Wednesday, February 21, 2024

হজের মৌসুমে মক্কা-মদিনায় কাজের সুযোগ

আসন্ন পবিত্র হজ মৌসুমে সৌদি আরবের তিনটি শহরে খণ্ডকালীন চাকরির সুযোগ রয়েছে। দেশটির হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মক্কা, মদিনা ও জেদ্দা শহরে হজের সময় শূন্য পদে বেশ কিছু লোক নিয়োগ দেওয়া হবে।

মন্ত্রণালয়ের ঘোষণামতে পদগুলো হলো হজ কন্ট্রোলার, কাস্টমার সার্ভিস, মেকানিক্যাল টেকনিশিয়ান, ড্রাইভার ও প্রকৌশলী। এসব পদে কতজনকে নিয়োগ দেওয়া হবে তা নির্দিষ্ট করা হয়নি।

আগ্রহীদের লিংকে ( https://ift.tt/d0eM8DO ) আবেদন করতে বলা হয়।

গত ১২ ফেব্রুয়ারি সৌদি আরবে বসবাস করা স্থানীয় নাগরিক ও মুসলিম অভিবাসীদের জন্য হজের অনলাইন নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এবার সৌদি হজযাত্রীদের জন্য আবাসন ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করে চার হাজার ৯৯ রিয়াল থেকে ১৩ হাজার ২৬৫ রিয়ালের মধ্যে চারটি হজ প্যাকেজ ঘোষণা দেওয়া হয়। পুরো অর্থ চার ধাপে পরিশোধ করা যাবে।

এর মধ্যে ২০ শতাংশ রমজান মাস শুরুর আগে এবং ৪০ শতাংশ ২০ রমজানের আগে শোধ করতে হবে।

গত বছর করোনা-পরবর্তীকালের সর্ববৃহৎ হজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে ১৮ লাখের বেশি মানুষ অংশ নেন। এর মধ্যে ১৬ লাখ ৬০ হাজার ৯১৫ জন বিদেশি মুসলিম ছিলেন।

এদিকে গত বছর বিভিন্ন দেশ থেকে ১৩ কোটি ৫৫ লাখের বেশি মুসলিম ওমরাহ পালন করেন, যা ছিল সৌদি আরবের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংখ্যা। একই বছর ২৮ কোটির বেশি মুসল্লি পবিত্র মসজিদে নববীতে নামাজ পড়েন ও রওজা শরিফ জিয়ারত করেন।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ১ মার্চ হজের ভিসা ইস্যু শুরু হয়ে ২৯ এপ্রিল শেষ হবে। এরপর ৯ মে থেকে সৌদি আরবে হজযাত্রীদের গমন শুরু হবে।

সূত্র : গালফ নিউজ

The post হজের মৌসুমে মক্কা-মদিনায় কাজের সুযোগ appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/RNGdwD8

Wednesday, January 24, 2024

২০২৩ সালে পবিত্র মসজিদে নববীতে ২৮ কোটির বেশি মুসল্লি

হজ ও ওমরাহ পালনের আগে বা পরে মুসল্লিরা পবিত্র মসজিদে নববীতে যান। ইসলামের দ্বিতীয় এই সম্মানিত স্থানে এসে তাঁরা নামাজ আদায়ের পাশাপাশি প্রিয় নবী (সা.)-এর পবিত্র রওজা শরিফ জিয়ারত করেন এবং ঐতিহাসিক স্থানগুলো পরিদর্শন করেন। গত এক বছরে ২৮ কোটির বেশি মুসল্লি পবিত্র এই মসজিদ পরিদর্শন করেন। গত ২২ জানুয়ারি সৌদি আরবের সংবাদ সংস্থা এই তথ্য জানায়।

মক্কা ও মদিনার পবিত্র দুই মসজিদের তত্ত্বাবধানকারী জেনারেল অথরিটি এক বিবৃতিতে জানায়, ২০২৩ সালে ২৮ কোটির বেশি মুসল্লি পবিত্র মসজিদে নববী পরিদর্শন করেন। পবিত্র মসজিদে নববীতে আগত মুসল্লি ও দর্শনার্থীদের স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে নামাজ ও অন্যান্য ইবাদত নিশ্চিত করতে এর তত্ত্বাবধানকারী প্রতিষ্ঠানসহ সংশ্লিষ্ট সব বিভাগ প্রয়োজনীয় সব সেবা দিয়ে যাচ্ছে।

এদিকে গত এক সপ্তাহে পবিত্র মসজিদে নববীতে ৫৮ লাখের বেশি মুসল্লি ও দর্শনার্থী উপস্থিত হয়েছেন। এর মধ্যে এক লাখ ৩০ হাজার ৪০১ জন পুরুষ এবং এক লাখ ১৫ হাজার ৫৫১ জন নারী রয়েছেন।

গত ২৮ জমাদিউস সানি থেকে ৪ রজব পর্যন্ত তাঁরা পবিত্র এই মসজিদে আসেন এবং পবিত্র রওজা শরিফ জিয়ারত করেন। এ সময় মসজিদের নির্ধারিত স্থানে এক লাখ ২৩ হাজার ২০০ জমজমের পানি প্যাক এবং ৯৯ হাজার ৮৩২টি হালকা খাবার বিতরণ করা হয়।

২০২৩ সালে বিভিন্ন দেশ থেকে ১৩ কোটি ৫৫ লাখের বেশি মুসলিম ওমরাহ পালন করেন, যা ছিল সৌদি আরবের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংখ্যা। এর আগে গত বছরের জুলাইয়ে করোনা-পরবর্তী সময়ের সবচেয়ে বেশিসংখ্যক মুসলিম হজ পালন করেন।

এতে ১৮ লাখ ৪৫ হাজার ৪৫ জন অংশ নেন, যার মধ্যে ১৬ লাখ ৬০ হাজার ৯১৫ জন বিদেশি হজযাত্রী ছিলেন।

সূত্র : সৌদি গেজেট

The post ২০২৩ সালে পবিত্র মসজিদে নববীতে ২৮ কোটির বেশি মুসল্লি appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/TxgnuXL

Tuesday, January 23, 2024

খরচ বাড়ায় মুসল্লিদের হজে আগ্রহ কমছে, বাড়ছে ওমরায়

এবার হজের অর্ধেক কোটাও পূরণ হয়নি। দুই দফা সময় বাড়ানোর পরও কোটা পূরণ হবার আগেই বৃহস্পতিবার হজ নিবন্ধন শেষ করা হয়েছে। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে চলতি বছরের ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মতিউল ইসলাম শুক্রবার বিকালে ডয়চে ভেলেকে বলেন, “শেষ পর্যন্ত এবার হজে যাওয়ার জন্য ৫৩ হাজারের কিছু বেশি মানুষ নিবন্ধন করেছেন। আমরা আর সময় বাড়াবো না।”

তিন জানান, ” গতবারের চেয়ে হজ খরচ এবার এক লাখ টাকার মতো কমানো হলেও আগের মতো সাড়া পাওয়া যায়নি।”

গত ১৫ নভেম্বর নিবন্ধন শুরুর পর থেকে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৫৩ হাজার ১১৫ জন নিবন্ধন করেছেন। বাংলাদেশ থেকে এবার এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের হজ করার অনুমতি দিয়েছিল সৌদি আরবের ধর্মমন্ত্রণালয়। হজ চুক্তি অনুযায়ী এখনো কোটা ফাঁকা রয়েছে ৭৪ হাজার ৮৩টি। ফলে মোট কোটার ৫৮ শতাংশ খালি রেখেই হজ নিবন্ধন শেষ করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

১৫ নভেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছিল প্রথম দফা হজ নিবন্ধনের সময়। পরে সময় ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। হজযাত্রীদের সাড়া না পাওয়ায় সর্বশেষ নিবন্ধনের সময় বাড়িয়ে ১৮ জানুয়ারি করা হয়।

মোট ৫৩ হাজার ১১৫ জন হজযাত্রীর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় তিন হাজার ৮০২ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪৯ হাজার ৩১৩ জন নিবন্ধন করেছেন। কোটার ৪২ শতাংশ হজযাত্রী নিবন্ধন করেছেন।

খরচ বাঁচাতে অনেকেই এখন ওমরাহর দিকে ঝুঁকছেন: এস শাহাদাত হোসাইন

এবার সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যাওয়ার দুটি প্যাকেজ নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে সর্বনিম্ন প্যাকেজের মূল্য পাঁচ লাখ ৭৮ হাজার ৮৪০ টাকা। আর বিশেষ প্যাকেজের মূল্য ৯ লাখ ৩৬ হাজার ৩২০ টাকা। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় দুটি প্যাকেজের মূল্য যথাক্রমে পাঁচ লাখ ৮৯ হাজার ৮০০ টাকা এবং আট লাখ ২৮ হাজার ৮১৮ টাকা। গত বছরের চেয়ে এ বছর সর্বনিম্ন প্যাকেজের মূল্য এক লাখ ৪ হাজার ১৬০ টাকা কমানো হয়েছে।

গতবারও একই পরিস্থিতি হয়েছিল। কোটার বিপরীতে প্রায় সাড়ে তিন হাজার নিবন্ধন কম ছিল। কিন্তু এবার গতবারের চেয়ে সাড়া আরো অনেক কম।

হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েন অব বাংলাদেশ (হাব)-এর সভাপতি এস শাহাদাত হোসাইন বলেন, “এ বছর হজ খরচ গত বারের তুলনায় এক লাখ টাকার মতো কমলেও করোনার আগের তুলনায় অনেক বেশি। আর তার বিপরীতে ওমরাহ খরচ অনেক কম। সর্বোচ্চ দেড় লাখ টাকার মধ্যে একজন ওমরাহ করতে পারেন। ফলে খরচ বাঁচাতে অনেকেই এখন ওমরাহর দিকে ঝুঁকছেন।”

“এছাড়া সৌদি আরব হজ নীতিতে অনেক পরিবর্তন আনায় খরচ বেড়ে যাচ্ছে। তাদের মনোভাব দেখে মনে হচ্ছে ভবিষ্যতে তারা তাদের ব্যবস্থাপনায়ই মুসলিম দেশ থেকে হজ যাত্রী নেবে। পুরো ব্যবসাটা তারা করতে চায়। অমুসলিম দেশ থেকে তারা এখন অনলাইনে সরাসরি হজ যাত্রী নিচ্ছে। ওমরাহ অনলাইনে করে ফেলেছে। হজও হয়তো পুরোটা অনলাইনে হয়ে যাবে। তখন কোটা থাকলেও হজ এজেন্সির প্রয়োজন থাকবে বলে মনে হয় না,” জানান হাব সভাপতি।

বাংলাদেশে হজ এজন্সি আছে এক হাজার ২৫০টি। এর বাইরে ট্র্যাভেল এজেন্টরাও হজযাত্রীদের নিয়ে কাজ করেন। তাদের হজযাত্রী কমে গেলেও ব্যবস্থাপনাসহ অন্যান্য খরচ একই আছে। টিকিট বিক্রিও নির্ধারিত তিনটি এয়ার লাইন্সের অনেক কমে যাবে। ফলে হজ ও ট্র্যাভেল এজেন্সিগুলো আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছে। কোনো কোনো এজেন্সি হজকেন্দ্রিক ব্যবসা এরই মধ্যে গুটিয়ে নিয়েছে।

এক লাখ টাকা গত বছরের তুলনায় কমিয়েছি, আর কমানো সম্ভব নয়: মতিউল ইসলাম

অ্যাসোসিয়েন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ (আটাব)-এর মহাসচিব আব্দুস সালাম আরেফ জানান,‘ ‘ ২০১৮-১৯ সালের সঙ্গে তুলনা করলে হজের খরচ ৮০ ভাগ বেড়েছে। এটা সব দেশেই। এর সঙ্গে ডলারের দাম বাড়ায় আরো খরচ বেড়েছে। একজনের হজের খরচ দিয়ে ছয়জন ওমরাহ করতে পারেন। ফলে ওমরাহর প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। এখন বছরে পাঁচ লাখ মুসলমান ওমরাহ করতে যান।”

তিনি বলেন, “আগ্রহ কমে যাওয়ার কারণে আমরা ট্র্যাভেল এজেন্টরাও ক্ষতির মুখে পড়ছি। টিকিট বিক্রি অর্ধেকের নীচে নেমে গেছে।”

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মতিউল ইসলাম ডয়চে ভেলেকে বলেন, “সৌদি আরবে এখন বাসাভাড়া বেড়ে গেছে, ১৭ শতাংশ ভ্যাট যুক্ত হয়েছে। সেখানে অনেক বাড়ি ভেঙে ফেলায় বাড়ি ভাড়া অনেক বেড়ে গেছে। সব খরচই বেড়েছে। তারপরও আমরা এক লাখ টাকা গত বছরের তুলনায় কমিয়েছি। আর কমানো সম্ভব নয়।”

তার কথা, “এটা ব্যক্তিগত ইবাদত। তারাপরও আমরা নানাভাবে উদ্বুদ্ধ করেছি। কিন্তু না গেলে তো কিছু করার নেই। তবে ওমরাহর খরচ কম হওয়ার অনকেই ওমরাহ করতে যাচ্ছেন। ওমরাহ যাত্রী দিন দিন বাড়ছে।”

সূত্র: ডিডব্লিউ বাংলা

The post খরচ বাড়ায় মুসল্লিদের হজে আগ্রহ কমছে, বাড়ছে ওমরায় appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/ce9m8iG

Friday, January 19, 2024

করোনার নতুন ধরন বাংলাদেশেও শনাক্ত

পাশের দেশ ভারতে আতঙ্ক ছড়ানো করোনাভাইরাসের নতুন ধরন জেএন-১ বাংলাদেশেও শনাক্ত হয়েছে। পাঁচজনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন ধরনটি পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরীন এ তথ্য জানিয়েছেন।

জেএন-১ উপধরন শনাক্ত হওয়া পাঁচজনের মধ্যে ঢাকা এবং ঢাকার বাইরের রয়েছেন। প্রত্যেকেই ভালো আছেন। এ নিয়ে উদ্বেগের কিছুই নেই। এদের মধ্যে কারও দেশের বাইরে থেকে আসার কোনো তথ্য নেই। তারা দেশেই ছিলেন।

মাস্ক পরা ও ভ্যাকসিন নেয়ার পরামর্শ

এদিকে করোনা সংক্রমণ বাড়ায় সতর্কতামূলক মাস্ক পরার পাশাপাশি টিকার পরবর্তী ডোজ নেয়ার পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদফতর।

১৩ জানুয়ারি অধিফতরের সমন্বিত নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্বের বেশ কিছু দেশে কোভিড ১৯-এর নতুন ভ্যারিয়েন্ট জেএন.১-এর সংক্রমণ বেড়েছে। এ অবস্থায় উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে যেমন: হাসপাতাল, চিকিৎসা কেন্দ্র এবং উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তি, যাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম, তাদের সতর্কতা হিসেবে মাস্ক ব্যবহার করার পরামর্শ দেয়া হলো।

উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের চতুর্থ ডোজ ভ্যাকসিন নেয়ার পরামর্শ দেয়া হলো। সার্জারি অথবা অন্য কোনো রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে কেবল কোভিড-১৯ লক্ষণ বা উপসর্গ থাকলে কেভিড-১৯ পরীক্ষা করার পরামর্শ দেয় অধিদফতর।

The post করোনার নতুন ধরন বাংলাদেশেও শনাক্ত appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/DJGIA8e

Sunday, December 10, 2023

পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এক বছরে ২২ কোটি টাকা দান

চলতি বছরে চারবার খোলা হয়েছে কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স। এ চারবারে মোট ২১ কোটি ৮৭ লাখ ৮৫ হাজার ১৮১ টাকা পাওয়া গেছে। টাকার পাশাপাশি হীরা, বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকারও পাওয়া গেছে বিপুল পরিমাণ।

সবশেষ শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টায় মসজিদের ৯টি দানবাক্স খুলে ২৩ বস্তা টাকা পাওয়া যায়। ২২০ জনের একটি দল ১৫ ঘণ্টা গণনা শেষ রেকর্ড ছয় কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৪২৩ টাকা পাওয়া গেছে বলে জানায়।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ এবং পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখের উপস্থিতিতে মসজিদের দানবাক্সগুলো খোলা হয়।

এরআগে গত ১৯ আগস্ট মসজিদের আটটি দানবাক্স খোলা হয়েছিল। তখন ২৩ বস্তায় পাঁচ কোটি ৭৮ লাখ ৯ হাজার ৩২৫ টাকা এবং বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা, স্বর্ণালংকার ও হীরা পাওয়া যায়।

তার আগে ৬ মে রমজানের কারণে চারমাস পর দানবাক্স খোলা হয়েছিল। তখন ১৯টি বস্তায় পাঁচ কোটি ৫৯ লাখ ৭ হাজার ৬৮৯ টাকা এবং বৈদেশিক মুদ্রা, স্বর্ণালংকার ও হীরা পাওয়া গিয়েছিল।

এছাড়া চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি তিন মাস একদিন পর দানবাক্স খোলা হয়েছিল। ২০টি বস্তায় তখন পাওয়া যায় চার কোটি ১৮ লাখ ১৬ হাজার ৭৪৪ টাকা এবং বৈদেশিক মুদ্রা, স্বর্ণালংকার ও হীরা।

ঐতিহ্যবাহী পাগলা মসজিদে আটটি লোহার দানবাক্স থাকলেও এবার আরও একটি দানবাক্স বাড়ানো হয়েছে। দানের পরিমাণ বাড়ায় এখন পাগলা মসজিদের দানবাক্সের সংখ্যা ৯টি।

পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটি সূত্র জানিয়েছে, মসজিদের দান থেকে পাওয়া এসব অর্থ সংশ্লিষ্ট মসজিদসহ জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদরাসা ও এতিমখানার পাশাপাশি বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় হয়। এছাড়া করোনাকালে রোগীদের সেবায় নিয়োজিত শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৮০ জন স্বেচ্ছাসেবককেও অনুদান দেওয়া হয়েছিল এ দানের টাকা থেকে।

মসজিদটিকে আন্তর্জাতিকমানের দৃষ্টিনন্দন ইসলামিক কমপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যার নামকরণ হবে ‘পাগলা মসজিদ ইসলামিক কমপ্লেক্স’। খুব শিগগির এর কাজ শুরু হবে। এটি নির্মাণে প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৫ কোটি টাকা। সেখানে ৩০ হাজার মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন।

জনশ্রুতি রয়েছে, একসময় এক সাধকের বাস ছিল কিশোরগঞ্জ শহরের হারুয়া ও রাখুয়াইল এলাকার মাঝপথে প্রবাহিত নরসুন্দা নদের মধ্যবর্তী স্থানে জেগে ওঠা উঁচু টিলাকৃতির স্থানটিতে। মুসলিম-হিন্দু নির্বিশেষে সব ধর্মের লোকজনের যাতায়াত ছিল ওই সাধকের আস্তানায়। ওই সাধকের দেহাবসানের পর তার উপাসনালয়টিকে মসজিদ হিসেবে ব্যবহার শুরু করেন এলাকাবাসী।

কিন্তু ওই সাধকের দেহাবসানের পর থেকে আশ্চর্যজনকভাবে স্থানীয় এমনকি দেশের দূর-দূরান্তের লোকজনের ভিড় বাড়তে থাকে সেখানে। মানত কিংবা দান খয়রাত করলে মনের বাসনা পূরণ হয়—এমন বিশ্বাস থেকে বিভিন্ন ধর্ম-বর্ণের নারী-পুরুষ ছুটে আসেন এ মসজিদে। তারা নগদ টাকা-পয়সা, সোনা ও রুপার অলংকারের পাশাপাশি গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগি দান করেন।

বিশেষ করে প্রতি শুক্রবার এ মসজিদে মানত নিয়ে আসা বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষের ঢল নামে। আগতদের মধ্যে মুসলিমদের বেশিরভাগই জুমার নামাজ আদায় করেন মসজিদে। এ ইতিহাস প্রায় আড়াইশ বছরেরও পুরোনো বলে জানা যায়।

The post পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এক বছরে ২২ কোটি টাকা দান appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/w6RLPMp

Thursday, November 2, 2023

প্রফেসর মাওলানা হামীদুর রহমান আর নেই

হাফেজ্জী হুজুর রহ. ও মুহিউস সুন্নাহ মাওলানা শাহ আবরারুল হক ছাহেব রহ.-এর খলীফা, প্রফেসর হযরতখ্যাত মাওলানা প্রফেসর মুহাম্মাদ হামীদুর রহমান ইন্তেকাল করেছেন।

ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

তার ছেলে মুহাম্মদ আরিফুর রহমান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, আজ দুপুর ৩টা ২০ মিনিটের দিকে তিনি ইন্তেকাল করেন।

তিনি আরো জানান, ঢাকার ধানমণ্ডির আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজে মারাত্মক অসুস্থ হয়ে তিনি ভর্তি ছিলেন। ডা. রাশিদুল হাসানের অধীনে চিকিৎসা চলছিল। বুকে প্রচণ্ড কফ জমে ছিল। অক্সিজেন উঠানামা করছিলো।

এর আগে তার আরেক ছেলে মুহাম্মদ মাসিহুর রহমান জানান, এর আগে আব্বুর দুইবার করোনা হয়েছে। এছাড়া বার্ধক্যজনিত নানা রোগে তিনি ভোগছিলেন। আব্বুর মাগফেরাতের জন্য আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই।

The post প্রফেসর মাওলানা হামীদুর রহমান আর নেই appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/JIErOm5

Saturday, October 28, 2023

কেমন আছে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ‘দারুল আরকাম মাদরাসা’

|| তাসনিফ আবীদ ||

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনার আলোকে ২০১৭ সালে ইসলামিক ফাউন্ডেশন পরিচালিত ‘মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্প’(৬ষ্ঠ পর্যায়)-এর আওতায় দেশের প্রতি উপজেলায় যেখানে প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই, সেখানে ‘দারুল আরকাম’ নামে ১০১০টি মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করা হয়। ২০১৮ সালে ১০১০জন কওমি ও ১০১০জন আলিয়া মাদরাসার সনদধারী আলেম নিয়োগের মাধ্যমে এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়।

শুরুতেই ছিল শঙ্কা-
কিন্তু একটি মাদরাসা শিক্ষাব্যবস্থা দেখভাল করার মতো লোকবল, সামর্থ্য ও অভিজ্ঞতা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ছিলো না। যে কারণে শুরু থেকেই প্রকল্পটি নিয়ে নানা কথা চলছিলো। প্রকল্পটির ভবিষ্যত নিয়েও দেখা দিয়েছিলো নানা শঙ্কা ও উদ্বেগ। সেই শঙ্কা পদে পদে বাস্তববে রূপ নেয়।

শঙ্কা রূপ নেয় অনিশ্চয়তায়-
‘দারুল আরকাম ইবতেদায়ি মাদরাসা’ ছিল একটি প্রকল্প। কওমি সনদের স্বীকৃতির পর এটিই প্রথম কওমি আলেমদের সরকারি নিয়োগ। শুরুতে ইফার নিজস্ব সিলেবাসে ৩য় শ্রেণী পর্যন্ত পাঠদান শুরু হলেও ২০১৯ সালে এসব মাদরাসা ৫ম শ্রেণীতে উন্নীত করা হয়। কিন্তু একই বছরের ৩১ ডিসেম্বর শেষ হয় প্রকল্পের মেয়াদ। এক সময় এই প্রকল্পটিও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রকল্প থেকে বাদ পড়ে। এরপর থেকে শিক্ষকরা চরম অনিশ্চয়তায় পড়েন। শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়েও নানা শঙ্কা দেখা দেয়। তবে ধর্ম-মন্ত্রণালয়ের বিশেষ চাহিদায় প্রকল্পের কার্যক্রম চলমান রাখা হয়।

দারুল আরকামের শিক্ষকরা জানান, ‘২০১৯ সালে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলে একটি জটিলতা তৈরি হবে এটা আমরা আগে থেকেই বুঝেছিলাম। সেজন্য বারবার আমাদের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে দাবি ছিল যেন সরকারের বিধি অনুসরণ করে এসব মাদরাসাগুলো এমপিওভুক্ত করা হয়। কিন্তু সেটা হয়নি। করোনা মহামারীতে এ কারণে আমাদেরকে খুব কষ্টে জীবন-যাপন করতে হয়।’

অনিশ্চয়তা কাটিয়ে আলোর মুখ-
২০২০ সালের পুরো বছরটিই এভাবে কাটে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের দারুল আরকাম ইবতেদায়ি মাদ্রাসার দুই হাজার ২০ জন শিক্ষকের। ওই সময় তাদের উদ্যোগে জেলা প্রশাসকের বরাবর স্মারক লিপি, বিভিন্ন মন্ত্রীদের কাছে স্মারক লিপি, প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারক লিপি ও মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচী পালন করা হয়। এসব কর্মসূচীর পর আবারও আলোর মুখ দেখে প্রধানমন্ত্রী প্রতিষ্ঠিত ‘দারুল আরকাম’।

২ শ’ কোটি টাকার প্রকল্প-
সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষাদান করতে ‘দারুল আরকাম ইবতেদায়ি মাদ্রাসা স্থাপন ও পরিচালনা’ নামে নতুন করে ১৯৯ কোটি ৬ লাখ টাকার প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এই প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয় ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে। প্রকল্পটির বাস্তবায়নকাল ধরা হয় ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর।

প্রকল্পের উদ্দেশ্যে বলা হয়: (ক) জনগণের অংশগ্রহণের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত মোট ১০১০টি দারুল আরকাম ইবতেদায়ি মাদ্রাসার কার্যক্রম পরিচালনা অব্যাহত রাখা; (খ) সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষাদানের মাধ্যমে ধর্মীয় জ্ঞান অর্জনের সুযোগ সৃষ্টি ও দেশে স্বাক্ষরতার হার বৃদ্ধি; (গ) আরবি ভাষাশিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে দক্ষতার মানোন্নয়ন; (ঘ) সাধারণ শিক্ষিতদের পাশাপাশি মাদ্রাসা শিক্ষায় শিক্ষিতদের বিশেষ করে সরকার স্বীকৃত সনদধারী আলিয়া ও কওমি মাদ্রাসা থেকে উত্তীর্ণ আলেমদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি।

প্রকল্পটির প্রধান কার্যক্রমের মধ্যে রাখা হয়: (ক) ৩০৩০ জনের সম্মানি (২০২০ জন শিক্ষকের মাসিক সম্মানি ও ১০১০ জন সহায়ক কর্মীর সম্মানি); (খ) কমিটির সভা ও অন্যান্য ব্যয়; (গ) ৪০৫০ জন প্রশিক্ষণ; (ঘ) ৩৮৩৮০টি শিক্ষা ও শিক্ষণ উপকরণ, ৭৪০৩টি আসবাবপত্র, ৩০৪৩টি অফিস সরঞ্জাম ও ৮টি কম্পিউটার ক্রয়; (ঙ) ১০১১টি ইন্টারনেট/ফ্যাক্স, ৩০৩৪টি বইপত্র/সাময়িকী, ৪০৪০টি প্রচার/বিজ্ঞাপন, ৫৩৫৯২টি মুদ্রণ/বাঁধাই; (চ) ২টি যানবাহন চুক্তিভিত্তিক ব্যবহার।

কিছুটা স্বস্তিতে দারুল আরকামের শিক্ষকরা-
প্রকল্পটি ২০২২ সালে পাশ হলেও এর মেয়াদকাল যেহেতু ২০২১ থেকে ধরা হয় এবং ধর্ম-মন্ত্রণালয়ের বিশেষ চাহিদায় দারুল আরকামের কার্যক্রম শুরু থেকেই চলমান রাখা হয়, তাই চলতি বছরের মাঝামাঝিতে শিক্ষকদের আটকে থাকা বকেয়া বেতন পরিশোধ করা হয়। পাশাপাশি আগের মেয়াদের ১১ হাজার ৩০০টাকা বেতনকে বাড়িয়ে এই মেয়াদে করা হয় ১২ হাজার ৫০০টাকা। এসবের পর দারুল আরকামের শিক্ষকদের মনে কিছুটা প্রশান্তি এলেও জটিলতা তাদের পিছু ছাড়ছে না।

দারুল আরকামে যত জটিলতা-
দারুল আরকামের শিক্ষকদের মতামত হচ্ছে, মুসলিম ছাত্ররা যেন প্রাথমিক ইসলামের জ্ঞান অর্জন করতে পারে সে জন্য প্রত্যেক উপজেলায় ২ টি করে এবতেদায়ি দারুল আরকাম মাদ্রাসা স্হাপন করা হয়েছে; যা প্রশংসার যোগ্য। ইসলামি ফাউন্ডেশনের আওতায় এই মাদ্রাসা সারা দেশেই সুনাম অর্জন করছে। কিন্তু মাদ্রাসার জাতীয় করণের উদ্যোগ নেয়া হলেও এখনো আটকে আছে, যা হাজার হাজার শিক্ষকদেরকে অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলছে।

তাদের দাবি, ‘ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কোন প্রতিষ্ঠান এখন পর্যন্ত রাজস্বখাতে যায়নি। তাই দারুল আরকাম এবতেদায়ি মাদ্রাসাকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাদ্রাসা ও কারিগরী শিক্ষা বিভাগের অধীনে নিয়ে জাতীয়করণ করা হোক। পর্যাপ্ত ভবন নির্মাণ করা হোক। শিক্ষার্থীদের জন্য ক্যাম্পাসে বিনোদনের ব্যবস্হা করা হোক।’ তাহলে প্রাইমারী স্কুলের মতো দারুল আরকামের শিক্ষকরাও ইসলামের শিক্ষা শিশুদের অন্তরে ঢেলে দিয়ে দেশপ্রেমিক নাগরিক তৈরি করতে সক্ষম হবে।

দারুল আরকামে শিক্ষকতা করেন ময়মনসিংহের ভালুকার এমন এক শিক্ষক জানান, দারুল আরকামে ছাত্র-ছাত্রী ধরে রাখতে হলে উপবৃত্তি প্রয়োজন। সরকার প্রাইমারি সেক্টরে ছাত্র-ছাত্রী ধরে রাখার জন্য উপবৃত্তির ব্যবস্হা করেছে। এমনকি, ইতিমধ্যে দেখেছি উপবৃত্তি দ্বিগুণ করেছে। দরিদ্র এলাকায় অভিভাবকরা এসব বিষয় মাথায় রাখে। তাই তারা তাদের সন্তানকে অনেক সময় উপবৃত্তির জন্য প্রাইমারিতে পাঠিয়ে দেয়। আমাদের দাবী, দারুল আরকাম ইবতেদায়ী মাদরাসায় উবৃত্তি চালু করা হোক। না হয় দরিদ্র এলাকায় শিক্ষার্থী ধরে রাখতে পারবে না দারুল আরকাম।

এদিকে দারুল আরকামের শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় প্রকল্পটির আরো কিছু জটিলতার কথা। দারুল আকরামের সিলেবাস নিয়ে দ্রুতই কাজ করার দাবি তাদের। বর্তমানে দারুল আরকাম মাদ্রাসায় কিরাআতুল কুরআন, আল-হাদীসুন্নাবী, আল-লুগাতুল আরাবিয়া, আদ্দীনিয়াত, সমাজ বিজ্ঞান, বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বিষয়ে শিক্ষা দেয়া হয়। তারা জানান, শিশুদের জন্য চলমান সিলেবাসটি খুবই কঠিন হয়ে যায়। তাছাড়া বইয়ের পরিমাণও অনেক। শিশুদের জন্য সবগুলো বই আত্মস্থ করা জটিল হয়ে যায়। পাশাপাশি পর্যাপ্ত শ্রেণি শিক্ষকের অভাবও রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে চালু হওয়া এই মাদরাসা ব্যবস্থাকে আরো কীভাবে সৃজনশীল করা যায় সে বিষয়ে উদ্যোগ নিতে হবে কর্তৃপক্ষকে।

এদিকে প্রত্যন্ত অঞ্চলের এক শিক্ষক জানান, দারুল আরকামে চাকরি করছি ঠিক কিন্তু কোন রকম শান্তিতে নাই। পোস্টিং নিজ উপজেলা থেকে প্রায় ১১০ কি.মি. দূরে। এছাড়া থাকার জায়গা নেই। পেশাব-পায়খানার ভাল জায়গাও নেই। কোন রকম একটি ছিল, তা বন্যায় একবারে ভেঙ্গে গেছে। এমন আরো অনেক সমস্যাই পোহাতে হচ্ছে।

আবারো অনিশ্চয়তায় পড়তে পারে দারুল আরকাম-
দারুল আরকাম একটি অলটারনেটিভ শিক্ষা ব্যবস্থা। এটা শিশু ও গণশিক্ষার মতো নয়। আর কোনো প্রকল্প বা প্রজেক্ট সারাজীবন চলে না। দারুল আরকাম মাদরাসার চলমান প্রকল্পটি শেষ হবে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে। এবারের মেয়াদ শেষ হলে ২০২০ সালের মতো আবারো বড় কোনো সঙ্কায় হয়তো পড়তে পারে দারুল আরকামের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। ঝরে পড়তে পারে কয়েক লাখ শিক্ষার্থী। তাই যত দ্রুত সম্ভব একে রাজস্বকরণের দাবি তুলছে সংশ্লিষ্টরা।

The post কেমন আছে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ‘দারুল আরকাম মাদরাসা’ appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/loBuQ8S