। এবার বিশেষ করে এটি সৌদি আরবের বাসস্থান এবং খাবারে প্রভাব ফেলেছে।

২. বাধ্যতামূলক পরিষেবার দাম বৃদ্ধি। যেমন এরমধ্যে রয়েছে শেয়ারিং পরিষেবা এবং পরিবহন পরিষেবা।

৩. নতুন বাধ্যতামূলক পরিষেবা যোগ করা। যেমন জরুরি সেবা, স্বাস্থ্য বীমা এবং ভিসা ফি।

৪. সৌদি আরবে মূল্য সংযোজন করের হার ৫% থেকে ১৫% বৃদ্ধি করা হয়েছে।

৫. বিশ্বের সমস্ত কোম্পানিতে এয়ারলাইন টিকিটের মূল্য বাড়ানো হয়েছে।

নিচে ১৯ টি আরব দেশের হজের খরচের বিশদ বিবরণ তুলে ধরা হলো। এবারের হিসাব প্রতিতুলনা করা হয়েছে ২০১৯ সালের হজের খরচের সঙ্গে। তালিকাটি দেখলেই স্পষ্ট হয়ে যাবে কোন দেশের খরচ কত বেড়েছে।

কোন দেশে কত বেড়েছে

এবার সৌদি হাজিদের খরচ হচ্ছে ১০২৩৮ রিয়াল (২৭২৮ ডলার) থেকে ১৪৭৩৭ হাজার রিয়াল (৩৯২৭ ডলার)। সংযুক্ত আরব আমিরাতে হজের ন্যূনতম খরচ ধরা করা হয়েছে ২৫ হাজার দিরহাম। বিলাসবহুল হজভ্রমণের খরচ পড়বে ৬০ হাজার দিরহাম। আমিরাতে ২০১৯ সালে এই খরচ ১৮ হাজার থেকে ৪৫ হাজার দিরহামের মধ্যে ছিল। এদেশে হজের খরচ ৩৩% থেকে ৩৮% বৃদ্ধি পেয়েছে।

কাতারি হাজিদের হজের খরচ হবে ৩২০০০ কাতারি রিয়াল (৮৭৮৮ ডলার) থেকে শুরু করে ৭০০০০ রিয়াল (১৯২২৫ ডলার) পর্যন্ত। কুয়েতি হাজিদের হজের সর্বনিম্ন খরচ হল ১৬৫০ কুয়েতি দিনার (৫৩৭৫ ডলার)। আগের মওসুমে এই খরচ ছিল প্রায় ১৩০০ দিনার (৪২৩৪ ডলার)। কুয়েত হজ ও ওমরার সুপ্রিম কমিটির তথ্যানুসারে, এ বছর হজের খরচ প্রায় ২৭% বৃদ্ধি পেয়েছে। এই বছর কুয়েতে হজের খরচ ২২৫০ দিনার (৭৩২৯ ডলার) থেকে ৩০০০ দিনার (৯৭৭২ ডলার) এর মধ্যে থাকবে। যা গত হজ মৌসুমের তুলনায় ৩০% বৃদ্ধির ইঙ্গিত করে।

ওমান থেকে মদিনা পর্যন্ত আকাশপথে হাজিদের রাহা খরচ ৭৫৭৭ সৌদি রিয়াল (২০১৯ ডলার), জেদ্দা গেলে বিমান পথের খরচ ৭৩৮০ সৌদি রিয়াল (১৯৬৬ ডলার), এবং স্থলপথে মদিনা বা মক্কায় গলে খরচ ৫৯১৫ রিয়াল (১৫৭৬ ডলার)।

এই মওসুমে ইয়েমেনি হাজিদের খরচ নির্ধারণ করা হয়েছে ১২৮২০ সৌদি রিয়াল (৩৪১৬ ডলার)। মহামারীর আগে গত মৌসুমে ইয়েমেনে হজের গড় খরচ ছিল ২৩০০ ডলার। ইয়ামানি ধর্ম মন্ত্রণালয়ের মতে, গত মওসুমের তুলনায় এবার ৩০% খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে।

ইরাকি হাজিদের আকাশপথে হজের খরচ প্রায় ৪২০০ ডলার এবং স্থলপথে হজের খরচ ৩৪৫০ ডলার পড়বে। ২০১৯ সালে স্থলপথে এই খরচ ছিল ২৫৩৫ ডলার, আকাশপথে খরচ ছিল ৩,৩২২ ডলার। গত মওসুমের তুলনায় এবারের খরচ আকাশপথে ২৬.৪% এবং স্থলপথে ৩৬% বৃদ্ধি পেয়েছে।

ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের হাজিদের খরচ পড়বে ২৭০০ জর্দানিয়ান দিনার (৩৮০৮ ডলার) থেকে শুরু করে ২৮০০ জর্ডানিয়ান দিনার (৩৯৪৯ ডলার) পর্যন্ত। গাজা থেকে খরচ পড়বে প্রায় ৩২০০ দিনার (৪৫১৩ ডলার)। এখানে খরচ বাড়ার কারণ বিভিন্ন ক্রসিং, ভ্রমণ ফি। জর্ডানের ধর্ম মন্ত্রণালয় ফিলিস্তিনিদের হজযাত্রা দেখাশোনা করে।

এই মওসুমে সিরিয়ার হাজিদের খরচ ৩৭০০ ডলার পড়বে। ২০১৯ সালের শেষ হজ মৌসুমে এটি ছিল প্রায় ৩ হাজার ডলার। গত মওসুমের তুলনায় এবার খরচ ২৩% বৃদ্ধি পেয়েছে।

জর্ডানে এই মরসুমে হজের খরচ পড়ছে ২০০০ দিনার (২৮২০0 ডলার) থেকে ২২০০ দিনার (৩১০৩ ডলার) পর্যন্ত। গত মওসুমে এই খরচ ছিল প্রায় ২১০০ দিনার (২৯৬১ডলার)। এবার খরচ বেড়েছে প্রায় ৫%।

লেবাননে এ বছর হজের খরচ ছিল সর্বনিম্ন ৬ হাজার ডলার। এবং তা বেড়ে ১২ হাজার ডলার হতে পারে। ২০১৯ সালে খরচ ছিল ২৩০০ থেকে ৩ হাজার ডলার। গত মওসুমের তুলনায় এবার খরচ ১৬০% থেকে ৩০০% বেড়েছে।

মিশরের হাজিদের এই মওসুমে হজের খরচ ৮২০০০ পাউন্ড (৪৩৭৫ ডলার) থেকে শুরু করে ১৭৭৫০০ পাউন্ড (৯৪৪৫ ডলার) পর্যতন্ত পড়বে। গত মওসুমের তুলনায় খরচ এবার ৩০% থেকে ৪০% বৃদ্ধি পেয়েছে।

এই মওসুমে সুদানী হাজিদের জন্য সর্বনিম্ন খরচ হল দুই মিলিয়ন ১১৭ হাজার সুদানিজ পাউন্ড (৪৬৩৭ ডলার)। সর্বোচ্চ খরচ দুই মিলিয়ন ৮৫৭ হাজার পাউন্ড (৬২৫৮ডলার)।

এ বছর লিবীয় হজযাত্রীদের সম্পূর্ণ খরচ বহন করবে দেশটির সরকার। এ জন্য দেশটির সরকার ২০ কোটি দিনার বা ৪ কোটি ১৫ লাখ ২০ হাজার ৮০০ মার্কিন ডলার বরাদ্দ রেখেছে।

তিউনিসিয়ার হাজিদের এই মৌসুমে হজের খরচ ধরা করা হয়েছে ১৬৪০০ দিনার (৫২৭৯ ডলার)। ২০১৯ মৌসুমে এটি ছিল১৩৮৯৬ দিনার (৪৪৭৩ডলার)। গত মওসুমের তুলনায় এবার খরচ প্রায় ১৮% বৃদ্ধি পেয়েছে।

আলজেরিয়ার হাজিদের হজের খরচ৮৫৬০০০ দিনার (৫৮৬৬ ডলার) নির্ধারণ করা হয়েছে। ২০১৯ সালে এটি ছিল ৫৬৫০০০ দিনার (৩৮৭২ডলার)। তার মানে এই বছরের জন্য খরচ ৫১.৫%।

মরক্কোতে এই মৌসুমে হজের খরচ নির্ধারণ করা হয়েছিল ৬৩৮০০ দিরহাম (৬৩৩৭ ডলার)। গত হজ মৌসুমে এই পরিমাণ ছিল ৪৬৫৫১ দিরহাম (৪৬২৩ ডলার)। এবার খরচ ৩৭% বৃদ্ধি পেয়েছে।

মৌরিতানিয়ায় এই বছর হজের খরচের পরিমাণ ছিল ২২৩০০০ আউন্স (৬১০৬ ডলার)। ২০১৯ সালে এই খরচের পরিমাণ ছিল ১৪৯২০১আউন্স (৪০৮৫ ডলার)। এবার খরচ ৪৯% বৃদ্ধি পেয়েছে।

তথ্যসূত্র: আল জাজিরা

The post  আরব দেশে হজের ব্যয় বৃদ্ধি: কোন দেশে কত বাড়ল appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/krdVeKa

Tuesday, June 28, 2022

করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি: মসজিদে যেতে পারবে না শিশু-বৃদ্ধ-অসুস্থরা

ফাতেহ ডেস্ক:

করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ রোধে মসজিদে জামাতে নামাজ আদায়ে নয়টি নির্দেশনা মানতে হবে। এছাড়া অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ের ক্ষেত্রেও অনুসরণীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৮ জুন) এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এসব নির্দেশনার কথা জানিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

এতে বলা হয়, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবজনিত কারণে সারাদেশে করোনায় আক্রান্তের হার দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাওয়ায় বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের গত ২৬ জুনের ডিওপত্রে কতিপয় বিধিনিষেধ আরোপ করে নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

এর পরিপ্রেক্ষিতে দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে ধর্ম মন্ত্রণালয় সব ধর্মের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও মসজিদে জামাতে নামাজের জন্য আবশ্যিকভাবে নয়টি নির্দেশনা পালনের জন্য অনুরোধ জানিয়েছে।

১. মসজিদের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার/হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান-পানি রাখতে হবে এবং আগত মুসল্লিদের অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে।
২. প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে ওজু করে, সুন্নত নামাজ ঘরে আদায় করে মসজিদে আসতে হবে এবং ওজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।
৩. মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আগে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবাণুনাশক দ্বারা পরিষ্কার করতে হবে। মুসল্লিরা প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসতে হবে।
৪. কাতারে নামাজে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে।
৫. শিশু, বয়োবৃদ্ধ, যে কোনো অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি জামাতে অংশগ্রহণ করা হতে বিরত থাকবে।
৬. সংক্রমণ রোধ নিশ্চিতে মসজিদের ওজুখানায় সাবান/হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না।
৭. সর্বসাধারণের সুরক্ষা নিশ্চিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে।
৮. করোনাভাইরাস মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য নামাজ শেষে মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে খতিব, ইমাম ও মুসল্লিরা দোয়া করবেন।
৯. খতিব, ইমাম এবং মসজিদ পরিচালনা কমিটি বিষয়গুলো বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবেন।

অন্যান্য সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান/উপাসনালয়ে প্রবেশের ক্ষেত্রে মাস্ক পরিধান, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, হ্যান্ড স্যানিটাইজার/সাবান দিয়ে হাত ধোয়াসহ ব্যবহারসহ স্বাস্থ্যবিধি ও শারীরিক দূরত্ব যথাযথভাবে অনুসরণ করবেন।

এসব নির্দেশনা লঙ্ঘিত হলে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্ট মসজিদের পরিচালনা কমিটিকে উল্লিখিত নির্দেশনা বাস্তবায়নের অনুরোধ জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

এদিকে করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ রোধে মাস্ক পরা, যথাসম্ভব জনসমাগম বর্জন, কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি পালনসহ ছয়টি নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। এ ছয়টি নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য সব মন্ত্রণালয়ের সচিব ও বিভাগীয় কমিশনারের কাছে মঙ্গলবার চিঠি পাঠিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

The post করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি: মসজিদে যেতে পারবে না শিশু-বৃদ্ধ-অসুস্থরা appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/RKjfqOc

দেশে একদিনে করোনায় আক্রান্ত ২০৮৭, মৃত ৩

ফাতেহ ডেস্ক:

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় ৩ জন মারা গেছেন। এ সময়ে শনাক্ত হয়েছেন ২ হাজার ৮৭ জন। গতকাল শনাক্ত ছিল ২ হাজার ১০১ জন। আর গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ।

মঙ্গলবার (২৮ জুন) স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

আজকের ৩ জন নিয়ে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হলো ২৯ হাজার ১৪৫ জনের এবং মোট শনাক্ত হলেন ১৯ লাখ ৬৯ হাজার ৩৬১ জন।

এদিন সুস্থ হয়েছেন ২০০ জন এবং এখন পর্যন্ত সুস্থ হলেন ১৯ লাখ ৭ হাজার ৬৭ জন।

স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৩ হাজার ১৮৪টি, অ্যান্টিজেন টেস্টসহ নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৩ হাজার ৪৮৯টি। এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৪৩ লাখ ১৯ হাজার ৩৬৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।

অধিদফতর আরও জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ এবং এখন পর্যন্ত ১৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৬ দশমিক ৮৪ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৮ শতাংশ।

মারা যাওয়া তিন জনের মধ্যে পুরুষ একজন এবং নারী দুই জন। বয়স বিবেচনায় তাদের মধ্যে ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে একজন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে একজন এবং ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে একজন আছেন।

তাদের মধ্যে একজন ঢাকার, দুই জন চট্টগ্রামে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

The post দেশে একদিনে করোনায় আক্রান্ত ২০৮৭, মৃত ৩ appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/v3cntFm

Monday, June 27, 2022

স্কুলের তুলনায় মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী বাড়ছে: ব্র্যাকের গবেষণা

ফাতেহ ডেস্ক:

করোনা মহামারির মধ্যে দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির হার কমেছে। তবে এই সময়ে মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী ভর্তির হার বেড়েছে। আবার করোনাকালে স্মার্টফোন ও ইন্টারনেটের ব্যবহার বাড়লেও পড়াশোনার জন্য এসব প্রযুক্তির ব্যবহার হয়েছে কম। একইভাবে টেলিভিশনে সরকারি উদ্যোগে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদানের ব্যবস্থা থাকলেও তা শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করতে পারেনি।

‘করোনা মহামারির কারণে স্কুল বন্ধের সময়ে বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা—প্রাথমিক শিক্ষা পরিস্থিতি’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব এডুকেশনাল ডেভেলপমেন্টের (আইইডি) উদ্যোগে গবেষণাটি করা হয়। এ গবেষণার জন্য গত বছরের জুন থেকে অক্টোবরের মধ্যে ৬১টি গ্রাম ও ৩৯টি শহর এলাকা ১১ হাজার ৯৯৯টি পরিবারের ওপর জরিপ চালানো হয়। এতে প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার ৪ হাজার ৬৮৯ জন শিক্ষার্থী এবং ৩৯৮ জন শিক্ষক (প্রাথমিক ও মাদ্রাসা) অংশ নেন।

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২০ সালে প্রাক্‌-প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির হার ছিল ৬২ দশমিক ৭ শতাংশ এবং প্রাথমিকে ৯৬ দশমিক ২ শতাংশ। ২০২১ সালে তা কমে হয় ৪৯ দশমিক ৬ এবং ৯৩ দশমিক ৬ শতাংশ। অর্থাৎ করোনার সময়ে (২০২১ সালে) প্রাক্‌-প্রাথমিক ও প্রাথমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থী ভর্তির হার কমেছে। অন্যদিকে একই সময়ে কওমি, হাফেজিয়া ও নূরানি মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী ভর্তির হার বেশি ছিল। ২০২০ সালে মাদ্রাসায় ৫ বছরের শিশুদের ভর্তির হার ছিল সাড়ে ৮ শতাংশ। সেটি ২০২১ সালে বেড়ে হয় সাড়ে ৯ শতাংশ। এ ছাড়া ৬ থেকে ১০ বছরের শিশুদের মধ্যে ২০২০ সালে মাদ্রাসায় ভর্তির হার ছিল ১১ শতাংশ। এক বছর পর (২০২১ সাল) তা বেড়ে হয় ১৪ দশমিক ১ শতাংশ।

মাদ্রাসার ভর্তি বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, করোনার সময় বিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও মাদ্রাসা খুব বেশি দিন বন্ধ ছিল না। অনেক অভিভাবক ছেলেমেয়েদের বিদ্যালয়ের পরিবর্তে মাদ্রাসায় ভর্তি করান। এ ছাড়া কয়েক বছর ধরে মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী ভর্তির হার বাড়ছিল। গ্রামাঞ্চলে বেসরকারি সংস্থা পরিচালিত বিদ্যালয়ের সংখ্যা আগের চেয়ে কমেছে। ফলে যেসব শিক্ষার্থী সরকারি বিদ্যালয়ের বাইরে থাকছে, তাদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ মাদ্রাসায় গিয়ে ভর্তি হচ্ছে।

গবেষণাটি করেছেন ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব এডুকেশনাল ডেভেলপমেন্টের প্রোগ্রাম হেড সমীর রঞ্জন নাথ।

The post স্কুলের তুলনায় মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী বাড়ছে: ব্র্যাকের গবেষণা appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/hfPebU0

Sunday, June 26, 2022

২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণের নির্দেশ

ফাতেহ ডেস্ক:

আসন্ন ঈদুল আজহায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ এবং কোরবানির স্থান পরিষ্কার করতে সব সিটি করপোরেশন ও সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মুহাম্মাদ তাজুল ইসলাম। যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে সারা দেশে পশুর হাট বসবে বলেও জানান মন্ত্রী।

রবিবার (২৬ জুন) ঈদুল আজহা উপলক্ষে অনলাইনে আয়োজিত পশুর হাট ব্যবস্থাপনা, নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানি বাস্তবায়ন এবং কোরবানির পশুর বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সার্বিক প্রস্তুতি পর্যালোচনার লক্ষ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ নির্দেশ দেন।

মন্ত্রী বলেন, সড়ক-মহাসড়কের পাশে যেখানে যান চলাচল বিঘ্ন হতে পারে সেখানে পশুর হাট বসানো যাবে না। নির্দেশ অমান্যকারীর বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, জেলা প্রশাসকরা পৌর মেয়র, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের নিয়ে সভা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করবেন। সিটি করপোরেশনের মেয়র, ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ এবং জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানরা নিজ নিজ অবস্থান থেকে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করবেন।

মুহাম্মাদ তাজুল ইসলাম জানান, বছরের শুরুতে করোনা সংক্রমনের হার কম থাকলেও কয়েকদিন ধরে সংক্রম বেড়েছে। তাই স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে পশুর হাট বসাতে হবে। এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

The post ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণের নির্দেশ appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/kBpTNjb

Saturday, June 25, 2022

দেশে একদিনে করোনায় মৃত্যু ৩, শনাক্ত ১২৮০

ফাতেহ ডেস্ক:

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ২৯ হাজার ১৩৮ জনে। একই সময়ে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার ২৮০ জন। এ পর্যন্ত শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে মোট ১৯ লাখ ৬৩ হাজার ৪৯৩ জন।

শনিবার (২৫ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১০২ জন করোনা রোগী। এ পর্যন্ত করোনামুক্ত হয়েছেন ১৯ লাখ ৬ হাজার ৫১৯ জন। ২৪ ঘণ্টায় ৮ হাজার ৪৫৫টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ৮ হাজার ৪৯২টি নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ০৭ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ১০ শতাংশ। করোনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৮ শতাংশ।

২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিনজনের শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

The post দেশে একদিনে করোনায় মৃত্যু ৩, শনাক্ত ১২৮০ appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/lUWY6My

Thursday, June 23, 2022

দেশে করোনা শনাক্ত ছাড়ালো ১৪ শতাংশ, একজনের মৃত্যু

ফাতেহ ডেস্ক:

দেশে ফের বাড়তে শুরু করেছে করোনা সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার ৩১৯ জন। শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৩২ শতাংশ। একই সময়ে করোনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ২৯ হাজার ১৩৫ জনে। আর শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯ লাখ ৬০ হাজার ৫২৮ জনে।

বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

গত চার মাস পর দেশে দৈনিক করোনা শনাক্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করলো। এর আগে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি এক হাজার ৪০৬ জনের করোনা শনাক্তের তথ্য দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর সবশেষ বুধবার (২২ জুন) ফের হাজার ছাড়ায় করোনা সংক্রমণ। যা বৃহস্পতিবারও অব্যাহত রয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১২৭ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৬ হাজার ২৩২ জন। এছাড়া একই সময়ে দেশে ৯ হাজার ২১৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়।

২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিনজনের শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

 

The post দেশে করোনা শনাক্ত ছাড়ালো ১৪ শতাংশ, একজনের মৃত্যু appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/v83DqWB

Wednesday, June 15, 2022

দেশে ৪৮ লাখ মানুষ প্রতিবন্ধী: জরিপ

ফাতেহ ডেস্ক:

দেশের মোট জনসংখ্যার ২ দশমিক ৮০ শতাংশের মধ্যে শারীরিক বা মানসিক কোনো না কোনো প্রতিবন্ধিতা রয়েছে। নারীর তুলনায় পুরুষের মধ্যে এটি বেশি। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। ন্যাশনাল সার্ভে অন পারসনস উইথ ডিজঅ্যাবিলিটিজ (এনএসপিডি) নামে প্রাথমিক এ প্রতিবেদন সংস্থার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।

২০১১ সালের সর্বশেষ জনশুমারি অনুযায়ী, দেশের জনসংখ্যা ১৪ কোটি ৯৮ লাখ। বিবিএসের তথ্য হচ্ছে, প্রতি ১০ বছরে জনসংখ্যা গড়ে দুই কোটি বেড়ে থাকে। সর্বশেষ জনশুমারির পর ১১ বছর পার হয়েছে। সে হিসাবে দেশে বর্তমানে জনসংখ্যা কমবেশি ১৭ কোটি। এ হিসাবে দেশে এখন প্রতিবন্ধী মানুষের সংখ্যা ৪৮ লাখ। প্রতিবন্ধীর সরকারি সংজ্ঞা অনুযায়ী এদের মধ্যে অন্তত একটি প্রতিবন্ধিতা রয়েছে।

জরিপে নমুনা হিসেবে সারাদেশের ৩৬ হাজার থানার তথ্য নেওয়া হয়েছে। প্রশ্নোত্তর এবং তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করা হয়। তথ্য সংগ্রহ করা হয় গত বছরের ১ নভেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে। দেশে এ ধরনের জরিপ এটিই প্রথম। প্রতিবেদনের নির্বাহী সারসংক্ষেপে বিবিএস বলেছে, প্রতিবন্ধী মানুষের কল্যাণ ও উন্নয়নে নেওয়া পরিকল্পনা, পরিবীক্ষণ এবং মূল্যায়নে এসব হালনাগাদ তথ্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, শহরের তুলনায় গ্রামের মানুষের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধিতা বেশি। মোট প্রতিবন্ধীর ২ দশমিক ৯২ শতাংশ গ্রামের, বাকি ২ দশমিক ৪৫ শতাংশ শহরের। বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধীদের মধ্যে সর্বোচ্চ হার শারীরিক প্রতিবন্ধীর। ২ দশমিক ৮০ শতাংশের মধ্যে ১ দশমিক ১৯ শতাংশ শারীরিক প্রতিবন্ধী। মানসিক কারণে প্রতিবন্ধীর সংজ্ঞায় পড়া মানুষের হার শূন্য দশমিক ২৪ শতাংশ। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শূন্য দশমিক ৩৯ শতাংশ। বাকপ্রতিবন্ধী শূন্য দশমিক ১১ শতাংশ। বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী শূন্য দশমিক ১৪ এবং শ্রবণপ্রতিবন্ধী শূন্য দশমিক ১৯ শতাংশ মানুষ। অন্য আরও কিছু প্রতিবন্ধিতার তথ্য তুলে ধরা হয় প্রতিবেদনে।

প্রতিবন্ধীদের কর্মসংস্থান প্রসঙ্গে প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, প্রতিবন্ধীদের মাত্র ২৭ দশমিক ২১ শতাংশ কাজে নিযুক্ত আছেন। জরিপকালের আগের তিন মাসের মধ্যে কোনো ধরনের স্বাস্থ্যসেবা পাননি ৩৮ শতাংশের বেশি। যাঁরা সাধারণ চিকিৎসা পেয়েছেন, তাঁদের প্রায় ২৭ শতাংশই এ সেবা পেয়েছেন সরকারি হাসপাতাল থেকে। প্রায় ৭২ শতাংশ প্রতিবন্ধীকে উচ্চমূল্যে বেসরকারি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসাসেবা নিতে হয়েছে।

প্রতিবেদনে সমাজের বঞ্চিতদের নিয়ে কাজ করা এনজিওর মাধ্যমে চিকিৎসার সুযোগের তথ্য রীতিমতো আঁতকে ওঠার মতো। ১ শতাংশের কম মাত্র শূন্য ৩১ শতাংশ প্রতিবন্ধী মানুষ এনজিও থেকে চিকিৎসাসেবা পেয়েছেন। প্রতিবন্ধী অনেকেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তারপরও ৫১ শতাংশ প্রতিবন্ধী এখনও করোনার টিকা পাননি। সরকারের দেওয়া প্রতিবন্ধী ভাতা পাননি ৭৭ শতাংশ। প্রতিবেশীর হয়রানির শিকার হয়েছেন ৪০ শতাংশ। পরিবারে প্রতিবন্ধী সদস্য আছে এমন ৫ শতাংশ পরিবার বিদ্রুপের শিকার হওয়ার কথা জানিয়েছে। এদের ৪৬ শতাংশ অভিযোগ করেও কর্তৃপক্ষের কাছে কোনো সুবিচার পায়নি।

প্রতিবন্ধী শিশুদের ৫৯ শতাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত পড়ালেখা করছে না। ৭৫ শতাংশের বেশি উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে যাচ্ছে না। এসব শিশু সামাজিকভাবে পিছিয়ে পড়ছে। জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় (এসজিডি) সাম্য, শান্তিপূর্ণ ও উন্নত সমাজের কথা বলা হয়েছে। অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন লক্ষ্য হিসেবে ‘বাদ যাবে না কেউ’ স্লোগানের কথা বলা হয়েছে এতে। ২০৩০ সালের মধ্যেই এ লক্ষ্য অর্জনে সরকারের প্রতিশ্রুতি রয়েছে। লক্ষ্য অর্জনে প্রতিবন্ধীদের উন্নয়নের মূল প্রবাহে নিয়ে আসা অত্যন্ত জরুরি বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।

The post দেশে ৪৮ লাখ মানুষ প্রতিবন্ধী: জরিপ appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/giY1x4N

Saturday, June 4, 2022

৪১০ যাত্রী নিয়ে ঢাকা ছাড়লো প্রথম হজ ফ্লাইট

ফাতেহ ডেস্ক:

চলতি বছরের প্রথম হজ ফ্লাইট ৪১০ জন যাত্রী ঢাকা ছেড়েছে। রবিবার (৫ জুন) সকাল ৯টার দিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে যায়।

গত শুক্রবার (৩ জুন) হজ কার্যক্রম উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৮ জুলাই (৯ জিলহজ) সৌদি আরবে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। করোনা মহামারির কারণে গেলো ২ বছর বাংলাদেশে থেকে কেউ হজে অংশ নিতে পারেননি। এবার হজে সারা বিশ্বের ১০ লাখ মুসল্লি অংশগ্রহণের সুযোগ পাচ্ছেন। হজযাত্রীর এই সংখ্যা কোটা অনুযায়ী বিভিন্ন দেশের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। এবার নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে সৌদি আরব সরকার ঘোষণা করে বাংলাদেশে থেকে হজে যাওয়ার সুযোগ দেওয়ার কথা। তবে কমিয়ে দেওয়া হয় হজযাত্রীর কোটা।

এ বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫৩ হাজার ৫৮৫ জনসহ সর্বমোট ৫৭ হাজার ৫৮৫ জন হজযাত্রী পবিত্র হজ পালনের জন্য সৌদি আরব গমনের সুযোগ পাচ্ছেন। যদিও আগে প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার মানুষ বাংলাদেশ থেকে হজে অংশ নেওয়ার সুযোগ পেতেন। এবছর ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের হজে অংশগ্রহণের সুযোগ দিচ্ছে না সৌদি সরকার।

The post ৪১০ যাত্রী নিয়ে ঢাকা ছাড়লো প্রথম হজ ফ্লাইট appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/qWyZzdv