Tuesday, June 30, 2020

করোনা মোকাবেলায় নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ালো সরকার

ফাতেহ ডেস্ক: করোনা ভাইরাস সংক্রমণ মোকাবেলায় নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ালো সরকার। এখনকার মতো স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগামীকাল বুধবার (১ জুলাই) থেকে ৩ আগস্ট পর্যন্ত সীমিত পরিসরে চলবে অফিস, গণপরিবহন। তবে নিষেধাজ্ঞাকালীন রাত ১০টার পর থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত বাড়ির বাইরে যাওয়া যাবে না।

৩ আগস্ট পর্যন্ত অফিস, গণপরিবহনসহ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড কীভাবে পরিচালিত হবে এবং কোন ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে সেই বিষয়ে নির্দেশনা দিয়ে মঙ্গলবার রাতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। সেই নির্দেশনায় এ কথা জানানো হয়েছে।

আগের নির্দেশনা অনুযায়ী, রাত ৮টার পর থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত বাড়ির বাইরে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা ছিল। এখন তা আরও শিথিল করা হলো।

নতুন প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রাত ১০টা থেকে সকাল ৫টা পর্যন্ত অতীব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া (প্রয়োজনীয় ক্রয়-বিক্রয়, কর্মস্থলে যাতায়াত, ওষুধ ক্রয়, চিকিৎসা সেবা, মৃতদেহ দাফন/সৎকার ইত্যাদি) বাসস্থানের বাইরে আসা যাবে না। বাসস্থানের বাইরে মাস্ক পড়া, পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখা ও অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। অন্যথায় নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এদিকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগামী ১ জুলাই থেকে ৩ আগস্ট পর্যন্ত দোকান-পাট, শপিংমলগুলো সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। যদিও এতদিন বিকেল ৪টা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখার নির্দেশনা ছিল।

মার্চ মাসের শুরুতে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী প্রথম ধরা পড়ে। পরিস্থিতি ক্রম অবনতির দিকে যেতে থাকলে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করে সরকার।

এরপর দফায় দফায় ছুটি বাড়তে থাকে। সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী গত ৩০ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ছিল। পরে ৩১ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে অফিস খুলে দেয়া হয়, চালু করা হয় গণপরিবহনও। পরে এই ব্যবস্থা ৩০ জুন পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়। সেই মেয়াদ আজ শেষ হচ্ছে।

-এ

The post করোনা মোকাবেলায় নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ালো সরকার appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3dNMGsv

অ্যাপ ছাড়া আমিরাতের মসজিদে ঢুকতে মানা

ফাতেহ ডেস্ক:

বুধবার থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিভিন্ন এলাকায় পুনরায় চালু হচ্ছে মসজিদ। তার আগে মুসল্লিদের জন্য দেশটির সরকার ‘কঠোর নির্দেশিকা’ প্রণয়ন করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, মসজিদে প্রবেশের আগে সবাইকে অবশ্যই সরকারি করোনা ট্রেসিং অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে।

আমিরাতের এই (ALHOSN UAE) অ্যাপ দেশটির স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা গুগল প্লেস্টোর থেকে নামিয়ে নিতে পারছেন। এই অ্যাপের মাধ্যমেই সেখানকার সাধারণ মানুষ করোনা সংক্রান্ত সব সেবা পাচ্ছেন। কারো কভিড-১৯ পরীক্ষা করাতে হলে অ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারেন। ফলাফলও অ্যাপে পাওয়া যায়।

সরকারি নির্দেশনায় বলা হয়েছে, প্রতিদিন মসজিদে ধারণ ক্ষমতার ৩০ শতাংশ মুসল্লি নামাজ পড়তে পারবেন। তবে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত জুম্মার নামাজ বন্ধ থাকবে।

অসুস্থ বয়স্ক নাগরিক এবং ১২ বছরের কম বয়সী বাচ্চাদের মসজিদে না যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

গাইডলাইনে আর যা আছে:

-মাস্ক বাধ্যতামূলক। সর্বনিম্ন দূরত্ব থাকবে ৩ মিটার।

-ভিড় এড়াতে হবে। ওজু করতে হবে বাড়িতে।

-জায়নামাজ নিজেকেই আনতে হবে। বাড়ি যাওয়ার সময় মসজিদে রেখে যাওয়া যাবে না।

-পবিত্র কুরআন পড়তে হবে ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসে। সেটা বাড়ি থেকে আনতে হবে। সরাসরি কুরআন নিয়ে মসজিদে যাওয়া যাবে না।

-কোনো মসজিদ থেকে নতুন সংক্রমণের খবর আসলেই আবার বন্ধ করা হবে।

The post অ্যাপ ছাড়া আমিরাতের মসজিদে ঢুকতে মানা appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/38kHI5h

অচিরেই উন্মুক্ত হতে পারে মসজিদে হারাম

ফাতেহ ডেস্ক:

চলতি বছর শুধুমাত্র সৌদি আরবে বসবাসকারীরা ‘অত্যন্ত সীমিত’ পরিসরে হজের অনুমতি পাবেন। হজে আনুষ্ঠানিকতা শুরুর আগেই হারামাইন প্রেসিডেন্সি কর্তৃপক্ষ তাওয়াফ ও নামাজের জন্য মসজিদে হারাম খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন। মসজিদে হারাম খুলে দেওয়া হলে স্বল্প পরিসরে উমরাপালনও শুরু হবে।

সৌদি আরবের প্রভাবশালী দুই পত্রিকা ওকাজ ও সৌদি গেজেট এ খবর দিয়েছে। খবরে বলা হয়, নামাজ, তাওয়াফ ও উমরার জন্য মসজিদে হারাম খুলে দেওয়া হলেও জনসমাগম নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য বেশ কিছু নতুন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এর অন্যতম হলো- মসজিদে হারামে ধারণ ক্ষমতার ৪০ শতাংশ মুসল্লি প্রবেশের সুযোগ পাবেন।

এ ছাড়া মসজিদে আগতদের সুরক্ষার পাশাপাশি, মসজিদ ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিতদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার যাবতীয় পদ্ধতি অবলম্বনসহ কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানা হবে। মসজিদে প্রবেশের সময় মাস্ক অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে।

পরিকল্পনা করা হচ্ছে, মসজিদে হারামে যে সব মুসুল্লি আসবেন; তাদের প্রত্যেকের প্রয়োজনীয় তথ্য ও ফোন নম্বর সংরক্ষণ করা হবে। তাওয়াফ ও নামাজের সময় অবশ্য সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ব্যাপারে অত্যন্ত কঠোর অবস্থান নেওয়া হবে। বিগত ১৪ দিনের মাঝে করোনার উপসর্গ ছিল এমন কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।

ইতোমধ্যে মসজিদের হারামের প্রবেশপথগুলোতে থার্মাল ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। থার্মাল ক্যামেরায় আগতদের শরীরের তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণ করা হবে। যাদের উচ্চতাপমাত্রা পাওয়া যাবে, তাদের ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।

প্রবেশ পথে মুসল্লিদের কোভিড-১৯ সংক্রমণ বিষয়ে অবহিত করার জন্য স্বেচ্ছাসেবী নিয়োজিত থাকবে। তারা স্বাস্থ্যবিধি বিশেষ করে হাত ধোয়া, স্যানিটাইজার ব্যবহার করা, হ্যান্ডশেক পরিহার করা এবং স্বাস্থ্যবিধি অনুসারে হাঁচি-কাশির বিষয়ে সচেতন করবেন আগতদের। প্রবেশ পথসহ স্থানে স্থানে স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক সাইনবোর্ড স্থাপন করা হবে।

উমরাপালনকারীদের জন্য নির্দেশনা। পরিকল্পনায় রয়েছে, পবিত্র উমরাপালন করতে আসা মুসল্লিলের কিং ফাহাদ গেট দিয়ে মাতাফে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে। তারা বের হবেন আল সাফা গেট কিংবা আন নবী গেট সংলগ্ন ব্রিজ দিয়ে।

সাধারণ তাওয়াফকারীদের জন্য নির্দেশনা। সাধারণ তাওয়াফকারীরা ৮৯ ও ৯৪ নম্বর গেট দিয়ে মাতাফে প্রবেশ করবেন এবং আজইয়াদ গেট দিয়ে বের হবেন।

আর দক্ষিণ ও পশ্চিম থেকে আগত মুসল্লিদের মাতাফের দ্বিতীয় তলায় প্রবেশ করতে হবে আজইয়াদ ফ্লাইওভার এবং শোবাইকা ফ্লাইওভার দিয়ে। তারা বের হবেন চলন্ত সিঁড়ি (এস্কেলেটর) ও আল সাফা ব্রিজ দিয়ে।

মসজিদে হারাম খুলে দেওয়ার পর উমরাপালনকারী ছাড়া অন্যদের মাতাফে যেতে দেওয়া হবে না। মসজিদের প্রথম ও দ্বিতীয়তলা তাওয়াফকারীদের জন্য বরাদ্দ থাকবে। হুইল চেয়ার ও বয়স্করা দ্বিতীয়তলা ব্যবহার করতে পারবেন।

ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য তাওয়াফের স্থানগুলোতে প্লাস্টিকের অস্থায়ী দেয়াল বানিয়ে দেওয়া হবে। সাফা-মারওয়াতেও আলাদা আলাদা লেন করে দেওয়া হবে।

জনসমাগম এড়াতে মক্কার প্রবেশ পথে কড়াকাড়ি আরোপ করা হবে। বিশেষ করে শুক্রবার সকাল থেকে মসজিদে হারামে যাওয়ার পথগুলো নিয়ন্ত্রণ করা হবে। স্থানীয়দের নিজ নিজ মহল্লার মসজিদে নামাজ পড়তে উৎসাহিত করা হবে।

করোনাভাইরাসের বিস্তার প্রতিরোধে ৫ মার্চ থেকে মসজিদে হারামে জনসাধারণের প্রবেশ বন্ধ রয়েছে। তবে সীমিত পরিসরে জামাত, জুমা, তারাবি, ঈদের নামাজ ও সালাতুল কুসুফ আদায় করা হয়েছে। মসজিদে হারামের চারপাশে পুলিশ সদস্যরা ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছেন।

সৌদি আরবে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৮৬ হাজার ৪৩৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ১ হাজার ৫৯৯ জন আর সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ২৭ হাজার ১১৮ জন।

The post অচিরেই উন্মুক্ত হতে পারে মসজিদে হারাম appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3idXfZb

১ জুলাই থেকে খুলছে আরব আমিরাতের সব মসজিদ

ফাতেহ ডেস্ক:

করোনাভাইরাস মহামারির সংক্রমণরোধে বন্ধ থাকা মসজিদগুলো ১ জুলাই থেকে আবার খুলে দিচ্ছে আরব আমিরাত। মসজিদের সঙ্গে সঙ্গে অন্য ধর্মাবলম্বীদের উপাসনালয়গুলোও খুলে দেওয়া হবে। তবে মেনে চলতে হবে কোভিড-১৯ এর স্বাস্থ্যবিধি। আর উপস্থিত হতে পারবে ৩০ শতাংশ প্রার্থনাকারী।

আজ মঙ্গলবার (৩০ জুন) গালফ নিউজ এ খবর দিয়েছে। খবরে বলা হয়েছে, আপাতত মসজিদগুলো খুলে দেওয়া হলেও পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত জুমার নামাজ স্থগিত থাকবে। এখন শুধু ওয়াক্তিয়া নামাজ আদায় করতে পারবেন মুসল্লিরা।

এ ছাড়া মসজিদে নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিদের বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। যেমন- জামাতের সময় প্রতি ২ কাতারের মধ্যে এক কাতার ফাঁকা রাখতে হবে, প্রতি ২ ব্যক্তির মধ্যে ১.৫ মিটার ফাঁক রাখতে হবে, মসজিদের প্রবেশের সময় সবাইকে গ্লাভস এবং মাস্ক ব্যবহার করতে হবে, মুসল্লিরা নিজ নিজ জায়নামাজ নিয়ে আসবেন, কোনো হ্যান্ডশেক করতে পারবে না, তবে দূর থেকে সালাম আদান-প্রদান করতে পারবেন, নামাজের আগে বা পরে মুসল্লিরা একত্রিত হতে পারবেন না, দ্বিতীয় জামাত করা যাবে না, জামাত শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মসজিদ ত্যাগ করতে হবে, যারা কোভিড-১৯ রোগীর সংস্পর্শে আছেন তারা অন্য মুসল্লিদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য মসজিদে আসবেন না এবং যারা দীর্ঘস্থায়ী রোগে ভুগছেন তাদেরও অন্যদের সুরক্ষার জন্য মসজিদে নামাজ পড়তে নিষেধ করা হয়েছে।

এ ছাড়া ৬০ বছরের বেশি বয়সী বয়স্ক এবং ১২ বছরের নিচে বাচ্চাদের তাদের নিজের সুরক্ষার জন্য মসজিদে নামাজের জন্য আসতে নিষেধ করা হয়েছে।

মসজিদগুলো আজানের সময় থেকে জামাতে ফরজ নামাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত ২০ মিনিটের জন্য উন্মুক্ত থাকবে, ফরজ নামাজ আজানের পরপরই আদায় করা হবে।

মসজিদের কোনো ধরনের খাবার, পানীয় কিংবা প্রচারপত্র বিতরণ কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নারীরা মসজিদে আসবেন না। মসজিদের বাথরুম এবং অজুখানা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।

করোনাভাইরাস সতর্কতা ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে ১৭ মার্চ থেকে আরব আমিরাতের মসজিদগুলো বন্ধ রয়েছে। তবে মসজিদগুলোতে শুধুমাত্র আজান দেওয়া হতো।

সংযুক্ত আরব আমিরাতে কয়েক হাজার মসজিদ, ৪০টিরও বেশি খ্রিস্টান গির্জা ও হিন্দু মন্দির রয়েছে।

আরব আমিরাতে এখন পর্যন্ত ৪৮ হাজার ২৪৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ৩১৪ জন আর সুস্থ হয়েছেন ৩৭ হাজার ৭৬ জন।

-এ

The post ১ জুলাই থেকে খুলছে আরব আমিরাতের সব মসজিদ appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/2YLtAio

স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি সংসদে

ফাতেহ ডেস্ক:

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেককে সরিয়ে অন্য কাউকে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান। এক্ষেত্রে সাবেক কৃষিমন্ত্রীকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেন বিএনপির সংসদ সদস্য মো. হারুনুর রশীদ।

মঙ্গলবার (৩০ জুন) দুপুরে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটের ওপর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ছাঁটাই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনাকালে বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্যরা করোনাকালে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কঠোর সমালোচনা ও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এই আলোচনায় অংশ নেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ, শামীম হায়দার পাটোয়ারী, পীর ফজলুর রহমান, মুজিবুর রহমান (চুন্নু) ও রওশন আরা মান্নান এবং বিএনপির মো. হারুনুর রশীদ।

আলোচনায় অংশ নিয়ে পীর ফজলুর রহমান বলেন, দেশের স্বাস্থ্য খাত দুরাবস্থার মধ্যে আছে। মানুষ চিকিৎসা বঞ্চিত হচ্ছে। জনগণ মনে করে আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নাকি মিনা কার্টুনের টিয়া পাখির দ্বারা চলছে। তিনি বলেন, আমি গ্রামে গ্রামে ঘুরি। সেইসব গ্রামের মানুষ আমাকে বলেছেন, আপনি তো সংসদে কথা বলতে পারেন। আপনি প্রধানমন্ত্রীকে বলবেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে সরিয়ে অন্য কোনো মন্ত্রণালয়ে দিতে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব সাবেক কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরীকে দেওয়ার কথা বলেছেন সাধারণ জনগণ। আমি প্রধানমন্ত্রীকে মানুষের এই কথাটি জানালাম।

এরআগে বিএনপির মো. হারুন অর রশীদ সংসদে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি তুলেছিলেন। তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য খাতে চরম অব্যবস্থা-অনিয়ম চলছে। সরকারের লোকজন, বিএমএ বলছে, করোনায় মৃত্যুর দায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের। এই দুঃসময়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী কি করেছেন? ১০ দিন ধরে ফোন করে ও বার্তা দিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সাড়া মিলছে না। ব্যর্থতার জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে সরিয়ে দেন। কমিটমেন্ট আছে, এমন ব্যক্তিদের দায়িত্ব দেন।

সংসদের বৈঠকের শুরুতে স্পিকার জানান, দেশের মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ৫৯টি দাবির বিপরীতে বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ও বিএনপির নয়জন সংসদ সদস্য এই ছাটাঁই প্রস্তাব দিয়েছেন। তারা সময় বিবেচনায় আইন মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিষয়ে বক্তব্য দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। বাজেট পাসের আগে ওই দু’টি ছাঁটাই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করেন বিরোধী দলীয় সদস্যরা।

The post স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি সংসদে appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/2AhBJBH

দেশে একদিনে রেকর্ড ৬৪ মৃত্যু, শনাক্ত ৩৬৮২

ফাতেহ ডেস্ক:

চব্বিশ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রেকর্ড ৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে ১৮ হাজার ৪২৬ টি নমুনা পরীক্ষা করে ভাইরাসটির সংক্রমণ ধরা পড়েছে ৩ হাজার ৬৮২ জনের শরীরে।

এই নিয়ে দেশে কভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ১ হাজার ৮৪৭ জন।

আর আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৪৮৩ জন। এর মধ্যে নতুন ১ হাজার ৮৪৪ জনসহ মোট সুস্থ হয়েছেন ৫৯ হাজার ৬২৪ জন।

বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগীর খোঁজ মেলে; এর দশ দিনের মাথায় ঘটে প্রথম মৃত্যু।

দেশে করোনায় মৃত্যুর আগের রেকর্ডটি হয়েছিল ১৬ জুন, ৫৩ জন। আর শনাক্তের রেকর্ডটি হয়েছি ২৯ জুন, ৪ হাজার ১৪ জন।

চব্বিশ ঘণ্টার হিসেবে দেশে করোনভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৯.৯১ শতাংশ, মৃত্যুর হার ১.২৭ শতাংশ এবং সুস্থতার হার ৪০.৯৮ শতাংশ।

দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে মঙ্গলবার দুপুরে এসব তথ্য তুলে ধরেন অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

যারা মৃত্যু বরণ করেছেন তাদের মধ্যে ৫২ জন পুরুষ, ১২ জন নারী। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগের ৩১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ১২ জন; সাতজন করে রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের, দুজন করে বরিশাল, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের।

হাসপাতালে মৃত্যু বরণ করেছেন ৫১ জন, বাড়িতে মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের।

বয়স বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মৃত্যুবরণ করা সর্বোচ্চ ২১ জনের বয়স ৫১-৬০ বছরের মধ্যে। ১৬ জনের বয়স ৬১-৭০ বছরের মধ্যে, ১১ জনের বয়স ৭১-৮০ বছরের মধ্যে, সাতজনের বয়স ৩১-৪০ বছরের মধ্যে, ছয়জনের বয়স ৪১-৫০ বছরের মধ্যে এবং তিনজনের বয়স ৮১-৯০ বছরের মধ্যে।

চব্বিশ ঘণ্টায় আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে ৪৪৯ জনকে, ছাড় পেয়েছেন ৫৪৪ জন; বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৫ হাজার ১৪৫ জন।

এই সময়ে কোয়ারেন্টাইনে নেওয়া হয়েছে ২ হাজার ৫৪২ জনকে, ছাড় পেয়েছেন ২ হাজার ৮৩৪ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৬৪ হাজার ৬৬৭ জন।

The post দেশে একদিনে রেকর্ড ৬৪ মৃত্যু, শনাক্ত ৩৬৮২ appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/31sIsUu

Monday, June 29, 2020

মহামারি পরিস্থিতি ‘অবসানের ধারে কাছেও নেই’

ফাতেহ ডেস্ক:

করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ৫ লাখ ছাড়িয়েছে। লাতিন আমেরিকা ও যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে লাফিয়ে। কিন্তু এখনই এই মহামারির শেষ দেখছে না বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। উদ্বেগ প্রকাশ করে সংগঠনটির প্রধান তেদ্রোস আধানম গাব্রিয়েসাস বলেছেন, পরিস্থিতি মহামারির অবসানের ধারে কাছেও নেই!

গত বছরের শেষ দিকে চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা অনাকাঙ্ক্ষিত মাইলফলক স্পর্শ করেছে। আক্রান্ত ছাড়িয়েছে এক কোটি, আর মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫ লাখ।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না এলেও স্থবির হয়ে পড়া অর্থনীতির চাকা সচল করতে লকডাউন ও অন্যান্য বিধিনিষেধ শিথিল করার পথে হাঁটছে অধিকাংশ দেশ। এর মধ্যে মহামারি পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগের কথা শোনালেন ডব্লিউএইচও প্রধান।

সোমবার ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে আধানম বলেন, “আমরা সবাই চাই এটা শেষ হোক। আমরা সবাই আমাদের স্বাভাবিক জীবন শুরু করতে চাই।”

“কিন্তু কঠিন বাস্তবতা হলো- পরিস্থিতি শেষ হওয়ার ধারে কাছেও নেই। যদিও অনেক দেশে পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হয়েছে। কিন্তু বৈশ্বিক বিবেচনায় এই মহামারি প্রকৃতপক্ষে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে।”

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান জানান, ছয় মাস আগে চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের উৎস খুঁজতে আগামী সপ্তাহে বিশেষজ্ঞ দল পাঠানো হবে।

করোনাভাইরাস পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে যুক্তরাষ্ট্র ও লাতিন আমেরিকায়। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সবশেষ তথ্য তুলে ধরে এএফপি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে চব্বিশ ঘণ্টায় নতুন করে ৪২ হাজার মানুষের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া গেছে।

বিশ্বের মোট আক্রান্ত ও মৃত্যুর এক চতুর্থাংশই যুক্তরাষ্ট্রে। আক্রান্ত ২৬ লাখ ছাড়িয়েছে। আর মৃত্যু ১ লাখ ২৬ হাজার। লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলের অবস্থাও ভয়াবহ। আক্রান্ত-মৃত্যুর তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের পরেই রয়েছে দেশটি।

করোনাভাইরাস মহামারির অনেকটা সময় পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত কার্যকরী কোনো ভ্যাকসিনও বাজারে আসেনি।

ব্রিফিংয়ে ডব্লিউএইচও’র জরুরি কর্মসূচির প্রধান মাইক রায়ান জানান ভ্যাকসিন আবিষ্কারে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। তবে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কেবল টিকা নির্ভর হলে চলবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

“করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে নিরাপদ এবং কার্যকর টিকা পাওয়ার পথে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। বিশ্বের দেশগুলোকে বিভিন্ন পন্থায় ভাইরাস সংক্রমণ রোধে লড়াই করে যেতে হবে।”

The post মহামারি পরিস্থিতি ‘অবসানের ধারে কাছেও নেই’ appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/2YJSLSr

রাজধানীর ওয়ারী লকডাউনের নির্দেশ

ফাতেহ ডেস্ক:

রাজধানীর ওয়ারীর রেড জোন চিহ্নিত এলাকায় লকডাউন বাস্তবায়নের জন্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।

এই বিষয়ে সোমবার নির্দেশনা দিয়ে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য অধিদফতরের কেন্দ্রীয় কারিগরি গ্রুপের গত ২২ জুন অনুষ্ঠিত সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ডিএসসিসি’র ওয়ারী এলাকায় রেড জোন হিসেবে বাস্তবায়নের জন্য স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

ডিএসসিসি ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের আওতাধীন টিপু সুলতান রোড, জাহাঙ্গীর রোড, ঢাকা-সিলেট হাইওয়ে (জয়কালী মন্দির থেকে বলধা গার্ডেন) এবং ইনার রোড হিসেবে লালমিনি রোড, হরে রোড, ওয়ার রোড, রানকিন রোড এবং নওয়াব রোড রেড জোন হিসেবে লকডাউন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রেড জোন এলাকা ১৪ থেকে ২১ দিনের জন্য লকডাউন করা হচ্ছে, সেখানে থাকছে সাধারণ ছুটি।

করোনাভাইরাসের জন্য অধিক সংক্রমিত এলাকাকে চিহ্নিত করে এলাকাভিত্তিক লকডাউন বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। গত ১২ জুন হতে পূর্ব রাজাবাজার পরীক্ষামূলকভাবে লকডাউন করা হয়।

The post রাজধানীর ওয়ারী লকডাউনের নির্দেশ appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/2ZlDMx9

করোনায় দেড় কোটির বেশি পরিবারকে সরকারের ত্রাণ সহায়তা

ফাতেহ ডেস্ক:

করোনা পরিস্থিতিতে মানবিক সহায়তা হিসেবে সরকারের পক্ষ থেকে এ পর্যন্ত সারাদেশে দেড় কোটির বেশি পরিবারকে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

এক তথ্য বিবরণীতে সোমবার বলা হয়, ৬৪ জেলা প্রশাসন থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী রোববার পর্যন্ত সারাদেশে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ২ লাখ ১১ হাজার ১৭ টন এবং বিতরণ করা হয়েছে ১ লাখ ৮৯ হাজার ১৮২ টন।

এতে উপকারভোগী পরিবার সংখ্যা ১ কোটি ৬৩ লাখ ২৮ হাজার ১৫১ এবং উপকারভোগী লোকসংখ্যা ৭ কোটি ১৬ লাখ ২৫ হাজার ৮৮৯ জন।

নগদ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে প্রায় ১২৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে সাধারণ ত্রাণ হিসেবে নগদ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৯৫ কোটি ৮৩ লাখ ৭২ হাজার ২৬৪ টাকা এবং বিতরণ করা হয়েছে ৮৮ কোটি ৮০ লাখ ৭২ হাজার ২৬৪ টাকা।

এতে উপকারভোগী পরিবার সংখ্যা ৯৭ লাখ ৩৯ হাজার ৪৯২ এবং উপকারভোগী লোক সংখ্যা ৪ কোটি ৩০ লাখ ৪ হাজার ৫১৩ জন।

শিশু খাদ্য সহায়ক হিসেবে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ২৭ কোটি ১৪ লাখ টাকা। এ পর্যন্ত বিতরণ করা হয়েছে ২৫ কোটি ৪০ লাখ ১৯ হাজার ২৪১ টাকা। এতে উপকারভোগী পরিবার সংখ্যা ৮ লাখ ১৮ হাজার ৩২৯ এবং উপকারভোগী লোকসংখ্যা ১৭ লাখ ৮ হাজার ৬১৬ জন।

The post করোনায় দেড় কোটির বেশি পরিবারকে সরকারের ত্রাণ সহায়তা appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/2VpCakM

বাজেট নিয়ে সরকারের অবস্থান ব্যাখ্যা করলেন প্রধানমন্ত্রী

ফাতেহ ডেস্ক:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সমাপনী ভাষণে বিভিন্ন সমালোচনার জবাব দিয়েছেন। তিনি বাজেট নিয়ে সরকারের অবস্থান বাখ্যা করেন।

জিডিপির হার সংশোধান

প্রধানমন্ত্রী বক্তব্যের শুরুতে বলেন, চলতি ২০২০ সালে উদযাপিত হচ্ছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী। আগামী বছর ২০২১ সালে জাতি পালন করতে যাচ্ছে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। কিন্তু এই মাহেন্দ্রক্ষণে গোটা বিশ্ব এক ক্রান্তিকালের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বৈশ্বিক মহামারী কোভিড-১৯ এর কারণে বিশ্ব অথর্নীতি আজ মহামন্দার দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ২০২০ সালে বৈশ্বিক অর্থনীতি ৪ দশমিক ৯ শতাংশ সঙ্কুচিত হবে মর্মে প্রাক্কলন করেছে। তা ছাড়া, করোনার প্রভাবে বৈশ্বিক পণ্য বাণিজ্য ১৩ থেকে ২০ শতাংশ হ্রাস, বিশ্বব্যাপী ১৯ কোটি ৫০ লাখ কর্মীর পূর্ণকালীন চাকরি হ্রাস, বৈশ্বিক এফডিআই প্রবাহ ৫ থেকে ১৫ শতাংশ হ্রাস এবং বৈশ্বিক রেমিটেন্স ২০ শতাংশ হ্রাস পাবে মর্মে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।

বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় ৮ মার্চ এবং ভাইরাসের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে রাখতে ২৬ মার্চ হতে ৩০ মে পর্যন্ত দীর্ঘ ৬৬ দিন সাধারণ ছুটি কার্যকর ছিল। গণপরিবহন এবং কল-কারখানা এ সময়ে বন্ধ থাকে এবং উন্নয়ন প্রকল্পের বাস্তবায়নের গতি মন্থর হয়। এর ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও কোভিড-১৯ এর বিরূপ প্রভাব পড়েছে। এ সব বিবেচনায় নিয়ে চলতি অর্থবছরের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার সংশোধন করে ৫ দশমিক ২ শতাংশ প্রাক্কলন করা হয়েছে।

আশা করা যায়, ২০২১ সালে বিশ্ব এবং অভ্যন্তরীণ অর্থনীতি কোভিড-১৯ প্রভাব থেকে ধীরে ধীরে বের হয়ে আসবে। এই বাস্তবতায় বাংলাদেশের অর্থনীতি তার পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসবে ধরে নিয়ে আগামী ২০২০-২১ অথর্বছরের বাজেটে প্রবৃদ্ধির হার প্রাক্কলন করা হয়েছে ৮ দশমিক ২ শতাংশ।

একই সঙ্গে নিম্ন মূল্যস্ফীতি ধরে রাখার পাশাপাশি সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।

বাজেট যে কারণে ‘উচ্চাভিলাসি’

অনেকে বলছেন বাজেট একটু বেশি আশাবাদি, বা উচ্চাভিলাসি। একটা কথা মনে রাখতে হবে, সবসময় আমাদের একটা লক্ষ্য থাকতে হবে। আজকে কোভিড-১৯ এর জন্য সবকিছু স্থবির। তবে আমরা আশাবাদি যে, এ অবস্থা থাকবে না। এর থেকে উত্তরণ ঘটবে। আজকে যদি হঠাৎ সে অবস্থার উত্তরণ ঘটে যায় তাহলে আগামীতে আমরা কী করব, সেটা চিন্তা করেই এ পদক্ষেপটা আমরা নিয়েছি। সেখানে কোভিড যদি শেষ না হয়, তাহলে হয়ত আমরা বাস্তবায়ন করতে পারব না, কিন্তু আমাদের প্রস্তুতিটা থাকা দরকার বলে আমরা মনে করি এবং সে জন্য উচ্চাভিলাসি বাজেটই আমরা দিয়েছি।

প্রবৃদ্ধির হার ৮ দশমিক ২ শতাংশ প্রাক্কলনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ যে অনুমানসমূহ বিবেচনায় নেয়া হয়েছে তা হলো:

(ক) করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে আমাদের অর্থনীতির উৎপাদন ব্যাহত হলেও অর্থনৈতিক অবকাঠামোর কোনো ক্ষতি হয়নি, যা প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা যুদ্ধ-বিগ্রহের সময় হয়ে থাকে।

(খ) সরকারি ব্যয় বৃদ্ধির ফলে কর্মসৃজন ও ব্যক্তি আয় বৃদ্ধির মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ চাহিদা বাড়বে এবং প্রণোদনার প্যাকেজসমূহ সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়িত হলে উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থা মহামারি পূর্বাবস্থায় চলে আসবে।

(গ) অক্টোবর/নভেম্বর মাসের মধ্যে করোনাভাইরাস প্রতিষেধক টিকা বাজারে চলে আসলে ইউরোপ-আমেরিকায় জীবনযাত্রা দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে যাবে এবং আমাদের রপ্তানি আয় কোভিড পূর্ববর্তী অবস্থায় ফিরে আসবে।

(ঘ) বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে, ফলে বৈদেশিক কর্মসংস্থান এবং প্রবাস আয়ে বর্তমান সঙ্কট কেটে যাবে।

করোনা সঙ্কট মোকাবিলার উদ্যোগ

করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের সঙ্গে সঙ্গেই আমরা এ সঙ্কট মোকাবেলায় নানাবিধ উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। একই সঙ্গে অর্থনীতির ওপর সম্ভাব্য বিরূপ প্রভাব উত্তরণে আমরা একটি সামগ্রিক কর্মপন্থা নির্ধারণ করেছি।

যার মধ্যে কিছু কাজ আমরা দ্রুততার সঙ্গে বাস্তবায়ন করেছি, কিছু স্বল্পমেয়াদে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছি এবং কিছু কাজ দীর্ঘমেয়াদে বাস্তবায়ন করবো। আমাদের এ কর্মপন্থার চারটি প্রধান কৌশলগত দিক রয়েছে। এগুলো হলো

(ক) সরকারি ব্যয় বৃদ্ধি: কর্মসৃজনকে প্রাধান্য দেওয়া ও বিলাসী ব্যয় নিরুৎসাহিত করা এবং কম গুরুত্বপূর্ণ ব্যয় পিছিয়ে দেওয়া।

(খ) আর্থিক সহায়তার প্যাকেজ প্রণয়ন: বাজেট বরাদ্দ এবং ব্যাংক ব্যবস্থার মাধ্যমে বিনা ও স্বল্প সুদে কতিপয় ঋণ সুবিধা প্রবর্তন করা যাতে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পুনরুজ্জীবিত হয়, কর্মসংস্থান ঠিক থাকে এবং উদ্যোক্তাদের প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

(গ) সামাজিক সুরক্ষার আওতা সম্প্রসারণ: হত দরিদ্র, কর্মহীন হয়ে পড়া নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠী এবং অপ্রাতিষ্ঠানিক কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত জনগণকে সুরক্ষা দিতে সরকারের সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের আওতা বৃদ্ধি।

(ঘ) বাজারে মুদ্রা সরবরাহ বৃদ্ধি করা: অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড দ্রুত পুনরুজ্জীবিত করা, একই সাথে মূল্যস্ফীতি যাতে না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে দেশব্যাপী সাধারণ ছুটি, কলকারখানা বন্ধ থাকা এবং সর্বোপরি ব্যবসা বাণিজ্য স্থবির থাকায় দেশে বিপুলসংখ্যক মানুষ সাময়িকভাবে কর্মহীন হয়ে পড়ে। সে কারণে করোনাভাইরাসের অর্থনৈতিক প্রভাব কার্যকরভাবে মোকাবিলা করা, জরুরি স্বাস্থ্যসেবা খাতের ব্যবস্থাপনা, কর্মসংস্থান টিকিয়ে রাখা এবং অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে এ পর্যন্ত প্রায় ১ লাখ ৩ হাজার ১১৭ কোটি টাকার ১৯টি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছি।

প্রণোদনা প্যাকেজসমূহ আমি এখানে সংক্ষেপে উল্লেখ করছি:

(১) রপ্তানিমুখী শিল্পপ্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের বেতন-ভাতা অব্যাহত রাখার স্বার্থে আমরা ৫ হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল প্রদান করেছিলাম যার মাধ্যমে বিপুল সংখ্যক শ্রমিক কর্মচারির কর্মসংস্থান টিকিয়ে রাখা সম্ভব হয়েছে। এ তহবিল হতে ৩৫ লক্ষ শ্রমিক-কর্মচারির এপ্রিল ও মে মাসের বেতন-ভাতা পরিশোধে সমুদয় অর্থ শেষ হয়ে যায়।

পরবর্তীতে বিশেষ বিবেচনায় ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল ঋণ সুবিধা হতে মাত্র ২ শতাংশ সুদে আরও ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা জুন মাসের বেতন-ভাতা প্রদানের জন্য প্রদান করা হয়েছে। অর্থাৎ রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য মোট ৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকার প্রণোদনা প্রদান করা হয়েছে।

(২) ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প ও সার্ভিস সেক্টরের প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে আমরা ৩০ হাজার কোটি টাকার ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল ঋণ সুবিধা প্রণয়ন করেছি। এ ঋণ সুবিধার সুদের হার হবে ৯ শতাংশ; এর মধ্যে অর্ধেক ৪ দশমিক ৫০ শতাংশ ঋণ গ্রহীতা এবং অবশিষ্ট ৪ দশমিক ৫০ শতাংশ সরকার ভর্তুকি হিসেবে প্রদান করবে। এ সুবিধার ফলে শিল্প ও সেবা খাতের আনুমানিক ৬০ লাখ লোকের কর্মসংস্থান টিকে থাকবে।

(৩) কুটির শিল্পসহ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্যও আমরা ২০ হাজার কোটি টাকার আরও একটি স্বল্প সুদের ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল ঋণ সুবিধা চালু করেছি। ৯ শতাংশ সুদের এ ঋণ সুবিধার ৫ শতাংশ সরকার ভর্তুকি হিসেবে প্রদান করবে অবশিষ্ট ৪ শতাংশ প্রদান করবে ঋণ গ্রহীতা। এর মাধ্যমে ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতের ২৫ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান ধরে রাখা সম্ভব হবে।

(৪) শিল্পের কাঁচামাল আমদানি সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট ফান্ডের আকার আমরা ৩দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার থেকে ৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত এবং এর সুদের হার কমিয়ে ২ শতাংশ নির্ধারণ করেছি।

(৫) রপ্তানিকারকদের প্রি-শিপমেন্ট খাতের ব্যয় অর্থায়নের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে আমরা ৫ হাজার কোটি টাকার নতুন একটি রিফাইন্যান্স স্কিম চালু করেছি।

(৬) করোনা রোগীদের সেবা প্রদানের কাজে প্রত্যক্ষভাবে নিয়োজিত ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সকলকে দুই মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ বিশেষ সম্মানী প্রদান করা হবে। এ খাতে আমরা ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছি।

(৭) করোনা রোগীদের সেবা প্রদানে সরাসরি নিয়োজিত ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীসহ এ সংক্রান্ত সরকার ঘোষিত নির্দেশনা বাস্তবায়নে মাঠ প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী এবং প্রত্যক্ষভাবে নিয়োজিত প্রজাতন্ত্রের অন্যান্য কর্মচারী দায়িত্ব পালনকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে পদমর্যাদা অনুযায়ী ৫ থেকে ১০ লক্ষ টাকা এবং মৃত্যুবরণ করলে তাদের পরিবারকে এর পাঁচগুন ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হবে। এ খাতে ৭৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

(৮) হঠাৎ কর্মহীন হয়ে পড়া দরিদ্র-অসহায় মানুষের মাঝে আমরা খাদ্য বিতরণ করছি। এ লক্ষ্যে মানবিক সহায়তা হিসেবে দেশব্যাপী মোট ৪ লাখ মেট্রিক টন চাল ও ১ লাখ মেট্রিক টন গম বরাদ্দ রেখেছি। এ পর্যন্ত ১ কোটি ৫৯ লক্ষ পরিবারের মাঝে বিনামূল্যে চাল বিতরণ করা হয়েছে।

(৯) নিম্নআয়ের জনগোষ্ঠীর মধ্যে আমরা খোলাবাজারে মাত্র ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রয় শুরু করেছি; এখন পর্যন্ত প্রায় ৫৬ হাজার মেট্রিক টন চাল বিক্রয় করেছি এবং এ কার্যক্রম এখনও অব্যাহত আছে। এ বাবদ ২৫১ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

(১০) করোনাভাইরাসজনিত কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া দেশের অতি দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা দিতে আমরা সারাদেশে নির্বাচিত ৫০ লাখ উপকারভোগীর প্রত্যেককে ২ হাজার ৫০০ টাকা করে অনুদান ট্রেজারি থেকে সরাসরি তাদের ব্যাংক বা মোবাইল একাউন্টে প্রদান করছি।

(১১) দেশের অতি দরিদ্র ১০০টি উপজেলায় বয়স্ক ভাতা এবং বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলা ভাতা কর্মসূচির আওতা শতভাগে উন্নীত করা হবে। এর আওতায় নতুন ৫ লাখ বয়স্ক ভাতা এবং ৩ লাখ ৫০ হাজার বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলা ভাতা বাড়ানো হবে। এ ছাড়া প্রতিবন্ধী ভাতা কর্মসূচির আওতায় সকল প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে অন্তর্ভুক্ত করে আরও ২ লক্ষ ৫৫ হাজার নতুন ভাতাভোগী যুক্ত হবে।

(১২) জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আমরা সব গৃহহীন মানুষের জন্য গৃহ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছি। আগামী অর্থবছরে এ কর্মসূচিতে ২ হাজার ১৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

(১৩) কৃষকের উৎপাদিত ধান-চালের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করা ও বাজারে চালের দাম স্থিতিশীল রাখতে চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে সরাসরি ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা আরো ২ লক্ষ টন বাড়িয়ে মোট ১৯ লক্ষ ৫০ হাজার মেট্রিক টন ধান-চাল সংগ্রহ করা হচ্ছে।

(১৪) ধান কাটা ও মাড়াই কাজ যান্ত্রিকীকরণে আমরা ২০০ কোটি টাকার প্রণোদনা ইতোমধ্যে প্রদান করেছি। এ ছাড়াও আগামী অর্থবছরে ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকার একটি নতুন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।

(১৫) কৃষির সার্বিক উন্নয়ন, কৃষককে প্রণোদনা প্রদান এবং দেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে আমরা কৃষি খাতে ভর্তুকির পরিমাণ বাড়িয়ে ৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকা করেছি।

(১৬) কৃষকের ঋণ প্রাপ্তি সহজ করার লক্ষ্যে আমরা ৫ হাজার কোটি টাকার একটি কৃষি পুনঃঅর্থায়ন স্কিম গঠন করেছি।

(১৭) নিম্ন আয়ের পেশাজীবী, কৃষক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য ৩ হাজার কোটি টাকার অপর একটি পুনঃঅর্থায়ন স্কিম আমরা গঠন করেছি।

(১৮) বিদেশ ফেরত প্রবাসী শ্রমিক, প্রশিক্ষিত তরুণ এবং বেকার যুবকদের ব্যবসা ও আত্মকর্মসংস্থানমূলক কাজে স্বল্প সুদে ঋণ বিতরণের লক্ষ্যে কর্মসংস্থান ব্যাংক, প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংক, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক ও পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশনকে আমরা মোট ২ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদান করেছি। এতে আনুমানিক ৯ লক্ষ বেকার যুবকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।

(১৯) সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের বিতরণকৃত ঋণের বিপরীতে এপ্রিল ও মে মাসের সুদ আদায় স্থগিত করা হয়েছে। এ দু‘মাসের মোট সুদের মধ্যে আমরা সরকারের পক্ষ হতে ২ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি প্রদান করবো এবং ঋণ গ্রহীতাগণ অবশিষ্ট অংশ সমান ১২টি কিস্তিতে পরিশোধ করবেন। এ কর্মসূচিতে প্রায় ১ কোটি ৩৮ লাখ ঋণ গ্রহীতা উপকৃত হবেন।

দেশের ব্যাপক জনগোষ্ঠী যেন উপকৃত হয় সে লক্ষ্য নিয়েই পরিকল্পিতভাবে এবং যথাযথ সময়ের পূর্বেই প্রতিটি প্রণোদনা প্যাকেজ প্রণয়ন করা হয়েছে। উল্লিখিত প্রণোদনা প্যাকেজসমূহ বাস্তবায়ন শুরু হওয়ায় ইতোমধ্যে ৫ কোটি ৭০ লাখ মানুষ প্রত্যক্ষভাবে সুবিধা পেয়েছে এবং ১৯টি প্যাকেজ সম্পূর্ণ বাস্তবায়িত হলে ১২ কোটি ৫৫ লাখ মানুষ সুবিধা পাবে। এ ছাড়া প্রায় ১ কোটি ৬০ লাখ কর্ম সুরক্ষা ও নতুন কর্ম সৃজন হবে।

দেশকে আওয়ামী লীগ সরকারের উপহার

কোভিড-১৯ এর প্রভাবে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে যে সাময়িক প্রয়োজন উদ্ভূত হয়েছে তা মেটানো এবং অর্থনীতির বিভিন্ন খাতে যে ক্ষয়-ক্ষতি সৃষ্টি হবে তা পুনরুদ্ধারের কৌশল বিবেচনায় নিয়ে অর্থমন্ত্রী ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট পেশ করেছেন।

এটি আওয়ামী লীগ সরকারের ১৭তম এবং বর্তমান মেয়াদের দ্বিতীয় বাজেট। আর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে সরকার পরিচালনা করেছিলেন সেখানে তিনটি বাজেট দেওয়ার সযোগ পেয়েছিলেন। সে হিসেবে এটি আওয়ামী লীগের ২০তম বাজেট। যেটি আওয়ামী লীগ সরকার এ দেশকে উপহার দিয়েছে। এ বাজেটে অর্থনৈতিক পুনর্গঠন এবং করোনাভাইরাস মোকাবেলায় জীবন ও জীবিকা রক্ষার উপর প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। তাছাড়া, বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরাদ্দ দেওয়ার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য, কৃষি, কর্মসৃজন ও সামাজিক নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া নির্বাচনী ইশতেহার, ২০১৮ এবং টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট ও লক্ষ্যসমূহ অর্জনের প্রয়াস চালানো হবে। আমরা দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা (২০২১-৪১) অনুমোদন করেছি। এ পরিকল্পনার মাধ্যমে ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে উত্তরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

হয়তো তখন আমরা বেঁচে থাকবো না কিন্তু কাজ আমরা করে যাচ্ছি, কর্মপন্থা দিয়ে যাচ্ছি ভবিষ্যতে যারা আসবে তারা যেন এটা অনুসরণ করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যায়।

এ ছাড়া, আমরা আগামী অর্থবছর হতে ৫ বছর মেয়াদি ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবো যার মূল প্রতিপাদ্য হবে দারিদ্র্য ও আয় বৈষম্য কমিয়ে এনে অর্থনৈতিক উন্নয়নকে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক করা।

বাংলাদেশ বিগত ১২ বছরে গড়ে ১ দশমিক ৪ শতাংশ হারে দারিদ্র্য বিমোচনে সক্ষম হলেও কোভিড-১৯ মহামারির প্রভাবে চলতি অর্থবছরে এ ধারায় কিছুটা হয়তো ছন্দপতন হতে পারে। এ মহামারির কারণে অর্থনৈতিক কার্যক্রম থমকে যাওয়ার প্রভাবে আমাদের দেশে দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাসকারি মানুষের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা অনেকে করেছেন।

কিন্তু অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে আমরা যে সুবিশাল আর্থিক প্রণোদনা ঘোষণা করে বাস্তবায়ন শুরু করেছি, তার মাধ্যমে আমরা এ সম্ভাবনাকে অনেকটাই রোধ করতে সক্ষম হবো বলে আমি বিশ্বাস করি। দেশের অতি দরিদ্র পরিবারকে সরাসরি নগদ অনুদান, বিনামূল্যে খাদ্য সামগ্রি বিতরণ, রপ্তানিমুখী শিল্পের শ্রমিক-কর্মচারিদের চাকরি সুরক্ষা, সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রমের পরিধি বাড়ানো ইত্যাদি সময়োপযোগী পদক্ষেপের দ্বারা আমরা দারিদ্র্য হার বৃদ্ধিকে রোধ করতে সক্ষম হব। আগামী অর্থবছরে স্বাভাবিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু করার মাধ্যমে আমরা দারিদ্র্য বিমোচনের হার পূর্বের ধারায় ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হব ইনশাল্লাহ।

স্বাস্থ্য

কোভিড-১৯ মোকাবেলা এবং এর অর্থনৈতিক ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার জন্য আমরা গতানুগতিক বাজেট হতে সরে এসে সরকারের অগ্রাধিকারের ক্ষেত্রে কাঠামোগত পরিবর্তন নিয়ে এসেছি। স্বাস্থ্য খাতকে এবার সর্বাপেক্ষা অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে, এবং করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে এখাতে অতিরিক্ত বরাদ্দ, প্রণোদনা ও ক্ষতিপূরণ ইত্যাদির ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

কোভিড-১৯ মোকাবেলায় চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিত করে জনজীবনকে সুরক্ষার লক্ষ্যে ন্যাশনাল প্রিপেয়ার্ডনেস অ্যান্ড রেসপন্স প্ল্যান প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়ন আরম্ভ করা হয়েছে। কোভিড-১৯ মোকাবেলায় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের আওতায় বর্তমানে ৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকার বিশেষ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

তাছাড়া কোভিড-১৯ মোকাবেলায় জরুরি চাহিদা মেটানোর জন্য ১০ হাজার কোটি টাকার থোক বরাদ্দ রাখা হয়েছে। বাজেট বরাদ্দের দিক দিয়ে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অবস্থান পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে যা গত অর্থবছরে ছিল অষ্টম স্থানে।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমরা অত্যন্ত অল্প সময়ে ২ হাজার ডাক্তার ও ৬ হাজার নার্স নিয়োগ দিয়েছি। আরো ২ হাজার ডাক্তারের পদ সৃষ্টি করা হয়েছে, যাদের শীঘ্রই নিয়োগ দেওয়া হবে। হেল্থ টেকনোলজিস্ট, কার্ডিওগ্রাফার এবং ল্যাব এটেনডেন্টের ৩ হাজার নতুন পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। এ ছাড়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবায় সরাসরি নিয়োজিত ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সম্পূর্ণ সরকারি খরচে হোটেলে থাকা, খাওয়া ও যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

মেডিক্যাল যন্ত্রপাতি, টেস্ট কীট ও সরঞ্জামাদি ক্রয় এবং করোনা চিকিৎসার সুবিধা আরো বাড়ানোর লক্ষ্যে আমরা দ্রুততম সময়ে ২ হাজার ৫ শত কোটি টাকা ব্যয়ে দুটি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছি।

আরো একটি প্রকল্প বর্তমানে চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। এগুলো বাস্তবায়নের ফলে আমাদের করোনা মোকাবেলার সামর্থ্য আরও বাড়বে। ২৮ জুন ২০২০ তারিখ পর্যন্ত সমগ্র বিশ্বে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা ছিল ১ কোটি ১ লাখ ২ হাজার জন। তন্মধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন ৫ লাখ ১ হাজার ৬৪৪ জন। বিশ্বে আক্রান্তের তুলনায় মৃত্যুর হার ৫.০১ শতাংশ। একই সময়ে বাংলাদেশে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৮৭ জন রোগী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ১ হাজার ৭৩৮ জন এবং ৫৫ হাজার ৭২৭ জন সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন যদিও একটি মৃত্যুও আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়, আমরা চাই না, এভাব একজনও মৃত্যুবরণ করুক। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি কীভাবে মানুষকে সুরক্ষা দেওয়া যায় এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য বার বার জনগণকে আমরা আহ্বান জানাচ্ছি। নিজেকে সুরক্ষিত রাখা এবং অপরকে সুরক্ষিত রাখাটা সকলের দায়িত্ব। তাই আশা করি সকলে সিজ নিজ দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবে।

আক্রান্তের তুলনায় বাংলাদেশে মৃত্যুর হার ১ দশমিক ২৬ শতাংশ। করোনাভাইরাসে আক্রান্তের তুলনায় মৃত্যুর হার ভারতে ৩. দশমিক শূণ্য ৮, পাকিস্তানে ২ দশমিক শূণ্য তিন, যুক্তরাজ্যে ১৪ দশমিক শূণ্য ৩ এবং যুক্তরাষ্ট্রে ৫ শতাংশ। এ পরিসংখ্যান হতে দেখা যায় যে যথাযথ কার্যব্যবস্থা গ্রহণ করায় বাংলাদেশে আমরা করোনাভাইরাসজনিত মৃত্যুহার নিম্ন পর্যায়ে রাখতে পেরেছি।

কৃষি

আগামী বাজেটে আমাদের দ্বিতীয় সর্ব্বোচ্চ অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত খাত হচ্ছে কৃষি। কৃষিতে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে আমাদের উল্লেখযোগ্য সাফল্যের মধ্যে আমরা চাল উৎপাদনে তৃতীয় স্থান অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি।

এফএও ইতোমধ্যে তাদের একটি পর্যালোচনা দিয়েছে সেখানে আমাদেও প্রায় ৩ কোটি ৯৯ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য উৎপাদন হয়েছে। যা আমাদের চাহিদার চেয়েও ২৫ লাখ মেট্রিক টন উদ্বৃত্ত।

করোনাত্তোর কৃষিখাতের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় উৎপাদন, বাজারজাতকরণসহ বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করার মাধ্যমে খাদ্য সঙ্কট যাতে তৈরী না হয় সেদিকে নজর দেওয়াই আমাদের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। করোনা-পরবর্তী পরিস্থিতিতে কোনভাবেই যাতে খাদ্য সঙ্কট সৃষ্টি না হয় সে জন্য এক ইঞ্চি আবাদি জমিও ফেলে না রাখার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণে আমি কৃষি মন্ত্রণালয় ও তার সব সহযোগী সংস্থাগুলোকে নির্দেশনা প্রদান করেছি- কোনো জমি ফেলে রাখা যাবে না কারণ বিশ্বজুড়ে মহাদুর্ভিক্ষ হতে পারে। দেশবাসীকে আমি আহ্বান জানাব যার যেখানে যেটুকু জমি আছে সেখানে যে যা পারেন তাই উৎপাদন করেন, উৎপাদন বাড়ান,নিজের খাদ্য নিরাপত্তা সুরক্ষিত করেন। সরকার যা যা করার তা করবে।

কৃষি খামার যান্ত্রিকীকরণে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং খাদ্যশস্য সংরক্ষণের স্থান বৃদ্ধি ও মান উন্নয়ন করা হবে। এ ছাড়া আগামী অর্থবছরে রাসায়নিক সারের বিক্রয়মূল্য অপরিবর্তিত রাখা হবে ও কৃষি প্রণোদনা প্রদান অব্যাহত থাকবে।

চলতি বোরো মৌসুমে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ধান কাটার লক্ষ্যে হারভেস্টার মেশিন ক্রয়ে আমরা ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ভর্তুকি প্রদান করেছি।

পাশাপাশি আমি ছাত্রলীগের কর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছিলাম তারা যেন তাদের নিজ নিজ এলাকায় গিয়ে কৃষকদের ধান কাটায় সহায়তা করে। ছাত্রলীগের কর্মীগণ ব্যাপক উৎসাহ নিয়ে কৃষকের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং বর্ষা মৌসুমের আগেই ধান কেটে ঘরে তুলতে সহায়তা করেছে। একইসঙ্গে যুবলীগ, কৃষকলীগ ও যুব-মহিলা লীগের কর্মীরাও স্ব-স্ব এলাকায় কৃষকদের ধান কাটায় সহায়তা করেছে।

প্রতি বছরের মতো এ বছরও ১লা আষাঢ় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বৃক্ষ রোপণ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। আমি আওয়ামী লীগের ৫৫ লাখ কর্মীর প্রত্যেককে একটি ফলজ, একটি ঔষধি এবং একটি বনজ বৃক্ষ অর্থাৎ তিনটি করে গাছ লাগানোর আহ্বান জানিয়েছি। এর ফলে দেশে বৃক্ষ আচ্ছাদনের পরিমাণ দ্রুত বৃদ্ধি পাবে।

করোনাভাইরাসের প্রভাবে বিশ্বব্যাপী যোগাযোগ ও পণ্য পরিবহন ব্যবস্থা সীমিত হয়ে আসায় খাদ্যশস্যসহ নিত্য-প্রয়োজনীয় পণ্যের সঙ্কট ও মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল। সঙ্কটের শুরু থেকেই আমরা এ বিষয়ে যথেষ্ট সজাগ ছিলাম।

গত এক দশকে আমাদের সরকারের অব্যাহত প্রচেষ্টার ফলে সরকারি গুদামে খাদ্যশস্য ধারণক্ষমতা আমরা প্রায় ২২ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত করতে পেরেছি এবং এর ফলে করোনা সঙ্কটের শুরুতে সরকারি গুদামে রেকর্ড পরিমাণ ১৭ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন খাদ্যশস্য মজুদ ছিল। দীর্ঘ ৬৬ দিন সারাদেশে ছুটি ও চলাচল সীমিত থাকলেও দেশের কোথাও খাদ্য ঘাটতি বা নিত্য-প্রয়োজনীয় দ্রব্যের সঙ্কট আমরা হতে দেইনি। উপরন্তু দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য আমরা খাদ্য সহায়তা অব্যাহত রাখতে সক্ষম হয়েছি। আগামী অর্থবছরেও খাদ্যশস্যের সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আমরা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ পরিমাণ ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেছি।

চলতি বোরো মৌসুমে আমরা ১১ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল এবং সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ৮ লাখ মেট্রিক টন ধান ক্রয়ের উদ্যোগ নিয়েছি যা গত বোরো মৌসুমের তুলনায় দ্বিগুস।

সামনে যে সংকটই আসুক না কেন আওয়ামী লীগ সরকার তা শক্তভাবে মোকাবেলা করবে এবং দেশের কোনো মানুষকে অভুক্ত থাকতে দেবে না। কারণ আমাদেন খাদ্য চাহিদা ৩ কোটি ৭৫ লাখ মেট্রিক টন সেখানে উৎপাদন হয়েছে ৩ কোটি ৯৯ লাখ মেট্রিক টন। ২৫ লাখ উদ্বৃত্ত রয়েছে এবং এই উৎপাদন আমরা অব্যাহত রাখব কাজেই আল্লাহর রহমতে আমাদের কোনো অসুবিধা হবে না।

সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী

করোনাভাইরাসের প্রভাবে সামগ্রিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ থাকায় নিম্ন আয় ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা কাযর্ক্রমের আওতা বৃদ্ধির ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

আগামী অর্থবছরে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা মহিলা ভাতা এবং অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতা ভোগীরসংখ্যা ১১ লাখ ৫ হাজার জন বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে গ্রামীণ দারিদ্র্য বিমোচনের কৌশল হিসেবে তৎকালীন ১৯টি থানায় ‘পল্লী সমাজসেবা কার্যক্রম’ শুরু করেন যা বর্তমানে দেশের সব জেলায়, প্রত্যেক উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে সফলভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে।

গ্রামীণ অর্থনীতিকে সচল করা এবং গ্রামে বসবাসরত দরিদ্র, দুস্থ ও অসহায় মানুষের আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে আগামী অর্থবছরে পল্লী সমাজসেবা কার্যক্রম এর জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় মোট উপকারভোগীর সংখ্যা হলো ১২ কোটি ৩৩ লাখ ৫৫ হাজার জন যাদের মূল তিনটি কার্যক্রমে বিভক্ত করা যায়: (ক) বিভিন্ন প্রকার ভাতা পাচ্ছেন ১ কোটি ৭ লাখ ২৬ হাজার; (খ) খাদ্য সহায়াতা পাচ্ছেন ৮ কোটি ৭২ লাখ ৭১ হাজার; এবং (গ) উপবৃত্তি কার্যক্রমের আওতায় আছেন ২ কোটি ৫৩ লাখ ৫৮ হাজার জন।

সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে আগামী অর্থবছরে ৯৫ হাজার ৫৭৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে যা মোট বাজেট বরাদ্দের ১৬.৮ শতাংশ এবং জিডিপি’র ৩.০১ শতাংশ।

ত্রাণ বিতরণ

করোনা পরিস্থিতিতে সৃষ্ট দুর্যোগে দেশের সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘবে মানবিক সহায়তা হিসেবে আমরা বিস্তৃত পরিসরে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রেখেছি যার আওতায় এ পর্যন্ত আমরা সারাদেশে দেড় কোটির বেশি পরিবারকে ত্রাণ সহায়তা দিয়েছি।

এ যাবৎ সারাদেশে ১ কোটি ৫৯ লাখ ৩০ হাজার পরিবারের মাঝে ১ লাখ ৮৪ হাজার ১২২ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে।

চালের পাশাপাশি, আমরা নগদ অর্থ বরাদ্দ দিয়েছি প্রায় ১২৩ কোটি টাকা; এতে উপকারভোগী পরিবার সংখ্যা ৯৫ লাখ ৭৯ হাজার।

শিশু খাদ্য সহায়ক হিসেবে বরাদ্দ দিয়েছি ২৭ কোটি ১৪ লাখ টাকা এবং এতে ৭ লাখ ৭৭ হাজার ৫২৫টি পরিবার উপকৃত হয়েছে।

এ ছাড়া সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় আম্পানের সময়ে আমাদের যথেষ্ট প্রস্তুতি থাকায় এবং দ্রুত ত্রাণ তৎপরতা শুরু করতে পারায় আমরা তা সফলভাবে মোকাবেলা করতে পেরেছি।

এর বাইরেও জেলা প্রশাসকদের কাছে ইউনিয়ন অনুযায়ী প্রতিটি ইউনিয়নের জন্য দুধসহ শিশু খাদ্য কেনায় আমি বরাদ্দ দিয়েছি।

শিক্ষা

শিক্ষা খাতকে সব সময়ই আমরা অগ্রাধিকার প্রদান করে থাকি। তবে এবার শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়ন কার্যক্রমের গুনগত মান উন্নয়নই হবে আমাদের মূল লক্ষ্য। ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে শিক্ষা খাতে ৯৫ হাজার ৩০৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে, যা জিডিপির ৩ দশমিক ১ শতাংশ এবং মোট বাজেট বরাদ্দের ১৭ শতাংশ।

করোনার এই মহামারির মধ্যেও আমরা বিশেষ ব্যবস্থায় ১ কোটি ৩৭ লক্ষ প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা প্রদান করেছি। এ ছাড়া মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নতুন পোশাক, জুতা ও ব্যাগ ক্রয়ের জন্য ১ হাজার টাকা করে আগামী ডিসেম্বর মাসে প্রদান করা হবে।

নন এমপিওভুক্ত যারা তাদের জন্যও আমরা ৪৬ কোটি টাকার ওপরে বরাদ্দ দিয়েছি।

অবকাঠামো খাতে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নসহ ব্যাপকভাবে সরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং যোগাযোগ, বন্দর ইত্যাদি অবকাঠামো গড়ে তোলার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছি। আমরা আগামী অর্থবছরের মধ্যে দেশের শতভাগ এলাকা বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় নিয়ে আসবো।

এ ছাড়া ভবিষ্যৎ বিনিয়োগ ও চাহিদা মেটাতে ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের মহাপরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

যোগাযোগ

দেশের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক/মহাসড়কগুলোকে পর্যায়ক্রমে ৪ লেনে উন্নীতকরণ, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু বাস্তবায়ন, দেশের প্রথম মেট্রোরেল নির্মাণ, কর্ণফুলি নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেলের নির্মাণ কাজ পুরোদমে এগিয়ে চলছে। এ সকল নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলে তা আমাদের জাতীয় অর্থনীতির জন্য ব্যাপক সুফল বয়ে আনতে সক্ষম হবে।

দুর্নীতি

দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি অব্যাহত থাকবে, এক্ষেত্রে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। দুর্নীতি সমূলে উৎপাটন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ।

মাননীয় স্পীকার, আমি আপনার মাধ্যমে মহান সংসদকে জানাতে চাই যে, দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে এবং আমাদের অর্জনসমূহ সমুন্নত রাখতে সরকার দুর্নীতি বিরোধী লড়াই অব্যাহত রাখবে।

বিনিয়োগ

দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতি বেগবান করার জন্যে দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধির বিকল্প নেই। বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে সারাদেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে। অর্থনৈতিক অঞ্চলসমূহে প্রায় এক কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এ ছাড়া বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য ব্যবসা-বাণিজ্যের খরচ যৌক্তিকভাবে কমিয়ে আনা ও ব্যবসা সহজীকরণ সূচকে উৎকৃষ্ট অবস্থান অর্জন করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের জন্য আমি সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশ দিয়েছি।

আমি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম যে, শিল্প ও ব্যবসা খাতকে প্রতিযোগিতা সক্ষম করার লক্ষ্যে সুদের হার এক অঙ্কে নামিয়ে আনব। আমরা ইতোমধ্যে তা করেছি। বিগত এপ্রিল ২০২০ হতে নতুন ঋণের ক্ষেত্রে সুদের হার সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ কার্যকর হয়েছে। এর ফলে ঋণের ব্যয় হ্রাস পাওয়ায় বেসরকারি বিনিয়োগ উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে।

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব এবং মুদ্রাস্ফীতির কারণে সাধারণ মানুষ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে এবং মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাগণের করমুক্ত আয়সীমা ৫০ হাজার টাকা বৃদ্ধি এবং করহার কিছুটা হ্রাস করার প্রস্তাব করা হয়েছে। অর্থাৎ বার্ষিক আয়ের ৩ লাখ টক পর্যন্ত করমুক্ত থাকবে।

এ ছাড়াও কর্পোরেট ট্যাক্সের হার ২ দশমিক ৫ শতাংশ হ্রাস করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এর ফলে নিম্ন-আয়ের মানুষের জীবনযাত্রায় স্বাচ্ছন্দ আসবে এবং বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে।

উন্নয়ন সহযোগীগণ ইতোমধ্যে ৫.১৬ বিলিয়ন ডলার বাজেট সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এবং গতকাল পর্যন্ত ১.৭৪ বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ ১৪ হাজার ৭৪০ কোটি টাকা সরকারি খাতে জমা হয়েছে। অত্যন্ত স্বল্প সময়ে আমাদের আহ্বানে সাড়া দেওয়ার জন্য আমি এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক, আই এম এফ, এ আই আই বি, বিশ্বব্যাংক, জাপান, ইইউসহ সকল উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ও দেশকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সেইস সঙ্গে অর্থমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রণালয়ের সকলকে আমি ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

কর্মসংস্থান আমাদের চ্যালেঞ্জ হলো, প্রতি বছর আনুমানিক যে ২০ লাখ তরুণ শ্রম বাজারে যুক্ত হচ্ছে তাদের জন্য উপযুক্ত কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা। নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষেই এ বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে। বাজেট বাস্তবায়নে আমরা অতীতে কখনও ব্যর্থ হইনি এবং ভবিষ্যতেও হবো না।

প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে আরো বলেন মাননীয় স্পীকার, আমরা কখনও হতাশায় ভুগি না। আমরা সব সময় একটা লক্ষ্য নির্ধারণ করে সুনির্দিষ্ট কর্ম পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাই। তবে পরিস্থিতি বিবেচনায় কখনও কখনও সে পরিকল্পনা প্রয়োজন অনুযায়ী পুনঃনির্ধারণ করতে হয় এবং সে কারণেই আজকে বাজেট ঠিক রেখেছি এবং প্রণয়নও করেছি এবং আশাকরি এটা আমরা বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হব।

আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি সুখী ও সমৃদ্ধ উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আর তার মধ্যেই

আমরা প্রাণঘাতী কোভিড-১৯ এর মত বৈশ্বিক মহামারীর মোকাবেলা করছি। আম্পানের মত ঘুর্ণিঝড় মোকাবেলা করছি হয়তো আগামীতে বন্যা আসবে সেটাও মোকাবেলা করতে হবে। সেই প্রস্তুতিও আমাদের আছে, আমরা নিচ্ছি।

আমি দৃঢ়ভাবে আশাবাদী যে আমরা সফলভাবে এ মহামারীর অর্থনৈতিক প্রভাব কাটিয়ে উঠে উন্নয়নের অভিযাত্রায় পুনরায় শামিল হবো। কারণ, বিশ্ব মানদ-ে আমাদের রয়েছে শক্তিশালী আর্থ-সামাজিক অবস্থান।

গত ২ মে, ২০২০ দ্যা ইকনোমিস্ট একটি গবেষণা প্রতিবেদনে চারটি মানদ-ের ভিত্তিতে সবল অর্থনীতির ৬৬টি দেশের তালিকা করেছে; সেখানে বাংলাদেশ শক্তিশালী নবম অবস্থানে রয়েছে।

চলতি জুন মাসেই আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রেকর্ড ৩৫ বিলিয়ন এবং প্রবাস আয় ১৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে। করোনাভাইরাসকে কার্যকরভাবে মোকাবেলা করে এবং আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য পেশকৃত জনবান্ধব, উন্নয়নমুখী ও সুষম এই বাজেট এর সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে জাতির পিতার স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমরা এগিয়ে যাবো, ইনশাআল্লাহ। যত বাধা আসুক তা অতিক্রম করে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সূত্র: বাসস।

-এ

The post বাজেট নিয়ে সরকারের অবস্থান ব্যাখ্যা করলেন প্রধানমন্ত্রী appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3eIwytH

মাদরাসায় মেধাবী শিক্ষক সংকট : করোনা আরেকটি পেরেক ঠুকে যাবে

সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর:

সংকটের শুরুটা আগেই হয়েছিল, করোনা এসে সেই সংকটের গোড়ায় জোরসে আরেক ধাক্কা মেরে দিল। বলছিলাম কওমি মাদরাসায় মেধাবী ও যোগ্য শিক্ষক সংকটের কথা। বেশ ক’ বছর ধরে বন্ধু-বান্ধব যারা মাদরাসায় পড়ান তাদের সঙ্গে আলাপ করেছি বিষয়টা নিয়ে—কওমি মাদরাসায় কি সত্যিই মেধাবী শিক্ষকদের অবমূল্যায়ন করা হচ্ছে? এদিক সেদিক ঘুরিয়ে তাদের সকলের স্বীকারোক্তিই ছিল ইতিবাচক—হ্যাঁ, মেধাবী শিক্ষার্থীরা মাদরাসা থেকে পাশ করে মাদরাসায় শিক্ষকতার চেয়ে অন্যকোনো পেশা নির্বাচনে অধিক আগ্রহী হচ্ছেন।

কেন এভাবে মেধাবী শিক্ষার্থীরা মাদরাসায় পড়ানোর মতো ‘সম্মানজনক’ পেশা ছেড়ে অন্য পেশাকে নিজেদের গন্তব্য করছেন? এর উত্তর বিবিধ। মাদরাসাগুলোতে ‘অসম্মানজনক’ বেতন-ভাতা, বেতন পরিশোধে দীর্ঘসূত্রিতা, মাদরাসায় মুহতামিম/প্রিন্সিপাল/পরিচালকদের একচ্ছত্র আধিপত্য, শিক্ষক নির্বাচনে পরিচালকদের স্বজনপ্রীতি ইত্যাদি আরও নানা ধরনের বিষয় আছে যেগুলো একজন মেধাবী শিক্ষার্থীকে মাদরাসার শিক্ষক হতে অনুৎসাহিত করছে।

আশংকা করা হচ্ছিল, এর ফলে মাদরাসাগুলোতে পাঠদান এবং শিক্ষার মান ক্রমান্বয়ে নিম্নমুখী হতে পারে। মাদরাসার দীর্ঘকালীন শিক্ষাধারাও পড়তে পারে নানা সংকটের মুখে। করোনা এসে সেই শংকায় আরেকটি পেরেক ঠুকে দিল।

দুই

করোনা মহামারী পরবর্তী সাধারণ ছুটি শুরু হওয়ার পর সকলেই মনে করেছিল, মাস-দুই মাস পর হয়তো পরিস্থিতি ফের স্বাভাবিক হয়ে যাবে। মাদরাসাগুলোও তখন সুবিধাজনক অবস্থানে ছিল। কারণ, যখন মাদরাসা বন্ধ হয় তখন পরীক্ষা পূর্ববর্তী প্রস্তুতিমূলক ছুটি (খেয়ার) চলছিল এবং তার পর রমজান মাস সমাগত ছিল, যে সময়টাতে মাদরাসাগুলো এমনিতেও পুরোপুরি বন্ধ থাকে। কিন্তু রমজানের পরও যখন ছুটি দীর্ঘ হতে লাগল তখন স্বাভাবিকভাবে টনক নড়তে লাগল মাদরাসার শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদেরও।

দুর্যোগকালীন অবস্থায় পরিবারের ভরন-পোষণ এবং বেঁচে থাকার প্রয়োজনে মাদরাসার শিক্ষকগণ নানামুখী ব্যবসা, কৃষি বা বিকল্প আয়ের দিকে ঝুঁকতে লাগলেন। এরই মধ্যে কেউ কেউ বিকল্প চাকরি বাকরিও জুটিয়ে নিয়েছেন। অবশ্য এ ছাড়া উপায়ই বা কী ছিল!

এই লকডাউনের সময়টাতে অধিকাংশ মাদরাসা কর্তৃপক্ষ তাদের শিক্ষকদের বেতন-ভাতার ব্যাপারে আশানুরূপ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। অনেক মাদরাসা ছুটির সময়টাতে শিক্ষকদের এক টাকাও বেতন দেয়নি, কোনো কোনো মাদরাসা এক-দুই মাসের বেতন দিলেও পরবর্তীতে শিক্ষকদের আর কোনো খবর রাখেনি, হাতেগোনা কয়েকটি মাদরাসা মাত্র তাদের শিক্ষকদের শতভাগ বেতন পরিশোধ করেছে।

মাদরাসাগুলো পরিচালনা করে যেসব শিক্ষাবোর্ড, তারাও এ ব্যাপারে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। অবশ্য সাহায্যের ঘোষণা এসেছিল বলে শুনেছিলাম, কিন্তু কোনো শিক্ষক সেই সাহায্যের টাকা পেয়েছেন কি-না, আমার জানা নেই।

রইল বাকি সরকার মহোদয়। সংবাদমাধ্যমে যতদূর জানতে পেরেছি, সরকার কওমি মাদরাসার শিক্ষকদের জন্য আট কোটির অধিক অর্থ সহায়তা তহবিল ঘোষণা করেছিল। তারপর একবার শুনলাম, বোর্ড কর্তৃপক্ষ নাকি মিটিং করে সেই ‘খয়রাতি’ টাকা নেবে না—এমন সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। কর্তৃপক্ষ ওই টাকা নাক সিঁটকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে। বড়ই মহৎ আঞ্জাম। ‘শির দেগা নেহি দেগা আমামা’ টাইপের স্লোগান প্রযোজ্য হবে এখানে। মাদরাসার শিক্ষকগণ পরিবার নিয়ে না খেয়ে থাকুক তাতে কী? সরকারের সঙ্গে আমরা তো কোনো আপোস করতে পারি না!

ওদিকে সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ প্রতি মাসে বেতন পাচ্ছেন। ঈদে বোনাস পেয়েছেন, সামনের ঈদেও পাবেন। কওমি মাদরাসার শিক্ষকগণ গত ঈদেও বেতন-বোনাস পাননি, কুরবানির ঈদেও পাবেন না। সুতরাং খেয়ে-পরে বাঁচতে হলে বিকল্প আয়ের সন্ধান ছাড়া উপায় কী?

মাদরাসাগুলো তো আর তাদের মা-বাপ না যে ঘরে বসিয়ে বসিয়ে খাওয়াবে।

তিন

এবার তাহলে একটা সিদ্ধান্তে আসা যাক। আমিই বরং প্রশ্ন করি—কেন তাহলে মাদরাসার মেধাবী শিক্ষার্থী/শিক্ষকগণ মাদরাসায় পড়াবেন? তার যথোপযুক্ত বেতন নেই, সঠিকভাবে তার মেধার মূল্যায়ন নেই, তার সুখে-দুঃখে পাশে দাঁড়াবার মতো কেউ নেই; না মাদরাসা আর না মাদরাসার হর্তাকর্তা বোর্ড গোত্রীয় কেউ। তবু আপনি তাকে ধর্মরক্ষার অজুহাত দিয়ে, ইসলামি জ্ঞান বিস্তারের মহান দায়িত্বের কথা বলে, ইলমি দরস-তাদরিসের আকাবিরীয় হেকায়েত শুনিয়ে মাদরাসায় পড়ানোর জন্য আটকে রাখবেন! কোন যুক্তিতে?

এটা কি এক ধরনের ব্ল্যাকমেইলিং হয়ে গেল না? সোজাকথায়, ধর্মের কাঁধে বন্দুক রেখে আপনি একজন কওমি শিক্ষককে কেন বছরের পর বছর সামান্য বেতনের আশায় ব্ল্যাকমেইলিং করবেন? এগুলো কি অনৈতিকতা নয়? শিক্ষকদের অল্পেতুষ্টির কথা বলে মাদরাসার প্রিন্সিপাল টয়োটা/নোয়াহ গাড়ি নিয়ে যাতায়াত করবেন, এগুলো তো ভালো কথা নয়। শিক্ষকদের বেতন হয় না ছয় মাস/আট মাস ধরে অথচ মাদরাসার নতুন ভবন ঠিকই উপরের দিকে উঠছে। এমনতর অবিচার এবং অমানবিক আচরণ মাদরাসায় কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। মাদরাসা—যেটি ইসলামের সকল বিধি-বিধান শিক্ষার আতুড়ঘর, সেখানেই যদি ইসলাম পরিপালন না হয় তাহলে মানুষ ইসলাম আর কোথায় গিয়ে খুঁজবে?

চার

যে কাজটি ভবিষ্যতে আবশ্যিকভাবে করতে হবে, হয় শিক্ষকদের সম্মানজনক বেতন-ভাতার ব্যবস্থা করতে হবে, নয়তো মেধাবী শিক্ষক ছাড়াই কল্পনা করতে হবে কওমি শিক্ষাব্যবস্থার আগামী। যে শিক্ষক বিকল্প পেশায় গিয়ে নিজের আয়ের বন্দোবস্ত নিজেই করে নিয়েছেন, তাকে আবার মাদরাসার শ্রেণিকক্ষে ফেরানো যাবে কি-না, এটা ঘোরতর সন্দেহের বিষয়। মেধাবী শিক্ষকদের বড় একটি অংশ এই করোনা পরবর্তী সময়ে মাদরাসা থেকে দূরে সরে যাবেন। এটা আপনার মানতে কষ্ট হলেও বাস্তব সত্য এমনই। যিনি নিজে শ্রম দিয়ে মাসশেষে ২০ হাজার টাকা আয় করতে পারছেন, তিনি কেন মাদরাসার আট-দশ হাজারী বেতনের জন্য তীর্থের কাকের মতো প্রিন্সিপালের সুমর্জির অপেক্ষায় তিন মাস/ছয় মাস ধরে বসে থাকবেন?

‘সম্মানজনক বেতন’ যদিও একটি আপেক্ষিক শব্দ, তবে আমি মনে করি এ ব্যাপারে সরকারি বেতন স্কেলকে মানদণ্ড ধরা যেতে পারে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন প্রবেশনারি শিক্ষকের শুরুর বেতন হয় কমপক্ষে ১৮ হাজার টাকা। মাদরাসার শিক্ষকদের জন্যও এই বেতন স্কেল নির্ধারণ করা হোক। প্রতি বছরই সরকারি বিধি মোতাবেক যেভাবে নির্দিষ্ট হারে বেতন বাড়ে সেভাবে মাদরাসায় বেতন বাড়াতে হবে এবং বছরের বিভিন্ন ছুটি ও উৎসবে নির্ধারিত ভাতার বন্দোবস্তও থাকা বাঞ্চনীয়। যদি এমন উদ্যোগ গ্রহণ করা যায় তাহলে হয়তো মাদরাসায় মেধাবী শিক্ষক সংকট কিছুটা হলেও রোধ করা যাবে।

সম্মানজনক জীবিকা সবার কাম্য। মাদরাসায় শিক্ষা প্রদানও অন্যতম সম্মানজনক পেশা। কিন্তু সেই পেশাকে ধর্মের কথা বলে, আকাবির আর নববি ইলমের দোহাই দিয়ে ব্ল্যাকমেইলিং করা শিক্ষার নামে সবচে অসম্মানজনক কাজ। এই প্রবণতা থেকে বের হতে না পারলে কওমি শিক্ষাব্যবস্থার সামনে অপেক্ষা করছে অশনি সংকেত।

The post মাদরাসায় মেধাবী শিক্ষক সংকট : করোনা আরেকটি পেরেক ঠুকে যাবে appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/2NCtLpI

অনলাইনে ধর্মীয় শিক্ষা : যেতে হবে অনেক দূর

রাকিবুল হাসান:

কোভিড-১৯ এর কারণে বাংলাদেশের কওমি শিক্ষাব্যবস্থা এক চরম সংকটকাল অতিক্রম করছে। মহামারী থেকে শিক্ষার্থীদের নিরাপদ রাখতে মার্চ থেকেই বন্ধ মাদরাসাগুলো। পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য উন্নতি না হলে সহসা খুলবেও না। তাই মাদরাসার ক্লাসরুম তালাবদ্ধ থাকলেও অনেকেই খুলে বসেছেন অনলাইন ক্লাসরুম। অনলাইনেই চলছে বিভিন্ন কিতাবের নিয়মিত ক্লাস। কওমির শিক্ষা বিশেষজ্ঞরা বিষয়টিকে দেখছেন ইতিবাচক হিসেবেই।

আন নুহা ফাইভ মিনিট মাদরাসা—একটি অনলাইন লার্নিং প্লাটফর্ম। কওমি মাদরাসার সিলেবাসভুক্ত দশটি কিতাবের নিয়মিত ক্লাস করানো হচ্ছে এখানে। করোনার কারণেই কি অনলাইন ক্লাস শুরু করা? অনলাইন মাদরাসাটির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ফারাবি আহমাদ বলেন, ‘করোনার আগে থেকেই প্লান ছিল এমন একটি প্লাটফর্ম তৈরী করার, যেখানে কওমি মাদরাসার সিলেবাসভুক্ত কিতাবগুলোর অধ্যায়ভিত্তিক যাবতীয় ক্লাস রেকর্ডেট থাকবে। শুধু ক্লাস নয়, একজন কওমি ছাত্রকে যুগোপযোগী করে তোলার সম্ভাব্য সব নির্দেশনা-গাইডলাইনও থাকবে। কিন্তু করোনার কারণে সব মাদরাসা বন্ধ হয়ে যায়। নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হলেও শুরু করা যাচ্ছে না ক্লাস। তাই আমরা ফেসবুকে লাইভ ক্লাসের ব্যবস্থা করি। ইতোমধ্যে দশটি কিতাবের নিয়মতি ক্লাস চলছে। লাইভ ক্লাসগুলো আমরা ফেসবুকের সঙ্গে ইউটিউবেও আপলোড করছি।’

অনলাইন মাদরাসাটির পরিকল্পনা কী—জানতে চাইলে ফারাবি আহমাদ বলেন, ‘করোনার প্রয়োজনে লাইভ ক্লাসগুলো করছি। কিন্তু আমাদের মূল পরিকল্পনা—কওমি মাদরাসার সব কিতাবের গুরুত্বপূর্ণ সব অধ্যায়গুলোর ভিডিও তৈরী করা। ইতোমধ্যেই ভিডিও তৈরী শুরু করে দিয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ, ৪০ শতাংশ কাজ এগিয়েও গেছে। আগামী সাত-আট মাসের মধ্যে ভিডিওগুলো তৈরী করে ফেলতে পারলে আমরা অ্যাপ লঞ্চ করবো। কারণ, কন্টেন্ট না হলে তো অ্যাপ লঞ্চ করে লাভ নেই।’

বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন কওমি বিশেষজ্ঞরা। আপদকালীন এই সময়ে অনলাইন ক্লাসকে নতুন একটি সম্ভাবনার ক্ষেত্রে হিসেবেও অভিহিত করেছেন তারা। কওমি মাদরাসার শিক্ষাবোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের মহাপরিচালক মাওলানা যুবায়ের আহমাদ চৌধুরী বলেন, ‘করোনাকালীন এই অনলাইন ক্লাস ইতিবাচক হিসেবেই দেখছি। এই অবরুদ্ধ সময় আমাদেরকে প্রযুক্তির প্রতি সচেতন করে তুলেছে। এখন অনলাইন ক্লাস হচ্ছে। একসময় পূর্ণাঙ্গ অনলাইন মাদরাসাও শুরু হবে।’ বেফাক অনলাইন ক্লাস নিয়ে কিছু ভাবছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বললেন, ‘বেফাক অনলাইন ক্লাস করবে না। তবে বিচ্ছিন্নভাবে কওমি শিক্ষকগণ অনলাইনে যে ক্লাস করছেন, তা চলতে পারে। ক্লাস না হওয়ার চেয়ে অনলাইনে ক্লাস হওয়া ভালো।’

তবে অনলাইন ক্লাস ও শিক্ষাদানের সংকট ও সম্ভাবনা ফিফটি ফিফটি। সম্ভাবনার চেয়ে সঙ্কটই এখন সবচে বেশি দৃশ্যমান। ধীরে ধীরে সঙ্কট কেটে গেলে সম্ভাবনার পাল্লা ভারী হতেও পারে, আবার নাও হতে পারে। সংকটের কথা তুলে ধরে ‘আন নুহা ফাইভ মিনিট মাদরাসা’র প্রধান ফারাবি আহমাদ বলেন, ‘যারা কাজ শুরু করে, তাদের সঙ্কট মোকাবেলা করেই এগিয়ে যেতে হয়। আমরাও কিছু সঙ্কটের মুখোমুখি হচ্ছি। এক—অনেকে ক্লাসে ভালো পড়াতে পারেন। কিন্তু রেকর্ডেট ক্লাসে সময় মেপে কথা বলতে পারেন না। ফলে তাদেরকে আমাদের অনলাইন ক্লাসে আনলেও এই সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছি। দুই—আমাদের শিক্ষকগণ কম্পিউটার শিক্ষাটা তেমন জানেন না। মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, পাওয়ার পয়েন্ট ইত্যাদি। ফলে যা পড়াবেন, তা স্লাইড করে আনতে পারেন না। আমাদের নিজেদের তা তৈরী করতে হয়। তিন—দক্ষ টিম নেই। তবে আমরা টিম গঠন করতে শুরু করেছি। আরবি জানা, কম্পিউটার জানা কোনো দক্ষ আলেম আমাদের টিমে যুক্ত হতে পারেন।’

অন্য একটি সঙ্কটের কথা বললেন জামিয়া আরাবিয়া ইমদাদুল উলুম ফরিদাবাদ মাদরাসার একজন মুহাদ্দিস। তিনি বললেন, ‘কওমি মাদরাসার অধিকাংশ ছাত্রই ঢাকার বাইরে থাকে। অনেকে থাকে প্রত্যন্ত অঞ্চলেও। অনলাইনে ক্লাস করার মতো তাদের অনেকের কাছে ডিভাইস নেই, নেট এভেইলেবল না। ফলে অনেকে চাইলেও ক্লাসে যুক্ত হতে পারবে না।’ একই কথা বলেছেন বেফাকের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মাওলানা মুসলেহ উদ্দীন রাজু।

এই সংকট প্রসঙ্গে আন-নুহার প্রধান ফারাবি আহমাদ বলেন, ‘সময়মতো হয়তো অনেকেই এসব অনলাইন ক্লাসে যোগ দিতে পারবে না। কিন্তু এর বিকল্পও আছে। কেউ ক্লাসে অংশ নিতে না পারলে পুনঃপ্রচার দেখার সুযোগ আছে, এ ছাড়া ফেসবুক ও ইউটিউবেও দেখে নেয়া যায়। তবে আমরা আরও ভাবছি। সময় নিচ্ছি। ছাত্রদের কাছে যত সহজে ক্লাসগুলো পৌঁছানো যাবে, ততই ভালো হবে।’

মাত্রই শুরু হলো এই অনলাইন ক্লাসরুমের যাত্রা। যারাই অনলাইনে ক্লাস শুরু করেছেন, পরীক্ষামূলকভাবেই শুরু করেছেন। তাই এখানে সংকটগুলো যেমন চোখে পড়ছে, সম্ভাবনাগুলোও আশা দেখাচ্ছে। ক্লাসরুমের বিকল্প এই পথে অভ্যস্ত হতে আরও অনেকদূর পথ চলতে হবে বলে মনে করছেন শিক্ষা বিশেষজ্ঞরা।

The post অনলাইনে ধর্মীয় শিক্ষা : যেতে হবে অনেক দূর appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3eNFEVW

করোনায় প্রতিরক্ষা সচিবের মৃত্যু

ফাতেহ ডেস্ক:

করোনাভাইরাসে (কভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন প্রতিরক্ষা সচিব আবদুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরী।

আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) তিনি মারা যান।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সেলিনা হক গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সচিবের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ভাষানী মির্জা বলেন, ‘সকাল পৌনে ৯টার দিকে আবদুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরী কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। পরে ৯টা ৩৫ মিনিটের দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।’

তিনি জানান, করোনা পজিটিভ হওয়ার পর গত ১৯ মে আবদুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরীকে সিএমএইচ ভর্তি করা হয়।

শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় গত ৬ জুন তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয়। অবস্থার আরও অবনতি হলে গত ১৮ জুন থেকে তিনি শতভাগ ভেন্টিলেশন সাপোর্টে ছিলেন।

The post করোনায় প্রতিরক্ষা সচিবের মৃত্যু appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/2NC93X0

করোনায় বৈশ্বিক অর্থনীতি মহামন্দার দ্বারপ্রান্তে: সংসদে প্রধানমন্ত্রী

ফাতেহ ডেস্ক:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনা মহামারীর কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতি মহামন্দার দ্বারপ্রান্তে। জাতি একটি ক্রান্তিলগ্নের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এটা শুধু বাংলাদেশ নয়, সারাবিশ্বব্যাপী এই সমস্যা।

তিনি বলেন, তবে দেশের সব ধরনের মানুষ যাতে উপকৃত হয় এ জন্য আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। এজন্য আমরা ১৯টি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।

জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে সোমবার এ মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। করোনা উপলক্ষে নেওয়া সরকারের যাবতীয় পদক্ষেপও তুলে ধরেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “মহামারী কভিড-১৯ মহাদুযোর্গের কারণে আজকে বিশ্ব অর্থনীতি মহামন্দার দ্বারপ্রান্তে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ২০২০ সালে বৈশ্বিক অর্থনীতি চার দশমিক ৯ শতাংশ সংকুচিত হবে বলে প্রাক্কলন দিয়েছে। করোনার প্রভাবে বিশ্বব্যাপী ১৯ কোটি ৫০ লাখ কর্মীর চাকরি হ্রাস, বৈশ্বিক এফডিআই প্রবাহ ৫ থেকে ১৫ শতাংশ হ্রাস এবং বৈশ্বিক রেমিটেন্স ২০ শতাংশ হ্রাস পাবে বলে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ঘোষণা দিয়েছে। ঠিক এই পরিস্থিতিতে আমরা বাংলাদেশে একটি বাজেট প্রণয়ন করেছি। এই বাজেট প্রণয়ন অত্যন্ত কঠিন ও দুরূহ কাজ ছিল। এই বাজেট প্রণয়নের সাথে যারা জড়িত, তাদের সকলকে ধন্যবাদ জানাই।”

সাধারণ ছুটির মধ্যে অক্লান্ত পরিশ্রম করে বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

করোনা পরিস্থিতি সম্পর্কে বলেন, “জীবন ও জীবিকা রক্ষায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে প্রয়োজনীয় অফিস-আদালত-কলকারখানা চালু করার পাশাপাশি সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কভিড-১৯ মোকাবিলায় যে কোনো জরুরি চাহিদা মেটাতে ২০২০-২১ সালের অর্থবছরে ১ হাজার কোটি টাকার থোক বরাদ্দ দিয়েছি। দুর্যোগে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষকে নগদ অর্থ ও খাদ্য সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে বছরব্যাপী জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী (মুজিববর্ষ) উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ফলে আমরা মুজিববর্ষের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে জনসমাগম না করে টেলিভিশনের মাধ্যমে সম্প্রচার করেছি। তবে মুজিববর্ষে গৃহহীনদের ঘর করে দেওয়া হবে। এ দেশে কেউ গরীব, গৃহহীন থাকবে না।”

করোনাভাইরাসে মৃত্যুবরণকারী সকলের আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই প্রাণঘাতী বৈশ্বিক মহামারির হাত থেকে দেশবাসী ও বিশ্ববাসী যেন মুক্তি পান। চিকিৎসাধীনরা যেন সুস্থ হয়ে ওঠেন।”

তিনি বলেন, “বর্তমান সরকারের আমলে এটি দ্বিতীয় বাজেট। আওয়ামী লীগ সরকার এ পর্যন্ত ২০টি বাজেট দিয়েছে। বাজেটে আমরা স্বাস্থ্য, কৃষি এবং সামাজিক নিরাপত্তা এগুলোতে জোর দিয়েছি।”

The post করোনায় বৈশ্বিক অর্থনীতি মহামন্দার দ্বারপ্রান্তে: সংসদে প্রধানমন্ত্রী appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/2ZeNi58

সরকারিভাবে করোনা টেস্টের ফি নির্ধারণ করে পরিপত্র জারি

ফাতেহ ডেস্ক:

সরকারিভাবে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরীক্ষার আরটি-পিসিআর টেস্টের ফি নির্ধারণ করে পরিপত্র জারি করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ। ফি-এর বর্ণনায় বলা হয়, আরটি-পিসিআর টেস্টের জন্য এখন থেকে বুথ থেকে নমুনা সংগ্রহের জন্য ২০০ টাকা, বাসা থেকে নমুনা সংগ্রহের ক্ষেত্রে ৫০০ টাকা এবং হাসপাতালে ভর্তি রোগীর ক্ষেত্রে ২০০ টাকা ফি দিতে হবে।

সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা-১ অধিশাখার উপসচিব ড. বিলকিস বেগম স্বাক্ষরিত পরিপত্রে বলা হয়, বর্তমানে আরটি-পিসিআর টেস্ট এর মাধ্যমে করোনার সংক্রমণ নির্ণয় বিনামূল্যে থাকার কারণে অধিকাংশ মানুষই উপসর্গ ছাড়াই এর সুযোগ নিচ্ছেন। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার নিমিত্তে ‘অপ্রয়োজনীয় এসব কভিড টেস্ট’ পরিহার করা লক্ষ্যে এমতবস্থায় ফি নির্ধারণ করা হলো।

পরিপত্রে ফি নির্ধারণের পাশাপাশি কিছু শর্তারোপ করা হয়েছে। এসব ফি সকল সরকারি হাসপাতালের ক্ষেত্রে নির্ধারণ করা হয়েছে জানিয়ে শর্তে বলা হয়, পরীক্ষার ফি বাবত আদায়কৃত রাজস্ব সরকারি কোষাগারে জমা হবে। তবে ‘চিকিৎসা সুবিধা বিধিমালা’ ১৯৭৪ এর আওতায় সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারীদের চিকিৎসা সংক্রান্ত সকল সুযোগ-সুবিধা বহাল থাকবে। একই সঙ্গে বীর মুক্তিযোদ্ধা, দুস্থ ও গরীব রোগীদের চিকিৎসা ও রোগ নির্ণয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা সংক্রান্ত সরকারি আদেশ বহাল থাকবে।

যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও উল্লেখ করা হয়।

The post সরকারিভাবে করোনা টেস্টের ফি নির্ধারণ করে পরিপত্র জারি appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/31sO6Gq

দেশে একদিনে করোনায় আরও ৪৫ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৪০১৪

ফাতেহ ডেস্ক:

দেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে (কভিড-১৯) ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪৫ জন মারা গেছেন। একই সময়ে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন আরও চার হাজার ১৪ জন।

এ নিয়ে দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১ হাজার ৭৮৩ জনে দাঁড়িয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৪১ হাজার ৮০১ জন।

সোমবার আড়াইটায় নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৫টি ল্যাবের নমুনা এসেছে। কারিগরি কারণে সরকারি দুটি আর বেসরকারি একটি ল্যাবের নমুনা আসেনি। এই সময়ে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৭ হাজার ৮৩৭টি। এতে করোনা শনাক্ত হয়েছে চার হাজার ১৪ জনের। মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৪১ হাজার ৮০১ জন।

অধ্যাপক সুলতানা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪৫ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১ হাজার ৭৮৩ জনে দাঁড়িয়েছে। সর্বশেষ মৃত ৪৫ জনের মধ্যে পুরুষ ৩৬ জন।

ব্রিফিংয়ে আরও জানানো হয়, করোনা থেকে ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৫৩ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৫৭ হাজার ৭৮০ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থ হওয়ার হার ৪০ দশমিক ৭৫ শতাংশ।

The post দেশে একদিনে করোনায় আরও ৪৫ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৪০১৪ appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/2NBDxsb

Sunday, June 28, 2020

২ কোটি ২৫ লাখ টাকা অনুদান পেল ৩৫৯টি মাদরাসা

ফাতেহ ডেস্ক:

করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে দেশের অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠাগুলোর মতো কওমি মাদরাসাগুলোও বন্ধ রয়েছে। দীর্ঘদিন মাদারাসা বন্ধ থাকার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে এসব প্রতিষ্ঠানে। আয় কমে যাওয়ায় অনেক প্রতিষ্ঠান শিক্ষকদের ঠিকমতো বেতন দিতে পারছেন না। বন্ধ রয়েছে চলমান অনেক মাদরাসার সংস্কার কাজ। জমতে শুরু করেছে গ্যাস, বিদ্যুৎসহ অন্যান্য বিল।

এমতাবস্থায় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আবদুল্লাহ মন্ত্রী হিসেবে প্রাপ্য মন্ত্রীর তহবিল থেকে দেশের বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ২ কোটি ২৫ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছেন। অনুদানপ্রাপ্তির তালিকায় ঢাকাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় অবস্থিত ৩৫৯টি প্রসিদ্ধ কওমি ও আলিয়া মাদরাসাসহ হেফজখানা এবং এতিমখানার নাম রয়েছে। তন্মধ্যে ১৪৬টি মাদরাসা সর্বোচ্চ ২ লাখ ও ১ লাখ টাকা পেয়েছেন। অন্য মাদরাসাগুলোকে তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে অবস্থাভেদে ২০-৩৫ হাজার করে বিভিন্ন অংকের টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে। মাদরাসার সংস্কারের জন্য দেওয়া অনুদানের সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মাদরাসা সংলগ্ন মসজিদেও অনুদান দেওয়া হয়েছে।

১৩ জুন রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আবদুল্লাহ ইন্তেকাল করেন। এর আগে তিনি নিজ উদ্যোগে কওমি মাদরাসার ছয়টি বোর্ডসহ হাইয়াতুল উলইয়ার নেতৃবৃন্দ থেকে শুরু বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠনের নেতৃবৃন্দের অধীনে পরিচালিত এসব মাদরাসা ও মসজিদগুলোর জন্য আর্থিক অনুদান বরাদ্দ করেন।

অনুদান প্রাপ্তির তালিকায় আলিয়া মাদরাসাসহ নানা মতাদর্শের ধর্মীয় সংগঠনের অধীনে পরিচালিত মাদরাসা ও মসজিদ রয়েছে। তবে কওমি মাদরাসার সংখ্যা বেশি। কারণ কওমি মাদরাসাগুলো কখনও সরকারি কোনো অনুদান ও সাহায্য-সহযোগিতা পায় না।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাসহ অনুদানপ্রাপ্ত একাধিক মাদরাসার পরিচালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০১৯ সালে সরকারি খরচে প্রথমবারের মতো হজযাত্রীদের ধর্মীয় ও বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দিতে ৫৮ জন আলেমকে সৌদি আরব পাঠানো হয়। অনুদানপ্রাপ্তির তালিকায় তাদের পরিচালিত প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলার প্রসিদ্ধ মাদরাসা অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে স্থানীয় সংসদ সদস্যদের আবেদনের ভিত্তিতে। তালিকায় বিভিন্ন বোর্ড, ধর্মীয় সংগঠন ও সংস্থার নেতাদের পরিচালিত মাদরাসা রয়েছে।

করোনা পরিস্থিতিতে এসব অনুদান মাদরাসাগুলোর সংস্কার কিংবা পরিচালনার জন্য বেশ সহায়ক বলেও মন্তব্য করেছেন মুহতামিমরা। কওমি মাদরাসা নেতৃবৃন্দ করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে এই অনুদান প্রদানে ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ও তার জন্য দোয়া করেছেন।

অনুদানপ্রাপ্তির তালিকায় রয়েছে- চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদরাসা, জামিয়া রাহমানিয়া সাতমসজিদ-মোহাম্মদপুর, জামিয়া মাদানিয়া যাত্রাবাড়ী, ফরিদাবাদ মাদরাসা, লালবাগ মাদ্রাসা, বড় কাটারা মাদরাসা, মারকাযুদ দাওয়াতিল ইসলামিয়া হযরতপুর কেরানীগঞ্জ, জামিয়াতুল আজিজ আল ইসলামিয়া কেরানীগঞ্জ, জামেয়া শরইয়া মালিবাগ, জামিয়াতুস সুন্নাহ শিবচর মাদারীপুর, গওহরডাঙ্গা মাদরাসা গোপালগঞ্জ, ঢালকানগর মাদরাসা, পটিয়া মাদরাসা, জিরি মাদরাসা চট্টগ্রাম, দারুল মাআরিফ মাদরাসা চট্টগ্রাম, জামিয়া ওবায়দিয়া নানুপুর মাদরাসা, চরমোনাই আলীয়া মাদরাসা, শর্ষিনা আলিয়া মাদরাসা, ছারছীনা আলিয়া মাদরাসা, আকবর কমপ্লেক্স মিরপুর, শায়েখ যাকারিয়া ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার, দারুল উলুম রামপুরা বনশ্রী, আফতাবনগর মাদরাসা, হিলি মাদরাসা দিনাজপুর, গহরপুর মাদরাসা সিলেট, জামিয়া দরগা সিলেট, রেঙ্গা মাদরাসা সিলেট, জামিয়া ইকরা ঢাকা, মদিনাতুল উলুম কামিল মাদরাসা, জামিয়া হোসাইনিয়া কামিল মাদরাসা মহাখালী, বাহিরদিয়া মাদরাসা ফরিদপুর, দারুল উলুম মাদরাসা খুলনা, দারুল উলুম মাদরাসা কুমিল্লা, জামিয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া মিরপুর, জামিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া চট্টগ্রাম, ভবানীপুর মাদরাসা গোপালগঞ্জ, মাখজানুল উলুম মাদরাসা ময়মনসিংহ, লক্ষীপাশা মাদরাসা নড়াইল, হস্তপল্লী শামসুল উলুম মাদরাসা গোপালগঞ্জ, আল জামেয়াতুল ইমদাদিয়া কিশোরগঞ্জ, ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার কক্সবাজার, জামিল মাদরাসা বগুড়া, পোরশা মাদরাসা নওগাঁ, জামিয়া হুসাইনিয়া আরাবিয়া মেলান্দহ জামালপুর ও কাজুলিয়া মাদরাসা গোপালগঞ্জসহ আরও বেশকিছু মাদরাসা।

সরকারি হিসাবে বাংলাদেশে ১৪ হাজার ৩৯৭ কওমি মাদরাসা রয়েছে। তবে কওমি সংশ্লিষ্টদের দাবি, সারা দেশে মাদরাসার সংখ্যা প্রায় ২০ হাজার। এসব প্রতিষ্ঠানে ২৫ লাখের বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে। বাংলাদেশে ছয়টি পৃথক আঞ্চলিক বোর্ডের মাধ্যমে এসব মাদরাসা পরিচালিত হয়।

এর আগে করোনা পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে ঈদুল ফিতরের পূর্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুই ধাপে সারা দেশের ১৩ হাজার ৯২৯টি মাদরাসায় ১৮ কোটি ৬৩ লাখ ৪৫ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন। মাদরাসার ছাত্র সংখ্যা একশ’ বা এর কম হলে ১০ হাজার টাকা, শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১০১ থেকে ২০০ এর মধ্যে হলে ১৫ হাজার টাকা এবং ২০১ এর অধিক হলে ২০ হাজার টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয় তখন।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আওতাধীন দেশের দুই লাখ ৪৪ হাজার ৪৩টি মসজিদকে পাঁচ হাজার টাকা করে ১২২ কোটি ২ লাখ ১৫ হাজার টাকার আর্থিক অনুদান দিয়েছে সরকার।

বাংলাদেশের কওমি মাদরাসাগুলো মূলত স্থানীয় সাহায্য, অনুদান ও শিক্ষার্থীদের বেতনের ওপর নির্ভর করে পরিচালিত হয়। দারুল উলুম দেওবন্দের রীতিনীতি অনুসরণ করে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই সরকারি কোনো সহায়তা গ্রহণ করে না এসব মাদরাসা। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তাদের সিদ্ধান্ত পাল্টাতে হচ্ছে। মৃদু আপত্তি থাকলেও তারা সরকারি অনুদান গ্রহণ করছেন।

১৮৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত দেওবন্দ মাদরাসার অনুসরণ-অনুকরণে বাংলাদেশে যে মাদরাসাগুলো পরিচালিত হয়ে আসছে, তাদের কোনো স্বীকৃতি ছিল না। পরে ২০১৭ সালে বর্তমান সরকার কওমি মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থাকে স্বীকৃতি দিয়েছে। স্বীকৃতির সময়েও আলোচনায় দেওবন্দের আদলে স্বতন্ত্র ও স্বকীয়তা বজায় রাখতে সরকারের আর্থিক সহযোগিতা নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল কওমি নেতারা।

কওমি মাদরাসাগুলোর ছয়টি শিক্ষা বোর্ডের একটি বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ (বেফাক)-এর একজন প্রভাবশালী সহ-সভাপতি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, ‘কওমি মাদরাসার সরকারি অনুদান গ্রহণের ক্ষেত্রে আমরা কাউকে বাধাও দিচ্ছি না।’

ধর্ম মন্ত্রণালয় এই অনুদান ছাড়াও নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের অনুকূলে ২ লাখ ৪০ ও সংরক্ষিত আসনের সদস্যদের জন্য ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা করে বরাদ্দ দিয়েছে। এ টাকা মসজিদ, মাদারাসা, এতিমখানা, কবরস্থান, ঈদগাহ ও মন্দিরসহ বিভিন্ন ধর্মীয় স্থাপনা সংস্কার ও নির্মাণখাতে ব্যয় করা হবে। তবে ধর্ম মন্ত্রীর তহবিল থেকে একসঙ্গে এতগুলো মাদরাসায় এভাবে টাকা বরাদ্দের নজির নেই।

The post ২ কোটি ২৫ লাখ টাকা অনুদান পেল ৩৫৯টি মাদরাসা appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/2ZjTPM0

পুলিশে আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়াল

ফাতেহ ডেস্ক:

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত পুলিশ সদস্যের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়েছে। রবিবার পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) সদস্য আছেন দুই হাজার ২৪৮ জন। ছয় হাজারের বেশি পুলিশ সদস্য সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তাদের অনেকেই কাজে যোগ দিয়েছেন।

করোনায় আক্রান্ত হয়ে ইতোমধ্যে পুলিশের ৪০ জন সদস্য মারা গেছেন।

করোনা উপসর্গ দেখা দেওয়ায় বর্তমানে পুলিশের ১৫ হাজার সদস্য আইসোলেশন অথবা কোয়ারেন্টিনে আছেন।

শনিবার আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘করোনা আক্রান্ত হয়ে জাতীয় পর্যায়ে মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩ ভাগ। পুলিশে মৃত্যুর হার মাত্র দশমিক ৫ ভাগ’।

-এ

The post পুলিশে আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়াল appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/2VrXrue

ভ্যাকসিন গবেষণায় অর্ধ কোটি ডলার অনুদান বাংলাদেশের

ফাতেহ ডেস্ক:

করোনাভাইরাসের একটি কার্যকর ভ্যাকসিন আবিষ্কার ও সব রাষ্ট্রের মাঝে সরবরাহের লক্ষ্যে দ্য গ্লোবাল সিটিজেন ফান্ডে ৫০ হাজার মার্কিন ডলার অনুদানের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে এম আবদুল মোমেন।

তিনি বলেন, ভাইরাসটির ভ্যাকসিন গবেষণা ও সরবরাহ প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশের এই সহায়তা প্রদান করতে পেরে বেশ সন্তুষ্টি অনুভব করছি। দ্য গ্লোবাল সিটিজেন ফান্ড যে উদ্যোগ নিয়েছে তাতে অনুন্নত ও মধ্যম আয়ের দেশগুলো ভ্যাকসিনের সমান ভাগ পাবে। কেউ বঞ্চিত হবে না।

জানা যায়, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব থেকে গরীব ও পিছিয়ে পড়া দেশগুলোকে সহায়তা করতে গ্লোবাল সিটিজেন ফোরাম ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) যৌথ একটি উদ্যোগ নিয়েছে। এই উদ্যোগে তারা করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষণা করবে। কার্যকর হলে তা সবার মাঝে সমানভাবে সরবরাহ করা হবে।

আবদুল মোমেন বলেন, বাংলাদেশ সবসময় সম-অধিকার, নিরপেক্ষতার পক্ষে অবস্থান করেছে। গ্লোবাল সিটিজেনের এই উদ্যোগ সমান অধিকার ও নিরপেক্ষতাকেই প্রধান্য দিচ্ছে। এর কারণে সবাই ভ্যাকসিন আবিষ্কারের পর নিজেদের কাজে ব্যবহার করতে পারবে। কেউ পিছিয়ে পড়বে না।

দ্য গ্লোবাল সিটিজেন ফান্ডে এই উদ্যোগের আওতায় এখন পর্যন্ত ৬ দশমিক ৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছে। সংস্থাটি মনের করে, তাদের এই পরিকল্পনার কারণে সবাই ভ্যাকসিন হাতে পেয়ে যাবে। কোনো দেশকে বৈষম্যের শিকার হতে হবে না।

The post ভ্যাকসিন গবেষণায় অর্ধ কোটি ডলার অনুদান বাংলাদেশের appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/2NFrk5K

পাকিস্তানে যেভাবে খুলছে কওমি মাদরাসা

মুনশী নাঈম:

করোনাভাইরাস উপেক্ষা করেই ধীরে ধীরে খুলতে শুরু করেছে পাকিস্তানের ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকটি হেফজখানা খুলে দেয়া হয়েছে। বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া পাকিস্তান ঘোষণা করেছে তাদের কেন্দ্রীয় পরীক্ষার রুটিন। ১১ জুলাই শুরু হয়ে পরীক্ষা শেষ হবে ১৬ জুলাই। তবে মাদরাসা খুললেও তেমন উপস্থিতি নেই ছাত্রদের।

লকডাউনের আগে মসজিদে মুহাম্মদ মাদরাসার ছাত্রসংখ্যা ছিল ১৫০ জন। কিন্তু লকডাউন শেষে মাদরাসা খোলার পর এখন ছাত্রসংখ্যা কেবল ৩৫ জন। নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে, মুখে মাস্ক পড়ে ক্লাস করছে ছাত্ররা। মাদরাসাটির শিক্ষক মাওলানা সুলাইমান ‘দ্য ন্যাশনাল’ পত্রিকাকে বলেন, ‘করোনা মহামারীর কারণে ছাত্র কমে গেছে। অধিকাংশ ছাত্রই মাদরাসায় আসেনি।’ মাদরাসাটির ১৬ বছর বয়সী এক ছাত্র হুজাইফা আমিন। ‘দ্য ন্যাশনাল’কে সে জানায়, ‘আমার সহপাঠীদের মধ্যে কারো কারোনার লক্ষণ নেই। আমি হেফজ শেষ করেছি। এখন পুনর্বার শুনাচ্ছি।’

পূর্ণ সতর্কতা বজায় রেখেই মাদরাসা খোলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মসজিদে মুহাম্মদ মাদরাসার প্রধান মাওলানা মুহাম্মদ ইবরাহিম। ‘দ্য ন্যাশনাল’কে তিনি বলেছেন, ‘ভাইরাস যেকোনো সময় ছড়াতে পারে। তাই আমাদের শিক্ষার্থীরা স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি অনুসরণ করছে। হার্টের রুগী এবং প্রবীণ শিক্ষকদের মাদরাসায় না আসতে বলেছি।’

তবে দেশের সর্বাধিক শক্তিশালী ধর্মীয় শিক্ষাবোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া পাকিস্তানের অধীন মাদরাসাগুলো এখনো খুলেনি। আগামি ৫ আগস্ট থেকে সব মাদরাসা খুলে যাবে। মাদরাসা খোলার আগেই করোনাভাইরাস রোধে যাবতীয় সরঞ্জাম বেফাকের দায়িত্বে মাদরাসাগুলোতে পৌঁছে দেয়া হবে। কিন্তু সব মাদরাসা খোলার আগেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে আগামী ১১ জুলাই থেকে ১৬ জুলাই পর্যন্ত গত শিক্ষাবর্ষের কেন্দ্রীয় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বেফাকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে কেন্দ্রীয় পরীক্ষার রুটিনও জানানো হয়েছে।

ইতোমধ্যে যেসব মাদরাসা খোলা হয়েছে, তার ব্যাপারে বেফাকের বক্তব্য ইতিবাচক। সংস্থাটির মুখপাত্র মাওলানা আবদুল কুদ্দুস বলেন, ‘আমরা করোনাভাইরাস বিস্তারের কারণে পাকিস্তানজুড়ে মাদরাসা না খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। মাদরাসা খোলা নিয়ে রাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো দ্বন্দ্ব চাই না। তবে যেসব মাদরাসা খুলে গেছে, সেখানে হয়তো সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করেই খোলা হয়েছে।’

সাধারণত মাদরাসাগুলোতে এক রুমে একসঙ্গে অনেক ছাত্র থাকে। তারা একসঙ্গে খায়, দায়, ঘুমায়। ফলে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা তাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে। তাই শঙ্কা প্রকাশ করেছেন পাকিস্তান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি জেনারেল ডা. কায়সার সাজ্জাদ। তিনি বলেছেন, ‘মাদরাসায় অল্প বয়স্ক শিশুরা প্রায়শই সামাজিক দূরত্বের নিয়মগুলো ভঙ্গ করে। তাই বোর্ডিং মাদরাসাগুলোয় ভাইরাস ছড়াতে পারে। হয়তো আমরা জানতেও পারবো না কতজন আক্রান্ত হয়ে পড়বে।’

স্বাস্থ্য কর্মকর্তারাও সতর্ক করে দিয়ে বলছেন, সমাজিক দূরত্বের নির্দেশনা অনুসরণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় পাকিস্তান ইতোমধ্যেই ঝুঁকির মধ্যে আছে। পাকিস্তান ইন্সটিটিউট ফর পিস স্টাডিজের প্রধান আমির রানা বলেছেন, ‘জমায়েত হলো করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার হটস্পট। তাই সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার অনুমতি দেয়নি। তবুও যারা খুলছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া উচিত।’

তবে দেশটির আলেমসমাজ মনে করছেন, ধর্মীয় শিক্ষাকে বন্ধ করে রাখা উচিত নয়। বরং সমাজের মানুষকে ইসলামি শিক্ষার সাথে নৈতিকতা শিক্ষা দেয়া উচিত। আর মাদরাসাগুলোও সতর্কতার সঙ্গেই খুলছে। বেফাকভুক্ত মাদরাসাগুলোয় করোনা প্রতিরোধে যাবতীয় সরঞ্জাম পৌঁছে দিবে বেফাক নিজেই।

The post পাকিস্তানে যেভাবে খুলছে কওমি মাদরাসা appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/2AezdME

আল-আকসায় ৩০ হাজার মুসল্লির নামাজ আদায়

ফাতেহ ডেস্ক:

নামাজ আদায়ের জন্য খুলে দেয়া হলো মুসলিম বিশ্বের তৃতীয় পবিত্র স্থান আল-আকসা মসজিদ। শুক্রবার জুমায় সেখানে ৩০ হাজার মানুষ নামাজ আদায় করেছেন বলে জানা গেছে। পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করেই সবাই নামাজে এসেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন জেরুজালেমের জর্ডানিয়ান ওয়াকফ কমিটির পরিচালক সেখ আজ্জাম খতিব।

তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবাই মসজিদে এসেছেন। আগে থেকেই আমরা সবাইকে এ সম্পর্কিত নির্দেশনা দিয়ে রেখেছিলাম। সবাইকে বলা হয়েছে, নিজস্ব জায়নামাজ আনতে হবে এবং মাস্ক ছাড়া কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। প্রত্যেক কাতারে নিজেদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে নামাজ আদায় করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, জেরুজালেমে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ক্রমশ বাড়ছে। বিভিন্ন গণজমায়েতের মাধ্যমে তা ছড়িয়ে পড়ছে বলে জানা গেছে। তাই আমরা বেশ সতর্ক অবস্থানে থেকেই আল-আকসায় জুমার নামাজ আদায় করেছি। এর কারণ জেরুজালেমে ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়িয়ে দেয়ার দায়দায়িত্ব আমরা কোনোভাবেই নিতে পারবো না।

আজ্জাম খতিব বলেন, মুসল্লিরাও বেশ সতর্ক অবস্থানে থেকে নামাজ আদায় করতে সক্ষম হয়েছেন। তারাও ভালো করে জানেন যে, করোনা ছড়িয়ে পড়ার অজুহাত দিয়ে ইজরাইলি কর্তৃপক্ষ যেকোনো সময় আল-আকসা মসজিদে নামাজ আদায় বন্ধ ঘোষণা করতে পারে।

The post আল-আকসায় ৩০ হাজার মুসল্লির নামাজ আদায় appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3i7QPLh

মুরুব্বিদের অনুমোদনের অপেক্ষায় বেফাকের ত্রাণ তহবিল

রাকিবুল হাসান:

বেফাকের কার্যালয়ে কখনো মিটিং হচ্ছে, কখনো অনুষ্ঠিত হচ্ছে জরুরী সভা। বেফাক থেকে কখনো ঘোষণা আসছে সরকারি অনুদান প্রত্যাখ্যানের, কখনো আবার সিদ্ধান্ত আসছে আর্থিক অসুবিধাগ্রস্ত শিক্ষকদের ধৈর্যধারণের। তবে অসুবিধাগ্রস্ত এইসব কওমি শিক্ষকদের হাতে কবে বেফাকের অর্থিক অনুদান তুলে দেয়া হবে, নির্দিষ্ট করে বলতে পারছেন না বেফাকের কোনো কর্মকর্তাই।

বেফাকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অনুদান সংক্রান্ত মিটিংয়ে বসা গুটিকয়েকজন ছাড়া অন্য কেউ এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। বেফাকের শীর্ষ পর্যায়ের একজনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয়। তিনি বললেন, মিটিংয়ে যোগ দিতে না পারার কারণে অনুদান কবে এবং কিভাবে দেয়া হবে তা তিনি জানেন না।

এদিকে করোনা সংক্রমণে চলমান উদ্ভব পরিস্থিতিতে কওমি মাদরাসাসমূহের বিষয়ে বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ এর জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৭ জুন) ঢাকার কাজলায় বেফাকের কার্যালয়ে এ জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বেফাকের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়, বর্তমান নাজুক পরিস্থিতিতে আর্থিক কষ্টে ম্রিয়মাণ শিক্ষক সমাজের প্রতি মাদরাসা কর্তৃপক্ষ যেন অনুগ্রহ পূর্বক দয়ার্দ্র আচরণ করেন। তাদের চাহিদা ও সমস্যার প্রতি সদয় দৃষ্টি প্রদান করেন। যাদের সামর্থ্য রয়েছে তারা যেন শিক্ষকদের বেতন আদায়ে বিশেষ যত্নবান হন। অপরদিকে আর্থিক সমস্যায় জর্জরিত মাদরাসার শিক্ষক সমাজও যেন ধৈর্যধারণ করেন। মাদরাসা কর্তৃপক্ষের সাথে রূঢ় আচরণ না করেন।

সর্বশেষ এই জরুরী সভাতেও আলোচনায় আসেনি বেফাকের আর্থিক অনুদানের প্রসঙ্গ। বেফাকের কর্মকর্তা হাবিবুল্লাহ আশরাফি ফাতেহ টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, ‘শনিবারে বেফাকের সর্বশেষ সভায় অনুদান সংক্রান্ত কোনো আলোচনা হয়নি। কবে এ বিষয়ে মিটিং হবে, তাও জানি না।’

বেফাকের অনুদান সংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলতে যোগাযোগ করা হয় বেফাক এবং হাইয়াতুল উলইয়ার উচ্চ কমিটির সদস্য মাওলানা মাহফুজুল হকের সঙ্গে। ফাতেহ টুয়েন্টি ফোরকে তিনি বললেন, ‘প্রায় সাড়ে সাত হাজার মাদরাসা থেকে ‘অনুদান ফরম’ এসে পৌঁছেছে আমাদের হাতে। এতগুলো মাদরাসায় অনুদান বিতরণের কাজটা সহজসাধ্য নয়। বেফাকের পক্ষ থেকে যে কল্যান তহবিল গঠন করা হয়েছিল, তাতে খুব সামান্যই অনুদান জমা পড়েছে। এটা দিয়ে সবাইকে অনুদান দেয়া যাবে না। তাই বেফাকের নিজস্ব ফান্ড থেকেও বিরাট একটা অংক যোগ করতে হবে। যেহেতু বেফাক থেকে এতবড় একটা এমাউন্ট দিতে হচ্ছে, তাই বিষয়টি মুরুব্বিদের অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।’

মুরুব্বিদের অনুমোদন কবে মিলবে তা-ও অনিশ্চিত বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন মাওলানা মাহফুজুল হক। ঈদুল আজহার আগে কওমি শিক্ষকদের হাতে অনুদান তুলে দেয়া যাবে কিনা তাও নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি। তবে বলেছেন, ‘মুরুব্বিরা অনুমোদন দিলেই আমাদের বৈঠক হবে। কোন মাদরাসায় কত টাকা করে অনুদান দেয়া হবে, তা বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হবে। বৈঠকের আগে সুনিশ্চিত কিছু বলতে পারছি না। বৈঠকের পরই অনুদান বিতরণ তৎপরতা শুরু হবে।’

তবে বেফাকের এই আর্থিক সহায়তাকে শিক্ষকদেরকে দেয়া অনুদান মানতে নারাজ অনেক শিক্ষক। তারা বলছেন, বেফাক থেকে অনুদান প্রত্যাশীদের ‘অনুদান ফরম (শিক্ষক)’ ফরম পূরণ করতে হচ্ছে। তবে ফরমের নিচে লিখে দেয়া হয়েছে, ‘মাদরাসা কর্তৃপক্ষ চাইলে বেফাক প্রদত্ত অনুদানকে বেতনের সাথে সমন্বয় করতে পারবে।’ অনুদান ফরমের এই ফুটনোট থেকে প্রশ্ন জাগে—বেফাক মাদরাসাকে অনুদান দিচ্ছে, নাকি শিক্ষকদের? ফরম থেকে বুঝা যায়, শিক্ষকদের অনুদান দেয়া হচ্ছে। ‘বেতনের সাথে সমন্বয়’ ফুটনোট থেকে বুঝা যায়, অনুদান দেয়া হচ্ছে মাদরাসাকে। মাদরাসা চাইলে শিক্ষককে এটা অনুদান হিসেবে দিতে পারে। আবার চাইলে বেতন হিসেবেও দিতে পারে।

প্রশ্নটির জবাবে মাওলানা মাহফুজুল হক বলেন, ‘অনুদানটাকে সমন্বয় করা হয়েছে। সব মাদরাসার আর্থিক সামর্থ্য এক না। কোনো কোনো মাদরাসা পরিস্থিতি ঠিক হলেও বকেয়া বেতন পরিশোধ করতে পারবে না। তারা চাইলে বেফাকের অনুদানটাকে তাদের বেতন হিসেবে শিক্ষকদেরকে দিতে পারেন। আবার কোনো কোনো মাদরাসা বকেয়া বেতন পরিশোধ করতে পারবে। তারা চাইলে বেতন হিসেবে না দিয়ে শিক্ষকদেরকে অনুদান হিসেবেই দিতে পারেন। দুটোর সমন্বয় করার জন্যই ফুটনোট যুক্ত করা হয়েছে।’

উল্লেখ্য, গত এপ্রিলে সরকারের পক্ষ থেকে সারা দেশের কওমি মাদরাসার জন্য ঘোষণা করা হয় আর্থিক প্রণোদনা। কিন্তু কওমি মাদরাসার শিক্ষাবোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ প্রণোদনা গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানায়। এরপর ২৬ এপ্রিল অসুবিধাগ্রস্ত শিক্ষকদের সাহায্য করতে নিজেরাই একটি কল্যাণ তহবিল গঠনের উদ্যোগ নেয় বেফাক।

The post মুরুব্বিদের অনুমোদনের অপেক্ষায় বেফাকের ত্রাণ তহবিল appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/2YF5xla

আক্রান্তে শীর্ষ ১৭ দেশের মধ্যে সবচেয়ে কম টেস্ট বাংলাদেশে

ফাতেহ ডেস্ক:

বিশ্বে করোনাভাইরাসে (কভিড-১৯) আক্রান্ত রোগী শনাক্তের হিসাবে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ১৭তম। আর এই ১৭ দেশের মধ্যে প্রতি ১০ লাখে সবচেয়ে কম নমুনা পরীক্ষা হয়েছে বাংলাদেশে।

রবিবার ‘টেস্ট কোন দেশে আসলে কেমন হচ্ছে’ শিরোনামে লাইভ প্রতিবেদনে বিবিসি বাংলা এ কথা জানিয়েছে।

এতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে টেস্ট করা হয়েছে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ২ লাখ মানুষের। প্রতি ১০ লাখে প্রায় ১ লাখ মানুষের টেস্ট করা হয়েছে দেশটিতে।

ব্রাজিলে প্রায় ১০ ভাগের এক ভাগ টেস্ট করা হয়েছে। প্রতি ১০ লাখে ১৩ হাজার ৭৬৬ জনকে টেস্ট করা হয়েছে।

তবে এদিক থেকে এগিয়ে আছে রাশিয়া। প্রতি ১০ লাখে টেস্ট করা হয়েছে ১ লাখ ২৮ লাখের বেশি। যুক্তরাজ্যও প্রতি ১০ লাখে ১ লাখ ৩০ হাজারের বেশি টেস্ট করেছে।

ভারতে যদিও ৮২ লাখের বেশি টেস্ট করা হয়েছে, তবুও দেশটিতে প্রতি ১০ লাখে টেস্টের সংখ্যা ৫ হাজারের কিছু বেশি।

প্রথম যে ১৭টি দেশ আছে সংক্রমণের দিক থেকে, তাদের মধ্যে বাংলাদেশ ১৭ নম্বরে। এই ১৭টি দেশের মধ্যে প্রতি ১০ লাখে সবচেয়ে কম টেস্ট হয়েছে বাংলাদেশেই।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে শনিবার দুপুরে অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, এ পর্যন্ত মোট ৭ লাখ ১২ হাজার ৯৮ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। শনাক্ত হয়েছে ১ লাখ ৩৩ হাজার ৭৮ জন।

The post আক্রান্তে শীর্ষ ১৭ দেশের মধ্যে সবচেয়ে কম টেস্ট বাংলাদেশে appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/2Zfxpvf

দেশে একদিনে মৃত্যু ৪৩, আক্রান্ত ৩৮০৯

ফাতেহ ডেস্ক:

চব্বিশ ঘণ্টায় দেশে একদিনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে ১৮ হাজার ৯ টি নমুনা পরীক্ষা করে এই ৩ হাজার ৮০৯ জনের শরীরে ভাইরাসটির সংক্রমণ ধরা পড়েছে।

এই নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ১ হাজার ৭৩৮ জন। আর আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৮৭ জন। আর নতুন ১ হাজার ৪০৯ জন নিয়ে মোট সুস্থ হলেন ৫৫ হাজার ৭২৭ জন।

বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগীর খোঁজ মেলে; এর দশ দিনের মাথায় ঘটে প্রথম মৃত্যু।

দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন বুলেটিনে রবিবার দুপুরে এসব তথ্য তুলে ধরেন অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

সবশেষ তথ্যানুযায়ী দেশে নমুনা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২১.০৫ শতাংশ, শনাক্তের বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১.২ শতাংশ এবং সুস্থতার হার ৪০.৪৪ শতাংশ।

চব্বিশ ঘণ্টায় যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের মধ্যে ৩০ জন পুরুষ, ১৪ জন নারী। এর মধ্যে হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে ৩০ জনের, ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে বাড়িতে এবং একজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে।

বরাবরের মতো সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে ঢাকা বিভাগে, ২১ জন; এরপরই রয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগ ১০ জন। তিনজন করে মত্যু হয়েছে সিলেট ও খুলনা বিভাগে, দুজন করে মৃত্যু হয়েছে রাজশাহী ও বরিশাল বিভাগে এবং একজন করে মৃত্যু হয়েছে রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগে।

বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে ৫১-৬০ বছর বয়সীদের মধ্যে, ৬১-৭০ বছর বয়সীদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। সাতজন করে মৃত্যু হয়েছে ৪১-৫০ ও ৭১-৮০ বছর বয়সীদের মধ্যে, দুজনের বয়স ২১-৩০ এবং একজন করে মৃত্যু হয়েছে ৩১-৪০ ও ৮১-৯০ বছরের মধ্যে।

চব্বিশ ঘণ্টায় আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে ৭১৪ জনকে, ছাড় পেয়েছেন ৪৬১ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৪ হাজার ৫২৩ জন।

এই সময়ে কোয়ারেন্টাইনে নেওয়া হয়েছে ৩ হাজার ৯০ জনকে, ছাড় পেয়েছেন ২ হাজার ৪০৫ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৬৪ হাজার ৫৯৮ জন।

The post দেশে একদিনে মৃত্যু ৪৩, আক্রান্ত ৩৮০৯ appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/2YGwpRP

সরকারি হাসপাতালে করোনা পরীক্ষায় গুণতে হবে টাকা

ফাতেহ ডেস্ক:

সরকারি হাসপাতাল ও ল্যাবে করোনাভাইরাস পরীক্ষা করতে হলে এবার গুণতে হবে টাকা। সরকারি হাসপাতাল ও বুথে গিয়ে নমুনা পরীক্ষা করালে ফি দিতে হবে ২০০ টাকা। আর বাসায় গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করালে ৫০০ টাকা ফি দিতে হবে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মতি নিয়ে এই ফি নির্ধারণ করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। চলতি সপ্তাহের মধ্যেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এসংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করবে বলে জানা গেছে।

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আব্দুল মান্নান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘কারো শরীরে করোনাভাইরাস আছে কি না, তা জানার জন্য আমরা এখন যে নমুনা পরীক্ষা (আরটি-পিসিআর টেস্ট) করছি, তাতে কোনো টাকা নেওয়া হয় না। তবে নমুনা পরীক্ষার ক্ষেত্রে আমরা একটি ফি নির্ধারণ করেছি। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। আশা করছি, চলতি সপ্তাহের মধ্যে ফি নির্ধারণ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।’

করোনার কারণে সরকারের আয় কমে গেছে। একেকটি নমুনা পরীক্ষার পেছনে যে টাকা খরচ হয়, বাংলাদেশের মতো দেশে এটি দুই থেকে তিন মাস বিনা মূল্যে করা সম্ভব। কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে সম্ভব নয়। দেশে যে হারে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে, তাতে বোঝা যাচ্ছে দীর্ঘ মেয়াদে নমুনা পরীক্ষা করতে হবে। এ জন্য সরকার একটি ফি নির্ধারণ করতে যাচ্ছে। দ্বিতীয় কারণ হলো, নমুনা পরীক্ষা করতে গিয়ে এর অপব্যবহার হচ্ছে। অনেকের শরীরে করোনার উপসর্গ না থাকলেও সন্দেহ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পরীক্ষা করাচ্ছে। সন্দেহ হলে পরীক্ষা নিরুৎসাহ করার জন্যও সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে।

তবে ফি নেওয়া ঠিক হবে না বলে মনে করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘অসম্ভব, হতেই পারে না। এখানে যদি টাকার বিষয়টা আসে, তাহলে দরিদ্র শ্রেণির মানুষ পরীক্ষা করাতে আসবে না। বড়লোকেরা যাদের দরকার, তারা আসবে।’

The post সরকারি হাসপাতালে করোনা পরীক্ষায় গুণতে হবে টাকা appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/31pviYE

Saturday, June 27, 2020

করোনায় আরো এক পুলিশের মৃত্যু

ফাতেহ ডেস্ক:

করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মানিকগঞ্জ জেলা পুলিশ কন্ট্রোল রুমের আতিয়ার রহমান নামের এক সদস্য চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।

শনিবার(২৭ জুন) রাত ১০ টার দিকে মারা গেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার সহকারী পুলিশ সুপার হামিদুর রহমান সিদ্দিকী।

হামিদুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, মানিকগঞ্জ জেলা পুলিশের কনস্টেবল মো. আতিয়ার রহমান মানিকগঞ্জ জেলা পুলিশ কন্ট্রোল রুমে কর্মরত ছিলেন। গত ১৯ জুন জ্বর হলে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য নমুনা প্রদান করেন এবং গত ২৪ তারিখ সন্ধ্যা তার কোভিড-১৯ পজেটিভ রিপোর্ট পাওয়া যায়। শনিবার দিবাগত রাত ৯.৫৭ টার সময় রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

করোনা ছাড়াও তিনি দীর্ঘদিন যাবত উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিকস ও কিডনি জনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। এর আগে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, ঢাকায় টিউমার জনিত সমস্যার কারণে অপারেশন করেছেন।

আতিয়ার রহমান ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে কনস্টেবল পদে যোগদান করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই কন্যাসহ বহু আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার বাড়ি ফরিদপুর জেলার মধুখালী থানার কামালদিয়া গ্রামে। মানিকগঞ্জ জেলা পুলিশের ব্যবস্থাপনায় মরদেহ তার গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হচ্ছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

The post করোনায় আরো এক পুলিশের মৃত্যু appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/2BI0Vlo

বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ছাড়িয়েছে

ফাতেহ ডেস্ক:

বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ছাড়িয়েছে। মারা গেছে প্রায় ৫ লাখ। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ২৫ লাখ ৭৭ হাজারের বেশি। মৃত্যু হয়েছে প্রায় ১ লাখ ২৮ হাজার মানুষের।

এরপরই ব্রাজিলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা রেকর্ড করা হয়েছে। লাতিন আমেরিকার দেশটিতে আক্রান্ত ১২ লাখ ৮৪ হাজারের বেশি। প্রাণহানি ছাড়িয়েছে ৫৬ হাজার। নর্থ আমেরিকায় মোট আক্রান্ত ৩০ লাখ ২ হাজার।

মৃত্যু ১ লাখ ৬৫ হাজার ২শ’। ইউরোপে আক্রান্ত ২৪ লাখের বেশি। মৃত্যু ১ লাখ ৯০ হাজার ৪শ’ ৬৮। সাউথ আমেরিকায় আক্রান্ত ২০ লাখ ৫৮ হাজারের বেশি। মৃত্যু প্রায় ৮০ হাজার। এশিয়ায় আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ২১ লাখ ৬৩ হাজার। মৃত্যু প্রায় ৫৪ হাজার। এছাড়া আফ্রিকায় আক্রান্ত ৩ লাখ ৬৪ হাজার ৭শ’-এর বেশি। মৃত্যু ৯ হাজার ৩শ’ ৪৫ জন।

-এ

The post বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ছাড়িয়েছে appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/31oYVJm

করোনায় ফেনী জেলা আ. লীগ সভাপতির মৃত্যু

ফাতেহ ডেস্ক: করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আকরামুজ্জামান (৭৫) মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

রবিবার ভোরে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

গত ১৫ জুন থেকে জ্বর-কাশিসহ অসুস্থতা বোধ করলে বাসায় চিকিৎসা নেন তিনি।

পরবর্তীতে ১৯ জুন শুক্রবার শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে সন্ধ্যায় সিএমএইচ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি আইসিইউতে ছিলেন।

এর আগে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষায় নেগেটিভ এলেও সেখানে তার করোনা পজিটিভ আসে। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।

আক্রামুজ্জামানের ভাতিজা সাংবাদিক আসাদুজ্জামান দারা বলেন, গত দুইদিন তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে সিএমএইচে তাকে ভেন্টিলেটর সাপোর্ট দেয়া হয়। পরে রবিবার ভোরে তার মৃত্যু হয়। তার এক ছেলে শরিফ সোমবার লন্ডন থেকে দেশে ফেরার কথা রয়েছে। তিনি ফিরলে জানাজা-দাফন হবে বলে জানান তিনি।

অ্যাডভোকেট আক্রামুজ্জামান ফেনী ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি ও ফেনী জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতিসহ শিক্ষা-সামাজিক-সংস্কৃতিসহ অসংখ্য প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন।

-এ

The post করোনায় ফেনী জেলা আ. লীগ সভাপতির মৃত্যু appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/2ZfRi5p

গায়ের জোরে বিদ্যুৎ-জ্বালানির দাম বাড়াচ্ছে সরকার: রিজভী

ফাতেহ ডেস্ক:

দুর্নীতি করতেই গায়ের জোরে বছরে কয়েকবার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিচ্ছে সরকার, এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

আজ শনিবার (২৭ জুন) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ফিউচার অব বাংলাদেশ আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি একথা বলেন।

এতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেলের দাম বারবার বৃদ্ধির সরকারি যে সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে তার সমালোচনা করা হয়। প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি নেতা রিজভী বলেন, সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় বলেই বিদেশে টাকা পাচার করতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম বাড়াচ্ছে।

দেশের মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়ে রাস্তাঘাটে মারা যাচ্ছে, যা আওয়ামী লীগ সরকারের উপহার বলে মন্তব্য করেন রিজভী।

-এ

The post গায়ের জোরে বিদ্যুৎ-জ্বালানির দাম বাড়াচ্ছে সরকার: রিজভী appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3eF7RhH

পাকিস্তান বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষা ১১ জুলাই

ফাতেহ ডেস্ক:

আগামী ১১ জুলাই করোনার কারণে স্থগিত হওয়া পাকিস্তান মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়ার বার্ষিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বোর্ডটি। ১১ জুলাই শুরু হয়ে ১৬ জুলাই পর্যন্ত মাদরাসাসমূহের বার্ষিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

বুধবার (২৪ জুন) জামিয়া উলুমিল ইসলামিয়া মুহাম্মদ ইউসুফ বিন্নুরি টাউন মাদরাসায় বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া পাকিস্তানের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন বেফাকের নেতৃবৃন্দ।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ৫ আগস্ট থেকে সকল কওমি মাদরাসা খুলে যাবে। করোনা ভাইরাস রোধে যাবতীয় সরঞ্জাম বেফাকের দায়িত্বে মাদরাসাসমূহে পৌছে দেওয়া হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে, স্বাস্থবিধি মেনে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে আগামী ১১ জুলাই থেকে ১৬ জুলাই পর্যন্ত গত শিক্ষাবর্ষের কেন্দ্রীয় বার্ষিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

-এ

The post পাকিস্তান বেফাকের কেন্দ্রীয় পরীক্ষা ১১ জুলাই appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/2YBYhX5

এইচএসসি পরীক্ষা কমানোর চিন্তা-ভাবনা করছি: শিক্ষামন্ত্রী

ফাতেহ ডেস্ক:

করোনার কারণে চলত শিক্ষাবর্ষ আগামী মার্চ মাস পর্যন্ত বাড়তে পারে উল্লেখ শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবারের এইচএসসি পরীক্ষার সময় ও সংখ্যা কমিয়ে আনার ইঙ্গিত দিয়েছেন। এছাড়া, মাধ্যমিক স্তরের বিভিন্ন শ্রেণির সিলেবাস ও আগামী বছরে ঐচ্ছিক ছুটি কমিয়ে আনার বিষয়ে ভাবা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

আজ শনিবার এডুকেশন রিপোর্টার অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (ইরাব) আয়োজিত অনলাইন সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

‘করোনাকালে শিক্ষার চ্যালেঞ্জ এবং উত্তরণে করণীয়’ শীর্ষক এ ভার্চুয়াল সেমিনারে সভাপতিত্ব সংগঠনের সভাপতি মুসতাক আহমদ। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, গণ সাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. মনজুর হোসেন এবং ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজ এর সহকারী অধ্যাপক ড. ফারহানা খানম।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে আমরা কোটি কোটি শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারি না। তাদের সুরক্ষার কথা চিন্তা করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে স্কুল-কলেজ খোলা হবে।

তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় যে ক্ষতি হবে তা পুষিয়ে নিতে আমরা কিছু পরিকল্পনা তৈরি করেছি। এই অনিশ্চয়তার মধ্যে কোনো সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নেয়া কোনোভাবে সম্ভব নয়। এইচএসসির এই বছরের সিলেবাস কমানোর কোনো যৌক্তিকতা নেই। কারণ তারা তো তাদের সিলেবাস সম্পন্ন করেছে। এখন কথা হচ্ছে পরীক্ষা নিয়ে। আবারও এত লক্ষ লক্ষ পরিবার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সবাইকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলব? তাহলে সেই পরীক্ষাটি আমরা কম সময়ে নিতে পারে কিনা। কম সংখ্যক পরীক্ষা নিতে পারে কিনা এ ধরনের সব ভাবনাই ভাবছি।

তিনি বলেন, বর্তমান সংকট পুষিয়ে নিতে চলতি শিক্ষাবর্ষ আগামী মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হবে কি না, না ডিসেম্বর পর্যন্ত থাকবে তা ভাবনা চিন্তা চলছে। শিক্ষাবর্ষ বাড়ানো হলে আগামী বছরে ঐচ্ছিক ছুটি কমানোর প্রয়োজন হবে। একটি শিক্ষাবর্ষে আমরা ১৪০-১৪২ দিন পড়িয়ে থাকি। বাকিটা ছুটি থাকে। তাই এবছর শিক্ষা বর্ষ বাড়াতে হলে আগামী বছরের ছুটি কমিয়ে হলেও তা করা হবে। তবে এ ক্ষেত্রে বয়স ও শ্রেণি অনুযায়ী শিক্ষার্থীর জ্ঞানার্জন ও দক্ষতা অর্জনের দিকটিতে আপোষ করা হবে না। কারিগরি শিক্ষায় যতটুকু শিখনফল ও দক্ষতা কাম্য সেটুকু যদি শিক্ষার্থীরা অর্জন করতে না পারে তাহলে তাদেরকে সার্টিফিকেট দেয়া হবে না বলেও মন্তব্য করেন মন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে স্বাগত জানান ইরাব সাধারণ সম্পাদক নিজামুল হক। সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাব্বির নেওয়াজের সঞ্চালনায় এতে ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন ইরাব কোষাধ্যক্ষ শরিফুল আলম সুমন। আলোচনায় অংশ নেন ইরাব যুগ্ম সম্পাদক ফারুক হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক এম এম জসিম, দপ্তর সম্পাদক এম এইচ রবিন প্রমুখ।

The post এইচএসসি পরীক্ষা কমানোর চিন্তা-ভাবনা করছি: শিক্ষামন্ত্রী appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3eEq1A7

পুনর্বিন্যাস হচ্ছে ঢাকার রেডজোন এলাকা

ফাতেহ ডেস্ক:

ঢাকার দুই সিটির রেডজোন ঘোষিত ৪৫ এলাকার তালিকা পুনর্বিন্যাস করা হচ্ছে। তালিকা চূড়ান্ত করতে আরো দুই সপ্তাহ সময় লাগবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এদিকে, বিভিন্ন জেলার অবরুদ্ধ এলাকায় মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করছে স্থানীয় প্রশাসন। তবে, কড়াকড়ি আরোপের পরও বেশকিছু এলাকায় বিধিনিষেধ মানছেনা অনেকেই।

রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজার এলাকায় পরীক্ষামূলক লকডাউউনের মেয়াদ প্রায় শেষের দিকে। ১৮তম দিনেও দেখা যায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর নজরদারি। পাশাপাশি মানুষকে সচেতন করতে মাইকিংও চলছে। রেডজোন এলাকায় কর্তব্যরত পুলিশ ও সেচ্ছাসেবকরা বলছেন, লম্বা সময় লকডাউনের ফলে এই এলাকায় সংক্রমণের হার কমেছে। তবে আক্রান্তদের দ্বিতীয় দফায় করোনা ভাইরাস পরীক্ষার সুযোগ মিলছেনা বলেও অভিযোগ করেছেন কেউকেউ।

তবে, স্থানীয়রা বলছেন, শুধু একটি এলাকা অবরুদ্ধ করে পুরো রাজধানীর সংক্রমন পরিস্থিতির উন্নতি সম্ভব নয়।

রেড জোন এলাকা চিহ্নিতের দু’সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও কোন সুরাহা না হওয়ায় এখন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, পূর্বঘোষিত এলাকা পুনবিন্যাস করা হবে। নতুন আক্রান্ত এলাকার ম্যাপ তৈরী করতে দুই সপ্তাহ সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ।

এদিকে, বিভিন্ন জেলার লকডাউন এলাকায় মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। কড়াকড়ি আরোপের পরও বেশকিছু এলাকায় বিধিনিষেধ মানছেন না অনেকেই।

-এ

The post পুনর্বিন্যাস হচ্ছে ঢাকার রেডজোন এলাকা appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3eFjhlk

দ্বিতীয় দফায় সংক্রমণ ঝুঁকিতে বিশ্বের শীর্ষ দশে বাংলাদেশ

ফাতেহ ডেস্ক:

করোনাভাইরাস মহামারি রোধে বিধি-নিষেধে শিথিলতা আনায় দ্বিতীয় দফায় সংক্রমণের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে; বিশ্বের এমন শীর্ষ ১০ দেশের তালিকা তৈরি করেছে ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান। এই তালিকায় জার্মানি, ইউক্রেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং সুইজারল্যান্ডের পর পঞ্চম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।

২৫ হাজারের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছেন; এমন ৪৫ দেশে আগের সপ্তাহের তুলনায় পরের সপ্তাহে করোনা সংক্রমণের ভিত্তিতে তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে ব্রিটিশ এই দৈনিক। এতে ৪৫ দেশের মধ্যে অন্তত ২১টিতে লকডাউনে শিথিলতা আনার পর ভাইরাসটির সংক্রমণ বেড়েছে।

গার্ডিয়ান বলছে, বর্তমানে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ভয়াবহ বৃদ্ধির মুখোমুখি হয়েছে দশটি দেশ। প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণের জন্য এসব দেশে তেমন কঠোর পদক্ষেপ নেই। অথবা লকডাউনের মতো পদক্ষেপ নেয়া হলেও তা শিথিল করা হয়েছে। আর এরপরই সংক্রমণ আগের তুলনায় অনেকটা বেড়েছে।

ব্রিটেনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনা ট্র্যাকিং অ্যাপের মাধ্যমে সংগৃহীত করোনার তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে গার্ডিয়ান করোনার মারাত্মক প্রাদুর্ভাবের ৪৫ দেশের মধ্যে ওই ১০টি দেশকে শনাক্ত করেছে। মহামারি মোকাবিলায় নেয়া পদক্ষেপে শিথিলতার ভিত্তিতে দেশগুলোর স্কোরও নির্ধারণ করা হয়েছে।

লকডাউন শিথিলের পর এসব দেশে এক সপ্তাহের তুলনায় পরবর্তী সপ্তাহে সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। শীর্ষে থাকা ইউরোপের দেশ জার্মানিতে গত সপ্তাহের তুলনায় সংক্রমণ বেড়েছে ৩৬ দশমিক ৭ শতাংশ। দেশটিতে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এখন এক লাখ ৯১ হাজার ৪৪৯ জন।

এরপরই ৩৯ হাজার ১৪ জন রোগী নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে ইউক্রেন; দেশটিতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে ২৯ দশমিক ৩ শতাংশ। এছাড়া করোনায় সবচেয়ে বিপর্যয়ের মুখে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান তৃতীয় স্থানে; গত সপ্তাহের তুলনায় দেশটিতে সংক্রমণ বেড়েছে ২৪ দশমিক ৬ শতাংশ।

বিশ্বে সর্বাধিক ২৩ লাখ ৪৭ হাজার ২২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে। আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন রেকর্ড এক লাখ ২৪ হাজারের বেশি।

লকডাউন শিথিলের কারণে দ্বিতীয় দফায় সংক্রমণের ঝুঁকিতে থাকা দেশের এই তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে ইউরোপের আরেক দেশ সুইজারল্যান্ড। দেশটিতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে করোনা রোগী বেড়েছে ১৫ দশমিক ১ শতাংশ।

এরপরই পঞ্চম স্থানে আছে বাংলাদেশ; গত সপ্তাহের তুলনায় বাংলাদেশে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে ১২ দশমিক ৯ শতাংশ। এরপরেই রয়েছে যথাক্রমে ফ্রান্স, সুইডেন, ইরান, ইন্দোনেশিয়া ও সৌদি আরব। এসব দেশেকেও লকডাউন শিথিল করার মাশুল দিতে হচ্ছে এখন।

গার্ডিয়ান বলছে, এপ্রিল থেকেই করোনার ব্যাপক সংক্রমণ দেখেছে যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশ। ইরান, জার্মানি ও সুইজারল্যান্ডে সুস্থ হওয়ার হার আগের সপ্তাহের চেয়ে বেড়েছে। মহামারি মোকাবিলায় কম কঠোর ব্যবস্থা নেয়ায় এসব দেশে দ্বিতীয় দফায় সংক্রমণের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে এখনও কঠোর লকডাউনের মুখোমুখি হতে হবে।

অক্সফোর্ডের করোনাভাইরাস ট্র্যাকারের তথ্য অনুযায়ী, কোনো দেশের মহামারি মোকাবিলায় কঠোর পদক্ষেপ শিথিল করা হলে সেদেশের স্কোর একশ’র মধ্যে ৭০ এর নিচে। করোনা মোকাবিলায় সরকারি তথ্য প্রচার, নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা এবং অবরুদ্ধ করে দেয়ার মতো ব্যবস্থাগুলোকে এই স্কোরের মানদণ্ড হিসেবে ধরা হয়েছে।

জার্মানিতে ‘রিপ্রোডকাশন রেট’ (একজন কতজনকে সংক্রমিত করছে সে হার) গত সপ্তাহের যা ছিল এই সপ্তাহে তা বেড়ে তিনগুণ হয়েছে। দ্বিতীয় দফায় প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়া দেশটির দু’টি কাউন্টিকে ফের লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এর আগে দেশটি করোনার বিস্তার ঠেকাতে জারিকৃত বিধিনিষেধ শিথিল করে।

তবে জার্মানিতে সংখ্যার দিক দিয়ে নতুন সংক্রমণের সংখ্যা বর্তমানে কম। এদিকে লকডাউন শিথিল করার পর সৌদি আরব এবং ইরানে ভাইরাসটির দ্বিতীয় দফা সংক্রমণ শুরু হয়েছে। গত মে মাস জুড়ে লকডাউন শিথিল করার পর ইরানে দ্বিতীয়বারের মতো করোনার সংক্রমণ চূড়ায় (পিক)পৌঁছেছে।

অক্সফোর্ড কোভিড-১৯ গভর্নমেন্ট রেসপন্স ট্র্যাকারের গবেষণা প্রধান থমাস হেল এর কারণ হিসেবে বলছেন, ‘শুরুতেই এশিয়া ও ইউরোপের অনেক দেশে করোনার প্রকোপ শুরু হয়েছিল এবং ভাইরাসটির সংক্রমণ কমিয়ে আনতে সক্ষম হওয়ার পর দেশগুলো অতি দ্রুতই লকডাউন নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়।’

তিনি বলেন, ‘আমরা আরও দেখেছি- ভারতের মতো কিছু দেশ অর্থনীতির সংকট কাটিয়ে উঠতে খুব দ্রুতই লকডাউন শিথিল করেছে। আমাদের লকডাউন রোলব্যাক চেকলিস্ট দেখাচ্ছে, অনেক দেশই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেওয়া অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানোর আগেই লকডাউন সংক্রান্ত বিধিনিষেধ তুলে নিচ্ছে।’ গার্ডিয়ান।

The post দ্বিতীয় দফায় সংক্রমণ ঝুঁকিতে বিশ্বের শীর্ষ দশে বাংলাদেশ appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3g14z8H