Tuesday, August 31, 2021

টিকা চান কওমী মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা

ফাতেহ ডেস্ক:

কওমী মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের করোনার টিকা দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ। একই সঙ্গে কওমি মাদ্রাসা খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে কওমি মাদ্রাসার সর্বোচ্চ এই নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

সোমবার (৩০ আগস্ট) এর সভাপতি আল্লামা মাহমুদুল হাসানে সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির সভা থেকে এ আহ্বান জানানো হয়েছে।

বিৃবিতিতে বলা হয়, কওমি মাদরাসাগুলো বন্ধ থাকার কারণে বহু এতিম-গরীব ছাত্র অনাহারে কষ্ট পাচ্ছে। বহু ছাত্র ঝড়ে যাচ্ছে। হেফজখানা ও মক্তবের ছাত্রদের কুরআন তেলাওয়াত, শেষরাতের রোনাজারি, যিকির ও দু‘আ সব বন্ধ। সভায় সরকারের নিকট কওমি মাদরাসা অতিদ্রুত খুলে দিয়ে ছাত্রদের শিক্ষাজীবন ধ্বংস হওয়ার হাত থেকে বাঁচানোর অনুরোধ জানানো হয়।

The post টিকা চান কওমী মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3kHUjWM

Monday, August 30, 2021

ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান স্থাপনের সুযোগ শর্তমুক্ত রাখার আহ্বান হাইয়াতুল উলয়ার

ফাতেহ ডেস্ক:

গত ২৮ আগষ্ট ২০২১ তারিখে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত “অনুমতি ছাড়া ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নয়” শীর্ষক সংবাদে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি‘আতিল কওমিয়া বাংলাদেশের চেয়ারম্যান আল্লামা মাহমুদুল হাসান এবং শীর্ষ উলামায়ে কেরাম।

আজ সোমবার (৩০ আগষ্ট) সোমবার আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি‘আতিল কওমিয়া বাংলাদেশের কার্যালয়ে আল্লামা মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির সভায় সরকারের প্রতি মসজিদ, মাদরাসা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান স্থাপনের সুযোগ শর্তমুক্ত ও অবারিত রাখার আহ্বান জানানো হয়।

আল-হাইআতুল উলয়া বাংলাদেশ অফিস সম্পাদক, মু. অছিউর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে আল-হাইআতুল উলয়ার নেতৃবৃন্দ বলেন, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে উত্থাপিত প্রস্তাবটি নতুন মসজিদ-মাদরাসা প্রতিষ্ঠার পথ চরমভাবে সংকুচিত করবে। এতে পবিত্র ইসলাম ধর্ম ও মুসলমানগণ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। প্রস্তাবটি মুসলিমসহ সকল ধর্মানুসারীদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে, যা রাষ্ট্রীয় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি ঘটাতে পারে।

আল-হাইআতুল উলয়ার নেতৃবৃন্দ মনে করেন, প্রস্তাবটি কুরআন, হাদীস, দারুল উলূম দেওবন্দের মূলনীতি এবং ‘আল-হাইআতুল উলয়া লিল-জামি‘আতিল কওমিয়া বাংলাদেশ আইন, ২০১৮’ (২০১৮ সনের ৪৮ নং আইন) এর পরিপন্থী।

আল-হাইআতুল উলয়ার নেতৃবৃন্দ বলেন, কওমি মাদরাসাগুলো বন্ধ থাকার কারণে বহু এতিম-গরীব ছাত্র অনাহারে কষ্ট পাচ্ছে। বহু ছাত্র ঝড়ে যাচ্ছে। হেফজখানা ও মক্তবের ছাত্রদের কুরআন তেলাওয়াত, শেষরাতের রোনাজারি, যিকির ও দু‘আ সব বন্ধ। সভায় সরকারের নিকট কওমি মাদরাসা অতিদ্রুত খুলে দিয়ে ছাত্রদের শিক্ষাজীবন ধ্বংস হওয়ার হাত থেকে বাঁচানোর অনুরোধ জানানো হয়।

সভায় গ্রেফতারকৃত আলেম-উলামা ও মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষকগণকে অবিলম্বে মুক্তিদানেরও জোর দাবি জানানো হয়। সাথে সাথে কওমি মাদরাসার ছাত্র ও শিক্ষকদেরকে কোভিড-১৯ এর টিকার আওতায় আনার আহ্বান জানানো হয়।

আল-হাইআতুল উলয়ার চেয়ারম্যান আল্লামা মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আজকের সভায় উপস্থিত ছিলেন মাওলানা নূরুল ইসলাম, মাওলানা মুফতি রুহুল আমীন, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা আব্দুল হামীদ (পীর সাহেব, মধুপুর) মাওলানা সাজিদুর রহমান, মাওলানা আতাউল্লাহ ইবনে হাফেজ্জী, মাওলানা জিয়াউদ্দীনের প্রতিনিধি মাওলানা এনামুল হক, মাওলানা আব্দুল বছীর, মাওলানা সুলতান যওকের প্রতিনিধি মাওলানা ফুরকানুল্লাহ খলীল, মাওলানা আব্দুল হালীম বুখারীর প্রতিনিধি মাওলানা ওবায়দুল্লাহ হামজাহ, মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদের প্রতিনিধি মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ, মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ আলী, মুফতি ফয়জুল্লাহ, মাওলানা মুছলেহুদ্দীন রাজু, মাওলানা বাহাউদ্দিন জাকারিয়া, মাওলানা মুশতাক আহমদ, মাওলানা উবায়দুর রহমান মাহবুব, মাওলানা নূরুল হুদা ফয়েজী, মাওলানা মুফতি নূরুল আমীন, মাওলানা মুফতি জসিমুদ্দীন, মাওলানা শামসুল হক, মাওলানা ইউনুস, মাওলানা আনাস মাদানী, মাওলানা বেলায়েত হোসাইন আল ফিরোজী, আল-হাইআতুল উলয়ার অফিস সম্পাদক মাওলানা মুঃ অছিউর রহমান।

 

 

 

 

 

সর্বশেষ সব সংবাদ

চন্দ্রিমা উদ্যান থেকে জিয়াউ রহমানের কবর সরানো হবে: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী
আওয়ার ইসলাম ডেস্ক: মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক… …
ধর্মীয় স্থাপনা নির্মাণে সরকারি অনুমতি বাধ্যতামূলক করা দীনি শিক্ষাকে বাধাগ্রস্থ করবে: জমিয়ত
আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ
জিকিরের উপকারিতা প্রথম দিন থেকেই শুরু হয়ে যায়
করোনায় ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ জনের মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত ৩৭২৪
মসজিদ, মাদরাসা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান স্থাপনের সুযোগ শর্তমুক্ত রাখার আহ্বান হাইয়াতুল উলয়ার
সহশিক্ষার অসারতা তুলে ধরে ছেলেমেয়েদের পৃথক শিক্ষাব্যবস্থার ঘোষণা তালেবানের
ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট ও ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর জরুরি বৈঠক
রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করতে কাবুল যাচ্ছেন তালেবান নেতা হেবাতুল্লাহ আখুন্দ
মাতা-পিতা সন্তানের রোল মডেল

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ

চন্দ্রিমা উদ্যান থেকে জিয়াউ রহমানের কবর সরানো হবে: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী

ধর্মীয় স্থাপনা নির্মাণে সরকারি অনুমতি বাধ্যতামূলক করা দীনি শিক্ষাকে বাধাগ্রস্থ করবে: জমিয়ত

আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ

জিকিরের উপকারিতা প্রথম দিন থেকেই শুরু হয়ে যায়

করোনায় ২৪ ঘণ্টায় ৯৪ জনের মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত ৩৭২৪

মসজিদ, মাদরাসা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান স্থাপনের সুযোগ শর্তমুক্ত রাখার আহ্বান হাইয়াতুল উলয়ার

সহশিক্ষার অসারতা তুলে ধরে ছেলেমেয়েদের পৃথক শিক্ষাব্যবস্থার ঘোষণা তালেবানের

ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট ও ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর জরুরি বৈঠক

The post ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান স্থাপনের সুযোগ শর্তমুক্ত রাখার আহ্বান হাইয়াতুল উলয়ার appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3DtzDum

মতলবে বাড়ি বাড়ি হেঁটে করোনার টিকা বিক্রি!

ফাতেহ ডেস্ক:

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় করোনার টিকা বিক্রির অভিযোগে ইপিআই পোর্টার (ভ্যাকসিন বাহক) জাকিরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুসরাত জাহান মিথেন।

মূল অভিযোগ টিকা রক্ষণাবেক্ষণকারীর প্রতি হলেও সে আছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। নাম প্রকাশে না করা শর্তে হাসপাতালের একজন স্টাফ জানায়, টিকা বিক্রি করার ঘটনা এটাই প্রথম না।

জানা যায়, ১৯ আগস্ট উপজেলার মরাদোন গ্রামে ও ২২ আগস্ট ঠাকুরচর গ্রামে টাকার বিনিময়ে বাড়িতে গিয়ে করোনার টিকা দিয়েছে মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইপিআই পোর্টার (ভ্যাকসিন বাহক) জাকির। যারা টিকা নিয়েছে তারা টিকা পাওয়ার জন্য নিবন্ধনও করেনি।

সেই প্রেক্ষিতে ২২ আগস্ট চাঁদপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. সাখাওয়াত উল্লাহর নির্দেশে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুসরাত জাহান মিথেন।

মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মাইনুল ইসলাম মোনাসকে আহবায়ক করে ৩ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. জাবেদ ইকবাল ও পরিদর্শক খলিলুর রহমান।

তদন্ত কমিটি প্রাথমিকভাবে ইপিআই পোর্টার (ভ্যাকসিন বাহক) জাকির টাকার বিনিময়ে বাড়িতে গিয়ে করোনার টিকা দিয়েছে তার প্রমাণ পেয়েছে বলে জানান তদন্ত কমিটি। এই প্রমাণের ভিত্তিতে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির আহবায়ক ডা. নাইমুল ইসলাম মোনাস বলেন, প্রাথমিক ভাবে জাকিরের বিষয়ে আনীত অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। আমাদের তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। জাকিরের সাথে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা সে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুসরাত জাহান মিথেন বলেন, ইপিআই পোর্টার (ভ্যাকসিন বাহক) জাকিরের অনিয়মের প্রমাণ পাওয়ায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে সিভিল সার্জন কার্যালয় ও ডিজি বরাবর পাঠিয়েছি। তদন্ত শেষে যদি জাকিরের সাথে কারো প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

The post মতলবে বাড়ি বাড়ি হেঁটে করোনার টিকা বিক্রি! appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3BmSBRt

Sunday, August 29, 2021

প্রবীণ সাহিত্যিক বুদ্ধদেব গুহ মারা গেছেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের প্রবীণ সাহিত্যিক বুদ্ধদেব গুহ মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।

দক্ষিণ কলকাতার বেলভিউ হাসপাতালে রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়। গত ৩১ জুলাই থেকে এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবর অনুযায়ী, চলতি বছরের এপ্রিলে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন বুদ্ধদেব গুহ। ৩৩ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর করোনামুক্ত হয়ে বাড়ি ফেরেন তিনি। তবে এবার আর হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরা হলো না তার।

হাসপাতাল সূত্রে খবর, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার পাশাপাশি বুদ্ধদেবের মূত্রনালীতে সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। এ ছাড়া তার লিভার এবং কিডনিতেও সামান্য সমস্যা ছিল। ফের কোভিড পরীক্ষাও করা হয়েছিল। তবে তাতে সংক্রমণ ধরা পড়েনি। দৃষ্টিশক্তির সমস্যায় ভোগা বুদ্ধদেব বয়সজনিত নানা সমস্যাতেও ভুগছিলেন।

বর্ষীয়ান সাহিত্যিক বুদ্ধদেব গুহ বহু কালজয়ী উপন্যাসের স্রষ্টা। তার উল্লেখযোগ্য লেখা, ‘জঙ্গল মহল’, ‘বাবলি’, ‘মাধুকরী’, ‘কোজাগর’, ‘হলুদ বসন্ত’, ‘একটু উষ্ণতার জন্য’, ‘কুমুদিনী’, ‘খেলা যখন’, ‘চানঘরে গান’ সাহিত্যজগতে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

‘হলুদ বসন্ত’ উপন্যাসের জন্য ১৯৭৬ সালে তিনি পান আনন্দ পুরস্কার।

The post প্রবীণ সাহিত্যিক বুদ্ধদেব গুহ মারা গেছেন appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3zx1JT1

Friday, August 27, 2021

কিশোরগঞ্জে দুইদিন : ভাটি অঞ্চলের জলজীবন

ইফতেখার জামিল:

অনেকদিন ধরেই কিশোরগঞ্জ যাবো ভাবছি। গতকয়েক বছরে কিশোরগঞ্জ হয়ে ওঠেছে হাওর-পর্যটনের প্রাণকেন্দ্র। বর্ষায় বৃহত্তর ভাটি অঞ্চলে মেঘালয় পাহাড়ের পানি নেমে আসে, মৌসুমী বন্যায় প্লাবিত হয় বিস্তৃত নিন্মাঞ্চল। ধর্মীয় দিক থেকেও কিশোরগঞ্জ বিশেষ গুরুত্বের দাবী রাখে। প্রখ্যাত আলেম আতাহার আলীর বসবাস ছিল এই জেলাতে, জামিয়া ইমদাদিয়া ও নেজামে ইসলাম পার্টির সূচনা তার হাত ধরেই। কিশোরগঞ্জ যাওয়ার আরেকটি বড় উদ্দেশ্য সাহিবে দিল শফিকুল ইসলাম জালালাবাদীর সাথে সাক্ষাৎ।

কাফেলার সাথে : ভাটি অঞ্চলে

লালমাটিয়া মাদরাসার মুহাদ্দিস মাওলানা মামুন আবদুল্লাহ কাসেমি সপ্তাহখানেক আগে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিলেন, ‘কিশোরগঞ্জ সফরে যেতে চাই।’ আগ্রহীদের যোগাযোগ করার কথাও বললেন। জল-জঙ্গলে ঘুরাঘুরির পাশাপাশি কাফেলা আঞ্চলিক ঐতিহাসিক স্মৃতিবিজড়িত স্থানগুলোও যেয়ারত করবে। ইসলামে প্রাকৃতিক ও ধর্মীয় পর্যটনে বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয় : ‘মানুষ চিনুক আল্লাহকে, জানুক তার নেয়ামত। ভৌগোলিক ও ঐতিহাসিক ভ্রমণে লাভ করুক শিক্ষা।’ ইমরান রাইহানের সূত্রে মামুন কাসেমির সাথে পরিচয়, তিনি তার মাদরাসাতেও একবার দাওয়াত করেছিলেন। ইমরান রাইহানই যোগাযোগ-আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করলেন। আমরা কিশোরগঞ্জ যাবো এগারোই আগস্ট, রোজ বুধবার।

বাসা থেকে বের হলাম খুব সকালে, ফজরের পরপর। নাস্তা করবো কিনা ভাবছিলাম, শেষে ফুটপাথ থেকে মাঠা-ছানা কিনে খেলাম। ইমরান রাইহান ফোন ধরছিলেন না। আট-দশবার চেষ্টার পরে জানালেন, নামাজের পর ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। আধা ঘন্টার মধ্যে গাড়ি আসবে পলাশির মোড়ে। সাড়ে ছয়টার দিকে গাড়িতে উঠলাম। দশ সিটের হাইয়েস, যাত্রীসংখ্যা নয়জন। কিশোরগঞ্জে আমাদের সাথে যোগ দিবেন খোবাইব কাসেমি। বাকিদের কাউকেই চিনি না, বেলায়েতকে ফেসবুকে দেখেছি, লেখালেখি-সাংবাদিকতা করেন।

গাড়ি চলছে। চানখারপোল, ফ্লাইওভার, গুলিস্থান, যাত্রাবাড়ি, ডেমরা ধরে ক্রমশ নরসিংদী রোডে। গাড়ির নয়জনের সবাই কওমি মাদরাসার। আমাদের কল্পনা-কাহিনীর জগত প্রায় এক। যেসব ঘটনা আমাদেরকে আলোড়িত করে, যেসব স্মৃতি ও ইতিহাস আমাদেরকে ছুঁয়ে যায়, সেগুলোতেও আছে বিশেষ মিল। আগে একটা সময় আমার মনে হত, আমাকে গোত্রীয় কল্পনা-কাহিনী থেকে বের হতে হবে, খুঁজতে হবে সার্বজনীনতার সন্ধান। ইদানীং বিভিন্ন গল্প-জীবনকথায় দেখি সবার অভিজ্ঞতাই আসলে গোত্রীয় সীমারেখায় পরিচালিত হয়।

জীবন কখনো সার্বজনীন হয় না। বিশেষ ঘটনা, গল্প, স্মৃতি ও কল্পনা থেকেই খুঁজে নিতে হয় পরমার্থ, দিব্যজ্ঞান। নিজস্বতা হারালে গল্পে মৌলিকতা থাকে না, থাকে না কাহিনীর আবেদন : আমি আমার জীবনের গল্পটাই বলতে পারবো। বলতে পারবো আমার জটিলতা, সংগ্রাম। আপনি হয়তো আমার জটিলতার সাথে আপনার সংগ্রামের মিল খুঁজবেন, সংগ্রহ করতে চাইবেন বিকল্প উপাদান। কাজটা আপনার; আপনার জীবনের গল্প ও ব্যাখ্যাটা আপনিই ভালো বলতে পারবেন, নিজের গল্পটা অন্য কারো জবানে-বয়ানে উঠে আসে না।

গাড়িতে আমরা বিভিন্ন বিষয়েই কথা বলছিলাম। মাদরাসা কবে খুলবে, সে নিয়ে উদ্বিগ্ন সবাই। মামুন কাসেমি দেওবন্দের গল্প বলছিলেন, ‘ছয় বছরের ইলমি অভিযাত্রা : দাওরা, আদব, হাদিস, ইফতা। বাংলাদেশে এমন অভিজ্ঞতা খুবই বিরল। দেওবন্দে বাংলাদেশী পরিচয়ে বিশেষায়িত বিভাগগুলোতে পড়া প্রায় অসম্ভব। পরিচয় গোপন করতে হয়, এই কঠিন কাজটা অনেকেই করতে পারে না। ভাষাগত অদক্ষতা বা আচার-আচরণে ধরা খেয়ে যায়। আমি গম্ভীরতা ধরে রেখেছি সবসময়। উস্তাদদের ছেলেদের সাথে খুব ভালো সম্পর্ক ছিল। কেউ কেউ মনে করতেন, আমার বাবাও বোধহয় দেওবন্দের শিক্ষক।’

নিয়মিত গতিতে গাড়ি চলছিল। নরসিংদী ফলের জন্য বিখ্যাত। রাস্তার পাশে ফলবাজারের ব্যস্ততা। লটকন, পেয়ারা, আমড়া, আম। মৌসুম প্রায় শেষ, তবু রাস্তার পাশে কাঠালের বিশাল বিশাল স্তূপ। কিশোরগঞ্জ কয়েকভাবে যাওয়া যায়। টঙ্গী, তিনশো ফিট, ডেমরা ও সাইনবোর্ড। আমরা ধরেছিলাম ডেমরা রোড। জ্যাম পড়েনি একদম। রাস্তার প্রশস্ততা কম, চালক ও গাড়ির বিষয়টা ঠিক বলতে পারবো না। গাড়ি চলছিল ঘন্টায় পঞ্চাশ থেকে ষাট কিলো বেগে। গতি হওয়া উচিত ছিল ঘণ্টায় সত্তর থেকে আশি কিলোমিটার। যেতে যেতে দুপুর হয়ে যাবে।

রাস্তার পাশে আদিগন্ত ধানক্ষেত। বাতাসে দোলতে থাকা কাঁচা-পাকা ধানগাছে জুড়িয়ে আসে চোখ। আমরা কিশোরগঞ্জ পৌঁছলাম বারোটার দিকে। শহরের খানিকটা আগেই হাওরের শুরু। স্থানীয় রাহবার খোবাইব কাসেমিকে পিক করতে কিশোরগঞ্জ শহরে যেতে হবে। তিনি দাঁড়িয়ে আছেন বিখ্যাত গুরুদয়াল সরকারি কলেজের সামনে। গাড়িতে উঠে খোবাইব জানালেন, পয়তাল্লিশ মিনিটে যাওয়া যাবে নিকলি, দূরত্ব ছাব্বিশ-সাতাশ কিলোমিটার। আধা ঘণ্টা চলতেই রাস্তার দু পাশে দেখা মিলল আদিগন্ত জলরাশি। আমরা এগিয়ে যেতে লাগলাম, থামবো নিকলি বেড়িবাঁধের শেষমাথায়।

নিকলি হাওর : আদিগন্ত জলাধার

বেলা একটার দিকে নিকলি বেড়ীবাঁধের শেষপ্রান্তে পৌঁছলাম। দুই পাশে দিগন্ত বিস্তৃত জলরাশি। ঝিরিঝিরি বৃষ্টি পড়ছিল। প্রচণ্ড বাতাস। জলরাশির বিশালতায় আমরা মুগ্ধ, বিস্মিত। ঠিক হল জোহরের নামাজ পড়ে আমরা রওনা দিব। লকডাউন শেষ হয়েছে গতকাল, পর্যটনের ব্যস্ততা এখনো শুরু হয়নি। ট্রলার-চালকরা আমাদের ঘিরে ধরছিলেন। পর্যটক নেই, দীর্ঘ লকডাউন, মাঝিরা যাত্রী পেতে তাই অত্যন্ত মরিয়া। আবহাওয়া ভালো নয়, গত কয়েক বছর ধরে হাওরে নৌকাডুবির ঘটনা বাড়ছে। গতবছর শিক্ষা সফরে মারা যায় সতেরজন মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষক। তাই ট্রলারে লাইফ জ্যাকেট আছে কিনা জিজ্ঞাসা করে নিচ্ছিলাম। অথই জলরাশিতে সাতার জানলেও বিশেষ লাভ হবে না। সমতলে পৌঁছতে পৌঁছতে লেগে যাবে ঘণ্টা পাঁচেক। আঠারো শো টাকায় সারাদিনের জন্য ট্রলার ঠিক করলাম।

আমরা প্রথমে যাবো ছাতিরচর, নিকলি থেকে পৌনে এক ঘণ্টা দূরত্বে ধনু নদীর তীরে অবস্থিত জল-জঙ্গল। শুরুতে সবাই লাইফ জ্যাকেট পড়ে নিলাম। বৃষ্টি-বাতাসে হাওর এখন অশান্ত। প্রচণ্ড ঢেউয়ে ট্রলার দুলছে ছোট নৌকার মতো। সাধারণত ছোট-মাঝারি নদীতেও এত ঢেউ থাকে না। এমন বিশালতা-রুক্ষতাই হাওরের প্রধান বৈশিষ্ট্য। দশ মিনিটের মধ্যেই আমরা বিশাল সমুদ্রে গিয়ে পড়লাম, চারদিকে পানি আর পানি, বহুদূরে সমতলের রেখা দেখা যায়। কখনো সেটাও হারিয়ে যায় দূরদিগন্তে। ভাটিঅ ঞ্চলের মানুষরা বছরে তিন-চার মাস পানিবন্দি থাকেন। হাওর জনপদ হয়ে উঠে অত্যন্ত দুর্গম। কর্মহীন মানুষ অলসতায় মগ্ন হন গান-কবিতায়। গ্রামে গ্রামে বাউলগান-মাহফিলের আয়োজন করা হয়। ভাটি অঞ্চলকে কেন্দ্র করে বাংলা গানের বিশেষ জনরা গড়ে উঠেছে, যেটি ভাটিয়ালি গান নামে পরিচিত।

বাউল শাহ আবদুল করিমের জবানে উঠে এসেছে এর বিবরণ :

আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম
আমরা আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম
গ্রামের নওজোয়ান হিন্দু মুসলমান
মিলিয়া বাউলা গান আর মুর্শিদি গাইতাম।
বর্ষা যখন হইত,
গাজির গান আইত,
রংগে ঢংগে গাইত
আনন্দ পাইতাম
কে হবে মেম্বার,
কে বা সরকার
আমরা কি তার খবরও লইতাম
হায়রে আমরা কি তার খবরও লইতাম।
আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম।

একাকী ও কাফেলাভুক্ত সফরের মধ্যে পার্থক্য অনেক। একাকী সফরে সাধারণত মনস্তাত্ত্বিক উপভোগের উপকরণ থাকে বেশী, মানুষ নিজের অতীত-ভবিষ্যতের সামনে এসে দাঁড়ায়। জীবনের মর্ম ও অর্থ নিয়ে প্রশ্ন করতে চায়। হয়তো সমুদ্র-নদীর বিশালতা, নিমগ্ন রাত বা নির্জন ভোরে সে খুঁজে পায় দিব্য ইশারা, বড় কাজের উৎসাহ। কাফেলাভুক্ত সফরে সামাজিক উপকরণ থাকে বেশী। অপরিচিত-আধা পরিচিত মানুষদের সাথে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটাতে হয়। মুখোমুখি হতে হয় বিভিন্ন জটিলতা-অনিশ্চয়তার। অপরিচিত বিশ্বাস, আচরণ ও গল্পে মুখ মেলাতে হয়। এটি অনেকের জন্য সহজ কাজ নয়। অনেক সিদ্ধান্ত-বিকল্প বাছাই করতে হয়, কীভাবে একমত ও দ্বিমত প্রকাশ করবেন, কীভাবে মিশবেন আরও দশজনের সাথে, কাফেলাভুক্ত সফরে এসব শেখা যায়। খরচও কমে আসে অনেক।

আমরা ত্রিশ-চল্লিশ মিনিটের মধ্যে ছাতির চর পৌঁছলাম। ধনু নদীর তীরবর্তী জল-জঙ্গল। হাঁটু পানিতে ডুবে আছে গাছের বাগান। দূর থেকে কম মনে হলেও কাছে গেলে বুঝা যায় গাছের সংখ্যা নেহায়েত কম নয়। লাইফ জ্যাকেট পরে নামলাম জলজঙ্গলে। হাতের ওপর ভর করে পানিতে ভাসতে ভাসতে ঘুরলাম জঙ্গলের ভেতরে। সবাই নদীতে গোসল করছে। জঙ্গলের ভেতরে তেমন কেউ নেই, অদ্ভুত রকমের নির্জনতা। একপাশে খাল, আরেকপাশে নদী, নদীর পরে দিগন্তবিস্তৃত হাওর। পানিরও নিজস্ব ঘ্রাণ আছে, টলটল শব্দ আছে। পানিতে পড়ে আছে সারিসারি গাছের প্রতিবিম্ব। ভাসতে ভাসতে কথা জমালাম ইমরান রাইহানের সাথে।

নৌকায় চা বিক্রি হচ্ছিল। পানিতে বসে চা খাবার আনন্দের কোন তুলনা হয় না। নদীতে নামলাম ভেসে ভেসে। জলজঙ্গল পরিষ্কার করার দোহাই দিয়ে প্রতি ট্রলার থেকে বিশ টাকা করে চাঁদা নেওয়া হচ্ছে। অংকটা বড় নয়, তবে এর কোন রকমের বৈধতা নেই। একটু দূরে বিক্রি হচ্ছে গ্রামীণ আখ। মামুন কাসেমি সবার জন্য আখ কিনলেন। মাঝি শুরু করলেন তাড়াহুড়া। আমরা ছাতিরচর থেকে যাবো অনেক দূরে, মিঠামইন। ছাতিরচর থেকে উঠতে মন চাচ্ছিল না। গোসলে এত আনন্দ পেয়েছি খুব কম জায়গায়। যাত্রাবিরতির ঘণ্টাখানেকের মধ্যে আমাদের ট্রলার আবার চলতে শুরু করল।

কাফুলাভুক্ত প্রত্যেক সফরেই অনেক রকম আলাপ-আলোচনা চলতে থাকে। এটি কাফেলাভুক্ত সফরের বাড়তি প্রাপ্তি, পারস্পরিক অভিজ্ঞতা-মতামত-সম্পর্ক বিনিময় ও বিনির্মিত হয়। আমরা কথা বলছিলাম ধর্মীয় সাংবাদিকতা নিয়ে। আমি দীর্ঘদিন ফাতেহ টুয়েন্টি ফোরের দায়িত্বে ছিলাম। মামুন কাসেমি জানতে চাইলেন ধর্মীয় সাংবাদিকতার সম্ভাবনা-জটিলতা সম্পর্কে। আমি বলছিলাম, সবচেয়ে বড় জটিলতা হচ্ছে এখনো অর্থনৈতিক কাঠামো দাঁড় করানো যায়নি, পাশাপাশি পেশাদারিত্বের প্রতিও পর্যাপ্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। কর্মীদের সম্মানী ও দক্ষতা বাড়াতে জোর দেওয়া হয়নি, তাই শুধু বর্তমান নয়, ধর্মীয় সাংবাদিকতার ভবিষ্যতও অন্ধকার।

যারা কাজ করছেন, আওয়ার ইসলাম, ইনসাফ ও ফাতেহ, তারা কেউই সাংবাদিকতা করছে না। প্রেসরিলিজ-বিজ্ঞপ্তি-কপিপেস্টে শেষ করছেন সাংবাদিকতার কার্যক্রম। ফাতেহে কিছু চিন্তামূলক লেখা আসলেও প্রতিবেদন-অনুসন্ধান উঠে আসেনি তেমন। রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার ঝুঁকিও অনেক, বিগব্রাদারের বিরুদ্ধে যায় এমন কিছুই প্রকাশ করা যাবে না। পাশাপাশি আমাদের ধর্মীয় সমাজ অনেকক্ষেত্রে সাংবাদিকতা ও ফতোয়া বিভাগে পার্থক্য করত সক্ষম নয়। তারা সাংবাদিকদের থেকেও ফকিহের দূরদৃষ্টি-ধার্মিকতা আশা করেন। এসব কিছু মিলে সাংবাদিকতা জটিল হয়ে উঠেছে।

ট্রলার চলছে একটানা। আধা ঘণ্টার মধ্যে ট্রলারের মেশিন থেকে কালো ধোঁয়া বের হতে লাগলো। বাড়তে লাগলো মেশিনের আওয়াজ। প্রথমে মাঝিরা অস্বীকার করতে চাইলেও মিনিট পনেরো পর স্বীকার করলেন ট্রলারের মেশিন ঠিকভাবে কাজ করছে না। আমি বাহিরের দিকে তাকালাম। বিস্তৃত জলরাশি। চারদিকে কোথাও সমতলের রেখা দেখা যাচ্ছে না। ভয় পেয়ে গেলাম সবাই। যদি মাঝহাওরে মেশিন বন্ধ হয়ে যায়, আমরা ফিরব কীভাবে ও কোথায়? মাঝি সিদ্ধান্ত নিলেন নিকলি ফিরবেন। ট্রলার আবার চলতে লাগলো আস্তে আস্তে। ক্রমশ সমতলের রেখা দেখা গেল। আমরা নামলাম সাড়ে চারটায়। এখন কী করবো, কী করা যায়?

‘দুলদুলন্ত হাওর’ : জলপথে মিঠামইন

দুপুরে কিছু খাওয়া হয়নি। কথা ছিল মিঠামইনে গিয়ে পেটপূজা করবো, হাওরের খাবারে ঋদ্ধ করবো স্মৃতি। এখন প্রায় বিকেল, কী করা যায় সে নিয়ে সবাই ভাবছিলেন। মিঠামইন যেতে যেতে রাত হয়ে যাবে। আমি জোর দিয়ে বললাম, বেলা অনেক হয়ে গেছে, নিকলিতেই ভারী খানার কাজ শেষ করতে হবে। মাত্রই শেষ হল লকডাউন, পর্যটন হোটেলগুলো ভালোভাবে খুলেনি। মিনিট কয়েক হেঁটে শুধুমাত্র একটি হোটেল খোলা পেলাম। দিনের শেষবেলা, ‘দুপুরের খাবার প্রায় শেষ’, হোটেলের ম্যানেজার বলছিলেন। আমাদের পেটে তীব্র ক্ষুধা, হোটেলে দেশীয় মাছ ছিল কয়েক পদের। চিংড়ি, চাপিলা, কয়েক পদের মাছ চিনতেও পারলাম না। শেষে নিলাম হাসের মাংশ। মোটামুটি বলা যায় হাওরের খাবারের স্বাদ পেয়ে গেলাম। নিকলি বাঁধে দাঁড়াতেই তীব্র বাতাস লাগলো শরীরে, ঝিরিঝিরি বৃষ্টি। মাঝি তাড়া দিচ্ছিলেন, ‘যেতে হবে অনেকদূরে।’

ট্রলারে উঠার দশ মিনিটের মধ্যে বুঝলাম পরিস্থিতি ভালো নয়। হাওর অশান্ত, ক্রমশ ঢেউ বাড়ছে। আগেই বলেছি, হাওর কোন নিরীহ জলাধার নয়। পদ্মা-মেঘনায় যেতে আপনার যেমন প্রস্তুতি লাগবে, হাওরেও তার কাছাকাছি নিরাপত্তাই গ্রহণ করতে হবে। ইউটিউবে ভ্রমণভ্লগগুলো দেখলেই বিষয়টা ধরতে পারবেন। আমাদের ট্রলারের অবস্থা যদিও এখনো এত খারাপ নয়, তবে দূরে দানা বেঁধে আছে তীব্র মেঘ, মিঠামইন যেতে লাগবে আরও ঘণ্টা দেড়েক, আমরা পড়ে যেতে পারি তীব্র স্রোতে। আমার ও ইমরান রাইহানের প্রস্তুতি ছিল, আমরা উভয়েই ঢাকা থেকে লাইফ জ্যাকেট নিয়ে গেছিলাম। সকালের ট্রলারেও ছিল লাইফ জ্যাকেট। এখন, তাড়াহুড়ায় এই দিকে খেয়াল করা হয়নি। ট্রলার এগিয়ে যাচ্ছিল। শেষবিকেলের ফ্যাকাসে আলো, ফুঁসতে থাকা হাওর, আকাশে কালো মেঘ।

একটু দূরে যেতেই শুরু হল বজ্রপাত। চারদিকে কোন স্থাপনা না থাকায় মনে হচ্ছিল আশেপাশেই চমকাচ্ছে মেঘ, মচমচ করে ভেঙ্গে যাবার শব্দ আসে প্রথমে, পরে আলো ঝলকায়, সর্পিল আকারের ভয়ঙ্কর আলোয় চোখে ধাঁধা লেগে যায়। স্রোত কমে আসলেও বজ্রপাত কমছিল না কোনভাবেই। বাংলাদেশে প্রতি বছর বজ্রপাতে শত শত মানুষ মারা যায়, দুই হাজার ষোল সালে সরকার বজ্রপাতকে দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা করে। আমরা বসেছিলাম ট্রলারের ছাদে, কীভাবে এড়ানো যায় বজ্রাঘাত, সে নিয়ে গুগল করছিলাম। ছাদটা ছিল লোহার, তাই ভয় ছিল অনেক বেশী। একটা প্লাস্টিকের পাটিতে সবাই গোল হয়ে বসলাম। আমরা ভুলে গেছিলাম ট্রলারের নীচতলা ছিল কাঠের তৈরি, সুতরাং অনেক বেশী নিরাপদ। খোবাইব আমাদেরকে সান্ত্বনা দিতে চাইল, মাঝির থেকে আদায় করতে চাইল আশ্বাস। ‘চাচা, এদিকে বজ্রপাত কম হয়, তাই না?’ মাঝির উত্তরে আমাদের ভয় আরও বাড়ল, ‘দিনদশেক আগে কয়েকজন জেলে মারা গেছে বজ্রাঘাতে।’ আমরা কথা বলছিলাম, মাঝেমাঝে দোয়া পড়ছিলাম। ভাবছিলাম, কখন শেষ হবে অপেক্ষা, মিঠামইন কতদূর? পৌনে সাতটায় পৌঁছলাম সমতলে। নামতেই প্রচণ্ড বেগে বৃষ্টি নামলো। হাওর অগ্নিমূর্তির আকার ধারণ করলো।

মিঠামইনের শেষমাথায় ছোট একটা দোকান। চা-সিগ্রেট-ঝাল ডাল-চানাচুর পাওয়া যায়। আমরা সবাই গুটিয়ে বসলাম দোকানের ভেতরে। কেউ কেউ চা খেল, কয়েকজন খেলাম কফি। দ্বিতীয়পর্যায়ে চলল চিপস ও ঝাল ডাল খাবার পালা। অন্ধকার নেমে গেছে আগেই, দোকানে হালকা পাওয়ারের লাইট জলছে। আমরা বসে আছি বিচ্ছিন্ন এক চরে, বৃষ্টি থামছে না, রাত বাড়ছে ক্রমশ। দোকানদাররাও সতর্ক করলেন, ‘এই বর্ষায় হাওরে ট্রলার চালানো অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।’ সবার বয়স বিশের বেশী। ছোট বিপদে ভীত হবার মত নই কেউই, আমাদের দুইজনের আছে লাইফজ্যাকেট, তাই দুশ্চিন্তা কমে এসেছে অনেক। বৃষ্টিতে দোকানদার ঝাপ ফেলে দিলেন, গ্রামীণ দোকানে বসে আছি আমরা পাঁচ-সাতজন। দোকানিরা তিনজন, বাবা, ছেলে ও চাচা। আমরা এখন আছি রাষ্ট্রপতির এলাকায়। আমরা মেতে উঠলাম আড্ডায়, জানতে চাইলাম এলাকার ইতিহাস ও গল্প।

বৃষ্টি কমে আসলো আটটার দিকে। আমরা ট্রলারের ভেতরে গিয়ে বসলাম। ভেতরের কাঠামো কাঠের হওয়ায় বজ্রাঘাতের ভয় অনেক কম। অন্ধকারে বসে আছি দশজন মানুষ, ট্রলার এগিয়ে যাচ্ছে, বাইরে গা ছমছমে অন্ধকার, আশেপাশে মাইল পাঁচেকের মধ্যেও নেই কোন জনপদ। কেউ কেউ ঘুমানো শুরু করলো, সারাদিনে ধকল গেছে অনেক। আমি লাইফ জ্যাকেট গায়ে দিয়ে বাইরে এসে বসলাম, ট্রলারের অগ্রভাগে চেয়ার বসিয়ে শুরু করলাম গল্প। পাশে বসে আছে খোবাইব কাসেমি। আমাদের কিশোরগঞ্জের রাহবার। খোবাইবরা স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী, অর্থনৈতিক অবস্থাও খারাপ নয়। নেত্রকোনায় তাদের নিজস্ব মাদরাসা আছে। ভাই-বোনদের বিয়ে হয়েছে কিশোরগঞ্জেই। বাবা কিশোরগঞ্জের প্রভাবশালী আলেম, হেফাজতের ঘটনায় এই বছর জেলেও ছিলেন কিছুদিন। বৃষ্টি-বজ্রপাত থেমে গেছে আগেই। আমরা হাওর-বাহিত নদী দিয়ে এগিয়ে চলছি। মৃদু ঠাণ্ডা বাতাস, চারদিকে অদ্ভুত রকমের নীরবতা। খোবাইব আমাকে একে একে বলতে লাগলেন কিশোরগঞ্জের ইতিহাস, রাজনীতি ও ঐতিহ্যের কথা, টানাপোড়েন ও জটিলতা। সবকিছুই মায়াময় লাগছে, হাওর এখন শান্ত, ভাবছিলাম যদি সারারাত ট্রলারটা চলতে থাকতো!

‘মাঝি ও দোকানদার’ : ভাটি অঞ্চলের জলজীবন

হাওর শুধু প্রাকৃতিক সৌন্দর্যই নয়, ভাটি অঞ্চলে বসবাস করে বিপুল পরিমাণ মানুষ। আমরা যারা সেসব অঞ্চলে ঘুরতে যাই, তারা কখনোই সেই মানুষদের কথা ভাবি না, কখনো জিজ্ঞাসা করি না তারা কেমন আছে, স্থানীয় অর্থনীতিতে তাদের অংশগ্রহণ কতটুকু, ধর্মীয় ও রাজনৈতিক বাস্তবতাও বুঝার চেষ্টা করি না। আমার কাছে মনে হয়, স্থানীয় সংস্কৃতি ও জটিলতা জানাও পর্যটনের ধর্মীয় তাৎপর্যের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তাআলা শিক্ষাঅর্জনের উদ্দেশ্যে ভ্রমণে উৎসাহিত করেছেন। আপনি যদি স্থানীয়দের সাথে কথা না বলেন, তাদের জীবন-জীবিকার কথা না জানতে চান, তবে কীভাবে প্রতিতুলনা করবেন, কীভাবে লাভ করবেন শিক্ষা?

আমরা স্থানীয় অনেকের সাথেই কথা বলতে চেষ্টা করি। এখানে দ্বিতীয় ট্রলারের মাঝি ও মিঠামইনের দোকানদারের বয়ান তুলে ধরতে চেষ্টা করবো। মাঝির নাম লাইল মিয়া, আগে কৃষিকাজ করতেন, করোনার প্রকোপে জীবন-জীবিকায় অন্ধকার দেখতে থাকেন, শালাসহ পঞ্চান্ন বছর বয়সে পেশা পরিবর্তন করেন। তার জমিন আছে অনেক, তবে পানি বাড়লে কিছুই করার থাকে না। নিকলিতে একশোর ওপরে ট্রলার আছে, মৌসুমে প্রতিদিন প্রায় সবাই পেয়ে যান কাস্টমার। সেই হিসাব করলে প্রতিদিন গড়ে হাজার দুয়েক মানুষ নিকলিতে ঘুরতে আসেন। হাওরের পানি লিজ নিয়ে নেয় প্রভাবশালীরা, আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে হাওরের পাশে বসেও লাইল মিয়ার মত সাধারণরা মাছ ধরতে পারেন না। মাটিতে মালিকানা থাকে, জলের ভোগান্তিও পোহাতে হয়, সুফলটুকু তারা পান না।

লাইল মিয়া জানালেন, তিনি স্থানীয় পীরের ওরসে যান, অষ্টগ্রামে আগামী সপ্তাহে বসবে মজমা, তিনি যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তিনি বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত, সেই জটিলতাও আছে। আমরা জিজ্ঞাসা করলাম, আপনি কেন দল পরিবর্তন করেন না? লাইল মিয়া এই বয়সে মতপরিবর্তন করতে চান না, ‘আমার গায়ে তো লেগে আছে দলীয় সাইনবোর্ড।’ লাইল মিয়া নিয়মিত নামাজ না পড়লেও স্ত্রীর কথায় ছোট দুই সন্তানকে দিয়েছেন মাদরাসায়, তারা থাকুক আল্লাহর রাস্তায়, শিখুক ধর্ম, এটাই লাইল মিয়ার আশা। জানালেন স্থানীয় ভাটিয়ালি সংস্কৃতি হারিয়ে যাচ্ছে, গান-কবিতা-মুরসিয়ার জলসায় মানুষের আগ্রহ অনেক কমে গেছে। লাইল মিয়ার দুই ছেলে ঢাকায় জুতার কারখানায় কাজ করে, মেয়ের জামাই দুইজন বিক্রি করে জুতা। দুই মেয়ের এখনো বিয়ে হয়নি। জিজ্ঞাসা করলে জানালেন, তারা পড়াশোনা করে না। ‘পড়াশোনার খরচ অনেক। স্কুলে যদিও টাকা লাগে না, সরকার বরং কিছু টাকা দেয়, তবে সেই টাকায় কোচিং এর খরচই উঠে না।’ লাইল মিয়া দীর্ঘশ্বাস ছাড়লেন, ‘অনেক কষ্টের মধ্যে আছি ভাই।’

দোকানদার সাব্বির মিয়া রাষ্ট্রপতির এলাকার লোক। ছেলেকে দিয়েছেন মাদরাসায়, তিনি স্ত্রীর কথায় নয়, ধর্মীয় আবেগ ও চেতনা থেকেই ছেলেকে পাঠিয়েছেন মাদরাসায়। গ্রামে ধর্মীয় শিক্ষার অবস্থা সুবিধার নয়, গরীব বলে ছেলেকে শহরেও পাঠাতে পারেন না। একসময় মাদরাসায় গরিবদের অপার সুযোগ ছিল, গ্রামীণ প্রেক্ষাপটে এখন স্কুলের থেকে মাদরাসার খরচ বেশী। নিন্ম মধ্যবিত্তদের অনেকে এখন মাদরাসায় সন্তান দেবার সক্ষমতাও হারিয়েছেন। যেহেতু সমাজে চাহিদা আছে, তাই প্রাথমিক ধর্মীয় শিক্ষা এখন আর অবৈতনিক নয়। আপনি যদি সন্তানকে ভালো কোন মক্তব বা হেফজখানায় পড়াতে চান, তবে অনেকক্ষেত্রেই স্কুলের থেকে বেশী খরচ করতে হবে। আবাসিক মাশুল, খোরাকি ও বেতন—এই তিনে খরচ অনেক বেড়ে যায়। দোকানদারের ছোট ভাই স্কুলে পড়েন, সেভেনে, করোনায় পড়াশোনা বন্ধ করে দিছেন। দোকানের বয়স খুব বেশী দিন নয়, আগে করতেন কাঠের ব্যবসা, এখন দুই মাস আগে মুদি দোকান দিলেন। নামলেন নতুন ভাগ্যপরীক্ষায়।

ভাটি অঞ্চলের মানুষরা ভালো নেই। গুগল করে জানতে পারলাম হাওর লিজ দেওয়া আইনত নিষিদ্ধ হবার কথা থাকলেও নানা অজুহাতে কৃষক-জেলেদের ঠকাচ্ছেন স্থানীয় রাজনীতিবিদ-প্রশাসনের লোকেরা।

সৈয়দ আবুল মকসুদ লেখেন:

‘হাওর লিজ দেন জেলা প্রশাসক, কিন্তু তাঁর মাথার ওপর থাকেন প্রভুর মতো এমপিরা। সুতরাং যেকোনো অন্যায় ও অপকর্মের দায় শুধু কর্মকর্তাদের ওপর চাপিয়ে রেহাই পাওয়া যাবে না। , , , জলমহাল ইজারা দেওয়ার যে নীতিমালা আছে, তাতে উন্মুক্ত হাওর লিজ দেওয়ার বিধান নেই, সে কথা ২৯ ধারায় বলা আছে। বঙ্গীয় ক্ষমতাবানেরা আইনের বিধান মানতে বাধ্য নন। , , , ক্ষমতাবানদের বুদ্ধির ঘাটতি আছে, সে কথা কোনো বেকুব ভোটারও মনে করেন না। বলা আছে, উন্মুক্ত জলাধার ইজারা দেওয়া যাবে না, কিন্তু যদি কোনো উন্মুক্ত জলাধারকে চারদিকে একটা বাঁধের মতো দিয়ে বদ্ধ জলাশয় বানানো যায়, তাহলে আইনও মানা হলো, ইজারাও নেওয়া গেল। এইভাবেই বাংলার নদ-নদীর পাড়, বালুচর, খাল-বিল, বনভূমি সব ক্ষমতাবানদের হাতে চলে যায়। , , , এমনিতেই তাঁদের বিপুল রোজগার এবং সুযোগ-সুবিধা সীমাহীন। জেলা প্রশাসক যখন হাওর লিজ দেন, তখন তাঁর তদন্ত করে দেখা উচিত যিনি লিজ চাইছেন, তিনি ও তাঁর পূর্বপুরুষ জেলে ছিলেন কি না? স্বাধীনতার আগে থেকেই রাজনৈতিক দলগুলো স্লোগান দিয়েছে, ‘জাল যার জলা তার’।’

জামেয়া ইমদাদিয়া, শহীদি ও পাগলা মসজিদ

ট্রলার থেকে নামলাম সোয়া নয়টার দিকে। এবার শহরে ফিরতে হবে। নিকলি কিশোরগঞ্জ শহর থেকে খানিকটা দূরে, গ্রামের হিসেবে রাতও হয়েছে অনেক। চারদিকে ঝুম নীরবতা, অন্ধকার, আমাদের হাইয়েস এগিয়ে চলছে। চলছে খুচরা আড্ডা, হাসি-বিতর্ক। পৌনে এগারোটার দিকে আমরা খোবাইবের শ্বশুরবাড়িতে পৌঁছলাম। বাড়ি-ফার্নিচার দেখলেই বুঝা যায় পারিবারিক ইতিহাস, বনেদী ঐতিহ্য। খাবার খেয়ে গেলাম পাগলা মসজিদে, কিশোরগঞ্জের বিখ্যাত নরসুন্দা নদীর তীরে মসজিদটি অবস্থিত। নদীর পাশে বসে ঈসা খাঁর অধস্তন পুরুষ জিলকদর পাগল ইবাদত করতেন, সেই পাগলের ইবাদতের স্থানে মসজিদ নির্মিত হয়, কালক্রমে এর নাম হয়ে যায় পাগলা মসজিদ। এখনো, স্থানীয়রা পাগলের বরকতকে ভুলতে পারে না। অনেকে এখানে মান্নত করে, বিধর্মীদেরকেও এখানে দান করতে দেখা যায়। প্রতিদিন গড়ে প্রায় লাখ খানেক টাকা এখানে জমা হয়। সব বিদআত এখনো নিয়ন্ত্রণ না করা গেলেও মসজিদটি এখন আলেমদের নেতৃত্বেই পরিচালিত, নিয়ন্ত্রণে জেলাপ্রশাসন। যেহেতু অর্থবৈভবের অভাব নেই, তাই মসজিদের অবকাঠামোর উন্নয়ন হয়েছে চোখধাঁধানোর মতোই।

এবার যাবো জামিয়া ইমদাদিয়ায়, কিশোরগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৯৪৫ সালে এটি প্রতিষ্ঠা করেন নেজামে ইসলাম পার্টির সাবেক সভাপতি আতহার আলী। প্রথমে এটি শহীদী মসজিদে একটি ছোট্ট মাদ্রাসা হিসেবে কার্যক্রম শুরু করে। ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কির নামানুসারে মাদ্রাসার নামকরণ করা হয়। আতাহার আলী শিক্ষাসমাপ্তির শেষে শিক্ষকতায় নিযুক্ত হন, তবে তাঁর মধ্যে ছিল বিশেষ উচ্চাভিলাষ। থানবির নির্দেশে কিশোরগঞ্জের একাধিক জমিদারের দাওয়াত গ্রহণ করেন, জমিদারিতে ধর্মপ্রচারের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তবে বিশেষ কিছু শরিয়ত বিরোধী কাজে তিনি অত্যন্ত মর্মাহত হন, জমিদারির এলাকা থেকে সরে আসেন। মুর্শিদের নির্দেশে কিশোরগঞ্জের একটি ছোট মসজিদের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। মানুষকে ধর্মীয় শিক্ষা ও প্রতিষ্ঠানের গুরুত্ব বুঝান, জনসাধারণের মধ্যে সাড়া পড়ে যায়। প্রতিষ্ঠিত হয় জামিয়া ইমদাদিয়া।

আমরা রাতে ঘুমাব জামেয়া ইমদাদিয়ার মেহমানখানায়। বিশাল হলরুম। দরজার ওপরে লেখা ‘খানকাহে আতহারিয়া ও মেহমানখানা’। মাদরাসায় আমাদেরকে অভ্যর্থনা জানালো মুজিব হাসান। মুজিব ফাতেহে কিছুদিন কাজ করেছিল। মুজিবের মাধ্যমে মাদরাসার প্রভাবশালী শিক্ষক শুয়াইব আব্দুর রউফের সাথেও আমার ভালো পরিচয় আছে। তিনি আমাদের সময় দিবেন বলেছিলেন, তবে ইতিমধ্যে শুয়াইব সাহেবের স্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হল, তিনি সন্তানসম্ভবা। তিনি ফোনে দুঃখপ্রকাশ করলেন, পরদিন দুপুরের খানার দায়িত্ব নিলেন। শুয়াইব সাহেব আরবেও ছিলেন অনেকদিন, তাঁর হাত ধরে জামেয়া ইমদাদিয়ায় অনেক উন্নতি হয়েছে। শুধু জামেয়া ইমদাদিয়াই নয়, তাঁর হাত ধরে কিশোরগঞ্জে অনেক ধর্মীয় অবকাঠামো গড়ে উঠেছে। মসজিদ-মাদরাসা-জনকল্যাণ। জামিয়া ইমদাদিয়া ও শহীদি মসজিদ এখন তাই নতুন ও পুরাতনের স্মৃতি বহন করে।

জামিয়া ইমদাদিয়ার সাথে কিশোরগঞ্জের প্রভাবশালীদের সম্পর্ক অনেক দ্বান্দ্বিক। মাওলানা আতাহার আলী মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় হস্তক্ষেপ নিয়ে আশঙ্কা পোষণ করতেন, সংগ্রামের পরে তাঁকে কারাগারে যেতে হয়। জেল থেকে বের হয়ে নিজের প্রিয় মসজিদ-মাদরাসা ছেড়ে তিনি ময়মনসিংহ চলে যান, জামিয়া ইসলামিয়ার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। শেষজীবন কাটান সেখানেই, জামিয়া ইসলামিয়াতেই তাঁর কবর। ছেলে আযহার আলী আনোয়ার শাহকে রাজনীতিতে না জড়াতে অসিয়ত করে যান। আনোয়ার শাহ আগলে রাখেন জামিয়া ইমদাদিয়া, মাদরাসা পরিচালনায় জেলপ্রশাসনকেও যুক্ত করেন। যুক্ত হয় আওয়ামীলীগের নেতারাও। সর্বশেষ হেফাজতের মোদী বিরোধী আন্দোলনে জামিয়া ইমদাদিয়ার ছাত্ররাও অংশগ্রহণ করে, মিছিল থেকে আওয়ামি লীগের জেলা অফিসে আক্রমণ করা হয়। প্রভাবশালীরা ক্ষিপ্ত হয়ে অনেক মসজিদ-মাদরাসার শিক্ষক-ইমামদের গ্রেফতার করে। কিশোরগঞ্জে প্রায় পঞ্চাশজনের মতো ইমামকে জেলে যেতে হয়। এত ঝড়ঝাপটার মধ্যেও রাজনৈতিক সম্পর্কের প্রেক্ষিতে জামিয়া ইমদাদিয়া বিপর্যয় রেখে রক্ষা পায়। আমাদের সফরের সময়েও হেফজখানা চালু ছিল।

জামিয়া ইমদাদিয়ার পাশেই শহীদি মসজিদ। এখান থেকেই জামিয়া ইমদাদিয়া ও নেজামে ইসলাম পার্টির কার্যক্রম শুরু হয়। ঐতিহাসিক মসজিদটি জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত। তাছাড়া দেশের বৃহত্তম ঈদগাহ ময়দান-ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দান এই মসজিদের কাছেই অবস্থিত। দুইতলা ভবন বিশিষ্ট মসজিদটির উপরে রয়েছে ৫ তলা সমান সুউচ্চ বিশাল এক মিনার। মিনারটি নির্ধারিত ছিল আতাহার আলী রহ.- এর গবেষণা ও প্রকাশনার জন্য। এখনো মিনারে সেই কথা লেখা আছে। কিশোরগঞ্জে একসময় হিন্দুরা অনেক প্রভাবশালী ছিল। একবার নামাজ চলাকালীন সময়ে ঢাকঢোল পিটিয়ে মসজিদের সামনে পূজা উৎসব পালন করা হয়, তাতে স্থানীয় মুসল্লিরা বাঁধা দিলে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। হিন্দুদের/ মতান্তরে পুলিশের গুলিতে নিহত হয় একজন মুসুল্লি। মসজিদের ভেতরে এখনো টিকে আছে অসংখ্য গুলির দাগ।

মসজিদের দুতলায় থাকেন শফিকুল ইসলাম জালালাবাদী। জামিয়া ইমদাদিয়ায় হাদিস পড়ানোর পাশাপাশি তিনি শহীদি মসজিদে মক্তবেরও দায়িত্বশীল। শাইখুল হাদিস মক্তবেও পড়াবেন, বাংলাদেশে এমন দৃষ্টান্ত বিরল। দ্বিতীয়দিন বিকেলে আমরা তাঁর সাথে দেখা করতে যাই। দেশের সার্বিক অবস্থার কথা জিজ্ঞাসা করলেন, হাসিখুশি মানুষ, দেখলেই চোখ জুড়িয়ে যায়। সবার কাছে দোয়া চাইলেন, ‘কতদিন বাঁচি জানি না, ঈমানের সাথে যেন কবরে যেতে পারি।’ জালালাবাদির বিষয়ে আরও বিশদে লেখার ইচ্ছা আছে। এই সফরে সেটা সম্ভব হয়ে উঠলো না। আগামিবার চেষ্টা করবো।

‘আফটার স্কুল মাকতাব : প্রাথমিক ধর্মশিক্ষায় নতুন প্রয়াস’

ফজরের পর আমরা একটা বিশেষায়িত মক্তবে গেলাম। কিশোরগঞ্জের তরুণ আলেম আবদুল কাইয়ুম দেখছিলেন দেশে প্রচলিত মক্তব বিলুপ্তির পথে চলে যাচ্ছে। সাধারণ পড়াশোনার চাপে ছাত্ররা কুরআন শিখতে পারছে না, হালাল-হারাম-দোয়া-কালাম জানছে না। তাই তিনি দুই হাজার নয় সালে আফটার স্কুল মুনাজ্জাম মাকতাব নামে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বিশেষ প্রক্রিয়ায় ধর্মীয় প্রাথমিক শিক্ষার কার্যক্রম শুরু করেন। একই উদ্দেশ্যে তিনি ভারত ও শ্রীলংকায় সফর করেন, গবেষণা-চর্চার আলোকে নিজস্ব বিশেষ সিলেবাস দাঁড় করাতে সক্ষম হন।

আফটার স্কুল মুনাজ্জাম মাকতাবে কায়েদা-কুরআন-আকিদা-হাদিস-মাসায়েল-দোয়া শেখানো হয়। প্রতিদিন মাত্র এক ঘণ্টা সময়ে ছাত্ররা শিখে নেয় এই পাঁচ বিষয়। প্রাথমিক শিক্ষা শেষে কেউ চাইলে হেফজও পড়তে পারে। কিশোরগঞ্জে তাদের দশটি শাখা আছে। এর মধ্যে আমরা তিনটি শাখায় যাই। ছাত্রদের কুরআন তিলাওয়াত সন্তোষজনক। প্রধান শাখায় চৌদ্দজনের মতো হেফজ পড়ছে। আমরা কয়েকজনকে পড়া জিজ্ঞাসা করলাম, মুখস্তের মানও খুব একটা খারাপ নয়। উদ্যোগটি অভিভূত হবার মতোই।

উদ্যোক্তা আবদুল কাইয়ুম জানালেন, তারা সারা দেশেই আফটার স্কুল মুনাজ্জাম মাকতাব চালু করতে চাচ্ছেন। জেলায় জেলায় সফর করছেন, ইমাম-খতিব-মুহতামিমদের সাথে বসছেন। কেউ চাইলে তাদের সিলেবাস-সরঞ্জাম ব্যবহার করতে পারে। পোস্টার-বিলবোর্ড থেকে শুরু করে সবকিছুই তারা তৈরি করে রেখেছেন। তাদের ব্র্যান্ডনেম ও প্রোডাক্ট ব্যবহার করে খুব দ্রুত আফটার স্কুল মাকতাব চালু করা সম্ভব। তারা শিক্ষক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও রেখেছেন, ‘এই উদ্যোগে শিক্ষক অনেক বড় ভূমিকা পালন করে থাকেন, ফলে প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই।’ শিশুদের মনোরঞ্জনের জন্য সাপ্তাহিক হামদ-নাত চর্চা ও গল্পের আসরের পর্বও রেখেছেন। যুবক বয়সী মাওলানা আবদুল কাইয়ুমের ব্যক্তিত্ব-ব্যবহারও মুগ্ধ হবার মতো, কিশোরগঞ্জে তরুণদের সমন্বয়ের ক্ষেত্রেও তিনি বিশেষ ভূমিকা রাখছেন।

ফিরে আসি : অসমাপ্ত সফর

আফটার স্কুল মাকতাব পরিদর্শন শেষে আমরা খোবাইবের বোনের বাসায় নাস্তা করলাম। ঘণ্টা খানেক লেগে গেল। এবার যাবো বালিখলা, কিশোরগঞ্জ শহর থেকে বেশ খানিকটা দূরে। মাথার ওপর প্রচণ্ড রোদ। ইচ্ছে ছিল আজকেও গোসল করবো, তাপের তীব্রতায় সকল উৎসাহ হারিয়ে ফেললাম। চারদিকে বালি, রুক্ষ পরিবেশ। রোদের প্রচণ্ডতায় আমরা কখন বালিখোলা ছাড়বো, সেটা নিয়েই ব্যস্ত হয়ে গেলাম। বালিখলা থেকে গেলাম ঈসা খাঁর জঙ্গলবাড়ি। মসনদে-আলা-বীর ঈশা খাঁ ছিলেন বাংলার বার ভূঁইয়াদের প্রধান। জঙ্গলবাড়ি প্রকৃতপক্ষে ঈশা খাঁর দ্বিতীয় রাজধানী ছিল।কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলাধীন কাদিরজঙ্গল ইউনিয়নের জঙ্গলবাড়ি গ্রামে নরসুন্দা নদীর তীরে দুর্গটির অবস্থান।

দুর্গটির এখন বেহালদশা, পাশেই একটি প্রাচীন মসজিদ। বাকি স্থাপত্যগুলো সংরক্ষণের কেউ নেই। কয়েকটি স্থাপত্য দখল করে রেখেছে স্থানীয়রা। আমরা ঢুকতে গিয়ে দেখলাম জেনানা মহলে এসে পড়েছি। অনেকগুলো বাড়ি এখনো টিকে আছে, প্রধান ঘরটিকে কেউ গোয়ালঘর হিসেবে ব্যবহার করছে। এভাবে অযত্নে-অবহেলায় হারিয়ে যাচ্ছে মসনদে-আলা-বীর ঈশা খাঁর স্মৃতিচিহ্নগুলো। ইমরান রাইহান বলছিলেন, ভাবতে পারেন ঈসা খাঁ ভরা বর্ষায় মানসিংহের মোঘল বাহিনীকে হাওরের দুর্গম অঞ্চলে যুদ্ধ করতে বাধ্য করছিলেন। দিল্লীর যোদ্ধাদের জন্য সে ছিল এক অসম্ভব পরীক্ষা এবং সে পরীক্ষায় তারা পরাজিত হন।

শহরে ফিরতে ফিরতে বিকেল হয়ে গেল। মুজিব জানালেন শুয়াইব সাহেব আমাদের দাওয়াত দিয়েছেন, শহরের কোন অভিজাত হোটেলে মুজিব আমাদেরকে খাওয়াতে চায়। আজকেই হোটেল খুলেছে, বিকেল বলে খানা প্রায় শেষ। এখানে আমাদের সাথে এসে যোগ দিলেন কিশোরগঞ্জের কৃতিসন্তান তানভীর এনায়েত। তিনি এসেই স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে আমাদের হাসাতে লাগলেন। হোটেলে খানা পেতে পেতে ও খেতে খেতে অনেক দেরী হয়ে গেল। এখন আসর পড়বো। আসর বাদ রওনা দিব ঢাকার উদ্দেশ্য, সেই চিরচেনা ঠিকানায়।

The post কিশোরগঞ্জে দুইদিন : ভাটি অঞ্চলের জলজীবন appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/38jSo5a

Thursday, August 26, 2021

১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি

ফাতেহ ডেস্ক:

আরেক ধাপ বাড়ানো হয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি। এই ছুটি ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ টেকনিক্যাল কমিটির সঙ্গে বৈঠক হয়। সেখানে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

এদিকে একই বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেখানে শিক্ষামন্ত্রী জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগামী ১৭ অক্টোবর থেকে ধাপে ধাপে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা যেতে পারে। তার আগে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে কতজন শিক্ষক-শিক্ষার্থী টিকা নিয়েছেন তার তথ্য ছক আকারে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি) পাঠাতে হবে। তার মধ্যে কতজন টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন, আর কতজন এক ডোজ নিয়েছেন, আবাসিক হলের কতজন শিক্ষার্থী টিকার আওতায় এসেছেন এ সংক্রান্ত তথ্য ইউজিসিতে পাঠাতে হবে।

দীপু মনি বলেন, তথ্য বিবেচনা করে সন্তোষজনক হলে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার অনুমোদন দিতে পারবে ইউজিসি। তবে যাদের টিকা কার্যক্রম শেষ হবে না তাদের বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেন তিনি।

 

The post ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/2XUafgV

করোনায় একদিনে মৃত্যু ১০২, শনাক্ত ৪৬৯৮

ফাতেহ ডেস্ক:

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে আরও ১০২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৫ হাজার ৭২৯ জনে।

এছাড়া একই সময়ে নতুন করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও ৪ হাজার ৬৯৮ জন। এ নিয়ে দেশে শনাক্ত বেড়ে হয়েছে ১৪ লাখ ৮২ হাজার ৬২৮ জনে।

বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিনজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।

The post করোনায় একদিনে মৃত্যু ১০২, শনাক্ত ৪৬৯৮ appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/2WsI5Zz

Wednesday, August 25, 2021

রোহিঙ্গা গণহত্যার চার বছর

ফাতেহ ডেস্ক:

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ২০১৭ সালে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালায় দেশটির সেনাবাহিনী। হত্যা করে নারী-শিশুসহ বহু রোহিঙ্গা মুসলিমকে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো যেটিকে এথনিক ক্লিনজিং বা জাতিগত নিধন বলে অ্যাখ্যা দেয়।

সে বছর ২৫ আগস্ট রাতে প্রাণ বাঁচাতে হাজার হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম নাফ নদী পার হয়ে বাংলাদেশ সীমান্তে প্রবেশ শুরু করে। আশ্রয় নেয় বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে। সে সময় বাংলাদেশ সরকার উদারতার পরিচয় দিয়ে অসহায় মানুষগুলোকে আশ্রয় দেয়।

টানা কয়েক মাসে বাংলাদেশে প্রবেশ করে সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম। নারী-শিশুসহ এখন প্রায় সাড়ে ১১ লাখ রোহিঙ্গা বসবাস করছে বাংলাদেশে। প্রতিবছর রোহিঙ্গারা তাদের নিজ দেশে নৃসংসতার ঘটনা স্মরণ করে ২৫ আগস্ট জেনোসাইড ডে পালন করছে।

বাংলাদেশের আশ্রয়ে রোহিঙ্গাদের চার বছর কেটে গেলেও এখনও নিজ দেশে ফিরতে পারছে না তারা। রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরা নিয়ে আপাতত কোনো ইতিবাচক খবর না এলেও এখনও আশা ছাড়েনি তারা। দেশে ফেরার আকুতি তাদের চোখেমুখে।

এতো মানুষের আবাস, খাদ্য চাহিদা মেটাতে হিমশিম অবস্থা বাংলাদেশের। রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে রয়েছে হাজার হাজার অধিকারবঞ্চিত শিশু। সবমিলিয়ে বাংলাদেশ সরকার চেষ্টা করে যাচ্ছে তাদের সব ধরনের চাহিদা পূরণের। তবে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোও কাজ করছে তাদের জন্য।

ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের দেওয়া তথ্য মতে, করোনা মহামারিতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে থাকা ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আক্রান্ত হয়েছে দুই হাজার ৭১২ জন। তবে বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়।

রোহিঙ্গারা বলছে, মিয়ানমারে আমাদের সঙ্গে কী ঘটেছে সেটা পুরো বিশ্ব জানে। সেখানকার পরিস্থিতি এখনও আমাদের জন্য স্বাভাবিক নয়।

বারবার বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরানোর চেষ্টা করলেও সাড়া নেই মিয়ানমার সরকারের। নিজ দেশে ফিরতে না পেরে অসহায় রোহিঙ্গা মুসলিমরা।

ইউএনএইচসিআরের মুখপাত্র হান্না ম্যাকডোনাল্ড আল জাজিরাকে বলেন, রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরতে চায় স্বেচ্ছায় এবং নিরাপদে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই তাদের নিরাপদে ফেরার চেষ্টার করা দরকার বলেও মনে করেন তিনি।

The post রোহিঙ্গা গণহত্যার চার বছর appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/2XZv6zy

সিনোফার্ম ও সিনোভ্যাকের টিকা নিয়েও ওমরায় যাওয়া যাবে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

চীনের তৈরি করোনাভাইরাসের টিকা সিনোভ্যাক ও সিনোফার্মের অনুমোদন দিয়েছে সৌদি আরব। এর ফলে সিনোফার্মের টিকা গ্রহণকারী বাংলাদেশিদের ওমরাহ পালনে আর বাধা রইল না।

মঙ্গলবার সৌদি কর্তৃপক্ষ সিনোভ্যাক ও সিনোফার্মের টিকার অনুমোদন দিয়েছে বলে আরব নিউজ জানিয়েছে।

এ দুটি অনুমোদনের মাধ্যমে দেশটিতে করোনার মোট ৬টি টিকা অনুমোদন পেল। এর আগে সৌদি সরকার করোনার চারটি টিকার অনুমোদন দেয়। এসব টিকা হলো—ফাইজার বায়ো-এনটেক (২ ডোজ), অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা (২ ডোজ), মর্ডানা (২ ডোজ) ও জনসন অ্যান্ড জনসন (১ ডোজ)।

২০২০ সালে করোনা মহামারি শুরুর পর হজ ও ওমরাহ পালন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেছিল সৌদি সরকার। ছয় মাসেরও বেশি সময় স্থগিতাদেশ জারি রাখার পর গত বছর অক্টোবরে দেশীয় নাগরিকদের ওমরাহ পালনের অনুমতি দেওয়া হয়।

৯ আগস্ট থেকে পূর্ণ ডোজ টিকা নেওয়া বিদেশি মুসল্লিদের কাছ থেকে পবিত্র ওমরাহ হজের আবেদন গ্রহণ শুরু করবে সৌদি আরব।

এ জন্য শর্তারোপ করা হয়- আবেদনকারীদের অবশ্যই টিকার ডোজ সম্পূর্ণ করতে হবে এবং সৌদি আরব যেসব টিকার অনুমোদন দিয়েছে, সেসবের ডোজ নেওয়া আবেদনকারীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এতে খানিকটা বিপাকে পড়েন বাংলাদেশসহ অনেক দেশের ওমরাহ পালনে ইচ্ছুক যাত্রীরা।

সিনোফার্মের টিকা গ্রহণকারী বাংলাদেশিরা যাতে পবিত্র ওমরাহ পালন করতে পারেন, সে জন্য কূটনৈতিক তৎপরতা চালানোর জন্য সম্প্রতি অনুরোধ জানায় হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)। তারা এ ব্যাপারে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ও সৌদি রাষ্ট্রদূতের সহযোগিতা চান।

The post সিনোফার্ম ও সিনোভ্যাকের টিকা নিয়েও ওমরায় যাওয়া যাবে appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3sJx2aJ

Monday, August 23, 2021

আপাতত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে চায় না শিক্ষা মন্ত্রণালয়

ফাতেহ ডেস্ক:

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চলমান সাধারণ ছুটি আরেক দফা বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করছে সরকার। করোনা সংক্রমণের হার পাঁচ শতাংশের বেশি এবং সংশ্লিষ্টদের টিকা দেয়া কার্যক্রম চলমান থাকায় আপাতত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে চায় না শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে সেপ্টেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে পিছিয়েপড়া পরীক্ষা নেওয়ার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

এ প্রসঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ প্রত্যাশিত হারে নেমে না আসা পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে না। তার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের টিকা দেওয়া শেষ হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণা আসবে। কেননা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানদণ্ড রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘শ্রেণিকক্ষের পাঠদান উন্মুক্ত করতে সবাইকে টিকা দেওয়ার কাজও শেষ করা প্রয়োজন। এ দুটি সন্তোষজনক পর্যায়ে না এলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া সম্ভব হবে না। সেজন্য চলমান ছুটি আরও বাড়ানো হতে পারে।’

করোনা সংক্রমণের কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে। সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাধারণ ছুটি বিদ্যমান। ইতোমধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে দাবি উঠেছে। বিশেষ করে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে দাবি সবচেয়ে বেশি জোরালো। এই পরিস্থিতির মধ্যে গত ১৮ আগস্ট অনুষ্ঠিত সচিব সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দ্রুত খুলে দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন।

 

The post আপাতত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে চায় না শিক্ষা মন্ত্রণালয় appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/38eJzJz

Sunday, August 22, 2021

কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে হুড়োহুড়ি, নিহত ৭

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বাইরে হুড়োহুড়ির ঘটনায় সাত আফগান নাগরিক নিহত হয়েছে।

ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, লোকজন মরিয়া হয়ে আফগানিস্তান ছাড়ার চেষ্টা করছে। কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে লোকজনের হুড়োহুড়িতে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এখন পর্যন্ত কাবুল বিমানবন্দরে মোট ১৯ জন প্রাণ হারিয়েছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকজন গুলিতে নিহত হয়েছেন এবং বাকিরা হুড়োহুড়িতে প্রাণ হারিয়েছেন।

ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, পরিস্থিতি এখনও বেশ চ্যালেঞ্জিং। তবে আমরা পরিস্থিতি শান্ত এবং নিরাপদ করে তোলার জন্য সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

ওই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। হাজার হাজার আফগান নাগরিক দেশ ছাড়তে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। অপরদিকে বিভিন্ন দেশের সরকার তাদের নাগরিক এবং বাছাই করা আফগান সহকর্মীদের সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে।

বর্তমানে হামিদ কারজাই বিমানবন্দর সাময়িক সময়ের জন্য নিয়ন্ত্রণ করছে প্রায় সাড়ে চার হাজার মার্কিন সেনা। অপরদিকে আরও ৯শ ব্রিটিশ সেনাও সেখানে দায়িত্ব পালন করছেন। ওই বিমানবন্দর থেকে বিভিন্ন ফ্লাইট যেন নিরাপদেই ছেড়ে যেতে পারে সেজন্য কাজ করছেন তারা।

 

আফগানিস্তান মৃত্যু

করোনা ভাইরাসের কারণে বদলে গেছে আমাদের জীবন। আনন্দ-বেদনায়, সংকটে, উৎকণ্ঠায় কাটছে সময়। আপনার সময় কাটছে কিভাবে? লিখতে পারেন জাগো নিউজে। আজই পাঠিয়ে দিন – jagofeature@gmail.com

The post কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে হুড়োহুড়ি, নিহত ৭ appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3yiEdrH

Saturday, August 21, 2021

মালয়েশিয়ার নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন ইসমাইল সাবরি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

মালয়েশিয়ার নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইসমাইল সাবরি ইয়াকুব শপথ নিয়েছেন। গত এক সপ্তাহের রাজনৈতিক ডামাডোলের মধ্যে তিনি আজ (শনিবার) দেশের নবম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন।

এর আগে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় ব্যর্থতার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী মুহিউদ্দিন ইয়াসিন পদত্যাগ করেন। ইসমাইল সাবরি হচ্ছেন মালয়েশিয়া দীর্ঘদিনের শাসকদল ইউনাইটেড মালয়জ ন্যাশনাল অর্গানাইজেশনের ঝানু রাজনীতিবিদ।

তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, নতুন প্রধানমন্ত্রী শান্তিপূর্ণভাবে তার ক্ষমতার মেয়াদ শেষ করতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সন্দেহ আছে। দেশটির সংসদের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তার যোগাযোগ থাকায় সম্ভবত মহিউদ্দিন ইয়াসিনের চেয়ে তিনি কিছুটা শক্তিশালী অবস্থানে থেকে শাসনকার্য পরিচালনা করতে পারবেন বলেও অনেকে মনে করছেন।

মালয়েশিয়ার নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ৬১ বছর বয়সী ইসমাইল সাবরির নাম ঘোষণা করা হয়। গত চার বছরের কম সময় মধ্যে তিনি হলেন দেশটির তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী। মুহিউদ্দিন ইয়াসিন সরকারের আমলে ইসমাইল সাবরি প্রথমে প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং শেষ দিকে উপ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন

The post মালয়েশিয়ার নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন ইসমাইল সাবরি appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3ka8ROU

দেশে করোনায় একদিনে মৃত্যু ১২০, শনাক্ত ৩ হাজার ৯৯১

ফাতেহ ডেস্ক:

দেশে করোনায় মৃত্যু ও শনাক্ত দুটোই কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ১২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৫১ দিন পর একদিনে এটি সর্বনিম্ন মৃত্যু। এর আগে সবশেষ ৩০ জুন ১১৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

এদিকে শনাক্ত কমে ৪ হাজারের নিচে নেমে এসেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৯৯১ জন। এ নিয়ে দেশে মোট ১৪ লাখ ৫৭ হাজার ১৯৪ জন কোভিড রোগী শনাক্ত হলো।

এর আগের দিনে শুক্রবার (২০ আগস্ট) ১৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। আর শনাক্ত হয়েছিল পাঁচ হাজার ৯৯৩ জন। তবে ৭ জুলাই দেশে প্রথমবারের মতো করোনায় মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়ায়। তখন ২০১ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

শনিবার (২১ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে পুরুষ ৬৯ ও নারী ৫১ জন। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ৯৭ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ২২ জন এবং বাড়িতে একজনের মৃত্যু হয়।

একই সময়ে করোনায় মৃত ১২০ জনের মধ্যে বিভাগওয়ারি হিসেবে দেখা গেছে, ঢাকা বিভাগে ৪৯ জন, চট্টগ্রাম ২৭ জন, রাজশাহী ৯ জন, খুলনা ১৫ জন, বরিশাল তিনজন, সিলেট বিভাগে ১৩ জন, রংপুর বিভাগে সাতজন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ছয়জনের মৃত্যু হয়।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় সরকারি-বেসরকারি ৭২৪টি ল্যাবরেটরিতে ২৩ হাজার ৪৯৩টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে ২৩ হাজার ৮৮২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল ৮৬ লাখ ১৭ হাজার ৮২৮টি।

গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক শূন্য ৭১ শতাংশ। গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত শনাক্তের মোট হার ১৬ দশমিক ৯১ শতাংশ।

The post দেশে করোনায় একদিনে মৃত্যু ১২০, শনাক্ত ৩ হাজার ৯৯১ appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/2Wi0g4s

ভারতে বিশ্বের প্রথম ডিএনএ ভ্যাকসিনের অনুমোদন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

করোনা প্রতিরোধে জরুরিভিত্তিতে ব্যবহারের ভারত বিশ্বের প্রথম ডিএনএ ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিয়েছে।

জাইডাস ক্যাডিলার তৈরি তিন ডোজের জাইকভ-ডি ভ্যাকসিনকে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে ভারতের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ‘ডিসিজিআই’। খবর বিবিসির।

খবরে বলা হয়, এই টিকা ১২ বছরের ওপরে সবাই নিতে পারবেন। এ নিয়ে মোট ৬টি ভ্যাকসিনকে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োগের ছাড়পত্র দিল দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার।

গুজরাটের সংস্থা জাইডাস ক্যাডিলা সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি করেছে এই ডিএনএ টিকা। তিন ডোজের এই টিকা ৬৬.৬ শতাংশ পর্যন্ত করোনা প্রতিরোধে করতে সক্ষম বলে দাবি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের।

এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক টুইটবার্তায় বলেছেন, বিশ্বের প্রথম ডিএনএ কোভিড ভ্যাকসিন ভারতের বিজ্ঞানীদেরই কৃতিত্ব। এর মাধ্যমে করোনার বিরুদ্ধে ভারত পূর্ণ শক্তি নিয়ে লড়াই করতে পারবে।

এদিকে জাইকভ-ডি ভ্যাকসিন ছাড়পত্র পাওয়ায় খুশি চিকিৎসকরাও। ক্যাডিলা হেলথকেয়ার জানিয়েছে, এটি ভারতে ভ্যাকসিনের জন্য এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পরিচালনা করেছে, যাতে ৫০ টিরও বেশি কেন্দ্রে ২৮,০০০ স্বেচ্ছাসেবক অংশ নিয়েছেন। প্রতিবছর ১২০ মিলিয়ন ডোজ ডিএনএ টিকা তৈরি করবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

The post ভারতে বিশ্বের প্রথম ডিএনএ ভ্যাকসিনের অনুমোদন appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3synDma

Friday, August 20, 2021

দেশে করোনায় একদিনে মৃত্যু ১৪৫, শনাক্ত ৫৯৯৩

ফাতেহ ডেস্ক:

দেশে করোনাভাইরাসে (কোভিড ১৯) আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ২৫ হাজার ছাড়িয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে আরও ১৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর ফলে ৪ জুলাইয়ের পর মৃত্যু দেড়শর নিচে নামল, সেদিন করোনায় আক্রান্ত মৃত্যু হয়েছিল ১৫৩ জনের। তার আগের দিন (৩ জুলাই) ১৩৪ জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়।

করোনায় মৃতদের মধ্যে পুরুষ ৭৭ জন ও নারী ৬৮ জন। তাদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ১০৯ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ৩০ জন ও বাড়িতে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে প্রাণঘাতী ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৫ হাজার ২৩ জনে। দেশে করোনা শনাক্তের পর এখন পর্যন্ত মৃত্যুহার ১ দশমিক ৭২ শতাংশ।

একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও পাঁচ হাজার ৯৯৩ জন। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪ লাখ ৫৩ হাজার ২০৩ জনে। এর আগের দিন (১৯ আগস্ট) শনাক্ত হয়েছিল ছয় হাজার ৫৬৬ জন ও মৃত্যু হয়েছিল ১৫৯ জনের।

শুক্রবার (২০ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সরকারি ও বেসরকারি ৭২৪টি ল্যাবরেটরিতে ৩৪ হাজার ৯২৭টি নমুনা সংগ্রহ ও ৩৪ হাজার ৮৯২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল ৮৫ লাখ ৯৩ হাজার ৯৪৩টি।

গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৭ দশমিক শূন্য ১৮ শতাংশ। দেশে প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত শনাক্তের মোট হার ১৬ দশমিক ৯১ শতাংশ।

একদিনে ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১০ হাজার ৫৭৪ জন। এ নিয়ে দেশে করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে উঠা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৪৭ হাজার ৭৫৫ জনে। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৭৪ শতাংশ।

করোনায় মৃতদের বয়স বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, মৃতদের মধ্যে দশোর্ধ্ব একজন, বিশোর্ধ্ব পাঁচজন, ত্রিশোর্ধ্ব নয়জন, চল্লিশোর্ধ্ব ১৪ জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১৯ জন, ষাটোর্ধ্ব ৫২ জন, সত্তোরোর্ধ্ব ২৮ জন, আশির্ধ্ব ১১ জন ও নব্বই বছরের বেশি বয়সী ছয়জন মারা গেছেন।

বিভাগওয়ারি হিসেবে দেখা গেছে, ঢাকা বিভাগে ৫৭ জন, চট্টগ্রামে ৪৩ জন, রাজশাহীতে পাঁচজন, খুলনায় ১৫ জন, বরিশালে চারজন, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগে সাতজন করে মৃত্যু হয়েছে।

গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিনজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।

The post দেশে করোনায় একদিনে মৃত্যু ১৪৫, শনাক্ত ৫৯৯৩ appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/2WczkmA

নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই রাজধানীতে শিয়াদের তাজিয়া মিছিল

ফাতেহ ডেস্ক:

করোনা পরিস্থিতিতে নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই রাজধানীতে শিয়া সম্প্রদায়ের উদ্যোগে তাজিয়া মিছিল বের হয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অনুমতি ছাড়াই রাস্তায় মিছিল বের করতে দেখা গেছে।

শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পুরান ঢাকার ইমামবাড়া হোসেনি দালান থেকে মিছিলটি বের হয়ে চকবাজার, লালবাগ, আজিমপুর, নিউ মার্কেট ও জিগাতলা বাসস্ট্যান্ডের দিকে যায়।

রাজধানীর আজিমপুরে ইমামবাড়া থেকে বের হওয়া তাজিয়া মিছিলের ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, শতাধিক যুবক মিছিল নিয়ে বের হয়েছে। এছাড়া হোসেনি দালান এলাকায় সবাই জড়ো হয়ে মিছিল করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের লালবাগ বিভাগের ডিসি জসিম উদ্দিন মোল্লা গণমাধ্যমকে বলেন, করোনা বিধিনিষেধের কারণে রাজধানীতে শিয়া সম্প্রদায়ের তাজিয়া মিছিল নিষিদ্ধ। আমরা এখন পর্যন্ত কোথাও তাজিয়া মিছিল বের হওয়ার কোনো খবর পাইনি। কোনোভাবেই তাজিয়া মিছিল বের করতে দেওয়া হবে না। করোনার বিধিনিষেধ পরিপালনে কাজ করছে পুলিশ।

The post নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই রাজধানীতে শিয়াদের তাজিয়া মিছিল appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3AVaPt4

Thursday, August 19, 2021

আল্লামা বাবুনগরীর মৃত্যুতে যা বললেন মির্জা ফখরুল

ফাতেহ ডেস্ক:

চট্টগ্রামের দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসার শিক্ষা পরিচালক ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বৃহস্পতিবার বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক ও দলটির কেন্দ্রীয় দপ্তরের চলতি দায়িত্বে সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স স্বাক্ষরিত শোকবার্তায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ, দ্বীনি আলেম ও হেফাজতে ইসলামের আমির মরহুম জুনায়েদ বাবুনগরী বাংলাদেশে ইসলামী জ্ঞান চর্চা এবং ইসলামের প্রচার, প্রসার ও মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন।

শোকবার্তায় তিনি বলেন, খ্যাতিসম্পন্ন ইসলামী চিন্তাবিদ ও পন্ডিত হিসেবে তিনি ছিলেন সর্বজন শ্রদ্ধেয়। তিনি ন্যায় ও ইনসাফের পক্ষে সবসময় সোচ্চার ছিলেন। তার ইন্তেকালে একজন দৃঢ়চেতা ও সাহসী মানুষের নেতৃত্ব থেকে জাতি বঞ্চিত হলো।

বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, দেশের স্বনামধন্য ইসলামী চিন্তাবিদ বাবুনগরীর মৃত্যুতে দেশ একজন নিবেদিতপ্রাণ ও খ্যাতিমান আলেমকে হারাল, যার অভাব সহজে পূরণ হওয়ার নয়। আমি তার রুহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকাহত পরিবারবর্গ, গুণগ্রাহী, ভক্ত ও শুভাকাঙ্খীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।

গতকাল বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে বাবুনগরীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার দিকে তার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়। পরে তড়িঘড়ি করে অ্যাম্বুলেন্স ডেকে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন।

গত ১৪ জুলাই তিনি করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের জন্য নিবন্ধন করেছিলেন। পরে রবিবার (৮ আগস্ট) দুপুরে তাকে তার গাড়িতেই সিনোফার্মের টিকা দেওয়া হয়।

The post আল্লামা বাবুনগরীর মৃত্যুতে যা বললেন মির্জা ফখরুল appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3j6ktDj

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ২১ মাস বাড়ল

ফাতেহ ডেস্ক:

করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে নিয়োগ প্রক্রিয়া আটকে থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রার্থীদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে বয়সে ছাড় দিয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ নির্দেশনা দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদন দেয়ার পর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ নির্দেশনা দিল।

মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থাগুলোকে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকাশিতব্য বিজ্ঞপ্তিতে প্রার্থীদের সর্বোচ্চ বয়সসীমা গত বছরের ২৫ মার্চ নির্ধারণ করার জন্য বলেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। অর্থাৎ ২০২০ সালের ২৫ মার্চের পর থেকে যাদের চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়স ৩০ বছর পার হয়েছে বা হচ্ছে, তারা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত জারি করা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের যোগ্য হবেন।

এক্ষেত্রে চাকরিপ্রার্থীরা করোনা মহামারির কারণে বয়সের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২১ মাসের ছাড় পেলেন।

নির্দেশনার চিঠিতে বলা হয়, যেসব মন্ত্রণালয়/বিভাগ ও এর অধীনস্থ অধিদফতর/পরিদফতর/দফতর ও সংবিধিবদ্ধ/স্বায়ত্তশাসিত/জাতীয়কৃত প্রতিষ্ঠানসমূহ কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে বিভিন্ন ক্যাটাগরির সরকারি চাকরিতে (বিসিএস ব্যতীত) সরাসরি নিয়োগের লক্ষ্যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে পারেনি, সেই সব প্রতিষ্ঠানকে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকাশিতব্য বিজ্ঞপ্তিতে প্রার্থীদের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ২০২০ সালের ২৫ মার্চ নির্ধারণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

বর্তমানে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছর, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ক্ষেত্রে ৩২ বছর। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে নিয়োগ দেয়া হয়। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদগুলোতে নিয়োগের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট সরকারি দফতরের।

করোনা মহামারির প্রথম দফায় সাধারণ ছুটির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত চাকরিপ্রার্থীদের বয়সের ক্ষেত্রে ছাড় দেয় সরকার। তখন গত বছরের ২৫ মার্চের পর যাদের বয়স ৩০ বছর পূর্ণ হয়েছিল তাদের পরবর্তী পাঁচ মাস অর্থাৎ আগস্ট পর্যন্ত সরকারি চাকরিতে আবেদনের সুযোগ দেয়া হয়। কিন্তু গত এপ্রিল থেকে ফের লকডাউন চলছে। মন্ত্রণালয়, বিভাগ কিংবা সংস্থাগুলো চাকরির জন্য বিজ্ঞপ্তি দিতে পারছে না।

মহামারি বেকারত্ব আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। কয়েক লাখ চাকরিপ্রার্থীর ন্যূনতম বয়স লকডাউনের মধ্যে চলে গেছে বলে জানিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীদের বয়স বাড়ানোর আন্দোলন করা সংগঠনগুলো।

The post সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ২১ মাস বাড়ল appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3z2yZ4o

আল্লামা বাবুনগরীর ইন্তেকালে বেফাক নেতৃবৃন্দের শোক

ফাতেহ ডেস্ক:

বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ এর সহ-সভাপতি ও চট্টগ্রাম হাটহাজারী মাদ্রাসার শায়খুল হাদীস আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী রহ.- এর ইন্তেকালে শোক প্রকাশ করেছেন বেফাকের নেতৃবৃন্দ।

বেফাকের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল্লামা মাহমুদুল হাসান ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হকসহ সকল নেতৃবৃন্দ গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তারা মরহুমের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন এবং সারা দেশের ওলামায়ে কেরাম ও তালিবুল ইলমের নিকট তার জন্য বিশেষ দোয়ার অনুরোধ জানান।

গতকাল বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে বাবুনগরীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার দিকে তার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়। পরে তড়িঘড়ি করে অ্যাম্বুলেন্স ডেকে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন।

গত ১৪ জুলাই তিনি করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের জন্য নিবন্ধন করেছিলেন। পরে রবিবার (৮ আগস্ট) দুপুরে তাকে তার গাড়িতেই সিনোফার্মের টিকা দেওয়া হয়।

The post আল্লামা বাবুনগরীর ইন্তেকালে বেফাক নেতৃবৃন্দের শোক appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/2UyeWvG

আল্লামা বাবুনগরীর ইন্তেকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক

ফাতেহ ডেস্ক:

হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এমপি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মরহুমের পরিবার-পরিজন, আত্মীয় স্বজন ও সকলের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

গতকাল বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে বাবুনগরীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার দিকে তার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়। পরে তড়িঘড়ি করে অ্যাম্বুলেন্স ডেকে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন।

গত ১৪ জুলাই তিনি করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের জন্য নিবন্ধন করেছিলেন। পরে রবিবার (৮ আগস্ট) দুপুরে তাকে তার গাড়িতেই সিনোফার্মের টিকা দেওয়া হয়।

The post আল্লামা বাবুনগরীর ইন্তেকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/2W9fl81

সন্ধ্যায় হাটহাজারী মাদরাসায় আল্লামা বাবুনগরীর জানাযা

ফাতেহ ডেস্ক:

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর, হাটহাজারী মাদরাসার শাইখুল হাদীস আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর জানাযা সন্ধ্যা ৭.৩০ মিনিটে হাটহাজারী মাদরাসায় অনুষ্ঠিত হবে। তারপর হজরতের অসীয়ত অনুযায়ী তাকে দাফন করা হবে নিজের বাড়ি বাবুনগরে।

গতকাল বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে বাবুনগরীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার দিকে তার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়। পরে তড়িঘড়ি করে অ্যাম্বুলেন্স ডেকে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন।

গত ১৪ জুলাই তিনি করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের জন্য নিবন্ধন করেছিলেন। পরে রবিবার (৮ আগস্ট) দুপুরে তাকে তার গাড়িতেই সিনোফার্মের টিকা দেওয়া হয়।

The post সন্ধ্যায় হাটহাজারী মাদরাসায় আল্লামা বাবুনগরীর জানাযা appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3gdIXbE

আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী আর নেই

ফাতেহ ডেস্ক:

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর, হাটহাজারী মাদরাসার শাইখুল হাদীস আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন হুজুরের খাদেম মাওলানা জুনাইদ।

এর আগে আজ সকালে তিনি স্ট্রোক করায় ১১টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সযোগে তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল।

গতকাল বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে বাবুনগরীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে বলে জানিয়েছে সূত্র। বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার দিকে তার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়। পরে তড়িঘড়ি করে অ্যাম্বুলেন্স ডেকে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।

আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী ডায়াবেটিসসহ বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ছিলেন। এর আগেও তিনি কয়েকবার অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।

এর আগে রবিবার (৮ আগস্ট) দুপুরে চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলায় গাড়িতে বসে করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়েছিলেন আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।

‘গত ১৪ জুলাই তিনি করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের জন্য নিবন্ধন করেছিলেন। পরে রবিবার (৮ আগস্ট) দুপুরে তাকে তার গাড়িতেই টিকা দেওয়া হয়। তাকে সিনোফার্মের টিকা দেওয়া হয়েছেছিল।’

The post আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী আর নেই appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3mgfDoI

Wednesday, August 18, 2021

বিশ্বে করোনায় মৃতের সংখ্যা ৪৪ লাখের কাছাকাছি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

বিশ্বে মহামারি করোনাভাইরাসের নতুন ডেল্টা ধরনের কারণে প্রতিদিনই বাড়ছে রোগী ও আক্রান্তদের মৃত্যুর সংখ্যা। যুক্তরাষ্ট্রের জনস্ হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ৪৩ লাখ ৯২ হাজার ১৩০ জন এবং মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২০ কোটি ৯২ লাখ ২২ হাজার ১৭ জনে দাঁড়িয়েছে।

এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে মোট ৪৭৮ কোটি ৭৬ লাখ ৬৮ হাজার ৮৬১ ডোজ করোনার টিকা প্রদান করা হয়েছে।

করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকায় এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা তিন কোটি ৭১ লাখ ৪৮ হাজার ৮৭৭ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছে ছয় লাখ ২৪ হাজার ২০৯ জন।

অপরদিকে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ৭১ হাজার ৬৬২ জনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে দুই কোটি চার লাখ ৫৭ হাজার ৮৯৭ জন। মৃত্যুর দিক দিয়ে দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়।

বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারতে মোট তিন কোটি ২২ লাখ ৮৫ হাজার ৮৫৭ জনের সংক্রমণ নিয়ে বিশ্বে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংক্রমণের স্থানে অবস্থান করছে। একই সময়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে চার লাখ ৩২ হাজার ৫১৯ জনে।

The post বিশ্বে করোনায় মৃতের সংখ্যা ৪৪ লাখের কাছাকাছি appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/37S8Glw

দেশে করোনায় একদিনে মৃত্যু ১৭২

ফাতেহ ডেস্ক:

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে আরও ১৭২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৪ হাজার ৭১৯ জনে।

একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও সাত হাজার ২৪৮ জন। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪ লাখ ৪০ হাজার ৬৪৪ জনে।

বুধবার (১৮ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একই সময়ে সরকারি ও বেসরকারি ৭২১টি ল্যাবরেটরিতে ৪২ হাজার ১১১টি নমুনা সংগ্রহ ও ৪১ হাজার ১৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল ৮৫ লাখ ২১ হাজার ৮২৮টি।

গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১৭ দশমিক ৬৭ শতাংশ। গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত শনাক্তের মোট হার ১৬ দশমিক শূন্য ৯১ শতাংশ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১২ হাজার ১১২ জন। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা ১৩ লাখ ২৭ হাজার ২৮ জন। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতার হার ৯২ দশমিক শূন্য ১১ শতাংশ।

 

The post দেশে করোনায় একদিনে মৃত্যু ১৭২ appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/2VWZ8U5

আগস্টের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না খুললে দেশব্যাপী গণআন্দোলন:চরমোনাই পীর

ফাতেহে ডেস্ক:

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই ব‌লে‌ছেন, দেশের সবকিছু স্বাভাবিক হলেও করোনার দোহাই দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা দুরভিসন্ধিমূলক চক্রান্ত ছাড়া আর কিছুই না। আগস্টের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে, নইলে দেশব্যাপী গণআন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

বুধবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে বরিশাল নগরীর হল চত্বরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বরিশাল মহানগর আয়োজিত মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।

শায়েখে চরমোনাই বলেন, শতভাগ যাত্রী নিয়ে লঞ্চ, বাস, ট্রেনসহ সবধরনের গণপরিবহন চলছে। শপিংমল, সিনেমা হল, হোটেল-রেস্তোরা এবং পর্যটন কেন্দ্রগুলো স্বাভাবিক নিয়মেই চলছে। এমন প‌রি‌স্থি‌তি‌তে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৫১৯ দিন ধরে বন্ধ রাখার কোনো যুক্তি নেই। জনবান্ধন কোনো সরকার এমন হঠকারী সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। তাই সরকারের প্রতি আমাদের আহ্বান, চলতি মাসের মধ্যে কওমি মাদরাসাসহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিন। অন্যথায় দেশব্যাপী দুর্বার গণআন্দোলনের মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে বাধ্য করা হবে।

ফয়জুল করীম আরো বলেন, শিক্ষা প্রতিটি নাগরিকের মৌলিক অধিকার। এছাড়াও বিশ্বের বুকে দেশের উজ্জ্বল ভাবমূর্তি সমুন্নত রাখতে স্ব জাতিকে শিক্ষিত ও দক্ষ হিসেবে গড়ে তোলার বিকল্প নেই। অথচ আজ দুঃখজনক হলেও বাস্তবতা হলো শিক্ষার অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য রাজপথে আন্দোলন করতে হয়। এ সরকারের জন্য এর চেয়ে লজ্জা আর কিছুই হতে পারে না।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বরিশাল মহানগর সেক্রেটারি মাওলানা লুৎফর রহমান এর সঞ্চালনায় আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ওবায়দুর রহমান মাহবুব, কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এবং বরিশাল জেলা সেক্রেটারি উপাধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মাদ সিরাজুল ইসলাম, বরিশাল মহানগর সহ-সভাপতি মাওলানা সৈয়দ নাসির আহমাদ কাওছার, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক কে এম শরীয়াতুল্লাহ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মহানগর জয়েন্ট সেক্রেটারি মাওলানা আবুল খায়ের আশ্রাফি, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাদাত হোসেন নূরী, ৬নং জাগুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুফতী হেদায়াতুল্লাহ খান আজাদী, জাতীয় শিক্ষক ফোরাম বরিশাল মহানগর সভাপতি প্রিন্সিপাল ওমর ফারুক, ইসলামী যুব আন্দোলন মহানগর সভাপতি মাওলানা আরিফুর রহমান, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন মহানগর সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন, বিএম কলেজ সভাপতি আঃ রহিম, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি তৌহিদ বাশার সহ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বরিশাল মহানগর নেতৃবৃন্দ।

The post আগস্টের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না খুললে দেশব্যাপী গণআন্দোলন:চরমোনাই পীর appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3ssBkTI

আফগান ইস্যু: ইমরান খানকে ফোনে কী বললেন জনসন-মেরকেল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ফোন করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এবং জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল। আফগানিস্তানে তালেবানের ক্ষমতা দখলসহ বিভিন্ন আফগান ইস্যু নিয়ে আলোচনা করতে মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) ইমরানকে ফোন করেন তারা।

বুধবার (১৮ আগস্ট) সকালে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন। ফোনালাপের সময় তারা আফগানিস্তানের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন।

দ্য ডন জানিয়েছে, ফোনালাপে পাকিস্তানসহ পুরো এই অঞ্চলের জন্য একটি শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল আফগানিস্তান প্রতিষ্ঠার ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব আরোপ করেন ইমরান খান। এছাড়া সার্বিক নিরাপত্তা ও মানবাধিকারসহ আফগান নাগরিকদের জন্য সকল ধরনের অধিকার নিশ্চিত করার ওপরও জোর দেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।

ইমরান বলেন, বিদ্যমান সংকটকে পাশ কাটিয়ে আফগানিস্তানকে এগিয়ে নিতে অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনৈতিক সমাধানই সবচেয়ে ভালো উপায়। তিনি জানান, পাকিস্তান সকল আফগান নেতার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। এই প্রক্রিয়ায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কেও যুক্ত থাকতে হবে। বিশেষ করে আফগান জনগণকে অর্থনৈতিকভাবে সহায়তায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসতে হবে।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, আফগানিস্তানে সংকটজনক পরিস্থিতির সময় দেশটি থেকে কূটনীতিক, আন্তর্জাতিক সংস্থার কর্মীসহ অন্যদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনার কাজে পাকিস্তান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

ফোনালাপে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এবং জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল ইমরান খানের সঙ্গে একমত পোষণ করেন। এর পাশাপাশি আফগানিস্তানের ক্রমপরিবর্তনশীল পরিস্থিতি নিয়ে পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখার ঘোষণাও দেন তারা।

এছাড়া করোনা মহামারি মোকাবিলায় পাকিস্তান সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ ও তথ্য বরিস জনসনের কাছে তুলে ধরে দেশটির রেড লিস্ট থেকে পাকিস্তানকে বাদ দেওয়ার আহ্বান জানান ইমরান।

অন্যদিকে মেরকেলের সঙ্গে ফোনালাপে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন ইমরান খান। একইসঙ্গে উভয় দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সকল খাতে দ্বিপাক্ষিক কর্মকাণ্ড আরও বৃদ্ধির ব্যাপারে পাকিস্তান আগ্রহী বলেও জানান তিনি।

The post আফগান ইস্যু: ইমরান খানকে ফোনে কী বললেন জনসন-মেরকেল appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3iW07fJ

Sunday, August 15, 2021

দেশে করোনায় একদিনে মৃত্যু ১৮৭, শনাক্ত ৬৬৮৪

ফাতেহ ডেস্ক:

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৮৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৪ হাজার ১৭৫ জনে।

একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে নতুন রোগী শনাক্ত হয় আরও ছয় হাজার ৬৮৪ জন। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে মোট ১৪ লাখ ১৮ হাজার ৯০২ জনে।

রোববার (১৫ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় ৩১ হাজার ৪০৩টি নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৩ হাজার ১টি। দেশে এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৮৪ লাখ ৮ হাজার ৫২১টি। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ২০ দশমিক ২৫ শতাংশ। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ।

২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১১ হাজার ৩৭১ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা ১২ লাখ ৯২ হাজার ৬৯৮ জন।

মৃত ১৮৭ জনের মধ্যে পুরুষ ১০১ এবং নারী ৮৬ জন। এদের মধ্যে বাসায় মারা গেছেন ৩ জন। একজনকে হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে। বাকিরা হাসপাতালে মারা গেছেন। মোট মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ১৫ হাজার ৯৪৩ এবং নারী ৮ হাজার ২৩২ জন।

The post দেশে করোনায় একদিনে মৃত্যু ১৮৭, শনাক্ত ৬৬৮৪ appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/37KGuAQ

Saturday, August 14, 2021

করোনায় একদিনে মৃত্যু ১৭৮, শনাক্ত ৬ হাজার ৮৮৫

ফাতেহ ডেস্ক:

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৭৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৩ হাজার ৯৮৮ জনে। তাদের মধ্যে ১০৮ জন পুরুষ ও ৬৯ জন নারী। মৃতদের মধ্যে চারজন বাসায় এবং বাকি ১৭৪ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মোট মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ১৫ হাজার ৮৪২ জন ও নারী ৮ হাজার ১৪৬ জন রয়েছেন।

একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে নতুন রোগী শনাক্ত হন আরও ছয় হাজার ৮৮৫ জন। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে মোট ১৪ লাখ ১২ হাজার ২১৮ জনে।

গত তিন সপ্তাহে একদিনে এটাই সবচেয়ে কম রোগী শনাক্তের খবর। এর আগে গত ২৪ জুলাই (৬ হাজার ৭৮০ রোগী শনাক্ত) হয়েছিল। এরপর শুক্রবার পর্যন্ত দৈনিক শনাক্ত আট হাজারের নিচে নামেনি। এর আগে গতকাল (১৩ আগস্ট) করোনা শনাক্ত হয়েছিল ৮ হাজার ৪৬৫ জন এবং একই সময়ে মৃত্যু হয়েছিল ১৯৭ জনের।

শনিবার (১৪ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩২ হাজার ৮১০টি নমুনা সংগ্রহ ও ৩৩ হাজার ৩৩০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ছয় হাজার ৮৮৫ জন। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৬৬ শতাংশ। দেশে এখন পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৮৩ লাখ ৭৫ হাজার ৫২০টি। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৮৬ শতাংশ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন সাত হাজার ৮০৫ জন। দেশে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১২ লাখ ৮১ হাজার ৩২৭ জন।

২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে বিভাগওয়ারি হিসাবে দেখা যায়, ঢাকা বিভাগে ৬৭ জন, চট্টগ্রামে ৪৫ জন, রাজশাহীতে ১৪ জন, খুলনায় ২৩ জন, বরিশালে ৭ জন, সিলেটে ১১ জন, রংপুরে ৬ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৫ জন রয়েছেন।

বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে শূন্য থেকে ১০ বছর বয়সী একজন, ১১ থেকে ২০ বছর বয়সী একজন, ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী চারজন, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী ১২ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী ১৩ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী ৪০ জন এবং ১০৭ জন ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি মারা গেছেন।

গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিনজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।

The post করোনায় একদিনে মৃত্যু ১৭৮, শনাক্ত ৬ হাজার ৮৮৫ appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/37WY9FP

Wednesday, August 11, 2021

দেশে একদিনে করোনায় মৃত্যু ২৩৭, শনাক্ত ১০ হাজার ৪২০

ফাতেহ ডেস্ক:

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে করোনায় মোট মৃত্যু হয়েছে ২৩ হাজার ৩৯৮ জনের।

বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার দেশে করোনায় একদিনে ২৬৪ জনের মৃত্যু হয়।

একই সময়ে দেশে করোনায় নতুন শনাক্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৪২০। ফলে করোনায় মোট শনাক্তের সংখ্যা হলো ১৩ লাখ ৮৬ হাজার ৭৪২ জনে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ৪৩ হাজার ৪৩০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ২৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ।

২৪ ঘন্টায় সুস্থ ১৩ হাজার ৩১৩ জন। এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১২ লাখ ৪৮ হাজার ৭৫ জন।

The post দেশে একদিনে করোনায় মৃত্যু ২৩৭, শনাক্ত ১০ হাজার ৪২০ appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3fVnapb

সেপ্টেম্বর মাসেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে সরকার চিন্তা

ফাতেহ ডেস্ক:

আগামী ন্তাসেপ্টেম্বর মাসেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে সরকার চি-ভাবনা করছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

বুধবার (১১ আগস্ট) মিন্টো রোডের বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে ব্যক্তিগত আলাপে তিনি এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করছে সরকার। আগামী সেপ্টেম্বরেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে সরকার চিন্তা-ভাবনা করছে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত স্কুল-কলেজ খুলছে না। তবে সেপ্টেম্বরেই স্কুল-কলেজ খুলে দেয়ার চিন্তাভাবনা রয়েছে সরকারের।

তিনি আরও বলেন, এখনই অটোপাসের চিন্তা নয়। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে নভেম্বর-ডিসেম্বরে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নেয়া হবে।

প্রসঙ্গত, দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। দফায় দফায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়িয়ে সর্বশেষ তা ৩১ আগস্ট পর্যন্ত করা হয়েছে।

The post সেপ্টেম্বর মাসেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে সরকার চিন্তা appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/37AWUvu

মাদরাসা খুলে দিতে মুহতামিমদের আহবান

ফাতেহ ডেস্ক:

কওমী মাদরাসা খুলে দেয়ার আহবান জানিয়েছেন দেশের প্রধান প্রধান কওমী মাদরাসাগুলোর মুহতামিমরা। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে তারা বলেন, সরকার লকডাউন তুলে দেয়ায় জনমানুষের মধ্য স্বস্তি ফিরে এসেছে। অসহায় গরিব মেহনতী মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে পারছে। আমরা এজন্য সরকারের ধন্যবাদ জানাই।

তারা বলেন, মহামারী করোনাভাইরাসের কারনে দীর্ঘ সময় ধরে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। এতে করে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে পড়েছে। আমরা সরকার কাছে অনুরোধ করবো সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার জন্য। বিশেষভাবে কওমী মাদরাসাগুলো খুলে দেওয়ার জন্য আমরা আবেদন জানাচ্ছি।

বিবৃতিতে বলা হয়, কওমী মাদরাসাগুলো দ্বীনি প্রতিষ্ঠান। এসব মাদরাসায় কুরআন ও হাদিসের পাঠদান করা হয়। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় কওমী মাদরাসার শিক্ষকরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তারা পরিবার পরিজন নিয়ে নানা সমস্যায় ভোগছেন। শিক্ষার্থীরা মাদরাসার পরিবেশ থেকে দূরে থাকায় নানারকম সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। আমরা সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছি এই অসহায় শিক্ষক শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে মাদরাসাগুলো খুলে দেয়ার ব্যবস্থা করুন।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, কওমী মাদরাসাগুলো খুলে দিলে সেখানে দ্বীনি ইলমের চর্চা হবে, কুরআনের তিলাওয়াত হবে, হাদীসের দরস দেওয়া হবে, তাহাজ্জুদের আমল হবে, করোনার মহামারী থেকে দেশ ও জাতিকে রক্ষার জন্য মহান আল্লাহর দরবারে নিয়মিত দুয়ার আয়জন হবে। এতে করে দেশ আল্লাহর রহমতে করোনা মহামারী থেকে মুক্ত হবে ইনশাআল্লাহ।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে দেশের সকল কওমী মাদরাসা খুলে দেয়ার জন্য আমরা সরকারের কাছে উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি।

বিবৃতিদাতারা হলেন, আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ, মুহতামিম, জামিয়া ইসলামিয়া আজিজুল উলুম বাবুনগর মাদরাসা চট্টগ্রাম। আল্লামা নুরুল ইসলাম, মুহতামিম, খিলগাও মাখজানুল উলুম মাদরাসা, ঢাকা। মুফতী আব্দুস সালাম চাটগামী, মুহতামিম পরিষদের প্রধান, দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী। মুফতী আব্দুল হালিম বোখারী, মুহতামিম, জামিয়া ইসলামিয়া পটিয়া। আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী, মুহতামিম, জামিয়া নুরিয়া কামরাঙ্গিরচর মাদরাসা। মাওলানা মুহিব্বুল্ল হক (গাছবাড়ী), মুহতামিম, কাসেমুল উলুম দরগাহ মাদরাসা, সিলেট। মাওলানা আব্দুল হক্ব, মুহতামিম, জামিয়া ফয়জুর রহমান রহ. মোমেনশাহী। মাওলানা ইয়াহয়া, দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী। মাওলানা সাজিদুর রহমান, মুহিতামিম, দারুল আরকাম মাদরাসা বি-বাড়িয়া। দেওনার পীর অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরী, মুহতামিম, দাওয়াতুল হক মাদরাসা, কাপাসিয়া।

মাওলানা সালাহ উদ্দীন নানুপুরী, মুহতামিম, নানুপুর মাদরাসা, চট্টগ্রাম। মাওলানা আব্দুল আওয়াল, মুহতামিম মারকাজুক উলুম আল ইসলামিয়া, নারায়নগঞ্জ। মাওলানা বাহাউদ্দিন যাকারিয়া, মুহতামিম, আরজাবাদ মাদরাসা। মাওলানা মোবারকুল্লাহ, মুহতামিম, জামিয়া ইউনুছিয়া, বি-বাড়িয়া। মাওলানা সাব্বির রহমান রশীদ, মুহতামিম, কিশোরগঞ্জ জামিয়া এমদাদিয়া। মাওলানা ফয়জুল্লাহ সন্দীপী, মুহতামিম, মাদানী নগর মাদরাসা। মাওলানা আনওয়ারুল করীম, মুহতামিম, রেলস্টেশন মাদরাসা, যশোর। মাওলানা আনাস, মুহতামিম, মদীনাতুল উলূম মাদরাসা, ভোলা। মাওলানা ইয়াহয়া মাহমুদ, মুহতামিম, দারুল উলূম মাদরাসা রামপুরা। মাওলানা মুহাম্মাদ আলী, মুহতামিম, আফতাবনগর মাদরাসা। মাওলানা মুসতাক আহমদ, মুহতামিম খুলনা দারুল উলুম।

 

The post মাদরাসা খুলে দিতে মুহতামিমদের আহবান appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/2VLKkHn

ওমরাহ কার্যক্রম শুরু : ধর্ম মন্ত্রণালয়ের শর্তাবলি প্রকাশ

ফাতেহ ডেস্ক:

সৌদি সরকারের অনুমতিক্রমে হিজরি ১৪৪৩ সনে বাংলাদেশ থেকে ওমরাহ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

ওমরাহ পালনের ক্ষেত্রে সৌদি সরকার কর্তৃক আরোপিত শর্তাবলি ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হজ সংক্রান্ত ওয়েবসাইট (www.hajj.gov.bd) এ প্রকাশ করা হয়েছে।

বুধবার (১১ আগস্ট) ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল ওমরাহ ভিসা। সম্প্রতি ওমরাহ পালনের নিষেধাজ্ঞা শিথিল করে সৌদি আরব। তবে মুসল্লিদের জন্য কিছু শর্ত দেয়া হয়।

সেগুলো হলো-ওমরাহ করতে ইচ্ছুক মুসল্লিরা কেবল ৯টি দেশ ছাড়া বিশ্বের সব দেশ থেকে সরাসরি ফ্লাইটে সৌদি আরবে প্রবেশ করতে পারবেন। ওই ৯টি দেশ হলো— ভারত, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, মিসর, তুরস্ক, আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা ও লেবানন।

এই দেশগুলো থেকে কোনো মুসল্লি সৌদি আরবে প্রবেশ করতে চাইলে তাদের ওই ৯টি দেশ ছাড়া তৃতীয় আরেকটি দেশে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন শেষ করতে হবে।

এছাড়া ওমরাহ পালনে ইচ্ছুক সবাইকে বাধ্যতামূলকভাবে করোনাভাইরাসের দুই ডোজ টিকা নিতে হবে। সেই টিকা হতে হবে ফাইজার, মডার্না, অ্যাস্ট্রাজেনেকা অথবা জনসন অ্যান্ড জনসনের। এসব টিকার দুটি ডোজ গ্রহণ করা ছাড়া সৌদি আরবে প্রবেশ করা যাবে না।

ওমরাহ পালনের জন্য ১৮ বছর বা বেশি বয়সীদেরই অনুমোদন দেয়া হবে। এছাড়া দেশটির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় থেকে স্বীকৃত ওমরাহ এজেন্সির মাধ্যমেই কেবল সৌদি আরবে যেতে পারবেন মুসল্লিরা।

The post ওমরাহ কার্যক্রম শুরু : ধর্ম মন্ত্রণালয়ের শর্তাবলি প্রকাশ appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3CzVLmh

Tuesday, August 10, 2021

রোহিঙ্গাদের করোনার টিকাদান শুরু

ফাতেহ ডেস্ক:

কক্সবাজারের ক্যাম্পগুলোতে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত নাগরিক রোহিঙ্গাদের প্রথমবারের মতো করোনার টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে উখিয়া উপজেলার কুতুপালং মধুরছড়া ৪-এক্সটেশন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আনুষ্ঠানিকভাবে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। কর্মসূচির উদ্বোধন করেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাস কমিশনার শাহ মোহাম্মদ রেজওয়ান হায়াত।

এ সময় সাংবাদিকদের শাহ মোহাম্মদ রেজওয়ান হায়াত বলেন, উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি ক্যাম্পের ৫৬টি কেন্দ্রে একযোগে রোহিঙ্গাদের প্রথমবারের মতো করোনার টিকাদান শুরু হয়েছে। এর মধ্যে উখিয়া ৪৬টি ও টেকনাফের ১০টি কেন্দ্রে টিকা দেয়া হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, প্রথম দফায় ৫৫ বছর বা তার চেয়ে বেশী বয়সীদের ৪৮ হাজার রোহিঙ্গা এই টিকা দেয়া হবে। প্রতিদিন সাত হাজার করে সিনোফার্মার প্রথম ডোজের টিকা প্রয়োগ করা হবে। ১৮ আগস্ট পর্যন্ত এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

The post রোহিঙ্গাদের করোনার টিকাদান শুরু appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3lQF8wS

Monday, August 9, 2021

কওমী মাদরাসাসহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিন : জমিয়ত

ফাতেহ ডেস্ক:

কওমী মাদরাসাসহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবি জানিয়েছে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ।

৯ আগস্ট সংবাদপত্রে প্রেরিত এক বিবৃতিতে জমিয়ত নেতৃবৃন্দ বলেন, আগামী ১১ আগষ্ট থেকে সরকারি-বেসরকারি অফিস, মার্কেট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও সীমিত পরিসরে গণপরিবহন খুলে দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। দেশের অর্থনৈতিক দুরাবস্থা, মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত, দিনমজুর রিকশাচালক, পরিবহন শ্রমিক, ক্ষুদে ব্যবসায়ী ও মেহনতী মানুষের দুরাবস্থার কথা বিবেচনা করে সরকারি বেসরকারি অফিস, মার্কেট, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সাধারণ মানুষের জীবিকার বিষয়টি বিশেষ গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হয়েছে।

জমিয়ত নেতৃবৃন্দ বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় একদিকে যেভাবে কিশোর কিশোরীদের মাঝে অপরাধ প্রবণতা ও মাদকাসক্তির প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে ঠিক তদ্রুপ ভবিষ্যতে শিক্ষিত দক্ষ যোগ্যতাসম্পন্ন লোকের সংকটে পড়বে দেশ‌। সে সংকট কাটিয়ে ওঠা অসম্ভব হয়ে যাবে।

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, করোনা মহামারী আল্লাহ প্রদত্ত একটি আজব। যেকোনো রোগ, বালা-মুসিবত, আজাব ও মহামারী থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে যেভাবে চিকিৎসা নেয়া জরুরী, রোগে আক্রান্ত হওয়ার উপকরণ থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করতে হয়, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হয়, ঠিক তদ্রুপ মহান রব্বুল আলামীনের দরবারে তওবা-ইস্তেগফার, কোরআন তেলাওয়াত ও নফল এবাদত বন্দিগী ব্যক্তিগত ও সম্মিলিতভাবে করা জরুরি হয়ে পড়ে। কওমী মাদরাসাগুলোতে নিয়মিত কোরআন তেলাওয়াত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদিসের চর্চা হয়ে থাকে, ছাত্ররা ফজরের পূর্ব থেকে কোরআন তেলাওয়াত শুরু করে অব্যাহত রাখে রাতে ঘুমের আগ পর্যন্ত। রাতের শেষ প্রহরে শিক্ষক-ছাত্র তাহাজ্জুদ নামাজ আদায়ের মাধ্যমে নিজেদের অপরাধ মার্জনা ও কল্যাণ কামনায় আল্লাহর দরবারে কান্নাকাটি করে থাকে। মাদ্রাসাগুলো বন্ধ থাকায় এ আমলগুলোর ফলাফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে দেশ। এছাড়া মাদ্রাসা বন্ধ থাকায় হিফজের ছাত্ররা পবিত্র কোরআন ভুলতে বসেছে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, যেভাবে মানুষের জন্য জীবিকার প্রয়োজন, ঠিক সেভাবে একটি উন্নত সমৃদ্ধশালী দেশের জন্য শিক্ষিত, দক্ষ, জনগোষ্ঠীর প্রয়োজন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের এর ধারা যদি আরো দীর্ঘ হয় তাহলে জেনারেশন গ্যাপ তৈরি হবে, যা পূরণ হবার নয়। মাদ্রাসাগুলো বন্ধ থাকায় ব্যাপকহারে কোরআন-হাদিসের চর্চার সুফল থেকে দেশ বঞ্চিত থাকছে। যা একটি সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশের জন্য কখনো কল্যাণ বয়ে আনবে না। তাই জমিয়ত মনে করে, বিলম্ব না করে অন্যান্য সেক্টরে সাথে সাথে কওমী মাদরাসাসহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হোক।

বিবৃতিদাতাগণ হলেন জমিয়তের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাওলানা জিয়াউদ্দিন, সহ-সভাপতি মাওলান ওবায়দুল্লাহ ফারুক, মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা বাহাউদ্দিন যাকারিয়া, মাওলানা আব্দুল বছির সুনামগঞ্জী, মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস আরজাবাদ, মাওলানা নাজমুল হাসান কাসেমী, মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস মানিকনগর, মাওলানা লোকমান মাজহারী, মাওলানা মতিউর রহমান গাজীপুরী মাওলানা নাসিরউদ্দিন খান, মাওলানা নূর মোহাম্মদ কাসেমী, মাওলানা মুফতি মহিউদ্দিন মাসুম ও মুফতি জাবের কাসেমী প্রমূখ।

The post কওমী মাদরাসাসহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিন : জমিয়ত appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3jApjrg

রাজশাহী মেডিকেলে একদিনে ২১ জনের মৃত্যু

ফাতেহ ডেস্ক:

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছে পাঁচজন ও উপসর্গে ১৬ জন মারা গেছেন।

মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) সকালে রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, হাসপাতাল করোনা ইউনিটের মৃতদের মধ্যে পুরুষ ১২ জন ও ৯ জন নারী। এদের অধিকাংশের বয়স ৩১ থেকে ৬৫ বছরের ওপরে ছিল। তাদের সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দাফন করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

রামেক পরিচালক আরও বলেন, মৃতদের মধ্যে রাজশাহীর ১০ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের দুইজন, নাটোরের একজন, নওগাঁর চারজন ও পাবনার চারজন। এর মধ্যে করোনা সংক্রমণে মারা গেছেন রাজশাহীর তিনজন, নওগাঁর একজন ও পাবনার একজন।

অন্যদিকে উপসর্গে মারা গেছেন রাজশাহীর সাতজন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের দুইজন, নাটোরের একজন, নওগাঁর তিনজন ও পাবনার তিনজন মারা গেছেন।

জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় রামেকে নতুন ভর্তি হয়েছেন ৪৩ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪৪ জন। রামেকে করোনা আক্রান্ত হয়ে ১৯৭ জন ও উপসর্গ নিয়ে ১৮৩ জন ভর্তি রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় রামেকে ৫১৩টি শয্যার বিপরীতে রোগী ভর্তি ছিলেন ৩৮০ জন।

তিনি বলেন, হাসপাতালের পিসিআর মেশিনে ১৮৮ নমুনা পরীক্ষায় ৫৩ জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। অন্যদিকে মেডিকেল কলেজের পিসিআর মেশিনে ২৭৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৪৫ জন করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। দুই ল্যাবের টেস্টে মোট ৪৬৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে ৯৮ জনের করোনা পজিটিভ রেজাল্ট আসে। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ১০ শতাংশ।

The post রাজশাহী মেডিকেলে একদিনে ২১ জনের মৃত্যু appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3jG4v1B

দেশে করোনায় একদিনে মৃত্যু ২৪৫

ফাতেহ ডেস্ক:

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে আরও ২৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২২ হাজার ৮৯৭ জনে।

২৪ ঘণ্টায় মৃত ২৪৫ জনের মধ্যে পুরুষ ১২৮ ও নারী ১১৭ জন। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ১৮৫ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ৪৯ জন ও বাড়িতে ১১ জনের মৃত্যু হয়। ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুহার ১ দশমিক ৬৮ শতাংশ।

এই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও ১১ হাজার ৪৬৩ জন। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ১৫৮ জনে।

সোমবার (৯ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ৭০৭টি ল্যাবরেটরিতে ৪৬ হাজার ৯৫৩টি নমুনা সংগ্রহ ও ৪৭ হাজার ২০৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল ৮১ লাখ ৬৪ হাজার ৬১৭টি।

গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ২৪ দশমিক ২৮ শতাংশ। গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত শনাক্তের মোট হার ১৬ দশমিক শূন্য ৭২ শতাংশ।

The post দেশে করোনায় একদিনে মৃত্যু ২৪৫ appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3fNIc9b

Sunday, August 8, 2021

অন্তঃসত্ত্বা ও স্তন্যদানকারী নারীদের টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত

ফাতেহ ডেস্ক:

অন্তঃসত্ত্বা ও স্তন্যদানকারী নারীদের টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর রোববার রাতে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করেছে।

এতে বলা হয়, সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী নারীদের মধ্যে করোনা আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।

বিষয়টি বিবেচনা করে টিকা বিষয়ক জাতীয় কমিটির পরামর্শ অনুযায়ী অন্তঃসত্ত্বা ও স্তন্যদানকারী নারীদের করোনার টিকা প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

নারীদের টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এগুলোর মধ্যে রয়েছে, অন্তঃসত্ত্বা নারী টিকা গ্রহণের দিন অসুস্থ থাকলে কিংবা অনিয়ন্ত্রিত দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত হলে টিকা প্রদান করা যাবে না। কোনো অন্তঃসত্ত্বা নারীর টিকা অ্যালার্জির পূর্ব ইতিহাস থাকলে তাকে কোডিড-১৯ টিকা প্রদান করা যাবে না।

কোনো অন্তঃসত্ত্বা নারী যদি করোনা টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণের পর এইএফআই কেস হিসাবে শনাক্ত হন তবে তাকে দ্বিতীয় ডোজ প্রদান করা যাবে না। একইসঙ্গে নির্দেশনায় বলা হয় সম্মতিপত্রে টিকাগ্রহীতা/আইনানুগ অভিভাবক ও কাউন্সেলিং চিকিৎসকের স্বাক্ষর ব্যতীত টিকা দেওয়া যাবে না।

নির্দেশনায় তিন নাম্বারে কাউন্সেলিং উল্লেখ করে বলা হয়েছে, কোডিড-১৯ টিকা গ্রহণে ইচ্ছুক অন্তঃসত্ত্বা নারীকে টিকা প্রদানের পূর্বে অবশ্যই নিম্নোক্ত তথ্যাদি একজন রেজিস্টার্ড চিকিৎসক কর্তৃক পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে অবহিত করতে হবে।

স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে রয়েছে, নির্ধারিত সময়ের আগেই সন্তান জন্মদান (অপরিণত নবজাতক) এর সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়, নবজাতকের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়, বয়স্ক অন্তঃসত্ত্বা (৩৫ বছরের বেশি), উচ্চ বিএমআই সম্পন্ন, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিসসহ অন্যান্য দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত নারী গর্ভাবস্থায় করোনায় আক্রান্ত হলে তা মারাত্মক রূপ নিতে পারে।

এক্ষেত্রে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে এবং সাধারণ নারীদের তুলনায় অন্তঃসত্ত্বা করোনা আক্রান্ত হলে স্বাস্থ্য ঝুঁকির আশঙ্কা অনেক বেশি। অন্তঃসত্ত্বা নারীকে টিকার সুফল সম্পর্কে অবহিতকরণ প্রসঙ্গে বলা হয়, কোভিড-১৯ টিকা গ্রহণ করলে করোনায় আক্রান্ত হওয়া ও এর ফলে সৃষ্ট জটিলতার ঝুঁকি অপেক্ষাকৃত কম, গর্ভাবস্থায় টিকা নিলে কোভিডের গর্ভজনিত ঝুঁকির সম্ভাবনা কম।

নির্দেশনায় সম্মতিপত্রে স্বাক্ষর গ্রহণ শীর্ষক অংশে বলা হয়েছে, উল্লিখিত নির্দেশাবলি সম্পন্ন করার পর সম্মতিপত্রে (সংযুক্ত) গর্ভবতী নারী ও কাউন্সিলর (রেজিস্টার্ড চিকিৎসক) এর স্বাক্ষর গ্রহণপূর্বক টিকা প্রদান করতে হবে।

The post অন্তঃসত্ত্বা ও স্তন্যদানকারী নারীদের টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/2VD1Nlh

বুধবার থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবকিছু খোলার প্রজ্ঞাপন জারি

ফাতেহ ডেস্ক:

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চলমান বিধিনিষেধ শেষে আগামী ১১ আগস্ট (বুধবার) থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রায় সব কিছু খুলে দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। রোববার (৮ আগস্ট) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

এ সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আসন সংখ্যার সমান যাত্রী নিয়ে চলবে সব ধরনের গণপরিবহন। সড়কপথে স্বাভাবিকের চেয়ে অর্ধেক গাড়ি চলতে পারবে। খুলবে দোকান-শপিংমল এবং খাবারের দোকান। হোটেল-রেস্তোরাঁ অর্ধেক আসন খালি রেখে চলবে। সরকারি-বেসরকারি অফিস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানও স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা থাকবে।

আগের বিধিনিষেধের ধারাবাহিকতয় পর্যটনকেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে।

গত ৩ আগস্ট অনুষ্ঠিত কোভিড-১৯ সংক্রমণের পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার সিদ্ধান্ত, দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখা এবং সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় চলমান বিধিনিষেধের ধারাবাহিকতায় নতুন করে ৮টি শর্ত দিয়ে ১১ আগস্ট থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে। এই ৮টি শর্তের মাধ্যমে মূলত সব কিছু খুলে দেয়া হলো।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ জারি করে সরকার। তখন ২৩টি শর্ত দেয়া হয়। সেই বিধিনিষেধের মেয়াদ গত ৫ আগস্ট রাত ১২টায় শেষ হয়। পরে কিছুটা শিথিলতা এনে বিধিনিষেধের মেয়াদ আগামী ১০ আগস্ট (মঙ্গলবার) পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

৮ শর্তে যা আছে:

১. সব সরকারি/আধা-সরকারি/স্বায়ত্তশাসিত/বেসরকারি অফিস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে খোলা থাকবে।
২. বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আদালতগুলোর বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করবে।
৩. সড়ক, রেল ও নৌপথে আসন সংখ্যার সমপরিমাণ যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন/যানবাহন চলাচল করতে পারবে। সড়কপথে গণপরিবহন চলাচলের ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন (সিটি করপোরেশন এলাকায় বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক) নিজ নিজ অধিক্ষেত্রের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সংশ্লিষ্ট দফতর/সংস্থা, মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করে প্রতিদিন মোট পরিবহন সংখ্যার অর্ধেক চালু করতে পারবে।
৪. শপিংমল/মার্কেট/দোকানপাট সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে খোলা রাখা যাবে।
৫. সব ধরনের শিল্প-কলকারখানা চালু থাকবে।
৬. খাবারের দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁয় অর্ধেক আসন খালি রেখে সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে।
৭. সব ক্ষেত্রে মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে হবে এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রণীত স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।
৮. গণপরিবহন, বিভিন্ন দফতর, মার্কেট ও বাজারসহ যেকোন প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে অবহেলা পরিলক্ষিত হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব বহন করবে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

The post বুধবার থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবকিছু খোলার প্রজ্ঞাপন জারি appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3yzN8Wi

করোনায় চাকরি হারিয়েছেন সাড়ে ২২ লাখ ৬০ হাজার মানুষ

ফাতেহ ডেস্ক:

কোভিড-১৯ মহামারির কারণে দেশে ২২ লাখ ৬০ হাজার মানুষ কর্মসংস্থানের সুযোগ হারিয়েছেন। আর দারিদ্র্যের হার ৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ২৯ দশমিক ৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। একই সময়ে দেশের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রার ৩৭ হাজার ৪০০ কোটি ডলার থেকে কমে ৩৬ হাজার ৪০০ কোটি ডলারে নেমে এসেছে।

শনিবার (৭ আগস্ট) ‘বেসরকারি খাতের দৃষ্টিতে বাংলাদেশের অর্থনীতির বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ প্রেক্ষিত’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে এই পর্যালোচনা তুলে ধরে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। ওয়েবিনারে অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন, বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) মহাপরিচালক বিনায়ক সেন, বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) চেয়ারম্যান জায়েদী সাত্তার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (আইবিএ) পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল মোমেন এবং ইউএনডিপি বাংলাদেশের প্রধান অর্থনীতিবিদ নাজনীন আহমেদ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডিসিসিআইয়ের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান।

ওই প্রবন্ধে তিনি অর্থনীতিতে কোভিডের প্রভাব, এলডিসি–উত্তর সময়ে দেশের অর্থনীতির পর্যালোচনা, মুদ্রানীতি, মাইক্রো অর্থনীতি, কৃষি ও কৃষি প্রক্রিয়াকরণ শিল্প এবং সার্ভিস খাত প্রভৃতির ওপর বিস্তারিত আলোকপাত করেন।

The post করোনায় চাকরি হারিয়েছেন সাড়ে ২২ লাখ ৬০ হাজার মানুষ appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3fGwlJQ

Saturday, August 7, 2021

ওমরাহ পালনের জন্য কাল থেকে আবেদন নেবে সৌদি আরব

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

সৌদি আরবের হজ ও ওমরা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ৯ আগস্ট থেকে ওমরায় তারা ধাপে ধাপে বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের অনুমতির সংখ্যা বাড়াবে। বর্তমান ৬০ হাজার থেকে ধাপে ধাপে এই সংখ্যা ২০ লাখ পর্যন্ত বাড়ানো হবে।

শনিবার মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়।

এদিকে মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ওমরার আবেদনের জন্য বিদেশীদের অবশ্যই সৌদি আরবে অনুমোদিত করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধী টিকা গ্রহণের সার্টিফিকেট প্রদর্শন করতে হবে।

সৌদি আরবে করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে ফাইজার-বায়োএনটেক, অক্সফোর্ড-অ্যাসট্রাজেনেকা, মর্ডানা, জনসন অ্যান্ড জনসন ও সিনোভ্যাকের অনুমোদন রয়েছে।

বিবৃতিতে হজ ও ওমরা উপমন্ত্রী আবদুল ফাত্তাহ বিন সুলাইমান মাশাত বলেন. মন্ত্রণালয় বর্তমানে ওমরা পালনকারীদের পুরো যাত্রায় নিরাপত্তা, সুরক্ষা ও সুস্থতা বজায় রাখতে ওমরার মৌসুম শুরুর আগেই যথাযথ প্রক্রিয়া সম্পন্ন ও নিরাপদ পরিবেশ তৈরিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সমন্বয়ে কাজ করছে।

এই লক্ষ্যে ওমরায় সবসময়ই নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে। অন্যদিকে সৌদি আরবে আসার পর বিদেশী ওমরা পালনকারীদের নির্দিষ্ট সময়ের কোয়ারেন্টিন প্রক্রিয়া মেনে চলতে হবে।

সূত্র : গালফ টুডে

The post ওমরাহ পালনের জন্য কাল থেকে আবেদন নেবে সৌদি আরব appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3lWbSoz