Saturday, July 31, 2021

১৮ বছর বয়সীরা ৮ আগস্ট থেকে করোনা টিকা নিতে পারবেন

ফাতেহ ডেস্ক:

করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষার জন্য আগামী ৮ আগস্ট থেকে ১৮ বছর বয়সীরাও টিকার জন্য নিবন্ধন করতে পারবেন। শনিবার (৩১ জুলাই) সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ কথা জানান তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

ওই পোস্টে তিনি আরো জানান, যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই তারাও করোনার টিকা পাবেন।

এর আগে শনিবার বিকেলে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জাপান থেকে আসা উপহারের অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার দ্বিতীয় চালান গ্রহণ শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এনআইডি না থাকলেও বিশেষ ব্যবস্থায় টিকা দেওয়া হবে বলে জানান। মন্ত্রী বলেন, আগামী ৭ আগস্ট থেকে সারাদেশের ইউনিয়ন পর্যায়ে করোনার টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে। এই টিকা প্রদানের ক্ষেত্রে বয়স্কদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

মন্ত্রী আরো বলেন, বয়স্করা যদি শুধুমাত্র এনআইডি কার্ড নিয়েও টিকাদান কেন্দ্রে আসেন, তারপরও তাদের টিকা দেওয়া হবে। কারণ করোনাভাইরাসে বয়স্করাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। তারাই বেশি মারা যাচ্ছেন। আমরা মৃত্যুর হার কমাতে চাই। তাই এ কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছি।

The post ১৮ বছর বয়সীরা ৮ আগস্ট থেকে করোনা টিকা নিতে পারবেন appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3iivlNX

পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশকে পেছনে ফেললো ভিয়েতনাম

ফাতেহ ডেস্ক:

বিশ্বে পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশকে টপকে একক দেশ হিসাবে দ্বিতীয় শীর্ষ অবস্থানে চলে গেছে ভিয়েতনাম। আর বাংলাদেশ নেমে গেছে তৃতীয় স্থানে। বরাবরের মতো শীর্ষে রয়েছে চীন।

বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) ‘ওয়ার্ল্ড ট্রেড স্ট্যাটিসটিকস রিভিউ ২০২১’ প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনটি শুক্রবার রাতে প্রকাশ করা হয়।

এতে দেখা যায়, ২০২০ সালে ভিয়েতনাম দুই হাজার ৯০০ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে। আর বাংলাদেশ রপ্তানি করেছে দুই হাজার ৮০০ কোটি ডলারের পোশাক। অথচ তার আগের বছর বাংলাদেশের রপ্তানি ছিল তিন হাজার ৪০০ কোটি ডলার। তখন ভিয়েতনামের রপ্তানি ছিল তিন হাজার ১০০ কোটি ডলার।

রপ্তানির পাশাপাশি বৈশ্বিক বাজারে হিস্যাও কমেছে বাংলাদেশের। ২০১৯ সালে বিশ্বে যত পোশাক রপ্তানি হয়, তার মধ্যে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ ছিল বাংলাদেশি। গত বছর সেটি কমে ৬ দশমিক ৩ শতাংশ হয়েছে।

অন্যদিকে ভিয়েতনামের বাজার হিস্যা গত বছর ৬ দশমিক ৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। অবশ্য ২০১০ সালে বাংলাদেশের হিস্যা ছিল ৪ দশমিক ২ শতাংশ। তখন ভিয়েতনামের ছিল ২ দশমিক ৯ শতাংশ। ১০ বছরের ব্যবধানে সেই ভিয়েতনামই টপকে গেল বাংলাদেশকে।

বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানিকারকেরা বলছেন, করোনার কারণে গত বছর প্রায় এক মাস পোশাক কারখানা বন্ধ ছিল। সে সময় পণ্য রপ্তানি হয়নি। অনেক ক্রয়াদেশ বাতিল হয়েছে। ফলে বন্ধের পর কারখানা খুললেও ক্রয়াদেশ কম ছিল। সে কারণে সহজেই ভিয়েতনাম বাংলাদেশকে পেছনে ফেলতে পারে।

The post পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশকে পেছনে ফেললো ভিয়েতনাম appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/2TMMLJ3

টিকা নিলেও কাতারে বাংলাদেশিদের ১০ দিনের কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক

ফাতেহ ডেস্ক:

বাংলাদেশের প্রবাসীদের কেউ করোনা টিকার পূর্ণ ডোজ নিয়েও কাতারে প্রবেশ করতে চাইলে বাধ্যতামূলক ১০ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। সোমবার (২ আগস্ট) স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে।

বাংলাদেশসহ ছয় দেশের প্রবাসীদের কাতারে প্রবেশের জন্য নতুন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। দেশগুলো হলো- ভারত, নেপাল, পাকিস্তান, ফিলিপাইন ও শ্রীলঙ্কা।

সম্প্রতি চিঠি দিয়ে বাংলাদেশের দুই এয়ারলাইন্স প্রতিষ্ঠান ও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে (বেবিচক) বিষয়টি অবগত করেছে কাতার।

নির্দেশনায় জানানো হয়, কাতার ছাড়া অন্য দেশ থেকে যারা টিকা নিয়েছে তাদের ১০ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে হোটেলে। তবে কোনো ব্যক্তি কাতারে করোনার টিকার দুই ডোজ নিয়ে থাকলে কাতারে প্রবেশের ক্ষেত্রে দুই দিন হোটেলে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। কোয়ারেন্টাইনের দ্বিতীয় দিন তার করোনা টেস্ট ফলাফল নেগেটিভ হলে তাকে কাতারে প্রবেশ করানো হবে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বর্তমানে প্রবাসীরা পাঁচ কোম্পানির যেকোনো একটি টিকার ডোজ নিয়েই কাতারে প্রবেশ করতে পারবেন। সেগুলো হচ্ছে- ফাইজার, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, মডার্না, সিনোফার্ম ও জনসন অ্যান্ড জনসন।

বাংলাদেশ থেকে বর্তমানে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কাতারের দোহায় ফ্লাইট পরিচালনা করছে।

The post টিকা নিলেও কাতারে বাংলাদেশিদের ১০ দিনের কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3fjrcHp

গ্রামে থাকা শ্রমিকদের কাজে না ফিরতে অনুরোধ বিজিএমইএর

ফাতেহ ডেস্ক:

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে চলমান বিধিনিষেধে গ্রামে থাকা শ্রমিকদের কাজে না ফিরতে অনুরোধ জানিয়েছে তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ)। শ্রমিকদের অভয় দিয়ে সংগঠনটি বলছে, বিধিনিষেধ পুরোপুরি শেষ হওয়া পর্যন্ত তারা কাজে যোগ না দিলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে না।

শনিবার (৩১ জুলাই) এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি ফারুক হাসান কারখানা মালিকদের উদ্দেশে বলেন, বিধিনিষেধ পুরোপুরি প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত গ্রামে অবস্থানরত কোনো শ্রমিক-কর্মচারী কারখানায় কাজে যোগদান করতে না পারলে তার বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। কারখানার আশপাশে অবস্থানরত শ্রমিকদের নিয়ে উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য সদস্যদের আহ্বান জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, সার্বিক দিক বিবেচনা করে সরকার রোববার (১ আগস্ট) থেকে সব রফতানিমুখী শিল্প ও কলকারখানা বিধিনিষেধের আওতা বহির্ভূত রাখতে শুক্রবার (৩০ জুলাই) একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

ফারুক হাসান বলেন, প্রধানমন্ত্রী এবং সরকারের কাছে আমরা বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ। করোনার এই ক্রান্তিকালে রফতানিমুখী শিল্পের প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করে এবং দেশ ও অর্থনীতি এবং জীবন ও জীবিকা দুটোই সমন্বয়ের স্বার্থে সব রফতানিমুখী শিল্প ও কলকারখানায় উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ অবস্থায় কারখানা পরিচালনার ক্ষেত্রে সরকার ঘোষিত এবং বিজিএমইএ’র দেওয়া সব নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য সদস্যদের আহ্বান জানাচ্ছি।

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, পোশাক শিল্পে কর্মরত সম্মুখসারির যোদ্ধাদের জন্য করোনার টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এজন্য সরকারের প্রতি বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আমরা আবারও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। রফতানি বাণিজ্যে গতি ধরে রাখতে শ্রমিকদের শতভাগ টিকার আওতায় আনা অত্যন্ত জরুরি। শ্রমিকদের নিরাপত্তায় করোনার টিকার ব্যাপারে সহায়তা চেয়ে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের কাছে আমরা আহ্বান জানিয়েছি।

উল্লেখ্য, শুক্রবার (৩০ জুলাই) বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপ-সচিব মো. রেজাউল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, ১ আগস্ট (রোববার) থেকে গার্মেন্টসসহ রফতানিমুখী শিল্প-কারখানা স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা থাকবে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ১ আগস্ট (রোববার) সকাল ৬টা থেকে রফতানিমুখী সব শিল্প-কারখানা বিধিনিষেধের আওতাবহির্ভূত রাখা হলো।

The post গ্রামে থাকা শ্রমিকদের কাজে না ফিরতে অনুরোধ বিজিএমইএর appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3j6ctRd

আমি নিজেকে একনায়কে পরিণত করবো না: কায়েস সাইদ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কায়েস সাইদ বলেছেন, তিনি নিজেকে একনায়কে পরিণত করবেন না। শুক্রবার তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্টের দফতর থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এই প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

এদিকে তিউনিসিয়ায় ‘অভ্যুত্থান’ করার দায়ে প্রেসিডেন্ট সাইদের সমালোচনকারী দুই পার্লামেন্ট সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

প্রেসিডেন্টের দফতর থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে কায়েস সাইদ বলেন, ‘সংবিধানের পাঠ সম্পর্কে আমি ভালোভাবেই অবহিত, তা সম্মান করি ও শিক্ষা দেই। সর্বোপরি আমি নিজেকে একনায়কে পরিণত করবো না, যা কেউ কেউ বলছেন।’

গত রোববার প্রেসিডেন্ট কায়েস সাইদের বিতর্কিত পদক্ষেপের পর অনেক বিশেষজ্ঞই তাকে তিউনিসিয়ায় গণতন্ত্রের পথ ব্ন্ধ করে দিয়ে একনায়কত্ব প্রতিষ্ঠার পথ তৈরি করার বিষয়ে অভিযুক্ত করছেন।

এর আগে ২৫ জুলাই করোনা পরিস্থিতিতে দেশটিতে সৃষ্ট দুর্যোগে আকস্মিক সরকারবিরোধী বিক্ষোভের পর রাতে প্রেসিডেন্ট কায়েস সাইদ দুই বছর আগে নির্বাচিত পার্লামেন্ট ৩০ দিনের জন্য স্থগিত, প্রধানমন্ত্রী হিশাম মাশিশিকে বরখাস্ত ও নিজের হাতে নির্বাহী ক্ষমতা নেয়ার ঘোষণা দিয়ে আদেশ জারি করেন। তিউনিসিয়ার রাজনৈতিক দলগুলো এই আদেশকে ‘সাংবিধানিক অভ্যুত্থান’ বলে অভিযোগ করছে।

সূত্র : আলজাজিরা

The post আমি নিজেকে একনায়কে পরিণত করবো না: কায়েস সাইদ appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/2VcbHtY

করোনায় একদিনে মৃত্যু ২১৮, শনাক্ত ৯ হাজার ৩৬৯

ফাতেহ ডেস্ক:

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৯ হাজার ৩৬৯ জন।

শনিবার (৩১ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ২১৮ জনের মধ্যে পুরুষ ১৩৪ জন এবং নারী ৮৪ জন। তাদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ১৫৬ জন এবং বেসরকারি হাসপাতালে ৪৯ জনের মৃত্যু হয়। এছাড়া ১৩ জনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়।

এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২০ হাজার ৬৮৫ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৬৬ শতাংশ।

একই সময়ে ৩০ হাজার ৯৮০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল ৭৭ লাখ ৪০ হাজার ৮৯৪টি। গত ২৪ নতুন শনাক্ত হওয়া রোগীসহ মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১২ লাখ ৪৯ হাজার ৪৮৪ জনে।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ৩০ দশমিক ২৪ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৬ দশমিক শূন্য ১৪ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৪ হাজার ১৭ জন। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা ১০ লাখ ৭৮ হাজার ২১২ জন। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতার হার ৮৬ দশমিক ২৯ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ২১৮ জনের মধ্যে শূন্য থেকে দশ বছরের মধ্যে ১ জন, বিশোর্ধ্ব ৬ জন, ত্রিশোর্ধ্ব ১৭ জন, চল্লিশোর্ধ্ব ৩৭ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৩৭ জন, ষাটোর্ধ্ব ৬৬ জন, সত্তোরোর্ধ্ব ৩৩ জন, আশি বছরের বেশি বয়সী ১৫ জন, নব্বই বছরের বেশি বয়সী ৪ জন এবং ১০০ বছরের বেশি বয়সী রয়েছেন ২ জন।

বিভাগভিত্তিক হিসাবে দেখা গেছে, ঢাকা বিভাগে ৬৭ জন, চট্টগ্রামে ৫৫ জন, রাজশাহীতে ২২ জন, খুলনায় ২৭ জন, বরিশালে ১০ জন, সিলেট বিভাগে ৯ জন এবং রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের ১৬ জন করে রয়েছে।

The post করোনায় একদিনে মৃত্যু ২১৮, শনাক্ত ৯ হাজার ৩৬৯ appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3lhflxE

আপাতত যোগ না দিলেও চাকরি হারাবেন না পোশাকশ্রমিকরা

ফাতেহ ডেস্ক:

পোশাক কারখানাসহ রফতানিমুখী শিল্পকারখানা রোববার (১ আগস্ট) থেকে খুললেও আপাতত কেউ কাজে যোগ না দিলে চাকরি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তারা চাকরি হারাবেন না বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

গার্মেন্টস খোলার ঘোষণায় শনিবার (৩১ জুলাই) ঢাকামুখী মানুষের ঢল নেমেছে। ঈদের সময় গ্রামে গিয়ে কঠোর বিধিনিষেধে আটকেপড়া হাজার হাজার কর্মী প্রবেশপথগুলো দিয়ে ঢাকায় ঢুকছেন। বাস বন্ধ থাকায় সীমাহীন ভোগান্তি সয়ে তারা আসছেন কর্মস্থলে।

এ বিষয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিষয়টি গতকালই বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে পরিস্কার করা হয়েছে। যারা ঢাকা অবস্থান করছেন, বিশেষ করে যারা ঈদে বাড়ি যায়নি এবং যারা ২২ জুলাইয়ের মধ্যে ফিরে এসেছেন তাদেরকে নিয়েই তারা (মালিকরা) কারখানা পরিচালনা করবেন। বাইরে থেকে তারা কোনো কর্মীকে নিয়ে আসবে না। যারা এই পাঁচদিন কাজ করবে না, যারা বাইরে আছেন- তাদের চাকরিতে কোনো সমস্যা হবে না। তারা ৫ তারিখের পর ধাপে ধাপে আসবেন।’

তিনি বলেন, ‘তাদের (বিজিএমইএ নেতা) সঙ্গে যখন কারখানা খোলা নিয়ে আমাদের আলোচনা হয়, তখনও বলা হয়েছিল- যারা শুধু ঢাকাতে বা কারখানার আশপাশে অবস্থান করছেন, তারাই যোগ দেবেন। সেটার ভিত্তিতেই এই সিদ্ধান্ত (কারখানা খোলা) নেয়া হয়েছে।’

‘কেউ হয়তো মনে করছেন ৫ দিন মিস করব, চলে যাই। অনেকে হয়তো আতঙ্কিত হয়ে ফিরছেন, চাকরি থাকবে কি-না! আমরা সবাইকে বলছি- কারো আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। বিজিএমইএ সভাপতি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তারা দেখবেন, সরকারও বিষয়টি দেখবে।’

ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘কেউ চাকরি হারাবেন না। তারা আস্তে আস্তে ধাপে ধাপে ৫ তারিখের পর আসবেন। এত কষ্ট করে করোনার ঝুঁকি নিয়ে তাদের আসার কোনো প্রয়োজন নেই।’

The post আপাতত যোগ না দিলেও চাকরি হারাবেন না পোশাকশ্রমিকরা appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3fe93L8

Friday, July 30, 2021

এক বছরেও শেষ হয়নি মেজর সিনহা হত্যার সাক্ষ্যগ্রহণ

ফাতেহ ডেস্ক:

মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যার এক বছর পূর্ণ হলো। ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজারের টেকনাফের বাহারছড়ায় গুলিতে নিহত হন তিনি। এ ঘটনায় করা হত্যা মামলায় গত ২৬, ২৭ ও ২৮ জুলাই বাদীপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু কঠোর লকডাউনের কারণে আদালতের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় সাক্ষ্যগ্রহণে থেমে আছে বিচারকাজ।

সিনহা হত্যার দুই দিন পর চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ মিজানুর রহমানকে আহ্বায়ক করেছিল চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ। কমিটি সরেজমিনে তদন্ত করে ঘটনার কারণ ও উৎস অনুসন্ধানের প্রতিবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সুপারিশসহ জমা দেয়।

হত্যাকাণ্ডের পাঁচ দিনের মাথায় সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদী হয়ে বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের বরখাস্ত হওয়া সাবেক পরিদর্শক লিয়াকত আলী, টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ নয় জনকে আসামি করে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা মামলা করেন। মামলার পরদিন ৬ আগস্ট প্রধান আসামি লিয়াকত আলী ও প্রদীপ কুমার দাশসহ সাত পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।

প্রথমে মামলাটি র‌্যাব-১৫ এর সহকারী পুলিশ সুপার জামিল আহমদকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরে তার পরিবর্তে র‍্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. খায়রুল ইসলামকে তদন্তের দায়িত্ব দেন আদালত।

হত্যায় সংশ্লিষ্টতা পেয়ে পুলিশের করা মামলার তিন সাক্ষী এবং শামলাপুর চেকপোস্টে দায়িত্বরত আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) তিন সদস্যকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। পরে মামলার আরেক আসামি টেকনাফ থানা পুলিশের সাবেক সদস্য কনস্টেবল রুবেল শর্মাকেও গ্রেফতার করা হয়। পর্যায়ক্রমে আদালত আসামিদের কারাগারে পাঠানোর পর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খায়রুল ইসলাম তাদের রিমান্ডে নেন।

রিমান্ডের আসামিদের স্বীকারোক্তিতে আরও চার আসামিকে মামলায় যুক্ত করা হয়। এরপর ১৪ আসামিকে র‌্যাবের তদন্ত কর্মকর্তা বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এদের মধ্যে ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও কনস্টেবল রুবেল শর্মা ছাড়া ১২ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

চার মাস তদন্ত শেষে ১৩ ডিসেম্বর ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। অভিযোগপত্রে সিনহা হত্যাকাণ্ডকে পরিকল্পিত ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

২০২১ সালের ২৪ জুন আত্মসমর্পণ করেন এই মামলার একমাত্র পলাতক আসামি কনস্টেবল সাগর দেব। চলতি বছরের ২৭ জুন মামলায় অভিযুক্ত ওসি প্রদীপসহ ১৫ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠনপূর্বক সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন আদালত।

মামলায় কারাগারে থাকা ১৫ আসামি হলো- বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন পরিদর্শক লিয়াকত আলী, সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিত, এএসআই লিটন মিয়া, কনস্টেবল সাফানুল করিম, সাগর দেব, রুবেল শর্মা, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, এপিবিএনের এসআই মো. শাহজাহান, কনস্টেবল মো. রাজীব, মো. আবদুল্লাহ এবং সাক্ষী টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর মারিশবুনিয়া গ্রামের নুরুল আমিন, মো. নিজামুদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন।

চলতি বছরের ২৭ জুন সব আসামির উপস্থিতিতে মামলার অভিযোগ গঠন করেন কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল। এর আগে মামলা তদন্তকালীন সময়ে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার ও কনস্টেবলসহ এক হাজার ৫০৫ পুলিশকে বদলি করা হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ফরিদুল আলম চৌধুরী বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনের কারণে সারা দেশের মতো কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে স্বাভাবিক কার্যক্রম না চলায় নির্ধারিত দিনে মেজর সিনহা হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ করা সম্ভব হয়নি।

তিনি বলেন, মামলার সাক্ষী ৮৩ জন। আদালতের কার্যক্রম শুরু হলে সাক্ষ্যগ্রহণসহ অন্যান্য বিচারপ্রক্রিয়া স্বাভাবিক নিয়মে চলবে। ২৬, ২৭ ও ২৮ জুলাই মামলায় বাদী পক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন আদালত। কিন্তু কঠোর লকডাউনের কারণে আদালতের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় পিছিয়ে নেওয়া হয় সাক্ষ্যগ্রহণের দিন।

The post এক বছরেও শেষ হয়নি মেজর সিনহা হত্যার সাক্ষ্যগ্রহণ appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3C2Q1B4

১ আগস্ট থেকে রফতানিমুখী শিল্পকারখানা খোলা

ফাতেহ ডেস্ক:

আগামী রোববার (১ আগস্ট) থেকে চলমান বিধিনিষেধের (লকডাউন) বাইরে থাকবে রফতানিমুখী শিল্পকারখানা। শুক্রবার (৩০ আগস্ট) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদের দাবির একদিনের মধ্যেই এই সিদ্ধান্ত এলো।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আগামী ১ আগস্ট সকাল ৬টা থেকে রফতানিমুখী সব শিল্প ও কলকারখানা আরোপিত বিধিনিষেধের আওতা বহির্ভূত রাখা হলো।

এই সিদ্ধান্তের ফলে রোববার সকাল থেকেই খুলছে রফতানিমুখী সব শিল্প-কারখানা।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়েছে কঠোর বিধিনিষেধ। এই বিধিনিষেধ চলবে আগামী ৫ আগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত। বিধিনিষেধে সব ধরনের গণপরিবহন, সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ আছে। খাদ্যপণ্য উৎপাদন-প্রক্রিয়াকরণ, চামড়া পরিবহন-সংরক্ষণ ও ওষুধ খাত ছাড়া বন্ধ রয়েছে সব ধরনের শিল্প-কারখানা।

The post ১ আগস্ট থেকে রফতানিমুখী শিল্পকারখানা খোলা appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3BXgC2t

আরো ১০ দিন লকডাউন বাড়ানোর সুপারিশ

ফাতেহ ডেস্ক:

লকডাউনই এখনই শিথিল বা উঠিয়ে নেওয়ার পক্ষে নয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ৫ আগস্টের পরও কঠোর লকডাউন বহালের সুপারিশ করা হয়েছে। দেশে করোনা ভাইরাসে মৃত্যু ও সংক্রমণ বাড়তে থাকায় চলমান লকডাউন আরও ১০ দিন বাড়ানোর সুপারিশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে সবর্শেষ ২৮ জুন লকডাউন শুরু হয়। ৫ জুলাই পর্যন্ত সপ্তাহব্যাপী লকডাউন চলে। এরপর ৭ জুলাই মধ্যরাত থেকে ১৪ জুলাই রাত ১২টা পর্যন্ত লকডাউনের বিধিনিষেধের সময়সীমা বাড়ানো হয়। এরপর ঈদুল আজহার কথা বিবেচনা করে কঠোর বিধিনিষেধ এক সপ্তাহের জন্য শিথিল করা হয়। এরপর তৃতীয় ধাপে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ফের শুরু হয় লকডাউন। ৫ আগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত এ লকডাউন চলবে।

৫ আগস্টের পর লকডাউন উঠে যাবে কি না এই উৎকণ্ঠায় যখন জনগণ। তখনই স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এই সুপারিশ জানালো।

আজ শুক্রবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা এ বি এম খুরশীদ বলেন, যেভাবে সংক্রমণ বাড়ছে, আমরা কিভাবে এই সংক্রমণ সামাল দেব? রোগীদের জায়গা দেব কোথায়? সংক্রমণ এভাবে বাড়তে থাকলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব নয়। অবস্থা খুবই খারাপ হতে পারে। এ পরিস্থিতি বিবেচনা করে বিধিনিষেধ বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে।

খুরশীদ আলম জানান, আরও ১০ দিন আগেই কেবিনেট মিটিংয়ে বিধিনিষেধ বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।

The post আরো ১০ দিন লকডাউন বাড়ানোর সুপারিশ appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3j0GLoB

Thursday, July 29, 2021

কড়া শর্তে বিদেশি পর্যটকদের জন্য দরজা খুলছে সৌদি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

সৌদি সরকার অনুমোদিত করোনার টিকার প্রয়োজনীয় সব ডোজ নেয়ার শর্তে প্রায় দেড় বছর পর বিদেশি পর্যটকদের জন্য সীমান্ত উন্মুক্ত করতে রাজি হয়েছে সৌদি আরব। শুক্রবার সৌদির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থার বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে এএফপি।

সৌদি প্রেস এজেন্সির খবরে বলা হয়েছে, আগামী ১ আগস্ট থেকে বিদেশি পর্যটকদের জন্য দরজা খুলে দেবে সৌদি আরব এবং পর্যটক ভিসাধারীদের প্রবেশাধিকারে স্থগিতাদেশও প্রত্যাহার করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে দেশটির পর্যটন মন্ত্রণালয়।

বার্তা সংস্থাটি জানিয়েছে, পর্যটকেরা কেবল সৌদি অনুমোদিত; অর্থাৎ ফাইজার, অ্যাস্ট্রাজেনেকা বা মডার্নার দুই ডোজ অথবা জনসন অ্যান্ড জনসনের করোনা টিকার এক ডোজ নেয়া থাকলেই দেশটিতে প্রবেশ করতে পারবেন। সৌদিতে পৌঁছে তাদের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে না।

তবে স্বদেশ ছাড়ার আগের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে করা করোনা টেস্টের নেগেটিভ ফলাফল আসা এবং স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের কাছে সকল তথ্যাদি জমা দিয়ে নিবন্ধন করতে হবে পর্যটকদের।

তেলনির্ভর অর্থনীতি থেকে বেরিয়ে আসার প্রচেষ্টায় পর্যটন খাত ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছে সৌদি আরব। এই লক্ষ্যে ২০১৯ সালে প্রথমবারের মতো পর্যটক ভিসা ইস্যু করা শুরু করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি।

সূত্র: এনডিটিভি

The post কড়া শর্তে বিদেশি পর্যটকদের জন্য দরজা খুলছে সৌদি appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3xcLf0k

সিনোফার্মের ৩০ লাখ টিকা ঢাকায় পৌঁছাল

ফাতেহ ডেস্ক:

চীন থেকে সিনোফার্মের আরও ৩০ লাখ ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা দেশে পৌঁছেছে। বেইজিং ক্যাপিটাল ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের টিকা বহনকারী পৃথক তিনটি বিশেষ ফ্লাইটে বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) রাত সাড়ে ১০টায় এবং শুক্রবার (৩০ জুলাই) ভোরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়। প্রতিটি ফ্লাইটে ১০ লাখ করে টিকা আসে।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ শাখার উপমহাব্যবস্থাপক তাহেরা খন্দকার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানা গেছে।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সূত্রে জানা গেছে, মোট ৩০ লাখ ডোজ করোনার টিকা দেশে আনতে ২৯ জুলাই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের অত্যাধুনিক তিনটি ড্রিমলাইনার (একটি বোয়িং ৭৮৭-৯ ও দুইটি বোয়িং ৭৮৭-৮) ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চীনের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে প্রয়োজনীয় তাপমাত্রায় বিশেষ ব্যবস্থার মাধ্যমে এসব টিকা দেশে আনার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। আন্তর্জাতিক এভিয়েশন নীতিমালা ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) সুরক্ষানীতি যথাযথভাবে অনুসরণ করে করোনাকালে সাশ্রয়ী খরচে টিকা, ভেন্টিলেটর ও অন্যান্য সুরক্ষাসামগ্রী পরিবহন করছে বিমান।

গত ১২ মে প্রথমবারের মতো সিনোফার্মের পাঁচ লাখ টিকা দেশে আসে। সেই টিকাগুলো চীন সরকার বাংলাদেশকে উপহার হিসেবে দেয়। ১৯ মে সরকার চীনের সিনোফার্মের তৈরি সার্স-কোভ-টু ভ্যাকসিন সরাসরি ক্রয়ের নীতিগত অনুমোদন দেয়। এরপর কয়েক ধাপে চীন থেকে কেনা এবং উপহারের টিকা আসে।

দেশে সরকার গণটিকাদানের যে কর্মসূচি শুরু করেছে, তার একটি বড় অংশে এসব টিকা দেয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে, ৮ মে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এই টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয়। এরপর তা ব্যবহারে অনুমোদন দেয় বাংলাদেশও।

The post সিনোফার্মের ৩০ লাখ টিকা ঢাকায় পৌঁছাল appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3rIwH7E

টিকা নেয়ার বয়সসীমা ২৫ বছর নির্ধারণ

ফাতেহ ডেস্ক:

করোনা টিকা নেয়ার জন্য সর্বনিম্ন বয়সসীমা ২৫ বছর নির্ধারণ করেছে সরকার। ফলে এখন থেকে সর্বনিম্ন ২৫ বছর হলেই সাধারণ নাগরিকরা করোনার টিকা নিতে পারবেন।

বয়সের নতুন সীমা নির্ধারণ করে টিকার জন্য নিবন্ধনের সুরক্ষা অ্যাপেও পরিবর্তন আনা হয়েছে।

দেশে চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড দিয়ে প্রথম গণটিকা কার্যক্রম শুরু হয়। তখন ৫৫ বছর বা তার বেশি বয়সীদের টিকার জন্য নিবন্ধন করার অনুমোদন দেয়া হয়েছিল। তারপর এই বয়সসীমা কমাতে কমাতে আজ নতুন করে টিকা নেয়ার বয়সসীমা ২৫ বছর নির্ধারণ করা হলো।

The post টিকা নেয়ার বয়সসীমা ২৫ বছর নির্ধারণ appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3BQcIsh

ঢাকায় থাকা শ্রমিকদের নিয়ে কারখানা খোলার অনুরোধ বিজিএমইএর

ফাতেহ ডেস্ক:

সব ধরনের শিল্প প্রতিষ্ঠান খুলে দিতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ।

বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সঙ্গে বৈঠক করে এ অনুরোধ জানান তারা।

বৈঠক শেষে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান গণমাধ্যমকে জানান, বৈঠকে সব ধরনের শিল্প প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। যেসব শ্রমিক ঢাকায় আছেন, তাদের নিয়ে শিল্প প্রতিষ্ঠান চালানোর প্রস্তাব দিয়েছে বিজেএমইএ। শ্রমিকদের ঢাকা ফিরতে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।

তিনি বলেন, শিল্প কারাখানা খুলে দিলে আমরা শ্রমিকদের টিকার ব্যবস্থা করতে পারি। আমরা ইতোমধ্যে টিকা দেওয়া শুরু করেছি শ্রমিকদের। শিল্প কারাখানা খুলে দিলে আমরা ফের টিকা দেওয়া শুরু করতে পারব। অন্যদিকে এখন অনেক শ্রমিক গ্রামে রয়েছেন। সেখানে করোনার সংক্রমণ অনেক বেশি। শ্রমিকদের কেউ যদি আক্রান্ত হয় তাহলে সেখানে পর্যাপ্ত ওষুধ বা হাসপাতালের ব্যবস্থা নেই। তারা যদি কারখানায় চলে আসেন তবে আমরা তাদের এই ব্যবস্থাগুলো করতে পারব।

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ৫ তারিখ পর্যন্ত যদি লকডাউন থাকে তবে অন্যান্য সবার সঙ্গে শ্রমিকরাও ফিরবেন ঢাকায়। ফলে সেসময় একটা চাপ বাড়বে। এছাড়া সেসময় বেতন দেওয়া নিয়েও একটা জটিলতা তৈরি হবে। আমরা সব কিছু মিলিয়ে বলেছি, কল-কারখানাগুলো খুলে দিতে। উনারা বলেছেন, সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে কথা বলে তারা জানাবেন।

তিনি জানান, শিল্প-কারখানার খোলার অনুমতি পেলে যেসব শ্রমিক কাছাকাছি থাকেন তাদের দিয়ে আমরা কারখানা চালু করব। আর যারা গ্রামে গেছেন লকডাউন খুললে তারা এসে কাজ শুরু করবেন।

বৈঠকের পর এ বিষয়ে কোনো ব্রিফ করেননি মন্ত্রিপরিষদ সচিব। তবে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, মন্ত্রিপরিষদ সচিব বৈঠকে বিজিএমই নেতৃবৃন্দকে বলেছেন, এ সংক্রান্ত কোর কমিটি গত মঙ্গলবার একটি বৈঠক করেছেন। সেখানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রিফ করে জানিয়েছেন যে ৫ আগস্টের আগে শিল্প কারখানা খোলার অনুরোধ রাখা তাদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই মন্তব্যই বৈঠকে পুনর্ব্যক্ত করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

The post ঢাকায় থাকা শ্রমিকদের নিয়ে কারখানা খোলার অনুরোধ বিজিএমইএর appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3fr4vkX

Wednesday, July 28, 2021

বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা, একদিনে আক্রান্ত ১৫৩

ফাতেহ ডেস্ক:

গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ১৫৩ জনের ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বুধবার স্বাস্থ্য অধিদফতর এই তথ্য জানায়।

স্বাস্থ্যসেবা অধিদপ্তরের জেনারেলের (ডিজিএইচএস) তথ্য অনুযায়ী, এই পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত প্রায় ৫৫৭ জন রোগী ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং ঢাকার বাইরে ১১ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

জানুয়ারি থেকে প্রায় ২ হাজার ৯৮ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং তাদের মধ্যে ১ হাজার ৫২৬ জন সুস্থ হয়েছেন।

কারো জ্বর থাকলে করোনার পাশাপাশি ডেঙ্গু পরীক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছেন ডিজিএইচএসের মুখপাত্র ও লাইন পরিচালক প্রফেসর ড. নাজমুল ইসলাম।

এছাড়াও তিনি চিকিৎসার ক্ষেত্রে শুধুমাত্র নিবন্ধিত চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ নিতে বলেছেন। প্রয়োজনে ডিজিএইচএসের হটলাইন নম্বরে যোগাযোগ করে কেউ চিকিৎসা নিতে পারবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

সূত্র : ইউএনবি

The post বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা, একদিনে আক্রান্ত ১৫৩ appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3f4NH2R

ডেঙ্গু প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করুন: নেজামে ইসলাম

ফাতেহ ডেস্ক:

করোনা মহামারীর সাথে পাল্লা দিয়ে বর্তমানে যেভাবে ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে তা খুবই আশঙ্কাজনক। এমনিতেই দেশের মানুষ করোনায় বিপর্যস্ত, তার উপর ডেঙ্গুর ব্যাপক উল্লম্ফন জনজীবনকে বিষিয়ে তুলছে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সরকারের শত কোটি টাকার মশক নিধন প্রকল্প থাকলেও দুর্নীতির কারণে তা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন না হওয়া এ বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ। তাছাড়া ডেঙ্গু চিকিৎসায় সরকারী ও বেসরকারী হাসপাতালগুলোর অপ্রতুল ব্যবস্থাপনায় জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করে আশংকাজনক এ অবস্থার দ্রুত লাগাম টেনে ধরতে হবে। অন্যথায় দেশ গভীর সংকটে নিপতিত হবে।

আজ গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত কথা বলেন।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, এসব মহামারী আল্লাহর ক্রোধের বহিঃপ্রকাশ। ব্যাপক অনাচার, অত্যাচার, অনৈতিকতার কারনে এ ধরনের দুর্যোগ নেমে আসে বলে কুরআন হাদীসে বর্ণিত হয়েছে। তাই জাতীয় ভাবে তওবার ডাক দিয়ে সবাই আল্লাহর দ্বারস্থ হওয়া অত্যন্ত জরুরী। সরকারকে সর্বাগ্রে এ কাজে এগিয়ে আসতে হবে।

বিবৃতি প্রদানকারী নেতৃবৃন্দ হলেন, পার্টির আমীর আল্লামা সরওয়ার কামাল আজিজী, সিনিয়র নায়েবে আমীর মাওলানা আবদুল মাজেদ আতহারী, মহাসচিব মাওলানা মুসা বিন ইযহার, সংগঠন সচিব ও ঢাকা মহানগর আমির অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা আবু তাহের খান প্রমুখ।

 

The post ডেঙ্গু প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করুন: নেজামে ইসলাম appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3fnBZRd

টিকা না নিলে কুয়েতে বিদেশ ভ্রমণ নিষিদ্ধ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

যেসব নাগরিক এখনও করোনা টিকার ডোজ সম্পূর্ণ করেননি, তাদের বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে কুয়েত। আগামী ১ আগস্ট থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। খবর রয়টার্সের।

মঙ্গলবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে করোনা টিকার পাশাপাশি, গর্ভবতী বা সন্তানসম্ভবা নারীদের বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে গর্ভধারণ (প্রেগন্যান্সি) সনদ রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তবে অপ্রাপ্তবয়স্ক নাগরিক ও গর্ভবতী নারীরা নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবেন বলে জানানো হয়েছে।

একই দিন কুয়েতের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ দেশটিতে আসতে ইচ্ছুক দেশি-বিদেশি সব নাগরিককে করোনা নেগেটিভ পিসিআর সনদ রাখা ও বিমানবন্দরে তা প্রদর্শন বাধ্যতামূলক ঘোষণা করে নির্দেশ জারি করেছে।

কুয়েতের বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বলেছে, যাত্রীদের পিসিআর সনদ অবশ্যই হালনাগাদ হতে হবে এবং যদি কোনো যাত্রী কুয়েতে পৌঁছানোর পর বিমানবন্দর কর্মকর্তাদের নেগেটিভ পিসিআর সনদ প্রদর্শনে ব্যর্থ হন, সেক্ষেত্রে তাকে ৭ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে এবং সেই অবস্থাতেই পিসিআর টেস্ট করাতে হবে।

The post টিকা না নিলে কুয়েতে বিদেশ ভ্রমণ নিষিদ্ধ appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3f6u4Y9

প্রতিদিন ছয় লাখ মানুষকে টিকা দিতে হবে : আইএমএফ

ফাতেহ ডেস্ক:

আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে দেশের ৪০ শতাংশ মানুষ টিকার আওতায় আনতে প্রতিদিন ছয় লাখের বেশি মানুষকে টিকা দিতে হবে। মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক আপডেট প্রকাশ করা হয়। সেখানে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের ৪০ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে টিকার আওতায় আনতে প্রতিদিন শূন্য দশমিক ৩৬ শতাংশ মানুষকে টিকা দিতে হবে। আইএমএফের এ হিসাব ধরলে প্রতিদিন ছয় লাখের মতো মানুষকে টিকা দিতে হবে।

আইএমএফের প্রতিবেদনের তথ্য-উপাত্তের ভান্ডারে এ–সংক্রান্ত তথ্য দেয়া হয়েছে। দেশের পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ৪০ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে টিকার আওতায় আনতে প্রতিদিন কত শতাংশ জনগোষ্ঠীকে টিকা দিতে হবে, সে চিত্র দেয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সরকার গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে টিকা দেয়া শুরু করলেও মাঝখানে টিকার সরবরাহসঙ্কটে বেশি কিছুদিন কার্যক্রম বন্ধ ছিল। তবে কয়েক দিন আগে থেকে আবারো টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আগামী ৭ আগস্ট থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে টিকাদান কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

টিকা দেয়ায় কারা এগিয়ে গেল—এর একটি চিত্রও আইএমএফ তুলে ধরেছে। আইএমএফের প্রতিবেদন অনুযায়ী, উন্নত দেশগুলো তাদের ৪০ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে টিকার দুটি করে ডোজ দিয়ে ফেলেছে। উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলো ১১ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে টিকা দিয়েছে। আর নিম্ন আয়ের উন্নয়নশীল দেশগুলোয় এই হার মাত্র ১ শতাংশ। উন্নত দেশগুলো দ্রুত টিকা দেয়ায় স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে সহায়তা করছে। অন্যদিকে, টিকা দেয়ার হার কম থাকায় ভারতসহ কিছু দেশ করোনার নতুন ঢেউয়ে বিপাকে পড়েছে। এ কারণে এখন করোনা মহামারী দুটি ধারায় চলছে।

The post প্রতিদিন ছয় লাখ মানুষকে টিকা দিতে হবে : আইএমএফ appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/2Wvm1Ob

ভারত থেকে এলো আরও ২০০ টন অক্সিজেন

ফাতেহ ডেস্ক:

ভারত থেকে আরও একটি ‘অক্সিজেন এক্সপ্রেস’ট্রেন যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে দেশে এসেছে। করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য ২০০ মেট্রিক টন তরল মেডিকেল অক্সিজেনের (এলএমও) চালান নিয়ে ট্রেনটি ভারতের পেট্রাপোল হয়ে বেনাপোল বন্দরের রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছায়।

মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ট্রেনটি পৌঁছায় বলে জানান বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার সাইদুজ্জামান।

সাইদুজ্জামান জানান, রাতেই কাস্টমসের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিশেষ ট্রেনটি বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিমে সিরাজগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। সেখানে অক্সিজেন নামিয়ে ট্রেনটি এ পথ দিয়েই আবারও ভারতে ফিরে যাবে।

মঙ্গলবার ভারতের সময় সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে ১০টি কন্টেইনারে (প্রতিটিতে ২০ মেট্রিক টন) ২০০ মেট্রিক টন তরল মেডিক্যাল অক্সিজেন বহনকারী ট্রেনটি ভারতের টাটানগর থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। এই চালানটি তরল মেডিক্যাল অক্সিজেনের মজুত উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করবে।

জানা গেছে, করোনা রোগীর জন্য অতি প্রয়োজনীয় জীবন রক্ষাকারী এই তরল মেডিকেল অক্সিজেনের আমদানিকারক ‘লিন্ডে বাংলাদেশ’। রফতানিকারক ‘লিন্ডে ইন্ডিয়া’। আর বেনাপোলের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মেসার্স সারথী এন্টারপ্রাইজ।

বেনাপোল কাস্টমস হাউজের সহকারী কমিশনার কল্যাণ মিত্র জানান, বেনাপোল বন্দরের রেলওয়ে স্টেশন দ্রুত কাগজপত্রের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে ট্রেনটিকে ছেড়ে দেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, এর আগে গত শনিবার রাত ১০টার দিকে ১০টি কনটেইনারে ২০০ মেট্রিক টন তরল মেডিক্যাল অক্সিজেন (এলএমও) নিয়ে অক্সিজেন এক্সপ্রেসের প্রথম চালান বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশন পৌঁছে।

 

The post ভারত থেকে এলো আরও ২০০ টন অক্সিজেন appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3iZJb6X

Tuesday, July 27, 2021

আজ থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকে ভর্তি আবেদন শুরু

ফাতেহ ডেস্ক:

করোনার কারণে স্থগিত হওয়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার আবেদনের কার্যক্রম শুরু হয়েছে ২৮ জুলাই থেকে। ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তির এ আবেদন চলবে আগামী ১৪ আগস্ট পর্যন্ত।

ভর্তিচ্ছু প্রার্থীদের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে আবেদন পূরণ করে ২৫০ টাকা ফি মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে দিতে হবে।

ভর্তিচ্ছু প্রার্থীদের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির ওয়েবসাইটে আবেদন পূরণ করে আগামী ১৬ আগস্টের মধ্যে প্রাথমিক আবেদন ফি বাবদ ২৫০ টাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে দিতে হবে। ভর্তির সব কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে অনলাইনে শুরু হবে স্নাতক প্রথম বর্ষের ক্লাস।

গত ২৪ জুলাই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। একইসঙ্গে ভর্তির নির্দেশিকাও প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

ভর্তি বিজ্ঞপ্তির তথ্যমতে, ২৮ জুলাই বিকেল ৪টা থেকে স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি আবেদন ফের শুরু হবে। অনলাইনের মাধ্যমে এই আবেদন চলবে আগামী ১৪ আগস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজে বিগত কয়েক বছরের মতো এবারও এসএসসি ও এইচএসসির ফলের ভিত্তিতে ভর্তি নেয়া হবে। ফলে এবারও কোনো ভর্তি পরীক্ষা হচ্ছে না।

গত ৮ জুন থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে ১ম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) ও ২৩ জুন থেকে ১ম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) প্রফেশনাল শ্রেণির অনলাইন ভর্তি কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় সরকার কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে। এরপর ৭ জুন বিকেলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম বর্ষ ভর্তি কমিটির সভায় স্নাতক প্রথম বর্ষের আবেদনের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়।

The post আজ থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকে ভর্তি আবেদন শুরু appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3i8z5RP

একসঙ্গে তিন ডোজ টিকা নিলেন সৌদি প্রবাসী!

ফাতেহ ডেস্ক:

একসঙ্গে করোনার তিন ডোজ টিকা নিয়ে পর্যবেক্ষণে রয়েছেন সৌদি প্রবাসী নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা ওমর ফারুক।

সৌদি আরবে যাওয়ার আগে করোনার টিকা নিতে সোমবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন তিনি। না বুঝেই তিনটি বুথ থেকে তিন ডোজ টিকা নেন এ প্রবাসী।

একজন ব্যক্তি তিন ডোজ টিকা কীভাবে নিলেন, সেই ব্যাখ্যা নেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে। তবে তারা বলছেন, তিন ডোজ টিকা নেয়া ওমর ফারুক বর্তমানে পর্যবেক্ষণে আছেন। বাড়তি টিকা নেওয়ার কারণে কোনো ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এখনো দেখা দেয়নি।

এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে ওমর ফারুক বলেন, আমি যখন টিকা কেন্দ্রে ঢুকলাম তখন আমাকে একজন বলল ডান সাইডের কর্নারে যেতে। ওইখানে যখন টিকা দেওয়া শেষ হলো জিজ্ঞেস করলাম, কোথায় যাব? উনি বলল, সামনের দিকে। সামনে আসলাম, ওইখানেও একটা টিকা দিল। ওনাকে জিজ্ঞাস করলাম কোথায় যাব উনিও বলল সামনের দিকে যেতে। সামনে আসলাম আর কিছু জিজ্ঞেস করে নাই। আরেকটা টিকা দিয়ে দিছে। মোট তিনবার টিকা দিয়েছে। বাইরে এসে যখন বাকিদের জিজ্ঞেস করলাম আপনার কয়বার টিকা দিয়েছে, ওনারা বলল একবার টিকা দিয়েছে।

এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। এটি বড় ধরনের ভুল হয়েছে। তিন ডোজ টিকা দেওয়া ব্যক্তিকে পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। তিন ডোজ টিকা নেওয়ার কিন্তু কোনো নিয়ম নাই। এবং একটা ডোজ নিয়ে ২১ দিনের মধ্যে নেওয়ার নিয়ম নাই।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী, করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষার জন্য একজন ব্যক্তিকে দুই ডোজ টিকা দিতে হবে। প্রথম ডোজ নেয়ার পর চার সপ্তাহ বা আট সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ নিতে হয়। সাধারণত টিকা দেওয়ার পর টিকা কার্ডে সেটি উল্লেখ করতে হয়।

নিয়ম অনুযায়ী টিকা নেওয়ার পর প্রত্যেক ব্যক্তিকে ৩০ মিনিট পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। এমনকি টিকা নেয়া ব্যক্তির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখার জন্য একজন চিকিৎসকের নম্বর দেয়া হয় টিকা কার্ডে। কোনো ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে মোবাইল ফোনে জানানোর পরামর্শ রয়েছে কর্তৃপক্ষের।

The post একসঙ্গে তিন ডোজ টিকা নিলেন সৌদি প্রবাসী! appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3iSi7GG

ফ্রান্সের পার্লামেন্টে ‘ভ্যাকসিন পাসপোর্ট’ আইনের অনুমোদন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ফ্রান্সের পার্লামেন্ট তীব্র প্রতিবাদ-বিক্ষোভের জেরে গত রবিবার (২৫ জুলাই) নিত্যদিনের চলাচলের সুবিধার্থে ‘ভ্যাকসিন পাসপোর্ট’ আইন অনুমোদন করেছে। পার্লামেন্টের উচ্চ ও নিম্নকক্ষের আইনপ্রণেতাদের মধ্যে সমঝোতার ভিত্তিতে আইনটি অনুমোদিত হয়।

এ আইনের কারণে আবারও বিক্ষোভে কেঁপে উঠেছে ফ্রান্স। ১ লাখ ৬০ হাজারেরও বেশি লোক প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নিয়ে এর বিরোধিতা করে। এসময় অনেক লোককে গ্রেফতার করা হয়। গত সপ্তাহে দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো স্বাস্থ্য পাশের বিষয়ে নির্দেশ জারি করেন।

এতে বলা হয়েছে, সিনেমা হল কিংবা নাইটক্লাবের মতো জায়গা, যেখানে ৫০ জনের বেশি লোক জড় হবে সেখানে এই পাশ লাগবে। এছাড়াও আগস্ট থেকে বিমান ভ্রমণ ও আন্তঃট্রেন ভ্রমণেও এ পাশ বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। পাশটিতে টিকার সবগুলো ডোজ সম্পর্কে এবং করোনা নেগেটিভের তথ্য থাকবে।

ম্যাক্রোর এ ঘোষণার মধ্য দিয়ে ফরাসি সরকারের করোনা মোকাবিলায় টিকাকেই প্রধান হাতিয়ার হিসেবে গণ্য করার বিষয়টি উঠে এসেছে। কেউ কেউ একে নাগরিক স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করে। তিন ঘণ্টা ধরে উভয় কক্ষের সদস্যদের মধ্যে এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলে। শেষ পর্যন্ত তারা সমঝোতায় পৌঁছালে ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হয়। পক্ষে ভোট পড়ে ১৫৬ এবং বিপক্ষে ৬০। ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকেন ১৪ জন। তবে এটি আইনে পরিণত হতে ফ্রান্সের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ সাংবিধানিক পরিষদের অনুমোদন লাগবে।

The post ফ্রান্সের পার্লামেন্টে ‘ভ্যাকসিন পাসপোর্ট’ আইনের অনুমোদন appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3BERIop

Monday, July 26, 2021

৯ দেশের হাজিরা ওমরায় যেতে পারবেন না

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

১০ আগস্ট থেকে ওমরাহ চালু করার ঘোষণা দিয়েছে সৌদির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়। তবে ৯টি দেশের হাজিরা ওমরায় অংশ নিতে পারবেন না। এ নয়টি দেশ হলো: পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, মিশর, তুরস্ক, আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং লেবানন।

সৌদির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ওমরাহ করার সময় স্বাস্থ্য ও সুরক্ষার সাথে সম্পর্কিত নিয়মকানুন নিশ্চিত করা হবে।

এর আগে ১ নভেম্বর থেকে সৌদি আরবের বাইরে থেকেও মুসল্লিরা ইবাদতের উদ্দেশে মসজিদুল হারামে প্রবেশের সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু বিশ্বের কয়েকটি দেশে করোনার দ্বিতীয় ও তৃতীয় ঢেউ ছড়িয়ে পড়ায় সংক্রমণ এড়াতে আবারও তা স্থগিত করা হয়। এ বছর ‘বিশেষ শর্ত’ অনুযায়ী হজ আয়োজন করেছে সৌদি আরব সরকার।

The post ৯ দেশের হাজিরা ওমরায় যেতে পারবেন না appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3f1rXVp

ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ে করোনার টিকা দেওয়ার নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রীর

ফাতেহ ডেস্ক:

করোনার টিকা দেওয়ার কার্যক্রম আরও জোরদার করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই কার্যক্রম যেন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়েও শুরু করা যায় সে বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি । একই সঙ্গে বয়স্ক লোকদের টিকার দেওয়ার ব্যবস্থা করতে বলেছেন তিনি । কারণ বয়স্কদের মধ্যে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বেশি ।

সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এসব কথা জানান।

তিনি জানান, এখন ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়েও এই কার্যক্রম শুরু করা হবে।

The post ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ে করোনার টিকা দেওয়ার নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রীর appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/2URKSet

Sunday, July 25, 2021

তিউনিসিয়ার পার্লামেন্ট স্থগিত ঘোষণা, প্রধানমন্ত্রী অপসারিত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

তীব্র আন্দোলনের মুখে তিউনিসিয়ার পার্লামেন্ট স্থগিত ঘোষণা করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদ। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী হিচাম মেচিচিকে অপসারণ করা হয়েছে।

রোববার নিজ বাসভবনে জরুরি বৈঠক শেষে এক বিবৃতিতে এই ঘোষণা দেন তিউনিসিয়ান প্রেসিডেন্ট। দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের উদ্ধৃতি দিয়ে সোমবার এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আলজাজিরা।

এতে বলা হয়েছে, নতুন প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতায় নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ করতে যাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদ।

মহামারি করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মোকাবিলায় ব্যর্থতা এবং ভঙ্গুর অর্থনীতির জন্য সরকারকে দায়ী করে সম্প্রতি দেশটির বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ শুরু হয়। রোববারও রাজধানী তিউনিসসহ বেশ কিছু শহরে বিক্ষোভ করেন হাজার হাজার মানুষ। তারা সরকারের উদ্দেশে ‘চলে যাও, চলে যাও’ বলে চিৎকার করতে থাকেন এবং পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়া ও আগাম নির্বাচনের দাবিতে স্লোগান দেন।

এদিকে নতুন ঘোষণায় যাতে করে বিক্ষোভ দানা না বাধে সেজন্য হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন তিউনিসিয়ান প্রেসিডেন্ট। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে প্রচারিত বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, কেউ যদি হাতে অস্ত্র তুলে নেয় এবং গুলি নিক্ষেপ করে আমি তাদেরকে সতর্ক করে দিচ্ছি সশস্ত্র বাহিনীও পাল্টা জবাব দেবে গুলি দিয়ে।

The post তিউনিসিয়ার পার্লামেন্ট স্থগিত ঘোষণা, প্রধানমন্ত্রী অপসারিত appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/371JFUw

বিদেশিদের জন্য চালু হচ্ছে পবিত্র ওমরাহ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

করোনা মহামারির কারণে এতদিন বিদেশিদের সৌদি আরবে গিয়ে ওমরাহ পালনের অনুমতি দেয়নি দেশটি। এমনকি হজের সময়ও অনুমতি দেওয়া হয়নি।

এবার সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিচ্ছে সৌদি আরব। পহেলা মহররম (১০ আগস্ট) থেকে বিদেশিদের সৌদি আরবে গিয়ে ওমরাহ করার অনুমতি দেবে দেশটি। তবে কোন কোন দেশ থেকে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হবে, সেই তালিকা প্রকাশ করেনি সৌদি আরব।

সৌদির হজ ও ওমরাহ বিষয়ক জাতীয় কমিটির সদস্য হানি আল-ওমাইরি আল আরাবিয়াকে বিশেষ সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ওমরা পালনে বিদেশ থেকে আগতদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত সব ধরনের সাবধানতা এবং নিয়ম-কানুন কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে।

The post বিদেশিদের জন্য চালু হচ্ছে পবিত্র ওমরাহ appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3iIfqYg

‘প্রতিটি পাড়ায় করোনা প্রতিরোধ কমিটি গঠন করতে হবে’

ফাতেহ ডেস্ক:

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় প্রতিটি পাড়ায় করোনা প্রতিরোধ কমিটি গঠন করতে হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

রোববার (২৫ জুলাই) মেহেরপুর জেলা প্রশাসন আয়োজিত কোভিড-১৯ বিস্তার রোধে চলমান বিধিনিষেধ বাস্তবায়ন সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘কোভিড-১৯ মোকাবিলায় সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে নিয়ে প্রতিটি পাড়ায় করোনা প্রতিরোধ কমিটি গঠন করতে হবে। যেহেতু করোনা সংকটটি দীর্ঘদিন ধরে চলার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই এই কমিটিকেও দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করার প্রস্তুতি রাখতে হবে।

‘এই কমিটির মূল কাজ হবে- মাস্ক বিতরণ ও পরিধানে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করা; কারো করোনা উপসর্গ দেখা দিলে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেয়া ও টেস্টের ব্যবস্থা করা এবং সকলকে ভ্যাকসিন গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করা। পাশাপাশি এই কমিটি জনসমাগম হয় এরূপ স্থানে তদারকি জোরদার করবে, যাতে সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে। সবার আন্তরিক সহযোগিতার ফলেই দ্রুত করোনা সংক্রমণ রোধ করা সম্ভব।’

ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘কোভিড-১৯ মোকাবিলায় জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্ব অনেক বেশি। জনগণকে সচেতন করতে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলায় উদ্বুদ্ধ করতে জনপ্রতিনিধিদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।’

মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মুনসুর আলম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান, মেহেরপুরের পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন, বিভিন্ন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধিসহ সামাজিক ও রাজনৈতিক নেতারা আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।

The post ‘প্রতিটি পাড়ায় করোনা প্রতিরোধ কমিটি গঠন করতে হবে’ appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3ztqIGg

কঠোর লকডাউন: আজ ঢাকায় গ্রেফতার ৫ শতাধিক

ফাতেহ ডেস্ক:

করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে দেশব্যাপী কঠোর লকডাউন অমান্য করায় রাজধানীতে ৫ শতাধিক মানুষকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।কঠোর লকডাউনের তৃতীয় দিন রোববার তাদের গ্রেফতার করা হয়। ডিএমপি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সূত্র জানায়, লকডাউন অমান্য করায় গ্রেফতার করা হয়ে ৫৮৭ জনকে। একই সঙ্গে ২৩৩ জনকে ১ লাখ ৯৫০ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

এদিকে ডিএমপি ট্রাফিক কর্তৃক ৫২১টি গাড়িকে ১২ লাখ ৭২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এর আগে কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে শনিবার রাজধানীতে ৩৮৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বিনা প্রয়োজনে বাসা থেকে বের হওয়ার অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

The post কঠোর লকডাউন: আজ ঢাকায় গ্রেফতার ৫ শতাধিক appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3rytwzb

দেশে করোনায় একদিনে আরও ২২৮ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১১ হাজার ২৯১

ফাতেহ ডেস্ক:

মহামারি করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) প্রকোপে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে আরও ২২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৯ হাজার ২৭৪ জনে।

এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় নতুন রোগী শনাক্ত হয় ১১ হাজার ২৯১ জন। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১১ লাখ ৬৪ হাজার ৬৩৫ জন।

রোববার (২৫ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একই সময়ে সরকারি ও বেসরকারি ৬৩৯টি ল্যাবরেটরিতে ৩৭ হাজার ৯৭২টি নমুনা সংগ্রহ ও ৩৭ হাজার ৫৮৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়ালো ৭৪ লাখ ৫৫ হাজার ২৮১টি।

নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ৩০ দশমিক ০৪ শতাংশ। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৬২ শতাংশ।

মৃত ২২৮ জনের মধ্যে পুরুষ ১২৫ ও নারী ১০৩ জন। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ১৭৪, বেসরকারি হাসপাতালে ৪০ এবং বাড়িতে ১৪ জন মারা যান।

গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১০হাজার ৫৮৪ জন। এ নিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা ৯ লাখ ৯৮ হাজার ৯২৩ জন। সুস্থতার হার ৮৫ দশমিক ৭৭ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ২২৮ জনের মধ্যে শূন্য থেকে দশ বছরের কম বয়সী একজন, দশোর্ধ্ব ২ জন, বিশোর্ধ্ব ৮ জন, ত্রিশোর্ধ্ব ২২ জন, চল্লিশোর্ধ্ব ৩৪ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ৫০ জন, ষাটোর্ধ্ব ৭০ জন, সত্তোরোর্ধ্ব ৩৩ জন, আশির্ধ্ব ৬ জন এবং নব্বই বছরের বেশি ২ জন মারা যান।

একই সময়ে করোনায় মৃত ২২৮ জনের মধ্যে বিভাগওয়ারী হিসাবে দেখা গেছে, ঢাকায় ৬৯, চট্টগ্রামে ৪০, রাজশাহীতে ২১, খুলনায় ৫০, বরিশালে ৬, সিলেটে ১১, রংপুরে ১৬ এবং ময়মনসিংহে ১৫ জনের মৃত্যু হয়।

গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।

The post দেশে করোনায় একদিনে আরও ২২৮ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১১ হাজার ২৯১ appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3BHOxfM

করোনাকালে ডেঙ্গু নিয়ে অবহেলা করবেন না: স্বাস্থ্য অধিদফতর

ফাতেহ ডেস্ক:

করোনা মহামারিকালে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুর প্রকোপ থেকে প্রয়োজনীয় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে জনগণকে অবহেলা না করার আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র ও পরিচালক (সংক্রামক ব্যাধি নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম।

রোববার (২৫ জুলাই) দুপুর ২টায় কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ভার্চুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিনে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জেলা সদর ও উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষার এন্টিজেন কিটের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। সরকারি হাসপাতালে এ পরীক্ষাটি বিনামূল্যে করার সুযোগ রয়েছে। ডেঙ্গুর উপসর্গ দেখা দিলে বিলম্ব না করে সরকারি কিংবা বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ডেঙ্গু পরীক্ষা করার অনুরোধ জানান তিনি।

The post করোনাকালে ডেঙ্গু নিয়ে অবহেলা করবেন না: স্বাস্থ্য অধিদফতর appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3zyt3jr

করোনার টিকা নিতে নিবন্ধন করেছে ১ কোটির বেশি মানুষ

ফাতেহ ডেস্ক:

দেশে করোনা টিকা গ্রহণের নিবন্ধনকারীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। শনিবার (২৪ জুলাই) পর্যন্ত মোট নিবন্ধনকারীর সংখ্যা বেড়ে এক কোটি ১৮ লাখ ৪৯ হাজার ৯৭ জনে দাঁড়িয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (এমআইএস ও লাইন ডাইরেক্টর) অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত করোনার টিকা সংক্রান্ত এক তথ্যে বিষয়টি জানা যায়।

এতে বলা হয়, ফাইজারের প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন চার হাজার ১৪৮ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ৯২ জন ও নারী ২১ জন। এ নিয়ে ফাইজারের প্রথম ডোজের টিকা গ্রহণকারীর সংখ্যা মোট ৫০ হাজার ২১৭ জন হয়েছে।

এদিকে শনিবার দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিয়েছেন ১৩৮ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ৮৪ জন ও নারী ৩৪ জন।

এছাড়া শনিবার মডার্নার প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন ৩৬ হাজার ৫৮৬ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ২২ হাজার ৭৩২ জন ও নারী ১৩ হাজার ৮৫৪ জন। এ পর্যন্ত মডার্নার প্রথম ডোজের টিকা নিলেন ৩ লাখ ৬ হাজার ১২৩ জনে।

একই দিনে সিনোফার্মের প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন এক লাখ ২২ হাজার ৯৬৪ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ৭৩ হাজার ১৮০ জন ও নারী ৪৯ হাজার ৭৮৪ জন।

এ পর্যন্ত সিনোফার্মের প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছেন এক লাখ ৭২ হাজার ৬২৪ জন। আর দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিয়েছেন এক হাজার ২২৮ জন।

তাদের মধ্যে পুরুষ ৬৮৬ জন ও নারী ৫৪২ জন। এ নিয়ে সিনোফার্মের দ্বিতীয় ডোজের টিকা গ্রহণকারীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৫৪৭ জনে।

 

The post করোনার টিকা নিতে নিবন্ধন করেছে ১ কোটির বেশি মানুষ appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/2UNOkH9

Monday, July 19, 2021

টিপু সুলতানের লাইব্রেরি

মুহাম্মদ মাসুম মুনতাসির:

দাক্ষিণাত্যের বিশাল অঞ্চল, আরব সাগরের পশ্চিম তীর এবং বঙ্গোপসাগরের পূর্ব উপকূল পর্যন্ত বিস্তৃত বৃহত্তর দক্ষিণ ভারত। এসব অঞ্চল নিয়েই গড়ে উঠেছে মহীশুর রাজ্য। এ রাজ্যের দোর্দণ্ড প্রতাপশালী শাসক ছিলেন সুলতান ফতেহ আলী টিপু।

মহীশুরের রাজধানী শ্রীরঙ্গপট্টমের কাবেরী নদীর ব-দ্বীপে নির্মিত শক্তিশালী দুর্গটিই ছিল তাঁর লাল প্রাসাদ। মহীশুরের স্থানীয় কানাড়ী ভাষায় ‘টিপু’ শব্দের অর্থ ‘বাঘ’। বাস্তব জীবনেও তিনি ছিলেন বাঘপ্রিয় এবং বাঘের মতো সাহসী। তার এ শৌর্য-বীর্য এবং সামরিক কুশলতায় মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে ইংরেজরা তাকে ‘শেরে মহীশুর’ খেতাবে ভূষিত করেছিল।

তিনি ছিলেন ব্রিটিশবিরোধী সংগ্রামের অগ্রনায়ক। ১৮৫৭ সালের ঐতিহাসিক গণজাগরণের অন্যতম উৎস। তিনি ছিলেন আধুনিক প্রযুক্তিবিদ। বিশ্বের প্রথম রণাঙ্গনে রকেট আর্টিলারি এবং সামরিক অস্ত্রের প্রয়োগ তিনিই করেছিলেন।

তিনি শাসনকালে বেশ কয়েকটি প্রশাসনিক পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন এবং একটি নতুন মুদ্রা ও নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্মসনের হিসেবে একটি নতুন চান্দ্র-সৌর বর্ষপঞ্জি প্রবর্তন করেন, যার নামকরণ করেছিলেন মুহাম্মদি বা মাওলূদি সাল। তাছাড়া নতুন ভূমি রাজস্ব ব্যবস্থা প্রচলন, রেশম শিল্পের বিকাশ, আধুনিক ও ধর্মীয় শিক্ষা সমন্বয়ে জামিআয়ে ওমর নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন ও মসজিদভিত্তিক মক্তব প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ তাঁরই অনন্য কীর্তি।

এসব তো তাঁর স্বীকৃত পরিচয়, কিন্তু আজ তুলে ধরতে চাই তাঁর অনালোচিত এক বিশেষ পরিচয়। টিপু সুলতান শুধু একজন সৃজনশীল যোদ্ধা বা শাসক ছিলেন না, ছিলেন লেখক ও জ্ঞানানুরাগী। বই পড়া এবং দুর্লভ বই সংগ্রহের প্রতি তাঁর শখ ও জোঁক ছিল ভীষণ। তাই রাজ্য পরিচালনার পাশাপাশি তিনি গড়ে তুলেছিলেন এক সুবিশাল গ্রন্থাগার। সাজিয়ে তুলেছিলেন এক সমৃদ্ধ সংগ্রহশালা। এর বড় একটা অংশ তিনি পৈতৃক সূত্রে পেয়েছিলেন।

প্রাচ্যবিদ চার্লস স্টুয়ার্ট ১৮০৯ সালে রচিত তার ‘আ ডেসক্রিপটিভ ক্যাটালগ অব দ্য ওরিয়েন্টাল লাইব্রেরি অব দ্য লেট টিপু সুলতান’-এ উল্লেখ করেন, টিপু সুলতানের এ সমৃদ্ধ লাইব্রেরিতে আনুমানিক দুই হাজারের মতো বিভিন্ন বইপুস্তক, পাণ্ডুলিপি, মূল্যবান নথিপত্র এবং নানা দুষ্প্রাপ্য জিনিস সংরক্ষিত ছিল।

এসব সংগ্রহকে আরও অমূল্য করে তুলেছিল ১৬৫৫ সালে প্রকাশিত কুরআন শরীফের স্বর্ণখচিত দুটি মূল্যবান কপি, কুরআনের ৪১টি তফসির গ্রন্থ। সুলতানের অনুরোধে রচিত ৩১৩টি সংক্ষিপ্ত অধ্যায় সংবলিত আইনবিষয়ক গ্রন্থ ‘ফতোয়া-ই-মুহাম্মদি’। ইতিহাসবিদ শামস-ই-সিরাজ আফিফের ‘তাওয়ারিখে ফিরোজ শাহি’, আবুল ফজলের ‘আকবরনামা’, বাহাদুর সিংহের ‘শাহজাহাননামা’ ও ‘মাজমুয়ায়ে খুররামি’, আওরঙ্গজেবের প্রথম ১০ বছরের ইতিহাস ‘আলমগীরনামা’ এবং তাবাকাত-ই-আকবরি ও ভারতবর্ষের ইতিহাসের পাণ্ডুলিপি।

এতে আরও ছিল আমির খসরু, ফরিদুদ্দিন আত্তার, নাসাফি, আহমদ-ই-জাম, জুলালী, কামাল খুজান্দি, উরফি, আহসান উল্লাহ প্রমুখ কালজয়ী কবিদের ১৪ কাব্যগ্রন্থ। হাসান আলি-ইজ্জত সংকলিত মিশ্র ফারসি ও দক্ষিণি শে’রের সংকলন ‘মুফাররিহুল কুলুব। ১৭৮৫ সালে রচিত ফরাসি ভাষায় লেখা চিকিৎসা-বিজ্ঞানের একটি বিশেষ গ্রন্থ ও ফার্সি ভাষা অনূদিত মহাভারত। হিন্দু ফকির তত্ত্ব বিষয়ে রচিত গ্রন্থ ‘সওয়াল ও জবাবে দারা শুকো ওয়া বাবা লাল’। বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে ব্যবহৃত সিলের জন্য সঠিক রাজকীয় প্রতীক ব্যবহারের নিয়মসংবলিত গ্রন্থ ‘জাভাবিত-ই-সুলতানি’। আলী ইবনে হুসাইন কাশেফি লিখিত নকশবন্দি তরিকার সুফিদের জীবনী ‘রাশাহাতে আইনুল হায়াত’, আরবি ভাষায় ধর্মীয় আধ্যাত্মিক সংকলন ‘আইনুল ইলম’ এবং সুফি আউলিয়াদের জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী নিয়ে স্বয়ং সুলতান টিপুর তৈরিকৃত বর্ষপঞ্জি ‘সহিফাতুল আরাস’।

এছাড়াও ছিল ৩৫টি প্রার্থনা গ্রন্থ, ৪৬টি ঐতিহ্যবিষয়ক গ্রন্থ, আধ্যাত্মিক বিষয়ের ১১৫টি গ্রন্থ, নৈতিক শিক্ষার ২৪টি বই; আইন ও বিচারবিষয়ক ৯৫টি, শিল্প ও বিজ্ঞানের ১৯টি, ইতিহাসের ১১৮টি, ৫৩টি পত্র, ১৯০টি কবিতা, গণিতবিষয়ক ৭টি, জ্যোতির্বিদ্যার ২০টি, অভিধান ২৯টি, দর্শন ৪৫টি, হিন্দি ও দক্ষিণাত্যের ভাষায় ২৩টি; পদার্থ বিজ্ঞানের ৬২টি, গদ্য ৪টি, তুর্কি গদ্য ২টি, ১৮টি রূপকথার গল্পগ্রন্থ এবং ৬টি সরকারি বিভাগের জন্য নির্দেশনাসংবলিত প্রজ্ঞাপন। বিভিন্ন ধরনের ঘোড়া ও ষাঁড়ের নামের একটি সরকারি নিবন্ধন খাতা। মুয়াইয়িদুল মুজাহিদীন ও মাখজানে আ’রাসের একটি কপি, রাষ্ট্রীয় প্রজ্ঞাপনগুলোর একটি সংকলন এবং ইউরোপীয় বিভিন্ন দেশভিত্তিক বইসহ ইরান সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ একটি বই।

তাঁর সংগ্রহে আরও ছিল প্রাচ্য ও প্রতীচ্যের ধর্ম, ভাষা-সাহিত্য ও পশুপালন বিষয়ক বেশ কয়েকটি বই। শুধু ফার্সি এবং আরবি নয়, বরং কন্নড়, বাংলা, হিন্দি, সংস্কৃত, উর্দু ও ইংরেজি ভাষার বিভিন্ন পাণ্ডুলিপি ও গ্রন্থ ছিল। ছিল জার্নাল, ক্রনিকল, মানচিত্র, অঙ্কনের নানা মূল্যবান সংগ্রহ।

সবচে আকর্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, প্রাচীন এ গ্রন্থালায়ে ছিল ফারসি ভাষায় টিপু সুলতানের নিজের হাতে লেখা তার স্বপ্নঘুমের বিবরণ। দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে রচিত ৩৭টি স্বপ্নের বিবরণী সমৃদ্ধ সুলতানের এ ‘খাবনামা’কে হেঁয়ালি মনে হলেও এটা ঐতিহাসিক মূল্য রাখে। কেননা এতে উঠে এসেছে সেকালের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং সুলতানের ব্যক্তিজীবন, চিন্তাধারা, বিশ্বাস ও কর্মপন্থার ফিরিস্তি।

তিনি প্রায়ই এসব বই পড়তেন এবং কিছু বই বারবার পড়তেন। কিছু কিছু বইয়ে তিনি পাঠ-প্রতিক্রিয়া ও মন্তব্য লিখে রাখতেন। এসব মন্তব্যে গ্রন্থের সারবত্তা লেখা থাকত।

তিনি তার পড়া প্রতিটি বইয়ের ওপর স্বাক্ষর ও সিলমোহর (স্ট্যাম্প) লাগাতেন। সাহিত্যনির্ভর, বিশেষ করে কবিতার বই ও ইতিহাস গ্রন্থে ব্যক্তিগত সিলমোহর এবং রাজ্য পরিচালনা ও অন্যান্য রাজকীয় বিষয়ে সরকারি সিলমোহর ব্যবহার করতেন। অবশ্য কোনো কোনো বইয়ে তিনি ভিন্ন একটি নামেও সই করেছেন। কিছু কিছু সিলের চার কোণে মাওলূদে মুহাম্মদ শব্দটি লেখা ছিল এবং বাঘের ছয়টি ডোরাকাটা দাগ ছিল। আবার সরকারি বিভাগের প্রতি নির্দেশনা সম্বলিত একটি নথিতে ইউরোপীয় স্টাইলের মোম সিলের ব্যবহারও পাওয়া গেছে। এতে ‘ইয়া হাফিজ’ শব্দটি খোদাই করা আছে।

বেশ পরিশ্রম ও দীর্ঘ সাধনার পরেই সুলতান গড়ে তুলেছিলেন অনবদ্য সব গ্রন্থের এক বিপুল সমাহার। কিন্তু সুলতানের রাজ্যের মতো এ লাইব্রেরিও স্থায়িত্ব লাভ করেনি। বরং ১৭৯৯ সালের ৪ মে শেষ ইংরেজ-মহীশুর যুদ্ধে সুলতান পরাজিত ও শহীদ হওয়ার পর ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সৈন্যরা দুদিন তাঁর এ লাইব্রেরি অবরুদ্ধ করে রাখে এবং লাইব্রেরির সব বই, জার্নাল, দলিল, মানচিত্র, ড্রইং এবং অন্যান্য অমূল্য সম্পদ সরিয়ে নেয়। তারা সম্রাটের প্রাসাদও লুণ্ঠন করে। এমনকি সুলতানের শয়নকক্ষে প্রবেশ করে তার ব্যবহৃত জুতাসহ অন্যান্য জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়। একজন ব্রিটিশ অফিসারের ভাষ্যমতে, ‘এমন একটি ঘরও অবশিষ্ট ছিল না, যা লুটপাটের কবল থেকে রক্ষা পেয়েছে।’

পরবর্তীতে এসব সামগ্রীর সিংহভাগ গভর্নর জেনারেল লর্ড ওয়েলেসলির নির্দেশে ইংল্যান্ডে পাঠানো হয়। বর্তমানে লন্ডনের ব্রিটিশ মিউজিয়ামে টিপু সুলতানের সংগ্রহের ৯৪টি অমূল্য পাণ্ডুলিপি রয়েছে।

আর কিছু সামগ্রী মাদ্রাজ, কলকাতা ও বোম্বাইয়ে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অফিস লাইব্রেরিতে রাখা হয়। কিছু কলকাতায় গভর্নর জেনারেলের লাইব্রেরির শোভাবর্ধন করে। কিছু অক্সফোর্ড ও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়কে দেয়া হয়। কলকাতার ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ এবং রয়াল এশিয়াটিক সোসাইটিকেও দেয়া হয়। কিছু বই প্রেরণ করা হয় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ইতিহাস প্রণেতা রবার্ট ওরমের কাছে।

এভাবে মতো টিপু সুলতানের মূল্যবান সব সংগ্রহও লুট করে নিয়ে যায়। কিন্তু তারা লুণ্ঠন করতে পারেনি সুলতানের সুনাম-সুখ্যাতি। বরং করোনার ঠুনকো অজুহাতে ভারত সরকার পাঠ্যবই থেকে টিপু সুলতানের জীবনভিত্তিক রচনাগুলো বাদ দিলেও আজও পাশ্চাত্য লেখকদের কাছে সবচে আকর্ষণের বিষয়- টিপু সুলতানের জীবন ও অবদান।

তথ্যসূত্র:

১. দ্য সোর্ড অব টিপু সুলতান, ভগবান এস কিদওয়াই।
২. আ ডেসক্রিপটিভ ক্যাটালগ অব দ্য ওরিয়েন্টাল লাইব্রেরি অব দ্য লেট টিপু সুলতান, চার্লস স্টুয়ার্ট।

The post টিপু সুলতানের লাইব্রেরি appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3BiBEs2

‘প্রতিরোধ করতে হবে মহামারী’: মুসলিম সভ্যতায় টিকার ইতিহাস

রাকিবুল হাসান:

ভ্যাকসিন মানুষের কয়েকটি রোগ নির্মূল আর তা মোকাবেলার মধ্য দিয়ে আধুনিক চিকৎসা বিজ্ঞানের চর্চাপদ্ধতি পুরোপুরি বদলে দিয়েছে। দুই শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে মানবজাতি ভ্যাকসিনের সুফল ভোগ করে এলেও কার্যকর ভ্যাকসিনগুলো আবিষ্কারের এ পথচলা ছিল খুবই দীর্ঘ ও বন্ধুর। টিকা হলো ভ্যাকসিনেশনের সেকেলে রূপ। উসমানি সাম্রাজ্য থেকে এ টিকা যখন ইউরোপে যায়, তখন ইউরোপের অভিজাত শ্রেণী, ডাক্তার, সরকার এবং পুরোহিতদের প্রবল বাধার সম্মুখীন হয়। অনেক শ্রম ও কৌশলে সেই বাধা কাটিয়ে গ্রহণযোগ্যতা পায় টিকা। মুসলমানদের টিকা উদ্ভাবন এবং প্রসারের এই দীর্ঘ যাত্রা কেমন ছিল, এ লেখায় তা অনুসন্ধান করার চেষ্টা করব।

ইতিহাসের পাতায় দৃষ্টিপাত

রোগের প্রতিষেধক হিসেবে টিকা উদ্ভাবনের ধারণাটি ছিলো ইতিহাসের একটি বৈপ্লবিক ধারণা। আধুনিককালে টিকা সহজলভ্য হলেও এর উদ্ভাবন অনেক পুরোনো। আমেরিকান দার্শনিক এবং ঐতিহাসিক উইল ডুরান্ট (মৃ:১৪০২হি/১৯৮১খৃ.) তার ‘সভ্যতার জন্ম’ গ্রন্থে বলেন, ‘ইউরোপ টিকা চিনেছে এই আঠারো শতকে। কিন্তু ভারত উপমহাদেশ টিকা চিনে সেই ৫৫০ খৃস্টাব্দ থেকে। আরবদের মাধ্যমে ভারত আমাদের শিখিয়েছে সাধারণ সংখ্যা, দশমিক সংখ্যা। ভারতের প্রাচীনতম চিকিৎসক ধনান্তরি গরুর গায়ে উঠা ফোস্কার পুঁজ নিয়ে মানুষের কাঁধ ও কনুইয়ের মধ্যবর্তী জায়গায় ঘষে রক্ত বের করে তাতে ওই পুঁজ মিশিয়ে দিতেন। এর ফলে গুটি বসন্তের জ্বর আসতো। কিন্তু এ জ্বর অতটা গুরুতর হতো না। যেমন চৈনিক বৈদ্যরা গুটিবসন্তের খসে পড়া বস্তু একজন নিরোগ রোগীর শরীরে টিকা দিতো এবং এর থেকে প্রস্তুত পাউডার নাক দিয়ে টানাতো। তারা এটা সম্ভবত ভারত থেকেই গ্রহণ করেছে।’

ভারতের সঙ্গে যেহেতু আরবের যোগাযোগ ছিলো, আরবরা ভারত থেকেই তাদের জ্ঞান ইউরোপসহ পৃথিবীর অন্যান্য দেশে ছড়িয়ে দিয়েছে।

প্রাচীন বিখ্যাত মুসলিম চিকিৎসকরাও টিকার ধারণা লালন করতেন। ‘আল কানুন ফিত তিব্ব’ গ্রন্থে ইবনে সিনা (মৃ:৪২৮হি/১০৩৮খৃ.) বলেন, ‘যে জিনিস রোগের কারণ, সেটা ব্যবহার করে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জন করা যেতে পারে। যেমন—কেউ যদি বিষ একটু একটু করে ব্যবহার করে ধীরে ধীরে, সে বিষক্রিয়ার প্রতিরোধক্ষমতা অর্জন করতে পারবে। একদল বৃদ্ধা এর এক্সপেরিমেন্টও করেছিলো। বিষ তাদের কোনো ক্ষতি করতে পারেনি।’

এর কাছাকাছি বক্তব্য ইবনে আবি উসায়বিয়ারও (মৃ:৬৬৮হি/১২৬৯খৃ.)। তিনি ‘উয়ুনুল আম্বা ফি তাবাকাতিল আতিব্বা’ গ্রন্থে বলেন, ‘সাপের গোশত সাপের বিষের ক্ষেত্রে উপকার করে।’ এখান থেকেই এই চিন্তা এসেছে—বিষ যেখানে উৎপাদিত হয়, সেখানের উপাদান দিয়েই তার চিকিৎসা করা হবে। ক্রালক্রমে এই চিন্তাকে মৌল ধরেই চিকিৎসা চর্চায় ব্যাপক উৎকর্ষ সাধিত হয়েছে। আমরা আজ যে ভ্যাকসিনের পেছনে দৌড়াচ্ছি, প্রাচীনকালে আরবের লোকেরা এই পন্থায়ই রোগের প্রতিষেধক তৈরী করতো।

বিখ্যাত জার্মান প্রাচ্যবিদ সিগ্রিড হোয়েঙ্ক (মৃ:১৪২০হি/১৯৯৯খৃ.) ‘আরব সান শাইনিং অন দ্য ওয়েস্ট’ গ্রন্থে বলেন, ‘আঠারো শতকের শেষদিকে ইউরোপ গুটিবসন্তের টিকা প্রবর্তনের প্রয়াস চালায়। কিন্তু আরব এই টিকা ইসলামের প্রথম যুগেই উদ্ভাবন করেছিলো। যে পক্রিয়ায় আমরা এখন টিকা তৈরী করছি, ঠিক অবিকল পক্রিয়ায়। তারাও দুর্বল জীবানুর মাধ্যমে টিকা দিয়ে কৃত্রিম উপায়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরী করতো।’

তার সমকালীন আরেক গবেষক ডা. উসামা আস সায়াদি ‘মানবসভ্যতার ইতিহাসে আবিষ্কার ও উদ্ভাবনের গুরুত্ব’ বইয়ে লিখেন, ‘সংক্রামক রোগের ক্ষেত্রে আরব চিকিৎসকগণ রোগের প্রতিষেধক খুঁজতেন, যেন রোগ প্রতিরোধ করা যায়। গুটিবসন্তের বিরুদ্ধে তারা একটি টিকা তৈরী করেছিলো। টিকাদানের পদ্ধতি হলো—তারা গুটিবসন্তে আক্রান্ত উটের ফুসকুড়ি থেকে খসে পড়া বস্তু নিতেন। তারপর নিরোগ মানুষের হাতে আঁচড় দিয়ে ক্ষত সৃষ্টি করে ফুসকুড়ি থেকে আহরিত বস্তু ক্ষতে মিশিয়ে দিতেন।’

নজদের মুফতি শায়খ হামদ বিন নাসির বিন মুআম্মার নাজদি হাম্বলি একটি ফতোয়া দিয়েছিলেন এই টিকা সম্পর্কিত। তার থেকেও সুস্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যায়, হোয়েঙ্ক এবং সায়াদি যে টিকার কথা বলছেন, প্রাচীনকালে আরবের জনসাধারণের নিকট তা ব্যাপক প্রচলিত ছিলো। তখন তারা এটাকে বলতো ‘তাওতিন’।

তাওতিনের অর্থ ও মর্ম নিয়ে ভাষাবিদদের মধ্যে মতানৈক্য আছে। ‘সিহাহ’ অভিধানে আবু নাসর জাওহারি (মৃ: ৩৯৩হি/১০০৪খৃ.) বলেন, তাওতিন শব্দ উদ্ভূত হয়েছে ‘ওতানা’ ক্রিয়া থেকে। এর অর্থ নিরবচ্ছিন্নভাবে থাকা। যেহেতু টিকার দাগ টিকা গ্রহীতার দেহে থেকে যেতো, তাই এটাকে তাওতিন বলে। কিন্তু ইবনে মানযুর (মৃ:৭১১হি/১৩১১খৃ.) ‘লিসানুল আরব’ অভিধানে বলেন, ‘টিকাদানকে আহলে নজদ ‘ওতানা’ বলতো। ‘ওতানা’র অর্থ আলাদা, বিরোধিতা। যেহেতু টিকা দেবার পর টিকার জায়গাটা শরীরের অন্য জায়গা থেকে আলাদা দেখা যেতো, তাই এটাকে ওতানা বলে।

টিকা সেবনে তুরস্কের অগ্রগামিতা

টিকার উদ্ভাবন ও প্রসারের এই যাত্রায় উসমানি সাম্রাজ্যের তুর্কিরা সবচেয়ে এগিয়ে। বরং বলা যায়, ইউরোপে টিকা প্রবেশ করেছে তুরস্ক নামক দরজা দিয়ে। তুর্কিদের নিকট টিকা নতুন কোনো বিষয় ছিলো না। কারণ, সার্কাসিয়ান এবং আর্মেনিয়ানরা ছিল তাদের প্রতিবেশী। উইল ডুরান্ট লিখেন, ‘প্রচীন চৈনিক বৈদ্যরা গুটিবসন্তে আক্রান্ত মানুষের দেহ থেকে দুর্বল ভাইরাস নিয়ে নিরোগ মানুষের শরীরে প্রবিষ্ট করাতো। যেন তারা গুটিবসন্ত থেকে সুরক্ষিত থাকতে পারে। এ লক্ষ্যেই সার্কাসিয়ান নারীরা সুই দিয়ে শরীর ছিদ্র করে গুটিবসন্তের তরল পদার্থ প্রবিষ্ট করাতো!’

‘তারিখুত তিব্ব’ গ্রন্থে উইলিয়াম বায়নামও এর কাছাকাছি বক্তব্য তুলে ধরেছেন। তিনি বলেছেন, ‘সেই প্রাচীনকাল থেকেই প্রাচ্যে টিকা দেবার প্রচলন ছিলো। চীনারা গুটি বসন্তের মামরি থেকে তৈরী পাউডার নাকে টানতো। আর তুর্কিরা চামড়ায় ক্ষত করে ফুসকুড়ি থেকে আহরিত তরল প্রবিষ্ট করাতো।’

আল্লামা আনাসতাস কারমালি (মৃ:১৩৬৬হি/১৯৪৭খ.) ১৯২৯ সালের পয়লা মার্চ প্রকাশিত ‘লুগাতুল আরব’ ম্যাগাজিনের ৬৭ নং সংখ্যায় একটি প্রবন্ধ লিখেন। শিরোনাম: ইরাক-ইরানে গুটিবসন্তের প্রতিষেধক টিকার ইতিহাস। তাতে তিনি লিখেন, ‘আর্মেনিয়ান নারীরা তাদের সন্তানদেরকে কিশমিশ খাওয়াতো। ওই কিশমিশের ভেতর দিয়ে দিতো গুটিবসন্তের ফুসকুড়ি। যেন তাদের সন্তানেরা গুটিবসন্ত থেকে সুরক্ষিত থাকে।’

ইতালীয় পর্যটক সিস্তিনি (মৃ:১১৯৫ হি/১৭৮১খৃ.) ১৭৮১ সালে বাগদাদ সফরে গিয়েছিলেন। তিনি তার সফরনামায় লিখেন, ‘বাগদাদের সবাই একজন আরেকজনের মাধ্যমে টিকা দিত।’ কারমালি প্রশ্ন করেন, ‘সিস্তিনি আসলে এই কথার মাধ্যমে কী মর্ম বোঝালেন? তিনি কি ইস্তাম্বুলে প্রচলিত টিকার কথা বলেছেন নাকি অন্যকিছু? আল্লাহ তায়ালাই ভালো জানেন।’

এতসব দেখেই বোধহয় তুর্কি ঐতিহাসিক ইলমাজ ওজতুনা (মৃ:১৪৩৪ হি/২০১২ খৃ.) তার ‘উসমানি সাম্রাজ্যের ইতিহাস’ গ্রন্থে লিখেছেন, ‘তুর্কিরা দীর্ঘদিন ধরেই টিকা দিয়ে আসছে। আমাদের কাছে তথ্য আছে—১৬৯৫ সালে ইস্তাম্বুলে বাচ্চাদেরকে গুটিবসন্তের টিকা দেয়া হয়েছিলো।’

ওজতুনার বক্তব্যকে শক্তিশালী করে ডুরান্টের আরেকটি উদ্ধৃতি। ডুরান্ট লিখেন, ‘১৭১৪ সালে ডা. ইমানুয়েল টিমুনি (মৃ:১১২৮হি/১৭১৬খৃ.) লন্ডনের রয়্যাল সোসাইটির কাছে একটি রিসালা পাঠিয়েছিলেন। তাতে বলা হয়েছিলো, প্রাচীনকাল থেকেই ইস্তাম্বুলে গুটিবসন্তের টিকা দেয়া হতো।’

ডুরান্ট আরও লিখেছেন, ‘তুর্কিরা গর্ব করতো যে, তারা ইউরোপীয়দের চেয়ে স্বাস্থ্য সচেতন এবং পরিচ্ছন্ন। তুর্কিরা ইউরোপকে টিকা দেয়া শিখিয়েছে।’

করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রথম সফল টিকা উদ্ভাবকও তুর্কি বংশদ্ভুত মুসলিম জার্মান দম্পতি উগুর শাহিন ও ওজলেম তুরেজি। তারা দুজন ভাইরাস সংক্রমণ শুরু হওয়ার এক বছরের কম সময়ের মধ্যে প্রতিরোধকারী টিকা উদ্ভাবন করেন।

তুরস্ক থেকে জার্মানিতে ১৯৬০-এর দশকে আসা অভিবাসী পরিবারে শাহিন ও তুরেজি জন্ম নেন। চিকিৎসা বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন শেষে ক্যান্সার চিকিৎসা, আণবিক জীববিদ্যা ও টিকা প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণায় একত্রে সফল ক্যারিয়ার গড়ে তোলেন তারা। ২০০৮ সালে তারা নিজস্ব ফার্মাসিটিক্যাল কোম্পানি বায়োএনটেক প্রতিষ্ঠা করেন। মার্কিন অংশীদার ফাইজারের সাথে তাদের বায়োএনটেক থেকে বিশ্বের প্রথম কার্যকর করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধী টিকা উদ্ভাবন করেন এই দম্পতি।

তুরস্ক থেকে ইউরোপে টিকার যাত্রা

ভ্যারিওলা ভাইরাসের সংস্পর্শে গুটিবসন্তের বিস্তার লাভ করে এবং সাধারণ সর্দি-জ্বরের মতো সাধারণত এর সংক্রমণের শুরু হয়। এরপর রোগী জ্বর, আলস্য, পেশির বেদনা ও মাথাব্যথায় ভোগে। তারও কয়েক দিন পর শরীর ও মুখের ত্বকে এক ধরনের ফুসকুড়ি দেখা দেয়, সঙ্গে মুখ, গলা ও নাকের ভেতর ক্ষত তৈরি হয়। তরলে ভরা এ ফুসকুড়ির সংখ্যা বাড়তে বাড়তে একসময় এতে ত্বকের বড় একটা অংশ ছেয়ে যায়। তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত রোগী বেঁচে থাকলে এগুলো মামড়িতে পরিণত হয় এবং ত্বক থেকে খসে পড়তে থাকে।

আঠারো শতকে গুটিবসন্ত ইউরোপজুড়ে এতটাই বিস্তার লাভ করে যে, এক পরিসংখ্যানে দাবি করা হয়, তখন প্রতি বছর এর প্রকোপে প্রায় চার লাখ লোক মারা যেত। এমনকি ইউরোপের পাঁচজন সম্রাট পর্যন্ত রাজত্বকালে গুটিবসন্তে আক্রান্ত হয়ে মারা যান বলে জানা যায়। গবেষকেরা হিসাব কষে দেখেছেন, এ রোগে আক্রান্তদের ২০ থেকে ৬০ ভাগ ও শিশুদের ৮০ ভাগের ক্ষেত্রে মৃত্যুবরণের মতো ঘটনা ঘটতে দেখা গেছে। সেরে ওঠাদের বেশির ভাগের শরীরেই কোনো না কোনো স্থায়ী দাগ থেকে গেছে, যাদের অসংখ্য লোক তাদের ঠোঁট, নাক বা কানের কিছু অংশ হারিয়েছে। গুটিবসন্ত আক্রান্তের কর্নিয়ায়ও ক্ষত সৃষ্টি করে এবং এ ধরনের রোগীদের তিন ভাগের এক ভাগ সম্পূর্ণ অন্ধ হয়ে যায়।

ইউরোপ তখন ভয়ংকর এই গুটিবসন্তের টিকার কথা না জানলেও উসমানি সাম্রাজ্যের রাজধানী ইস্তাম্বুলে তখন এই টিকার ব্যাপক প্রচলন। তুর্কির ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতের স্ত্রী লেডি মেরি ওয়ার্টলি মন্টেগিউ তখন ইস্তাম্বুলে। তিনি ১৭১৭ সালের পয়লা এপ্রিল লন্ডনে তার এক আত্মীয়ের কাছে একটি চিঠি লিখেন। চিঠিতে তিনি উসমানি সাম্রাজ্যে টিকার প্রচলন এবং এর উপকারিতা তুলে ধরেন। তিনি লিখেন, ‘ভয়ংকর গুটিবসন্তের প্রকোপ এখানেও। তবে টিকার কল্যানে আমরা সুস্থ আছি। প্রতিবছর এখানে হাজার হাজার মানুষকে টিকা দেয়া হয়। ফলে এই রোগে একজনও আর মৃত্যুবরণ করেনি। বিশ্বাস করো—এই টিকা গ্রহণ করে আমি এর উপকারিতা সম্পর্কে যারপরনাই সন্তুষ্ট। ভাবছি—আমার ছোট ছেলেকেও টিকা দেওয়াবো।’

১৭১৮ সালের মার্চ মাসে লেডি মেরি ওয়ার্টলি মন্টেগিউ তার ছয় বয়সী ছেলেকে টিকা দেওয়ান। টিকা পুশ করেন তৎকালীন তুরস্কে বসবাসরত ইংরেজ চিকিৎসক ডা. চার্লস ম্যাটল্যান্ড।’

১৭২১ সালে লন্ডনে আরও ভয়ংকর রূপে গুটিবসন্ত ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে এতে বেশি আক্রান্ত হয় শিশুরা। লেডি মেরি তখন লন্ডন ফিরে যান। ফিরে যান ডা. চার্লসও। লেডি মেরি ডা. চার্লসকে তার চার বছর বয়েসী মেয়েকে টিকা দেয়ার দায়িত্ব প্রদান করেন। ডা. চার্লস তখন প্রসিদ্ধ তিনজন ব্রিটিশ চিকিৎসক ডেকে আনেন। উদ্দেশ্য—তারা দেখুক কিভাবে টিকা দিতে হয়, টিকার উপকারিতা কী। চিকিৎসকরা মুগ্ধ হয়। এমনকি তাদের একজন তার নিজের ছেলেকে টিকা দেয়ারও অনুমতি দিয়ে দেয়।

লেডি মেরির টিকা দেয়ার কথা ব্রিটিশ রাজ পরিবারেও ছড়িয়ে পড়ে। তখন তৎকালীন ব্রিটেনের রাজা দ্বিতীয় জর্জের স্ত্রী কুইন ক্যারোলিন আনসবাচ এতিম শিশুদেরকে টিকা দেয়ার নির্দেশ দেন। উদ্দেশ্য এক্সপেরিমেন্ট। এক্সপেরিমেন্ট পূর্ণ সফল হয়। কুইন তখন তার দুই মেয়েকে টিকাদানের অনুমতি প্রদান করেন। তাদের একজন হলো প্রিন্সেস ক্যারোলিন। যাকে আমরা গ্রেট ব্রিটেনের রাজকন্যা বলেই বেশি চিনি।

১৭৪১ সালে প্রিন্সেস ক্যারোলিন আরেকটি এক্সপেরিমেন্ট চালান। ছয়জন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামীকে ডেকে বলেন, ‘তোমাদেরকে টিকা দেয়া হবে। যদি বেঁচে থাকো, সবাইকে মুক্ত করে দেয়া হবে।’ ছয়জনকে টিকা দেয়া হলো। এদের একজন হালকা অসুস্থতা অনুভব করেছিলো। বাকিদের কিছুই হয়নি। প্রিন্সেস তাদের সকলকে মুক্ত করে দেন।

রাজ পরিবারের এক্সপেরিমেন্ট যখন সফল হলো, তখন টিকাদানের পথের বাধা সব সরে গেলো।

ইউরোপের পুরোহিত-অভিজাতদের বিরোধিতা

লেডি মেরি যখন ব্রিটেনে সর্বপ্রথম টিকা নিয়ে যান, সেখানের খৃস্টান ধর্মযাজকরা সবচে বেশি এর বিরোধিতা করেছিলো। তারা বলেছিলো, এই টিকা ধর্মবিশ্বাসের পরিপন্থী। কারণ, আমাদের বিশ্বাস, ঈশ্বর রোগ-বালাই দেন, জন্ম-মৃত্যু দেন। এটাই নিয়তি। এই মৃত্যু আটকানো কিংবা রোগ প্রতিরোধ করা মূলত নিয়তির বিরোধিতা করা, নিয়তিকে অমান্য করা!

ডুরান্ট বলেন, ১৭৭২ সাল অবধি এই টিকার বিরুদ্ধে প্রচারণা চালিয়েছেন ইংরেজ পুরোহিত অ্যাডওয়ার্ড ম্যাসি। তার দাবি ছিলো, রোগ আসে পাপের শাস্তি হিসেবে। রোগ প্রতিরোধ করা মানে ঈশ্বরের বিধানকে অমান্য করার চেষ্টা!

পুরোহিতদের বিরোধিতার আরেকটি কারণ হলো—নারীদের হাতে টিকার প্রসার এবং অনুশীলন। নারীদের প্রতি তাচ্ছিল্য থেকেই তারা ভাবতো, এই মূর্খ নারীরা হঠাৎ কী না কিসের চর্চা শুরু করেছে!

তবে এতসব বাধার সম্মুখে হাত গুটিয়ে বসে থাকেননি লেডি মেরি। তিনি তার সাধ্যের সবটুকু চেষ্টা ব্যয় করেছেন টিকার গ্রহণযোগ্যতা তৈরী করতে। এর জন্য তাকে রাজপরিবারের সামনে বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্টে সফলতা অর্জন করে এগুতে হয়েছে। এমনকি টিকার গ্রহণযোগ্যতা তৈরী করতে তিনি নিজে ছদ্ম নামে প্রবন্ধ ছাপিয়ে বিলি করেছেন। তাতে তুর্কি বণিকের নামে তৈরী করেছেন বক্তব্য। প্রবন্ধের শিরোনাম ছিল: তুর্কী বণিকের কলমে গুটিবসন্তের টিকার উপকারিতা: একটি প্রামাণিক বিশ্লেষণ। তৎকালে একজন তুর্কি বণিকের কথা ব্রিটিশ জনগণের কাছে সরকারি সিদ্ধান্তের চেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্যতা পেতো। বণিকের ওই কথা তারা চিকিৎসক ও সফল পরীক্ষার চেয়ে বেশি বিশ্বাস করতো। এই সুযোগটি লেডি মেরি কাজে লাগান।

টিকা দেওয়ার ব্যাপারে কেবল ইউরোপের ইংরেজরাই বিরোধিতা করেনি, বরং প্যারিস বিশ্ববিদ্যালয়, ফরাসি সংসদে প্রতিনিধিত্ব করা বিজ্ঞানী ও রাজনৈতিক উচ্চবিত্তরাও এর বিরোধিতা করেছিলো। তবে ফ্রান্সের রাজা ফিলিপ অরলানস তার দুই ছেলেকে টিকা দিয়ে সাহসিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। কিন্তু ১৭৬৩ সাল পর্যন্ত প্যারিস বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদ এর বিরোধিতা করেছিলো।

ফরাসি লেখক ভলতেয়ার টিকা-প্রচেষ্টায় লেডি মেরির প্রশংসা করেছেন। সঙ্গে ছদ্মনামে ফরাসি সংসদের সমালোচনাও করেছেন। তিনি বলেছেন, ফরাসি সংসদ প্রতিক্রিয়াশীল। তারা প্রগতিশীল পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে না। যেমন, ফরাসি একডেমি প্রতিষ্ঠা, গুটিবসন্তের টিকা এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সবকটি দাবিতে তারা ভ্যাটো দিয়েছে। আটকে দিতে চেয়েছে অগ্রযাত্রা।

ভ্যারিওলে ভ্যাকসিন: এডোয়ার্ড জেনার

ইউরোপে টিকার বিকাশ ও উৎকর্ষে এডোয়ার্ড জেনারের অবদানের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন ডুরান্ট। ১৭৫৭ সালে টিকা দেয়া হাজার খানেক শিশুর মাঝে আট বছর বয়সী এডোয়ার্ড জেনারও ছিলেন। ছেলেবেলায় বিজ্ঞান ও প্রকৃতির প্রতি জেনারের ছিল ভীষণ আগ্রহ, যা তাকে চিকিৎসাশাস্ত্র, শল্যচিকিৎসা, এমনকি প্রাণিবিজ্ঞান পর্যন্ত অধ্যয়নে অনুপ্রাণিত করে। ঘটনাক্রমে তিনি লন্ডনের বাইরে ইংল্যান্ডের পল্লী এলাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করতে থাকেন এবং চিকিৎসাবিদ্যা অনুশীলন শুরু করেন। তার সেই গ্রাম্য পরিবেশ থেকে তিনি জানতে পারেন যে গোয়ালিনী ও অন্যান্য যে লোকেরা গোবসন্তের সংস্পর্শে আসে, তাদের শরীরে স্বল্পসংখ্যক ফুসকুড়িসহ তুলনামূলকভাবে কম সংক্রমণ দেখা দিলেও পরবর্তী সময়ে তারা আর গুটিবসন্তে আক্রান্ত হয় না। তিনি আরো দেখতে পান যে এসব লোকদের তিনি সফলভাবে গুটিবসন্তের টিকা দিতে পারছেন না। এ যোগসূত্র লক্ষ করে জেনার ১৭৭৮ সালে এ সিদ্ধান্তে আসেন যে গোবসন্ত কেবল গুটিবসন্ত থেকেই সুরক্ষা দেয় না, বরং সুরক্ষার একটি উদ্দশ্যপ্রণোদিত প্রক্রিয়া হিসেবে তা এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তিতে হস্তান্তরিতও হতে পারে।

১৭৯৬ সালের মার্চে জেনারের সঙ্গে স্যারা নেলমস নামে এক গোয়ালিনী তরুণীর সঙ্গে দেখা হয়, যার গায়ে গোবসন্তের কাঁচা ক্ষত ছিল। জেনার তার এ ক্ষতের উপাদান ব্যবহার করে জেমস ফিপসকে টিকা দেন। শিশুটির মৃদু জ্বর ও ক্ষুধামান্দ দেখা দিলেও ১০ দিন পর সে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যায়। জুলাইয়ে জেনার শিশুটিকে আবারো টিকা দেন। এ সময় কোনো রোগ দেখা না দেয়ায় জেনার সিদ্ধান্তে পৌঁছেন, সুরক্ষা সম্পন্ন হলো। জেনার গোবসন্তের সাহায্যে শিশুদের টিকা প্রদান অব্যাহত রাখলে একই ফলাফল পান। তিনি প্রক্রিয়াটির নাম দেন ভ্যারিওলে ভ্যাকসিন—গোবসন্ত। বর্তমানে এর ইংরেজি করা ও সংক্ষিপ্ত রূপ ‘ভ্যাকসিনেশন’।

এই সফলতায় উৎসাহিত হয়ে জেনার ১৭৯৮ সালে লিখেন তার গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ ‘ভেরিওলা ভ্যাকসিনের কারণ ও প্রভাব’। এই বইয়ে তিনি তেইশজন রোগীর কেস স্টাডি তুলে ধরেন। যাদের প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই তিনি সফল। পরবর্তীতে ১৮০২ এবং ১৮০৭ সালে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট জেনারকে ৩০ হাজার পাউন্ড গবেষণা প্রণোদনা দেয়। যেন তিনি এই ভ্যাকসিনেশনের কাজ এগিয়ে নিতে পারেন।

বাগদাদে টিকাদান

কেবল উসমানি সাম্রাজ্যের ইস্তাম্বুলেই টিকাদান কর্মসূচি সীমাবদ্ধ ছিল না, বরং সরকারি সহায়তায় অন্যান্য অঞ্চলেও তা ছড়িয়ে পড়েছিলো। কারমালি তার প্রবন্ধে বলেছেন, ইরাকে ১৮০৯ সালের আগে জেনারের পদ্ধতিতে টিকা দেয়া হতো ইস্তাম্বুলের এক তরুণ আর্মেনিয়ান ক্যাথলিক যুবকের মাধ্যমে। তার নাম আওয়ানিস বেন বেদ্রোস মুরাদিয়ান। এই যুবক ছয়টি ভাষা জানতো। চোখ রাখতো প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের রাজনীতির দিকে। খবর রাখতো কোথায় কী আবিষ্কার হচ্ছে।

কারমালির ভাষ্যমতে—আওয়ানিসের হাত ধরেই বাগদাদে সবপ্রথম গুটিবসন্তের প্রতিষেধক টিকা প্রবেশ করে। কিন্তু বাগদাদের লোকেরা তাকদির বিরোধী বলে এই টিকার বিরোধিতা শুরু করে দেয়। অবশেষে বাগদাদের গ্র্যান্ড মুফতি আহমদ আফেন্দির (২০১৩ হি/১৮২৮খৃ.) সহায়তায় এই বিরোধিতা দূর হয়। মুফতি সাহেব প্রথমেই তার সন্তান এবং নাতিদের টিকা দেয়ান। তার এই টিকাদান মানুষের ভুল দৃষ্টিভঙ্গি ভেঙ্গে দেয়। তিনি মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেন টিকা দিতে নিশ্চিন্তে। তার উৎসাহে ব্যাপকভাবে শুরু হয় টিকাদান কর্মসূচি। আওয়ানিস এবং তার স্ত্রী তেরেসা মিলে নয় বছরে পাঁচ হাজার চারশর বেশি মানুষকে টিকা প্রদান করে। এদের দুই তৃতিয়াংশকে টিকা দেয়া হয়েছিলো বিনামৃল্যে। এই দীর্ঘ সময়ে মানুষের মধ্যে আস্থার একটুও কমতি হয়নি।

আওয়ানিসের এই সফলতা তার কাজ বিস্তৃত করতে সাহায্য করে। ইরাকিরা তার কাজের স্বীকৃতি দেয়। প্রশংসাপত্রে তার নাম দেয়—খাজা আওয়ানিস মুরাদিয়ান ইসলাম্বুলি। তারা অকুণ্ঠচিত্তে স্বীকার করে, গত চার বছরে যতজন টিকা নিয়েছে, তারা কেউ আর গুটিবসন্তে আক্রান্ত হয়নি। ইরাকিরা তার জন্য দোয়া করে—হে আল্লাহ! আওয়ানিস যে খেদমত আমাদের দেশে আঞ্জাম দিয়েছে, তুমি তাকে এবং তার সন্তানদেরকে তার প্রতিদান দিও।

উপরিউক্ত আলোচনা থেকে এটা স্পষ্ট হলো—উসমানি সাম্রাজ্যের তত্বাবধানে বিনামূল্যে টিকা বিতরণ করা হতো। ১৮৪৭ সালে সুলতান আবদুল মাজিদ বাগদাদ এবং অন্যান্য উসমানি সাম্রাজ্যে রাগিব বেকে একজন পর্যবেক্ষক হিসেবে পাঠান। তার সঙ্গে ছিল আর্মেনীয় চিকিৎসক বরুনাক ফাররুখ খান। তিনি ইস্তাম্বুল থেকেই রাগিব বের সহযাত্রী হয়েছিলেন। ইস্তাম্বুল থেকে বাগদাদ, পুরো পথে তিনি রোগীদের চিকিৎসা করেছেন, বিভিন্ন শহরে বিনামূল্যে টিকা দিয়েছেন। এরপর বাগদাদে পৌঁছে তিনি তার দায়িত্ব পালন করে ইস্তাম্বুলে ফিরে আসেন। একটুও বিরক্তি প্রকাশ করেননি। এরপর থেকে বাগদাদ ও ইরাকে টিকা গ্রগণকারীর সংখ্যা কমেনি, কেবল বেড়েছেই।

তবে তৎকালে আলজেরিয়ায় বোধহয় তুর্কি টিকার কথা জানা ছিলো না। ফলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ তখন ইউরোপীয় টিকার দিকে হাত বাড়ায়। গবেষক ডা. মুজাহিদ ইয়ামিনা তার ‘ফরাসি উপনিবেশবাদের সময় আলজেরিয়ায় চিকিৎসার ইতিহাস ১৮৩০-১৯৬২’ শিরোনামের গবেষণাপত্রে ফরাসি ডা. শনবার্গের বই ‘উপনিবেশবাদের শুরুতে আলজেরিয়ার চিকিৎসা’ গ্রন্থ থেকে উদ্ধৃতি দিয়েছেন। শনবার্গ উল্লেখ করেন, ‘আলজেরিয়ার তুর্কি শাসক দে হুসাইন তার পরিবারের সবাইকে ইংরেজ ডাক্তার বুহিনের নিকট টিকা দিতে পাঠিয়েছিলেন। এই টিকাদান সফল হয়। দে হুসাইন সন্তুষ্ট হয়ে তখন বুহিনের জন্য অনেক টাকা পাঠান।’

শেষকথা

টিকা নিতে হয় জীবনেরই প্রয়োজনে। রোগাক্রান্ত হবার আগে প্রতিষেধক গ্রহণ করা ইসলামের দৃষ্টিতে নিষেধ নয়। বরং সুস্থ জীবন যাপনের জন্য এটা অপরিহার্য। টিকা মূলত রোগ হওয়ার আগেই জীবাণু যেন আক্রমণ করতে না পারে সে জন্য বিশেষ সুরক্ষা পদ্ধতি গ্রহণের নাম। ইনজেকশনের মাধ্যমে রোগের জন্য দায়ী জীবানুর দুর্বল ভার্সন, মৃত বা জীবানুর অংশবিশেষ সুস্থ বা অসুস্থ মানুষের দেহে টিকা হিসেবে দেয়া হয়। এরপর এর বিরুদ্ধে আমাদের শরীরে আল্লাহর আদেশ ও ক্ষমতায় প্রতিরক্ষার ব্যবস্থা হিসেবে এন্টিবডি এবং এর মেমোরী সেল তৈরি হয়। পরবর্তীতে সেই নির্দিষ্ট জীবানুটি দেহে প্রবেশ করলে এন্টিবডি এগুলো শনাক্ত করে জীবানুটিকে আল্লাহর আদেশ মেরে ফেলে।

শরীয়াহ দৃষ্টিকোণ থেকে টিকা গ্রহণ বৈধ বা মুবাহ। ভবিষ্যতে রোগ থেকে বেঁচে থাকার জন্য হাদীসে নানা নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বিশেষ কিছু খেতে বলা হয়েছে, যেনো রোগ থেকে বেঁচে থাকা যায়।

উসামা ইবনে শরিক রাদি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সা. বলেন, ‘হে আল্লাহর বান্দারা! তোমরা ওষুধ অনুসন্ধান করো। কেননা আল্লাহ তাআলা এমন কোনো রোগ সৃষ্টি করেননি, যার ওষুধ বা নিরাময়ের ব্যবস্থা রাখেননি।’ (আদাবুল মুফরাদ, আবু দাউদ, তিরমিজি)। তাই ওষুধ এবং ভ্যাকসিন আবিষ্কার তাকদিরবিরোধী নয়। এটা নিজেকে সুস্থ রাখার প্রয়াস। হজরত সাদ ইবনে আবি ওক্কাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ সা. বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি প্রতিদিন সকালে সাতটি আজওয়া খেজুর খাবে, সেদিন ওই ব্যক্তিকে বিষ ও জাদু-টোনা কোনো ক্ষতি করতে পারবে না।’ (বুখারি ও মুসলিম)

আজওয়া খেজুরের হাদীসটি টিকার শরীয়া ব্যাখ্যার সাথে খুবই সঙ্গতিপূর্ণ। শাইখ বিন বায রহ. টিকার বৈধতার পক্ষে উক্ত হাদীস দ্বারা দলীল পেশ করেছেন। দারুল উলূম দেওবন্দের বিখ্যাত মুফতি, মুফতি আযীযুর রহমান রহ. এক ফতেয়ায় লিখেছেন-‘পূর্ব সুরক্ষা হিসাবে টিকা গ্রহণ করা বৈধ। শরঈ দৃষ্টিকোণ থেকে এতে কোনো সমস্যা নেই। এটিও এক ধরনের চিকিৎসা’। সুতরাং মৌলিকভাবে টিকা গ্রহণ মুবাহ বা বৈধ।

The post ‘প্রতিরোধ করতে হবে মহামারী’: মুসলিম সভ্যতায় টিকার ইতিহাস appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3kENjfb

Sunday, July 18, 2021

পশুরহাটের নিকটবর্তী ব্যাংক রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা রাখার নির্দেশ

ফাতেহ ডেস্ক:

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঢাকায় কোরবানির পশুর হাটের নিকটবর্তী ব্যাংকের শাখা বাড়তি সময় পর্যন্ত খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। একই সঙ্গে ঈদের আগের দিন, অর্থাৎ ২০ জুলাই ওই শাখাগুলো রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা রাখতে বলা হয়েছে।

চলমান করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় পশুর হাটগুলোতে স্থাপিত বুথসহ সংশ্লিষ্ট শাখা-উপশাখায় আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবেলায় সবোর্চ্চ সতর্কতাসহ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যাংকগুলোকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করা হয়েছে।

সার্কুলারে বলা হয়েছে, ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধানে ও ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত কোরবানির পশুর হাটগুলোয় প্রচুর ব্যবসায়ীর সমাগম ঘটে। এসব হাটে বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থের লেনদেন হয়ে থাকে। ফলে হাটগুলোয় আর্থিক লেনদেনের নিরাপত্তার বিষয়টি অতি গুরুত্বপূর্ণ। কোরবানির পশুর হাটগুলোর কাছেই বিভিন্ন ব্যাংকের শাখা নিয়মিত ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করে। হাটগুলোর নিকটবর্তী এসব ব্যাংকের শাখা ব্যবহার করে ব্যবসায়ীরা তাঁদের পশু বিক্রির অর্থ লেনদেনে ব্যাংকের সহায়তা গ্রহণ করতে পারেন। তা ছাড়া পশুর হাটে ব্যাংকের অস্থায়ী বুথ খোলা হলে ব্যবসায়ীরা উক্ত বুথে অর্থ লেনদেনে ব্যাংকের সহায়তা গ্রহণ করতে পারেন।

এমন প্রেক্ষাপটে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কোরবানির পশুর হাটের নিকটবর্তী ব্যাংক শাখা বিশেষ ব্যবস্থায় ১৯ জুলাই পর্যন্ত রাত ৮টা পর্যন্ত চালু রাখা এবং ২০ জুলাই এসব শাখার কার্যক্রম সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত স্বাভাবিক ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু রাখার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এছাড়া প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করে কোরবানির পশুর হাটে স্বীয় বিবেচনায় অস্থায়ী বুথ স্থাপনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

এছাড়া এসব শাখায় বাড়তি সময় ও বন্ধের দিনে সেবা চালু রাখলে অতিরিক্ত সময় দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিশেষ ভাতা দিতে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

 

The post পশুরহাটের নিকটবর্তী ব্যাংক রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা রাখার নির্দেশ appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3BgMGhx

দেশে একদিনে করোনায় মৃত্যু ২২৫

ফাতেহ ডেস্ক:

মহামারি করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) আঘাতে সংক্রমণ ও মৃত্যুর মিছিল ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এ ভাইরাসে সারা দেশে আরও ২২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে করোনায় দেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৭ হাজার ৮৯৪ জনে।

একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও ১১ হাজার ৫৭৮ জন। এ নিয়ে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ লাখ ৩ হাজার ৯৮৯ জনে।

রোববার (১৮ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৮ হাজার ৮৪৫ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৯ লাখ ৩২ হাজার ৮ জন।

২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৯ হাজার ৮০৬টি। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ৯ শতাংশ। দেশে এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৭২ লাখ ৫৫ হাজার ৩৮৭টি। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ২২ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের রয়েছে ৬০ জন। এছাড়া খুলনায় ৫৪, চট্টগ্রামে ৪০, রাজশাহীতে ২০, বরিশালে ৯, সিলেটে ১৪, রংপুরে ১৪ এবং ময়মনসিংহে ১৪ জন মারা গেছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ১২৩ জন পুরুষ এবং ১০২ জন নারী। এদের মধ্যে ১৩ জন বাসায় মারা গেছেন। বাকিরা হাসপাতালে মারা গেছেন।

বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ১১৫ জনের বয়স ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছরের ৫২, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ৩১, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ১৬, ২১ থেকে ৩০ বছরের ৭ জন, ১১ থেকে ২০ বছরের ৩ এবং দশ বছরের কম বয়সী ১ জন রয়েছেন।

বাংলাদেশে করোনা প্রথম শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। এর ১০ দিন পর ভাইরাসটিতে একজনের মৃত্যুর তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদফতর।

The post দেশে একদিনে করোনায় মৃত্যু ২২৫ appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/36YdrcV

ঈদে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে মসজিদ ভিত্তিক প্রচারণা চলছে

ফাতেহ ডেস্ক:

নারায়ণগঞ্জ সাতটি থানার বিভিন্ন মসজিদে চলছে জেলা পুলিশের মসজিদ ভিত্তিক সতর্কমূলক প্রচারণা। করোনায় স্বাস্থ্যবিধি মনে ও ঈদে সচেতন থেকে যেন মানুষ আনন্দ উপভোগ করতে পারে সে লক্ষ্যে নানা দিক নির্দেশানা দিচ্ছে সংশ্লিষ্ট থানার কর্মকর্তারা। শুক্রবার জুম্মার নামাজ ছাড়াও বিভিন্ন ওয়াক্তের নামাজে থানার ওসিরা উপস্থিত হয়ে মুসল্লীদের উদ্দেশ্যে ওই প্রচারণা চালাচ্ছে।

বিষয়টি জানিয়ে নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মশিউর রহমান জানান, জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলমের নির্দেশনা দিয়েছেন যে মসজিদে মসজিদে গিয়ে মুসল্লীদের সতর্ক করতে হবে। করোনাকালে ঈদ জামাতে কোলাকুলি, দল বেঁধে হাটে গমন, আড্ডা দেয়া, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়া, লোক সমাগম এড়িয়ে চলা সাবির্ক বিষয়গুলো নিয়ে মসজিদে মুসল্লীদের উদ্দেশ্যে কথা রাখা হচ্ছে। বিশেষ করে করোনাকালে সাধারণ মানুষের পাশে বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান জানানো হচ্ছে। এ নিয়ে মসজিদের ইমামদেরও বিশেষ ভূমিকা পালনে অনুরোধ করা হচ্ছে।

গত এক সপ্তাহে প্রায় ৭টি মসজিদে গিয়ে এ রকম প্রচারণা চালানো হয়েছে। একই কথা জানিয়ে নারায়ণগঞ্জ ট্রাফিক এডমিন কামরুল ইসলাম জানান, মসজিদভিত্তিক প্রচারণায় করোনাকালীন কি করণীয় ও কি কি বর্জনীয় তা নিয়ে দিক নির্দেশনামূলক প্রচারণা চালানো হচ্ছে। এ নিয়ে আমরা রাস্তায় পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিংও করছি।

বিষয়টি জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ জায়েদুল আলম জানান, এটা আমাদের দায়িত্ব। মানুষকে সচেতন করা। করোনাকালীন সময়ে কেউ কাশি, জ্বর, শ্বাস কষ্ট ও সর্দি হলে দ্রুত করোনা টেস্ট করে চিকিৎসা নিতে হবে। কেউ অসুস্থ হলে সে যেন বাইরে গিয়ে মানুষের সাথে মেলামেশা না করে। এসব বিষয়সহ স্বাস্থ্য বিধি ও ঈদে সচেতন হতে জেলার ৫টি উপজেলার সাতটি থানায় ওসিগণকে মসজিদ ভিত্তিক প্রচারণা চালাতে নির্দেশনা বাস্তাবায়ন হয়েছে এবং তা চলছে আগামীতেও চলবে।

The post ঈদে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে মসজিদ ভিত্তিক প্রচারণা চলছে appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3BfA2PX

Friday, July 16, 2021

দেশে করোনায় একদিনে মৃত্যু ১৮৭, শনাক্ত ১২ হাজার ১৪৮

ফাতেহ ডেস্ক :

মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ১৮৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত দেশে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৪৬৫ জনে।

এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছেন ১২ হাজার ১৪৮ জন। এ নিয়ে দেশে মোট করোনা শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১০ লাখ ৮৩ হাজার ৯২২ জনে।

শুক্রবার (১৬ জুলাই) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৮ হাজার ৫৩৬ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ৯ লাখ ১৪ হাজার ৩৪৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪১ হাজার ৯৪৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ২৮ দশমিক ৯৬ শতাংশ।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) ২২৬ জনের মৃত্যু হয় এবং করোনা শনাক্ত হয় ১২ হাজার ২৩৬ জন।

The post দেশে করোনায় একদিনে মৃত্যু ১৮৭, শনাক্ত ১২ হাজার ১৪৮ appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3B9a0Oc

ঈদ উপলক্ষে দুবাইয়ে নতুন বিধিনিষেধ জারি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে ঈদ, এ কারণেই বাড়তি সতর্ক দুবাই কর্তৃপক্ষ। সেখানকার জরুরি সংকট ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এবারের ঈদুল আজহায় ঈদ জামায়াতের অনুমতি দিয়েছে। তবে তার জন্য একঝাঁক বিধিনিষেধ অনুসরণ করতে হবে মুসল্লিদের।

ঈদ জামায়াতের পর খুতবার জন্য সময় বরাদ্দ সর্বোচ্চ ১৫ মিনিট। নামাজের ১৫ মিনিট আগে খুলে দিতে হবে মসজিদ ও ঈদগাহর দরজা আর নামাজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেগুলো ফের বন্ধ করতে হবে।

মুসল্লিদের ব্যক্তিগত জায়নামাজ সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে। নামাজের জায়গায় সামাজিক দূরত্ব নির্দেশক স্টিকার লাগানো থাকবে।

করোনা পজিটিভ রোগী এবং তাদের ঘনিষ্ঠদের ঈদ জামায়াতে যাওয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। ১২ বছরের কম এবং ৬০ বছর বয়সোর্ধ্বদেরও বাসায় নামাজ আদায়ের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

ওয়াশরুম ও ওজুখানার মতো সুবিধাগুলো বন্ধ থাকবে। নিষিদ্ধ করা হয়েছে করমর্দন ও কোলাকুলি। নামাজের আগে বা পরে মুসল্লিরা কোথাও জড়ো হতে পারবেন না।

দুবাইয়ে আগে থেকেই বেশ কিছু বিধিনিষেধ কার্যকর রয়েছে। তবে ঈদ উপলক্ষে সেগুলোতে কিছুটা শিথিলতা আনা হয়েছে। যেমন-

পরীক্ষামূলকভাবে একমাসের জন্য সরাসরি বিনোদনমূলক কার্যক্রমের অনুমতি দেয়া হয়েছে। গত ৬ জুন থেকে এই নিয়ম কার্যকর হয়েছে, যার সময়সীমা পরবর্তীতে আরও বাড়ানো হতে পারে।

হোটেলগুলো শতভাগ পূরণ করা যাবে। তবে বিনোদনকেন্দ্রগুলো ধারণক্ষমতার ৭০ শতাংশ ভ্রমণার্থী প্রবেশ করাতে পারবে।

হোটেল বা অন্য জায়গাগুলোতে সর্বোচ্চ ১০০ জন রেখে বিয়ের আয়োজন করা যাবে। তবে সকল কর্মী ও অতিথিদের অবশ্যই টিকা নেয়া থাকতে হবে। আর বাড়িতে বিয়ের আয়োজন করলে সর্বোচ্চ ৩০ জন অতিথি থাকতে পারবে।

রেস্টুরেন্টে এক টেবিলে সর্বোচ্চ ১০ জন বসে খেতে পারবে, ক্যাফেতে বসতে পারবে ছয়জন।

সামাজিক দূরত্ব রাখার শর্তে অনুমতি দেয়া হয়েছে কনসার্ট বা অন্য খেলাধুলার অনুষ্ঠান আয়োজনেরও। তবে যেকোনো ধরনের জনসমাগমে মুখে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক।

সূত্র: খালিজ টাইমস

The post ঈদ উপলক্ষে দুবাইয়ে নতুন বিধিনিষেধ জারি appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3hHgCvu

Thursday, July 15, 2021

এবারও শোলাকিয়ায় হচ্ছে না ঈদের জামাত

ফাতেহ ডেস্ক:

করোনাভাইরাসের কারণে কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠে এবারও হচ্ছে না ঈদুল আজহার জামাত।

শুক্রবার (১৬ জুলাই) শোলাকিয়া ঈদগাহ কমিটির সভাপতি ও কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) ভার্চুয়ালি ঈদগাহ কমিটির জরুরি সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

জেলা প্রশাসক বলেন, ঈদের নামাজে শোলাকিয়া ঈদগাহে লাখো মুসল্লির সমাগম হয়। তাই করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে সেখানে এবারের ঈদুল আজহার জামাত না করার সিদ্ধান্ত হয়।

ঈদগাহ কমিটির সভাপতি বলেন, এবার মসজিদেও ঈদুল আজহার জামাত বড় পরিসরে হবে না। শহরের বিভিন্ন মসজিদে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে একাধিক জামাত অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে করোনা মহামারির কারণে শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠে গত ঈদুল ফিতরেও নামাজ হয়নি।

উল্লেখ্য, ১৮২৮ সালে এ মাঠে ঈদের জামাতে প্রথম সোয়া লাখ মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করেছিলেন। সেই থেকে এ মাঠের নাম হয় ‘সোয়া লাখিয়া’। পরে সেটি শোলাকিয়া নামে পরিচিতি পায়। প্রায় আড়াইশ বছরের প্রাচীন শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে এবার ১৯৩ তম ঈদুল আজহার জামাত অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।

The post এবারও শোলাকিয়ায় হচ্ছে না ঈদের জামাত appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3z0d0uv

টিকার বয়সসীমা ১৮ বছর করার পরামর্শ পরামর্শক কমিটির

ফাতেহ ডেস্ক:

মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে টিকা পাওয়ার জন্য নিবন্ধনের বয়সসীমা ১৮ বছর করার চিন্তা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ সম্প্রসারণ এবং ওপিডি উদ্বোধন শেষে তিনি এই কথা জানান।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি টিকার জন্য নিবন্ধনের বয়সসীমা ১৮ বছর পর্যন্ত করার সুপারিশ করেছে। এর প্রেক্ষিতে আমরা চিন্তা করছি টিকার জন্য বয়সসীমা আরও কমিয়ে আনা যায় কি না। এ বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও আলাপ হয়েছে। উনারও একটা নির্দেশনা আছে। আমাদের টেকনিক্যাল কমিটিও গতকাল আমাদের জানিয়েছে ১৮ বছর এবং তার ঊর্ধ্বে টিকা দেওয়া যায় কি না।’

এ সময় তিনি বলেন, আমাদের ছেলেমেয়েদের তাড়াতাড়ি স্কুল-কলেজে পাঠাতে চাই। শিক্ষকদের টিকা দিচ্ছি, এখন ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে যারা আছে তাদেরও টিকার আওতায় নিয়ে আসব। তাদের স্কুল-কলেজে যাওয়ার সুযোগ করে দিব। কারণ তাদের জীবনের একটা বছর নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এটা দেশের জন্য, জাতির জন্য বিরাট ক্ষতি হয়ে যাবে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে গত ২৬ জানুয়ারি টিকার জন্য নিবন্ধন শুরু হয়। শুরুতে ৪০ বছরের ঊর্ধ্বে নাগরিকরা টিকার জন্য নিবন্ধন করতে পারতেন। আর গত ৫ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ৩৫ বছর হলেই টিকার জন্য নিবন্ধন করা যাবে। তবে করোনাভাইরাস মহামারী মোকাবেলায় সম্মুখসারিতে কাজ করছেন তাদের জন্য এই বয়সসীমা প্রযোজ্য নয়।

The post টিকার বয়সসীমা ১৮ বছর করার পরামর্শ পরামর্শক কমিটির appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/2U5Txda

পরিস্থিতি অনুকূলে এলে নভেম্বরে এসএসসি, ডিসেম্বরে এইচএসসি

ফাতেহ ডেস্ক:

করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আগামী নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে এসএসসি ও ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এইচএসসি পরীক্ষা নেয়া হবে। আবশ্যিক বিষয়ের পরীক্ষা না নিয়ে অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হবে, নৈর্ব্যক্তিক বা ঐচ্ছিক বিষয়ের পরীক্ষাগুলো নেয়া হবে।

আর যদি তা সম্ভব না হয় তবে আগের পাবলিক পরীক্ষা ও অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে নম্বর যুক্ত করে ফলাফল প্রকাশ করা হবে।

বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) বেলা ১১টায় ভার্চুয়ালি সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব আমিনুল ইসলাম, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক সৈয়দ গোলাম ফারুক, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান নেহাল আহমেদসহ অন্যান্য বোর্ডের চেয়ারম্যান।

এসএসসিতে ২৪টি ও এইচএসসিতে নৈর্বাচনিক বিষয়ে মোট ৩০টি অ্যাসাইনমেন্ট করতে হবে শিক্ষার্থীদের। বাংলা, ইংরেজি, গণিত এমন আবশ্যিক বিষয় ও চতুর্থ বিষয়গুলোর ওপর পরীক্ষার্থীদের কোনো অ্যাসাইনমেন্ট করতে হবে না। এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ১২ সপ্তাহে ২৪টি অ্যাসাইনমেন্ট দেয়া হবে। তারা প্রতি সপ্তাহে দুটি করে অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেবেন।

অপরদিকে এইচএসসির পরীক্ষার্থীদের জন্য ৩০টি অ্যাসাইনমেন্ট দেয়া হবে। প্রতিটি পত্রে পাঁচটি করে অ্যাসাইনমেন্ট করতে হবে। সপ্তাহে শিক্ষার্থীরা দুটি অ্যাসাইনমেন্ট করবে। এর ফলে আগে যে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস দেয়া হয়েছিল এর মাধ্যমে অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রম শেষ করা হবে। তবে অতিরিক্ত বিষয়ে কোনো অ্যাসাইনমেন্ট দেয়া হবে না।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এবারও গতবছরের মতো বিষয় ম্যাপিং করা হবে। যেসব শিক্ষার্থীর পদার্থ, রসায়ন, জীববিজ্ঞান ও উচ্চতর গণিত আছে তাদের এসব বিষয়ে পরীক্ষা দিতে হবে। যারা এসএসসি দেবে তাদের বিষয় ম্যাপিংয়ের ক্ষেত্রে জেএসসি বিজ্ঞান বিষয়গুলোর সঙ্গে এসএসসির অন্যান্য বিষয়ভিত্তিক বিজ্ঞান বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখা হবে। মানবিক বা কমার্স ও মানবিকের বিষয়গুলোও কীভাবে মূল্যায়ন হবে সেটার বিস্তারিত স্কুলগুলোতে নির্দেশনা পাঠানো হবে।

অনিয়মিত শিক্ষার্থীদের বিষয়ে তিনি বলেন, নিয়মিত শিক্ষার্থীদের মতোই তাদের অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে হবে। এক্ষেত্রে দৈবচয়ন পদ্ধতিতে তাদের মূল্যায়ন করা হবে।

 

The post পরিস্থিতি অনুকূলে এলে নভেম্বরে এসএসসি, ডিসেম্বরে এইচএসসি appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/2Tdnurd

Tuesday, July 13, 2021

ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা শুরু ১ অক্টোবর

ফাতেহ ডেস্ক:

দেশে চলমান করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় এবং ঈদের পর ১৪ দিনের কঠোর লকডাউন ঘোষণা করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা পেছানো হয়েছে। আগামী ৩১ জুলাই থেকে ভর্তি পরীক্ষা শুরুর কথা ছিল। তবে সেটি পিছিয়ে ১ অক্টোবর থেকে পরীক্ষা শুরুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) বিকেলে ঢাবির ডিনস কমিটির এক জরুরি সভায় পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করা হয়। বিকেল সাড়ে তিনটায় শুরু হওয়া এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

পরীক্ষা পেছানোর বিষয়টি গণমাধ্যম নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল।

তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় পরীক্ষা পেছানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এই অবস্থায় কোনো ভাবেই ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করা যেত না। শিক্ষার্থীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমরা কিছু করতে চাই না। এছাড়া আমাদের শিক্ষকদের নিরাপত্তার বিষয়টিও রয়েছে।

অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল জানান, নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ১ অক্টোবর থেকে আমাদের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে। এবার আমরা একটু দেরিতেই তারিখ ঘোষণা করেছি। যেন এটি আর পরিবর্তন করতে না হয়। ১ অক্টোবর বিজ্ঞান অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

ঢাবি উপ-উপাচার্য আরও বলেন, বিজ্ঞান অনুষদের পরীক্ষার পরের দিন অর্থাৎ ২ অক্টোবর কলা অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। চারুকলা অনুষদের লিখিত (অঙ্কন) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ৯ অক্টোবর, এরপর ২১ অক্টোবর বাণিজ্য অনুষদের আর সবশেষ ২৩ অক্টোবর সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

The post ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা শুরু ১ অক্টোবর appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3rj0x2x

লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য নতুন একাধিক প্যাকেজ ঘোষণা

ফাতেহ ডেস্ক:

করোনাভাইরাসের চলমান সংক্রমণের কারণে আরোপিত বিধিনিষেধের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত নিম্ন আয়ের মানুষের সহায়তায় ৩ হাজার দুশ কোটি টাকার পাঁচটি নতুন প্রণোদনা প্যাকেজের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত নিম্নআয়ের প্রত্যেকে পাবে নগদ আড়াই হাজার টাকা।

প্যাকেজগুলো হলো-

১. দিনমজুর, পরিবহন শ্রমিক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং নৌপরিবহন শ্রমিকদের জন্য জনপ্রতি নগদ আড়াই হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তার জন্য ৪৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ।

২. শহর এলাকার নিম্নআয়ের জনসাধারণের সহায়তার লক্ষ্যে ২৫ জুলাই থেকে ৭ আগস্ট পর্যন্ত ১৪ দিন ৮১৩টি কেন্দ্রে বিশেষ ওএমএস কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বরাদ্দ ১৫০ কোটি টাকা।

৩. ৩৩৩-নম্বরে জনসাধারণের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে খাদ্য সহায়তা দেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে বিশেষ বরাদ্দ ১০০ কোটি টাকা।

৪. গ্রামীণ এলাকার কর্মসৃজনমূলক কার্যক্রমে অর্থায়নের জন্য পল্লী সংস্থান ব্যাংক ও পিকেএসএফ-এর মাধ্যমে ঋণ সহায়তা দিতে (৪ শতাংশ সুদে) এর আগে বরাদ্দ ৩ হাজার ২শ কোটি টাকার অতিরিক্ত বরাদ্দ এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা।

The post লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য নতুন একাধিক প্যাকেজ ঘোষণা appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3yUWkUW

Monday, July 12, 2021

কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল করে প্রজ্ঞাপন জারি

ফাতেহ ডেস্ক:

১৪ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এই সময় চলবে গণপরিবহন, খুলবে দোকান-শপিংমলও।

মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) সকালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় গত ১ জুলাই সকাল ৬টা থেকে শুরু হয় সাত দিনের কঠোর বিধিনিষেধ। এই বিধিনিষেধ ছিল ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত। পরে বিধিনিষেধের মেয়াদ আরও ৭ দিন অর্থাৎ ১৪ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

The post কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল করে প্রজ্ঞাপন জারি appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3yRlTXb

ঢাকায় ১৭ জুলাই থেকে বসবে কোরবানির পশুর হাট

ফাতেহ ডেস্ক:

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন থেকেই ঘোষণা করা হয়েছে যে নগরীর বিভিন্ন জায়গায় আগামী ১৭ জুলাই থেকে কোরবানির পশুর হাট শুরু হবে।

কর্তৃপক্ষ বলেছে, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনেই ১৭ জুলাই থেকে ২১ জুলাই অর্থাৎ ঈদের দিন পর্যন্ত হাট চলবে।

বাংলাদেশে গত কয়েক সপ্তাহ যাবত করোনাভাইরাসের উর্ধ্বমুখী সংক্রমণ ঠেকাতে পয়লা জুলাই থেকে দেশে চলছে একটি সর্বাত্মক লকডাউন বা কঠোর বিধিনিষেধ।

এর মধ্যে গরুর হাট শুরু করা নিয়ে এক ধরনের অনিশ্চয়তা ছিল।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাছের বিবিসিকে বলেছেন, সারুলিয়ায় একটা স্থায়ী হাট এবং ১০টি অস্থায়ী হাট নিয়ে ১৭ জুলাই থেকে এই হাট শুরু হচ্ছে।

এই হাটগুলো চলবে ঈদের দিন পর্যন্ত।

অন্যদিকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় একটি স্থায়ী ও আটটি অস্থায়ীসহ মোট ৯টি পশুর হাট বসবে।

এই হাটগুলো ১৭ জুলাই থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত সরকারি নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধিসমূহ যথাযথভাবে মেনে পরিচালিত হবে।

এদিকে প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক আজিজুর রহমান জানিয়েছেন, সারা দেশের কোরবানির পশুর হাটের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য ১৪ জুলাই ৬৪ জেলার প্রশাসকদের সাথে ভার্চুয়াল বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

সূত্র : বিবিসি

The post ঢাকায় ১৭ জুলাই থেকে বসবে কোরবানির পশুর হাট appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3yLb1Kr