Sunday, September 25, 2022

জন্মনিয়ন্ত্রণ সেবা নেওয়া কমেছে ২৪ শতাংশ

ফাতেহ ডেস্ক:

সারা দেশে সরকারি জন্মনিয়ন্ত্রণ সেবা নেওয়ার হার কমছে। পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, গত পাঁচ বছরে সাত ধরনের সেবা নেওয়ার হার কমেছে প্রায় ২৪ শতাংশ। আর ছয় বছরের হিসাব করলে এসব সেবা নেওয়ার হার কমে দাঁড়ায় প্রায় ৩৭ শতাংশ। সেবাগুলো হলো খাওয়ার বড়ি, কনডম, দীর্ঘমেয়াদি পদ্ধতির ইনজেকশন, ইন্ট্রা–ইউটেরিন ডিভাইস (আইডি) বা কপার টি, ইমপ্ল্যান্ট, স্থায়ী পদ্ধতি ও জরুরি বড়ি।

করোনা সংক্রমণের সময় জন্মনিয়ন্ত্রণ সেবা নেওয়ার হার আরও কমে যায়। আর এ পর্যন্ত তা করোনাকালের আগের অবস্থায় ফিরে যায়নি। তবে গত ছয় বছরে জরুরি বড়ি নেওয়ার হার ব্যাপকহারে বেড়েছে। অপরিকল্পিত যৌনমিলনের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এই বড়ি খেতে হয়। সরকারিভাবে ২০১৬–২০১৭ অর্থবছরে শুধু ঢাকায় জরুরি বড়ি দেওয়া শুরু হয়। সে সময় ১৫২টি বড়ি সরবরাহ করা হয়েছিল। ২০২১–২২ অর্থবছরে সারা দেশে জরুরি বড়ি সরবরাহ করা হয় পৌনে চার লাখের বেশি।

পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর অর্থবছর ধরে জন্মনিয়ন্ত্রণ সেবা দেওয়ার হিসাব করে। অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে, ২০১৭–১৮ অর্থবছরের তুলনায় ২০২১–২২ অর্থবছরে অর্থাৎ গত পাঁচ বছরে খাওয়ার বড়ি নেওয়ার হার ৩৭ শতাংশ কমেছে। এ সময়ে স্থায়ী পদ্ধতি নেওয়ার হার কমেছে ৩৩ শতাংশ। এ ছাড়া কপার টি প্রায় ২৯ শতাংশ, ইমপ্ল্যান্ট প্রায় ১৯ শতাংশ, ইনজেকশন ১৭ শতাংশ ও কনডম নেওয়ার হার কমেছে ১৪ শতাংশ। অবশ্য ইমপ্ল্যান্ট সেবা নেওয়ার হার ধারাবাহিকভাবে কমেনি; এর হারে ওঠা–নামা আছে।

২০১৬-১৭ অর্থবছরের সঙ্গে তুলনা করলে সেবা নেওয়ার হারের পার্থক্য আরও বাড়ে। ওই অর্থবছরের তুলনায় ২০২১–২২ অর্থবছরে খাওয়ার বড়ি ৪৩ শতাংশ, কনডম ৩৪ শতাংশ, ইনজেকশন ২৭ শতাংশ, কপার টি ৩৭ শতাংশ ও স্থায়ী পদ্ধতি প্রায় ৩৬ শতাংশ কমেছে। শুধু ইমপ্ল্যান্টের পার্থক্য কম, ৯ শতাংশ।

The post জন্মনিয়ন্ত্রণ সেবা নেওয়া কমেছে ২৪ শতাংশ appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/HSGlg3h

Wednesday, September 21, 2022

বয়সে ৩৯ মাস ছাড় পেলেন সরকারি চাকরি প্রার্থীরা

ফাতেহ ডেস্ক:

করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে নিয়োগ প্রক্রিয়া আটকে থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রার্থীদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে বয়সে ছাড় দিয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এই নির্দেশনার চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে বিসিএস পরীক্ষা এর আওতায় আসবে না বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

মন্ত্রণালয় ও বিভাগ এবং সংস্থাগুলোকে আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত প্রকাশিতব্য বিজ্ঞপ্তিতে প্রার্থীদের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ২০২০ সালের ২৫ মার্চ নির্ধারণ করার জন্য বলেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। অর্থাৎ ২০২০ সালের ২৫ মার্চের পর থেকে যাদের চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়স ৩০ বছর পার হয়েছে বা হচ্ছে, তারা ২০২৩ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত জারি করা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের যোগ্য হবেন।

এক্ষেত্রে চাকরি প্রার্থীরা করোনা মহামারীর কারণে বয়সের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩৯ মাসের ছাড় পেলেন।

 

The post বয়সে ৩৯ মাস ছাড় পেলেন সরকারি চাকরি প্রার্থীরা appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/J8yHidU

Friday, September 16, 2022

ওমরা চলে যাচ্ছে মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে : তিন বছরে খরচ হয়েছে দ্বিগুণ

মুনশী নাঈম:

দিনদিন মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে ওমরাযাত্রার স্বপ্ন। ভিসার মূল্য, আবাসিক খরচ এবং বিমান টিকেটের দামবৃদ্ধির কারণে দুঃসাধ্য হয়ে যাচ্ছে মধ্যবিত্তের ওমরাযাত্রা। সংশ্লিষ্টগণ বলছেন, গেলো তিন বছরে ওমরার খরচ বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণ। ফলে অনেকে ওমরায় যেতে চাইলেও এখন আর সাহস করতে পারছে না। দাম শুনেই আগ্রহীদের মুখে নামছে দীর্ঘশ্বাসের ছায়া।

কোভিড ১৯ এর কারণে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা দীর্ঘ দুই বছর ওমরা পালনের জন্য সৌদি আরবে যেতে পারেননি। ২০২২ সালে করোনা সংক্রমণ কমে যাওয়ার ফলে ওমরা ও হজ্বের অনুমতি দেয় সৌদি সরকার। ফলে ওমরা যাত্রী আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে কয়েকগুণ বেড়ে গেছে।

তিন বছরে খরচ বেড়েছে দ্বিগুণ

তিন বছরে ওমরার খরচ বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে বলে জানিয়েছেন সরকার নিবন্ধিত হজ এজেন্সি ইউনিভার্সাল ট্রাভেল বিডির পরিচালক তানভির আহমদ। ভিসা এবং টিকেট বৃদ্ধির কারণে এই খরচ বেড়েছে বলেও জানান তিনি। তিনি ফাতেহকে বলেন, ‘কোভিডের আগে ৮০ থেকে ৯০ হাজারের মধ্যে ভালো প্যাকেজ পাওয়া যেতো। কিন্তু এখন সবচে নিম্নমানের প্যাকেজটাই ১ লাখ ২০ হাজার থেকে শুরু। টিকেটের দাম বাড়ার কারণে এখন এটাও পারব না।’

সর্বশেষ ওমরাদলের বিবরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘গত ৬ সেপ্টেম্বর আমাদের সর্বশেষ ওমরাদল সৌদি গিয়েছে। এদের মধ্যে যারা আগে বুকিং দিয়েছিল, তারা ১ লাখ ২০ হাজারে পেয়েছে। পরে যারা এসেছে, তারা পেয়েছে ১ লাখ ২৫ হাজারে। এরও পর যারা এসেছে, টিকেট সঙ্কটের কারনে তাদের খরচ পড়ছে দেড় লাখের মতো। তার মানে কোভিডের আগের তুলনায় এটা দ্বিগুণ। এটা বললাম সর্বনিম্ন প্যাকেজ। ভালো প্যাকেজের দাম তো দুই লাখ ছুঁই ছুঁই।’

এই এজেন্সি মালিক জানান, ‘এখন ভিসার দামও বাড়িয়েছে সৌদি। রিয়ালের দাম বাড়ার কারণে বাড়ছে টিকেটের মূল্য। গত সপ্তাহে দু’তিনবার টিকেটের দাম বেড়েছে। বেড়েছে সৌদির আবাসন খরচ। সব মিলিয়ে সবচে কমের মধ্যে হলেও ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা লাগবে। যেটা মধ্যবিত্তের নাগালে নেই।’

এয়ারলাইনসের কারসাজিতে টিকেটের দাম বৃদ্ধি

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আগামী ১ অক্টোবর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ওমরাযাত্রীদের টিকিটের দাম দেড়শ মার্কিন ডলার বৃদ্ধি করেছে।

সূত্র জানায়, সৌদিয়া এয়ারলাইন্স বর্তমানে জনপ্রতি ওমরা টিকিট ৭৫ হাজার টাকা, ৮০ হাজার টাকা এবং ৯০ হাজার টাকায় বিক্রি করছে। থার্ড ক্যারিয়ারগুলোও প্রায় ৮৮ হাজার টাকায় ওমরা টিকিট বিক্রি করছে। বিমান ওমরা টিকিট ৭২ হাজার টাকা ও ৭৮ হাজার টাকায় বিক্রি করছে। আগামী ১লা অক্টোবর থেকে বিমান ওমরাহ টিকিটের দাম বৃদ্ধি করে ৮৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করেছে। এসব টিকিট কোনো সিন্ডিকেট চক্রের কাছ থেকে কিনতে হলে আরো অতিরিক্ত কয়েক হাজার টাকা গুনতে হবে।

ওমরা করে আসা এক হাজি ফাতেহকে জানিয়েছেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ওমরা যাএীদের কাছ থেকে টিকেটের দাম বেশি রাখলেও তাদের সার্ভিস সন্তোষজনক নয়। বিমানের সিটগুলোর অবস্থা ভালো না। হেলান দেয়ার জন্য মুভ করা যায় না। সিটের স্ক্রিনগুলো বেশিরভাগ নষ্ট। ক্রুদের বললে তারা বলে নষ্ট করার কিছুই নাই। এক কথায় সার্ভিসের মান খুব খারাপ।

এজেন্সিগুলোর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আগামী ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত বিমানের কোনো সিট নেই। দেড় মাসের টিকিট নামে বেনামে সিন্ডিকেট চক্রের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে বিমান অফিস। এতে ওমরা এজেন্সির মালিকরা বিমান অফিসে ধর্না দিয়েও ওমরাযাত্রীদের কোনো টিকিট পাচ্ছে না। আটাব ও হাব নেতৃবৃন্দ দাবি করেছেন, বিমানের দেড় মাসের ফ্লাইটগুলো যথাযথভাবে চেক করা হলেই থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে।

সংকট নিরসনে কে কী বলছেন

হাব নেতৃবৃন্দ বলছেন, ওমরা হজ্বযাত্রীদের চাপের কারণে ও যাত্রা নিশ্চিত করার জন্য বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সিডিউল ফ্লাইট ছাড়াও সপ্তাহে ১টি করে অতিরিক্ত ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারে। এছাড়াও চট্টগ্রাম থেকে জেদ্দা আগে সপ্তাহে তিনটি ফ্লাইট ছিল। বর্তমানে দুইটি চালু রয়েছে একটি বন্ধ। বন্ধ করা ফ্লাইটি প্রতি মঙ্গলবার চালু করে এবং চট্টগ্রাম-মদিনা-চট্টগ্রাম আরও একটি ফ্লাইট চালু করার জন্য জোর দাবি জানান।

অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ (আটাব) এর মহাসচিব আবদুস সালাম আরেফ ফাতেহকে বলেন, ‘টিকেটের এই দামবৃদ্ধি জুলুম। আমরা বিমানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। দাম কমানোর আবেদন জানিয়েছি। পাশাপাশি যাত্রীদের চাপ কমাতে ফ্লাইট বাড়ানো এবং বন্ধ ফ্লাইট চালু করারও আবেদন জানিয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘সমহারে যদি এজেন্সিগুলোর জন্য টিকেট দেয়া হতো, কিংবা টিকেটের ক্রয়ক্ষমতা সরাসরি এজেন্সিকে দেয়া হতো, তাহলে এ সঙ্কট তৈরী হতো না। সব বিষয়ে ২৮ আগস্ট আমরা মন্ত্রণালয়ে চিঠিও দিয়েছি।’

জানা গেছে, গত মঙ্গলবার বেসামরিক বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীর দপ্তরে তার সাথে বৈঠক করেন হাব সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম ও মহাসচিব ফারুক আহমদ সরদার। বৈঠকে তারা ওমরাযাত্রীদের অতিরিক্ত বিমান ভাড়া হ্রাস ও যৌক্তিক ভাড়া নির্ধারণের জন্য বিমান প্রতিমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানান।

The post ওমরা চলে যাচ্ছে মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে : তিন বছরে খরচ হয়েছে দ্বিগুণ appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/roVCw4P

Monday, September 12, 2022

দাখিল পরীক্ষায় আরবি বাদ : আলিয়ায় ধর্মীয় শিক্ষার গুরুত্ব কমছে

রাকিবুল হাসান নাঈম:

সারাদেশে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে ২০২২ সালের এসএসসি ও সমমানের দাখিল পরীক্ষা। এবার পরীক্ষা হবে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস অনুযায়ী ২ ঘণ্টার। এর মধ্যে এমসিকিউ ২০ মিনিট, লিখিত ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট। তবে এবার দাখিল পরীক্ষায় আরবি প্রথম, দ্বিতীয় পত্র এবং আকাইদ ও ফিকহের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে না এবং এই বিষয়গুলো সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হবে। সংশ্লিষ্টগণ বলছেন, এ বিষয়গুলোতেই ছাত্ররা সবচে বেশি ফেল করে। করোনার কারণে ক্লাস ব্যহত হওয়ায় এবার ফেলের সম্ভাবনা আরও বেড়েছে। ফলে বাদ দেয়া হয়েছে বিষয়গুলো।

বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো: কামাল উদ্দীন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, এ বছর মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের সাধারণ বিভাগের আরবি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, বিজ্ঞান বিভাগের আকাইদ ও ফিকহ এবং মুজাব্বিদ এ হিফজুল কুরআন বিভাগে যথাক্রমে কিরআতে তারতিল ও হাদর (মৌখিক), হিফজুল কুরআন দাওর ( মৌখিক) এর নম্বর সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হবে। অর্থাৎ এই বিষয়গুলোর পরীক্ষা সরাসরি অনুষ্ঠিত হবে না।

বিষয়টি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে আরবি শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মকর্তাদের মাঝে। কেউ বলছেন, সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করতে গিয়ে আরবিগুলো বাদ না দিয়ে অন্য বিষয় বাদ দেয়া যেতো। কেউ মনে করছেন, আরবি বাদ দেয়াই বরং ভালো হয়েছে। ছাত্রদের জন্য সুবিধা হয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত

এ প্রসঙ্গে কথা হয় দারুননাজাত সিদ্দীকিয়া কামিল মাদরাসার আরবি বিভাগের প্রভাষক মাওলানা মুহাম্মাদ ফরীদের সঙ্গে। দাখিলের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো বাদ দেয়ায় তার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত। মানতে তো হবেই। আমাদের কিছু করার নেই।’

তবে আরবি পরীক্ষা হলেও ছাত্ররা যে খুব ভালো পরীক্ষা দিতে পারে, তেমন না। বিষয়টি উল্লেখ করে এই প্রভাষক বলেন, ‘আরবির পরীক্ষা যেভাবে নেয়া হয়, ছাত্ররা খুব ভালো পরীক্ষা দিতে পারে না। আমরা নিজেরা খুব খেটেখুটে পড়াই, সিলেবাসের বাইরেও অনেককিছু পড়াই। ফলে ছাত্ররা কিছুটা ভালো রেজাল্ট করতে পারে।’

আরবি বাদ দেয়ার বিষয়টি মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের কারিকুলাম বিশেষজ্ঞ মোঃ ফেরদাউছুর রহমান। তিনি ফাতেহকে বলেন, ‘এটা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত। মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কোন বিষয়ে পরীক্ষা হবে, কোন বিষয়ে পরীক্ষা হবে না।’

আলিয়া কর্তৃপক্ষের পরামর্শেই আরবি বাদ

তবে আলিয়া কর্তৃপক্ষের পরামর্শেই আরবি বাদ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মােঃ হােসাইন মাহমুদ ফারুক। ফাতেহের সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানান, ‘এবার এসএসসি পরীক্ষা হবার কথা দশদিন। শিক্ষামন্ত্রীর সিদ্ধান্ত হলো, দাখিল পরীক্ষাও হবে দশদিন। কিন্তু দাখিলে তো সর্বমোট বিষয় ১৩টি। দশদিনে তো পরীক্ষা সম্ভব না। মন্ত্রী বললেন, আমরা পরামর্শ করে জানাতে, কোন তিনটি বিষয় বাদ দেয়া হবে। আমরা ঢাকায় বিভিন্ন মাদরাসার শিক্ষকদের নিয়ে কনফারেন্স করলাম। তাদের কাছে পরামর্শ চাইলাম কী করা যায়। তাদের সঙ্গে পরামর্শ করেই আরবি বাদ দেয়া হয়েছে।’

আরবি বিষয়গুলো কোন যুক্তিতে বাদ দেয়া হয়েছে জানতে চাইলে প্রতিবেদককে তিনি বলেন, ‘শিক্ষকরা বলেছেন, এ বিষয়গুলোতে ছাত্ররা বেশি ফেল করে। করোনার প্রকোপে এবার ক্লাস না হবার কারণে ফেলের হার আরও বাড়তে পারে। তাই বিষয় যেহেতু কমাতে হবেই, তাই কঠিন বিষয়গুলো কমানো হয়েছে। দিনব্যাপী কনফারেন্সের পর এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। মন্ত্রীও অনুমোদন দিয়েছেন।’

উল্লেখ্য, কেবল মাদ্রাসা বোর্ডের দাখিল পরীক্ষাই নয়, সাধারণ শিক্ষা বোর্ডেও বিষয় কমিয়ে এসএসসি পরীক্ষায় আইসিটি, ধর্মীয় শিক্ষা, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে না। শিক্ষাবোর্ড জানিয়েছে, কোভিড-১৯ এর প্রেক্ষিতে পাঠদান ব্যাহত হওয়ায় শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে পরীক্ষার নম্বর ও কিছু বিষয়ে পরীক্ষা না নিয়ে তার পরিবর্তে সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে মূল্যায়ন করে বিষয় সংখ্যা কমিয়ে আনা হয়েছে। গত বছর পরীক্ষার বিষয় সংখ্যা আরো কম ছিলো।

The post দাখিল পরীক্ষায় আরবি বাদ : আলিয়ায় ধর্মীয় শিক্ষার গুরুত্ব কমছে appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/fgLGHu2

Thursday, September 8, 2022

শঙ্কা কাটছে না : কবে হবে ইজতেমা?

মুনশী নাঈম:

বিশ্ব লণ্ডভণ্ড করে দেওয়া করোনা মহামারির কারণে গেল দু’বছর ধরে বন্ধ মুসলিমদের দ্বিতীয় বৃহত্তম জমায়েত বিশ্ব ইজতেমা। লকডাউনের জড়তা কাটিয়ে সবকিছু সচল হলেও এখনো আলোচনায় আসেনি ইজতেমার প্রসঙ্গ। ২০২৩ সালে ৫৫তম ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে কি হবে না, এই নিয়ে এখনো দ্বিধায় আছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ।

তাবলিগ জামাতের দায়িত্বশীলরা বলছেন, করোনা মহামারির কারণে সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকায় এতদিন ইজতেমার কার্যক্রম বন্ধ ছিল। যেহেতু এবার করোনার তীব্রতা নেই, সেহেতু আশা করি ২০২৩ সালে ৫৫তম ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। ইজতেমার বিষয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা চলছে।

‘সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি’

ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন ফাতেহকে জানান, ‘তার কাছে ইজতেমা বিষয়ক কোনো তথ্য নেই। এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি।’

ইজতেমা কবে হতে পারে জানতে চাইলে ওলামা শূরার পক্ষে বিশ্ব ইজতেমা মাঠের জিম্মাদার ইঞ্জিনিয়ার মাহফুজ হান্নান ফাতেহের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলতে চাননি। তিনি জানান, গণমাধ্যমের সঙ্গে ফোনে কথা বলার নিয়ম তাদের নেই। নিয়ম ভেঙ্গে তিনি কথা বলতে পারবেন না। তবে ইজতেমা নিয়ে কেন খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে, এই নিয়ে তিনি সন্দেহ পোষণ করেন।

‘মিটিং হয়েছে, ইজতেমা হবে’

তবে সরকারের উচ্চ মহলের সঙ্গে ইজতেমা বিষয়ক মিটিং হয়েছে এবং ইজতেমা হবে মর্মে সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান মাওলানা সাদের অনুুসারী মুরুব্বী মাওলানা আবদুল্লাহ। তিনি ফাতেহকে জানান, তিনি মিটিংয়ে ছিলেন। তবে ইজতেমার তারিখ নির্ধারণ হয়নি। কবে হবে, তা তিনি নিশ্চিত না।

ইজতেমার তারিখ ঠিক করার জন্য মুরুব্বীরা জোর চেষ্টা করছেন জানিয়ে তিনি বলেন, তারিখ ঠিক করার জন্য আমরা চেষ্টা করছি। তবে ইতোমধ্যে জেলাভিত্তিক ইজতেমার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই ইজতেমাগুলো হতে থাকবে।’

ইতিহাসে ইজতেমা

প্রথম ইজতেমা ১৯৪১ সালে দিল্লির নিজামউদ্দীন মসজিদের ছোট এলাকা মেওয়াতের নুহ মাদ্রাসায় আয়োজন করা হয়। এতে প্রায় ২৫ হাজার তাবলিগ দ্বীনদার মুসলমান অংশ নেন। এভাবে অত্যন্ত ক্ষুদ্র পরিসরে মেওয়াতের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার কিছু মানুষের কাছে দ্বীনের কথা প্রচারের মধ্য দিয়ে তাবলিগ জামাতের যাত্রা শুরু হয়।

বাংলাদেশে ১৯৪৬ সালে ঢাকার রমনা পার্কসংলগ্ন কাকরাইল মসজিদে তাবলিগ জামাতের বার্ষিক সম্মেলন বা ইজতেমা প্রথম অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ১৯৪৮ সালে চট্টগ্রামে তৎকালীন হাজি ক্যাম্পে ইজতেমা হয়, ১৯৫৮ সালে বর্তমান নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। তখন এটা কেবল ইজতেমা হিসেবে পরিচিত ছিল। প্রতিবছর ইজতেমায় অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা আশাতীতভাবে বাড়তে থাকায় ১৯৬৬ সালে ইজতেমা টঙ্গীর পাগার গ্রামের খোলা মাঠে আয়োজন করা হয়। ওই বছর স্বাগতিক বাংলাদেশ ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা অংশ নেওয়ায় ‘বিশ্ব ইজতেমা’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।

১৯৬৭ সাল থেকে বর্তমান অবধি (২০১১ সাল থেকে দুই পর্বে) ‘বিশ্ব ইজতেমা’ টঙ্গীর কহর দরিয়াখ্যাত তুরাগ নদের উত্তর-পূর্ব তীরসংলগ্ন ডোবা-নালা, উঁচু-নিচু মিলিয়ে রাজউকের হুকুমদখলকৃত ১৬০ একর জায়গার বিশাল খোলা মাঠে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রতিবছর বাংলাদেশের প্রত্যন্ত গ্রাম-শহর-বন্দর থেকে লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলমান এবং বিশ্বের প্রায় ৫০ থেকে ৫৫টি দেশের তাবলিগি দ্বীনদার মুসলমান জামাতসহ ২৫ থেকে ৩০ লক্ষাধিক মুসল্লি বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নেন। সাধারণত প্রতিবছর জানুয়ারি মাসের তৃতীয় সপ্তাহের শুক্রবার আমবয়ান ও বাদ জুমা থেকে বিশ্ব ইজতেমার কার্যক্রম শুরু হয়।

The post শঙ্কা কাটছে না : কবে হবে ইজতেমা? appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/Le6XojW