Wednesday, January 24, 2024

২০২৩ সালে পবিত্র মসজিদে নববীতে ২৮ কোটির বেশি মুসল্লি

হজ ও ওমরাহ পালনের আগে বা পরে মুসল্লিরা পবিত্র মসজিদে নববীতে যান। ইসলামের দ্বিতীয় এই সম্মানিত স্থানে এসে তাঁরা নামাজ আদায়ের পাশাপাশি প্রিয় নবী (সা.)-এর পবিত্র রওজা শরিফ জিয়ারত করেন এবং ঐতিহাসিক স্থানগুলো পরিদর্শন করেন। গত এক বছরে ২৮ কোটির বেশি মুসল্লি পবিত্র এই মসজিদ পরিদর্শন করেন। গত ২২ জানুয়ারি সৌদি আরবের সংবাদ সংস্থা এই তথ্য জানায়।

মক্কা ও মদিনার পবিত্র দুই মসজিদের তত্ত্বাবধানকারী জেনারেল অথরিটি এক বিবৃতিতে জানায়, ২০২৩ সালে ২৮ কোটির বেশি মুসল্লি পবিত্র মসজিদে নববী পরিদর্শন করেন। পবিত্র মসজিদে নববীতে আগত মুসল্লি ও দর্শনার্থীদের স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে নামাজ ও অন্যান্য ইবাদত নিশ্চিত করতে এর তত্ত্বাবধানকারী প্রতিষ্ঠানসহ সংশ্লিষ্ট সব বিভাগ প্রয়োজনীয় সব সেবা দিয়ে যাচ্ছে।

এদিকে গত এক সপ্তাহে পবিত্র মসজিদে নববীতে ৫৮ লাখের বেশি মুসল্লি ও দর্শনার্থী উপস্থিত হয়েছেন। এর মধ্যে এক লাখ ৩০ হাজার ৪০১ জন পুরুষ এবং এক লাখ ১৫ হাজার ৫৫১ জন নারী রয়েছেন।

গত ২৮ জমাদিউস সানি থেকে ৪ রজব পর্যন্ত তাঁরা পবিত্র এই মসজিদে আসেন এবং পবিত্র রওজা শরিফ জিয়ারত করেন। এ সময় মসজিদের নির্ধারিত স্থানে এক লাখ ২৩ হাজার ২০০ জমজমের পানি প্যাক এবং ৯৯ হাজার ৮৩২টি হালকা খাবার বিতরণ করা হয়।

২০২৩ সালে বিভিন্ন দেশ থেকে ১৩ কোটি ৫৫ লাখের বেশি মুসলিম ওমরাহ পালন করেন, যা ছিল সৌদি আরবের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংখ্যা। এর আগে গত বছরের জুলাইয়ে করোনা-পরবর্তী সময়ের সবচেয়ে বেশিসংখ্যক মুসলিম হজ পালন করেন।

এতে ১৮ লাখ ৪৫ হাজার ৪৫ জন অংশ নেন, যার মধ্যে ১৬ লাখ ৬০ হাজার ৯১৫ জন বিদেশি হজযাত্রী ছিলেন।

সূত্র : সৌদি গেজেট

The post ২০২৩ সালে পবিত্র মসজিদে নববীতে ২৮ কোটির বেশি মুসল্লি appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/TxgnuXL

Tuesday, January 23, 2024

খরচ বাড়ায় মুসল্লিদের হজে আগ্রহ কমছে, বাড়ছে ওমরায়

এবার হজের অর্ধেক কোটাও পূরণ হয়নি। দুই দফা সময় বাড়ানোর পরও কোটা পূরণ হবার আগেই বৃহস্পতিবার হজ নিবন্ধন শেষ করা হয়েছে। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে চলতি বছরের ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মতিউল ইসলাম শুক্রবার বিকালে ডয়চে ভেলেকে বলেন, “শেষ পর্যন্ত এবার হজে যাওয়ার জন্য ৫৩ হাজারের কিছু বেশি মানুষ নিবন্ধন করেছেন। আমরা আর সময় বাড়াবো না।”

তিন জানান, ” গতবারের চেয়ে হজ খরচ এবার এক লাখ টাকার মতো কমানো হলেও আগের মতো সাড়া পাওয়া যায়নি।”

গত ১৫ নভেম্বর নিবন্ধন শুরুর পর থেকে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৫৩ হাজার ১১৫ জন নিবন্ধন করেছেন। বাংলাদেশ থেকে এবার এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের হজ করার অনুমতি দিয়েছিল সৌদি আরবের ধর্মমন্ত্রণালয়। হজ চুক্তি অনুযায়ী এখনো কোটা ফাঁকা রয়েছে ৭৪ হাজার ৮৩টি। ফলে মোট কোটার ৫৮ শতাংশ খালি রেখেই হজ নিবন্ধন শেষ করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

১৫ নভেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছিল প্রথম দফা হজ নিবন্ধনের সময়। পরে সময় ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। হজযাত্রীদের সাড়া না পাওয়ায় সর্বশেষ নিবন্ধনের সময় বাড়িয়ে ১৮ জানুয়ারি করা হয়।

মোট ৫৩ হাজার ১১৫ জন হজযাত্রীর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় তিন হাজার ৮০২ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪৯ হাজার ৩১৩ জন নিবন্ধন করেছেন। কোটার ৪২ শতাংশ হজযাত্রী নিবন্ধন করেছেন।

খরচ বাঁচাতে অনেকেই এখন ওমরাহর দিকে ঝুঁকছেন: এস শাহাদাত হোসাইন

এবার সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যাওয়ার দুটি প্যাকেজ নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে সর্বনিম্ন প্যাকেজের মূল্য পাঁচ লাখ ৭৮ হাজার ৮৪০ টাকা। আর বিশেষ প্যাকেজের মূল্য ৯ লাখ ৩৬ হাজার ৩২০ টাকা। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় দুটি প্যাকেজের মূল্য যথাক্রমে পাঁচ লাখ ৮৯ হাজার ৮০০ টাকা এবং আট লাখ ২৮ হাজার ৮১৮ টাকা। গত বছরের চেয়ে এ বছর সর্বনিম্ন প্যাকেজের মূল্য এক লাখ ৪ হাজার ১৬০ টাকা কমানো হয়েছে।

গতবারও একই পরিস্থিতি হয়েছিল। কোটার বিপরীতে প্রায় সাড়ে তিন হাজার নিবন্ধন কম ছিল। কিন্তু এবার গতবারের চেয়ে সাড়া আরো অনেক কম।

হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েন অব বাংলাদেশ (হাব)-এর সভাপতি এস শাহাদাত হোসাইন বলেন, “এ বছর হজ খরচ গত বারের তুলনায় এক লাখ টাকার মতো কমলেও করোনার আগের তুলনায় অনেক বেশি। আর তার বিপরীতে ওমরাহ খরচ অনেক কম। সর্বোচ্চ দেড় লাখ টাকার মধ্যে একজন ওমরাহ করতে পারেন। ফলে খরচ বাঁচাতে অনেকেই এখন ওমরাহর দিকে ঝুঁকছেন।”

“এছাড়া সৌদি আরব হজ নীতিতে অনেক পরিবর্তন আনায় খরচ বেড়ে যাচ্ছে। তাদের মনোভাব দেখে মনে হচ্ছে ভবিষ্যতে তারা তাদের ব্যবস্থাপনায়ই মুসলিম দেশ থেকে হজ যাত্রী নেবে। পুরো ব্যবসাটা তারা করতে চায়। অমুসলিম দেশ থেকে তারা এখন অনলাইনে সরাসরি হজ যাত্রী নিচ্ছে। ওমরাহ অনলাইনে করে ফেলেছে। হজও হয়তো পুরোটা অনলাইনে হয়ে যাবে। তখন কোটা থাকলেও হজ এজেন্সির প্রয়োজন থাকবে বলে মনে হয় না,” জানান হাব সভাপতি।

বাংলাদেশে হজ এজন্সি আছে এক হাজার ২৫০টি। এর বাইরে ট্র্যাভেল এজেন্টরাও হজযাত্রীদের নিয়ে কাজ করেন। তাদের হজযাত্রী কমে গেলেও ব্যবস্থাপনাসহ অন্যান্য খরচ একই আছে। টিকিট বিক্রিও নির্ধারিত তিনটি এয়ার লাইন্সের অনেক কমে যাবে। ফলে হজ ও ট্র্যাভেল এজেন্সিগুলো আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছে। কোনো কোনো এজেন্সি হজকেন্দ্রিক ব্যবসা এরই মধ্যে গুটিয়ে নিয়েছে।

এক লাখ টাকা গত বছরের তুলনায় কমিয়েছি, আর কমানো সম্ভব নয়: মতিউল ইসলাম

অ্যাসোসিয়েন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ (আটাব)-এর মহাসচিব আব্দুস সালাম আরেফ জানান,‘ ‘ ২০১৮-১৯ সালের সঙ্গে তুলনা করলে হজের খরচ ৮০ ভাগ বেড়েছে। এটা সব দেশেই। এর সঙ্গে ডলারের দাম বাড়ায় আরো খরচ বেড়েছে। একজনের হজের খরচ দিয়ে ছয়জন ওমরাহ করতে পারেন। ফলে ওমরাহর প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। এখন বছরে পাঁচ লাখ মুসলমান ওমরাহ করতে যান।”

তিনি বলেন, “আগ্রহ কমে যাওয়ার কারণে আমরা ট্র্যাভেল এজেন্টরাও ক্ষতির মুখে পড়ছি। টিকিট বিক্রি অর্ধেকের নীচে নেমে গেছে।”

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মতিউল ইসলাম ডয়চে ভেলেকে বলেন, “সৌদি আরবে এখন বাসাভাড়া বেড়ে গেছে, ১৭ শতাংশ ভ্যাট যুক্ত হয়েছে। সেখানে অনেক বাড়ি ভেঙে ফেলায় বাড়ি ভাড়া অনেক বেড়ে গেছে। সব খরচই বেড়েছে। তারপরও আমরা এক লাখ টাকা গত বছরের তুলনায় কমিয়েছি। আর কমানো সম্ভব নয়।”

তার কথা, “এটা ব্যক্তিগত ইবাদত। তারাপরও আমরা নানাভাবে উদ্বুদ্ধ করেছি। কিন্তু না গেলে তো কিছু করার নেই। তবে ওমরাহর খরচ কম হওয়ার অনকেই ওমরাহ করতে যাচ্ছেন। ওমরাহ যাত্রী দিন দিন বাড়ছে।”

সূত্র: ডিডব্লিউ বাংলা

The post খরচ বাড়ায় মুসল্লিদের হজে আগ্রহ কমছে, বাড়ছে ওমরায় appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/ce9m8iG

Friday, January 19, 2024

করোনার নতুন ধরন বাংলাদেশেও শনাক্ত

পাশের দেশ ভারতে আতঙ্ক ছড়ানো করোনাভাইরাসের নতুন ধরন জেএন-১ বাংলাদেশেও শনাক্ত হয়েছে। পাঁচজনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন ধরনটি পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরীন এ তথ্য জানিয়েছেন।

জেএন-১ উপধরন শনাক্ত হওয়া পাঁচজনের মধ্যে ঢাকা এবং ঢাকার বাইরের রয়েছেন। প্রত্যেকেই ভালো আছেন। এ নিয়ে উদ্বেগের কিছুই নেই। এদের মধ্যে কারও দেশের বাইরে থেকে আসার কোনো তথ্য নেই। তারা দেশেই ছিলেন।

মাস্ক পরা ও ভ্যাকসিন নেয়ার পরামর্শ

এদিকে করোনা সংক্রমণ বাড়ায় সতর্কতামূলক মাস্ক পরার পাশাপাশি টিকার পরবর্তী ডোজ নেয়ার পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদফতর।

১৩ জানুয়ারি অধিফতরের সমন্বিত নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্বের বেশ কিছু দেশে কোভিড ১৯-এর নতুন ভ্যারিয়েন্ট জেএন.১-এর সংক্রমণ বেড়েছে। এ অবস্থায় উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে যেমন: হাসপাতাল, চিকিৎসা কেন্দ্র এবং উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তি, যাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম, তাদের সতর্কতা হিসেবে মাস্ক ব্যবহার করার পরামর্শ দেয়া হলো।

উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের চতুর্থ ডোজ ভ্যাকসিন নেয়ার পরামর্শ দেয়া হলো। সার্জারি অথবা অন্য কোনো রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে কেবল কোভিড-১৯ লক্ষণ বা উপসর্গ থাকলে কেভিড-১৯ পরীক্ষা করার পরামর্শ দেয় অধিদফতর।

The post করোনার নতুন ধরন বাংলাদেশেও শনাক্ত appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/DJGIA8e