Tuesday, November 15, 2022

কওমি মহিলা মাদরাসা: শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য-বিপর্যয়ে শঙ্কায় শিক্ষকরা

রাকিবুল হাসান নাইম:

কওমি মহিলা মাদরাসায় ছাত্রীদের স্বাস্থ্য সচেতনতা নিয়ে শঙ্কায় আছেন শিক্ষকরা। সঠিক আবাসন ব্যবস্থার অভাব এবং ছাত্রীদের অবহেলার কারণে এই শঙ্কা দিনদিন বাড়ছে। শঙ্কা থাকলেও শঙ্কা নিরসনে তেমন উদ্যোগ নিচ্ছেন না মাদরাসা কর্তৃপক্ষ। মহিলা মাদরাসার শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

তারা বলছেন, এখানে মাদরাসা কর্তৃপক্ষের যেমন অবহেলা রয়েছে, তেমনি ছাত্রীদেরও অবহেলা রয়েছে। দু পক্ষেরই এ বিষয়ে উদ্যোগের অভাব রয়েছে।

সমস্যা কোথায়?

এ প্রসঙ্গে কথা হয় মাদরাসাতুল মদীনা বগুড়ার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মুফতী মনোয়ার হোসেনের সঙ্গে। তিনি এক মহিলা মাদরাসায় স্বাস্থ্য ক্যাম্প পরিচালনাও করেছেন। তিনি ফাতেহকে বলেন, মহিলা মাদরাসায় স্বাস্থ্য সচেতনতা একদমই কম। প্রথমত, মাদরাসার পক্ষ থেকে ছাত্রীদেরকে কখনও স্বাস্থ্য সচেতনতা নিয়ে কথা হয় না। দ্বিতীয়ত, ছাত্রীরা পবিত্রতার আধুনিক পদ্ধতিগুলো জানে না। তৃতীয়ত, মাদরাসা কর্তৃপক্ষেরও কোনো পরিকল্পনা নেই, মেয়েরা তাদের মাসিকের সময় কীভাবে কোথায় থাকবে, পরিচ্ছন্ন হবে। দরকার হলে কোথায় প্যাড পাবে। এসব নিয়ে কোনো পরিকল্পনা নেই। চতুর্থত, মেয়েদের এই বাড়ন্ত বয়সে পুষ্টির দরকার হয় বেশি। কিন্তু তারা খাবারে সেই পুষ্টি পায় না। মাদরাসাও সরবরাহ করে না। ছাত্রীরা নিজেরাও খায় না। ফলে মাদরাসার ছাত্রীদের বিভিন্ন শারীরীক সমস্যা দেখা দেয়।

তিনি আরও বলেন, আমরা দেখেছি, ছাত্রীরা তাদের রোগের কথা পরিবারকেও বলে না, ডাক্তারদেরও বলে না। ফলে সমস্যা বাড়তে থাকে।

কথা হয় মুনীরুল ইসলাম আরাবির সঙ্গে। তিনি ফাতেহকে বলেন, আমি বালক মাদরাসার পাশাপাশি বালিকা মাদরাসায়ও কিছুদিন খেদমতে ছিলাম ৷ এসব ব্যাবস্থাপনা খুব কাছ থেকে দেখা এবং বুঝার সুযোগ হয়েছে৷ চান্দিনায় সবচে উন্নতমানের আবাসন ব্যাবস্থা ছিল আমাদের ৷ প্রথম বছর প্রায় দুইশো ছাত্রী ভর্তি হয় ৷ তার কারণ হলো, আমাদের বালক মাদরাসার লেখাপড়া এবং স্বাস্থ্যসম্মত আবাসন ব্যাবস্থার সুনাম ছিল ৷ অনেক অভিভাবককে দেখেছি, মেয়েদের ভর্তি করার পূর্বে তারা প্রতিষ্ঠানের আবাসন ব্যাবস্থা দেখতে আসেন ৷ তাদের কমন একটা অভিযোগ হলো, এর আগে যে মহিলা মাদরাসায় গিয়েছে কোথাও আবাসন ব্যাবস্থা ভালো পায়নি ৷ ফলে অনেক সচেতন অভিভাবক মহিলা মাদরাসা থেকে ফিরে আসেন ৷

তিনি আরও বলেন, মহিলা মাদরাসার সংখ্যা দিন দিন বাড়লেও লেখাপড়ায় গতি হারাচ্ছে স্বাস্থ্যসম্মত আবাসন ব্যবস্থা না থাকায় ৷ আমাদের কুমিল্লা চান্দিনা উপজেলায় চারটা দাওরা হাদীস মহিলা মাদরাসার পাশাপাশি প্রায় ৬৫টি মহিলা মাদরাসা আছে ৷ ছেলে মাদরাসা আছে ১১৮-এর অধিক ৷ এগুলো আবার থানা ভিত্তিক মাদরাসা সংগঠনের আওতাভুক্ত ৷ তার বাইরে বেহিসেবি আরো মাদরাসা আছে ৷ হাতেগোনা কয়েকটি স্থায়ী ক্যাম্পাস ছাড়া বাকি সবগুলো প্রাইভেট মাদরাসা। অধিকাংশ মাদরাসার আবাসন ব্যাবস্থা খুবই নাজুক ৷ অল্প জায়গায় অধিক ছাত্রী ভর্তি করার ফলে পড়ালেখার পাশাপাশি থাকা-খাওয়া ঘুমেও নানাবিদ সমস্যায় জর্জরিত ৷ আর এসব সমস্যা প্রকটভাবে ফুটে উঠে ঋতু পরিবর্তেনর সাথে সাথে ৷ বিশেষ করে গরমকালে এসব মাদরাসার অবস্থা হয় ভয়াভহ ৷ বিভিন্ন রোগ সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে পুরো মাদরাসায় ৷

এসবের জন্য তিনি অনেকাংশে দায়ী করেন মাদরাসার পরিচালকদের। তার মতে, এসব সমস্যা দূর করতে কওমি মাদরাসার অভিভাবক বেফাক উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারে ৷ থানা কিংবা জেলায় জেলায় পরিচালকদের নিয়ে কাউংসিলিংয়ের ব্যাবস্থা করলে কিছুটা হলেও ফলপ্রসূ হবে বলে আমি মনে করি ৷ তবে পরিচালকদের সদিচ্ছা, দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা, এবং খেদমতে মানসিকতা না থাকলে এসব থেকে উত্তরণ কখনো সম্ভব না ৷

শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতি থানার এক মহিলা মাদরসার প্রাক্তন শিক্ষক আবু ইয়সির ফাতেহকে বলেন, মহিলা মাদরসায় খাদ্য সচেতনতা কম। ঢালাও ভাবে বেসিক কয়েকটি খাদ্য সারা বছর খাওয়ানো হয়। যেমন আলু , লাউ, বেগুন, শুটকি, পাংগাস, পল্টি মুরগি, তেলাপিয়া ইত্যাদি। এসব খাদ্যের মধ্যে যেই পুস্টিগুণ রয়েছে, সেগুলো ছাড়া বাকিগুলোর ঘাটতির কারণে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়। তা ছাড়া বেশির ভাগ মেয়েদের মধ্যে অপরিস্কার থাকার মানসিকতা প্রবল। আমি যখন মহিলা মাদ্রাসার নাজেমে তালিমাত ছিলাম, এমন কোন দিন ছিল না যেদিন গড়ে ১০ জনকে হাসপাতালে নিতে হয়নি। আমার রুমে ছোট একটা ফার্মেসি দিয়ে রাখার পরেও।

সমস্যা নিরসনে পরামর্শ

মিরপুর ১২ নম্বরস্থ জামিয়া মিল্লিয়া মাদানীয়া আরাবিয়া আজমা মহিলা মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত মুহতামিম মুফতি ইমরান কাসেমীর সঙ্গে কথা হয়। তার মাদরাসায় ১২০০ ছাত্রী রয়েছে। এ সমস্যা স্বীকার করে তিনি বলেন, করোনার পর আমার মাদরাসায় একজন ডাক্তার রেখেছিলাম। তিনি সপ্তাহে দুদিন এসে ছাত্রীদের ওষুধ দিতেন, কার কী সমস্যা শুনতেন। এখন আর নেই। করোনার পর থেকে এই সেবাটা বন্ধ। তবে সবসময় তিনি তৎপর আছেন।

তিনি বলেন, মেয়েদের বড় কোনো রোগ না হলে কর্তৃপক্ষের কাছে খবর আসে না। তাই কোনো শিক্ষিকাকে এটার জন্য নিয়োগ করতে হয়। আমি সেটা করেছি। তারা যেন খবর নিয়ে আমাকে জানায়। সব মাদরাসা কর্তৃপক্ষ নির্দিষ্ট একজন ডাক্তার রাখতে পারেন। সাপ্তাহিক কিংবা মাসিক চেকাপের ব্যবস্থা করতে পারেন। তাহলে সমস্যাটা সহজেই ধরা পড়বে। ছাত্রীরাও রোগ নিয়ে বসে থাকবে না।

আবাসন ব্যবস্থার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা ঠিক, অনেক মাদরাসা এখন এত সংকীর্ণ জায়গায় গড়ে উঠে, ছাত্রীদেরকে বড় কোনো স্পেস দেয়া যায় না। তাই চেষ্টা করতে হবে, যতটুকু জায়গা আছে, তা পরিস্কার রাখা। ছাত্রীদেরকে এবং মাদরাসা কর্তৃপক্ষকে এ ব্যাপারে যত্মবান হতে হবে। কারণ মেয়েরা এমনিতেই সংবেদনশীল। পুরুষের মতো অতটা শক্তপোক্ত নয়। তাই তাদেরকে কিভাবে পুষ্টিকর খাবার দেয়া যায়, তার চিন্তাও করতে হবে।

The post কওমি মহিলা মাদরাসা: শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য-বিপর্যয়ে শঙ্কায় শিক্ষকরা appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/M2yenHk

Monday, November 14, 2022

ভীতি-বিতর্কের টানাপোড়েন : কেমন কাটবে এবারের ‘মাহফিল মৌসুম’

রাকিবুল হাসান নাঈম:

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এবারের মাহফিলের মওসুম সাবধানতার সঙ্গে কাটাতে হবে ওয়ায়েজদের। ওয়াজে সরকারবিরোধী কথা যথাসম্ভব পরিহার করতে হবে। নতুবা বাঁধতে পারে বিপত্তি। এমনকি সরকার মাহফিলের উপর খড়গহস্ত হতে পারে বলেও শঙ্কা করছেন ওয়ায়েজগণ। তারা বলছেন, ওয়ায়েজগণকে যার যার জায়গা ও সক্ষমতা বুঝে কথা বলতে হবে। ভাইরাল হবার জন্য অসংযত কথা বললে ঘটতে পারে বিপদ।

ওয়ায়েজদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ মৌসুমে এখনও তারা কোথাও কোনো বাধার সম্মুখীন হননি। তবে আগামী নির্বাচনের বিষয়টি তাদের মাথায় আছে।

ওয়ায়েজদের শঙ্কার জায়গা

ওয়ায়েজদের শঙ্কার প্রধান জায়গা আগামী নির্বাচন। নির্বাচনকে সামনে রেখে কিছু বিধি-নিষেধ এমনিতেই থাকে। তাছাড়া রাজনীতির ময়দানেও শুরু হয়েছে চঞ্চলতা। সবদিক মিলিয়ে এই শঙ্কাটা তৈরী হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে ওয়ায়েজ মুফতি ইমরান হোসাইন কাসেমি ফাতেহকে বলেন, আগামী নির্বাচনের বিষয়টি আমাদের মাথায় রাখতে হবে। শুধু কথা বললেই হবে না। আমি এক মঞ্চে সরকারবিরোধী কথা বলে দিলাম। কথা বলে দিলেই হলো না। তারপর কী পরিস্থিতি তৈরী হতে পারে, তারও ধারণা থাকতে হবে। সুতরাং প্রত্যেক ওয়ায়েজ তার সক্ষমতার জায়গাটুকু জানেন। যে যার সক্ষমতা অনুযায়ী কথা বলবেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘তবে কোনো ইস্যু এলে তার কথা ভিন্ন। তখন সবাই এক প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলে। তখন ইস্যু নিয়ে কথা বললে ক্ষতির আশঙ্কা থাকে না। কিন্তু এখন তো সেই পরিস্থিতি নেই। কথা বলতে হবে একা। আমি একা কথা বলার কারণে যদি মাহফিলই বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে তো কুরআন-হাদীসের কথা মানুষের কাছে যাওয়ার পথই বন্ধ হয়ে যাবে।

এ প্রসঙ্গে মাওলানা ইবরাহিম খলীল বিক্রমপুরী ফাতেহকে বলেন, ‘নির্বাচনকে সামনে রেখে সব অঙ্গনেই প্রভাব পড়েছে হালকাভাবে। তা দিন যত এগুবে, এই প্রভাব বাড়বে। মাহফিলের অঙ্গনেও প্রভাব পড়বে। তা ইতিবাচক হোক কিংবা নেতিবাচক। ওয়ায়েজদের উচিত হবে একটু ভেবেচিন্তে কথা বলা। সবদিক বিবেচনা করে।

শঙ্কামুক্ত জোন কোনটা?

ওয়ায়েজদের মতে, সরকারবিরোধী কথা পরিহার করতে হবে। তাহলে কি দুর্নীতি, দেশজুড়ে তৈরী হওয়া সঙ্কট নিয়ে কথা বলবেন না ওয়ায়েজগণ?

মুফতি ইমরান হুসাইন কাসেমি ফাতেহকে বলেন, ব্যাপারটা এমন না। বরং সব সঙ্কট ও দুর্নীতি নিয়েই কথা বলতে হবে। কথা বলতে হবে আসন্ন দুর্ভিক্ষ নিয়ে। কিন্তু বলতে হবে কৌশলে। মার্জিত ভাষায়। ভাষা যেন আমাদের দাঈর ভাষা হয়, আক্রমণের ভাষা না হয়। একজন দাঈ মানুষকে ভালোর কথা বলেন, মন্দ থেকে দূরে থাকার কথা বলেন। দাঈর ভাষা আক্রমণাত্মক নয়।

আপনি কোন বিষয়ে ওয়াজ করছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি গত দুমাস ধরে মাহফিল করছি। কোথাও বাধার সম্মুখীন হচ্ছি না। আমি সাধারণত কথা বলি ফাজায়েল ও মাসায়েল নিয়ে। তাতে মানুষ উদ্ধুব্ধ হয়ে আমল করে, শুদ্ধ হয়। কিছু জানতে পারে। কিন্তু কুরআন হাদিস থেকে কথা না বলে যদি বিভিন্ন জনের উপর ক্ষোভ ঝারতে থাকি, তাহলে মানুষ আমার থেকে কী খোরাক পাবে? সামান্য সময়ের উত্তেজনা পাবে, দীর্ঘমেয়াদী দ্বীনি প্রভাব তার মধ্যে পড়বে না। তাই এই সময় সব ওয়ায়জদের উচিত, কুরআন-হাদিস থেকে কুরআন হাদীসের মতো মার্জিত ভাষায় কথা বলা। নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা।

আয়োজক ও ওয়ায়েজদের কর্তব্য

এই মাহফিলের মৌসুম বাধাহীন থাকার জন্য আয়োজক ও ওয়ায়েজ দু দলকেই চেষ্টা করতে হবে বলে মনে করেন মাওলানা ইবরাহিম খলীল বিক্রমপুরী। তিনি ফাতেহকে বলেন, ‘দু পক্ষকেই চেষ্টা করতে হবে মাহফিল বাধাহীন রাখার জন্য। যারা মাহফিলের আয়োজন করবেন, তাদের উচিত হবে প্রথমেই মাহফিলের লক্ষ্য উদ্দেশ্য ঠিক করে নেয়া। কেন মাহফিল করছে। আয়োজকদের প্রচেষ্টায় মাহফিলের পঞ্চাশ শতাংশ সমস্যা দূর হয়ে যায়।’

ওয়ায়েজদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ওয়ায়েজদের উচিত হবে সংযত হয়ে কথা বলা। স্বেচ্ছাচারী কথা না বলা। তারা যদি বিষয়ভিত্তিক ওয়াজ করেন, তাহলে আরও পঞ্চাশ শতাংশ সমস্যা দূর হয়ে যাবে। নির্বাচনী ডামাডোলে মাহফিলের উপর কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না। কিন্তু ওয়ায়েজগণ যদি সংযত না হন, তাহলে মাহফিলের প্রতি বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হবে।’

The post ভীতি-বিতর্কের টানাপোড়েন : কেমন কাটবে এবারের ‘মাহফিল মৌসুম’ appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/lQh8v2V

Saturday, November 12, 2022

বিশ্বে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বায়ু দূষণ ঢাকায়

ফাতেহ ডেস্ক:

বায়ু দূষণে বিশ্বে আজ প্রথম অবস্থানে আছে পাকিস্তানের লাহোর। আর ঢাকা রয়েছে দ্বিতীয় অবস্থানে। গত কয়েকদিন দূষণ কিছুটা কম ছিল। তবে আজ তা অন্য কয়েকদিনের তুলনায় অনেক বেশি।

রবিবার (১৩ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিশ্বের বায়ুমান যাচাই বিষয়ক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ‘এয়ার ভিজ্যুয়ালের’ বায়ুমান সূচক (একিউআই) ইনডেক্সে দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে ঢাকা। মান ২৫৩, যা মাত্রার দিক থেকে খুবই অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় আছে। এদিকে প্রথম অবস্থানে আছে পাকিস্তানের লাহোর, যার মাত্রা ৩০৪, তৃতীয় অবস্থানে আছে দিল্লি, মাত্রা ২০২।

সাধারণত ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে একিউআই স্কোর ‘স্বাভাবিক অবস্থা’ বলা হয়, তবে কিছু মানুষের জন্য তা ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, বিশেষ করে যারা বায়ু দূষণের প্রতি অস্বাভাবিকভাবে সংবেদনশীল। বিশেষ করে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ২০০ হলে ‘অস্বাস্থ্যক’ বলে মনে কর হয়।

গত সপ্তাহে বেশিরভাগ দিনই ঢাকার অবস্থান ছিল ৫ থেকে ১০-এর ঘরে। এদিকে দিল্লি ছিল প্রায়ই দিনই প্রথম স্থানে। এমনকি দূষণের কারণে গত সপ্তাহে বন্ধ ঘোষণা করা হয় দিল্লির অনেক স্কুল।

বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকার এই দূষণের মাত্রা আরও বাড়তে পারে। শুষ্ক মৌসুম এলেই বেড়ে যায় এই শহরের দূষণের মাত্রা। সরকারি নানা উদ্যোগের কথা বলা হলেও বাস্তবে দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে এই মাত্রার পরিমাণ। এর আগে দেশব্যাপী বায়ুমান পরীক্ষা করে গাজীপুর জেলায় সবচেয়ে বেশি বায়ু দূষণের প্রমাণ পাওয়ার কথা জানিয়েছিল স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র-ক্যাপস। গাজীপুরের পর ঢাকা দ্বিতীয় এবং নারায়ণগঞ্জ তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে বলে উঠে এসেছে তাদের গবেষণায়। ক্যাপসের পরিচালক ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার এক সংবাদ সম্মেলনে তাদের গবেষণার তথ্য তুলে ধরেছিলেন।

বিশেষজ্ঞরা জানান, সাধারণত ছয় ধরনের পদার্থ এবং গ্যাসের কারণে দূষণের মাত্রা বেড়ে যায়। এরমধ্যে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ধূলিকণা অর্থাৎ পিএম ২.৫-কে ঢাকায় দূষণের জন্য বেশি দায়ী করা হয়।

ক্ষতিকর ছয় ধরনের পদার্থের মধ্যে প্রথমেই আছে পিএম (পার্টিকুলেটেড ম্যাটার) ২.৫ অথবা ২ দশমিক ৫ মাইক্রো গ্রাম সাইজের ক্ষুদ্র কণা। এরপর পিএম-১০ সবচেয়ে বেশি। বাকি চারটির মধ্যে আছে সালফার ডাইঅক্সাইড, নাইট্রোজেন, কার্বন মনোক্সাইড এবং সিসা। এই ছয় পদার্থ ও গ্যাসের ভগ্নাংশ গড় করেই বায়ুর সূচক নির্ধারণ করা হয়। সেই সূচককে বলা হয় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স।

 

The post বিশ্বে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বায়ু দূষণ ঢাকায় appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/e5UEFkP

Thursday, November 10, 2022

কওমি মহিলা মাদরাসা: শিক্ষিকা সংকট কাটছে না

রাকিবুল হাসান নাঈম:

দিনদিন কওমি মহিলা মাদরাসার গুরুত্ব এবং জনপ্রিয়তা বাড়ছে। বাড়ছে এসব মাদরাসা থেকে ফারেগ হওয়া আলেমার সংখ্যাও। কিন্তু সেই অনুপাতে বাড়ছে না নারী শিক্ষিকার সংখ্যা। প্রতিটি মাদরাসা নারী শিক্ষিকার সংকটে ভুগছে। ফলে বাধ্য হয়ে অনিচ্ছ সত্ত্বেও নিয়োগ দিতে হচ্ছে পুরুষ শিক্ষকদের। বিভিন্ন কারণে এই সংকট কাটছে না। সংশ্লিষ্ট:গণ বলছেন, এই সংকট হেফজখানাগুলোতে যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে কিতাব বিভাগেও। মহিলা মাদরাসায় পুরুষ শিক্ষকদের গণহারে শিক্ষকতার কারণে মাদরাসা কর্তৃপক্ষকে পড়তে হচ্ছে বিভিন্ন জটিলতার মুখেও।

প্রতিবছর গড়ে দশ হাজার আলেমা বের হন কওমি মাদরাসা থেকে। চলতি বছর হাইয়াতুল উলয়ার অধীনে পরীক্ষার্থী ছাত্রীর সংখ্যা ছিল ৯,৮৯৫ জন। প্রশ্ন উঠছে, এত আলেমা ফারেগ হবার পরও কেন শিক্ষিক সংকটে পড়তে হয় মাদরাসাগুলোকে?

সংকীর্ণ মানসিকতার প্রভাব

এ প্রসঙ্গে কথা বলেন দারুন নাজাত মহিলা মাদরাসার আলেমা শিক্ষিকা মুনিরা রহমান তাশফি। তার মতে, সংকীর্ণ মানসিকতার প্রভাবে এই সংকট থেকে যাচ্ছে। এই সংকীর্ণতা বিভিন্ন জায়গা থেকে তৈরী হচ্ছে। তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত যতগুলো কওমী মহিলা মাদরাসা গড়ে উঠেছে, সেগুলো থেকে এতদিনে বেশ ভালো মানের আলেমারা ফারেগ হয়ে বের হয়েছেন! কিন্তু এত এত যোগ্য আলেমা ফারেগ হওয়ার পরও মহিলা মাদরাসাগুলোতে যোগ্য শিক্ষিকা পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে মেয়েদেরকে পুরুষদের কাছে পড়তে হচ্ছে এবং যেখানে ফেতনা ঘটার সেখানে তা ঘটেই চলছে! আমি মনে করি, যোগ্য শিক্ষিকা না পাওয়ার অন্যতম কারন হলো: ১. নারীরা শুধুই স্বামী এবং ঘর সামলাবে, এই ধারণার কারণে যোগ্য আলেমার জায়গাটা ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে! ২.অধিকাংশ যোগ্য আলেমাদের বিয়ে হচ্ছে যোগ্য আলেমদের সাথেই, তাদের নিরানব্বই শতাংশই তার স্ত্রীকে ঘর ছাড়া অন্য কোনো কাজে দেখতে নারাজ! ৩.মেয়েদেরকে কোনোরকম পড়লেই হয়, অল্প পড়লেও চলে, এই মানসিকতা থেকে যোগ্য আলেমাদেরকে তালাশ করা হয়না!

তিনি আরও বলেন, জানি শতভাগ শিক্ষিকা রাখা সম্ভব না। কিন্তু যেসব আলেমারা বের হচ্ছেন প্রতি বছর, তাদেরকে মহিলা মাদরাসাগুলোর জন্য নির্বাচিত করা উচিত, তাদেরকে উৎসাহিত করা উচিত, তাদের পরিবারগুলোকে সহায়ক হওয়া উচিত উম্মাহর বৃহৎ স্বার্থে! এই ফেতনার যুগে আরও একটু ফেতনা কমানোর জন্য হলেও অন্তত মহিলা মাদরাসাগুলোতে পুরুষ শিক্ষকের সংখ্যাটা যথাসম্ভব সর্বনিম্নে নামিয়ে আনা উচিত!

বিয়ের পর শিক্ষকতায় বাধা

সাউদা বিনতে জামআহ রা. আন্তর্জাতিক বালিকা মাদরাসার পরিচালক মাওলানা ইসমাঈল হাসানের সঙ্গে কথা হয়। তিনি হেফজখানায় শিক্ষিকা সংকটের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, হেফজখানার জন্য ভালো নারী শিক্ষিকা পাওয়া যায় না। এর বড় একটা কারণ, যারা হাফেজা হয়, তারা অনেকে কওমি মাদরাসায় পড়ে। কওমি মাদরাসায় পড়তে পড়তে তাদের বিয়ে হয়ে যায়। বিয়ের পর হেফজখানায় শিক্ষকতার সময় পায় না। কারও পরিবার থেকে অনুমতি থাকে না। কারও কারও আবার হেফজ শেষ করার পরপরই বিয়ে হয়ে যায়। ফলে দেখা যায়, ছাত্রকালে যে মেয়েটি প্রচণ্ড মেধাবী ছিল, এমনকি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায়ও মেধার স্বাক্ষর রেখেছিল, সেও শিক্ষকতায় আসতে পারে না। কখনও নিজেই আসে না, কখনও পরিবার দেয় না।

একই সংকটের কথা তুলে ধরেছেন হোমনা থানার একটি মহিলা মাদরাসর পরিচালক মাওলানা আশরাফ আলী সাহেব। তিনি তার মাদরাসার উদাহরণ দিয়ে বলেন, ‘গ্রামের মাদরাসাগুলো এমনিতেই অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল। ফলে শিক্ষিকাদের ভালো বেতন দেয়া যায় না। তাকমিল পাশ করার আগেই অধিকাংশ ছাত্রীর বিয়ে হয়ে যায়। বিয়ের পর পরিবারই তাকে শিক্ষকতায় আসতে দেয় না। ফলে পরিচালকদের হিমশিম খেতে হয়। অভিভাকরা এসে মহিলা শিক্ষিকা খোঁজেন। ফলে মাদরাসা চালাতে হয় নিজের পরিবারের নারীদের দিয়ে। কিন্তু এই সংকট না বুঝে অনেকে বলে ফেলেন, মাদরাসাটি তো পরিবারতান্ত্রিক মাদরাসা!

তিনি আরও বলেন, আমাদের গ্রামের অনেক আলেম ছেলেই আলেমা বিয়ে করেছে। মাদরাসার শিক্ষিকা হিসেবে তাদেরকে চাইলে তাদের পরিবার দিতে চায় না। কী এক অজানা কারণে তাদেরকে বারণ করে। শ্বশুরবাড়ি যদি আলেমাদেরকে একটু সুযোগ দিতো, তাহলে এই সংকট অনেকটা কমে যেতো।

বেতন কম

মহিলা মাদরাসার শিক্ষিকাদের বেতন পুরুষদের তুলনায় অনেক কম। বিশেষ করে গ্রামের মাদরাসাগুলোতে। সেখানে শিক্ষিকাদের বেতন গড়প্রতি ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা। এই বেতন স্বল্পতার কারণে পরিবার ফেলে কেউ বাইরে সময় দিতে চায় না।

কথা হয় মাওলানা আতাউর রহমানের সঙ্গে। তিনি মুরাদনগর থানার এক মহিলা মাদরাসার শিক্ষক। তার স্ত্রী আলেমা। তিনি ফাতেহকে বলেন, ‘গ্রামের মাদরসাগুলোতে বেতন একদম কম। ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা। এত অল্প টাকার জন্য পুরো মাস দৌড়ঝাঁপ করা আমার পছন্দ না। পারিবারিক দিকটাও তো দেখতে হয়। যদি বেতন থেকে ভালো একটা সাপোর্ট পেতাম, তাহলে পরিবারের কাজ অন্য কাউকে দিয়ে করানো যেতো। সেই সাপোর্ট না পেলে পরিবার চালানো মুশকিল।

সমাধান কী

এ প্রসঙ্গে কথা হয় বেফাকের মজলিসে আমেলার সদস্য এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহিলা মাদরাসা বোর্ডের প্রতিষ্ঠাতা সেক্রেটারি মাওলানা মাহফুজুল হাসান ইব্রাহিমের সঙ্গে। ফাতেহকে তিনি বলেন, যদি বেতনের দিকটা সমন্বয় করা হয়, তাহলে এই সংকটা অনেকটা কেটে যাবে। বেতন কম, তাই স্বামীও তার স্ত্রীকে অনুমতি দেয় না। বেতন ভালো হলে স্বামী নিজেই বলতো, পরিবারে একটু সেক্রিফাইস করে হলেও শিক্ষকতাটা চালিয়ে যাও। আমি এমন অনেক দেখেছি, কেবল বেতন সমস্যার কারণে শিক্ষকতায় আগ্রহী হচ্ছে না। বিয়ের পর নিতান্তই সংসারী হয়ে থাকছে।

বেতন সমস্যাকে বড় সমস্যা মনে করছেন না মিরপুর ১২ নম্বরস্থ জামিয়া মিল্লিয়া মাদানীয়া আরাবিয়া আজমা মহিলা মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত মুহতামিম মুফতি ইমরান কাসেমী। তিনি ফাতেহকে বলেন, ‘মূলত সমস্যা হলো, মেয়েরা মাদরাসায় পড়ে ফরজ পরিমাণ দ্বীন শেখার জন্য। খুব কমই মাদরাসায় শিক্ষকতা করবে, এমন মানসিকতা লালন করে। প্রায় ৮০ শতাংশ ছাত্রী এই মানসিকতা লালন করে না। পিতামাতারাও মেয়েকে শিক্ষকতায় দিতে চান না। বিয়ের আগে পর্যন্ত শিক্ষকতার অনুমতি দিলেও বিয়ের পর আর দেন না। ফলে সংকট তৈরী হচ্ছে।

তিনি জানান, তার মাদরাসায় ১২০০ ছাত্রী রয়েছে। শিক্ষিকাদের এন্ট্রি লেভেলের বেতন হয় ১০ হাজার টাকা। ক্রমান্বয়ে সেটা বাড়তে থাকে।

সংকটের সমাধান হিসেবে তিনি বলেন, দেশে মাদরাসার ছেলেদের স্কিল বাড়াতে বিভিন্ন ওয়ার্কশপ করানো হয়। কিন্তু মেয়েদের ওয়ার্কশপ একদম কম, নাই বললেই চলে। আমি সামনে বছর থেকে তিন মাস পর পর একটি ওয়ার্কশপের আয়োজন করব। যেন তাদের মানসিকতা বদলায়, যোগ্যতা বাড়ে। আগে তাদের মানসিকতা উন্নত করতে হবে। জ্ঞানমুখী করতে হবে। তাহলে এই সংকট আপনাতে কেটে যাবে।

বেতন সমস্যার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বেতন সমস্যা নেই তা বলব না। গ্রামে অনেক মাদরাসায় আছে। শহরেও থাকতে পারে। শিক্ষিকা সংকটের পেছনে এটা মূল কারণ না হলেও এটাও একটা কারণ। সুতরাং বেতন সমন্বয় করতে হবে। নয়ত যোগ্যদের পাওয়া যাবে না।

The post কওমি মহিলা মাদরাসা: শিক্ষিকা সংকট কাটছে না appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/adTB7Xp

Wednesday, November 9, 2022

নাটোরে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

ফাতেহ ডেস্ক:

নাটোরের বাগাতিপাড়ায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএইউইটি) এক শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার রাতে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

লাশ উদ্ধার করা ওই শিক্ষার্থীর নাম মেজবাউল জারিফ। তিনি আইনের (এলএলবি) ছাত্র ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার মেজবাউল জাফরের ছেলে।

বাগাতিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম বলেন, জারিফ বিশ্ববিদ্যালয়-সংলগ্ন বাগাতিপাড়ায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। রাত ৮টা ৪৫ মিনিটের দিকে জারিফের ঘরের ছাদ থেকে ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে প্রতিবেশীরা পুলিশে খবর দিলে তারা লাশ উদ্ধার করে।

প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে, জারিফ আত্মহত্যা করেছেন।

সূত্র : ইউএনবি

The post নাটোরে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/lbu29zW

বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন হত্যা: বান্ধবীকে আসামি করে মামলা

ফাতেহ ডেস্ক:

নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর ওরফে পরশ হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। ফারদিনের বাবা বাদী হয়ে গতকাল বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটায় রাজধানীর রামপুরা থানায় মামলা করেন। মামলায় ফারদিন নূরের বান্ধবীর নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, ফারদিন নূরের বান্ধবীসহ অজ্ঞাতনামা আসামিরা তাঁর ছেলেকে হত্যা করে লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে নদীতে ফেলে দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মামলাটি তদন্ত করে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে কাজ করছি।’

পুলিশ জানায়, ফারদিন নূরের ওই বান্ধবী একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে পড়াশোনা করছেন। চার বছর ধরে ওই বান্ধবীর সঙ্গে ফারদিন নূরের যোগাযোগ।

ফারদিন নূর বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি বুয়েটের ড. এম এ রশীদ হলে সংযুক্ত থাকলেও হলে থাকতেন না৷ পরিবারের সঙ্গে ঢাকার কোনাপাড়া এলাকায় থাকতেন।

নারায়ণগঞ্জ পুলিশ গত সোমবার ফারদিন নূরের লাশ উদ্ধার করে। ফারদিন নূরের বাবা কাজী নূর উদ্দিন একজন সাংবাদিক। তিনি দ্য রিভারাইন নামে ব্যবসাবিষয়ক একটি নিউজ পোর্টালের সম্পাদক। মা সাহারা খাতুন গৃহিণী। তাঁদের গ্রামের বাড়ি নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা উপজেলায়।

The post বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন হত্যা: বান্ধবীকে আসামি করে মামলা appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/ChXBO5Q

Monday, November 7, 2022

ডেঙ্গুতে আরও ৭ জনের মৃত্যু

ফাতেহ ডেস্ক:

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল রোববার সকাল আটটা থেকে আজ সোমবার সকাল আটটা পর্যন্ত ঢাকায় ৪৯৭ এবং সারা দেশে ৩৭৮ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি–বেসরকারি হাসপাতালে ৩ হাজার ২৭০ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছেন। এর মধ্যে ঢাকার ৫৩টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ১ হাজার ৯৮০ এবং দেশের বিভিন্ন সরকারি জেলা ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে ১ হাজার ২৯০ জন।

চলতি নভেম্বরের প্রথম সাত দিনে দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৯৫৮ এবং এই সময়ে মারা গেছেন ৩৬ জন। গত অক্টোবর মাসে দেশে ২১ হাজার ৯৩২ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। মারা যান ৮৬ জন। সব মিলিয়ে গত জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত (৭ নভেম্বর) দেশে ৪৩ হাজার ৯৮২ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন ৪০ হাজার ৫৩৫ রোগী। ঢাকার বাইরে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলায়।

দুই দশকের বেশি সময় ধরে ডেঙ্গু বাংলাদেশে বড় ধরনের জনস্বাস্থ্য সমস্যা। ২০০০ সালের পর থেকে প্রতিবছর বহু মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছেন এবং মারা যাচ্ছেন। করোনা মহামারি শুরুর বছর ২০২০ সালে ডেঙ্গুর প্রকোপ কিছুটা কম ছিল। কিন্তু গত বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ২৮ হাজার ৪২৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হন। এর মধ্যে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়। করোনা মহামারি শুরুর আগে ২০১৯ সালে ১ লাখের বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছিলেন।

The post ডেঙ্গুতে আরও ৭ জনের মৃত্যু appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/ErN4xq9

Wednesday, November 2, 2022

একদিনে রেকর্ড ১০৯৪ ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে, চারজনের মৃত্যু

ফাতেহ ডেস্ক:

দেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলছে। বাড়ছে মৃত্যুও। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত এক হাজার ৯৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। চলতি বছরে এটাই একদিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তির রেকর্ড। এর আগে গত ২৩ অক্টোবর দেশে একদিনে এক হাজার ৩৪ ডেঙ্গুরোগী শনাক্ত হন। এ নিয়ে সারাদেশে হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গুরোগী সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৩ হাজার ৭৫০ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত চারজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

বুধবার (২ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ডেঙ্গু বিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এক হাজার ৯৪ জনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৬০০ জন এবং ঢাকার বাইরে ৪৯৪ জন। এ নিয়ে বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ভর্তি থাকা ডেঙ্গুরোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৭৫০ জনে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মোট ৪০ হাজার ১০১ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৩৬ হাজার ১৯৯ জন।

এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে চারজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ নিয়ে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যু হয়েছে ১৫২ জনের।

২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গুর সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। একই বছর দেশব্যাপী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা যান ১০৫ জন।

The post একদিনে রেকর্ড ১০৯৪ ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে, চারজনের মৃত্যু appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/eEWC5pU