Thursday, December 31, 2020

ফাইজারের ভ্যাকসিন তালিকাভুক্ত করলো ডব্লিউএইচও

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

জরুরি ব্যবহারের জন্য ফাইজার-বায়োএনটেকের করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনকে তালিকাভুক্ত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। খবর আল জাজিরা।

বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে ডব্লিউএইচও জানায়, মহামারি শুরুর প্রথম ভ্যাকসিনের বৈধতা দানের ফলে বিভিন্ন দেশের আমদানি ও প্রয়োগে নিজেদের নিয়ন্ত্রকদের অনুমোদন দেওয়ার পথ উন্মুক্ত করবে।

ডব্লিউএইচও’র এই বৈধতার ফলে ইউনিসেফ ও প্যান-আমেরিকান হেলথ অর্গানাইজেশনের মতো সংস্থা যেসব দেশের প্রয়োজন সেগুলোর জন্য ভ্যাকসিন কিনতে পারবে।

ডব্লিউএইচও’র ওষুধ ও স্বাস্থ্য পণ্যবিষয়ক সহকারী মহাপরিচালক ড. মারিয়াঞ্জেলা সিমাও বলেন, বৈশ্বিক করোনা ভ্যাকসিনের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করার জন্য এই পদক্ষেপ খুবই ইতিবাচক। কিন্তু আমি আরও বড় ধরনের বৈশ্বিক উদ্যোগের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিতে চাই যাতে করে যে কোনও স্থানের জনগণের জন্য ভ্যাকসিনের সরবরাহ নিশ্চিত করা যায়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ফাইজার-বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন সুরক্ষা মান অর্জন করেছে এবং ঝুঁকির তুলনায় সুবিধা বেশি।

ফাইজারের ভ্যাকসিন চরম শীতল তাপমাত্রায় সংরক্ষণ ও পরিবহন করতে হয়। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, কাতার, বাহরাইন ও মেক্সিকোতে অনুমোদনের পর প্রয়োগ শুরু হয়েছে।

The post ফাইজারের ভ্যাকসিন তালিকাভুক্ত করলো ডব্লিউএইচও appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3rGYJ2R

বিদায় বিশ, স্বাগত একুশ!

রাকিবুল হাসান:

দুই হাজার বিশ পেরিয়ে গেল। আমরা আমাদের যাবতীয় স্বপ্ন, প্রত্যাশা ও প্রত্যয় নিয়ে শুরু করেছি একুশ। জানি বিশের বিষে নীল হয়ে আছে আমাদের দেহ। দুঃস্বপ্নের মতো বিগত বছর আমাদের তাড়া করেছে করোনা। আমরা ভয়ে কাতর হয়ে থেকেছি। গলা শুকিয়ে চৌচির হয়ে গেছে, তবু পানি খেতে বাইরে বেরুইনি। মনে হয়েছে, দরজায় বসে আছে আজরাইল।

বাইরে বেরুতে হলেও মুখে পড়েছি মাস্ক, হাতে গ্লাভস, গায়ে পিপিই। একটি বছর পেরিয়ে গেলো; দেখা করতে এলে প্রিয়জনদের সঙ্গে মোসাফাহা করতে পারিনি। দুটো ঈদে বুকে বুক মিলিয়ে ভাগ করে নিতে পারিনি উৎসব। কী অদ্ভুত চিনচিনে ব্যথা বুকে বহন করে চলেছি আমরা। বাবা মারা যাচ্ছে, ছেলে হাসপাতালে বেড পাচ্ছে না। স্ত্রী শ্বাস নিতে পারছে না, স্বামী ব্যবস্থা করতে পারছে না অক্সিজেন। টিভিতে এসব দৃশ্য দেখে আমরা নীরবে চোখের জল মুছেছি। ঘুমন্ত মা-বাবার মুখের দিকে তাকিয়ে উচ্চারণ করেছি বারবার–আল্লাহুম্মা ইন্না নাউজুবিকা মিনাল বারাসি ওয়াল জুযামি…

বিশ ছিল আমাদের হারানোর বছর। আমরা হারিয়েছি আল্লামা আশরাফ আলী, আল্লামা আযহার আলী আনওয়ার শাহ, আল্লামা আহমদ শফি, আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমি। হারিয়েছি বারো মাসে ত্রিশের অধিক আলেম। একজন আলেম মারা যায়, আমাদের সাজানো সুন্দর আকাশ থেকে ঝরে পড়ে একটি নক্ষত্র। নক্ষত্র যত ঝরতে থাকে, আমরা তত একলা হতে থাকি, নিঃসঙ্গ হতে থাকি। আমাদের হাহাকার বাড়তে থাকে বাতাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে।

রাজনীতি, অর্থনীতি, শিক্ষা, সামাজ, সাংস্কৃতি সবখানে করোনার প্রভাব পড়েছে। কর্মহীন হয়েছেন দেশের অনেক মানুষ। অর্থনৈতিক দুরবস্থার কারণে অনেকে বাধ্য হয়ে শহর ছেড়ে গ্রামে চলে গেছেন। করোনায় বড় ক্ষতি হয়েছে শিক্ষা ব্যবস্থায়। পুরোটা বছরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। গুরুত্বপূর্ণ এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা হয়নি। নিচের ক্লাসেও পরীক্ষা ছাড়াই দেয়া হয়েছে অটো প্রমোশন।

করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পরপরই বিপুলসংখ্যক প্রবাসী দেশে চলে আসেন। এদের বড় একটি অংশ সৌদি প্রবাসী। এরাই পরে সৌদি ফিরতে গিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়ে যান। অনিশ্চয়তা কাটিয়ে কেউ গিয়েছেন, কেউ এখনো যেতে পারেননি। দেশেই চাকরি হারিয়েছেন অনেকে।

দেশে চলছে এখন করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। এই ঢেউ মাথায় নিয়ে আমরা নতুন একটি বছরে প্রবেশ করেছি। আল্লাহ তায়ালার কাছে আমাদের প্রার্থনা–করোনা চলে যাক এই পৃথিবী থেকে। আবার সুস্থ হয়ে উঠুক মানুষ। কর্মে ফিরুক, চঞ্চলতায় ফিরুক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন বছরের শুভেচ্ছা বাণীতে বলেছেন, ‘করোনা মহামারি বিশ্ববাসীকে এক কঠিন বার্তা দিয়েছে। যতই উন্নত হোক না কেন, একা কোনো দেশ শ্রেষ্ঠত্বের দাবি নিয়ে দাঁড়াতে পারবে না। পারস্পরিক সহযোগিতা এবং অংশীদারিত্বের মাধ্যমেই যে কোনো বৈশ্বিক সঙ্কট মোকাবিলা করা সম্ভব। আমাদের সবাইকে এ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি তারুণ্যের শক্তি ও প্রযুক্তি-জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে নেতৃত্বে দেয়ার সক্ষমতা অর্জন করতে হবে।’

নতুন বছরে সবাইকে স্বাগত। ফাতেহের সঙ্গেই থাকুন।

The post বিদায় বিশ, স্বাগত একুশ! appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/38MFcWk

বছরের শেষদিন করোনায় মারা গেল ২৮ জন

ফাতেহ ডেস্ক:

করোনাভাইরাসে দেশে ২৪ ঘণ্টায় আরো ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল সাত হাজার ৫৫৯ জনে। এছাড়া এক হাজার ১৪ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। এ নিয়ে দেশে মোট করোনা রোগী শনাক্ত হলো পাঁচ লাখ ১৩ হাজার ৫১০ জন।

বৃহস্পতিবার বিকেলে করোনাভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এদিন সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৩৮৯ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন চার লাখ ৫৭ হাজার ৪৫৯ জন।

এর আগে বুধবার দেশে আরো এক হাজার ২৩৫ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। এছাড়া আক্রান্তদের মধ্যে মারা যান আরো ২২ জন।

The post বছরের শেষদিন করোনায় মারা গেল ২৮ জন appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3hw4CLz

নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী

ফাতেহ ডেস্ক:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খ্রিষ্টিয় নতুন বছর ২০২১ উপলক্ষে দেশবাসী এবং প্রবাসী বাঙালিসহ বিশ্ববাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

আগামীকাল খ্রিষ্টিয় নতুন বছর ২০২১। এ উপলক্ষে তিনি বৃহস্পতিবার এক বাণীতে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আরো বলেন, ‘প্রকৃতির নিয়মেই যেমন নতুনের আগমনী বার্তা আমাদের উদ্বেলিত করে, তেমনি অতীত-ভবিষ্যতের সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে পুরনো স্মৃতি-সম্ভারে হারিয়ে যাওয়ার চিরায়ত স্বভাব কখনো আনন্দ দেয়, আর কখনো বা কৃতকর্মের শিক্ষা নব-উদ্যোমে সুন্দর আগামীর পথচলার জন্য অনুপ্রেরণা যোগায়।’

আওয়ামী লীগ সরকার মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রেখে ধর্মীয় উগ্রবাদসহ যে কোনো সন্ত্রাসবাদ দমনে প্রতিজ্ঞাবন্ধ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বির্নিমাণে সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করারও আহবান জানান।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আসুন আমরা নতুন বছরে প্রতিজ্ঞা করি, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অটুট রেখে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বির্নিমাণে সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করব। নতুন বছর ধর্ম-বর্ণের ভেদাভেদ ভুলে মানুষে-মানুষে সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন জোরদার করুক, সব সঙ্কট মোকাবিলার শক্তি দান করুক এবং সবার জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি এই প্রার্থনা করি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০২০ খ্রিষ্টাব্দ বাঙালি জাতির জীবনে ছিল এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। কেননা, ১০০ বছর পূর্বে ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করা এক ছোট্ট খোকা কালক্রমে হয়ে উঠেছিলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যাঁর সারা জীবনের আত্মত্যাগ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে এবং ৩০ লাখ শহীদের রক্ত ও দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি এই স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।’

তিনি বলেন, ‘জাতির পিতার জন্ম-শতবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় উদ্যাপনের লক্ষ্যে আমরা ২০২০-২১ সময়কে ‘মুজিববর্ষ’ ঘোষণা করেছি। কিন্তু, এরই মধ্যে বৈরী করোনা মহামারি বিশ্বকে যেন এক মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেছে। অন্যান্য দেশের মতো আমরাও পূর্ব-ঘোষিত পরিকল্পনা সীমিত পরিসরে চালু রেখে এ মহামারী থেকে পরিত্রাণের লক্ষ্যে জীবনযুদ্ধে নেমে পরেছি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি ৩১ দফা নির্দেশনা দিয়েছি। এই ক্রান্তিকাল উত্তোরণে ডাক্তার-নার্স-টেকনিশিয়ান নিয়োগ করেছি। দরিদ্র অসহায় মানুষের পাশে দাড়ানো, অর্থনীতির চাকা সচল রাখা ও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে ২১টি প্যাকেজের আওতায় ১ লাখ ২১ হাজার ৩৫৩ কোটি টাকার প্রণোদনা দিয়েছি।’

গত এক যুগ ধরে আওয়ামী লীগ সরকারের গৃহীত জনকল্যাণমুখী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নীতি বাস্তবায়নের ফলে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অগ্রগতির মানদণ্ডে বিশ্বের প্রথম পাঁচটি দেশের মধ্যে স্থান করে নিয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে গত অর্থ-বছরের প্রাথমিক প্রক্ষেপণ অনুযায়ী ৮.২ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব ছিল। তাছাড়া, গোটা বিশ্ব যেখানে প্রবৃদ্ধির ঋণাত্মক হার ঠেকাতে ব্যতিব্যস্ত, সেখানে করোনাকালেও আমরা ৫.২৪ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছি।

তিনি আরো বলেন, আমরা দারিদ্র্যের হার ২০.৫ শতাংশের নিচে নামিয়ে এনেছি। মাথাপিছু আয় দুই হাজার ৬৪ মার্কিন ডলারে উন্নীত করেছি। স্বাস্থ্যখাতেও অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধন করেছি, এখন আমাদের দেশের মানুষের গড় আয়ু ৭২.৬ বছর। ৯৭.৫ শতাংশ মানুষকে বিদ্যুৎ সুবিধা দিচ্ছি। পদ্মা সেতুর সকল স্প্যান বসানোর ফলে বিশ্বের অন্যতম খরস্রোতা নদীর দু’প্রান্ত এখন সংযুক্ত। রাজধানীতে মেট্রোরেল ও এক্সপ্রেসওয়ে এবং কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণ-কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। সড়ক, রেল ও বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আধুনিক করেছি। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১১ কোটি ছাড়িয়েছে।

তিনি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর কর্মসংস্থানের অবাধ সুযোগ সৃষ্টি করেছি। প্রথম ‘বাংলাদেশ প্রেক্ষিত পরিকল্পনা’-এর সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে রূপকল্প-২০২১ অর্জন প্রায় শেষ। মুজিববর্ষে আমরা অঙ্গীকার করেছি কেউ গৃহহীন থাকবে না। শহরের সব সুযোগ-সুবিধা প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলেও পৌঁছে দেব। ২০৩০ সালের মধ্যে ‘টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট’ অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছি। ২৬ মার্চ ২০২১ আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন করব।

নতুন বছরে আমরা একটি নতুন বিশ্ব ব্যবস্থার দিকে অগ্রসর হচ্ছি উল্লেখ করে তিনি বলেন, করোনা মহামারি বিশ্ববাসীকে এক কঠিন বার্তা দিয়েছে। যতই উন্নত হোক না কেন, একা কোনো দেশ শ্রেষ্ঠত্বের দাবি নিয়ে দাঁড়াতে পারবে না। পারস্পরিক সহযোগিতা এবং অংশীদারিত্বের মাধ্যমেই যে কোনো বৈশ্বিক সঙ্কট মোকাবিলা করা সম্ভব। আমাদের সবাইকে এ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি তারুণ্যের শক্তি ও প্রযুক্তি-জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে নেতৃত্বে দেয়ার সক্ষমতা অর্জন করতে হবে।

সূত্র : বাসস

The post নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3pGmxSy

সিনোফার্মের টিকা অনুমোদন দিল চীন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

গণ টিকাদান কর্মসূচির জন্য চীন নিজেদের কোম্পানি সিনোফার্মের তৈরি করোনা টিকার অনুমোদন দিয়েছে। এর আগে দেশটিতে জরুরিভাবে টিকার ব্যবহার করা হলেও এই প্রথম সাধারণ মানুষের ব্যবহারের জন্য টিকার অনুমোদন দেয়া হল।

সিনোফার্ম তৃতীয় ধাপের ট্রায়ালের ফলাফল প্রকাশ করে একদিন আগেই জানায়, তাদের টিকা ৭৯.৩৪ শতাংশ কার্যকর।

এর আগে চলতি মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) প্রথমবারের মতো চীনের এ টিকা নিজেদের দেশে ব্যবহারের অনুমোদন দেয়।

The post সিনোফার্মের টিকা অনুমোদন দিল চীন appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/2L67Nh9

২০২০ সালে ৩০০ বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড : আসক

ফাতেহ ডেস্ক:

২০২০ সালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন ১৮৮ জন। মাদকবিরোধী অভিযানে নিহত হয়েছেন ১১২ জন।

বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে মানবাধিকার পরিস্থিতি-২০২০ নিয়ে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) আয়োজিত এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন আসক সদস্য আবু আহমেদ ফজলুল কবির।

এতে জানানো হয়, বছর জুড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে নিহত হয়েছেন ১১ জন। গ্রেফতারের আগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্যাতনে মারা গেছেন ১৩ জন। অসুস্থতাসহ নানা কারণে দেশের কারাগারগুলোতে মারা গেছেন ৭৫ জন। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফের গুলি ও নির্যাতনে নিহত হয়েছেন ৪৯ বাংলাদেশি।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ২০২০ পর্যালোচনা করলে দেখা যায় মহামারির মধ্যে অর্থনীতি, সামাজিক, সাংস্কৃতিক অধিকারের ক্ষেত্রে অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রয়েছে। তবে এর মাঝেও চিকিৎসা খাতে চরম অনিয়ম, ত্রুটিপূর্ণ করোনা পরীক্ষা, অক্সিজেন সিলিন্ডারসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রীর চরম মূল্য মানুষকে ভুগিয়েছে।

The post ২০২০ সালে ৩০০ বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড : আসক appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/2KQj19t

Wednesday, December 30, 2020

অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা কতটুকু?

তাসনিম জারা:

অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন যে অনুমোদন পেল, তার কার্যকারিতা আসলে কত শতাংশ? ৬২, ৭০, ৯০ নাকি অন্য কোন সংখ্যা?​

৬২ শতাংশ কার্যকারিতা পাওয়া গেছে যাদেরকে পূর্ণ দুই ডোজ ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে তাদের মাঝে। ৯০ শতাংশ কার্যকারিতা দেখা গিয়েছিল যাদেরকে প্রথমে হাফ ডোজ আর পরে ফুল ডোজ দেয়া হয়েছে তাদের মাঝে। আর ৭০.৪ শতাংশ সংখ্যাটা এসেছে এই দুইটি সংখ্যা একত্র করার পর। এই সংখ্যাগুলো ছিল নভেম্বরের ৪ তারিখ পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুসারে।​

গতকাল MHRA অনুমোদন দিয়েছে পূর্ণ দুই ডোজের রেজিমেন। সুতরাং নভেম্বরের ৪ তারিখ পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুসারে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা হওয়ার কথা ৬২ শতাংশ। কিন্তু যুক্তরাজ্যের রেগুলেটর ডিসেম্বরের ৩০ তারিখে জানিয়েছে ভ্যাকসিনটির কার্যকারিতা ৭০ শতাংশ হয় পূর্ণ এক ডোজ দেয়ার ৩-১২ সপ্তাহের মধ্যে। আবার কয়েকদিন আগেই অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রধান বলেছে তারা একটি উইনিং ফর্মুলা পেয়েছে, যার মাধ্যমে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা ফাইজার বা মডার্নার কার্যকারিতার সমকক্ষ হবে। তবে তিনি এ বিষয়ে আর কোন তথ্য দেন নি। ​

এত কথার মধ্যে কোনটা সত্য? সবগুলো সংখ্যাই কি সঠিক হতে পারে?​

এ বিষয়ে তথ্য এখনো অপ্রতুল। MHRA বলেছে নতুন তথ্য কিছুদিনের মধ্যে প্রকাশ করা হবে। আমি যেটুকু তথ্য বিভিন্ন সূত্র থেকে পেয়েছি সেটা দিয়ে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা মূলত কত সেটা বোঝানোর চেষ্টা করবো। ​

প্রথমে ধারণা করা হচ্ছিলো ডোজের পার্থক্যের কারণে কার্যকারিতা বেশি বা কম হচ্ছে। অর্থাৎ প্রথমে হাফ ডোজ দিলে ও পরে ফুল ডোজ দিলে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা বেড়ে যায়।​

কিন্তু নতুন ডাটা আসার পরে সে ধারণা পাল্টে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে যে কার্যকারিতা বাড়ার কারণ হচ্ছে এক ডোজ ভ্যাকসিন দেয়ার পরে পরবর্তী ডোজ দেয়ার মধ্যবর্তীকালীন সময়ের ব্যবধান। যুক্তরাজ্যের রেগুলেটর দেখেছে যে এক মাসের পরিবর্তে তিন মাসের ব্যবধানে পূর্ণ দুই ডোজ দিলে কার্যকারিতা ৬২ শতাংশ থেকে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যায়। তবে এই ডাটা অল্প সংখ্যক মানুষের থেকে নেয়া। ​

গতকাল ভ্যাকসিনটি অনুমোদন দেয়ার পরে যুক্তরাজ্যের ডাক্তারদের জন্য কিছু তথ্য দেয়া হয়েছে। সেখান থেকে একটা স্ক্রিনশট দিয়ে দিচ্ছি। এখানে দেখতে পাচ্ছেন দুই ডোজের মধ্যবর্তীকালীন সময় যখন ৬-৮ সপ্তাহ থেকে বাড়িয়ে ৯-১২ সপ্তাহ বা তার বেশি করা হয়, তখন শরীরে S-binding antibody-র পরিমাণ অনেক অনেক বেড়ে যায়। S-binding antibody ছাড়াও neutralising antibody একই ভাবে বেড়েছে যখন দুই ডোজের মাঝের সময়ের ব্যবধান বাড়ানো হয়েছে।​

তবে কতটুকু অ্যান্টিবডি তৈরি হলে কতটুকু সুরক্ষা পাওয়া যাবে, সেই ব্যাপারে এখনো তথ্য অপ্রতুল, তাই নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না।​

আমার ধারণা অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রধান এই সময়ের ব্যবধানের কথা চিন্তা করেই হয়তো উইনিং ফর্মুলার কথা বলেছেন। যুক্তরাজ্যে এক থেকে তিন মাসের ব্যবধানে ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ দেয়ার অনুমোদন দিয়েছে সেদেশের রেগুলেটর। আমরা শীঘ্রই এই থিওরি কতটুকু ভুল আর কতটুকু সত্য হয় সেটা বুঝে যাবো। ​

আশা করি এই লেখা থেকে পরিষ্কার হয়েছেন যে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা ঠিক কত, সে বিষয়ে আমরা এখনো চূড়ান্ত কিছু বলতে পারবো না। কতদিনের ব্যবধানে ভ্যাকসিন দেয়া হচ্ছে সেটার উপরে নির্ভর করে কার্যকারিতা সম্ভবত বেড়ে যায়। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী প্রথম পূর্ণ ডোজ দেয়ার ৩-১২ সপ্তাহের মধ্যে ৭০ শতাংশ, আর ৩ মাসের ব্যবধানে পূর্ণ দুই ডোজ দিলে ৮০ শতাংশ কার্যকারিতা দেখা গেছে।​

তবে কার্যকারিতার বিষয়ে একটা বিষয় না উল্লেখ করলেই নয় – অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন যারা পেয়েছে, তাদের মধ্যে কেউ করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় নি।

(ফেসবুক থেকে নেয়া/লেখিকা: যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের (এনএইচএস) জুনিয়র চিকিৎসক)

The post অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা কতটুকু? appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/38No2I7

ইসলামিক বইমেলায় শেষ হচ্ছে বছর

মুনশী নাঈম:

করোনার ধাক্কায় বছরের শুরুতে ইসলামি প্রকাশনার জগত নির্জীব হয়ে পড়লেও বছর শেষে উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছে তারা। তারই অন্যতম একটি প্রচেষ্টা অনলাইন বইমেলা।

২৯ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে অনলাইন ইসলামিক বইমেলা ২০২০। মেলাটি চলবে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত।

স্বনামধন্য ৩৫টি প্রকাশনী নিয়ে মেলাটি আয়োজন করেছে, বাংলাদেশ, সৃজনশীল ইসলামি পুস্তক প্রকাশক সমিতি ও ওয়াফি লাইফ ডটকম।

মেলা উপলক্ষ্যে ইতোমধ্যে ১৮টি বই প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন প্রকাশনী দিচ্ছে মূল্যছাড়।

মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রকাশনীগুলো হলো: মাকতাবাতুল আশরাফ, হুদহুদ প্রকাশন, আবরন প্রকাশন, গার্ডিয়ান পাবলিকেশনস, মাকতাবাতুল আসলাফ, নবপ্রকাশ, দারুল আরকাম, বইঘর, আর রিহাব, রুহামা, বই পল্লী, নাশাত পাবলিকেশন, সোজলার পাবলিকেশন, কানন, উদ্দীপন, সমকালীন প্রকাশন, সিশান, মাকতাবাতুল হাসান, মাকতাবাতুল বায়ান, সমর্পণ, রাহনুমা প্রকাশনী, আযান প্রকাশনী, মাকতাবাতুল ইত্তিহাদ, মাকতাবাতুত তাকওয়া, জাদীদ, দ্য সুলতান, পথিক, শব্দতরু, প্রজন্ম, মুসলিম ভিলেজ, প্রচ্ছদ প্রকাশন, ইসলাম হাউজ, নিয়ন পাবলিকেশন, হাসানাহ, পড় প্রকাশ, কালান্তর প্রকাশনী।

এছাড়াও বিভিন্ন প্রকাশনী নিজস্ব উদ্যোগে ঘোষণা করেছে বিশেষ মূল্যছাড়।

The post ইসলামিক বইমেলায় শেষ হচ্ছে বছর appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/2X4hq2h

আজ উদ্বোধন, আগামীকাল থেকে সারা দেশে বই বিতরণ

ফাতেহ ডেস্ক:

প্রায় সাড়ে ৪ কোটি শিক্ষার্থীর হাতে বিনা মূল্যে নতুন বই তুলে দিচ্ছে সরকার। এ উপলক্ষে বছরের শেষ দিনে গণভবন থেকে ভার্চুয়াল এক অনুষ্ঠানে বই বিতরণের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ ছাড়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র মিলনায়তনে মন্ত্রী ও সচিবদের উপস্থিতিতে কয়েকজন প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীর হাতে বই তুলে দিয়ে বই বিতরণের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।

নতুন বছরের প্রথম দিন অর্থাৎ ১ জানুয়ারি সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় বা বিতরণ শুরু হবে। এরপর পর্যায়ক্রমে তিনদিন করে মোট বারোদিন ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নতুন বই বিতরণ করা হবে।

করোনাভাইরাসের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় পয়লা জানুয়ারি বই উৎসব না হলেও বছরের শুরুতেই শিক্ষার্থীরা বই পাচ্ছে। এবার ছাপা হচ্ছে প্রায় ৩৫ কোটি বই।

মুজিববর্ষ উপলক্ষে এবার বইয়ের প্রচ্ছদে নতুনত্ব আনা হয়েছে। পাঠ্যপুস্তকের পেছনের মলাটে বঙ্গবন্ধু, স্বাধীনতা, মহান মুক্তিযুদ্ধ, ভাষা আন্দোলনসহ বর্তমান সরকারের নানা উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের বিভিন্ন স্থিরচিত্র ক্যাপশনসহ সংযোজন করা হয়েছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ২০২১ সালে সর্বমোট পাঠ্যপুস্তকের সংখ্যা ১০ কোটি ২৫ লাখ ৮২ হাজার ৫৫৫টি। এর মধ্যে প্রথম-দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীর জন্য ২ কোটি ৫৯ লাখ ৯২ হাজার ৬৭১, তৃতীয়-চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীর জন্য ৬ কোটি ৯৬ লাখ ৯৭ হাজার ৩৭৪টি বই। এর মধ্যে ৯৪ হাজার ২৭৫ জন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর (চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, গারো ও সাদ্রী) শিশুদের জন্য পাঁচটি ভাষায় প্রাক-প্রাথমিক থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় ২ লাখ ১৩ হাজার ২৮৮টি বিশেষ ভাষায় বই বিতরণ করা হবে। তবে, তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীরা তাদের ভাষায় শুধুমাত্র বাংলা বইটি পাবে। এ বছর সাঁওতাল ভাষায় পাঠ্যপুস্তক দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

এবার ৯ হাজার ১৯৬ জন দৃষ্টি প্রতিবন্ধীর জন্য ব্রেইল পদ্ধতির বই বিতরণ করা হবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী শিক্ষাবর্ষে মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের জন্য ২৪ কোটি ৩৩ লাখ ৩৪ হাজার কপি বই মুদ্রণ করার কাজ চলমান রয়েছে।

২০১০ সাল থেকে প্রতিবছর ১ জানুয়ারি ‘বই উৎসব’ হয়ে আসছে। গত এক দশকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক মিলিয়ে প্রায় ৩৩১ কোটি ৪৭ লাখ বই সারা দেশে বিতরণ করা হয়েছে।

The post আজ উদ্বোধন, আগামীকাল থেকে সারা দেশে বই বিতরণ appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/2Jxb2O1

বিষাদের ২০২০: চলে গেলেন অনেকেই

ফাতেহ ডেস্ক:

বিষাদের বছর ২০২০। করোনা সংক্রমণের ফলে পুরো বিশ্ব থমকে গেলেও বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল।

বাজছে প্রতি মুহূর্তে বিদায়ের বিউগল। এ তালিকায় অগণিত সাধারণ মানুষের পাশাপাশি রয়েছেন চিকিৎসক, সাহিত্যিক, শিল্পী, সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ, পুলিশ, আইনজীবী, নাট্যকুশলী ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ীরাও।

ভ্যাকসিন আসি আসি করছে। গবেষণা চলছে দুনিয়াজুড়ে। সবশেষ করোনার নতুন স্ট্রেইন নিয়ে আতঙ্ক বেড়েছে বহুগুন।

দেশে গত ৮ মার্চ করোনাভাইরাসে প্রথম শনাক্তের খবর জানানো হয়। এর ১০ দিনের মাথায় প্রথম মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে সরকার। এখন পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা ৭ হাজার ৪শ’ ৭৯।

করোনায় বিশ্বজুড়ে মৃত্যুর মিছিলের গতির চেয়ে বাংলাদেশে মৃত্যুর শ্লথ অনেক কম হলেও একের পর বিশিষ্টজনদের মৃত্যু শূন্যতা তৈরি করছে। করোনা ছাড়াও বছরটিতে নানা কারণেই গুণি মানুষদের হারানোর তালিকা ছিল দীর্ঘ।

করোনার হানায় রাজনৈতিক অঙ্গন থেকেও চিরবিদায় নিয়েছেন অনেক জননেতা। ২০২০ সালে জাতি যাদের হারিয়েছে তাদের মধ্যে উল্লেযোগ্য হলেন, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, সাবেক ভুমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মো. ইসরাফিল আলম, সাবেক সাংসদ আলহাজ্ব মকবুল হোসেন, কামরুন্নাহার পুতুল, সিলেটের সাবেক মেয়র বদরুদ্দিন আহমেদ কামরান ও বিএনপি জোট সরকারের সাবেক বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আনোয়ারুল কবির ও সাবেক বিমান প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, খালেদা জিয়ার উপদেস্টা এম এ হক। এবং বামপন্থি নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার আনোয়ার খান জুনো। করোনায় আক্রান্ত না হলেও এসময়ে মারা যান দেশের প্রথম নারী স্বরাস্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন।

দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, লেখক ও জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। বর্ষীয়ান এই বুদ্ধিজীবীকে হারিয়ে বাংলাদেশের বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা অনেকটাই ধাক্কা খেয়েছে। ২০২০ এ জাতি হারিয়েছে প্রখ্যাত চিত্রশিল্পি ,মুর্তজা বশীর, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানী, সাংবাদিক রাহাত খান, খন্দকার মুনিরুজ্জামান, সাহিত্যিক আবুল হাসনাত, রশীদ হায়দার, বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর, মকবুলা মঞ্জুর, প্রথম নারী ফটো সাংবাদিক সাইদা খানম।

করোনায় আরো মারা যান প্রথম নারী জাতীয় অধ্যাপক ড. সুফিয়া আহমেদ, খ্যাতিমান প্রকৌশলী জাতীয় অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমেদ,ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ড. নাজমুল করিম, বিজ্ঞানী আলী আসগর, পানি বিশেষজ্ঞ এম এ সামাদ , বৌদ্ধ ধর্মীয় পন্ডিত শুদ্ধানন্দ মহাথের ও সানবিমস স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ নিলুফার মঞ্জুর।

এ বছর জাতি হারিয়েছে শিল্প ও সংস্কৃতি জগতের কিংবদন্তি, অভিনেতা মুক্তিযোদ্ধা আলী যাকেরকে। এসময় অভিনয় জগত থেকে চিরতরে বিদায় নিয়েছেন, টেলিভিশন নাটকের জনপ্রিয় মূখ অভিনেতা আবদুল কাদের, সিনেমা জগৎ দাপড়ে বেড়ানো অভিনেতা সাদেক বাচ্চু, অভিনেতা কেএস ফিরোজ, নাট্যকার মান্নান হীরা, প্রখ্যাত প্রযোজক মোহম্মদ বরকতউল্লাহ, টেলিভিশন নৃত্যশিল্পী সংস্থার সাবেক সভাপতি হাসান ইমাম। এছাড়াও সঙ্গীতশিল্পি এণ্ড্রু কিশোর, সুরকার ও গীতিকার আলাউদ্দিন আলী ও আজাদ রহমান মারা গেছেন ২০২০ এ।

প্রথমসারির শিল্পদোক্তা ও ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রচুর কর্মসংস্থান সৃস্টিকারি পারটেক্স গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও সাবেক এমপি এম এ হাসেম, যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম ও চা-শিল্পের খ্যাতিমান ব্যবসায়ী আজমত মঈনও করোনায় আক্রান্ত হয়ে না ফেরার দেশে চলে যান। এবছরই মারা যান ট্রান্সকম গ্রুপের কর্ণধার বিশিষ্ট শিল্পপতি লতিফুর রহমান ও এম এ মোমেন

বিষাদের বছর ২০২০ এ দেশ হারিয়েছে মুক্তিযুদ্ধের ২ জন সেক্টর কমান্ডারকে। তারা হলেন, সা আর দত্ত ও আবু ওসমান চৌধুরী। মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরের ট্রাস্টি জিয়াউদ্দিন তারিক আলীও চির বিদায় নিয়েছেন বছরটিতে।

করোনার এ সময়ে দেশ হারিয়েছে আইন অঙ্গনের দুই নক্ষত্রকে। ব্যরিষ্টার রফিক উল হক ও মাহবুবে আলম। তারা দুজনেই রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেছেন।

করোনায় জনপ্রশাসনও হারিয়েছে অনেক কর্মকতাকে। তাদের মধ্যে অন্যতম প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব আব্দুল্লাহ আল মোহসিন চৌধুরী ও আইন সচিব নরেন দাস। বিদায় নিয়েছেন সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব সা’দত হোসেনও

করোনায় সংক্রমিত হয়ে বা উপসর্গ নিয়ে ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চিকিৎসকই মারা গেছেন ১২৭ জন। এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. মঈনউদ্দীন চিকিৎসক হিসেবে প্রথম মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর এই মিছিলে বেশ কজন নামকরা চিকিৎসক রয়েছেন।

এ বছরই না ফেরার দেশে পাড়ি জমান ক্রীড়াঙ্গনের জনপ্রিয় মুখ ফুটবলার বাদল রায় ও এশিয়ান কারাতে ফেডারেশনের রেফারি হুমায়ুন কবীর জুয়েল।

এই তালিকার বাইরেও পুলিশ বাহিনীর ৭৪ জন সদস্যসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষকে হারাতে হয়েছে করোনার এই বছরে।

The post বিষাদের ২০২০: চলে গেলেন অনেকেই appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/34Zwp1Z

আরব বসন্তের স্বপ্ন দেখে লাভ নেই : হানিফ

ফাতেহ ডেস্ক:

বাংলাদেশে আরব বসন্তের স্বপ্ন দেখে বিএনপির লাভ হবে না বলে উল্লেখ করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মাহবুব উল আলম হানিফ। তিনি বলেছেন, ‘এটা ইরাক বা মিসর নয়, এটা আরব নয় যেখানে আরব বসন্ত হবে।’

বুধবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় হানিফ এ কথা বলেন। ‘গণতন্ত্রের বিজয় দিবস’ পালন উপলক্ষে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ওই আলোচনা সভার আয়োজন করে।

আলোচনায় মাহবুব উল আলম হানিফ বিএনপির অতীত এবং বর্তমান রাজনীতির কড়া সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘এটা ইরাক বা মিসর নয়, এটা আরব নয় যেখানে আরব বসন্ত হবে। এটা বাংলাদেশ। আওয়ামী লীগ ওই মিসরের বা আরবের কোনো সংগঠন নয়। এই বাংলাদেশে, এই আওয়ামী লীগের শিকড় বাংলার মাটির গভীরে আছে। আওয়ামী লীগের লক্ষ লক্ষ কোটি নেতাকর্মী আছে। আপনাদের মতো এই অশুভ তৎপরতাকে রুখে দেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ যথেষ্ট শক্তিশালী, এটা মাথায় রাখবেন। এখানে আরব বসন্তের স্বপ্ন দেখে লাভ হবে না।’

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন। ছবি : ফোকাস বাংলা
আলোচনা সভার প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, শেখ হাসিনা আছেন তো বাংলাদেশের গণতন্ত্র আছে।

মতিয়া চৌধুরী বলেন, গণতন্ত্র হত্যা করতে এই বিএনপি কী না করছে। মানুষ মারছে, পুলিশ মারছে, রেল লাইন উঠায়া দিছে, তারপরও নির্বাচন বন্ধ করতে পারে নাই। কারণ গণতন্ত্র শক্ত খুঁটির ওপর দাঁড়িয়ে আছে।

সাবেক কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘করোনাকালে তারা (বিএনপি) অপেক্ষা করেছে কখন দেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়বে। কিন্তু যোগ্য পিতার যোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা অর্থনীতিতে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিছেন। কাজেই সামনের বাজেটে আমরা কাঙ্ক্ষিত লক্ষে পৌঁছাতে পারব ইনশা আল্লাহ তাতে কোনো সন্দেহ নাই।’ এ সময় তিনি আগামী নির্বাচনের আগে পদ্মা সেতু চালু হওয়ারও আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মো. হুমায়ুন কবিরের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান, শিক্ষামন্ত্রী ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, তথ্যমন্ত্রী ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ আবু আহম্মেদ মন্নাফী।

The post আরব বসন্তের স্বপ্ন দেখে লাভ নেই : হানিফ appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3o5TsQ8

সংসদের শীতকালীন অধিবেশন ১৮ জানুয়ারি

ফাতেহ ডেস্ক:

একাদশ জাতীয় সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরু হচ্ছে আগামী ১৮ জানুয়ারি। এর আগে গত ১৯ নভেম্বর দশম অধিবেশন শেষ হয়।

বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সংবিধানের ৭২(১) অনুচ্ছেদের প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ অধিবেশনের আহ্বান করেন। এ সংক্রান্ত আদেশ সংসদ সচিবালয়ে পৌঁছেছে। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোনো বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়নি।

আগামী ১৮ জানুয়ারি মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে দিনের কার্যসূচি শুরু হবে। অধিবেশন শুরুর আগে বিকেলে স্পিকারের সভাপতিত্বে কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে অধিবেশনের সময়কাল নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে বিগত কয়েকটি অধিবেশন বৈঠকটি হয়নি।

শীতকালে শুরু হওয়ায় অধিবেশনটিকে শীতকালীন অধিবেশন বলা হয়ে থাকে।

বরাবরের মতো এবারও ইংরেজি নববর্ষে দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেবেন। এরপর রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনিত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনা করবেন সংসদ সদস্যগণ। রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনা হওয়ায় অধিবেশনটি সাধারণত দীর্ঘ হয়। করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার অধিবেশন বিরতি দিয়ে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গড়াতে পারে বলে জানা গেছে।

The post সংসদের শীতকালীন অধিবেশন ১৮ জানুয়ারি appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3aTQhHN

অক্সফোর্ডের টিকা ভারতের সেরাম হয়ে আসবে বাংলাদেশে

ফাতেহ ডেস্ক:

করোনার নতুন স্ট্রেন ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়েছে ব্রিটেনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। ভাইরাসটির নতুন এই ধরণ মোকাবিলায় অনেক দেশ ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে খবর এলো-অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনার টিকা যুক্তরাজ্যে ব্যবহারের অনুমোদন পেয়েছে।

দেশটির ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা মেডিসিনস অ্যান্ড হেলথকেয়ার রেগুলেটরি এজেন্সি (এমএইচআরএ) এ টিকাটি নিরাপদ ও কার্যকর হওয়ায় ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দিয়েছে।

এদিকে ভারতে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকারের টিকা প্রকল্পের ভারতীয় অংশীদার সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি ‘কোভিশিল্ড’ টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিতে বিশেষজ্ঞদের একটি প্যানেল বৈঠকে বসছে বুধবার (৩০ ডিসেম্বর)। সেরাম ইনস্টিটিউট চাচ্ছে, আজকের মধ্যেই ভারতের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা টিকাটির জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিক।

টিকা অনুমোদন পাওয়ার পরপরই গণহারে প্রয়োগের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে ভারত সরকার। সেরাম কোভিশিল্ড টিকা সরকারের কাছে প্রতি ডোজ ২৫০ রুপিতে বিক্রি করবে।

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনার টিকা ভারতে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পেলে তা বাংলাদেশের মানুষও পাবে। ইতিমধ্যে দুটি দেশের বাজারে একই সময়ে টিকা দেওয়ার ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি হয়েছে। গত ৫ নভেম্বর ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত করোনার টিকা নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, সেরাম ইনস্টিটিউট ও বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

চুক্তিতে বলা আছে, তারা ভারত ও বাংলাদেশের বাজারে একই সময়ে টিকা দেবে। সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত টিকা ভারতে জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন পেলে তখন তা বাংলাদেশেও আসবে। চুক্তি অনুসারে সেরাম ইনস্টিটিউটের কারখানায় তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৩ কোটি ডোজ টিকা পাবে বাংলাদেশ। এই টিকা দেড় কোটি মানুষকে দেওয়া সম্ভব হবে।

এছাড়া সরকারের মন্ত্রী সচিব থেকে শুরু করে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বারবার জানুয়ারিতে টিকা আসবে বলে জানিয়ে আসছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন ৫০ লাখ করে ৬ মাসে তিন কোটি ডোজ টিকা আসবে।

ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় টিকা সংগ্রহ ও ক্রয়, টিকা পরিবহন-সংরক্ষণ-বিতরণ বিষয়ে একটি জাতীয় পরিকল্পনা তৈরি করেছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, মহামারির সময় রোগ শনাক্তের কিটের ব্যবহারসহ অনেক কিছুতে জরুরি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কোনো দক্ষ ও যোগ্য প্রতিষ্ঠান কোনো টিকার অনুমোদন দিলে এই সময়ে বাংলাদেশে তা ব্যবহারে বাধা থাকার কথা নয়।

চুক্তির আওতায় প্রথম ধাপে পাওয়া তিন কোটি ডোজ টিকা কিনে জনগণের মাঝে বিনামূল্যে দেবে বাংলাদেশ। এই টিকা কিনতে মোট প্রস্তাবিত খরচের অর্ধেক টাকা ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য অধিদফতরকে বরাদ্দ দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।

অর্থমন্ত্রণালয় সূত্রে, টিকা পরিবহন ব্যয়সহ প্রতি ডোজের মূল্য নির্ধারণ করা হয় ৫ মার্কিন ডলার। টিকার আনুষঙ্গিক উপকরণের জন্য ব্যয় ১ দশমিক ২৫ ডলার ধার্য করা হয়। এতে প্রতি ডোজ টিকা বাবদ মোট খরচ দাঁড়ায় ৬ ডলার ২৫ সেন্ট। প্রাথমিক পর্যায়ে বাংলাদেশের নেয়া তিন কোটি ডোজ ভ্যাকসিনের মোট মূল্য দাঁড়ায় এক হাজার ৫৮৯ কোটি ৪৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। এর মধ্যে ৭৩৫ কোটি ৭৬ লাখ ৮২ হাজার টাকা বরাদ্দ দিয়েছে অর্থ বিভাগ।

বিশ্বের মধ্যে রাশিয়া প্রথম আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে নিজেদের তৈরি টিকা ব্যবহার শুরু করে। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ কোম্পানি ফাইজার ও জার্মান গবেষণা প্রতিষ্ঠান বায়োএনটেকের টিকার অনুমোদন দেয় যুক্তরাজ্য। ইতিমধ্যে যুক্তরাজ্য এই টিকা ব্যবহার শুরু করেছে। ফাইজারের টিকা যুক্তরাষ্ট্রেও জরুরি ব্যবহারে অনুমোদন দিয়েছে ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ)। যুক্তরাষ্ট্রেও ব্যবহারও শুরু হয়েছে। এছাড়া কানাডা, বাহরাইনসহ কয়েকটি দেশে ফাইজারের টিকা অনুমোদন ও ব্যবহার শুরু হয়েছে।

The post অক্সফোর্ডের টিকা ভারতের সেরাম হয়ে আসবে বাংলাদেশে appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3n1KPVo

দেশে আরও ২২ মৃত্যু, শনাক্ত ১২৩৫

ফাতেহ ডেস্ক:

করোনাভাইরাসে (কভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে দেশে ২৪ ঘণ্টায় আরও ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১৫ হাজার ২২৯টি নমুনা পরীক্ষা করে এ সময়ে নতুন ১ হাজার ২৩৫ জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন।

দেশে গত মার্চের শুরুর দিকে কভিড-১৯ এর সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার পর বুধবার সকাল পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৭ হাজার ৫৩১জনে। আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ১২ হাজার ৪৯৬ জনে।

গত একদিনে আরও ১ হাজার ৫০৭ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন; তাতে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৪ লাখ ৫৬ হাজার ৭০ হয়েছে।

দেশের সবশেষ করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ৮ মার্চ। এর ১০ দিনের মাথায় ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর খবর আসে।

The post দেশে আরও ২২ মৃত্যু, শনাক্ত ১২৩৫ appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/34SMSoQ

Tuesday, December 29, 2020

করোনার তাণ্ডবে বিশ্বে মৃত্যু ১৮ লাখ ছুঁই ছুঁই

ফাতেহ ডেস্ক:

ব্রিটেনে ছড়িয়ে পড়া নতুন ধরনের করোনা ফ্রান্স, স্পেন ও সুইডেনসহ ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া জাপান, কোরিয়াসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ছে। বাংলাদেশেও এই ধরনের করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। এক গবেষণায় জানা গেছে, এই করোনা আগের করোনার চেয়ে ৭০ শতাংশ বেশি ছড়ায়। সে ক্ষেত্রে ভয়াবহ এক পরিস্থিতির দিকেই যাচ্ছে বিশ্ব।

ইতোমধ্যে বিশ্বে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৮ কোটি। মহামারিতে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত বিশ্বে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৭ লাখ ৯৬ হাজারেরও বেশি।

করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের সংখ্যা ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮ কোটি ২৩ লাখ ২১ হাজার ৩৫৮ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১৭ লাখ ৯৬ হাজার ২৬৯ জনের। সুস্থ হয়েছেন ৫ কোটি ৮৩ লাখ ৩১ হাজার ২৯৮ জন।

করোনায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। তালিকায় শীর্ষে থাকা দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন এক কোটি ৯৯ লাখ ৭৭ হাজার ৭০৪ জন। মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৪৬ হাজার ৫৭৯ জনের।

আক্রান্তে দ্বিতীয় ও মৃত্যুতে তৃতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে এখন পর্যন্ত সংক্রমিত হয়েছেন এক কোটি দুই লাখ ৪৫ হাজার ৩২৬ জন এবং মারা গেছেন এক লাখ ৪৮ হাজার ৪৭৫ জন।

আক্রান্তে তৃতীয় এবং মৃত্যুতে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে এখন পর্যন্ত করোনায় ৭৫ লাখ ৬৪ হাজার ১১৭ জন মানুষ সংক্রমিত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে এক লাখ ৯২ হাজার ৭১৬ জনের।

চতুর্থ অবস্থানে থাকা রাশিয়ায় করোনায় সংক্রমণের সংখ্যা ৩১ লাখ ৫ হাজার ৩৭ জন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৫৫ হাজার ৮২৭ জনের।

পঞ্চম স্থানে থাকা ফ্রান্সে এখন পর্যন্ত করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ২৫ লাখ ৭৪ হাজার ৪১ জন। এর মধ্যে মারা গেছে ৬৪ হাজার ৭৮ জন।

গত বছরের ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হয়। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২১৮টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে কোভিড-১৯।

The post করোনার তাণ্ডবে বিশ্বে মৃত্যু ১৮ লাখ ছুঁই ছুঁই appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/2KZEc8V

২০২০: কওমি মাদরাসার করোনা জয়

ফাতেহ ডেস্ক:

করোনা মহামারীর কারণে দেশের প্রায় ২২ হাজার কওমি মাদ্রাসার ২৫ লক্ষাধিক শিক্ষার্থী গত শিক্ষাবর্ষের বার্ষিক পরীক্ষা দিতে পারেনি। ঈদুল ফিতরের পর কওমি মাদ্রাসাগুলোর নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হলেও করোনার কারণে তা স্থগিত রাখা হয়। করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মতো হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও হিফজখানার কার্যক্রমও বন্ধ হয়ে যায়। এসব মাদ্রাসার নিরবচ্ছিন্ন অধ্যবসায়ের আবশ্যকতার কথা উল্লেখ করে কার্যক্রম চালুর বিষয়ে দেশের আলেমরা আবেদন করেন। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১২ জুলাই থেকে দেশের সব হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও হিফজখানা খোলার অনুমোদন দেয়া হয়। ৮ জুলাই ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করে। সেখানে বলা হয়, এসব মাদ্রাসাকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে।

এরও আগে ১ জুন দেশের কওমি মাদ্রাসায় ছাত্রছাত্রী ভর্তির কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে অফিস খোলার অনুমতি দেয়া হয়।

সোমবার (১৭ আগস্ট) সচিবালয়ে জাতীয় দ্বীনি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের সহ-সভাপতি ড. মাওলানা মুশতাক আহমদ ও মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ এবং বোর্ডের মহাসচিব মুফতি মোহাম্মদ আলীসহ কওমি আলেমদের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। বৈঠকে কিতাব বিভাগের কার্যক্রম চালু ও পরীক্ষা নেয়ার সুযোগ করে দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আবেদন জানায় কওমি মাদরাসাগুলো। এরই প্রেক্ষিতে অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণা না দিলেও কওমি মাদ্রাসা খোলার অনুমতি দেয় সরকার। সোমবার (২৪ আগস্ট) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করে।

মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব সৈয়দ আসগর আলী স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়, কওমি মাদ্রাসাগুলোর কিতাব বিভাগের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু ও পরীক্ষা গ্রহণের অনুমতি প্রদান করা হলো। তবে ৬টি শর্ত পালন করতে হবে মাদ্রাসাগুলোকে। শর্তগুলো হলো: ১. প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস, মাথায় নিরাপত্তা টুপি পরা আবশ্যক। ২. মাদ্রাসায় প্রবেশের পূর্বে গেটে স্যানিটাইজিং করতে হবে। ৩. শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ কক্ষে অবস্থান করবে, বিক্ষিপ্তভাবে চলাফেরা করবে না। ৪. একজন শিক্ষার্থী অন্য শিক্ষার্থী থেকে কমপক্ষে ৩ ফিট দূরত্বে অবস্থান করবে। ৫. করোনার কারণে কোলাকুলি ও হাত মেলানো যাবে না। ৬. শিক্ষক ও কর্মচারীরাও একইভাবে সরকারের স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে ক্লাস করাবেন।

মাদরাসা খোলার পর অনুষ্ঠিত হয়েছে আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি‘আতিল কওমিয়া বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় পরীক্ষা। তার ফলাফলও দেয়া হয়েছে কদিন আগে। আটকে থাকেনি কোনো কাজই।

স্কুল-কলেজ যেখানে খোলার সাহস করছে না সরকার, সেখানে কওমি মাদরাসায় নিয়মতান্ত্রিক ক্লাস চলছে প্রায় পাঁচমাস। এখনো কোনো মাদরাসায় করোনাক্রান্ত হয়ে কারো মারা যাবার সংবাদ আসেনি। এমনকি আক্রান্তের খবরও আসেনি। সে হিসেবে বলা যায়, কওমি মাদরাসা করোনা জয় করেছে ভালোভাবেই।

The post ২০২০: কওমি মাদরাসার করোনা জয় appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3nZwb2f

নির্ধারিত তারিখে অনুষ্ঠিত হচ্ছে না ২০২১ সালের বিশ্ব ইজতেমা

ফাতেহ ডেস্ক:

দ্বিতীয় দফায় করোনা সংক্রমণের কারণে নির্ধারিত তারিখে অনুষ্ঠিত হচ্ছে না ২০২১ সালের বিশ্ব ইজতেমা। তবে বিশ্ব ইজতেমার নির্ধারিত তারিখে (৮,৯,১০ ও ১৫,১৬,১৭) চিল্লায় বের হতে ইচ্ছুক সাথীরা প্রত্যেক জেলার মারকাজ মসজিদ থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মুরব্বীদের মশওয়ারাক্রমে জামাতে বের হতে পারবেন।

গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন টঙ্গী ময়দানের দায়িত্বশীল মোস্তফা ভাই।

তিনি জানান, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সার্বিক দিক বিবেচনায় মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম গণজমায়েত বিশ্ব ইজতেমা নির্ধারিত তারিখে হবে না বলে জানিয়েছেন দায়িত্বশীল মুরব্বীরা। তবে পরিস্থিতি ভালো হলে নির্ধারিত তারিখের বাইরে বিশ্ব ইজতেমা হবে কিনা তা সময় মতো পরামার্শক্রমে জানিয়ে দেবেন মুরব্বীরা।

এবার বিশ্ব ইজতেমা নির্ধারিত তারিখে না হলেও সবাইকে নিজ নিজ জায়গা থেকে বিশ্ববাসীর সুস্থতা ও ভাইরাস থেকে মুক্তির জন্য দোয়া করার আহ্বান জানিয়েছেন মুরব্বীরা।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের বিশ্ব ইজতেমা শেষে ২০২১ সালের ইজতেমার (৮ থেকে ১০ জানুয়ারি ইজতেমার প্রথম পর্ব ও ১৫ থেকে ১৭ জানুয়ারি ২য় পর্ব) তারিখ ঘোষণা করা হয়।

The post নির্ধারিত তারিখে অনুষ্ঠিত হচ্ছে না ২০২১ সালের বিশ্ব ইজতেমা appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3rB1GBX

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত ১১৮১, মৃত্যু ৩০

ফাতেহ ডেস্ক:

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরো ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৭ হাজার ৫০৯ জনে। নতুন করে রোগী শনাক্ত হয়েছে ১১৮১ জন। মোট শনাক্ত ৫ লাখ ১১ হাজার ২৬১ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ২৪৫ জন এবং এখন পর্যন্ত ৪ লাখ ৫৪ হাজার ৫৬৩ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

আজ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে আরো জানানো হয়, ১৬৭টি পরীক্ষাগারে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪ হাজার ৮২০টি নমুনা সংগ্রহ এবং ১৪ হাজার ৫৮৮ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।

এখন পর্যন্ত ৩১ লাখ ৯৯ হাজার ১১৫ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৮ দশমিক ১০ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৮ দশমিক ৯১ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৭ শতাংশ।

The post গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত ১১৮১, মৃত্যু ৩০ appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3o9FYTq

বছরজুড়ে করোনায় আক্রান্ত ১৮ হাজার পুলিশ, মৃত্যু ৮২

ফাতেহ ডেস্ক:

পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পুলিশ সদস্য।

রবিবার পর্যন্ত ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)-সহ দেশের বিভিন্ন ইউনিটে লকডাউনসহ বিভিন্ন সময় নিরাপত্তা দিতে গিয়ে পুলিশের বিভিন্ন পদ মর্যাদার ১৮ হাজার ৮১১ জন সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন, মৃত্যুবরণ করেছেন ৮২ জন। এখনো চিকিৎসাধীন আছেন ৩১৭জন।

ডিএমপি সূত্রে জানা যায়, আক্রান্তদের মধ্যে অতিরিক্ত আইজিপি ৬ জন, ডিআইজি ১০, অতিরিক্ত ডিআইজি ১৯, পুলিশ সুপার ১১২, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ১৮৭, সহকারী পুলিশ সুপার ২২৮, ইন্সপেক্টর ৯৫৭, এসআই ৩০০৭, এএসআই ২ হাজার ৮৩৫, নায়েক ৫৫০, কনস্টেবল ৮ হাজার ৮২৩ এবং অন্যান্য ২০৭৭ জন। মোট ১৮ হাজার ৮১১জন।

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় লকডাউন, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে গিয়ে নিজেরা আক্রান্ত হয়েছে পুলিশ। ডিএমপি’র মোট আক্রান্ত ৩ হাজার ১৭৮ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩ হাজার ১১১ জন। মৃত্যুবরণ করেছেন ২৫ জন। এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৪২ জন। আক্রান্তদের মধ্যে যুগ্ম কমিশনার ৩ জন, উপ–পুলিশ কমিশনার ১৬, অতিরিক্ত উপ–পুলিশ কমিশনার ৫০, সহকারী পুলিশ কমিশনার ২৯, ইন্সপেক্টর ১৮০, এসআই ৫৮৮, এএসআই ৫০৫, নায়েক ১০৭, কনস্টেবল ১ হাজার ৫৫৩ ও অন্যান্য ১৪৭ জন। মোট ৩ হাজার ১৭৮ জন।

The post বছরজুড়ে করোনায় আক্রান্ত ১৮ হাজার পুলিশ, মৃত্যু ৮২ appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/38GkZBi

গার্মেন্টসের ৩১ হাজার কোটি টাকার অর্ডার ‘বাতিল’

ফাতেহ ডেস্ক:

মহামারী নভেল করোনাভাইরাস ছড়ানো ঠেকাতে ইউরোপ ও আমেরিকাজুড়ে পোশাকের আউটলেটগুলো বন্ধ হওয়ার মধ্যে বিদেশি ক্রেতারা বাংলাদেশি পোশাকের অন্তত ৩৭০ কোটি ডলার বা ৩১ হাজার ২৯০ কোটি টাকার বেশি ক্রয়াদেশ বাতিল করেছে। পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ-কে উদ্ধৃত করে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এই খবর প্রকাশ করা হচ্ছে।

লন্ডনভিত্তিক প্রভাবশালী দৈনিক পত্রিকা দ্য টাইমস বাংলাদেশের গার্মেন্টস-খাত নিয়ে রবিবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে এই তথ্য উল্লেখ করে জানানো হয়েছে, ব্রিটিশ কোম্পানিগুলো অর্ডার বাতিল করায় এই সময়ে বাংলাদেশের বিপদ বেশি বেড়েছে।

মার্চের শেষ দিকে বিজিএমইএ থেকে দাবি করা হয়, ১৪৮ কোটি ডলারের তৈরি পোশাকের ক্রয়াদেশ বাতিল হয়েছে।

ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৯৩১টি বিদেশি ফ্যাশন ব্র্যান্ড তাদের অর্ডার বাতিল করেছে। এরমধ্যে যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের বড় প্রতিষ্ঠান রয়েছে প্রায় ২০টি। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে আছে আরও দশটি।

চীন থেকে নভেল করোনাভাইরাসের নতুন কেন্দ্র ইউরোপে ছড়িয়ে পড়ার পর কোয়ারেন্টাইন ও জনসমাগম বন্ধসহ সতর্কতামূলক নানা পদক্ষেপের মধ্যে চাহিদা কমে যাওয়ায় বিশ্বজুড়ে পোশাকের খুচরা বিক্রিতে ধস নামে।

ব্র্যান্ডগুলোর খুচরা বিক্রির দোকানগুলো একে একে বন্ধ হয়ে যায়।

ট্রেডক্রাফট এক্সচেঞ্জের দেয়া তথ্য থেকে জানা গেছে, জুন পর্যন্ত ব্রিটিশ কোম্পানিগুলো শুধু বাতিল করেছে ১ বিলিয়ন ডলারের অর্ডার। একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাতিল হয়েছে ৫০০ মিলিয়ন ডলারের অর্ডার। জার্মানি, সুইডেন, ফ্রান্স এবং স্পেন থেকে বাতিল হয়েছে আরও ১০০ মিলিয়ন করে।

The post গার্মেন্টসের ৩১ হাজার কোটি টাকার অর্ডার ‘বাতিল’ appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3hocajD

জুনে এসএসসি, জুলাই-আগস্টে এইচএসসির পরিকল্পনা : শিক্ষামন্ত্রী

ফাতেহ ডেস্ক:

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘২০২১ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা জুনে এবং এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা জুলাই-আগস্টে নেওয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা করছে সরকার।‘

আজ মঙ্গলবার দুপুরে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান শিক্ষামন্ত্রী। এতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব অনলাইনে যুক্ত ছিলেন।

এ সময় শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, ‘২০২০ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল অধ্যাদেশ জারি করে প্রকাশ করা হবে। যেহেতু বিশেষ ব্যবস্থায় বিকল্প পদ্ধতিতে এ ফল প্রকাশ করা হচ্ছে সে কারণে আইন অনুযায়ী একটি অধ্যাদেশ জারি করতে হবে।’

ডা. দীপু মনি বলেন, ’শুধু বাংলাদেশেই নয়, মহামারি করোনা পরিস্থিতির কারণে সারা বিশ্বেই পাবলিক পরীক্ষা বাতিল করে বিকল্প ব্যবস্থায় পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হয়েছে।’

শিক্ষামন্ত্রী জানান, এ বছর মোট পরীক্ষার্থী ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৯ জন। আটজনের সমন্বয়ে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারাই এসব বিষয় তদারকি করছে। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী সব ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

এদিকে, বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে দেশের কওমি মাদ্রাসা বাদে সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আগামী ১৬ জানুয়ারি বন্ধ রয়েছে।

গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের পর ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দফায় দফায় ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হয়। বন্ধের মধ্যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে টিভিতে ক্লাস সম্প্রচার করা হচ্ছে। আর উচ্চ মাধ্যমিক এবং উচ্চ শিক্ষাস্তরে অনলাইনে ক্লাস পরিচালনা করছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো।

করোনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের কারণে এ বছর প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি সমাপনী, অষ্টমের সমাপনী ছাড়াও এইচএসসি পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। জেএসসি ও এসএসসির ফলের ভিত্তিতে এইচএসসির ফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত হলেও অন্যান্য শ্রেণিগুলোয় পরীক্ষা ছাড়া পরবর্তীতে ক্লাসে তুলে দেওয়া হবে। আর মাধ্যমিকের ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত অ্যাসাইনমেন্ট দিয়ে মূল্যায়ন করা হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।

The post জুনে এসএসসি, জুলাই-আগস্টে এইচএসসির পরিকল্পনা : শিক্ষামন্ত্রী appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3o9i9uY

Monday, December 28, 2020

ভোট চলাকালীন বিএনপির মেয়র প্রার্থীর মৃত্যু

ফাতেহ ডেস্ক:

খুলনার দাকোপ উপজেলার চালনা পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আবুল খায়ের খান (৬০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি করোনা আক্রান্ত ছিলেন।

সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে তার মৃত্যু হয়। তিনি স্ত্রী, একমাত্র মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তিনি দাকোপের চালনা পৌরসভার নলোপাড়া গ্রামের মৃত আয়জ উদ্দিনের ছেলে।

খুলনা জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

গত ৩ ডিসেম্বর করোনা শনাক্ত হন মেয়রপ্রার্থী আবুল খায়ের। পরে তিনি খুলনার গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। প্রতীক বরাদ্দের পর তিনি আর এলাকায় ফিরতে পারেননি। ২৩ ডিসেম্বর অবস্থার অবনতি হলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে তাকে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭৮ সালে জাতীয়তাবাদী যুবদলের মাধ্যমে বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় নেতৃত্বে অংশ নেন আবুল খায়ের। এরপর ১৯৮৮ সাল থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দাকোপ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এবং সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া খুলনা জেলা বিএনপির সহ-সভাপতিসহ দলের বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

২০০৪ সালে চালনা পৌরসভার প্রশাসক হিসেবে ১৩ মাস দায়িত্ব পালন করেন বিএনপি নেতা আবুল খয়ের খান।

The post ভোট চলাকালীন বিএনপির মেয়র প্রার্থীর মৃত্যু appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3ruhPJH

করোনা নিয়ে রিপোর্ট করা চীনা সাংবাদিকের বিচার শুরু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর পর চীনের উহানে এ নিয়ে প্রতিবেদনকারী সাংবাদিক ঝ্যাং ঝানের (৩৭) বিচার সোমবার শুরু হয়েছে। খবর এএফপির।

ঝ্যাংয়ের বিরুদ্ধে করা সংশ্লিষ্ট মামলার বিচার সাংহাইয়ের একটি আদালতে সোমবার সকালে শুরু হয়। এ সময় আদালতের বাইরে তার সমর্থকরা জড়ো হন। কিন্তু বিচারকাজ দেখতে আসা সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকদের আদালতে ঢুকতে দেয়নি পুলিশ।

সরকারি আইনজীবীরা ঝ্যাংকে চার থেকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়ার সুপারিশ করেছেন। তবে তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন।

ঝ্যাং ঝান গত ফেব্রুয়ারিতে উহানে যান। সেখান থেকে তিনি কতগুলো প্রতিবেদন করেন। এসব প্রতিবেদন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়। এর পরই সরকারের রোষানলে পড়েন তিনি।

The post করোনা নিয়ে রিপোর্ট করা চীনা সাংবাদিকের বিচার শুরু appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3n0rWT6

Sunday, December 27, 2020

নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করলো সৌদি

ফাতেহ ডেস্ক:

বিদেশি নাগরিকদের (অনারব) সৌদি ছাড়ার ওপর নিশেষাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে দেশটি। এর ফলে সৌদিতে অবস্থানরত অন্যান্য দেশের লোকজন রিয়াদ ছাড়তে পারবেন বলে জানা গেছে।

সৌদি গেজেটের খবরে বলা হয়, গতকাল রোববার দেশটির বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (জিএসিএ) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এ সংক্রান্ত নির্দেশনা বিমান সংস্থাগুলোর কাছে পৌঁছে দেয়া হয়েছে।

জিএসিএ জানায়, সৌদি বিমানবন্দর থেকে অনারব যাত্রীদের এখন থেকে পরিবহন করতে পারবে বিদেশি বিমান সংস্থাগুলো। এ ক্ষেত্রে করোনা সংক্রমণ ছড়ানো রোধে পূর্ব সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

এ সংক্রান্ত নির্দেশনায় আরো বলা হয়, ভাড়া বিমান ব্যবহার করা যাবে। তবে বিমানের ক্রুরা বিমান থেকে নামতে পারবেন না। বন্দরে দায়িত্ব পালন করা স্টাফ বা কর্মকর্তাদের সংস্পর্শে যেতে পারবেন না তারা।

সম্প্রতি করোনার নতুন স্ট্রেইন শনাক্ত হওয়ার পর গত সপ্তাহে সব ধরনের বাণিজ্যিক ফ্লাইট বন্ধ করে সৌদি সরকার। এমনকি সীমান্তও বন্ধ করে দেয়া হয়।

The post নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করলো সৌদি appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/2JrA4hC

কলকাতা বইমেলা স্থগিত

ফাতেহ ডেস্ক:

অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে কলকাতা বইমেলা। আয়োজক সংস্থা পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ডের তরফ থেকে রোববার ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় জানান, করোনা পরিস্থিতিতে কিছু সময়ের জন্য বইমেলা পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বইমেলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হবে।

এক বিবৃতিতে ত্রিদিব জানান, ইন্টারন্যাশনাল পাবলিশার্স অ্যাসোসিয়েশন, জেনিভা প্রকাশিত বইমেলা ক্যালেন্ডার অনুসারে ৪৫তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা ২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।

এবারের মেলার থিম কান্ট্রি বাংলাদেশ। বাংলাদেশ সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, আগামী বইমেলায় শেখ মুজিবর রহমানের জন্মশতবর্ষ এবং বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর উদযাপন করার। কিন্তু করোনার এই পরিস্থিতিতে তা ওই সময়ে করা সম্ভব হচ্ছে না।

ত্রিদিব আরো জানান, কোভিড-১৯-এর প্রকোপের কারণে গত মার্চ ২০২০ থেকে এখনো পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের ওপর বিধিনিষেধ জারি রয়েছে, রাজ্যের স্কুল-কলেজ বন্ধ এবং ইতোমধ্যেই অনেক ইউরোপীয় দেশ দ্বিতীয় দফার কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছে। আন্তর্জাতিক বইমেলার আয়োজক হিসেবে খবর পেয়েছি, লন্ডন, আমেরিকা, প্যারিসের আন্তর্জাতিক বইমেলাও নির্ধারিত তারিখ থেকে পিছিয়ে দেয়া হয়েছে।

তবে পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ড আশা করছেন, কলকাতা বইমেলা ২০২১ সালের কোনো এক সময়ে আয়োজন করা যাবে। এখন পিছিয়ে দিতে বাধ্য হলেও গিল্ডের আশ্বাস, যে মুহূর্তে পরিস্থিতি অনুকূল হবে, ইন্টারন্যাশনাল পাবলিশার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্মতি নিয়ে আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা ২০২১-এর পরবর্তী তারিখ ঘোষণা করা হবে।

The post কলকাতা বইমেলা স্থগিত appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/2Mdmbog

২০২০: মুসলমানদের ওপর করোনার দায় চাপাতে চেয়েছে ভারত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

বছরের শেষ প্রান্তে এসে ফিরে তাকানো যাক পেছনে ফেলে আসা ২০২০ সালে ভারতের ঘটনা পরম্পরার দিকে। বাকি দুনিয়ার মতো ভারতেও করোনাভাইরাস মহামারি এবছর বাকি সব কিছু তছনছ করে দিয়েছে। বস্তুত গোটা দুনিয়ায় এখনও পর্যন্ত ভারতেই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক কোভিড রোগী শনাক্ত হয়েছেন।

এর পাশাপাশি বছরের শুরুতে নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বা বছরের শেষে কৃষক আন্দোলনেও উত্তাল হয়েছে ভারত। ভয়াবহ হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গায় রক্তাক্ত হয়েছে রাজধানী দিল্লি। এই প্রতিবেদনে নজর দেওয়া মুসলিম বিরোধী ঘটনার দিকে।

নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ

করোনাভাইরাসের সঙ্গে তখনও ভারতের পরিচয় হয়নি – এদেশে ২০২০ সাল শুরু হয়েছিল তখন সদ্য পাস-হওয়া নাগরিকত্ব আইন আর প্রস্তাবিত এনআরসি-র বিরুদ্ধে দেশব্যাপী উত্তাল প্রতিবাদের মধ্যে দিয়ে।

এই উদ্যোগকে অনেকেই দেখেছিলেন সমাজের একটা শ্রেণীকে নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত করার চেষ্টা হিসেবে – যারা শপথ নিচ্ছিলেন কিছুতেই সরকারের কাছে নিজেদের পরিচয়ের নথিপত্র পেশ করবেন না, কাগজ দেখাবেন না!

দিল্লির শাহীনবাগ হয়ে উঠেছিল নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের এপিসেন্টার। আট থেকে আশি বছর বয়সী মুসলিম নারীরাই সে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। তারা বলছিলেন, ‘আমাদের দেশদ্রোহী বা পাকিস্তানি বলে চিহ্নিত করার হাজার চেষ্টা সত্ত্বেও ভারতীয়রা কিন্তু সেই চেষ্টার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন।’

জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার ছাত্রী তবাসসুম বিবিসিকে বলছিলেন, ‘কাশ্মীরের অবরোধ, এনআরসি-র ঘোষণা বা মুসলিমদের পিটিয়ে মারার ঘটনা যখন ঘটেছে তখন কিন্তু দেশ পথে নামেনি। আজ অবশেষে নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে সারা দেশের সঙ্গে দিল্লি রাজপথে নেমে এসেছে – আমি এখন কীভাবে ঘরে আটকে থাকতে পারি?’

দিল্লিতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা

ফেব্রুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে এই বিক্ষোভকারীরাই যখন উত্তর-পূর্ব দিল্লির জাফরাবাদে পথ অবরোধ করে অবস্থান বিক্ষোভে বসলেন, পরিস্থিতি দ্রুত অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠল।

বিজেপির বিতর্কিত নেতা কপিল মিশ্র পুলিশ কর্মকর্তাদের সামনে দাঁড়িয়েই হুমকি দিলেন, ভালোয় ভালোয় রাস্তা খালি না-করা হলে তারা হাত গুটিয়ে বসে থাকবেন না এবং পরিণতির জন্যও দায়ী থাকবেন না।’

পরবর্তী প্রায় চারদিন ধরে রাজধানীর এক বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে যে সাম্প্রদায়িক তান্ডব চলল, তাতে কম করে ৫৩জন নিহত হলেন – যার দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি ছিলেন মুসলিম।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তখন দিল্লি সফরে, এরই মধ্যে জ্বালিয়ে দেওয়া হল শহরের অসংখ্য মসজিদ। নালা থেকে উদ্ধার হল দাঙ্গায় নিহতদের লাশ।

মুস্তাফাবাদে ভস্মীভূত ফারুকিয়া মসজিদে দাঁড়িয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা সেদিন বিবিসিকে বলছিলেন, আরএসএসের গুন্ডারা কীভাবে নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে আর লুঠতরাজ করেছে। তাদের অভিযোগ ছিল, “হামলার সময় দিল্লি পুলিশ ছিল নীরব দর্শকের ভূমিকায়। আর এই হামলা থেকে রেহাই পায়নি মাদ্রাসার ছোট ছোট ছাত্ররাও।”

সম্পন্ন একজন মুসলিম ব্যবসায়ীর বাসার ড্রয়িংরুমে সেদিন আশ্রয় নিয়েছিলেন শত শত মুসলিম নারী-শিশু-পুরুষ, ভয়ার্ত সেই মানুষগুলোকে প্রশাসন দেখতেও আসেনি।

মাসকয়েক পরে দিল্লি পুলিশ যখন এই দাঙ্গার চার্জশিট জমা দিল, তারা কিন্তু দায়ী করল নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে যারা বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন, তাদেরই।

করোনায় মুসলিম বিদ্বেষ

করোনা পরিস্থিতি ভারত জুড়ে ক্রমেই ছড়িয়ে পড়েছিল মুসলিম বিদ্বেষ (Islamophobic)। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের জন্য দায়ী করা হয় মুসলিমদের। করোনা ছড়িয়ে দিচ্ছে মুসলিমরা এই অজুহাতে দেশের বেশ কয়েকটি জায়গায় আক্রমণ করা হয় মুসলমানদের।

হাফিজ মোহাম্মদ নাসিরুদ্দিন (৪৪) দক্ষিণ ভারতের কর্ণাটকের রাজ্যের বিদার জেলার হুমনাবাদে তার বন্ধুর বাড়ি থেকে কিছু শাকসবজি তুলতে গিয়েছিলেন। পথে একজন পুলিশ কর্মকর্তা তার স্কুটারে থামিয়ে দিয়েছিল। নাসিরুদ্দিন বলেন, একজন পুলিশ অফিসার তাকে মুসলমান বলে লাঞ্ছিত করে এবং করোনাভাইরাস ছড়িয়ে দেয়ার জন্য তাকে দোষারোপ করে, তাকে প্রায় এক ঘন্টা আটকে রাখা হয়েছিল। সে সময় অন্যান্য যানবাহনও রাস্তায় ছিল, তিনি বিশ্বাস করেন যে, শুধু ধর্মের কারণে তাকে থামানো হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘আমি একজন ইমাম, তাই টুপি, জোব্বা পরে থাকি এবং আমার দীর্ঘ দাড়ি আছে। পুলিশ আমাকে মারতে শুরু করে এবং বলতে থাকে যে আমার এবং আমার সম্প্রদায়ের কারণেই এই রোগটি ছড়িয়ে পড়ছে।’

নাসেরুদিন একা নন। ভারতে বিস্তৃত করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবে মুসলিমদের দায়ী করে প্রচারণা চালানোয় রাস্তায় এবং অনলাইনগুলিতে ইসলামফোবিক আক্রমণের টার্গেট হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ রাজধানী নয়াদিল্লিতে মুসলিম পরিবারগুলিতে রেশন কিট বিতরণকারী স্বেচ্ছাসেবীরা বলেছেন যে, তারা পুলিশের কাছ থেকে হয়রানির মুখোমুখি হচ্ছে এবং তারা বাইরে যেতে ভয় পাচ্ছে। পাঞ্জাবে, মুসলিম দুধ উৎপাদকরা বলছেন যে তাদের গ্রামবাসীরা হুমকি দিয়েছে, তাদের বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালিয়েছে এবং লোকেরা তাদের পণ্য কিনতে কিনতে ভয় পাচ্ছে।

The post ২০২০: মুসলমানদের ওপর করোনার দায় চাপাতে চেয়েছে ভারত appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3aGKi94

বিএনপির কমিটি নেই কয়েকটি জেলায়

ফাতেহ ডেস্ক:

প্রায় দেড় বছর ধরে কমিটি নেই ফরিদপুর জেলা বিএনপির। জেলা কমিটি বিলুপ্ত করায় ফেব্রুয়ারি থেকে নারায়ণগঞ্জ বিএনপিও চলছে নেতৃত্বহীনভাবে। আর মাদারীপুর জেলা কমিটি ভেঙে ২০১৯ সালের জুনে আহবায়ক কমিটি করলেও কেন্দ্রের নির্দেশ অমান্য করায় চলতি বছরের মার্চে সে কমিটিও স্থগিত করা হয়।

তৃণমূলের নেতাদের মতে, এমনিতেই নেতৃত্বের কোন্দল স্থানীয় রাজনীতির বড় বাধা। তার ওপর দীর্ঘদিন কমিটি না থাকায় সাংগঠনিকভাবেও দল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে ১০ বছরের পুরোনো ফরিদপুর জেলা বিএনপির কমিটি ভেঙ্গে আহবায়ক কমিটি গঠনের নির্দেশনা দেয় কেন্দ্র। তা এখনো বাস্তবায়িত হয়নি।

বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও ফরিদপুর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জহিরুল হক শাহজাদা মিয়া বলেন, চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ মৃত্যুর আগেই একটি কমিটি করে রাখেন এবং নেতৃবৃন্দের কাছেও দিয়েছিলেন। এর আগেও উনি একটি পূর্ণ কমিটি দিয়েছিলেন ভাইস চেয়ারম্যানের কাছে। খালেদা জিয়া সেটি অনুমোদন দিতে চেয়েছিলেন, কিন্তু কি কারণে অনুমোদন পেলো না সেটা আমি বলতে পারবো না।”

গত ফেব্রুয়ারিতে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কমিটি ভেঙ্গে দেয়া হয়, নতুন কমিটি করা হয়নি এখনো।

বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, “অনেকেই আছেন কাজ করেন না। সরকারি দলের সাথে লিয়াজু করেন।এমন লোকদের কমিটিতে না এনে রাজপথের লোক বাছাই করা হচ্ছে।”

একদশক পর মাদারীপুর জেলা বিএনপির কমিটি ভেঙ্গে ২০১৯ সালের জুনে আহবায়ক কমিটি করা হয়। তবে, চলতি বছরের মার্চে কেন্দ্র থেকে সেই কমিটিও স্থগিত করা হয়।

মাদারীপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট জাফর আলী মিয়া বলেন, “কিছু লোকের ভুল ধারণায় কেন্দ্র আমাকে আত্মসমর্পণের কোনো সুযোগ না দিয়ে এটা করেছে। এই স্থগিত আদেশটা অনতিবিলম্বে তুলে নেয়া উচিৎ।

এই তিনটি জেলার বিভিন্ন স্তরের নেতাদের দাবি, স্থানীয় নেতৃত্বের কোন্দল নিরসনের মাধ্যমে শিগগিরই নতুন কমিটি না হলে দল ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

মাদারীপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ পারভেজ বলেন, “এই দ্বিধা যদি আমাদের মধ্যে বিরাজমান হয়। চলতেই থাকে তাহলে একটা সময় এই সংগঠনের প্রতি মানুষ বিমুখ হয়ে যাবে, সংগঠন নেতৃত্বহীন হয়ে পড়বে।”

ফরিদপুর জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ জুলফিকার হোসেন জুয়েল বলেন, “কমিটি না থাকায় নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে। দ্রুত জেলা বিএনপি’র কমিটি প্রয়োজন।”

ফরিদপুর বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ জানালেন, করোনা মহামারির কারণে দলীয় কাজ কিছুটা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। তবে, দ্রুতই সমস্যার সমাধান করা হবে।

তিনি বলেন, আমাদের বিভিন্ন জেলার সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডগুলো স্থগিত ছিল কেন্দ্র থেকে। সে কারণে আমরা ফরিদপুর জেলা কমিটির কাজ গুলো করতে পারিনি, হয়তো শিগগিরি হবে।”

The post বিএনপির কমিটি নেই কয়েকটি জেলায় appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/2L4csjG

বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ১৭ লাখ ৭১ হাজার ছাড়াল

ফাতেহ ডেস্ক:

সম্প্রতি ব্রিটেনে ছড়িয়ে পড়া নতুন ধরনের করোনা ফ্রান্স, স্পেন ও সুইডেনসহ ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে শনাক্ত হয়েছে। এ ছাড়া জাপান, কোরিয়াসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ছে। বাংলাদেশেও এই ধরনের করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। ফলে বিশ্বজুড়ে এখন নতুন চোখ রাঙাচ্ছে করোনা। এক গবেষণায় জানা গেছে, এই করোনা আগের করোনার চেয়ে ৭০ শতাংশ বেশি ছড়ায়। সে ক্ষেত্রে ভয়াবহ এক পরিস্থিতির দিকেই যাচ্ছে বিশ্ব।

বর্তমানে বিশ্বে করোনায় ইতোমধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৮ কোটি। মহামারিতে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত বিশ্বে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৭ লাখ ৭১ হাজারেরও বেশি।

করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের সংখ্যা ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮ কোটি ১১ লাখ ৩৫ হাজার ১৬৩ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১৭ লাখ ৭১ হাজার ৪৪৮ জনের। সুস্থ হয়েছেন ৫ কোটি ৭২ লাখ ৮৩ হাজার ৪৯৫ জন।

করোনায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। তালিকায় শীর্ষে থাকা দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন এক কোটি ৯৫ লাখ ৭৩ হাজার ৮৪৭ জন। মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৪১ হাজার ১৩৮ জনের।

আক্রান্তে দ্বিতীয় ও মৃত্যুতে তৃতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে এখন পর্যন্ত সংক্রমিত হয়েছেন এক কোটি দুই লাখ আট হাজার ৭২৫ জন এবং মারা গেছেন এক লাখ ৪৭ হাজার ৯৪০ জন।

আক্রান্তে তৃতীয় এবং মৃত্যুতে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে এখন পর্যন্ত করোনায় ৭৪ লাখ ৮৪ হাজার ২৮৫ জন মানুষ সংক্রমিত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে এক লাখ ৯১ হাজার ১৪৬ জনের।

চতুর্থ অবস্থানে থাকা রাশিয়ায় করোনায় সংক্রমণের সংখ্যা ৩০ লাখ ৫০ হাজার ২৪৮ জন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৫৪ হাজার ৭৭৮ জনের।

পঞ্চম স্থানে থাকা ফ্রান্সে এখন পর্যন্ত করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ২৫ লাখ ৫৯ হাজার ৬৮৬ জন। এর মধ্যে মারা গেছে ৬২ হাজার ৭৪৬ জন।

গত বছরের ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হয়। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২১৮টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে কোভিড-১৯।

The post বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ১৭ লাখ ৭১ হাজার ছাড়াল appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3aN9pqU

করোনা সহায়তা বিলে ট্রাম্পের স্বাক্ষর

ফাতেহ ডেস্ক:

করোনাভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহায়তা সংক্রান্ত বিলে স্বাক্ষর করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

এর আগে এ বিলটিকে ‘বাজে খরচ’ বলে ট্রাম্প মন্তব্য করেন। তার দাবি, এটি মহামারি মোকাবিলায় কোনও ভূমিকা রাখতে পারবে না। এজন্য তিনি এই বিলে স্বাক্ষর করতে অস্বীকৃতি জানান।

দীর্ঘ আলোচনার পর কংগ্রেস করোনার আর্থিক ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে ৯০ হাজার কোটি ডলারের তৃতীয় সহায়তা প্যাকেজ পাস করে সোমবার। এ তহবিল থেকে প্রতি আমেরিকান ৬০০ ডলার পাবেন। বেকাররা আরও ৩০০ ডলার করে সাপ্তাহিক ফেডারেল বেকার ভাতা পাওয়ার কথা। এর মাধ্যমে প্রায় করোনা মহামারীতে চাকরি হারিয়ে অসহায় এক কোটি ৪০ লাখ মার্কিনি সহায়তা পাবেন।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এখন ফ্লোরিডায় রয়েছেন। শেষ পর্যন্ত কেন তিনি বিলে সই করার সিদ্ধান্ত নিলেন তা জানা যায়নি। যদিও তার উপর কংগ্রেসের উভয় পক্ষ থেকেই ক্রমবর্ধমান চাপ ছিল।

বিলে স্বাক্ষর না করায় নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ট্রাম্পের সমালোচনা করেছিলেন। শনিবার তিনি বলেছিলেন, ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার দায় এড়িয়ে যাচ্ছেন। এটি ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে।

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩ লক্ষ ৩০ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে। প্রতিদিনের মৃত্যুর সংখ্যা বর্তমানে প্রায় ৩হাজারেরও বেশি।

The post করোনা সহায়তা বিলে ট্রাম্পের স্বাক্ষর appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3ptZo60

২০২০: যুদ্ধের দামামা বাজলো যে দেশগুলোতে

ফাতেহ ডেস্ক:

শেষ হচ্ছে ২০২০ সাল। রীতিমত ঘটনাবহুল একটি বছর। করোনা উপেক্ষা করে এ বছর যুদ্ধে জড়িয়েছে কয়েকটি দেশ।

নাগোর্নো-কারাবাখ

পূর্ব ইউরোপে দক্ষিণ ককেশাসের বিরোধপূর্ণ এলাকাটিকে কেন্দ্র করে ২৭শে সেপ্টেম্বর আবার যুদ্ধের দামামা বেজে ওঠে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে। এই এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুটো দেশের মধ্যে এর আগেও সংঘর্ষ হয়েছে। সমঝোতার মাধ্যমে ছয় বছর ধরে চলা যুদ্ধ ১৯৯৪ সালে থেমে গেলেও তাদের মধ্যে কখনও শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়নি।

আন্তর্জাতিকভাবে এই এলাকাটি আজারবাইজানের অংশ বলে স্বীকৃত হলেও, আর্মেনিয়ার সরকারের সমর্থনে জাতিগত আর্মেনীয়রা এটি নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। দুটো দেশই এলাকাটিকে তাদের নিজেদের অংশ বলে দাবি করে। প্রথমত, রাশিয়ার মধ্যস্থতায় কয়েকটি শান্তি চুক্তি হলেও তা কার্যকর হয়নি।
অবশেষে যুদ্ধবিরতি চুক্তি করতে বাধ্য হয় আর্মেনিয়া। তারা আজারবাইজানকে অধিকৃত অঞ্চলগুলো ফিরিয়ে দেয়।

ছয় সপ্তাহের বেশি চলা রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে দু পক্ষের ৫ হাজারের বেশি সৈন্য প্রাণ হারিয়েছে।

ইথিওপিয়া

দেশটির সরকারি বাহিনীর সাথে উত্তরে টিগ্রে’র ক্ষমতাসীন দল টিগ্রে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট (টিপিএলএফ)এর মধ্যে তীব্র লড়াই শুরু হয় নভেম্বর মাসে।

ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যাবি আহমেদ টিগ্রের আঞ্চলিক বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে বলেন টিগ্রেতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সেনা ঘাঁটিতে টিপিএলএফের হামলার জবাবে তিনি সামরিক আগ্রাসনের নির্দেশ দিয়েছেন।

টিপিএলএফ-এর নেতাদের সাথে মি. আহমেদের তিক্ত সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। সাম্প্রতিক সংঘর্ষে শত শত মানুষ মারা গেছে এবং কয়েক হাজার মানুষ ঘড়ছাড়া হয়েছেন। সরকারি বাহিনী টিগ্রের ওপর স্থল ও বিমান আক্রমণ চালিয়েছে।

লিবিয়া

এই দেশটিতেও দীর্ঘদিন ধরে চলা অশান্তির আগুনে ভাঁটা পড়েনি। বর্তমানে লিবিয়ায় জাতিসংঘের সমর্থন পুষ্ট সরকার, বিদ্রোহী নেতা জেনারেল খালিফা হাফতারের বিদ্রোহী বাহিনীর সাথে লড়ছে। লিবিয়ার পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলের বড় অংশ এই মুহূর্তে খালিফা হাফতারের বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে।

লিবিয়া নিয়ে নেটো জোটভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে মতভেদ এবং লিবিয়ার বিবদমান দু’পক্ষের পেছনে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এই সঙ্কটকে আরও জটিল করে তুলেছে।

জেনারেল হাফতারের বাহিনীকে সহায়তা করছে রাশিয়া, মিশর, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। অন্যদিকে ত্রিপলি সরকারের পেছনে রয়েছে তুরস্ক ও তার মিত্র দেশ কাতার।

লিবিয়ার যুদ্ধেও প্রাণ হারিয়েছে কয়েক হাজার মানুষ, বাস্তুহারা হয়েছে কয়েক লাখ।

দুই বিবদমান পক্ষের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ এখনও চলছে এবং লিবিয়া বিষয়ে জাতিসংঘের দূত নভেম্বরের মাঝামাঝি নাগাদ জানিয়েছেন দুই পক্ষ একটা নির্বাচনের রূপরেখা নিয়ে প্রাথমিকভাবে একমত হয়েছে।

তথ্যসূত্র: বিবিসি

The post ২০২০: যুদ্ধের দামামা বাজলো যে দেশগুলোতে appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3nNmNPj

২০২০ সালের সবচেয়ে নিন্দিত দেশ ইজরাইল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

বিদায়ী ২০২০ সালে জাতিসংঘে সবচেয়ে নিন্দিত দেশ হয়েছে ইজরাইল। করোনা মহামারীর মধ্যেও ইজরাইলের দমন-পীড়ন থেমে ছিল না। জাতিসংঘের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণকারী জেনেভাভিত্তিক বেসরকারি সংস্থা ইউএন ওয়াচ জানায়, ২০২০ সালে জাতিসংঘ সবচেয়ে বেশি নিন্দা করেছে ইজরাইলকে।

আল জাজিরা জানিয়েছে, বিদায়ী ২০২০ সালে জাতিসংঘে সবচেয়ে নিন্দিত দেশ হয়েছে ইজরাইল। গত সপ্তাহে দুটি নিন্দা প্রস্তাবসহ এ সংখ্যা ১৭। বাকি বিশ্বের দেশগুলোর ক্ষেত্রে এমন প্রস্তাব এসেছে মোট ৬টি।

ইজরাইলের বিরুদ্ধে আসা প্রস্তাবগুলোর মধ্যে দুটি ছিল ফিলিস্তিন ও সিরিয়ার প্রাকৃতিক সম্পদ লণ্ঠনের বিষয়ে। দখলকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনের ও গোলান মালভূমিতে সিরিয়ার প্রাকৃতিক সম্পদ চুরি করে ইজরাইল। এছাড়া গোলান মালভূমিতে অবৈধ দখলদারি ধরে রাখা ও সেখানে বসতি স্থাপনের একটি, ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের সম্পত্তি ও তাদের রাজস্ব ফেরত দেয়া সংক্রান্ত একটি নিন্দা প্রস্তাব রয়েছে তেলআবিবের বিরুদ্ধে।

জাতিসংঘের নিন্দা প্রস্তাবের কোনো কার্যকারিতা না থাকলেও বিশ্বব্যাপী এর প্রতীকী তাৎপর্য রয়েছে।

The post ২০২০ সালের সবচেয়ে নিন্দিত দেশ ইজরাইল appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3aKSBAP

একেক দিন একেক শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক দেয়া হবে

ফাতেহ ডেস্ক:

স্কুল বন্ধ রেখেই শিক্ষার্থীদের সশরীরে উপস্থিত করে এবার নতুন পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হবে। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্কুল থেকে বই নিতে হবে। একেক দিন একেক শ্রেণির শিক্ষার্থীদের হাতে প্যাকেটজাত বই তুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এবার ক্লাস ও রোল অনুযায়ী নতুন বই প্যাকেটজাত করে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। ভিন্ন ভিন্ন দিনে ক্লাস ও রোল অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নোটিশ বোর্ডে শিডিউল দেয়া থাকবে। নির্ধারিত দিনে শিডিউলভুক্ত ক্লাসের শিক্ষার্থীরা বই সংগ্রহ করতে পারবে।

গণমাধ্যমে মাউশির পরিচালক (বিদ্যালয়) বেলাল হোসাইন জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবার স্কুল থেকেই নতুন বই বিতরণ করা হবে। এ বিষয়ে রোববার (২৭ ডিসেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা জানানো হয়েছে।

জানা গেছে, বিতরণের জন্য এ বছর প্রায় ৩৫ কোটি বই মুদ্রণ করেছে সরকার। এর মধ্যে মাধ্যমিকের বই প্রায় ২৪ কোটি ৩৪ লাখ। বাকিটা প্রাথমিক স্তরের। ১ জানুয়ারির আগে মাধ্যমিক স্তরের সব বই না পৌঁছলেও প্রাথমিক স্তরের সব বই পৌঁছে যাবে স্কুলে স্কুলে।

করোনা মহামারির কারণে নতুন বছরের বই উৎসব ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী ৩১ ডিসেম্বর সব স্তরের পাঠ্যপুস্তকের উদ্বোধন করা হবে। ১ জানুয়ারি থেকে স্কুলগুলোতে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বছরের বই তুলে দেয়া হবে।

The post একেক দিন একেক শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক দেয়া হবে appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/2WLqFUX

আবার বেড়েছে করোনায় মৃত্যু

ফাতেহ ডেস্ক:

\করোনা ভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৭ হাজার ৪৫২। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১০৪৯ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। এ নিয়ে দেশে মোট করোনা রোগী শনাক্ত হলো ৫ লাখ ৯ হাজার ১৪৮ জন।

রোববার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেলে করোনাভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সংস্থার অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, এ দিন সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৪৭৩ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ৫১ হাজার ৯৬১ জন।

এর আগে শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) দেশে আরও ৮৩৪ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। এছাড়া আক্রান্তদের মধ্যে মারা যান আরও ৩০ জন।

এদিকে, করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের সংখ্যা ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, রোববার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮ কোটি ৭১ লাখ ৮৬৬ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১৭ লাখ ৬৪ হাজার ৩৭৪ জনের। সুস্থ হয়েছেন ৫ কোটি ৬৮ লাখ ৯৯ হাজার ২৫৮ জন।

করোনায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। তালিকায় শীর্ষে থাকা দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন এক কোটি ৯৪ লাখ ৩৩ হাজার ৮৪৭ জন। মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৯২১ জনের।

আক্রান্তে দ্বিতীয় ও মৃত্যুতে তৃতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে এখন পর্যন্ত সংক্রমিত হয়েছেন এক কোটি এক লাখ ৮৮ হাজার ৩৯২ জন এবং মারা গেছেন এক লাখ ৪৭ হাজার ৬৫৯ জন।

আক্রান্তে তৃতীয় এবং মৃত্যুতে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে এখন পর্যন্ত করোনায় ৭৪ লাখ ৬৫ হাজার ৮০৬ জন মানুষ সংক্রমিত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে এক লাখ ৯০ হাজার ৮১৫ জনের।

চতুর্থ অবস্থানে থাকা রাশিয়ায় করোনায় সংক্রমণের সংখ্যা ৩০ লাখ ২১ হাজার ৯৬৪ জন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৫৪ হাজার ২২৬ জনের।

The post আবার বেড়েছে করোনায় মৃত্যু appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/37SJyeY

জুনের মধ্যে টিকা পাবে দেশের ২০ শতাংশ মানুষ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ফাতেহ ডেস্ক:

আগামী জুনের মধ্যে দেশের ২০ শতাংশ মানুষকে করোনার টিকা দেয়া যাবে। এমনটা জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
রবিবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে, রাজধানীর মহাখালীতে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের দুটি ভ্যাকসিন ল্যাব পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের একথা জানান তিনি। প্রথমে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের গবেষণাগার পরিদর্শন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহেদ মালেক। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিবেচনায় স্বীকৃতি পেয়েছে পরীক্ষাগারটি। পরে, ভ্যাকসিন গবেষনার জন্য নির্মিত ল্যাবও পরিদর্শন করেন তিনি। এই গবেষনাগারেই দেশের নয়টি রোগের ভ্যাকসিনের মান পরীক্ষা হয়। এসময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পরিদর্শন শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, কোভিড নাইনটিন ভ্যাকসিন কেনার আনুষ্টানিকতা শেষ হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমতির পর জানুয়ারির শেষ অথবা ফেব্রুয়ারির শুরুতেই আসবে ভ্যাকসিন।

জাহিদ মালেক বলেন, ‘কোবিড ভ্যাকসিন যেটা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বাংলাদেশকে দিবে যেটা কমিটমেন্ট করেছে, আশা করি যখন ৯২টি দেশে কোভিড ভ্যাকসিন দিবে বাংলাদেশও তার পপুলেশনের ২০ শতাংশের জন্য পাবে। সেটাও আমরা জুনে আশা করছি।’

নতুন ভাইরাস নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, এরই মধ্যে সার্বিক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। বিমানবন্দরগুলোতে বাড়তি সতকর্তার পাশাপাশি পশ্চিমাদের ভালোভাবে স্বাস্থ্য পরীক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

জাহিদ মালেক আরো বলেন, ‘আমাদের এয়ারপোর্ট স্ক্রিনিং আরো জোরদার করেছি। ইউরোপ থেকে যারা আসবে তাদের জন্য সেপারেট লাইন করতে বলেছি। এবং যারা সার্টিফিকেট ছাড়া আসবে তাদেরকে ৭ দিন কোয়ারেন্টিন করতে বলা হয়েছে।’

দেশের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে অনেকে না জেনেই মন্তব্য করছেন মন্তব্য করে মন্ত্রী দাবি করেন, বাংলাদেশ দক্ষতার সঙ্গে কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে কাজ করছে।

The post জুনের মধ্যে টিকা পাবে দেশের ২০ শতাংশ মানুষ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3mNjmXr

নতুন বছর ও ‘থার্টি ফার্স্ট নাইটে’ যার যার ঘরে থাকার আহ্বান র‌্যাবের

ফাতেহ ডেস্ক:

চলমান করোনা পরিস্থিতিতে সকলকে যার যার ঘরে থেকে নতুন বছর ও ‘থার্টি ফার্স্ট নাইট’ পালনের আহ্বান জানিয়েছেন র‍্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ।

তিনি জানান, আসন্ন ইংরেজি নববর্ষ ও ‘থার্টি ফার্স্ট নাইট’ কে কেন্দ্র করে ঢাকায় কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া সারাদেশে ইংরেজি নববর্ষকে কেন্দ্র করে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

রোববার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে র‍্যাব সদরদপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে সব কথা জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে আশিক বিল্লাহ বলেন, থার্টি ফাস্ট নাইটকে কেন্দ্র করে কোথাও কোন হামলার আশঙ্কা এখন পর্যন্ত নেই। কোন নাশকতার হুমকিও নেই। রাজধানীকে মোট তিন ভাগে ভাগ করে থার্টি ফার্স্ট নাইটের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

পরে চলমান করোনা পরিস্থিতির কথা স্মরণ করিয়ে তিনি সকলকে যার যার ঘরে থেকে নতুন বছর ও ‘থার্টি ফার্স্ট নাইট’ পালনের আহ্বান জানান।

The post নতুন বছর ও ‘থার্টি ফার্স্ট নাইটে’ যার যার ঘরে থাকার আহ্বান র‌্যাবের appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3aIWndI

Saturday, December 26, 2020

বিশ্বে করোনা শনাক্ত ৮ কোটি ছাড়াল

ফাতেহ ডেস্ক:

বিশ্বে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৮ কোটি ১ লাখ ছাড়িয়েছে। অন্যদিকে মৃত মানুষের সংখ্যা ১৭ লাখ ৫৬ হাজার ছাড়িয়েছে।

পরিসংখ্যান নিয়ে কাজ করা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের সর্বশেষ তথ্য বলছে, আজ শনিবার বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টা নাগাদ বিশ্বে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৮ কোটি ১ লাখ ৯৩ হাজার ২৭৪ জন। একই সময়ে বিশ্বে করোনায় মোট মারা গেছেন ১৭ লাখ ৫৬ হাজার ৯৩৮ জন।

ওয়ার্ল্ডোমিটারের সর্বশেষ তথ্য বলছে, এখন পর্যন্ত বিশ্বে করোনা থেকে সেরে ওঠা মানুষের সংখ্যা ৫ কোটি ৬৪ লাখ ৫৯ হাজার ৬১৭ জন।

বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৯২ লাখ ৯ হাজার ৩০৪ জন। দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ৩ লাখ ৩৮ হাজার ২৬৩ জন।

ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় ভারতের অবস্থান দ্বিতীয়। ভারতে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ১ লাখ ৬৯ হাজার ৮১৮ জন। দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ১ লাখ ৪৭ হাজার ৩৭৯ জন।

ব্রাজিল আছে তৃতীয় অবস্থানে। ব্রাজিলে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৭৪ লাখ ৪৮ হাজার ৫৬০ জন। দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ১ লাখ ৯০ হাজার ৫১৫ জন।

তালিকায় রাশিয়ার অবস্থান চতুর্থ। ফ্রান্স পঞ্চম। যুক্তরাজ্য ষষ্ঠ। তুরস্ক সপ্তম। ইতালি অষ্টম। স্পেন নবম। জার্মানি দশম। তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ২৭তম।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের গতকাল শুক্রবারের (২৫ ডিসেম্বর) তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ৫ লাখ ৭ হাজার ২৬৫ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে ৭ হাজার ৩৯৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ৪৮ হাজার ৮০৩ জন।

বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্তের ঘোষণা দেওয়া হয় গত ৮ মার্চ। প্রথম মৃত্যুর তথ্য জানানো হয় ১৮ মার্চ।

গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। চীনে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যু হয় চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি। তবে তার ঘোষণা আসে ১১ জানুয়ারি।

চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে। পরে বিভিন্ন দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়ে।

করোনার প্রাদুর্ভাবের পরিপ্রেক্ষিতে ৩০ জানুয়ারি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

গত ২ ফেব্রুয়ারি চীনের বাইরে করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ফিলিপাইনে।

১১ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাভাইরাস থেকে সৃষ্ট রোগের নামকরণ করে ‘কোভিড-১৯’। গত ১১ মার্চ করোনাকে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

The post বিশ্বে করোনা শনাক্ত ৮ কোটি ছাড়াল appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3przXC8

করোনার নতুন ধরন ছড়াচ্ছে সারা বিশ্বে

ফাতেহ ডেস্ক:

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের (কভিড-১৯) আরও সংক্রামক ধরন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। নতুন এই ধরন (স্ট্রেইন) আগের চেয়ে ৭০ শতাংশ দ্রুততার সঙ্গে ছড়ায়।

বিবিসি জানায়, করোনার এই ধরন যুক্তরাজ্যে প্রথম শনাক্ত হওয়ার পর ইউরোপের কয়েকটি দেশ এমনকি কানাডা ও জাপানেও পাওয়া গেছে।

যুক্তরাজ্য থেকে স্পেন, সুইজারল্যান্ড, সুইডেন এবং ফ্রান্সে যাওয়া কিছু মানুষের শরীরে করোনার নতুন ধরন শনাক্ত হয়েছে। ইউরোপের আটটি দেশে এই করোনা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-ডব্লিউএইচও।

কর্মকর্তারা জানান, কানাডার অন্টারিওতে এক দম্পতি করোনার নতুন ধরনে সংক্রমিত হয়েছে যারা তেমন কোথাও ভ্রমণ করেননি এবং উচ্চ ঝুঁকির কারও সংস্পর্শেও যাননি।

জাপান সোমবার থেকে নন-রেসিডেন্ট সব বিদেশি নাগরিকের দেশটিতে প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে।

যুক্তরাজ্য থেকে যাওয়া পাঁচ যাত্রীর শরীরে করোনার নতুন ধরন শনাক্ত হওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত নেয় দেশটি। এছাড়া নতুন করে আরও দুজন এই করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন যাদের একজন স্থানীয়ভাবে আক্রান্ত হন বলে মনে করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, করোনার নতুন ধরনের বিষয়টি সামনে আসলে সারা বিশ্বে নতুন করে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আসে। বিশেষ করে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে জল-স্থল-আকাশসীমা ব্যবহার বন্ধ করে দেয় ইউরোপসহ বেশকিছু দেশ।

গত সেপ্টেম্বর মাসে প্রথম লন্ডন সহ ইংল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলে করোনাভাইরাসের এই নতুন এবং অত্যন্ত সংক্রামক জাতটি ছড়িয়ে পড়ে।

এটি আগের ভাইরাসের চেয়ে আরও বেশি সহজে এবং দ্রুতগতিতে মানুষের মধ্যে ছড়াতে পারে বলে দেখা গেছে।

করোনাভাইরাসের এই নতুন মিউটেশনটি বেশি সংক্রামক হলেও বিজ্ঞানীরা বলেছেন, এটি অধিকতর বিপজ্জনক এমন কোনো প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি। করোনাভাইরাসের যে টিকা দেয়া শুরু হয়েছে তা এর বিরুদ্ধেও একই রকম কার্যকর হবে।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও প্রায় সাড়ে ৪ লাখ শনাক্তে বৈশ্বিক করোনা সংক্রমণ ৮ কোটি ৭ লাখ ১৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। একই সময়ে আরও সাত হাজারের বেশি প্রাণহানিতে মোট মৃত্যু ১৭ লাখ সাড়ে ৬৪ হাজারে দাঁড়িয়েছে।

The post করোনার নতুন ধরন ছড়াচ্ছে সারা বিশ্বে appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3nRW9Vj

ভ্যাকসিন নিলেন সৌদি যুবরাজ সালমান

ফাতেহ ডেস্ক:

সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান শুক্রবার নভেল করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নিয়েছেন।

আরব নিউজ জানিয়েছে, সালমান ফাইজার-বায়োএনটেকের উদ্ভাবিত করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজটি নিয়েছেন।

দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী যুবরাজের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘সাধারণ মানুষকে ভ্যাকসিন নিতে উদ্বুদ্ধ করতে যুবরাজ সালমান ভ্যাকসিন নিয়েছেন। ভ্যাকসিন নিতে সাহায্য করার জন্য তাকে ধন্যবাদ। আমরা দ্রুত সবাইকে ভ্যাকসিন দিতে চাই।’

তিনি বলেন, ‘জনগণের স্বাস্থ্যের বিষয়টি বিবেচনায় রেখে প্রথমে পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে এই টিকা আনা হয়েছে। আন্তর্জাতিকভাবে অনুমোদিত টিকা আনতে দেশের জনগণের জন্য সরকার কাজ করছে।’

জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সৌদি আরবে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছে তিন লাখ ৬১ হাজার নয়শ তিনজন এবং মারা গেছে ছয় হাজার একশ ৬৮ জন।

সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার টিকাদান কর্মসূচি শুরু হওয়ার পর এ পর্যন্ত ৫ লাখের বেশি মানুষ টিকা নেওয়ার জন্য নিবন্ধন করেছেন। আগামী বছরের শেষ নাগাদ দেশটির ৭০ শতাংশ জনগোষ্ঠীকে টিকা দেওয়া সম্ভব হবে বলে গত নভেম্বরে আশাবাদ ব্যক্ত করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

The post ভ্যাকসিন নিলেন সৌদি যুবরাজ সালমান appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/38yRwt3

৩০ ডিসেম্বর জনগণের ভোটাধিকার হত্যাদিবস পালন করা হবে: মির্জা ফখরুল

ফাতেহ ডেস্ক:

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘৩০ ডিসেম্বর আমরা জনগণের ভোটাধিকারের হত্যাদিবস হিসেবে পালন করা হবে।’

ঠাকুরগাঁওয়ে আজ শনিবার দুপুরে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন মির্জা ফখরুল।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘শুধু আমরা নই, সারা বাংলাদেশের মানুষ সবাই খুব ভালো করে জানে ২০১৮ সালে যে জাতীয় নির্বাচন যেটি হওয়ার কথা ছিল, সেটি ২৯ ডিসেম্বর রাতেই হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগ পুরো রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে সমস্ত ভোট ডাকাতি করে নিয়ে গেছে সেদিন। জনগণকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। তাদের যে লক্ষ্য—একদলীয় শাসন ব্যবস্থা—সেটি প্রতিষ্ঠিত করেছে।’

মির্জা ফখরুল আরো বলেন, ‘করোনাভাইরাসের টিকা নিয়েও সরকার দুর্নীতি ও চুরির অভ্যাস ছাড়তে পারেনি। আমরা এরই মধ্যে দেখেছি করোনার শুরুতে স্বাস্থ্যবিভাগকে দিয়ে কী দুর্নীতি করা হয়েছে। করোনা পরীক্ষায় রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছিল সেখানে দুর্নীতির ফলে বর্তমানে কারাগারে রিজেন্টের মালিক। কিন্তু যে মন্ত্রী বা সচিব সেই চুক্তি করেছিলেন, তাঁদের কোনো জবাব দিতে হয়নি। মূলত বিষয়টি হচ্ছে যে সরকারের মধ্যে কোনো জবাবদিহিতা না থাকে, পার্লামেন্টে যখন কোনো দুর্নীতির জন্য কাউকে কোনো প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা যায় না, তখন তো সে দেশে এই দুর্নীতিটাই স্বাভাবিক।’

মির্জা ফখরুল আরো বলেন, ‘সমগ্র পৃথিবীর মানুষ যখন এই করোনার টিকাকে তারা কিভাবে বিতরণ করবে, কাদের আগে দিবে বা পরে দিবে, কী টাকা লাগবে না লাগবে, এসব নিয়ে আলোচনা করছে। সে সময় কিন্তু আমাদের দেশের সরকার এখন পর্যন্ত স্পষ্ট কিছু বলতে পারেনি।’

এ সময় জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিনসহ জেলা এবং উপজেলা বিএনপির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

The post ৩০ ডিসেম্বর জনগণের ভোটাধিকার হত্যাদিবস পালন করা হবে: মির্জা ফখরুল appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3mO8g4z

‘আ.লীগে অনুপ্রবেশকারী ঢুকিয়ে অশান্তি সৃষ্টিই বিএনপির লক্ষ্য’

ফাতেহ ডেস্ক:

বিএনপি দেশের উন্নয়নে খুশি নয় মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আওয়ামী লীগের মধ্যে অনুপ্রবেশকারী ঢুকিয়ে দিয়ে অশান্তি সৃষ্টি করাই বিএনপির লক্ষ্য।

শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) রাজধানীতে তার সরকারি বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে তথ্যমন্ত্রী এমন মন্তব্য করেন।

আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, দলকে ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার লক্ষ্যে তৃণমূলের নেতৃত্বকে শক্তিশালী করতে হবে। করোনা মোকাবেলা নিয়ে প্রশান্তিতে থাকার সুযোগ নেই।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে করোনা মোকাবেলায় সক্ষম হলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে ওয়েবে মুক্তি পাওয়া ‘নবাব এলএলবি’ সিনেমা প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ওয়েবে রিলিজ দেয়া সিনেমার ক্ষেত্রে কোন সেন্সর বোর্ড নেই। সিনেমাটি সেন্সর বোর্ড হয়ে যায়নি। একটি নীতিমালা প্রয়োজন সব কনটেন্ট প্রচারের জন্য। নীতিমালার জন্য কমিটি গঠন করা হয়েরিপছে। পত্র জারি করা হয়েছে।

The post ‘আ.লীগে অনুপ্রবেশকারী ঢুকিয়ে অশান্তি সৃষ্টিই বিএনপির লক্ষ্য’ appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/2M9LuHO

রাজনীতিতে ত্যাগীদের সুযোগ দিতে হবে: কাদের

ফাতেহ ডেস্ক:

দুর্নীতিবাজদের নির্মূল করে সৎ ও ত্যাগীদের রাজনীতিতে সুযোগ করে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

সদ্য প্রয়াত ফুটবলার বাদল রায়ের স্মরণ সভায় এ আহ্বান জানান তিনি। শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) ওবায়দুল কাদের তার বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ সভায় যুক্ত হন।

বাদল রায় একজন সৎ ও দক্ষ ফুটবলার এবং সংগঠক ছিলেন উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এ দেশের ক্রীড়াঙ্গনে অনেকেই মনে করেন আবাহনী মানে আওয়ামী লীগ, আর মোহামেডান মানে আওয়ামী লীগ বিরোধী প্রতিপক্ষ কিন্তু বাদল রায় প্রমাণ করে গেছেন খেলাধুলায় কোন রাজনীতি নেই।

বাদল রায় তার খেলোয়াড়ি জীবনের শুরু থেকেই মোহামেডানের সাথে যুক্ত ছিলেন কিন্তু মনে প্রাণে একজন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক ছিলেন বলেও জানান তিনি।

তরুণদের খেলাধুলায় সুযোগ করে দেয়ার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, খেলাধুলার সুযোগ না পেলে তরুণরা মাদকসহ সমাজবিরোধী কাজে জড়িয়ে পড়তে পারে।

ওবায়দুল কাদের দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, কেউ কেউ ব্যক্তি স্বার্থে নিজের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য ক্রীড়া ফেডারেশনগুলোকে ব্যবহার করছেন, এর থেকে বের হয়ে আসতে হবে, ক্রীড়া ফেডারেশনগুলোকে দুর্নীতিমুক্ত রাখতে হবে।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, করোনা ভাইরাস কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর নয়, তাই দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ ভাইরাসের মোকাবেলা করতে হবে।

ক্রীড়া পরিবারের উদ্যোগে আয়োজিত সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য মোজাফফর হোসেন পল্টু, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক হারুনর রশিদসহ বিভিন্ন ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দ ও ক্রীড়া সাংবাদিক, খেলোয়াড়, সংগঠক।

এদিকে অভিনেতা আবদুল কাদেরের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) এক শোকবার্তায় মন্ত্রী মরহুমের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান এবং বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।

The post রাজনীতিতে ত্যাগীদের সুযোগ দিতে হবে: কাদের appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/2WLJ7wS

করোনায় ফের মৃত্যু বাড়ল

ফাতেহ ডেস্ক:

মহামারি করোনা ভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৭ হাজার ৪২৮। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৮৩৪ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। এ নিয়ে দেশে মোট করোনা রোগী শনাক্ত হলো ৫ লাখ ৮ হাজার ৯৯ জন।

শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেলে করোনাভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সংস্থার অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, এ দিন সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৬৮৫ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ৫০ হাজার ৪৮৮ জন।

আরও পড়ুন: করোনা মোকাবেলায় দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষে বাংলাদেশ

এর আগে শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) দেশে আরও ১ হাজার ১৬৩ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। এছাড়া আক্রান্তদের মধ্যে মারা যান আরও ২০ জন।

এদিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের সংখ্যা ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮ কোটি ১ লাখ ৯৬ হাজার ৪৭৮ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১৭ লাখ ৫৬ হাজার ৯৭৪ জনের। সুস্থ হয়েছেন ৫ কোটি ৬৪ লাখ ৬১ হাজার ৯৯ জন।

করোনায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। তালিকায় শীর্ষে থাকা দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ১ কোটি ৯২ লাখ ১০ হাজার ১৬৬ জন। মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৩৮ হাজার ২৬৩ জনের।

আক্রান্তে দ্বিতীয় ও মৃত্যুতে তৃতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে এখন পর্যন্ত সংক্রমিত হয়েছেন ১ কোটি ১ লাখ ৬৯ হাজার ৮১৮ জন এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৪৭ হাজার ৩৭৯ জন।

আক্রান্তে তৃতীয় এবং মৃত্যুতে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে এখন পর্যন্ত করোনায় ৭৪ লাখ ৪৮ হাজার ৫৬০ জন মানুষ সংক্রমিত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৯০ হাজার ৫১৫ জনের।

The post করোনায় ফের মৃত্যু বাড়ল appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/2Jj3FcS

Friday, December 25, 2020

করোনায় মারা গেলেন ডা. আনোয়ারুল করিম

ফাতেহ ডেস্ক:

করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন ডাক্তার এস এম আনোয়ারুল করিম (৬০)। শুক্রবার বিকেল ৩টায় রাজধানীর আসগর আলী হাসপাতালে তিনি মারা যান।

জানা গেছে, আনোয়ারুল করিম ১২ দিন ধরে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

ডাক্তার এস এম আনোয়ারুল করিম নিবেদিতা শিশু হাসপাতালের পরিচালক ছিলেন।

The post করোনায় মারা গেলেন ডা. আনোয়ারুল করিম appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3nRUeA7

করোনা মোকাবিলায় সবচেয়ে সফল বাংলাদেশ

ফাতেহ ডেস্ক:

করোনা ভাইরাস মহামারী মোকাবিলায় সর্বশক্তি দিয়েই লড়ছে পৃথিবীর সব কটি দেশ। তবে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ ও মহামারীর অর্থনৈতিক ক্ষতি মোকাবিলায় সব দেশ সমানভাবে সফল হতে পারেনি। এই দুটি বিষয় নিয়ে গত ২১ ডিসেম্বর ‘করোনা সহনশীল’ দেশের আন্তর্জাতিক র‌্যাঙ্কিং প্রকাশ করছে প্রভাবশালী মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ।

এতে চলতি ডিসেম্বরে করোনা মোকাবিলায় বিশ্বে ২০তম অবস্থানে আছে বাংলাদেশ। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যেও এক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান শীর্ষে। কারণ তালিকায় বাংলাদেশের আগে আর কোনো দেশের নাম নেই।

মাসিক এই করোনা সহনশীলতা র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ ১০ দেশ হলো- নিউজিল্যান্ড, তাইওয়ান, অস্ট্রেলিয়া, নরওয়ে, সিঙ্গাপুর, ফিনল্যান্ড, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, চীন ও ডেনমার্ক। বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে তালিকায় পাকিস্তান ২৯ নম্বরে ও ভারত ৩৯ নম্বরে রয়েছে। ব্লুমবার্গের নভেম্বরের র‌্যাঙ্কিংয়ে ২৪ নম্বরে ছিল বাংলাদেশ।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, সংক্রমণ ও মৃত্যুহার নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ দারুণ সফলতা দেখালেও টিকাপ্রাপ্তির নিশ্চয়তায় অনেক পিছিয়ে পড়েছে। বাংলাদেশের মাত্র ৫ শতাংশ মানুষ করোনা টিকার সুবিধার আওতায় রয়েছে। এমনকি টিকাপ্রাপ্তির দিক থেকে বাংলাদেশের চেয়ে ভারত-পাকিস্তান এগিয়ে আছে।

এ মাসে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দিক থেকে তালিকার শীর্ষে থাকা নিউজিল্যান্ডের চেয়েও ভালো অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। ২০২০ সালে নিউজিল্যান্ডের প্রবৃদ্ধি যেখানে মাইনাস ৬.১ শতাংশ হওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হচ্ছে, সেখানে বাংলাদেশের জিডিপি ৩.৮ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

The post করোনা মোকাবিলায় সবচেয়ে সফল বাংলাদেশ appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3rvt2te

বাংলাদেশে কী ধরণের সমরাস্ত্র বিক্রি করতে চায় তুরস্ক

ফাতেহ ডেস্ক:

মাত্র দু’দশক আগে ১৯৯৯ সালেও তুরস্ক ছিলো বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অস্ত্র আমদানীকারক দেশ, আর সেই দেশটিই ২০১৮ সালে এসে বিশ্বের ১৪তম বৃহত্তম অস্ত্র রপ্তানিকারক দেশে পরিণত হয়েছে। সম্প্রতি ঢাকায় এসে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলিত শাভিসলু বলেছেন, যে তাদের অস্ত্র আমদানিকারকদের তালিকায় এখন বাংলাদেশকেও পেতে চাইছেন তারা।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনের সাথে সাক্ষাতের পর তিনি জানান, তুরস্কের প্রতিরক্ষা পণ্যের গুনগত মান ভালো, দামে সুলভ এবং বিক্রির ক্ষেত্রে কোন আগাম শর্ত তারা দেন না। অতীতে বিশ্বের পরাশক্তিগুলোর কাছ থেকে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কিনতে গিয়ে সমস্যা পড়ে তুরস্ক নিজেই অস্ত্র উৎপাদন শুরু করে, এ কথা জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন যে তুরস্ক প্রযুক্তি হস্তান্তর ও বাংলাদেশের সাথে যৌথ উৎপাদনে যেতেও রাজি আছে।

বাংলাদেশের দিক থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ প্রস্তাবে রাজি হওয়ার বিষয়ে সরাসরি কোন ঘোষণা না আসলেও বিশ্লেষকেরা মনে করছেন যে প্রস্তাবটি বাংলাদেশ বিবেচনা করতে পারে। তবে তুরস্ক ঠিক কী ধরণের অস্ত্র উৎপাদন করে এবং বাংলাদেশে কোন ধরণের অস্ত্র তারা রপ্তানি করতে চাইছে, তার বিস্তারিত তথ্য কোন পক্ষ থেকেই প্রকাশ করা হয়নি।

তুরস্কের সরকারি তথ্য বলছে, ২০১৮ সালে তারা ছিলো বিশ্বের ১৪তম বৃহত্তম অস্ত্র রপ্তানিকারক দেশ। তবে রপ্তানি বিষয়ে তুরস্কের সরকারি সংস্থা টার্কিশ এক্সপোর্টার্স অ্যাসেম্বলির প্রকাশ করা তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর জানুয়ারি থেকে অগাস্ট সময়কালে তুরস্কের প্রতিরক্ষা রপ্তানি উল্লেখযোগ্য ভাবে কমে গেছে। গত বছর একই সময়ের তুলনায় এবার এই সময়ে রপ্তানি কমেছে প্রায় ২৬ শতাংশ। তবে এটিও ঠিক যে একদিকে করোনাভাইরাস মহামারি, অন্যদিকে অর্থনৈতিক মন্দার কারণে তুরস্কের মুদ্রার অবনমন হয়েছে, পাশাপাশি দেশটিতে বেড়েছে মুদ্রাস্ফীতি এবং বেকারত্বের হার।

এর আগের বছরগুলোতে অবশ্য ক্রমশই বাড়ছিল তুরস্কের প্রতিরক্ষাসামগ্রী রপ্তানি। গত বছরের অক্টোবরে সিরিয়ায় কুর্দি মিলিশিয়াদের ওপর হামলার পর থেকে ফ্রান্স, ফিনল্যান্ড, সুইডেন, চেক প্রজাতন্ত্র, নেদারল্যান্ড, স্পেন এবং জার্মানি-সহ অনেক দেশ তুরস্কের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলো। ২০১৮ সালে দেশটির সব রফতানি খাতের মধ্যে প্রতিরক্ষাসামগ্রীর রপ্তানির প্রবৃদ্ধিই ছিলো সবচেয়ে বেশি। ওই বছরই প্রথমবারের দেশটি ২০০ কোটি মার্কিন ডলারের প্রতিরক্ষাসামগ্রী রপ্তানি করতে সক্ষম হয়।

এরপর তুরস্ক ২০১৯-২৩ সাল সময়ের জন্য কৌশলগত পরিকল্পনা করে, যাতে ২০২৩ সাল নাগাদ প্রতিরক্ষাসামগ্রীর রপ্তানি ১,০০০ কোটি ডলারে উন্নীত করার কথা বলা হয়। একই সাথে, চাহিদার ৭৫ ভাগ দেশেই উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়। গত অগাস্টে যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক ডিফেন্স নিউজ ম্যাগাজিন তাদের টপ গ্লোবাল ফার্মের তালিকায় স্থান দিয়েছিলো তুরস্কের সাতটি প্রতিরক্ষাসামগ্রী উৎপাদক প্রতিষ্ঠানকে।

আবার সুইডেন-ভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইন্সটিটিউট বা সিপরির তথ্য অনুযায়ী, সামরিক খাতে তুরস্ক গত বছর ব্যয় করেছে ২,০০০ কোটি ডলারের বেশি। তুরস্কের প্রতিরক্ষা খাত নিয়ন্ত্রণ করে মূলত টার্কিশ আর্মড ফোর্সেস ফাউন্ডেশন, যার মূল কর্তৃত্ব প্রেসিডেন্ট রেজেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের হাতে।

সামরিক বিষয়ের একজন বিশ্লেষক এবং বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট ফর পিস অ্যান্ড স্ট্রাটেজিক স্টাডিজের প্রেসিডেন্ট অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আ ন ম মুনীরুজ্জামান জানান যে তুরস্কের ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রি একটি পূর্ণাঙ্গ শিল্পখাত। ‘সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর দরকার এমন সব কিছুই তারা এখন তৈরি করে। বাংলাদেশ আগেও সমরাস্ত্র আমদানি করেছে তাদের কাছ থেকে। তাদের প্রযুক্তিও আধুনিক বলেন তিনি।

তিনি আরো জানান, স্থল বাহিনীর জন্য ট্যাংক, কামান-সহ যুদ্ধাস্ত্র, আর্টিলারি ইকুইপমেন্ট, গোয়েন্দা কার্যক্রম বা নজরদারিতে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি, বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমান থেকে শুরু করে সব কিছু এবং নৌ বাহিনীর যুদ্ধজাহাজ থেকে সব কিছুই এখন তুরস্ক তৈরি করছে।

কোন কোন ক্ষেত্রে কেবল অস্ত্র নয়, বরং অস্ত্র কেনার পর দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষুদ্রাংশ সরবরাহ এবং ব্যাকআপ সার্ভিস দিতে পারে তুরস্ক। এছাড়া, সামরিক কোন বিষয়ে প্রশিক্ষণের দরকার হলে, সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেয়া ক্ষেত্রেও তুরস্কের সক্ষমতা তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

ওদিকে প্রতিরক্ষা বিষয় বিভিন্ন জার্নাল কিংবা তুরস্কের প্রতিরক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন রিপোর্ট থেকে যে ধারণা পাওয়া যায়, তাহলো দেশটি শটগান, রাইফেল, স্নাইপার রাইফেল, লাইট মেশিন গান, হেভি মেশিনগান, ল্যান্ডমাইন, হ্যান্ড গ্রেনেড, রকেট, সেল্ফ প্রপেল্ড গ্রেনেড, অ্যান্টি এয়ারক্রাফট গান-সহ নানা ধরণের অস্ত্র ও সেন্সর তৈরি করে।

আবার নিজেদের তৈরি করা ল্যান্ডমাইন ডিটেক্টর ব্যবহার করে সিরিয়ায় সাফল্য পাওয়ার দাবি করেন দেশটির সামরিক বিশ্লেষকরা। তাছাড়া তুরস্কের একটি কোম্পানি এন্টি ড্রোন ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক গান তৈরি করেছে, যা কম উচ্চতায় থাকা ড্রোনকে ভূপাতিত করতে সক্ষম বলে জানানো হয়েছে। তবে যেটি নিয়ে এখন সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে, সেটি হলো তুরস্কে বানানো ড্রোন। দেশটির চারটি কোম্পানি ড্রোন উৎপাদন করে থাকে। এগুলোর মধ্যে মেশিনগান এবং গ্রেনেড বহনকারী ড্রোনও রয়েছে।

আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে যে আজারবাইজান সাম্প্রতিক যুদ্ধে আরমেনিয়ার বিরুদ্ধে তুরস্কের তৈরি ড্রোন ব্যবহার করে ব্যাপক সাফল্য পায়। নিজস্ব স্যাটেলাইট এবং ভালো মানের রাডার আছে তুরস্কের। এখন তারা ক্রুজ মিসাইল তৈরির কাজ করছে বলে জানা যাচ্ছে।

এর পাশাপাশি নৌ বাহিনীর জন্য তারা যেসব যুদ্ধ সরঞ্জাম তৈরি করছে, তার মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি শিপ মিসাইল, লাইটওয়েট টর্পেডো এবং সোনার সিস্টেম। তারা আন্ডারওয়াটার অ্যাটাক ড্রোন তৈরি নিয়েও কাজ করছে। একই সাথে যুদ্ধজাহাজের ইঞ্জিন তৈরি করা শুরু করেছে দু’বছর আগে।

সুইডেন-ভিত্তিক সিপরির দেয়া তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ এখনই তুরস্ক থেকে কিছু সামরিক সরঞ্জাম আমদানি করছে। এর বাইরে বাংলাদেশ যেসব দেশ থেকে অস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জাম আমদানি করে, সেব দেশের তালিকায় রয়েছে চীন, ইতালি, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, সার্বিয়া, ইউক্রেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং জার্মানি। তবে তুরস্ক এখন চাইছে বাংলাদেশ আরও বেশি পরিমাণ সামরিক সরঞ্জাম তাদের কাছ থেকে সংগ্রহ করুক এবং দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার সাম্প্রতিক সফরে সেই প্রস্তাবই দিয়েছেন।

সূত্র: বিবিসি

The post বাংলাদেশে কী ধরণের সমরাস্ত্র বিক্রি করতে চায় তুরস্ক appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/37N92KU

থাইল্যান্ডে মিয়ানমারের লোকজনকে দেখলেই গুলির আহ্বান

ফাতেহ ডেস্ক:

করোনাভাইরাসকে কেন্দ্র করে থাইল্যান্ডে বাড়ছে মিয়ানমার-বিদ্বেষ। ‘মিয়ানমারের লোকজনকে যেখানেই দেখতে পাবেন, সেখানেই তাদের গুলি করে হত্যা করুন’- ইউটিউবে দেওয়া থাইল্যান্ডের এক বাসিন্দার ঘোষণা এটি। মিয়ানমার থেকে আসা শ্রমিকদের মধ্যে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় থাইল্যান্ড বাসীদের মধ্যে যে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে এটি তারই বহিঃপ্রকাশ বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছে রয়টার্স।

থাইল্যান্ডে সম্প্রতি রাজধানী ব্যাংককের কাছের একটি সামুদ্রিক খাবারের বাজারে একজনের দেহে কোভিড সংক্রমণ ধরা পড়ার পর সরকার হাজার হাজার মানুষকে পরীক্ষা করানোর উদ্যোগ নেয়।

ওই বাজারের বেশিরভাগই অভিবাসী শ্রমিক, প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারের নাগরিক। সেখান থেকে করোনাভাইরাস ছড়ানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে অনলাইনে বেড়ে গেছে ঘৃণা বক্তব্য। একইসঙ্গে থাইল্যান্ডে লাখো অভিবাসী শ্রমিকের চিকিৎসা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

অভিবাসী শ্রমিকদের সহায়তায় নিয়োজিত থাই সংগঠন ‘লেবার প্রটেকশন নেটওয়ার্ক’ এর সদস্য সমপং বলছেন, “কোভিড-১৯ ছড়ানোর জন্য মিয়ানমারের লোকজনকে দায়ী করা হচ্ছে। কিন্তু ভাইরাস তো কখনও বৈষম্য করে না।”

“তারপরও মানুষের বদলে যাওয়া ভাবাবেগের বাস্তব পরিণতিতে মিয়ানমার থেকে আসা কর্মীরা দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। তাদেরকে বাসে, মটরসাইকেলে, ট্যাক্সিতে চড়তে দেওয়া হচ্ছে না, যেতে দেওয়া হচ্ছে না কর্মক্ষেত্রে।”

স্যোশাল মিডিয়া ভরে যাচ্ছে ঘৃণা ভরা বক্তব্যে। অনেকে কোভিড আক্রান্ত অভিবাসী শ্রমিককে চিকিৎসা না করা এবং তাদেরকে থাইল্যান্ডে নিয়ে আসা লোকজনদের শাস্তি দেওয়ারও দাবি জানাচ্ছেন।

বিশ্বে করোনাভাইরাস ছড়াতে শুরু করার সময় যেমন সংক্রমণের জন্য বিভিন্ন দেশে বিদেশিদের দায়ী করা হচ্ছিল, সেই প্রতিচ্ছবিই দেখা যাচ্ছে থাইল্যান্ডের এই মিয়ানমার বিদ্বেষে।

প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচা এ সপ্তাহে করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা থাইল্যান্ডে আবার এ ভাইরাস সংক্রমণের প্রকোপের জন্য অবৈধ অভিবাসীদের দায়ী করেছেন।

থাইল্যান্ডের ভাইরাস বিষয়ক টাস্কফোর্স অবশ্য অভিবাসীদেরকে সহমর্মিতা দেখানোর পক্ষেই কথা বলছে। কিন্তু বাস্তবে পরিস্থিতি তেমন দেখা যাচ্ছে না।
স্বাধীন স্যোশাল মেডিয়া মনিটরিং ফর পিস গ্রুপ রয়টার্সকে জানিয়েছে, তারা ইউটিউব, ফেইসবুক এবং টুইটারে শত শত ‘হেট স্পিচ’ বা ঘৃণা বক্তব্য দেখতে পেয়েছে। বর্ণবাদী ভাষাতেও করা হয়েছে একাধিক মন্তব্য; যেগুলো বৈষম্য এবং জাতীয়তাবাদ উস্কে দিতে পারে।

সূত্র : রয়টার্স।

The post থাইল্যান্ডে মিয়ানমারের লোকজনকে দেখলেই গুলির আহ্বান appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3nPcCtA