Monday, November 30, 2020

ক্রোয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী করোনায় আক্রান্ত

ফাতেহ ডেস্ক:

করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ক্রোয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আন্দ্রেজ প্লানকভিচ। তবে তিনি ‘ভালো অনুভব’ করছেন। মন্ত্রিপরিষদ থেকে সোমবার এ তথ্য দেওয়া হয়।

এএফপি জানায়, স্ত্রী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর ৫০ বছর বয়সী প্রধানমন্ত্রী দু’দিন ধরে আলাদা থাকছিলেন।

ক্রোয়েশিয়ার রক্ষণশীল এইচডিজেড দলের প্রধান হিসেবে ২০১৬ সাল থেকে তিনি দেশটির নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন।

মন্ত্রিপরিষদ জানান, প্রধানমন্ত্রী প্রাথমিক পরীক্ষায় নেগেটিভ হলেও সোমবার নতুন করে করোনা পরীক্ষায় পজিটিভ হন। তিনি ১০ দিন আইসোলেশনে থাকবেন।

মন্ত্রিপরিষদের এক বিবৃতিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী এখন ভালো অনুভব করছেন। তিনি বাসভবন থেকেই দায়িত্ব পালন অব্যাহত রেখেছেন এবং চিকিৎসক ও মহামারি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনে চলছেন।

এ দিকে দেশটিতে ২৪ ঘণ্টায় কভিড-১৯ রোগে মৃত্যু সংখ্যার নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে।

ক্রোয়েশিয়ায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের হার ব্যাপকভাবে নিয়ন্ত্রণে আসার পর সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে সংক্রমণের হার ফের অনেক বেড়ে গেছে।

৪২ লাখ জনসংখ্যার এ দেশে বর্তমানে প্রায় ২ হাজার ৩শ’ করোনা রোগী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।

সোমবার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ক্রোয়েশিয়ায় ৭৪ জন করোনায় প্রাণ হারিয়েছে। একদিনে মৃত্যুর সংখ্যার দিক থেকে এটি নতুন রেকর্ড।

কিছুদিন আগে ক্রোয়েশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রীও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন।

The post ক্রোয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী করোনায় আক্রান্ত appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/2VlyAb1

শুরু হলো বিজয়ের মাস ডিসেম্বর

ফাতেহ ডেস্ক:

শুরু হলো বিজয়ের মাস, ডিসেম্বর। দীর্ঘ তেইশ বছরের শোষণ থেকে বাঙ্গালী জাতিকে বাঁচাতে ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ মুক্তির সংগ্রামের ডাক দেন বাঙ্গালির অবিসংবাদিত নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁর ডাকে দেশ স্বাধীন করার লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে সর্বস্থরের মানুষ।

নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর অর্জিত হয় দেশের চূড়ান্ত বিজয়। লাখো শহীদের রক্ত ও মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে বাঙ্গালি পায় নিজেদের একটি স্বতন্ত্র ভূ-খন্ড, একটি স্বাধীন দেশ- বাংলাদেশ।

এদিকে, করোনা অতিমারির কারণে এবছর সীমিত পরিসরে উদযাপিত হবে বিজয়ের মাসের যাবতীয় অনুষ্ঠান।

বিজয়ের মাসের প্রথম প্রহরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শিখা চিরন্তনে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ।

মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) রাত ১২টা ১ মিনিটে শিখা চিরন্তনে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও মোমবাতি প্রজ্জ্বালন করেন সংগঠনের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ, সাধারণ সম্পাদক এ কে এম আফজালুর রহমান এবং ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণের স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতারা।

এসময়, তরুণ প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জাগ্রত হওয়ার আহ্বন জানান নির্মল রঞ্জন গুহ।

পরে, মোমবাতি মিছিল নিয়ে তারা ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে যান। সেখানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা।

The post শুরু হলো বিজয়ের মাস ডিসেম্বর appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/33vMA6l

মাস্ক না পরলে জেল

ফাতেহ ডেস্ক:

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে মাস্ক ব্যবহারের বিষয়ে আরও কঠোর হচ্ছে সরকার। এখন থেকে মাস্ক না পরলে সর্বোচ্চ জরিমানা করা হবে। এভাবে দেখা হবে ৭ থেকে ১০ দিন। এরপরও মাস্ক না পরলে কারাদণ্ডের বিধান কার্যকর করা হতে পারে। এছাড়া অক্সফোর্ডের তিন কোটি ভ্যাকসিন বিনামূল্যে বিতরণ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। গতকাল সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে সচিবালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গতকাল ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠক হয়। গণভবন প্রান্ত থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রীরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন।

এর আগে গত মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেছিলেন, সপ্তাহখানেক দেখা হবে। তারপর জরিমানা বাড়ানো হবে। এরপর থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে মাস্ক ব্যবহারে সচেতনতা বাড়াতে নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে।

গতকাল খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘এখন থেকে বেশি জরিমানা এবং কঠোর অবস্থান নেওয়া হবে। সবার মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্টদের “শক্ত অবস্থানে” যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আগেই আমরা বলেছি, এ সপ্তাহ থেকে আরেকটু স্ট্রং অ্যাকশনে যাব। আমার মনে হয়, ঢাকার বাইরে কিছুটা পজিটিভ। ডিসিরা বলছেন, জেলা সদরে মানুষ মোটামুটি কেয়ারফুল হচ্ছে। ঢাকা শহরে বোধহয় এখনো পুরোপুরি কেয়ারফুল হয়নি, তবে মোটামুটি একটা বার্তা যাচ্ছে যে ফাইন হয়ে যাবে, ফাইন দিতে হবে ৫০০ টাকা। বলে দিয়েছি, এখন থেকে ম্যাক্সিমাম ফাইন করো, না হলে আমরা আরও ইনস্ট্রাকশন দেব, বলেছি সর্বোচ্চ জরিমানা করতে।’

তারপরও মাস্ক না পরলে কী হবে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘তারপরে জেলে যেতে হবে আর কী করবে না যদি শোনে। আমরা তো ঝুঁকি নিতে পারি না, আমাদের যতটুকু সম্ভব করতে হবে, আমরা বলে দিয়েছি।’

করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে গত জুলাই মাসের শেষ দিকে বাসার বাইরে সব জায়গায় সবার মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করে সরকার। প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে প্রতিদিনই মানুষ মারা গেলেও নানা অজুহাতে এখনো অনেকে মাস্ক ব্যবহার করছেন না। সবার মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে সচেতনতামূলক পদক্ষেপের সঙ্গে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আইন প্রয়োগ করতে মাঠ প্রশাসনকে নির্দেশনা দিয়ে রেখেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

অক্সফোর্ডের ৩ কোটি ভ্যাকসিন বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে : ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সংগ্রহের উদ্যোগ নেওয়া অক্সফোর্ডের তৈরি করোনাভাইরাসের তিন কোটি ভ্যাকসিন বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে।

তিনি বলেন, ‘অক্সফোর্ডের তৈরি করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের জন্য ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশের বেক্সিমকো ফার্মা ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশকে অক্সফোর্ডের তিন কোটি ডোজ ভ্যাকসিন সরবরাহ করবে সেরাম ইনস্টিটিউট।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘গত ১৪ অক্টোবর অক্সফোর্ডের তৈরি ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট উৎপাদিত ভ্যাকসিন বাংলাদেশ সরকারের কাছে তিন কোটি ডোজ বিক্রির প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিয়েছেন। গত ৫ নভেম্বর স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, সেরাম ইনস্টিটিউট এবং বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক সই হয়। এরপর ১৬ নভেম্বর অর্থ বিভাগ ভ্যাকসিন কেনার জন্য স্বাস্থ্যসেবা বিভাগকে ৭৩৫ কোটি ৭৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। ভ্যাকসিন কেনার জন্য অর্থনৈতিক ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে প্রস্তাব পাঠাবে।’

ভ্যাকসিন কারা পাবে জানতে চাইলে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটা গাইডলাইন আছে। প্রথম কারা পাবে, দ্বিতীয় ধাপে কারা পাবে সে অনুযায়ী স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একটা প্রোগ্রাম ডেভেলপ করছে। ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কার, পুলিশ, প্রশাসনের লোক যারা মাঠে চাকরি করছে, তারপর বয়স্ক লোক, শিশু এরকম একটা প্রটোকল আছে। মানুষকে এ ভ্যাকসিন বিনা পয়সায় দেওয়া হবে। টাকা সরকার পে করে দিচ্ছে। তিন কোটি ভ্যাকসিন ফ্রি দেওয়া হবে।’

ভ্যাকসিন বিতরণ নিয়ে কেউ অনিয়ম করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব। সরকার কত টাকায় ভ্যাকসিন কিনছে জানতে চাইলে খন্দকার আনোয়ারুল বলেন, ‘ক্রয় চুক্তি না হওয়া পর্যন্ত বলা যাবে না।’

অন্যান্য ভ্যাকসিনের সর্বশেষ অবস্থা নিয়ে তিনি বলেন, ‘আরও অনেকগুলো ভ্যাকসিনের বিষয় উপস্থাপন করা হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, যোগাযোগ রাখছে। এখনই বলা যাচ্ছে না কোনটা বেশি ইফেকটিভ হবে। আমাদের এক নম্বর কন্ডিশন হলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রটোকল মানতে হবে।’

চীনের প্রতিষ্ঠান সিনোভ্যাকের টিকার ট্রায়াল হওয়ার কথা ছিল, সেটি কোন পর্যায়ে আছে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আমরা রিজেক্ট করিনি। ওরা একটা টাকা চাচ্ছে। সরকার এখনো দেয়নি বা রাজি হয়নি। আমরা সেটা এখনো বাতিলও করিনি। প্রথমে টাকা চায়নি, পরবর্তীতে টাকা চাচ্ছে।’

৯৯৯ নম্বরে মিথ্যা তথ্য দিলে শাস্তি : জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করলে শাস্তির বিধান রেখে এ সংক্রান্ত নীতিমালার খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। ৯৯৯ অপারেট করার জন্য পুলিশের একটি আলাদা ইউনিটও গঠন করা হবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, ৯৯৯ নম্বরে কল দিয়ে সেবা পাওয়ার বিষয়টি আরও কার্যকর করতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন। রাষ্ট্রীয় সম্পদ, জননিরাপত্তা, জনশৃঙ্খলা, অপরাধ দমন, জনগণের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা বিধানে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। জনজীবনের সফলতা ও সম্ভাবনার বিষয়ে আলোচনা করে ইমার্জেন্সি সার্ভিস পলিসি ৯৯৯ তথা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ সংক্রান্ত একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে নিরাপত্তা, জীবন ও শান্তিপূর্ণ সমাজ বির্নিমাণে জরুরি পরিস্থিতিতে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছে সংকটাপন্ন মানুষকে যাতে সহায়তা করা যায়, দুর্ঘটনা ও অপরাধ প্রতিরোধ করা যায়। অপরাধের শিকার কোনো ব্যক্তি বা সম্পদ উদ্ধার করা যেন সহজ হয়। দুর্ঘটনায় নিপতিত মানুষকে যাতে উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যায়। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অগ্নিনির্বাপণের ব্যবস্থা এবং জানমালের উদ্ধারসহ দ্রুততম সময়ে যাতে দুর্গতদের হাসপাতালে পাঠানো ও সেবা দেওয়া যায়।

তিনি আরও বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নামে একটি ইউনিট গঠিত হবে। এতে ডিআইজি পদমর্যাদার কর্মকর্তা যিনি জাতীয় জরুরি সেবার প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হবেন। ৯৯৯ নম্বরে যদি কেউ মিথ্যা, বানোয়াট, গুজব ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দেয় তা দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে অভিহিত হবে। কেউ যদি না বুঝে এ কাজ করে সেটা কনসিডার করা হবে। তবে ইচ্ছা করে যদি কেউ চিট করতে চায় “দ্যাট উইল বি পানিশ্যাবল”। সেজন্য রেসপেকটিভ আইন প্রযোজ্য হবে। মিথ্যা তথ্য দেওয়ার শাস্তি পেনাল কোডে আছে।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, কে কোথা থেকে কল করছে, সেটা টোটালি ডিটেক্টের ব্যবস্থা থাকবে। সুতরাং কেউ সহজে ফলস কল করতে যাবে না। জরুরি সেবার যে নম্বরগুলো আছে যেমন ৩৩৩, ১০৯ এগুলো সব ইন্টার অপারেটিভিটি হয়ে যাবে। উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘জরুরি সেবার যেকোনো একটা নম্বরে কল করে যদি কেউ বলে এখানে ডাকাত পড়েছে ওখানে অটোমেটিক্যালি কানেকটেড হয়ে যাবে।’

নীতিমালার ফলে এটা এখন আরও অরগানাইজড ওয়েতে হবে জানিয়ে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি), বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) সবার সঙ্গে ইন্সট্যান্ট একটা কমিউনিকেশন সিস্টেম থাকবে।’

বালু উত্তোলনে নীতিমালা হচ্ছে : মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এ বিষয়ে একটি নীতিমালা হচ্ছে। এজন্য ভূমি সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে যে কেউ ইচ্ছেমতো বালু উত্তোলন করতে পারবেন না। নির্ধারিত ঠিকাদার নির্ধারিত পরিমাণ বালু উত্তোলন করতে পারবেন। কোথায় কোথায় বালুমহাল থাকবে, সেটিও চিহ্নিত করে দেওয়া হবে।

The post মাস্ক না পরলে জেল appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/2VhT8Bj

করোনাতঙ্কে কারাগারে সংঘর্ষ, নিহত ৬

ফাতেহ ডেস্ক:

কোভিড-১৯ সংক্রমণের আতঙ্ক থেকে শ্রীলঙ্কার একটি কারাগারে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। কারারক্ষীদের সঙ্গে বন্দিদের এই সংঘর্ষে অন্তত ৬ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৫২ জন।

দেশটির মহোরা কারাগারে এ ঘটনা ঘটেছে বলে আজ সোমবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শ্রীলঙ্কার কারাগারগুলোতে দিন দিন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে। ইতোমধ্যে দেশটির বিভিন্ন কারাগারে ১ হাজারের মতো বন্দি ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হয়েছেন।

এ অবস্থায় দেশটির কারাগারে থাকা বন্দিরা জামিনে মুক্তি এবং কারাগারে উন্নত ব্যবস্থাপনার দাবিতে বিক্ষোভ করে আসছেন। এমন পরিস্থিতিতেই এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

শ্রীলঙ্কা পুলিশের মুখপাত্র অজিত রোহানা জানিয়েছেন, দেশটির মহোরা কারাগারে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হলে তা নিয়ন্ত্রণে নিতে কারারক্ষীদের শক্তি প্রয়োগ করতে হয়। ওই ঘটনায় আহতদের স্থানীয় রাগামা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

পুলিশের এ কর্মকর্তা আরো জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে পুলিশের ৫টি দল মোতায়েন করা হয়েছে।

স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, সংঘর্ষ থামাতে গুলি ছুড়েছে কারারক্ষীরা। স্থানীয় বাসিন্দারা কারাগার প্রাঙ্গণে আগুন জ্বলতেও দেখেছেন।

The post করোনাতঙ্কে কারাগারে সংঘর্ষ, নিহত ৬ appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3lsBBkA

৩৫ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ২৫২৫

ফাতেহ ডেস্ক:

দেশে মরণঘাতী করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ২ হাজার ৫২৫ জনকে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। এতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৯৩২ জন। এ সময় ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে আরো ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ৬ হাজার ৬৪৪ জনের মৃত্যু হলো।

আজ সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে মোট ১১৮টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৫ হাজার ৫৬৫টি। নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৫ হাজার ৩৭২টি। এ নিয়ে ২৬৮তম দিনে এসে এখন পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২৭ লাখ ৭২ হাজার ৭০১টি।

উক্ত সময়ের মধ্যে আরো ২ হাজার ৫২৫ জনকে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৯৩২ জন।

এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে আরো ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে ৬ হাজার ৬৪৪ জনের মৃত্যু হলো।

একই সময়ে দেশে ২ হাজার ৫৩৯ জন সুস্থ (হাসপাতাল ও বাসা মিলে) হয়েছেন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৩ লাখ ৮০ হাজার ৭১১ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৪৩ শতাংশ এবং সুস্থতার হার ৮১ দশমিক ৮৯ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ।

The post ৩৫ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ২৫২৫ appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/2KVPlI1

Sunday, November 29, 2020

বিশ্বে করোনা শনাক্ত ৬ কোটি ৩০ লাখ ছাড়াল

ফাতেহ ডেস্ক:

বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৬ কোটি ৩০ লাখ ছাড়িয়েছে। অন্যদিকে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ১৪ লাখ ৬৪ হাজার ছাড়িয়েছে।

জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বশেষ তথ্য বলছে, সোমবার (৩০ নভেম্বর) পর্যন্ত বিশ্বে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৬ কোটি ৩০ লাখ ৫১ হাজার ৯০৬। একই সময়ে বিশ্বে করোনায় মোট মারা গেছেন ১৪ লাখ ৬৪ হাজার ৭৫৭ জন। এখন পর্যন্ত বিশ্বে করোনা থেকে সেরে ওঠা মানুষের সংখ্যা ৪ কোটি ৩৫ লাখ ৩০ হাজার ৮৬৭ জন।

বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ৩৭ লাখ ৪৬ হাজার ৪৮৪। দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ২ লাখ ৭৩ হাজার ৬৫ জন।

ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় ভারতের অবস্থান দ্বিতীয়। ভারতে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৯৪ লাখ ৩২ হাজার ৩৯। দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ১ লাখ ৩৭ হাজার ১৭৭ জন।

ব্রাজিল আছে তৃতীয় অবস্থানে। ব্রাজিলে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৬৩ লাখ ১৪ হাজার ৭৪০। দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ১ লাখ ৭২ হাজার ৮৩৩ জন।

তালিকায় ফ্রান্সের অবস্থান চতুর্থ। রাশিয়া পঞ্চম। স্পেন ষষ্ঠ। যুক্তরাজ্য সপ্তম। ইতালি অষ্টম। আর্জেন্টিনা নবম। কলম্বিয়া দশম। তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ২৫তম।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গতকাল রোববারের তথ্যমতে, বাংলাদেশে ৪ লাখ ৬২ হাজার ৪০৭ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে ৬ হাজার ৬০৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। সুস্থ হয়েছেন ৩ লাখ ৭৮ হাজার ১৭২ জন।

গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। চীনে করোনায় প্রথম রোগীর মৃত্যু হয় চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি। তবে তার ঘোষণা আসে ১১ জানুয়ারি।

চলতি বছরের ১৩ জানুয়ারি চীনের বাইরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় থাইল্যান্ডে। পরে বিভিন্ন দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়ে। করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে ৩০ জানুয়ারি বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

গত ২ ফেব্রুয়ারি চীনের বাইরে করোনায় প্রথম রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ফিলিপাইনে। গত ১১ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাভাইরাস থেকে সৃষ্ট রোগের নামকরণ করে ‘কোভিড-১৯’। গত ১১ মার্চ করোনাকে বৈশ্বিক মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

The post বিশ্বে করোনা শনাক্ত ৬ কোটি ৩০ লাখ ছাড়াল appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3fMdBaN

বেসরকারি হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার ফি কমানোর আহ্বান

ফাতেহ ডেস্ক:

স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বেসরকারি হাসপাতালগুলোর উদ্দেশ্যে বলেছেন, ‘করোনা টেস্ট এর ক্ষেত্রে আপনারা যে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে রেখেছেন তা চালিয়ে নিন। সম্ভব হলে টেস্টের মূল্য আরো কিছুটা কমিয়ে দিন। এ ব্যাপারে আমি আপনাদেরকে অনুরোধ করবো।’

তিনি বলেন, ‘বিশেষ করে যারা বিদেশগামী যাত্রী আছে যারা দেশের জন্য টাকা রোজগার করে আনছে যাদের রেমিটেন্সের টাকায় আমরা চলছি। তাদেরকে যদি আরেকটু সুযোগ দেন আপনারা তাহলে ভালো হয়। এ বিষয়ে বিবেচনা করার জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি।’

রোববার (২৯ নভেম্বর) হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ এসোসিয়েশনের (বিপিএমসি) উদ্যোগে ‘করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা ও ভ্যাকসিন বিষয়ক’ আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক বলেন,দেশ যদি ভ্যাকসিন পায়,পৃথিবীতে যদি ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয় তবে সবাই পাবে। হয়তো এক সাথে সবাইকে দেয়া সম্ভব হবে না। তবে ধাপে ধাপে সবাই পাবে। এই সময় পর্যন্ত আমাদেরকে ধৈর্য ধরতেই হবে।একসাথে সবাইকে ভ্যাকসিন দেয়ার সক্ষমতা বাংলাদেশ কেন পৃথিবীর কোনো দেশেই নেই। কাজেই প্রথমে যাদেরকে দেয়া প্রয়োজন তাদেরকে দেয়া হবে।

তিনি বলেন, আমরা আমাদের সীমিত সম্পদ দিয়ে যতটুকু করোনা মোকাবিলা করতে পেরেছি তা প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণেই সম্ভব হয়েছে এবং মন্ত্রী মহোদয়সহ মন্ত্রণালয়ের সকলেই এ বিষয়ে দিক নির্দেশনা দিয়েছেন।

বেসরকারি মেডিকেলের উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন, প্রাইভেট মেডিকেলগুলো হয়তো প্রথম দিকে আমাদের সাথে ছিলেন না। সবার মধ্যেই অনেক ভয়-ভীতি ছিল। পরবর্তীতে তারা বুঝতে পেরে যখন এগিয়ে আসেন দেশের আপামর জনসাধারণের জন্য একটি বড় স্বাস্থ্য সেবা নেয়ার সুযোগ করে দেন এবং সেটা তারা অব্যাহত রেখেছেন বলে তাদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। আশা করি, সামনের দিকে আপনারা এই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে রাখবেন এবং তা চালিয়ে নিয়ে যাবেন।

তিনি বলেন, আপনারা একটি কথা মনে রাখবেন দেশ বাঁচলেই কিন্তু আমরা বাঁচবো। দেশের অস্তিত্ব কিন্তু আমাদের অস্তিত্বের সাথে সম্পৃক্ত। কাজেই দেশকে বাঁচান আমাদের দায়িত্ব এবং দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখার জন্য আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন।

বিটিএমসির সভাপতি এমএ মবিন খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন- চিকিৎসা শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নূর প্রমুখ।

The post বেসরকারি হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার ফি কমানোর আহ্বান appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/2Vinq6I

রোহিঙ্গা সংকটে ওআইসিকে দৃঢ়ভাবে পাশে চায় বাংলাদেশ

ফাতেহ ডেস্ক:

রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভবিষ্যতে বড় ধরনের সংকটের আশঙ্কাকে মাথায় রেখেই কূটনৈতিকভাবে সমাধানের পথ খোঁজা হচ্ছে। তাদের টেকসই প্রত্যাবাসন নিশ্চিতে মিয়ানমারকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশন (ওআইসি)-কে দৃঢ়ভাবে পাশে চায় বাংলাদেশ। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতে (আইসিজে) মামলা পরিচালনায় ৫ লাখ ডলার দিয়েছে।

ওআইসি-র বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

৫৭টি মুসলিম দেশের সংগঠনটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এক বৈঠকে তহবিল সংগ্রহ অভিযানে বাংলাদেশ এ সহায়তা প্রদান করেছে। রোহিঙ্গা গণহত্যা প্রশ্নে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়ার আইনি লড়াইয়ে সহায়তায় এ অর্থ ব্যবহার করা হবে।

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজারে শুরু হওয়া ওআইসি-র পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে পুনর্বাসনে বাংলাদেশকে সব রকমের সহযোগিতা করতেও আহ্বান জানান জাবেদ পাটোয়ারী।

পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের কাউন্সিল বা সিএফএম বৈঠকের ৪৭তম অধিবেশনে শুক্রবার তিনি রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের ওপর জোর দিয়ে নিজের বক্তব্য উপস্থাপন করেন।

এ বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও করোনা আক্রান্ত হওয়ায় তিনি যেতে পারেননি। তার অনুপস্থিতিতে জাবেদ পাটোয়ারীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল যোগ দেয়।

দুই দিনের অধিবেশনে ওআইসির সদস্য দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বেশ কিছু ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেছেন। বিশেষ করে সংস্থাটির সদস্য নয় এমন দেশগুলোতে মুসলিম সংখ্যালঘু ও জনগোষ্ঠীদের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়।

এতে মিয়ানমারের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সংকটের বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে। তিন বছর আগে এক সেনা অভিযানের মাধ্যমে এই জনগোষ্ঠীর সদস্যদের বাংলাদেশে ঠেলে দিয়ে বাস্তুচ্যুত করার বিষয়টি নিয়েও বিস্তর আলোচনা হয়েছে।

নিজের বক্তব্যে ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারি রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে গত বছরের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘে দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর চার দফার প্রস্তাবের বিষয়টি উত্থাপন করেন।

তিনি বলেন, “মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হত্যা ও নির্যাতনের মুখে ১১ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবিক কারণে তাদের আশ্রয় দিয়েছেন। মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় ভিত্তিতে এ সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশ একাধিকবার কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।”

“কিন্তু মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে সুরক্ষা, নিরাপত্তা ও চলাফেরার স্বাধীনতা এবং সামগ্রিকভাবে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি না হওয়ায় এখন পর্যন্ত একজন রোহিঙ্গাও সেখানে ফিরে যায়নি। বিরাজমান এ সমস্যা এখন কেবল বাংলাদেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, এটি আঞ্চলিক নিরাপত্তাকেও হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে। আমরা আশা করবো সংকট নিরসনে ওআইসি বাংলাদেশের পাশে থাকবে এবং রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে পুনর্বাসনে তারা আমাদের সব রকমের সহযোগিতা করবেন।”

গত বছরের নভেম্বরে ওআইসি, কানাডা ও নেদারল্যান্ডসের সমর্থনে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আইসিজে-তে মামলা করে গাম্বিয়া। আন্তর্জাতিক আদালতে ১০ থেকে ১২ ডিসেম্বর এর প্রথম শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

২৩ জানুয়ারি আইসিজে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা গণহত্যা বন্ধে অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ জারি করে। জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, “ওআইসি-র জেনারেল সেক্রেটারিয়েট এখন আইসিজে-তে গাম্বিয়ার লড়াইয়ে সহায়তার জন্য একটি বিশেষ হিসাব খুলেছে। আর পশ্চিম আফ্রিকার দেশটিও তহবিলের জরুরি প্রয়োজনের ইঙ্গিত দিয়েছে।”

গাম্বিয়ার বিচারমন্ত্রী দাউদা এ জালো মামলার সর্বশেষ আপডেট উপস্থাপন করতে গিয়ে বলেন, “এ আইনি মামলার জন্য আমি ওআইসি’র সদস্য দেশগুলোর কাছে জরুরি, স্বেচ্ছাপ্রণোদিত ও গুরুত্বপূর্ণ অবদানের আহ্বান জানাচ্ছি।”

বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যু ছাড়াও কভিড-১৯ ভ্যাকসিনের ধনী-গরিব সব দেশে সুষম বণ্টন এবং ওআইসির সদস্য মধ্যপ্রাচ্যের তেল-সমৃদ্ধ দেশগুলোতে কাজ করা বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশি অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকার প্রসঙ্গে আলোচনা করেন ড. জাবেদ পাটোয়ারী।

যৌথ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে শনিবার ওআইসি-র পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা, ওআইসি-র মহাসচিব ও ৪৭তম সিএফএমের সভাপতি দুই দিনের বৈঠক শেষ করেন।

The post রোহিঙ্গা সংকটে ওআইসিকে দৃঢ়ভাবে পাশে চায় বাংলাদেশ appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3q9UT1o

জাপানে এক মাসে করোনার চেয়ে আত্মহত্যায় বেশি মৃত্যু!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ভেঙে পড়েছে জাপানের মানসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। বছরব্যাপী চলা নভেল করোনাভাইরাসে যত মানুষ দেশটিতে মারা গেছেন, তার চেয়ে অনেক বেশি মানুষ গত এক মাসে আত্মহত্যা করেছে। খবর সিএনএন এবং ফক্স নিউজ।

জাপানের ন্যাশনাল পুলিশ এজেন্সিকে উদ্ধৃত করে খবরে বলা হয়, শুধুমাত্র অক্টোবরে ২ হাজার ১৫৩ জন আত্মহত্যা করেছেন। আর চলতি বছরে আত্মহত্যা করেছেন ১৭ হাজারের বেশি! অথচ করোনাভাইরাসে ‘অনেক কম’ মানুষ মারা গেছেন। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় ২ হাজার মানুষের প্রাণ গেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘ লকডাউনে পরিবার থেকে দূরে থাকতে থাকতে অনেকেই হতাশায় ডুবে যাচ্ছেন। এর ভেতর যোগ হচ্ছে অর্থনৈতিক চিন্তা। গ্রাস করছে বেকারত্ব।

জাপান সরকারের প্রধান মুখপাত্র ক্যাটসুনোবু কাটো গত সপ্তাহে বলেন, ‘আত্মহত্যা থেকে মানুষকে বিরত রাখতে আমরা হটলাইন চালু করছি। একই সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।’

জাপানে ঐতিহাসিকভাবে আত্মহত্যার প্রবণতা অন্য দেশের চেয়ে বেশি। করোনার আগের কয়েক বছরে সেটি কিছুটা কমেছিল। আত্মহত্যা প্রতিরোধের জন্য জাপান সরকারের বিশেষ তহবিল আছে। সেটি এখন ১০ মিলিয়ন ডলার থেকে বাড়িয়ে ২৪ মিলিয়ন করা হয়েছে।

The post জাপানে এক মাসে করোনার চেয়ে আত্মহত্যায় বেশি মৃত্যু! appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/2VgvR2p

Saturday, November 28, 2020

‘করোনার উৎপত্তি চীন থেকে হয়নি বলা অনেক বেশি অনুমানমূলক’

ফাতেহ ডেস্ক:

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, করোনাভাইরাসের উৎপত্তি চীন থেকে হয়নি বলাটা ‘অনেক বেশি অনুমানমূলক’। শুক্রবার জেনেভায় সংস্থার জরুরি স্বাস্থ্য প্রকল্পের প্রধান মাইক রায়ান এ কথা বলেছেন।

গত বছর ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হয়। সেখান থেকে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে সারাবিশ্বে। সম্প্রতি চীনের সরকারি সংবাদমাধ্যমগুলোতে দাবি করা হচ্ছে, উহানে পাওয়ার আগেও এই ভাইরাসের অস্তিত্ত্ব বিশ্বের অন্য কোনো দেশে ছিল।

মাইক রায়ান বলেছেন, ‘এই রোগটি চীনে প্রাদুর্ভূত হয়নি তা বলা আমাদের জন্য অনেক বেশি অনুমানমূলক বলে আমি মনে করি। এটা সুস্পষ্ট যে, জনস্বাস্থ্যের প্রেক্ষিতে যেখান থেকে প্রথম মানুষের সংক্রমণ শুরু সেখান থেকেই আপনি তদন্ত শুরু করবেন।’

ভাইরাসের উৎস অনুসন্ধানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা উহানের খাদ্যবাজারে গবেষকদের পাঠাতে চেয়েছিল বলেও জানান তিনি।

The post ‘করোনার উৎপত্তি চীন থেকে হয়নি বলা অনেক বেশি অনুমানমূলক’ appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3mvIXoN

বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর জম্মু-কাশ্মিরে নির্বাচন

ফাতেহ ডেস্ক:

ভারত শাসিত জম্মু-কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর প্রথমবারের মতো সেখানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আজ শনিবার জম্মু-কাশ্মির ডিস্ট্রিক্ট ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিলের প্রথম দফার ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। এ উপলক্ষে সেখানে ব্যাপকভাবে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।

জানা গেছে, স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় শুরু হওয়া ভোট চলবে দুপুর ২টা পর্যন্ত। করোনাভাইরাসে আক্রান্তরা ভোট দিতে পারবেন শেষ এক ঘণ্টায়।

জম্মু-কাশ্মিরের মোট ২৮০টি আসনে ডিস্ট্রিক্ট ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিল (ডিডিসি) ৮ দফায় নির্বাচন সম্পন্ন করবে। আগামী ১৯ ডিসেম্বর ভোট গ্রহণ পর্ব শেষ হবে। আর ফল প্রকাশ হবে ২২ ডিসেম্বর।

ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, আজ শনিবার প্রথম দফায় ৪৩টি আসনে ভোট গ্রহণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে ২৫টি কাশ্মিরে এবং ১৮টি জম্মুতে। এ পর্বের নির্বাচনে মোট ৭ লাখ বৈধ ভোটার ভোট দিতে পারবেন।

ডিস্ট্রিক্ট ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিল নির্বাচনে পিডিপি, ন্যাশনাল কনফারেন্সসহ কাশ্মিরের বিভিন্ন ছোট রাজনৈতিক দলের জোট অর্থাৎ গুপকার জোটের বিরুদ্ধে বিজেপির মূল লড়াই হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

এদিকে, নির্বাচনের আগে গুপকার জোটের অন্যতম নেত্রী মেহেবুবা মুফতিকে তার মেয়েসহ গৃহবন্দী করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার টুইট করে নিজেই এ খবর দিয়েছেন তিনি।

এমনকি ভোটের আগে প্রার্থীদের ঠিকভাবে প্রচার করতে দেয়া হয়নি বলেও অভিযোগ করেন মেহেবুবা মুফতি। নির্বাচন কমিশন যদিও সে অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৫ অক্টোবর ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে জম্মু-কাশ্মির রাজ্যের বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা কেড়ে নেওয়া হয়। এর মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মিরকে আলাদা অঞ্চল ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকারের শাসনাধীন করা হয়।

The post বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর জম্মু-কাশ্মিরে নির্বাচন appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3loH7ol

চীনা গবেষকদের দাবি, করোনার উৎস ভারত-বাংলাদেশ!

ফাতেহ ডেস্ক:

করোনা মহামারির উৎস হিসেবে চীনের নাম বলা হলেও দেশটির বিজ্ঞানীরা বলছেন, ভারত বা বাংলাদেশ থেকে এ ভাইরাস ছড়িয়েছে। এমন প্রমাণ থাকার দাবি করেছেন তারা। তবে চীনাদের এমন দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন অনেক বিশেষজ্ঞ।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম ডেইলি মেইলের খবরে বলা হয়, সম্প্রতি চীনের সায়েন্স একাডেমির এক গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, উহানে ছড়িয়ে পড়ার আগে করোনা দেখা গেছে ভারত-বাংলাদেশে। গত বছরের তীব্র দাবদাহের সময় একই উৎস থেকে মানুষ ও বন্যপ্রাণী পানি পান করায় এটি ছড়িয়েছে।

চীনা গবেষক দল বলছে, ২০১৯ সালের মে-জুন মাসে উত্তর-মধ্য ভারত ও পাকিস্তানে পৃথিবীর দ্বিতীয় দীর্ঘতম দাবদাহের রেকর্ড হয়। এ সময় ভয়াবহ পানির সংকট দেখা দেয়ায় বানরের মতো বন্যপ্রাণীরা মানুষের সঙ্গে পানি নিয়ে লড়াইয়ে লিপ্ত হয়, একে অপরের সংস্পর্শে আসার সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলে।

ভারত ও বাংলাদেশে কম রূপান্তরিত করোনাভাইরাসের নমুনা পাওয়া গেছে দাবি করে তারা বলেন, ভাইরাসটির উৎস এই এলাকায় হওয়ার সম্ভাবনাই সবচেয়ে বেশি। এ ছাড়া অস্ট্রেলিয়া, রাশিয়া, সার্বিয়া, ইতালি, গ্রিস, যুক্তরাষ্ট্র ও চেক রিপাবলিকেও করোনার উৎস হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

করোনার উৎস খুঁজতে চীনা বিজ্ঞানীরা ফাইলোজেনেটিক বিশ্লেষণ করেছেন। কারা মনে করেন, এ পদ্ধতি ব্যবহারে সবচেয়ে কম রূপান্তরিত অবস্থাটাই করোনার আসল রূপ।

তবে চীনা গবেষকদের এমন দাবির সঙ্গে দ্বিমত প্রকাশ করেছেন অন্যান্য দেশের বিশেষজ্ঞরা। এমনকি চীনাদের গবেষণাপত্র ‘খুবই ত্রুটিপূর্ণ এবং পক্ষপাতদুষ্ট’ বলে মন্তব্য করেছেন অধ্যাপক ডেভিড রবার্টসন। তিনি গ্লাসগো ইউনিভার্সিটির ভাইরাল জিনোমিক্স অ্যান্ড বায়োইনফরম্যাটিকস বিভাগের প্রধান।

The post চীনা গবেষকদের দাবি, করোনার উৎস ভারত-বাংলাদেশ! appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/33mFDoa

৩৬ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৯০৮

ফাতেহ ডেস্ক:

দেশে মরণঘাতী করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ১ হাজার ৯০৮ জনকে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। এতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৪ লাখ ৬০ হাজার ৬১৯ জন। এ সময় ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে আরো ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে এখন পর্যন্ত ৬ হাজার ৫৮০ জনের মৃত্যু হলো।

আজ শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে মোট ১১৮টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৩ হাজার ৭১৮টি। আগের নমুনাসহ পরীক্ষা করা হয়েছে ১৪ হাজার ১২টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২৭ লাখ ৪৩ হাজার ৫৯২টি।

উক্ত সময়ের মধ্যে আরো ১ হাজার ৯০৮ জনকে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৪ লাখ ৬০ হাজার ৬১৯ জন।

এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে আরো ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে ৬ হাজার ৫৮০ জনের মৃত্যু হলো। ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে ২৮ জন পুরুষ ও নারী ৮ জন। সবাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

একই সময়ে দেশে ২ হাজার ২০৯ জন সুস্থ (হাসপাতাল ও বাসা মিলে) হয়েছেন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৩ লাখ ৭৫ হাজার ৮৮৫ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক শূন্য ৬২ শতাংশ এবং সুস্থতার হার ৮১ দশমিক ৬০ শতাংশ। আর শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৩ শতাংশ।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে গত ৮ মার্চ। এ পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে গত ২ জুলাই। ওই দিন ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী হিসেবে শনাক্ত করা হয়।

অন্যদিকে, দেশে করোনা রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর অর্থাৎ গত ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যু ঘটে। এর মধ্যে গত ৩০ জুন ৬৪ জনের মৃত্যু হয়। যা এ পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু।

২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৩০ জন এবং খুলনা বিভাগে রয়েছেন ৩ জন। এ ছাড়া চট্রগ্রাম, বরিশাল ও রংপুর বিভাগে এক জন করে তিন জন রয়েছেন।

The post ৩৬ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ১৯০৮ appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3l9L5ks

Friday, November 27, 2020

অক্সফোর্ডের টিকায় উত্তর কোরিয়ার হ্যাকারদের হানা

ফাতেহ ডেস্ক:

অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির সঙ্গে মিলে ব্রিটিশ কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনা প্রতিরোধী টিকা এখন শেষপর্যায়ে আছে। এর মধ্যে অ্যাস্ট্রাজেনেকাতে হ্যাকারদের হামলার তথ্য প্রকাশ পেল।

ডয়চে ভেলে জানায়, এই ঘটনা জানেন এমন দুজন বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নেটওয়ার্কিং সাইট লিংকডইন এবং হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে হ্যাকাররা প্রথমে অ্যাস্ট্রাজেনেকার কর্মীদের সঙ্গে ভুয়া কাজের প্রস্তাব নিয়ে যোগাযোগ করেন। এরপর চাকরির কাগজ পাঠানোর নাম করে সেই কর্মীদের কাছে গোপনে ক্ষতিকর কোড পাঠানো হয়।

একবার সেসব কাগজ কম্পিউটারে ডাউনলোড করলেই সে কম্পিউটারের নিয়ন্ত্রণ চলে যায় হ্যাকারের হাতে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, কিছু নির্দিষ্ট মানুষকে লক্ষ্য করে এই হ্যাকিং চালানো হয়েছে। একটি সূত্র বার্তা সংস্থাটিকে জানিয়েছে, এসব মানুষের সবাই কোনো না কোনোভাবে কভিড-১৯ গবেষণার সঙ্গে যুক্ত। তবে প্রয়োজনীয় তথ্য নিতে হ্যাকাররা সফল হয়নি বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের।

জেনেভায় জাতিসংঘে উত্তর কোরিয়ার দূতের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও এ নিয়ে তাদের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। বিদেশি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে দেশটির যোগাযোগের কোনো সরাসরি উপায় নেই। তবে অতীতে সাইবার হামলার নানা অভিযোগ সবসময়ই অস্বীকার করে এসেছে উত্তর কোরিয়া।

অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা প্রস্তুতকারকেরাও এ নিয়ে রয়টার্সের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সূত্র জানায়, অ্যাস্ট্রাজেনেকায় হ্যাকিংয়ে যেসব পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে, মার্কিন কর্মকর্তা এবং সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা সেগুলো উত্তর কোরিয়ার দিকে ইঙ্গিত করে বলেই জানিয়েছেন।

এতদিন এসব হ্যাকিংয়ের লক্ষ্য ছিল প্রতিরক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সংবাদমাধ্যম। কিন্তু সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে কভিড-১৯ সংক্রান্ত গবেষণা আক্রমণের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে বলে তদন্তে জড়িত তিন কর্মকর্তা জানান।

করোনার টিকা গবেষণার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নিতে পারলে তা ব্যবসার উদ্দেশ্যে ব্যবহার, ব্ল্যাকমেল বা কোনো বিদেশি সংস্থাকে কৌশলগত সুবিধা পাইয়ে দেয়ায় ভূমিকা রাখতে পারে।

মাইক্রোসফট জানায়, এই সপ্তাহেই তারা দুটি উত্তর কোরীয় হ্যাকিং গ্রুপকে বিভিন্ন দেশে টিকার গবেষণাকে লক্ষ্য করে হামলা চালাতে দেখেছে। কোনো নির্দিষ্ট গ্রুপের নাম না বললেও মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্ট জানিয়েছে গ্রুপগুলো একইভাবে ‘ভুয়া কাজের প্রস্তাব দিয়ে ম্যাসেজ আদানপ্রদান করেছে৷’

দক্ষিণ কোরিয়ার আইনপ্রণেতারা শুক্রবার জানান, দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা একই ধরনের কয়েকটি হ্যাকিং প্রচেষ্টা বানচাল করে দিয়েছে৷

এর আগে ইরান, চীন ও রাশিয়ার হ্যাকাররা এ বছরের বিভিন্ন সময়ে টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো, এমনকি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাতেও হ্যাক করার চেষ্টা চালিয়েছে বলে জানায় রয়টার্স৷ তবে তেহরান, বেইজিং ও মস্কো এসব অভিযোগ অস্বীকার করে।

The post অক্সফোর্ডের টিকায় উত্তর কোরিয়ার হ্যাকারদের হানা appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/2V9qylg

শাহ মখদুম মেডিকেল শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, আহত ১০

ফাতেহ ডেস্ক:

শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে রাজশাহীর বেসরকারি শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।

শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় অন্তত ১০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নগরীর চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুম মুনীর বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, করোনার জন্য এখন প্রতিষ্ঠান বন্ধ। শিক্ষার্থীরা কলেজের হোস্টেলে যাচ্ছিলেন শীতের কাপড় বের করার জন্য। তখন কলেজের কর্মচারীরা তাদের ঢুকতে বাধা দেন। এ সময় দু’পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, কলেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিরুজ্জামান স্বাধীনের ভাই টিটু ও মিঠুসহ অন্যান্য কর্মচারী এবং বহিরাগত ভাড়াটে লোকজন তাদের ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে থানায় মামলা করা হবে বলে জানানো হয়।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) অনুমোদনহীন এই প্রতিষ্ঠানটিতে কয়েক দফায় ২২৫ শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়েছে। গত ২ নভেম্বর স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব বদরুন নাহার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে কলেজটি বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানান কলেজের শিক্ষার্থীরা। তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের অন্য যে কোনও মেডিকেল কলেজে স্থানান্তরের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। এরই মধ্যে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। মন্ত্রণালয় এই আবেদন গ্রহণ করেছে।

এ জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি দল শনিবার (২৮ নভেম্বর) কলেজটি পরিদর্শনে আসবে। এর আগের দিনই কলেজের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটল। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিরুজ্জামান স্বাধীন বলছেন, দুপক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। তবে এটি শিক্ষার্থীদের পরিকল্পিত ঘটনা। শনিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি দল আসছে বলেই ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে।

চন্দ্রিমা থানার ওসি সিরাজুম মুনীর বলেন, কয়েকজন শিক্ষার্থী থানায় এসেছেন। তাদের অভিযোগ শোনা হচ্ছে। তারা মামলা করতে চান। মামলা হলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

The post শাহ মখদুম মেডিকেল শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, আহত ১০ appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3mlpPty

উচ্চ আদালতে ঝুলছে ১২ আলোচিত মামলার বিচার

ফাতেহ ডেস্ক:

আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর বেশ কয়েকটি মামলায় বিচারিক আদালতে রায় হলেও উচ্চ আদালতে সেগুলোর শুনানি ও নিষ্পত্তির গতি নেই। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা, ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা, রমনার বটমূলে বোমা বিস্ফোরণ মামলা, গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় বোমা পুঁতে রাখার মামলা, হলি আর্টিজান মামলা, ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসা শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফি হত্যার মতো গুরুত্বপূর্ণ মামলাগুলোর বিচারকাজ একপ্রকার থমকে আছে। দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে আছে ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদন্ড অনুমোদন) ও আপিলের মামলাও। এছাড়া হাইকোর্টে নিষ্পত্তি হলেও আপিল বিভাগে দীর্ঘদিন ধরে শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে পিলখানা হত্যা মামলা, নারায়ণগঞ্জের সাত খুন মামলা, পুরান ঢাকার দর্জি বিশ্বজিৎ হত্যা মামলা, টঙ্গীর আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলা, সিলেটের রাজন হত্যা মামলা, খুলনার রাকিব হত্যা মামলাসহ বেশ কয়েকটি চাঞ্চল্যকর মামলা।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা জানান, চলতি বছরের শুরুতে চাঞ্চল্যকর মামলাগুলো দ্রুত শুনানির উদ্যোগ নেয় সুপ্রিম কোর্ট ও অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়। কিন্তু করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে বছরের শুরু থেকে লম্বা সময় উচ্চ আদালত বন্ধ থাকে। একপর্যায়ে সীমিত পরিসরে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে শুনানি শুরু হলেও চাঞ্চল্যকর মামলা নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেওয়া যায়নি।

অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন জানান, করোনা পরিস্থিতির কারণে স্বাভাবিক বিচারকাজ ব্যাহত হচ্ছে। পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হলেই চাঞ্চল্যকর মামলাগুলোর বিষয়ে উদ্যোগ নেবেন তিনি। অন্যদিকে সংশ্লিষ্ট মামলার আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বলছেন, ন্যায়বিচারের স্বার্থে দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা এসব মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।

সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্সের অন্তত ৭৮৬টি মামলা শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে। এর মধ্যে রাজধানীর পিলখানায় বিডিআর (বর্তমান বিজিবি) সদর দপ্তরে সংঘটিত হত্যা মামলায় ২০১৭ সালের ২৬ ও ২৭ নভেম্বর হাইকোর্টের রায়ে ১৩৯ জনের মৃত্যুদন্ড বহাল থাকে। এছাড়া হাইকোর্টের রায়ে যাবজ্জীবন কারাদন্ড পান ১৮৫ আসামি। পাশাপাশি ২০০ আসামিকে দেওয়া হয় বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড। হাইকোর্টের রায়ের দুই বছরের বেশি সময় পর গত ১৩ জানুয়ারি পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। তবে দেশের ফৌজদারি মামলার বিচারের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক আসামির এ মামলার বিচারকাজ আপিল বিভাগে এখনো শুরু হয়নি।

নারায়ণগঞ্জের চাঞ্চল্যকর সাত খুন মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ের পর ২০১৭ সালের ২২ আগস্ট হাইকোর্ট এক রায়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা সাবেক কাউন্সিলর নুর হোসেন, র‌্যাব-১১-এর বরখাস্ত কর্মকর্তা তারেক সাঈদসহ ১৫ জনের মৃত্যুদন্ড বহাল রাখে। এরপর ২০১৮ সালের ১৯ নভেম্বর হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। নিয়ম অনুযায়ী দন্ডপ্রাপ্ত ও পলাতক আসামিরা আপিল বিভাগে আবেদন করেন। কিন্তু তিন বছরের বেশি সময় পার হলেও আপিল বিভাগে শুনানি শুরু হয়নি।

পুরান ঢাকায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হাতে নিহত দর্জি বিশ্বজিৎ হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতে আটজনের মৃৃত্যুদন্ডের রায় হয়। ২০১৭ সালের ৬ আগস্ট হাইকোর্ট দুজনের মৃত্যুদন্ড বহাল, চারজনের মৃত্যুদন্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত দুজনকে খালাস দেয়। এছাড়া বিচারিক আদালতে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ১৩ জনের মধ্যে যে দুজন আপিল করেন তারাও খালাস পান। ওই বছরের ৩১ অক্টোবর হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হলে কারাগারে থাকা দন্ডপ্রাপ্তরা আপিল করেন। কিন্তু তিন বছরের বেশি সময়েও এ মামলার শুনানি শুরুর উদ্যোগ নেই।

২১ আগস্ট মামলায় ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর বিচারিক আদালত সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদন্ড এবং বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের রায় দেয়। ওই বছরের ২৭ নভেম্বর ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। রায়ের বিরুদ্ধে দন্ডপ্রাপ্তরাও (পলাতক ছাড়া) আপিল ও জেল আপিল করেন। কারাগারে থাকা সাজাপ্রাপ্তদের ৪৪টি আপিল ২০১৯ সালের ১৩ জানুয়ারি হাইকোর্ট শুনানির জন্য গ্রহণ করে। সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন গত আগস্টে জানায়, এ মামলায় পেপারবুক প্রস্তুত হয়েছে। তবে দেশ-বিদেশে আলোচিত এ মামলা বিচারিক আদালতে শেষ হলেও দুই বছরেও হাইকোর্টে শুনানি শুরু হয়নি।

২০১৭ সালের ১১ এপ্রিল সিলেটের শিশু রাজন হত্যা মামলায় প্রধান আসামি কামরুল ইসলামসহ চারজনকে বিচারিক আদালতের দেওয়া মৃত্যুদন্ডের রায় বহাল রেখে রায় দেয় হাইকোর্ট। ওই বছরের ২৫ জুলাই পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। এছাড়া খুলনায় পায়ুপথে বাতাস ঢুকিয়ে শিশু রাকিবকে হত্যা মামলায় হাইকোর্ট ২০১৭ সালের ৪ এপ্রিল দুই আসামির সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন সাজা কারাদ- দেয়। ওই বছর ৩ মে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হয়। কিন্তু সাড়ে তিন বছরেও আলোচিত এ দুটি হত্যা মামলায় আপিল বিভাগে শুনানি শুরু হয়নি।

গাজীপুরের টঙ্গীতে আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতে মৃত্যুদন্ড পাওয়া ২২ জনের মধ্যে ছয়জনের ফাঁসির দ- ২০১৬ সালের ১৫ জুন এক রায়ে বহাল রাখে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে সাতজনের মৃত্যুদন্ড কমে যাবজ্জীবন ও সাতজন খালাস পান। এছাড়া বিচারিক আদালতে যাবজ্জীবন পাওয়া ছয়জনের মধ্যে দুজনের সাজা বহাল থাকে। চারজন খালাস পান। ওই বছরের ৭ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হয়। আপিল বিভাগে এ মামলাটিরও শুনানি অদ্যাবধি শুরু হয়নি।

ফেনীর সোনাগাজীতে স্থানীয় ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা মামলায় ফেনীর বিচারিক আদালত এক রায়ে ১৬ আসামির সবাইকে মৃত্যুদন্ড দেয়। নিয়ম অনুযায়ী বিচারিক আদালতের রায়ের পর গত বছর ২৯ অক্টোবর মৃত্যুদন্ড অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স নথি হাইকোর্টে আসে। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা জানিয়েছিলেন, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এ মামলার শুনানির উদ্যোগ নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে পেপারবুক প্রস্তুত হলেও শুনানি এখনো শুরু হয়নি।

চট্টগ্রামে ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালান মামলায় ২০১৪ সালের ৩০ জানুয়ারি চট্টগ্রামের বিচারিক আদালত এক রায়ে ১৪ জনকে মৃত্যুদন্ড ও যাবজ্জীবন কারাদন্ডের রায় দেয়। হাইকোর্টের একটি বেঞ্চে ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানির জন্য উঠলে ২০১৯ সালের ৮ জানুয়ারি বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারক এ মামলায় চট্টগ্রামের বিচারিক আদালতে মামলাসংশ্লিষ্ট কিছু বিষয়ে শুনানি নিয়েছিলেন জানিয়ে এটি শুনতে অপারগতা প্রকাশ করে নতুন বেঞ্চে শুনানির কথা বলেন। কিন্তু পরে আর শুনানির উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারি রেস্তোরাঁয় নারকীয় জঙ্গি হামলা মামলায় গত বছর ২৭ নভেম্বর বিচারিক আদালতের রায়ে সাত জঙ্গিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকরের কথা বলা হয়। রায়ের মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত সাতজনের ডেথ রেফারেন্স বিচারিক আদালত থেকে গত বছর ৫ ডিসেম্বর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় পাঠানো হয়। গত ১৮ আগস্ট এ মামলার পেপারবুক বিজি প্রেস থেকে হাইকোর্টে এলেও এখন পর্যন্ত শুনানি শুরু হয়নি।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির কারণে আদালত এখনো পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। ভার্চুয়াল এবং নিয়মিত বেঞ্চে বিচারকাজ চলছে। জ্যেষ্ঠ আইনজীবীরা এখনো আদালতে আসতে পারছেন না। আদালতও পুরো সময় ধরে হচ্ছে না। এসব নানা সমস্যার কারণে গুরুত্বপূর্ণ মামলারগুলোর শুনানি শুরু করা যাচ্ছে না। তবে আমরা আশা করছি এ অবস্থা অচিরেই কেটে উঠবে এবং তখনই শুনানির উদ্যোগ নেব।’ তিনি বলেন, এটি নিশ্চিত করে বলতে পারি গুরুত্বপূর্ণ এ মামলাগুলো আমাদের নজরে রয়েছে। কোর্টের স্বাভাবিক শুনানি শুরু হলেই আমরা উদ্যোগ নেব।’

জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ‘শুধু এ মামলাগুলোই নয়, অসংখ্য ডেথ রেফারেন্স, যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত আসামির আপিল দীর্ঘদিন ধরে নিষ্পত্তি হচ্ছে না। যে আসামি মৃত্যুদন্ডের সাজা নিয়ে বছরের পর বছর কারাগারের কনডেম সেলে কাটালেন এবং যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত যে আসামি ইতিমধ্যে কয়েক বছর কারাগারে কাটিয়ে দিলেন এখন সেসব আসামি যদি উচ্চ আদালতের রায়ে খালাস পান তাহলে তার মানসিক অবস্থা কী হয়?’ তিনি বলেন, ‘বিচারপ্রার্থীর দ্রুত বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে। আমরা চাইব ন্যায়বিচারের স্বার্থে মামলাগুলোর দ্রুত নিষ্পত্তির ব্যবস্থা নেওয়া হোক।’

The post উচ্চ আদালতে ঝুলছে ১২ আলোচিত মামলার বিচার appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/2JgnXn4

Thursday, November 26, 2020

করোনায় মারা গেলেন সুদানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহদি

আন্তর্জতিক ডেস্ক:

গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সুদানের শেষ প্রধানমন্ত্রী সাদিক আল মাহদি ৮৪ বছর বয়সে মারা গেছেন। তার জাতীয় উম্মা পার্টি আজ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সংযুক্ত আরব আমিরাতে তিন সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে থাকার পর তিনি করোনাভাইরাসে মারা যান। গত মাসেই তাকে করোনাভাইরাসে পজিটিভ বলে সনাক্ত করা হয়।

১৯৮৯ সালে দ্বিতীয় দফা প্রধানমন্ত্রী থাকার সময়ে এক সামরিক অভ্যুত্থানে মাহদিকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। এর ফলে সাবেক প্রেসিডেন্ট ওর আল বাশার আবার ক্ষমতা দখল করেন।

তিনি তিন দশক ধরে ক্ষমতায় থাকার পর গত বছর একটি অভূত্থানে তিনি নিজেই ক্ষমতাচ্যুত হন। তবে সুদানে নেতৃত্বের এই সব পরিবর্তনের মধ্যেও আল মাহদি একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি ছিলেন। উম্মা পার্টি এক বিবৃতিতে বলেছে যে, সুদানের ওমদুরমান শহরে শুক্রবার মাহদিকে সমাহিত করা হবে।

The post করোনায় মারা গেলেন সুদানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহদি appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/2Ji2JFv

ওআইসির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক আজ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক শুরু হচ্ছে আজ (শুক্রবার)। বৈঠকে রোহিঙ্গা গণহত্যায় আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) মামলাটি এজেন্ডাগুলোর মধ্যে উঠে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। খবর বাসস।

ওআইসি মহাসচিব ড. ইউসুফ আল-ওথাইমিন এক বিবৃতিতে বলেন, কাউন্সিল অব ফরেন মিনিস্টারস (সিএফএম) রোহিঙ্গা মামলার জন্য তহবিল সংগ্রহের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবে। এছাড়া মুসলিম বিশ্বের অন্যান্য বিষয় যেমন- ফিলিস্তিন, সহিংসতার বিরুদ্ধে লড়াই, চরমপন্থা ও সন্ত্রাসবাদ, ইসলামোফোবিয়া এবং ধর্মীয় মানহানির বিষয়ে আলোচনা করা হবে।

নাইজারের রাজধানী নিয়ামে ২৭ ও ২৮ নভেম্বর দুদিনব্যাপী ওআইসির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ৪৭তম এ অধিবেশনের আয়োজন করেছে ওআইসির জেনারেল সেক্রেটারির দফতর। ওআইসির পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা দুদিন ধরে রাজনৈতিক, মানবিক, অর্থনৈতিক, আর্থ-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পর্কিত অন্যান্য বিষয়, গণমাধ্যম এবং ওআইসির প্ল্যান অব অ্যাকশন-২০২৫ এর বিষয়ে আলোচনা করবেন।

ওআইসি সচিবালয় জানায়, অ-সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মুসলিম সংখ্যালঘু ও সম্প্রদায়ের পরিস্থিতি এবং সেই সঙ্গে সভ্যতা, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় সংলাপের প্রচারণা এবং অন্যান্য বিষয় কাউন্সিলের সামনে আসতে পারে।

মঙ্গলবার বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেন, ওআইসি রোহিঙ্গা ইস্যুটিকে গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে, জাতিসংঘে ওআইসির সমস্ত সদস্যই এ বিষয়ে আমাদের জোরালো সমর্থন করছে।

মোমেন আশা করেন, রোহিঙ্গা সংকট মূলত সিএফএম এজেন্ডায় বড়দাগে আধিপত্য বিস্তার করবে যা মিয়ানমারের ওপর নতুন করে চাপ সৃষ্টি করবে এবং বাংলাদেশ থেকে তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নেবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সিএফএমে যাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু নাইজারে যাওয়ার একদিন আগে ঢাকায় কোভিড পরীক্ষায় তার করোনাভাইরাস পজিটিভ ধরা পড়ে। তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে ওআইসিতে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাভেদ পাটোয়ারী বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন।

The post ওআইসির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক আজ appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/37ftLph

Wednesday, November 25, 2020

করোনায় সুদানের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যু

ফাতেহ ডেস্ক:

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সুদানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী সাদিক আল-মাহদী মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) পারিবারিক সূত্রে ও পার্টির এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) একটি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার তিন সপ্তাহ পরে তিনি মারা গেছেন।

৮৪ বছর বয়সী আল-মাহদী সুদানের সর্বশেষ গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ১৯৮৯ সালে এক সামরিক অভ্যুত্থানে সাবেক প্রেসিডেন্ট ওমর আল-বশির তাকে ক্ষমতাচ্যুত করেন।

গত মাসে আল-মাহদী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন বলে তার পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল। সুদানের একটি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে আমিরাতে স্থানান্তর করা হয়েছিল।

The post করোনায় সুদানের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যু appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3fBQorR

করোনায় বিশ্বে মৃত্যু ছাড়াল ১৪ লাখ ২৬ হাজার

ফাতেহ ডেস্ক:

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় বিশ্বের প্রতিটি দেশ কঠোর অবস্থানে আছে। এরমধ্যেও বিশ্বজুড়ে এ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬ কোটি ৭ লাখ। আর এ মহামারিতে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৪ লাখ ২৬ হাজার।

করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের সংখ্যা ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) সকাল পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১৪ লাখ ২৬ হাজার ৮২৩ জনের এবং আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ কোটি ৭ লাখ ১৯ হাজার ৯৩৬ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪ কোটি ২০ লাখ ৩০ হাজার ২৩৪ জন।

বিশ্বে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে, ২ লাখ ৬৮ হাজার ২১৯ জন। বিশ্বে সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যাও এই দেশটিতে। বিশ্বের ক্ষমতাধর এ দেশটিতে এখন পর্যন্ত এক কোটি ৩১ লাখ ৩৭ হাজার ৯৬২ জন আক্রান্ত হয়েছেন।

করোনা আক্রান্তের সংখ্যায় দ্বিতীয় এবং মৃতের সংখ্যায় তৃতীয় অবস্থানে আছে ভারত। দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৯২ লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৭ জন। এখন পর্যন্ত দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন এক লাখ ৩৫ হাজার ২৬১ জন।

করোনা আক্রান্তের সংখ্যায় তৃতীয় এবং মৃতের সংখ্যায় দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ব্রাজিল। দেশটিতে এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬১ লাখ ৬৬ হাজার ৮৯৮ জন। এখন পর্যন্ত দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন এক লাখ ৭০ হাজার ৭৯৯ জন।

করোনায় মৃতের সংখ্যার দিক থেকে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে মেক্সিকো। দেশটিতে এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ লাখ ৩ হাজার ৫৯৭ জন। আর এ পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছে ১০ লাখ ৭০ হাজার ৪৮৭ জন।

আক্রান্তের দিক থেকে চতুর্থ অবস্থানে উঠে এসেছে ফ্রান্স। দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ২১ লাখ ৭০ হাজার ৯৭ জন। আর মৃতের সংখ্যা ৫০ হাজার ৬১৮ জন।

সুস্থতার দিক থেকে প্রথম অবস্থানে আছে ভারত (৮৬ লাখ ৭৭ হাজার ৯৮৬ জন), দ্বিতীয় অবস্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্র (৭৮ লাখ ৫ হাজার ২৮০ জন) এবং তৃতীয় অবস্থানে আছে ব্রাজিল (৫৫ লাখ ১২ হাজার ৮৪৭ জন)।

গত বছরের ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হয়। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২১৮টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে কোভিড-১৯।

The post করোনায় বিশ্বে মৃত্যু ছাড়াল ১৪ লাখ ২৬ হাজার appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3mbNCfo

প্রায় ৭ কোটি ডোজ করোনার ভ্যাকসিন পাচ্ছে বাংলাদেশ

ফাতেহ ডেস্ক:

৬৮ মিলিয়ন বা ৬ কোটি ৮০ লাখ ডোজ করোনার ভ্যাকসিন পাচ্ছে বাংলাদেশ। প্রতিজন দুই ডোজ করে এই ভ্যাকসিন পাবেন। মোট জনসংখ্যার শতকরা ২০ শতাংশ হারে ধাপে ধাপে বাংলাদেশ এই ভ্যাকসিন পাবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আগামী ২০২১ সালের মধ্যে এই ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে।

গতকাল বুধবার ‘কোভিড-১৯ এবং স্বাস্থ্য বিষয়ক হালনাগাদ তথ্য অবহিতকরণ সভা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মা, শিশু ও কৈশোর স্বাস্থ্য কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. শামসুল হক এ তথ্য জানান।

প্রসঙ্গত, ভ্যাকসিন নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিন অ্যান্ড ইমিউনাইজেশন (জিএভিআই বা গ্যাভি-টিকা বিষয়ক আন্তর্জাতিক জোট) কাজ করছে। আর যখনই ভ্যাকসিন আসুক না কেন, সারা পৃথিবীর মানুষ যেন একসঙ্গে পায় সে বিষয়ে গত ৪ জুন গ্লোবাল ভ্যাকসিন সামিট হয়েছে। সেখানে সিদ্ধান্ত হয় ‘কো ভ্যাক্স’ ফ্যাসিলিটির মাধ্যমে পৃথিবীর সবাই যেন সমহারে ভ্যাকসিন পায়।

ডা. শামসুল হক বলেন, ‘সারা পৃথিবীতেই এখন ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ হচ্ছে। কিন্তু ভ্যাকসিন যেটাই আসুক আমরা যেন সেটা পেতে পারি সে লক্ষ্যেই কাজ হচ্ছে। যারা আগে জাতীয় ভ্যাকসিন বিতরণ পরিকল্পনা জমা দেবে তারাই আগে ভ্যাকসিন পাবে। গ্যাভি যখন থেকে পরিকল্পনা জমা নেওয়া শুরু করবে, আশা করছি আমরা প্রথম দিনই আমাদের পরিকল্পনা জমা দিতে পারব।’

তিনি জানান, গত জুলাই মাসের শুরুর দিকে বাংলাদেশ কোভ্যাক্সে আবেদন করে এবং গ্যাভি সেটি গ্রহণ করে গত ১৪ জুলাই। বাংলাদেশ গ্যাভির কাছ থেকে ৬৮ মিলিয়ন বা ছয় কোটি ৮০ লাখ ভ্যাকসিন পাবে (দুই ডোজ) ২০ শতাংশ জনগোষ্ঠীর জন্য। সে হিসাবে প্রথমে ৩৪ মিলিয়ন বা তিন কোটি ৪০ লাখ মানুষের জন্য প্রথম ধাপে করোনার ভ্যাকসিন পাবে বাংলাদেশ।

তবে গ্যাভি এটা বিনা পয়সায় দেবে না। এজন্য কো ফিন্যান্সিং এ যেতে হবে সরকারকে। এটা এক দশমিক ছয় থেকে দুই ডলারের মধ্যে কিনতে পারব। আর বাংলাদেশ এ নিয়ে কাজ করছে। তবে ভ্যাকসিন আসার আগে জরুরি হচ্ছে ন্যাশনাল ভ্যাকসিন ডেপ্লয়মেন্ট প্ল্যান নিয়ে কাজ হচ্ছে যেটা একেবারেই শেষ পর্যায়ে বলে জানান ডা. শামসুল হক।

তিনি আরও বলেন, ‘গ্যাভি ভ্যাকসিন ছাড়াও বাংলাদেশ সরকার সরাসরি ভ্যাকসিন কেনার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে। সরকার, ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট ও বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের মধ্যে একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ অক্সফোর্ডের অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন কিনতে পারবে চার ডলারের বিনিময়ে, উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান থেকে পরিবহন খরচ সব মিলিয়ে এর সঙ্গে পরে যোগ হবে আরও এক ডলার। সেখান থেকে বাংলাদেশ কিনতে পারবে ৩০ মিলিয়ন ডোজ । আর এজন্য অর্থ বিভাগ থেকে প্রায় ৭৩৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। তবে এই ভ্যাকসিন অবশ্যই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রি কোয়ালিফায়েড হতে হবে। উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ও বাংলাদেশের ওষুধ প্রশাসন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন থাকতে হবে। জনগণের সেফটির (নিরাপত্তা) কথা চিন্তা করে সবকিছু করা হবে যদিও চুক্তি করা হয়েছে।’

‘এ দুটি ভ্যাকসিনের সোর্স ছাড়াও সিনোভ্যাকের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে, রাশিয়ার স্পুৎনিক এগিয়ে আসছে, তাদের সঙ্গেও আমাদের যোগাযোগ রয়েছে’, যোগ করেন ডা. শামসুল হক।

তিনি বলেন, জেএসকের সেনোফি এবং ফাইজারের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। যদি সেরকম ‘আর্জেন্সি’ হয়ে তাহলে কিভাবে তাদের ভ্যাকসিন পাওয়া যেতে পারে সে নিয়েও কথা হচ্ছে। তবে কোনও কোনও ভ্যাকসিন আমাদের দেশের আবহাওয়ার সঙ্গে খুবই ‘কোয়েশ্চেনেবল’ এবং পৃথিবীর অনেক দেশেই এত ‘লো টেম্পারেচার’ এর ব্যবস্থা না থাকায় তারাও এ নিয়ে চিন্তিত। এসব ভ্যাকসিন বিষয়ে কাজ করতে কোভিড ভ্যাকসিন ম্যানেজমেন্ট কমিটি গঠন করেছে সরকার। এ ছাড়াও বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপ অব ভ্যাকসিন ম্যানেজমেন্ট কাজ করছে। রয়েছে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রিপায়ের্ডনেস অ্যান্ড ডেপ্লয়মেন্ট কোর কমিটি।

তিনি জানান, সিরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে চুক্তির শর্ত অনুযায়ী বাংলাদেশ পর্যায়ক্রমে তিন কোটি ভ্যাকসিন পাবে। এরজন্য সরকারের ব্যয় হবে এক হাজার পাঁচশত উননব্বই কোটি তেতাল্লিশ লাখ টাকা। অর্থাৎ ভ্যাকসিন কেনা থেকে শুরু করে মানুষের শরীরে দেওয়া পর্যন্ত এই টাকা প্রয়োজন হবে। ইতিমধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয় অর্ধেক পরিমাণ প্রায় ৭৩৫ কোটি ৭৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা ছাড় করেছে।

মত বিনিময় অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশিদ আলমের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের (সিএমএসডি) পরিচালক আবু হেনা মোর্শেদ জামান, স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ( প্রশাসন) ডা. নাসিমা সুলতানা, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরাসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।

The post প্রায় ৭ কোটি ডোজ করোনার ভ্যাকসিন পাচ্ছে বাংলাদেশ appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/366EHpT

অবশেষে বাইডেনকে অভিনন্দন জানিয়েছে চীন

ফাতেহ ডেস্ক:

যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে অবশেষে অভিনন্দন জানিয়েছেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। এ সময় দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের ব্যাপারেও আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন চীনের কমিউনিস্ট সরকারের প্রধান।

এতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে গত ৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী জো বাইডেনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। পাশাপাশি তিনি দুই দেশের মধ্যে সুস্থ ও স্থিতিশীল সম্পর্ক তৈরির ব্যাপারে আশা প্রকাশ করেছেন।

প্রসঙ্গত, বাণিজ্য যুদ্ধ, হংকং ও তাইওয়ান ইস্যু এবং করোনার মহামারি নিয়ে বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের সঙ্গে জিনপিং প্রশাসনের সম্পর্কে তীব্র শীতলতা বিরাজ করছে। সেখান থেকে বেরিয়ে আসারই ইঙ্গিত দিয়েছেন শি।

জো বাইডেনকে অভিনন্দন বার্তায় সেটাই বোঝাতে চেয়েছেন চীনা প্রেসিডেন্ট। বলেছেন, চীন-মার্কিন সম্পর্ক স্থিতিশীল হোক, সেটা শুধু দুই দেশের মানুষেরই চাওয়া নয়, বরং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও তা প্রত্যাশা করে।

নির্বাচনে বিজয়ী হলেও ট্রাম্পের মেনে না নেওয়া এবং আইনি লড়াই চালানোর ঘোষণায় বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ বাইডেনকে প্রথমে শুভেচ্ছা জানায়নি। তার মধ্যে অন্যতম হলো চীন। কারণ হিসেবে দেশগুলো পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের কথা জানায়।

পরে একে একে দেশগুলো বাইডেনকে অভিনন্দন জানায়। এরই এক পর্যায়ে গত ১৩ নভেম্বর চীনের পক্ষে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্টকে অভিনন্দন জানায়। আর বুধবার দেশটির প্রেসিডেন্ট জিনপিং বাইডেনকে অভিনন্দন জানালেন।

The post অবশেষে বাইডেনকে অভিনন্দন জানিয়েছে চীন appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/2HB5ill

করোনায় আক্রান্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র সচিব

ফাতেহ ডেস্ক:

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) রাতে তার ফলাফল পজিটিভ আসে। খবর বাসস।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপিতে বলা হয়, ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের ৪৭তম সম্মেলনে যোগদানের জন্য নাইজার সফর উপলক্ষে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার অংশ হিসেবে তার করোনা পরীক্ষা করা হয়। মঙ্গলবার রাতে পরীক্ষার ফলাফল জানা যায়। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শরীরে এ সময় করোনার কোনো লক্ষণ ছিল না।

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নাইজার সফর বাতিল করা হয়েছে। ওআইসির এ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নেতা হিসেবে তার যোগদানের কথা ছিল। তিনি চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে বর্তমানে বাসায় আইসোলেশনে আছেন এবং সুস্থ আছেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সৌদি আরবের রিয়াদের বাংলাদেশ দূতাবাস, তথা ওআইসিতে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি দল এ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন বলে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

উল্লেখ্য, নাইজার সফর উপলক্ষে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের করোনা পরীক্ষা করা হলে তারও পজিটিভ ফলাফল আসে। তিনিও চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে বাসায় আইসোলেশনে আছেন এবং সুস্থ আছেন।

The post করোনায় আক্রান্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র সচিব appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3m3bWzO

Tuesday, November 24, 2020

দাম মাত্র ৮৪৭ টাকা, রাশিয়ার ভ্যাকসিন নিয়ে বিশ্বে তোলপাড়

ফাতেহ ডেস্ক:

করোনা সামলাতে এখনো বেসামাল বিশ্ব। ভ্যাকসিন কবে আসবে, তা নিয়ে চলছে অধীর অপেক্ষা। এরই মাঝে সম্প্রতি ব্রিটিশ-সুইডিশ ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকা সুখবর শুনিয়েছিল।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে তাদের তৈরি করা করোনা ভ্যাকসিন ৯০ শতাংশ কার্যকরী বলে দাবি করেছে সংস্থাটি। আর এবার পালা রাশিয়ার! তাদের ভ্যাকসিন সবচেয়ে নিরাপদ বলে আগেই দাবি করেছিল ভ্লাদিমির পুতিনের দেশ।

এবার তাদের তরফে দাবি করা হল, প্রথম দফায় ৯২ শতাংশ সাফল্যের পর দ্বিতীয় দফাতেও এই ‘স্পুটনিক V’ ভ্যাকসিন ৯৫ শতাংশেরও বেশি কার্যকরী। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, গামালেয়া রিসার্চ সেন্টারের তরফে জানান হয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে ‘স্পুটনিক V ভ্যাকসিনের দাম ১০ ডলারের কম হতে পারে। বাংলাদেশি মুদ্রায় তার প্রায় ৮৪৭ টাকা। যা বিশ্বের সবচেয়ে সস্তা ভ্যাকসিন হবে বলে দাবি রাশিয়ার।

মঙ্গলবার রাশিয়ার গামালেয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউট অফ এপিডেমিওলজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজি এবং রাশিয়ান ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের (আরডিআইএফ) তরফে জানানো হয়েছে, দ্বিতীয় দফায় প্রথম দফার ২৮ দিন পরে করোনা সংক্রমণ রুখতে ৯১.৪ শতাংশ কার্যকরী হয়েছে ‘স্পুটনিক V’। মোট ৩৯টি কেসের ক্ষেত্রে সেই মূল্যায়ন করা হয়েছে।
রাশিয়ার তরফে জানানো হয়েছে, ৪২ দিন পর ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা বেড়ে হয়েছে ৯৫ শতাংশ।

যদিও চূড়ান্ত মূল্যায়নের জন্য কতগুলো করোনা কেস নেওয়া হয়েছিল, তা অবশ্য জানায়নি রাশিয়া। গামালেয়ার কর্মকর্তা অ্যালেক্সজান্ডার জিন্টসবার্গ বলেন, ‘স্বেচ্ছাসেবকদের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার এক সপ্তাহ পর দ্বিতীয় দফার মূল্যায়ন করা হয়েছিল। দুটি ডোজের ক্ষেত্রেই সাড়া দিয়েছে শরীর।’

তবে, দ্বিতীয় ডোজের তৃতীয় সপ্তাহ পর থেকে কার্যকারিতার হার অনেক বেশি করে বাড়বে বলে জানিয়েছে রাশিয়া। তবে, ভ্যাকসিনটিকে ২-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস (৩৫.৬ থেকে ৪৬.৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট)-এর মধ্যে রাখতে হবে।

অপরদিকে, ব্রিটেন ও ব্রাজিলে উচ্চপর্যায়ের গবেষণার পর অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের বিষয়ে অ্যাস্ট্রাজেনেকার তরফে জানানো হয়েছিল, ভ্যাকসিনের একটি ডোজ প্রয়োগের পর মানব শরীরে তা ৯০ শতাংশ পর্যন্ত কার্যকর হতে পারে। তবে এক মাস পর ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ দিয়ে দেখা গিয়েছে, কার্যকারিতা রাশিয়ার ভ্যাকসিনের উলটো পথে, ৬২ শতাংশে নেমে এসেছে। সেই কারণে ভ্যাকসিনের গড় কার্যকারিতা ৭০ শতাংশ বলে দাবি অ্যাস্ট্রাজেনেকার।

অ্যাস্ট্রাজেনেকার চিফ এগজিকিউটিভ পাস্কাল সরিওটের দাবি, ‘করোনা মোকাবিলায় এই ভ্যাকসিন যথেষ্ট কার্যকার এবং মানব শরীরে নিরাপদ। এই ভ্যাকসিন বাজারে এলে জনস্বাস্থ্যে তাৎক্ষণিক প্রভাব পড়বে। করোনার প্রকোপও অনেকটাই রুখে দেওয়া সম্ভব হবে।’ কিন্তু অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন বাজারে কবে আসবে?

জানানো হয়েছে, ‘চূড়ান্ত অনুমোদন পেলেই ভ্যাকসিনের লক্ষাধিক ডোজ সরবরাহ করা হবে। এই ভ্যাকসিন তৃতীয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের হাতে সহজে পৌঁছে দিতেই ব্যবস্থা নেবে সংস্থা। বিশ্বজুড়েই এটি সহজলভ্য করে তোলা আমাদের লক্ষ্য।’

The post দাম মাত্র ৮৪৭ টাকা, রাশিয়ার ভ্যাকসিন নিয়ে বিশ্বে তোলপাড় appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/2J60AwM

মাধ্যমিকে লটারিতে শিক্ষার্থী ভর্তি

ফাতেহ ডেস্ক:

করোনার কারণে আগামী শিক্ষাবর্ষে মাধ্যমিক স্তরে লটারির মাধ্যমেই শিক্ষার্থী ভর্তির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। যদিও বিগত দিনে প্রথম শ্রেণী ছাড়া অন্যান্য শ্রেণীতে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমেই শিক্ষার্থী ভর্তি করা হতো। তবে এ বছর করোনার ঝুঁকি এড়াতে পরীক্ষাপদ্ধতি বাদ দিয়ে লটারির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আজ বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে শিক্ষামন্ত্রী এই সিদ্ধান্ত জানাবেন।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, নতুন শিক্ষাবর্ষে বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তির সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়েছে। আজ বুধবার শিক্ষামন্ত্রী ডা: দীপু মনি আনুষ্ঠানিকভাবে এই তথ্য সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানাবেন।
করোনার কারণে এ বছর ভর্তি পরীক্ষার পরিবর্তে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণীতে শূন্য আসনের বিপরীতে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী বাছাই এবং ভর্তি করতে নীতিমালা সংশোধন করা হচ্ছে। চলতি সপ্তাহে এ নীতিমালা জারি করা হতে পারে।

উল্লেখ্য, বর্তমানে দেশে ৬৮৩টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে শুধু রাজধানীতে আছে ৪২টি। বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় আছে ১৯ হাজার ৪২১টি। এর মধ্যে ১৬ হাজার ৭৭৫টি এমপিওভুক্ত, বাকি দুই হাজার ৬৪৬টি নন-এমপিও প্রতিষ্ঠান।

সূত্র আরো জানায়, লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তির সিদ্ধান্ত হলেও লটারির সময়ে কোনো অভিভাবক স্কুলে উপস্থিত থাকতে পারবেন না। একটি কমিটি এই লটারি পরিচালনা করবেন। নীতিমালায় স্পষ্ট উল্লেখ থাকবে যে, লটারির এ আয়োজনে অভিভাবকদের উপস্থিত থাকতে দেয়া হবে না। একটি ভর্তি কমিটি গঠন করে লটারির কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, প্রতি বছর প্রথম শ্রেণীর ভর্তিতে লটারি এবং দ্বিতীয় থেকে অষ্টম শ্রেণীতে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করা হলেও করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে নতুন শিক্ষাবর্ষে (২০২১ সালে) ভর্তি পরীক্ষা বাতিল করে লটারির মাধ্যমে সব ক্লাসে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তির ফরম বিক্রি করা হবে। এরপর তা যাচাই-বাছাই করে লটারির জন্য নির্বাচন করবে স্কুল কর্তৃপক্ষ। একাধিক ধাপে লটারির আয়োজন করে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। লটারির ফলাফল নিজ নিজ বিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। লটারির এ কার্যক্রমে যেন জনসমাগম না হয়, সে জন্য ভর্তিপ্রক্রিয়ার সব কার্যক্রমে অভিভাবকদের প্রবেশের সুযোগ থাকবে না। স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্য, শিক্ষক ও কয়েকজন অভিভাবক নিয়ে একটি ভর্তি কমিটি গঠন করা হবে। এ কমিটি ভর্তিপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে।

সূত্র আরো জানায়, সন্তানের ভর্তি লটারিতে অভিভাবকদের উপস্থিত হওয়ার সুযোগ না পেলেও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে ভর্তির জন্য আবেদনকারী অভিভাবকদের মধ্যে লটারির মাধ্যমে পাঁচ থেকে সাতজনকে নির্বাচন করা হবে। তাদের অভিভাবক প্রতিনিধি হিসেবে ভর্তি কমিটিতে যুক্ত করা হতে পারে। এ ছাড়া ভর্তি নীতিমালায় নতুন কোনো পরিবর্তন আনা হচ্ছে না।

নতুন এই লটারির প্রক্রিয়ার বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মমিনুল রশিদ জানান, মূলত করোনার কারণেই এ বছর শিক্ষার্থী ভর্তির নীতিমালায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। নতুন শিক্ষাবর্ষে ভর্তির প্রক্রিয়ার পরিবর্তে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। এ জন্য নতুন নীতিমালাও প্রস্তুত করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, বেসরকারি স্কুলে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত লটারির মাধ্যমে সব স্তরে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। করোনার ঝুঁকি থেকে সতর্কতা অবলম্বন করতে এ পদ্ধতিকে বেছে নেয়া হয়েছে। চলতি সপ্তাহে ভর্তি নীতিমালা জারি করা হতে পারে বলেও জানান তিনি।

The post মাধ্যমিকে লটারিতে শিক্ষার্থী ভর্তি appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/2UYahzR

বিশ্বে একদিনে আবারো সর্বোচ্চ প্রাণহানি

ফাতেহ ডেস্ক:

করোনার দ্বিতীয় ধাপের সংক্রমণে আবারো একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু দেখলো বিশ্ব। ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড ১১ হাজার ৭শর বেশি মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১৪ লাখ ১৩ হাজারের বেশি। নতুন প্রায় সাড়ে ৫ লাখ রোগী নিয়ে বিশ্বের মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬ কোটি ছাড়িয়েছে।

মঙ্গলবার সবচেয়ে বেশি ২ হাজার ১শর বেশি মৃত্যু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। যা দ্বিতীয় ধাপের সংক্রমণ শুরুর পর থেকে দেশটির সর্বোচ্চ প্রাণহানি। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মৃতের সংখ্যা প্রায় ২ লাখ ৬৬ হাজার। নতুন করে ভাইরাস পাওয়া গেছে ১ লাখ ৭৫ হাজার মানুষের দেহে।ইতালিতে একদিনে প্রাণ গেছে ৮৫৩ জনের। নতুন শনাক্ত হয়েছে ২৩ হাজারের বেশি। ব্রাজিলে ২৪ ঘণ্টায় ৬৩৮ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এ নিয়ে দেশটির মোট মৃত ১ লাখ ৭০ হাজার ছাড়াল।

এছাড়াও যুক্তরাজ্যে ৬০৮ ও ফ্রান্সে ৫৯২ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে এর মধ্যেই সপ্তাহের শেষে কড়াকড়ি শিথিল করতে যাচ্ছে ফ্রান্স সরকার।

এদিকে ভারতে নতুন করে প্রাণ গেছে ৪৮৯ জনের। ভাইরাস মিলেছে ৪৪ হাজারের বেশি মানুষের দেহে।

The post বিশ্বে একদিনে আবারো সর্বোচ্চ প্রাণহানি appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3nYB9Mf

যুক্তরাষ্ট্রে ডিসেম্বরের ২য় সপ্তাহে টিকা বিতরণ শুরু

ফাতেহ ডেস্ক:

যুক্তরাষ্ট্রে কোভিড-১৯ এর টিকা ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে বিতরণ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের (সিডিসি) পরিচালক রবার্ট রেডফিল্ড। কোন রাজ্যগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রথমে টিকা পাবে তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও মানবসেবা দফতর (এইচএইচএস)।

মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রথম দফা জরুরি ভিত্তিতে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য ৬৪ লাখ টিকা বিতরণ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

টিকার জরুরি ব্যবহারে ফাইজারের আবেদন পর্যালোচনার জন্য এফডিএ ও তার পরামর্শদাতারা ১০ ডিসেম্বর বৈঠক করবে। এদিকে ফাইজার-বায়োএনটেক দাবি করেছে তাদের টিকা করোনা থেকে ৯৫ ভাগ সুরক্ষা দেবে।

সরকারের টিকা নিয়ে কাজ করা সংস্থা ‘অপারেশন ওয়ার্প স্পিড’র কর্মকর্তারা জানান, প্রথম দফা কি পরিমাণ টিকার ডোজ সরবরাহ হবে গত শুক্রবার তারা জানিয়ে দিয়েছে। যাতে করে করোনার উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা টিকা বিতরণ শুরু করা যায়।

চলতি বছর শেষে যুক্তরাষ্ট্রে ৪ কোটি টিকা বিতরণ করা হবে বলে কর্মকর্তারা জানান।

মঙ্গলবার এক প্রেসব্রিফিং-এ যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও মানবসেবা দফতরের সচিব আলেক্স আজার জানান, কারা কারা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আগে টিকা পাবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে। তবে টিকা প্রদান কর্মসূচির শুরুতে চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, বয়স্ক ব্যক্তিদের মধ্যে যারা করোনাভাইরাসে গুরুতর অসুস্থ এবং মৃত্যুর সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছেন এমন ব্যক্তিদের আগে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

ডা. রেডফিল্ড বলেন, এই টিকা আমাদের কাছে অন্যরকম কিছু, অন্তত আনন্দদায়ক। টিকা প্রদান কর্মসূচী শুরুর আগে এই কয়েক সপ্তাহ সবাইকে সামাজিক দূরত্ব এবং মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে হবে। আর সম্ভবত আমরা ডিসেম্বরের ২য় সপ্তাহে টিকা বিতরণ শুরু করতে যাচ্ছি।

তিনি বছর শেষে ৪ কোটি টিকা বিতরণ করা হবে বলে জানান। এর মধ্যে ২ কোটি স্বাস্থ্যকর্মী, চিকিৎসকসহ ঝুঁকিপূর্ণদের জন্য প্রয়োজন হবে। জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি এবং এর পরে টিকা বিতরণের পরিমাণ আরও বাড়বে।

যদিও ফাইজারের টিকা মাইনাস ৯৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা সংরক্ষণ করতে হবে তা নিয়ে কিছুটা উদ্বেগ রয়েছে অপারেশন ওয়ার্প স্পিডের। তবে তারা আশ্বাস দিয়েছে, এর একটি কার্যকর সমাধান বের করা হবে।

The post যুক্তরাষ্ট্রে ডিসেম্বরের ২য় সপ্তাহে টিকা বিতরণ শুরু appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/3fwsVrL

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন ফরিদুল হক খান

ফাতেহ ডেস্ক:

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন জামালপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. ফরিদুল হক খান দুলাল। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে নতুন প্রতিমন্ত্রীকে শপথ পড়ান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে বঙ্গভবনের দরবার হলে ছোট পরিসরে এই শপথ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

শপথ অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জমান খান কামাল ও তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।

ফরিদুল হক খান দুলাল আওয়ামী লীগের মনোনয়নে জামালপুর-২ আসন (ইসলামপুর) থেকে নবম, দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদে নির্বাচিত সদস্য। তিনি ইসলামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।

The post ধর্ম প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন ফরিদুল হক খান appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/2J8w3Oo

ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের জন্য নতুন শর্ত

ফাতেহ ডেস্ক:

উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ যথাসময়েই শেষ করতে নজরদারি বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের অনেক প্রকল্প, বিশেষ করে নির্মাণ প্রকল্পে দেরি হয়ে যায়। এই দেরির একটা কারণ হলো একই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অনেকগুলো কাজ পেয়ে থাকে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কে কতগুলো কাজ পেয়েছে, কাজ সময়মতো শেষ করেছে কিনা, কোন সময় শেষ করেছে, এসবের একটি তালিকা সব মন্ত্রণালয় তৈরি করবে এবং তা প্রকাশ করতে হবে। (চলমান) কাজ শেষ করলে পরের কাজ পাবে।

আজ মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব নির্দেশনা দেন। সভা শেষে দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর এসব বক্তব্য তুলে ধরেন পরিকল্পনা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সদস্য মো. আসাদুল ইসলাম।

সড়কের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য তুলে ধরে সচিব বলেন, ‘রাস্তা বাড়ানো হচ্ছে। রাস্তাকে টেকসই এবং ভালো রাখার জন্য রাস্তার পাশে জলাধার কিংবা বৃষ্টির পানি নামার ব্যবস্থা করতে হবে। রাস্তার পাশে গাছ লাগাতে হবে’।

এছাড়া একনেকে আজ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘প্রাণিপুষ্টির উন্নয়নে উন্নত জাতের ঘাস চাষ সম্প্রসারণ ও লাগসই প্রযুক্তি হস্তান্তর’ প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এ প্রকল্পের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্য তুলে ধরে পরিকল্পনা বিভাগের সচিব বলেন, ‘এ প্রকল্পের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এটা অত্যন্ত ভালো প্রকল্প। ভুট্টা চাষের ফলে গো খাদ্যের উন্নতি হয়েছে। সেটা উৎসাহিত করা হবে। এই প্রকল্পে যেটা উন্নত জাতের ঘাস, যেটা আমাদের জন্য লাগসই, জমির ও প্রাণীর জন্য লাগসই, সেটা ব্যবস্থা করতে বলেছেন তিনি।’

অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনা সচিব আসাদুল ইসলাম আরো জানান, আজকের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী করোনা ভ্যাকসিন যথাযথভাবে দেয়া এবং এ সংক্রান্ত যথাযথ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন।

একনেকে আজ অনুমোদন পাওয়া বাকি প্রকল্পগুলো হলো- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘প্রাণিপুষ্টির উন্নয়নে উন্নত জাতের ঘাস চাষ সম্প্রসারণ ও লাগসই প্রযুক্তি হস্তান্তর’প্রকল্প; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ‘ওয়েস্টার্ন ইকোনমিক করিডর অ্যান্ড রিজিওনাল এনহ্যান্সমেন্ট প্রোগ্রাম (ইউকেয়ার) ফেস-১: রুইরাল কানেকটিভিটি, মার্কেট অ্যান্ড লজিস্টিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট (আরসিএমএলআইআইপি)’ প্রকল্প; সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের ‘উইকেয়ার ফেজ-১: ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়ক (এন-৭) উন্নয়ন’প্রকল্প; নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের ‘পায়রা বন্দরের কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো/সুবিধাদির উন্নয়ন (২য় সংশোধিত)’ প্রকল্প; বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের ‘শেখ হাসিনা তাঁতপল্লী স্থাপন-১ম পর্যায় (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্প এবং নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের ‘আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং একসেস টু সার্ভিসেস (আইডিইএ) (২য় পর্যায়)’ প্রকল্প।

সভায় কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম; শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন; স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক; বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন এবং নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী অংশগ্রহণ করেন।

The post ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের জন্য নতুন শর্ত appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/2UXGiba

Monday, November 23, 2020

দরিদ্র দেশগুলোতে ২০০ কোটি ভ্যাকসিন দেবে ইউনিসেফ

ফাতেহ ডেস্ক:

দরিদ্র দেশগুলোর মানুষের জন্য মহামারি করোনাভাইরাস প্রতিরোধী ভ্যাকসিন প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে প্রায় ২০০ কোটি ডোজ বিরতণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ। সেগুলো পরিবহন করতে ইতোমধ্যে এয়ারলাইন্স ও মালামাল বহনকারী সংস্থাগুলোর সঙ্গে কাজ শুরু করেছে তারা।

সোমবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে আল-আরাবিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন বণ্টন পরিকল্পনা কোভ্যাক্সের অংশ হিসেবে সেগুলো বিতরণের দায়িত্ব নিয়েছে ইউনিসেফ। বুরুন্ডি, আফগানিস্তান ও ইয়েমেনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দরিদ্র দেশে এসব বিতরণ করা হবে।

বিষয়টি নিয়ে এক বার্তায় ইউনিসেফের সরবরাহ বিভাগের পরিচালক ইতলেভা কাদিলি বলেন, এই ঐতিহাসিক ও বিশাল কর্মযজ্ঞের জন্য যথেষ্ট পরিবহন সক্ষমতা নিশ্চিত করতে হবে। সে জন্য কাজ করার বিকল্প নেই।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, জিএভিআই ও কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস ইনোভেশনসের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত ‘কোভ্যাক্স’ কর্মসূচির লক্ষ্য হলো- কোনো দেশ যেন ভ্যাকসিন মজুদ করে না রাখে। একই সঙ্গে প্রতিটি দেশের সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা মানুষগুলো যেন সবার আগে ভ্যাকসিন সেবা পায়।

এর আগে শনিবার সৌদি আরবের রিয়াদে অনুষ্ঠিত জি-২০ সম্মেলনে দরিদ্র দেশগুলোতে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের ন্যায়সঙ্গত বিরতণ নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন অংশগ্রহণকারী বিশ্ব নেতারা। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই এ কথা জানিয়েছে ইউনিসেফ।

The post দরিদ্র দেশগুলোতে ২০০ কোটি ভ্যাকসিন দেবে ইউনিসেফ appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/2HtEEuG

কঠোর হচ্ছে সরকার, মাস্ক না পরলে জরিমানা ৫ হাজার টাকা

ফাতেহ ডেস্ক:

আসন্ন শীতে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় স্বাস্থ্যবিধি মানা নিশ্চিত করতে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার। মাস্ক না পরলে জরিমানা হতে পারে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত।

আজ সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সরকারের এ অবস্থানের কথা জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে সারা দেশে আরো বেশি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে বলেও জানান তিনি।

গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সম্পর্কে সজাগ করে দিয়ে এ সংকট মোকাবিলায় বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা দেন। বিশেষ করে মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করার তাগিদ দেন তিনি।

বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় মাস্ক ব্যবহারে আরো কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী কিছু নির্দেশনাও দিয়েছেন।

‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজকেও বলেছেন, যেভাবেই হোক মানুষকে আরো বেশি বেশি করে প্রচার করো, ফোর্স করো, যেভাবেই হোক, মানুষ যেন মাস্ক ইউজ (ব্যবহার) করে। মাস্ক যদি ইউজ না করে তাহলে কিন্তু কোনো কিছুই ভ্যাকসিন বলেন, ওষুধ বলেন, কোনো কিছুতেই কাজ হবে না।’ বলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী দেশের অন্য স্থানের তুলনায় বিগত ১৫ দিনে রাজধানীতে রোগীর সংখ্যা হয়েছে দ্বিগুণ। করোনাভাইরাস মহামারির এ পরিস্থিতির মধ্যে যারা মাস্ক পরছেন না, ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের কঠিন সাজা দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করে দেন খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘মাস্কের বিষয়টা খুবই স্ট্রংলি আসছে। আমাদের কালকে কমিশনাররা জানান এবং সাত দিন ধরে জানাচ্ছেন তারা ম্যাসিভলি ফাইন করছেন অল ওভার। কয়েক হাজার লোককে কাল ফাইন করা হয়েছে সারা দেশে। এটা আমরা বলছি যে, আরো এক সপ্তাহ দেখতে বলেছি। ফাইনেও না হলে মানুষকে আরো মোটিভেশন করো। তারপর আরেকটু স্ট্রং পানিশমেন্টে যেতে হবে।’

স্ট্রং মানে কী জেল? জানতে চাইলে সচিব বলেন, ‘দেখা যাক। হয়তো ফাইনও বাড়াইয়া দিতে পারে। এক হাজার টাকা, ৫০০ টাকা ফাইন করল সেটাকে পাঁচ হাজার টাকা করে দিল।’

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, মোবাইল কোর্ট যাঁরা পরিচালনা করবেন সঙ্গে মাস্ক নিয়ে যাবেন যাতে মানুষকে জরিমানা করার সঙ্গে মাস্ক দেওয়া যায়।

এ ছাড়া এক প্রশ্নের জবাবে সচিব জানান, বিদেশে অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িতদের ব্যাপারে পররাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয় এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কাজ করছে।

The post কঠোর হচ্ছে সরকার, মাস্ক না পরলে জরিমানা ৫ হাজার টাকা appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/33cxXVt

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রাচীন মসজিদ ও ইসলামি ব্যক্তিত্ব

মুনশি নাঈম:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাটি আমোদিত হয়েছে বিখ্যাত কিছু মানুষের কারণে। শুধু জেলা নয়, তারা ছাড়িয়ে গেছেন দেশ ও কালের সীমানাও। তাদের হুংকারে কেঁপেছে শাহি তখতে তাউস, প্রকম্পিত হয়েছে বাতিলের আন্ধা শিবির। কারো কারো বয়ানে চোখের জলে ভেসে গেছে মাহফিল-মজমা। মানুষ মুগ্ধ হয়ে শুনেছে তাদের তাফসির। এমন কয়েকজন প্রখ্যাত ইসলামি ব্যক্তিত্বের ওপর আলোকপাত করা হলো।

ইসলামি ব্যক্তিত্ব

ফখরে বাঙ্গাল আল্লামা তাজুল ইসলাম রহ.

আমাদের পাক-ভারত উপমহাদেশে ইসলাম প্রচার-প্রসারে যে সকল আলেম-উলামা অবিস্মরণীয় অবদান রেখেছেন তাদের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কৃতী সন্তান আল্লামা তাজুল ইসলাম এর নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তিনি ১৩১৫ হিজরি মোতাবেক ১৮৯৬ সনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর থানাধীন ভূবন গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মাওলানা আনোয়ার আলী ও মাতার নাম জোবাইদা খাতুন।

দশ বছর বয়সে প্রথমে তাকে নিজ গ্রাম ভুবন-এর পার্শ্ববর্তী এক স্কুলে ভর্তি করানো হয়। মাত্র নয় মাসে তিনি ৬ষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত সব বই মুখস্থ করে ফেলেন। তার এ বিষ্ময়কর মেধার পরিচয় পেয়ে তিনি তাকে মাদরাসায় ভর্তি করানোর সিদ্ধান্ত নেন। সে মোতাবেক তার পিতা তাকে ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার উপকন্ঠে অবস্থিত শ্রীঘর মাদরাসায় ভর্তি করিয়ে দেন। এখানে কিছুকাল পড়াশোনা করার পর তিনি সিলেটের বর্তমান হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল মাদরাসায় ভর্তি হন। বাহুবল মাদরাসায় তিনি কয়েক বছর অধ্যয়ন করেন।

বাহুবল মাদরাসা থেকে যথাসময়ে সুনামের সাথে উত্তীর্ণ হয়ে মাওলানা সাহেব তদানীন্তন বাংলা আসামের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইসলামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সিলেটের মাদরাসা আলিয়ায় গিয়ে ভর্তি হন। ১৩৩৭-৩৮ হিজরি ফাজিল ফাইনাল পরীক্ষায় তিনি প্রথম বিভাগে প্রথম স্থান অধিকার করে উত্তীর্ণ হন। সিলেট আলিয়ার প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়া শেষ হলে মুফতি সহুল উসমানি রহ. তাকে ১৩৩৮ হিজরিতে দারুল উলুম দেওবন্দ পাঠান। সেখানে তিনি কৃতিত্বের সঙ্গে ৪ বছর লেখাপড়া করেন। তার বিদায়ের সময় আল্লামা আনোয়ার শাহ কাশ্মীরি রহ. বলেন, দারুল উলুমের ইলমের ভাণ্ডার তাজুল ইসলামের সঙ্গে বাংলায় চলে যাচ্ছে। ১৩৪২ হিজরিতে দেশে প্রত্যাবর্তন করেন তিনি।

দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে ফিরে তিনি প্রথমে ঢাকায় এবং পরে কুমিল্লার জামিয়া মিল্লিয়ার (কাসেমুল উলুম) শায়খুল হাদিস হিসেবে নিযুক্ত হন। ১৩৪৫ হিজরিতে ফখরে বাঙ্গাল রহ. জামিয়া ইউনুসিয়ার অধ্যক্ষ পদ গ্রহণ করেন এবং দীর্ঘ ৪২ বছর তিনি অত্যন্ত দক্ষতার সাথে নিজ দায়িত্ব পালন করেন।

মাওলানা তাজুল ইসলাম পাঁচ ভাই ও এক বোনের মধ্যে সবার বড় ছিলেন। তিনি উপমহাদেশের শ্রেষ্ঠ কেরাত বিশেষজ্ঞ ও বাংলণাদেশে ইলমে কেরাতের প্রবর্তক উজানীর কারী ইবরাহিম সাহেবের তৃতীয় কন্যাকে বিবাহ করেন। এ স্ত্রী থেকে তার দুই ছেলে ও এক মেয়ে জন্মগ্রহণ করেন। প্রথম স্ত্রীর ইন্তেকালের পর তিনি সরাইল থানার দেওরা গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে দ্বিতীয় বিবাহ করেন। এ স্ত্রীর দুই ছেলে ও এক মেয়ে জন্ম গ্রহণ করে।

বেদাআত ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে তিনি আজীবন সংগ্রাম করেছেন। সমাজে প্রচলিত মিলাদ কিয়াম ও তথাকথিত মারেফাতের নামে ভণ্ড ফকিরদের নানাবিধ বিরুপ প্রচারণার বিরুদ্ধে তিনি কার্যকরি ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন। ব্রাক্ষণবাড়িয়া শহর থেকে পতিতালয় উচ্ছেদ ও পতিতাদের পুনর্বাসন তার এক উল্লেখযোগ্য কীর্তি। তার পরামর্শ ও তত্ত্ববধানে ব্রাক্ষণবাড়িয়া শহরের পূর্বাঞ্চলে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে একটি খাল খনন করা হয়েছিল। যা এন্ডারসন খাল নামে পরিচিত। এ খালের মাধ্যমে ব্রাক্ষণবাড়িয়া শহর জলাবদ্ধতা থেকে মুক্ত হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জ ও ঢাকা অঞ্চলে অসংখ্যবার তিনি কাদিয়ানি ও বিদআতিদের মোকাবেলা করেন। কাদিয়ানি বিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে তিনি দুটি মসজিদ নির্মাণ করেন। তাহলো, মৌলভীপাড়া জামে মসজিদ এবং আনন্দবাজার জামে মসজিদ। মূলত মসজিদ দুটো কেন্দ্র করে তিনি তার দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা করতেন।

১৯৬৩ সালে মিসরে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক উলামা সম্মেলনে ফখরে বাঙ্গাল রহ. পাকিস্তানের প্রতিনিধিত্বকারী দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন। পাকিস্তানের বিখ্যাত আলেম আল্লামা ইউসুফ বিন্নুরী রহ.ও সেই প্রতিনিধি দলের সদস্য ছিলেন। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে সিলেট অঞ্চলের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। তৎকালীন খেলাফত আন্দোলনে সক্রীয় ভূমিকা রাখেন। রাজনৈতিক মতাদর্শের দিক থেকে তিনি হজরত মাহমুদ হাসান দেওবন্দি ও হজরত হুসাইন আহমদ মাদানি রহ.-এর অনুসারী ছিলেন। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পরও তিনি দেশে কুরআনি আইন প্রতিষ্ঠায় তার আন্দোলন অব্যাহত রাখেন। এ সময় তিনি নেজামে পার্টির অন্যতম প্রধান নেতা ছিলেন।

৩ এপ্রিল ১৯৬৭ সালে মোতাবেক ২০ চৈত্র ১৩৭৩ বাংলা সনে রোজ সোমবার এই বরেণ্য আলেমে দ্বীন ৭১ বছর বয়সে ইন্তিকাল করেন। তার খাদেম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অপর বিশিষ্ট আলেম মুফতি নুরুল্লাহ রহ.-এর ভাষ্য মতে আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার বলতে বলতে তিনি ইন্তেকাল করেন।

মাওলানা আলী আকবর রহ.

বাংলাদেশ তাবলিগ জামাতের সুপরিচিত একজন মুরুব্বি ছিলেন মাওলানা আলী আকবর রহ.। ১৯০৮ সালে বি. বাড়িয়া জেলার শ্যামবাড়ি নামক গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন তিনি। পিতা গাজী মুন্সী সেকান্দার আলী চৌধুরী একজন কৃষিজীবি ও মসজিদের ইমাম ছিলেন। পিতামহ হযরত বাহলুল হাজারী রহ. একজন পরহেযগার ও বীর মুজাহিদ ছিলেন। ১৮৩১ খৃস্টাব্দে হযরত সাইয়েদ আহমদ শহীদ বেরেলভী রহ. যখন তাঁর মুজাহিদ বাহিনী নিয়ে শিখ ও ইংরেজদের বিরুদ্ধে জিহাদ করার জন্য বালাকোট ময়দানে উপনীত হন, তখন এই মহান মুজাহিদ তাঁর সাথে সেই জিহাদে অংশগ্রহণ করেন।

মাওলানা প্রথম জীবনে তার পিতার থেকে অক্ষর জ্ঞান লাভ করেন। অতঃপর সৈয়দাবাদ মাদরাসায় ভর্তি হন। তারপর বরুড়া মাদরাসায় লেখাপড়া করেন। অতঃপর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্যবাহী জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়ায় ভর্তি হন এবং সেখান থেকে দাওরায়ে হাদীস সমাপ্ত করে ১৯৪৬ খৃস্টাব্দে উচ্চ শিক্ষার উদ্দেশ্যে ভারতের দারুল উলূম দেওবন্দে যান।

হযরত মাওলানা আলী আকবর রহ. জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়ায় লেখাপড়া সমাপ্ত করে উচ্চ শিক্ষার জন্যে দেওবন্দ গেলে তখন মাওলানা ইউসুফ রহ. সহ কয়েকজন তাবলীগী মুরুব্বী দেওবন্দের সফরে আসেন। তিনি হযরতজী হযরত মাওলানা ইলিয়াস রহ. এর পরামর্শক্রমে তাঁর সফরসঙ্গী হন। দেওবন্দ হতে মুলতান পর্যন্ত হযরতজীর সাথে সফর করেন। অতঃপর তিনি মুলতান এলাকায় নিয়মিতভাবে দাওয়াতের কাজে জড়িত হয়ে পড়েন।

দেওবন্দ মাদরাসায় শিক্ষা সমাপ্ত করে তিনি দেশে ফিরে আসেন। তৎকালীন জামিয়া ইউনুছিয়ার সদর ফখরে বাঙ্গাল মাওলানা তাজুল ইসলাম রহ. এর পরামর্শক্রমে তিনি সৈয়দাবাদ মাদরাসায় শিক্ষকতা শুরু করেন। সেখানে শিক্ষক থাকাকালীন একদিন ফখরে বাঙালের কাছে গিয়ে তিনি বললেন, ‘হুজুর মাদরাসায় শিক্ষকতা করার মতো অনেক লোক রয়েছে কিন্তু তাবলিগের কাজ করার মতো লোকের সংখ্যা এখনও অনেক কম। আমাকে যদি আপনি অনুমতি প্রদান করেন, তাহলে আমি মাদরাসায় শিক্ষকতা ছেড়ে একান্তভাবে তাবলিগের কাজে মনোনিবেশ করতে পারি।’ মাওলানা তাজুল ইসলাম রহ. তাঁর এ প্রস্তাব সানন্দে গ্রহণ করলেন। ফখরে বাঙাল আল্লামা তাজুল ইসলামের রহ. কাছ থেকে বিদায় নেওয়ার পর বি. বাড়িয়া থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত তাঁর তাবলিগ জামাতের সফর ছিল। সে সফরে থাকাকালীন নিদারুণ কষ্ট করেছেন তিনি। একাধারে তিন/চারদিন পর্যন্ত না খেয়ে কাটিয়েছেন কিন্তু একমাত্র আল্লাহ মহান ছাড়া অন্য কারো কাছে ব্যক্ত করেনি কখনো। তাবলিগ জামাতের বিভিন্ন মুরুব্বিদের কাছ থেকে মাওলানা আলী আকবরের রহ. ব্যাপারে এমন মন্তব্যও পাওয়া যায় যে, ‘মাওলানা আলী আকবর রহ ছিলেন বাংলাদেশ তাবলিগ জামাতের শক্ত একটি খুঁটি। খুঁটি ছাড়া যেমন একটি ঘরের অস্তিত্ব কল্পনা করা সম্ভব নয়, মাওলানা আলী আকবরের রহ. নাম ও তাঁর অবদানের স্বীকৃতি ছাড়া বাংলাদেশ তাবলিগ জামাতের পরিচয় তুলে ধরা সম্ভব না।’

হযরত মাওলানা আলী আকবর রহ. প্রথম কর্মজীবনে হাটহাজারীর হযরত মাওলানা সাঈদ আহমদ রহ. এর নিকট বাই’আত হন। অতঃপর দেওবন্দের হযরত মাওলানা হুসাইন আহমদ মাদানী রহ. এর হাতে বাই’আত গ্রহণ করেন। হযরত হুসাইন আহমদ মাদানী রহ. এর বিশিষ্ট খলীফা হযরত মাওলানা দেলোয়ার হুসাইন রহ. হযরত আলী আকবরকে রহ. খেলাফত দান করেন।

তিনি যখন ব্রাহ্মণবাড়িয়া মাদরাসায় লেখাপড়া করেন তখন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মুহিউদ্দীননগর গ্রামের আশরাফ আলী বেপারীর কনিষ্ঠ কন্যার সাথে তাঁর বিবাহ হয়।

হযরত মাওলানা আলী আকবর রহ. নামাযের প্রতি খুবই যত্নবান ছিলেন। নামাযের মুয়াজ্জিন মসজিদে আযান দেয়া শুরু করেছে শোনামাত্র তিনি এমন হয়ে যেতেন, যেন তিনি কাউকেও চিনেন না। যে মানুষটি তার অতি পরিচিত, সবে মাত্র যার সঙ্গে কথা বললেন তাকেও যেন চিনেন না। যখনই সময় পেতেন, তখন কুরআন শরীফ খুলে পাঠ করতেন। সফরেও তাঁর সাথে কুরআন শরীফ থাকত।

হযরত মাওলানা আলী আকবর রহ. ইন্তিকালের পূর্বে দিল্লী সফর করে আসেন। এরপর থেকে তাঁর শরীর দিন দিন অসুস্থ হতে থাকে। অসুস্থাবস্থায় তিনি কাকরাইল মসজিদের এক ছোট কামরাতেই কাঁটান। মসজিদের এই ছোট কামরায় বসেই তিনি সমস্ত বিশ্বের জন্য তাবলীগের ফিকির ও দু’আ করতেন। এ যিকির ও ফিকির করতে করতেই তাঁর জীবনের সমাপ্তি ঘটে। তাঁর শরীর যখন খুবই অসুস্থ হয়ে যেত বা তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়তেন, তখন অজ্ঞানতার মাঝেও যিকির ও তাবলীগের কথা বলতেন। জ্ঞান ফিরে এলে বা কিছুটা সুস্থ মনে হলে বলতেন, বিদেশের যে জামায়াতগুলো আসছে তাদের নুসরত কে করেছে? তাদের যেন কোন প্রকার কষ্ট না হয়। এ সময় বিশ্ব ইজতিমার জন্য টঙ্গির মাঠে কাজ চলছিল, তিনি অসুস্থতার মধ্যেও টঙ্গি ইজতিমার কাজ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য নসীহত করতেন।

মৃত্যুর পূর্বক্ষণে বেলা ১২টা ১৫ মিনিটের সময় তিনি একা একা যোহরের নামায আদায় করেন। কাকরাইল মাদরাসার উস্তাদ হযরত মাওলানা এনায়েত উল্লাহ সাহেব তাঁর শিয়রে বসে সূরা ইয়াসীন তিলাওয়াত করছিলেন। ড. রফীক সাহেব ও ড. মুহিউদ্দীন সাহেবও এ সময় উপস্থিত ছিলেন। মৃত্যুর পূর্বক্ষণে তিনি যখন অজ্ঞান ছিলেন, তখন ডাক্তারগণ তাঁর বুকে স্টেথিস্কোপের মাধ্যমে পরীক্ষা করে বলেন যে, তাঁর বুকের মধ্যে ‘ইল্লাল্লাহ’ ‘ইল্লাল্লাহ’ শব্দ শোনা যাচ্ছে। এ অবস্থায়ই তিনি ৩১ শে ডিসেম্বর ১৯৯৩ খৃষ্টাব্দে রোজ শুক্রবার পৃথিবী থেকে চির বিদায় নেন।

আল্লামা সিরাজুল ইসলাম রহ.

তিনি বড় হুজুর নামে দেশব্যাপী প্রসিদ্ধ। তাকে বলা হয় বাংলাদেশের রঈসুল মুফাসসিরিন। তিনি ১৮৭৩ সনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্চারামপুর থানাধীন দশদোনা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতার নাম মুন্সী মো: আব্দুল মজিদ ও মাতার নাম আমেনা বেগম। দুগ্ধ পানরত অবস্থায় তিনি মাতৃহারা হন। আনুমানিক ৭/৮ বছর বয়সে তিনি পিতাকেও হরান। পিতা-মাতা উভয়কে হারিয়ে আপন দাদা-দাদীর তত্ত্ববধানে লালিত পালিত হন।

তিনি পিতার কাছেই প্রাথমিক ধর্মীয় শিক্ষা- কায়দা ও আমপারা পড়েন। পিতার মৃত্যুর পর বাসগাতি গ্রামের মৌলভি ইয়াকুব সাহেব রহ.-এর কাছে জীবনের ৪/৫ বছর অতিবাহিত করেন। তারপর কানাইগর গ্রামে একটি মাদরাসায় দুই বছর পড়া-লেখা করে ঢাকার নবাববাড়িতে একটি মাদরাসায় ভর্তি হয়ে গভীর মনোযোগে পড়তে আরম্ভ করেন। ১৩৪৫ হিজরিতে উচ্চ শিক্ষা লাভের জন্য ভারত যান। বিশ্বখ্যাত দ্বীনী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দারুল উলুম দেওবন্দ মাদরাসায় হাদীস, ফিকহ ও তাফসির ইত্যাদি বিষয়ে উচ্চতর শিক্ষা অর্জন করেন। সেখানকার সর্বোচ্চ শিক্ষাস্তর- দাওরায়ে হাদীস ও তাফসিরে সনদ লাভ করে পাঁচ বছর পর দেশে ফিরে আসেন।

১৩৫০-১৪২৫ হিজরি (১৯৩০-২০০৫ ঈসায়ী) পর্যন্ত একাধারে ৭৫ বছর দেশের প্রাচীনতম ইসলামী বিদ্যাপিঠ, শতবর্ষী ঐতিহ্যবাহী জামিয়া ইউনুছিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শিক্ষকতা করেন। ১৯৬৭ সালে ফখরে বাঙ্গাল আল্লামা তাজুল ইসলাম রহ.-এর ইন্তেকালের পর থেকে প্রায় ৪০ বছর যাবত সম্পূর্ণ বুখারি শরীফ তিনি একাই পড়াতেন। ১৯৭৪ সাল থেকে আমৃত্যু জামিয়া ইউনুছিয়ার মুহতামিমের দায়িত্বও সূচারূ রূপে পালন করে গেছেন। এছাড়াও তার চেষ্টায় পূর্বাঞ্চলে বহু মাদরাসা ও দ্বীনী মকতব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ভাদুঘর জামিয়া সিরাজীয়াসহ আরো বহু মাদরাসা তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন।

মধ্য বয়সে তিনি সর্বপ্রথম জামিয়া ইউনুছিয়াতে কুরআনের তাফসির আরম্ভ করেন। ফখরে বাঙ্গাল রহ.-ও প্রায় সময় বসতেন সেই তাফসিরে। তার তাফসিরের প্রভাব এলাকার মধ্যে এমনভাবে ছড়িয়ে পড়ে যে, কয়েক বছরের মধ্যেই তাফসির মাহফিল বিরাট সমাবেশে রূপ ধারণ করে। এরপর থেকেই তিনি ‘মুফাসসির হুজুর’ নামে পরিচিতি লাভ করেন। তার প্রত্যকটি তাফসিরে শেষ মুনাজাতে শরিক হওয়ার জন্য হাজার হাজার মানুষ দূর-দূরান্ত থেকে সমবেত হতেন।

কয়েকটি উল্লেখযোগ্য স্থানে বড় হুজুর রহ. জীবনভর তাফসির করেছেন। যেমন বি’বাড়িয়া থেকে আট মাইল দূরে বড়াইল নামক গ্রামে। বি’বাড়িয়া সদর থেকে চার মাইল দূরে সুহিলপুর মাঠে (এখনও এখানে ১৫ দিন ব্যাপী তাফসির মাহফিল হয়)। সরাইল থানা সংলগ্ন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে। শহরস্থ নিয়াজ মুহাম্মদ হাইস্কুল মাঠে। মালিহাতা, বুধল ও মুহাম্মদপুর ইত্যাদি স্থানে।

বড় হুজুর রহ. বিভিন্ন সময়ে কাদিয়ানী, বেদআতীসহ অন্যান্য বাতিলপন্থি লোকদের সাথে বাহাস-মুনাযারা ও সংগ্রাম করেছেন। ১৯৮৭ সালে ভাদুঘরে বেদআতীদের মোকাবেলা করেছেন। কান্দিপাড়ায় মসজিদ বিজয় করেছেন। যা আজও ‘ফাতাহ মসজিদ’ নামে পরিচিত। ১৯৯৪ সালে নাস্তিক মুরতাদ তাসলিমার বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ২০০১ সালে ফতোয়া বিরোধী রায় বাতিলের দাবিতে সংগ্রামে বার্ধক্য নিয়েই রাজপথে এসে দাঁড়িয়েছেন। এ আন্দোলনের সময় ৬ জন শহীদও হয়েছেন বি-বাড়িয়ায়।

এই মহামনীষী ১৩৩ বছর বয়সে ৯ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ঈসায়ী রোজ শনিবার সকাল ৯.৩০ মিনিটে ইন্তেকাল করেন। ভাদুঘর জামিয়া সিরাজীয়া মাদরাসার পাশেই তাঁকে দাফন করা হয়। তাঁর জানাজার নামাজে জেলা ঈদগাহ ময়দানসহ আশপাশের রাস্তা-ঘাট, বাড়িঘর, বিল্ডিয়ের ছাদে নামাজের জন্য লক্ষ মানুষের ঢল নেমেছিল।

মুফতী নূরুল্লাহ রহ.

হযরত মাওলানা মুফতী নূরুল্লাহ রাহ. ১৯৩০ খৃষ্টাব্দে নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানাধীন মধ্যনগর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মুনশি আবদুল আজীজ ও দাদার নাম আবদুল মজিদ। ছোটবেলায় মা ও দাদীর কাছে কুরআন শিক্ষা করেন এবং নিজ গ্রামে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত করার পর ব্রাক্ষণবাড়িয়ার জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়ায় এসে ভর্তি হন। এখানে শরহে বেকায়া জামাত পর্যন্ত অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে লেখাপড়া করেন। জামিয়ার মুহতামিম ফখরে বাঙ্গাল তাজুল ইসলাম সাহেব রাহ., মুফতী রিয়াযত উল্লাহ সাহেব প্রমুখ উস্তাদদের সাথে গড়ে উঠেছিল তাঁর সুগভীর সম্পর্ক। মেধা, একনিষ্ঠা ও সুন্দর আচার-ব্যবহারের মাধ্যমে তাঁদের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছিলেন।

মুফতী সাহেব রাহ. শায়খ আবদুল হক গাজীনগরী, মাওলানা আবদুর রহমান শায়খে ধুলিয়া প্রমুখ সাথীদের এক কাফেলার সাথে দারুল উলূম দেওবন্দে গমন করেন। সেখানে সুনামের সাথে লেখাপড়া করেন এবং দাওরায়ে হাদীস ও ফুনূনাত সমাপ্ত করেন। শায়খুল ইসলাম হযরত হুসাইন আহমদ মাদানী ও শায়খুল আদব ইযায আলী রাহ.-এর সাথে তাঁর গভীর সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। দেওবন্দে অবস্থানকালে মাদানী রাহ.-এর পারিবারিক মসজিদে ইমামতি করতেন। মুফতী সাহেবের পুরো জীবনের কথা-বার্তায়, আচরণ-উচ্চারণে সেই সোহবত-সাহচর্যের প্রভাব লক্ষ করা যেত। এছাড়া মাওলানা ইদ্রীস কান্দলভী রাহ., মাওলানা গোলাম রাসূল খান রাহ. প্রমুখ প্রতিভাধর আকাবিরে দেওবন্দের শিষ্যত্ব গ্রহণে ধন্য হয়েছেন। দারুল উলূম দেওবন্দে অধ্যয়নরত অবস্থায় তাঁর উস্তাদ ও মুরব্বী জামিয়া ইউনুছিয়ার মুহতামিম ফখরে বাঙ্গাল রাহ. তাকে চিঠি লিখলেন যে, ‘দেশে ফিরে তোমার কর্মস্থলের ব্যাপারে আমার সাথে কথা বলা ব্যতীত কাউকে কোনো প্রতিশ্রুতি দিবে না।’

দেশে ফেরার পর থেকেই জামিয়া ইউনুছিয়ায় শিক্ষক হিসাবে কর্মজীবন শুরু করেন। পরে অনিবার্য কারণবশত কিশোরগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী দ্বীনী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জামিয়া ইমদাদিয়ায় শিক্ষকতার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। দেশবরেণ্য আলেমে দ্বীন মাওলানা ফরীদ উদ্দীন মাসউদ দা.বা. তাঁর ঐ সময়কার ছাত্র। সেখানে তাঁর একজন সঙ্গী ছিলেন শায়খুল হাদীস হযরত মাওলানা কাজী মুতাসিম বিল্লাহ দা.বা.।

তিনি ফখরে বাঙ্গাল রাহ.-এর ডাকে পুনরায় জামিয়া ইউনুছিয়ায় চলে আসেন এবং উচ্চস্তরের শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ পান। এখানে সুদক্ষ আসাতিযার নিবিড় তত্ত্বাবধানে অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে শিক্ষকতার দায়িত্ব পালন করে চলেন। এদিকে ব্রাক্ষণবাড়িয়া শহরের অতি প্রাচীন ও প্রধান জামে মসজিদের পূর্বের ইমাম মাওলানা হাবীবুর রহমান সাহেবের ইন্তিকালের পর মুফতী সাহেব হুজুর রাহ. ইমাম ও খতীব হিসাবে দায়িত্ব পান।

পরবর্তীতে ইউনুছিয়ার প্রধান মুফতী হিসাবে ফতোয়া প্রদানের গুরুদায়িত্ব তাঁরই কাধে অর্পিত হয়। বড় হুজুর মাওলানা সিরাজুল ইসলাম সাহেব বৃদ্ধ হয়ে যাওয়ায় মাদরাসা পরিচালনার সকল দায়িত্ব অঘোষিতভাবেই হযরত মুফতী সাহেবের উপর এসে পড়ে। ২০০২ ঈ. সনে বার্ধক্য ও অসুস্থতাজনিত কারণে বড় হুজুরের প্রতিনিধি হিসেবে পূর্ণ বুখারী শরীফ পড়ানোরও দায়িত্ব পান। তারপর ১৬ ডিসেম্বর ২০০৬ ঈ. শনিবার বড় হুজুরের ইন্তিকালের পর জামিয়ার শায়খুল হাদীস ও মুহতামিমের দায়িত্ব তাঁকে গ্রহণ করতে হয়। জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি এ গুরুদায়িত্ব অত্যন্ত যত্নের সাথে পালন করেছেন।

জামিয়া ইউনুছিয়ার তিনি তার জীবন জন্য ওয়াকফ করে দিয়েছিলেন। ব্যক্তিগত আরাম-আয়েশ কুরবানী করে দিয়ে মাদরাসার উন্নতি ও অগ্রগতির জন্য সচেষ্ট থাকতেন। ২০০০ সালে জামিয়ার পুরাতন মসজিদ ও শিক্ষাভবন ভেঙে অকল্পনীয় বিশাল বাজেট সামনে রেখে তা পুননির্মাণের কাজে হাত দেন। কোটি কোটি টাকার এ বাজেটকে সামনে রেখে দিবা-নিশি অক্লান্ত পরিশ্রম করে কাজ সমাপ্তির দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়ে গেছেন। মাদরাসাই ছিল তার বিশ্রামের স্থান। মাদরাসাই ছিল কর্মক্ষেত্র। ২০১০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি সোমবার সকাল সাড়ে সাতটায় স্থানীয় হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন।

মুফতী সাহেবের ইন্তিকালের পর তার কবর কোথায় হবে এ নিয়ে বড় ধরনের বিতর্কের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল। হুজুরের এলাকার লোকেরা বলল-তার কবর হবে আমাদের শিমরাইল কান্দি কবরস্থানে। এ ব্যাপারে তারা কাউকে ছাড় দিতে রাজি ছিল না। অপরদিকে অন্যরা চাচ্ছিলেন, মাদরাসার জন্য চির কুরবান মুফতী সাহেব যেন মাদরাসার পার্শ্বেই শুতে পারেন। আল্লাহ তাআলার কুদরতী ফয়সালায় অবশেষে হযরতকে মাদরাসার সুশীতল ছায়াঘেরা পরিবেশেই শোয়ানো হল।

নরসিংদীতে তার জন্ম হলেও তিনি তার পুরো জীবন কাটিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। এখানেই তার বসবাস, জীবন যাপন, মৃত্য এবং দাফন। তাই তাকে মাশায়েখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তালিকায় তুলে ধরা হলো।

মুফতি ফজলুল হক আমিনী রহ.

মুফতি ফজলুল হক আমিনী ছিলেন বাংলাদেশের একজন ইসলামী চিন্তাবিদ, ইসলামী আইনজ্ঞ (মুফতি) ও রাজনীতিবিদ। তিনি ১৫ নভেম্বর ১৯৪৫ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আমীনপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। নিজ জেলার জামেয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসায় প্রাথমিক ও মুন্সিগঞ্জ জেলার মোস্তফাগঞ্জ মাদরাসায় ৩ বছর পড়ালেখা করে ১৯৬১ সালে জামিয়া কুরআনিয়া আরাবিয়া লালবাগ মাদ্রাসায় ভর্তি হন। এখানে তিনি হযরত মাওলানা শামছুল হক ফরিদপুরী রাহ. ও হযরত হাফেজ্জী হুজুর রহ.., কিংবদন্তী মুহাদ্দিস হযরত মাওলানা হেদায়েতুল্লাহ রহ., শায়খুল হাদীস হযরত মাওলানা আজিজুল হক রহ., আরেফ বিল্লাহ মাওলানা সালাহ উদ্দীন রাহ. এবং হযরত মাওলানা আব্দুল মজীদ ঢাকুবী রহ. -এর বিশেষ তত্ত্বাবধানে দাওরায়ে হাদীসের সনদ লাভ করেন। ১৯৬৯ সালে আল্লামা ইউসুফ বিন্নুরী রহ.-এর কাছে হাদীস পড়ার উদ্দেশ্যে পাকিস্তান করাচী নিউ টাউন মাদরাসায় ভর্তি হন। সেখানে তিনি উলুমুল হাদীসের উপর পাঠ গ্রহণ করে দেশে ফিরে আসেন।

ব্যক্তিগত জীবনে তার দুই ছেলে ও চার মেয়ে রয়েছে। তিনি মাওলানা মোহাম্মদ উল্লাহ হাফেজ্জী হুজুরের জামাতা।

মুফতি আমিনী ১৯৭০ সালে ঢাকার কামরাঙ্গীরচরের মাদরাসা-ই-নূরিয়া তে শিক্ষকতার মাধ্যমে তার কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৭৫ সালে জামিয়া কুরআনিয়া আরাবিয়া লালবাগ যোগদান করেন। ১৯৮৪ সালে তিনি লালবাগ জামেয়ার ভাইস প্রিন্সিপাল ও প্রধান মুফতীর দয়িত্ব পান। ১৯৮৭ সালে হযরত হাফেজ্জী হুজুর রাহ.-এর ইন্তেকালের পর থেকে তিনি লালবাগ জামেয়ার প্রিন্সিপাল ও শায়খুল হাদীসের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৩ সালে পান বড়কাটারা হোসাইনিয়া আশরাফুল উলুম মাদরাসার প্রিন্সিপাল ও মুতাওয়াল্লির দায়িত্ব। ইন্তেকালের আগ পর্যন্তই এই দুইটি মাদরাসার প্রিন্সিপালের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। পাশাপাশি ঢাকার কাকরাইল, দাউদকান্দির গৌরীপুরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বহু মাদরাসার প্রধান অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করেছেন।

আমিনী ১৯৮০-এর দশকে খেলাফত আন্দোলনের মাধ্যমে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। পরে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান ও তেহরিক-ই-খাতমে নবুওয়াত নামের একটি দলের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চার দলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তবে ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জাতীয় পার্টির প্রার্থী জিয়াউল হক মৃধার কাছে পরাজিত হন।

আন্দোলনে সংগ্রামে সবসময় সরব ছিলেন মুফতি আমিনি। নব্বই দশকের শুরুতে ভারতের উত্তর প্রদেশে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের প্রতিবাদে ডাকা লংমার্চের দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা ও প্রধান নির্বাহী ছিলেন মুফতী আমিনী রাহ.। তার শিক্ষক শায়খুল হাসীস আল্লামা আজিজুল হক রাহ. ছিলেন এ লংমার্চের আহ্বায়ক ও অভিভাবক। মুফতী আমিনী রাহ. ছিলেন এর কার্যনির্বাহী প্রধান। ১৯৯৪ সালে তিনি তসলিমা নাসরীন খেদাও আন্দোলন সংগঠিত করেন। হরতাল পালন করেন। ফলে তসলিমা দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়। ২০০১ সালে সব রকম ফতোয়া নিষিদ্ধ করার একটি রায় উচ্চ আদালত থেকে ঘোষিত হলে তিনি বিচারপতিকে মুরতাদ ঘোষণা করে ঝুঁকিপূর্ণ ও ঘটনাবহুল এক আন্দোলনে নেমে পড়েন। তখন চার মাসের জন্য তিনি কারাগারে নিক্ষিপ্ত হন। বর্তমান সরকার ঘোষিত শিক্ষানীতি ও নারীনীতি নিয়ে তিনি সোচ্চার প্রতিবাদ করেন।

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোট ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর ২০১১ সাল থেকে প্রায় ২৩ মাস আমিনীকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়। গৃহবন্দী অবস্থায় ২০১২ সালের ১২ ডিসেম্বর আমিনী ঢাকার একটি হাসপাতালে ৬৭ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। ঢাকার জাতীয় ঈদগাহ মাঠে জানাজা শেষে তাকে জামিয়া কুরআনিয়া আরাবিয়া লালবাগ মাদ্রাসায় দাফন করা হয়।

মাওলানা যুবায়ের আহমদ আনসারী রহ.

মাওলানা যুবায়ের আহমদ আনসারী ছিলেন একজন বাংলাদেশি আলেম, রাজনীতিবিদ, মুফাসসির এবং প্রখ্যাত ওয়ায়েজ। তিনি ৫ জুলাই ১৯৬২ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার আলীয়ারা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা হাজী হাবিবুর রহমান ও মাতা জাহানারা বেগম।

তিনি জিন্দাবাজার হাফিজিয়া মাদ্রাসায় হেফজ সমাপ্ত করেন। পরবর্তীতে দারুল উলুম বাহুবল মাদরাসায় ভর্তি হন। সবশেষে উচ্চশিক্ষার জন্য তিনি সিলেটের জামিয়া ইসলামিয়া হোসানিয়া গহরপুরে ভর্তি হন। এখানে দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স) সমাপ্ত করেন। গহরপুর মাদ্রাসায় অধ্যায়নকালে তিনি নূর উদ্দিন গহরপুরী কাছে বায়াত হন। এক পর্যায়ে তিনি গহরপুরী থেকে খেলাফতও লাভ করেন।

১৯৯১ সালে সরাইল উপজেলার বেড়তলা গ্রামে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন জামিয়া রহমানিয়া বেড়তলা। মৃত্যু পর্যন্ত এর মুহতামিম হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৫ সালে তিনি যোগদান করেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসে। চার দলীয় ঐক্যজোটের অধীনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনে ১৯৯৬ সালে সংসদ নির্বাচন অংশ নেন। আমরণ তিনি বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সহ-সভাপতি ছিলেন।

দীর্ঘ তিন যুগের বেশি সময় ধরে তিনি দেশ-বিদেশে ওয়াজ করেছেন। আকর্ষণীয় কোরআন তেলাওয়াত ও চমৎকার কোরআনের তাফসিরের জন্য তিনি বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন।

২০১৬ সালে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তার গলায় ক্যান্সার ধরা পড়ে। বিভিন্ন চিকিৎসার পর কিছুটা সুস্থ হলেও ২০১৯ সালের শেষ দিকে তিনি মারাত্মকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। অবশেষে ১৭ এপ্রিল ২০২০ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

আনসারী মারা যাওয়ার একদিন পর তার জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। লকডাউন ভেঙে কয়েক লক্ষ মানুষ এই জানাযায় অংশগ্রহণ করে। তার এই জানাযা নিয়ে সারাদেশে বিপুল আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। লোক সমাগম ঠেকাতে ব্যর্থ হওয়ায় সরাইল থানার ওসি ও এএসপিকে প্রত্যাহার করা হয়। তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। জামিয়া রহমানিয়া বেড়তলার চারপাশে ১০টি গ্রাম লকডাউন করা হয়। লকডাউন শেষ হলে গ্রামের কারো শরীরে করোনার লক্ষণ দেখা যায় যায় নি।

প্রাচীন মসজিদ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় সাড়ে চার হাজারের বেশি মসজিদ আছে। মক্তব রয়েছে আড়াই হাজারের অধিক। এরমধ্যে প্রাচীন মসজিদগুলোর স্থাপত্যশৈলীতে পাওয়া যায়–মোঘল আমলের শৈল্পিক কারুকার্য। নিচে প্রাচীন কয়েকটি মসজিদের ইতিহাস তুলে ধরা হলো।

আরিফিল মসজিদ

আরিফিল মসজিদ বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক প্রাচীন মসজিদ। মসজিদটি সরাইল উপজেলা সদরের আরিফাইল গ্রামে সাগরদিঘীর পাশে অবস্থিত। এটি বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এর তালিকাভুক্ত একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা। স্থানীয়ভাবে এটি আইড়ল বা আড়িফাইল নামে পরিচিত।

মসজিদটি নির্মিত হয় ১৬৬২ সালে। স্থানীয় জনশ্রুতি অনুসারে, দরবেশ শাহ আরিফ এই মসজিদটি নির্মাণ করেন এবং তার নামানুসারে এই মসজিদের নামকরণ করা হয়।

মসজিদটির আয়তন ৮০x৩০ ফুট এবং দেয়ালের পুরুত্ব প্রায় সাড়ে পাঁচ ফুট । মসজিদটির মোট প্রবেশপথ ৫ টি , এরমধ্যে তিনটি হল পূর্বদিকে এবং বাকিদুটি যথাক্রমে উত্তর ও পূর্বদিকে। মসজিদের চার কোনায় চারটি বুরুজ রয়েছে। গম্বুজ রয়েছে তিনটি । গম্বুজগুলোর নিচে মসজিদের অভ্যন্তরভাগে তিনটি বে রয়েছে যা ভিতরের অংশকে তিন ভাগে ভাগ করেছে। গম্বুজগুলোতে পদ্মফুল অঙ্কিত। মসজিদের দেয়ালের বাইরের দিকটি চারকোণা খোপ দিয়ে সজ্জিত। এটি সংরক্ষণের জন্য টাইলস ও চুনকাম করা হয়েছে। তবে পূর্বের কাঠামো এখনও টিকে আছে।

আরিফাইল মসজিদের উত্তর পাশে রয়েছে একটি পুকুর এবং মসজিদের পশ্চিম পাশে রয়েছে আড়িফাইল মাজার যা জোড়াকবর নামে পরিচিত এবং এলাকার এক তৃতীয়াংশ জায়গা জুড়ে অবস্থিত। মসজিদের পাশে পুকুরটি সাগরদিঘী নামে পরিচিত।

উলচাপাড়া মসজিদ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আরেকটি প্রাচীন মসজিদ উলচাপাড়া জামে মসজিদ। এটি সদর উপজেলার অধীনে উলচাপাড়া গ্রামে অবস্থিত। মসজিদটিতে প্রাপ্ত শিলালিপি থেকে অনুমান করা যায় সপ্তাদশ শতাব্দীতে অর্থাৎ ১৭২৭-২৮ খ্রিষ্টাব্দে এটি নির্মাণ করা হয়েছে। এটির প্রতিষ্ঠাতা পশ্চিম দেশীয় বনিক শাহ সৈয়দ মো: মুরাদ, যাকে মসজিদের পাশেই সমাহিত করা হয়েছে।

মসজিদটির আয়তন ৫২ ফুট (১৬ মি) X ২২ ফুট (৬.৭ মি), এবং এর দেয়াল ৪ ফুট (১.২ মি) ফুট পুরু। প্রধান গম্বুজের কেন্দ্র থেকে মসজিদের ভিতরের দেয়ালে নিচ পর্যন্ত কারুকাজ রয়েছে। ফরাসি ভাষার একটি শিলালিপি মসজিদের ভিতরে পাওয়া গিয়েছিল কিন্তু এর অর্থ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

ভাদুঘর শাহী মসজিদ

ভাদুঘর শাহী মসজিদ প্রাচীন একটি মসজিদ। এই মসজিদ মুঘল শাসক মহিউদ্দিন মুহাম্মদ আওরঙ্গজেব আলমগীর (১৬৫৮-১৭০৭) এর রাজত্বকালে ১০৮৪ হিজরি আনুমানিক ১৬৬৩ খ্রিষ্টাব্দে সে সময়কার সরাইল পরগণার জমিদার নুর এলাহী ইবনে মজলিশ শাহবাজের তত্ত্বাবধানে নির্মিত হয়।

এক গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদটির আয়তন ৪৪ ফুট বাই ২৪ ফুট। দেয়ালের পুরুত্ব ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি। ১২ ফুট বাই ৯ ফুট পরিমিত ভিতে স্থাপিত মিনারটির উচ্চতা ৭৫ ফুট। মসজিদের অভ্যন্তরীণ কারুকার্যের মধ্যে কলসের মধ্য হতে বের হয়ে আসা একটি করে হাত প্রসারিত অবস্থায় ছিল। যা অন্য কোন মসজিদে দেখা যায়নি। মসজিদে কালো পাথরে ফারসি ভাষায় লিপি রয়েছে। যা থেকে এর ইতিহাস জানা যায়।

ভাদুঘর শাহী মসজিদের প্রথম ইমাম হিসেবে দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত হন বাদশাহ আলমগীরের শিক্ষক, তাফসীরে আহমদিয়া এবং নুরুল আনোয়ার এর মত বিখ্যাত গ্রন্থসমুহের লেখক শায়খ আহমদ ইবনে আবু সাঈদ ইবনে ওবায়দুল্লাহ আল হানাফী আস সিদ্দিকী [শায়খ মোল্লাজিউন (রহ)] এর যোগ্য উত্তরসূরি মাওলানা মোল্লা নাসিরউদ্দিন (রহ)।

বর্তমানে মসজিদটির সামনে বিশাল ঈদগাহ ময়দানে ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার দ্বিতীয় বৃহত্তম ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

হাটখোলা মসজিদ বা আরফান নেছার মসজিদ

সরাইলের জমিদার বাড়ির সন্নিকটে সরাইল বাজারে মসজিদটি অবস্থিত । মোঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের শাসনামলে (১৬৫৮-১৭০৭) ১৬৬২খ্রি. সরাইলের দেওয়ান নূর মোহাম্মদের স্ত্রী আরফান নেছা কর্তৃক মসজিদটি নির্মিত হয় । অন্য তথ্যমতে মজলিশ শাহরাজের পুত্র নূর মোহাম্মদ কর্তৃক ১০৭৩ খ্রি. মসজিদটি নির্মিত হয় বলে জানা যায় ।

মসজিদটির আয়তন ৪৫ফুটx১৫ফুট ৬ইঞ্চি । দেয়ালের পুরুত্ব ৪ফুট ৫ইঞ্চি । মোঘল স্থাপত্যের অপূর্ব নির্দশনগুলো সংস্কারের ফলে অনেকাংশে বিনষ্ট হয়েছে ।

সরাইল শাহী জামে মসজিদ

১৬৭০ খ্রিষ্টাব্দে মুঘল আমলে প্রতিষ্ঠিত। সরাইল বিকাল বাজারে অবস্থিত।

জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসা মসজিদ

মসজিদটি ফরিদপুরী রহ. , হাফেজ্জী হুজুর ও হযরত আবদুল ওয়াহহাব পীরজী হুজুর রহ. এর স্মৃতিবিজড়িত। এই তিন মনীষী জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া থাকতে এখানেই নামাজ পড়তেন। ২০০০ সালে জামিয়ার পুরাতন মসজিদ পুনঃনির্মাণের কাজ শুরু হয়। মসজিদটি সাজানো হয় আধুনিক স্থাপত্য শৈলীতে।

একটি শতবর্ষী মাদ্রাসা

জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া

তিতাস বিধৌত শহর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রাণকেন্দ্রে ১৯১৪ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠা লাভ কতে ঐতিহ্যবাহী “জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া। মাদরাসার বর্তমান বয়স ১০৫ বছর। মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপট অত্যন্ত চমকপ্রদ। মাদরাসাটির শতবর্ষপূর্তি উপলক্ষে প্রকাশিত স্মারকগ্রন্থ থেকে জানা যায়, উনিশ শতকের প্রথম দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় কাদিয়ানিদের প্রচারণা ব্যাপক বিস্তৃতি লাভ করেছিল। নানা কলাকৌশলে সরলমনা মুসলিম জনসাধারণের মধ্যে বিভ্রান্তি ছাড়াচ্ছিল তারা। কিন্তু এই বিভ্রান্তি মুকাবেলায় সেখানে না ছিল কোনো ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বা কোনো সমঝদার ধর্মবেত্তা। এলাকার এমনই এক ক্রান্তি লগ্নে হাজার মাইল দূরে ভারতের উত্তর প্রদেশের মুজাফফরাবাদের এক মনীষী মাওলানা আবু তাহের ইউনুস রহ., একরাতে স্বপ্নযোগে বিশ্বনবী মুহাম্মদ সা. কে দেখতে পেলেন। নবিজি সা. তাঁকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া এলাকার সার্বিক পরিস্থিতি জানিয়ে সেখানে হিজরত করার নির্দেশ দেন এবং বলেন সেই এলাকায় তিনি যেন একটি মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেন।

মাওলানা আবু তাহের ইউনুস স্বপ্নযোগে আদিষ্ট হয়ে কালবিলম্ব না করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছুটে আসেন। এখানকার স্থানীয় মুরব্বিদের সঙ্গে পরামর্শ করে বর্তমান শহরের কান্দিপাড়া এলাকায় ১৯১৪ খ্রিষ্টাব্দে দারুল উলুম দেওবন্দের আদর্শে “বাহরুল উলুম” নামে একটি মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেন।

মাওলানা আবু তাহের ইউনুসের ইন্তেকালের পর মাদরাসাটির দায়িত্বে আসেন ফখরে বাঙাল মাওলানা তাজুল ইসলাম রহ.। তিনি দায়িত্বগ্রহণের পর মাওলানা আবু তাহের ইউনুস রাহ. এর হিজরত এবং ত্যাগকে চিরস্মরণীয় করে রাখতে মাদরাসাটির নাম “বাহরুল উলুম” পরিবর্তন করে “জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া” নামকরণ করেন। তারপর দায়িত্বগ্রহণ করেন আল্লামা সিরাজুল ইসলাম রহ. বড় হুজুর। বড় হুজুরের ইন্তিকালের পর জামিয়ার শায়খুল হাদীস ও মুহতামিমের দায়িত্ব পান মুফতি নূরুল্লাহ রহ.। তার ইন্তেকালের পর মুহতামিমের দায়িত্ব পালন করছেন মুফতী মুবারকুল্লাহ দা.বা.

জামিয়া ইউনুছিয়া বিগত শতবর্ষে অনেক খ্যাতিমান আলেমের জন্ম দিয়েছে। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকজন হলেন-১. আল্লামা হেদায়েতুল্লাহ। সাবেক প্রিন্সিপাল, জামিয়া কুরআনিয়া আরাবিয়া লালবাগ, ঢাকা। ২. শায়খুল হাদীস আল্লামা আজিজুল হক রহ., বুখারি শরিফের বঙ্গানুবাদক। ৩. মাওলানা শেখ আব্দুল হক গাজীনগরী রহ.। ৪. মুফতিয়ে আযম, মুফতি নুরুল্লাহ রহ.। ৫. আল্লামা মুফতী ফজলুল হক আমিনী রহ.। ৬. মাওলানা মুতিউর রহমান রহ.। ৭. মাওলানা শাহ সৈয়দ মুছলেহ উদ্দিন রহ., চেয়ারম্যান, নেজামে ইসলাম পার্টি। ৮. মাওলানা মুফতী রিয়াজুতুল্লাহ রহ.। ৯. মাওলানা আলী আকবর রহ., সাবেক মুরব্বি, বাংলাদেশ তাবলীগ জামাত। ১০. মাওলানা আব্দুর রহমান রহ., শায়খে ধুলিয়া, হবিগঞ্জ। ১১. অধ্যক্ষ মাওলানা আহমাদ হাসান চৌধুরী রহ., সাবেক হেড মাওলানা, মাদরাসা-ই আলিয়া, ঢাকা।

The post ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রাচীন মসজিদ ও ইসলামি ব্যক্তিত্ব appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/2KC3SZf