Friday, September 18, 2020

নর্মালাইজেশন: আরব রাষ্ট্রগুলো কেন ইজরাইলের সাথে পরকীয়ায় আগ্রহী

মাহদি হাসান:

আবুধাবী আর তেল-আবিবের মধ্যকার প্রণয়ের সম্পর্ক অবশেষে প্রকাশ্যেই চলে এল। তারা ঘটা করেই ইন এ রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস দিয়ে দিলেন। যদিও আধুনিক বিশ্বের কাছে তাদের গোপন অভিসারের কথা ওপেন সিক্রেটই ছিল বলা যায়। উভয় পক্ষের মধ্যে আগে থেকেই ছিল ইটস কমপ্লিকেটেড ভাব বিরাজমান।

গত কয়েক বছর ব্যাপী প্রস্তাবনা পর্ব অথবা প্রেমের সম্পর্ক চলার পর সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রধানমন্ত্রী মুহাম্মাদ বিন জায়েদ আবুধাবি এবং তেল-আবিবের মধ্যকার রাজনৈতিক প্রণয়ের কথা ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নিয়েই নিলেন। আরব এবং ইসলামি বিশ্বের কোনো তোয়াক্কাই ছিল না উভয় পক্ষের মাঝে। এছাড়াও তাদের এই রাজনৈতিক প্রণয়ে আমিরাতের ফতোয়া বিভাগ জানিয়েছে উষ্ণ অভিবাদন। ফতোয়া বিভাগের চিফ মৌরিতানিয়ান আলেম আবদুল্লাহ বিন বাইহ বর এবং কনে পক্ষকে অভিবাদন জানিয়ে বিবৃতি প্রদান করেছেন। তিনি মনে করেন, এ ধরণের সম্পর্ক হচ্ছে একজন শাসকের নেতৃত্বের মুকুটে আভিজাত্যের পালক।

তবে আরব আমিরাত এবং ইজরাইলের এই চেইন অব রিলেশনশিপ চলে আসছে দীর্ঘ সময় ধরেই। শেখ জায়েদের বংশধররা এসে এ সম্পর্কের গোড়ায় নতুন করে পানি ঢেলেছে। এই দীর্ঘদিনের সম্পর্কের পিছনে জড়িয়ে আছে বেশ কিছু কারণ। তাই আরব বিশ্বের ক্রোধ উপেক্ষা করেও আরব-আমিরাত এই সম্পর্ক কন্টিনিউ করে যাচ্ছে। এর পেছনে যে তাদের বড় কোনো উদ্দেশ্য অথবা স্বার্থ আছে নিশ্চিত করে বলাই যায়। চলুন, জেনে নেয়া যাক এই পরকীয়ার পেছনের প্রধান কারণগুলো কী হতে পারে?

ইজরাইলি জোটের সাথে সম্পর্কের নর্মালাইজেশন

বলা যায়, আরব এবং ইসলামি বিশ্বের ক্রোধ উদ্রেককারী পদক্ষেপটি নেয়ার পিছনে আরব আমিরাতের প্রধানতম কারণ হচ্ছে এটি। ইজরাইলে জোটের সাথে তাদের সম্পর্ককে একটি স্বাভাবিক রূপ দেয়া। তাদের অফিসিয়াল এবং আন-অফিসিয়াল এনাউন্সমেন্টগুলোতে এদিকটিতে খুব গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইজরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুও তাদের পরিকল্পনাকে বন্ধ করতে খুব বেশি দেরি করেননি।

ডোনাল্ড ট্রাম্প আগে থেকেই ক্লিয়ার করেছেন যে, এ চুক্তির প্রধান উদ্দেশ্যে উভয় পক্ষের সম্পর্কের নর্মালাইজেশন। ট্রাম্পের জামাতা এবং উপদেষ্টা কুষনারও এমনটি ব্যক্ত করেছেন। এদিকে নেতানিয়াহু স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, এই সম্পর্ককে নষ্ট হোক তিনি তা চান না। বলেছেন, চলমান এই চুক্তির পিছনের একমাত্র উদ্দেশ্য হচ্ছে নর্মালাইজেশন। যার পরিকল্পনা আগে থেকেই ছিল। তবে একাধিকবার সেটিকে নির্ধারিত সময়ে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি।

প্রায় হারিয়ে যেতে বসা মিত্রশক্তিকে পুনরায় উদ্ধার করা

ইজরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বর্তমান সময়ে রাজনৈতিক, বিচারিক এবং অর্থনৈতিক দিয়ে বেশ চ্যালেঞ্জিং অবস্থার মুখোমুখি। রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলো থেকে পরিত্রাণ পেতে বেনিয়ামিনের সামনে এখন মাত্র তিনটি অপশন। তবে এখান থেকে কোনোটিই বেছে নিতে তিনি সক্ষম হচ্ছেন না। এছাড়াও রাষ্ট্রের আইন এবং বিচারিক ক্ষেত্রে তার নাকের ডগা দিয়েই ঘটছে অনেক বিশৃঙ্খলা। এমনটি চলতে থাকলে অচিরেই তাকে যেতে হবে কারাগারের পিছনে। এমনটিই নেতানিয়াহুর আশঙ্কা। তখন তার অবশিষ্ট রাজনৈতিক পরিকল্পনাগুলো আর বাস্তবায়নের দেখা পাবে না।

এছাড়াও ইজরাইল এখন অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। ইজরাইলিদের মধ্যে বেকারত্বের হার ক্রমানয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিকে করোনা মহামারী এসে কয়েক বছর ধরে চলতে থাকা ইজরাইলের রুগ্ন অর্থনীতিকে আরও পঙ্গু করে দিয়েছে।

এমন সংকটময় সময়ে আবুধাবির সাথে শান্তিচুক্তি যেন নেতানিয়াহুকে এমন নানামুখী চ্যালেঞ্জ ও দুর্যোগের সাগর থেকে পরিত্রাণ লাভের পথ দেখিয়ে দিয়েছে।

ট্রাম্পের জন্য এটি এক মহামূল্যবান উপহার

ডোনাল্ড ট্রাম্প এই চুক্তিকে একটি ঐতিহাসিক চুক্তি হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তিনি ইজরাইলের উপার্জন এবং উপহার প্রাপ্তির যে দীর্ঘ ছক আঁকছিলেন, এই চুক্তি ছিল সেই দীর্ঘ পরিকল্পনারই একটি অংশ। এতে ট্রাম্প এবং ইজরাইল জোটের বেশ কিছু লাভ হয়েছে। যেমন, আরব আমিরাত জেরুজালেমকে ইজরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। আবুধাবিতে ওয়াশিংটনের দূতাবাস খোলা হয়েছে এবং উভয় পক্ষেই ট্রাম্পের নেতৃত্ব মেনে নিয়েছে।

করোনা ভাইরাসের এমন চরম আঘাতের পর বর্তমান সময়ে ট্রাম্প বেশ চ্যালেঞ্জিং সময় পার করছেন তা কারো অজানা নয়। এতে আমেরিকার যে বিশাল আর্থিক এবং মানবিক ক্ষতি হয়েছে তা সামাল দিতে ট্রাম্পকে যে বেশ বেগ পোহাতে হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই এমন সংকটপূর্ণ সময়ে এই চুক্তিটে যেন এসেছে ট্রাম্পের জীবনে এক পশলা সুখের বৃষ্টি হয়ে। ট্রাম্পের জন্য এই চুক্তিটি যে এখন বিশাল এক মহামূল্যবান উপহার তা আলাদা করে বলার প্রয়োজন নেই । এতে করে ট্রাম্পের জন্য নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ এবং যুক্তরাষ্ট্রের ইহুদি কমিউনিটির সমর্থন লাভ করে ডেমোক্রেটিকদেরকে দমিয়ে রাখার পথ সহজ হয়ে যাবে।

জো বাইডেন এবং ডেমোক্রেটিক ব্লককে দমিয়ে রাখা

সৌদিআরবের প্রতি ট্রাম্পের প্রকাশ্য অবস্থান এবং আরব অঞ্চল এবং মধ্যপ্রাচ্যের ক্ষেত্রে ট্রাম্পের বর্তমান নীতির ফলে আসন্ন নির্বাচনে জো বাইডেন এবং ডেমোক্রেটিকে জোটের সফলতা লাভের জোর গুঞ্জন উঠেছে।

২০১৬ সালে সৌদি আরব এবং আমিরাতের মতো রাষ্ট্রগুলো ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণার ক্ষেত্রে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল এবং আমেরিকান নির্বাচনে প্রভাব সৃষ্টির চেষ্টা করেছিল। এতে করে যুক্তরাষ্ট্রে বেশ ক্ষোভ এবং উত্তাল পরিস্থিতি তৈরী হয়।

কতক বিশ্লেষক স্বীকার করেছেন যে, এমন নাজুক সময়ে এসে আরব আমিরাত এবং ইজরাইলের মধ্যকার এই চুক্তি একটি মেজর প্ল্যানিং। এর মাধ্যমে আরব আমিরাত ইজরাইলকে ডেমোক্রেটদের হাত থেকে বাঁচানোর প্রচেষ্টা চালাবে। জো বাইডেন যদি আসন্ন নির্বাচনে জিতে যায়, তাহলে আমেরিকায় বিদ্যমান ইহুদি লবির কারণে তাদের শাস্তির কোনো সিদ্ধান্ত না নিলেও, প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্পকে নির্বাচনে সমর্থন দেয়ার ফলে তাদেরকে খুব দ্রুত ক্ষমা করে দিবে বলে মনে হয় না।

মার্কিন অস্ত্রশস্ত্র লাভ করা

সাংবাদিক এবং কুটনৈতিকগণ মনে করেন, আরব আমিরাত এবং ইজরাইলের মধ্যকার এই শান্তিচুক্তি আরব উপসাগরীয় দেশগুলোর জন্য মার্কিন অস্ত্রশস্ত্র লাভের পথকে সুগম করবে। ইজরাইলে নিযুক্ত আমেরিকান রাষ্ট্রদূত ডেভিড ফ্রেডম্যান বলেন, ‘যেহেতু আরব আমিরাত এখন ইজরাইল ও আমেরিকার বন্ধু এবং সহযোগীতে পরিণত হয়েছে, তাই এখন হুমকি-ধমকের নীতি স্পষ্টভাবেই পালটে যাবে এবং তারা আরব আমিরাতের ভালোর লক্ষ্যে কাজ করবে’। এই বক্তব্যের মাধ্যমে ভবিষ্যতে তাদের অস্ত্র বেচাকেনার ইঙ্গিত পাওয়া যায়।

এদিকে Washington Institute for Near East Policy Project on the Middle East Peace Process. এর পরিচালক ডেভিড মকোভি রয়টার্সকে বলেন, ‘এই চুক্তি আমিরাতের জন্য বেশ লাভজনক। অচিরেই তারা আমেরিকার সাথে সামরিক সরঞ্জাম বেচা-কেনার সুযোগ পেতে যাচ্ছে এতে কোনো সন্দেহ নেই। ইতিপূর্বে যা সম্ভব ছিল না।’

অগ্রগতি লাভের প্রচেষ্টা

আমিরাতের এই চুক্তির পেছনে এটিও একটি কারণ বলা যায় যে, অন্যান্য আরব রাষ্ট্রগুলোর চেয়ে আমিরাত নিজেদেরকে উন্নত এবং অগ্রগামী হিসেবে প্রমাণিত করতে চায়।

আরব আমিরাতের অভ্যন্তরে জেনারশন গ্যাপ তৈরী হওয়া

ব্রিটিশ সাংবাদিক ইয়ান ব্লক ‘দ্য গার্ডিয়ান’ পত্রিকার এক আর্টিকেলে লিখেন, এই শান্তিচুক্তির পিছনের অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে আমিরাতের শাসকগোষ্ঠীর মাঝে জেনারেশন গ্যাপ তৈরী হওয়া। কারণ, আমিরাতের প্রতিষ্ঠাতা শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল-নাহিয়ান ছিলেন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের অন্যতম শক্তিশালী সমর্থক। সেখানে তারই পুত্র মুহাম্মাদ বিন জায়েদ লিপ্ত ট্রাম্পের মনোতুষ্টি অর্জনে এবং মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্টতা বজায় রাখার চক্রান্তে।

এতে করে স্পষ্ট হয়ে যায়, শেখ জায়েদ এবং তার পরবর্তী প্রজন্মের চিন্তা – চেতনাগত এবং নৈতিক পার্থক্য সৃষ্টি। ফলে পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে তাদের অনুসৃত পন্থা হয়ে গেছে একে অপরের বিপরীত।

নিজেদের কর্তৃত্ব রক্ষা করা

বিগত বছরগুলোতে আরব আমিরাত চেয়েছিল মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর-পূর্ব আফ্রিকায় নিজেদের আধিপত্যের জাল বিস্তৃত করতে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এর মূল কারণ ছিল অর্থনৈতিক। যদিও পরবর্তীতে এতে বুদ্ধিবৃত্তিক এবং সামরিক ও রাজনৈতিক দিকও যোগ হয়েছে। এ লক্ষ্যে তারা এ সকল অঞ্চলে সশস্ত্র মিলিশিয়া এবং উন্নত অস্ত্রশস্ত্র সমৃদ্ধ ভাড়াটে বাহিনী ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিয়েছিল।

অধিকাংশ বিশ্লেষকের মতে, আমিরাতের শাসক বর্তমানে যে ঘৃণ্য চাল চালছেন তা তার ক্ষমতা এবং রাষ্ট্রের সীমানাকেও ছাড়িয়ে গেছে। তিনি চাইছেন যে কোনো সময় নিজের হাতে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিতে। সীমান্তের বাইরে হস্তক্ষেপ করার জন্য আমিরাত যে ভূমিকা পালন করেছে এবং সে সকল সংঘাত ও চ্যালেঞ্জের সাথে জড়িয়ে যাচ্ছে, এতে কেবল তাদের অর্থনৈতিক স্বার্থ জড়িত নয়, বরং এর চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, এতে তাদের নিরাপত্তা এবং কুটনৈতিক স্বার্থও জড়িত। বিশেষ করে আমিরাতের অধিকাংশ অঞ্চলের রাজনীতির ক্ষেত্রে জনগণের অসন্তুষ্টি বৃদ্ধি পাওয়ায় তাদের জন্য এটি প্রয়োজনীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আমিরাত মনে করে যে, আরব বসন্তে ব্যর্থ হয়ে আরব রাষ্ট্রগুলো যে চ্যালেঞ্জ এবং দুর্যোগের মুখোমুখি হয়েছিল এতে কেবল তাদের রক্তপাত এবং ঘরবাড়ি বিনষ্ট হয়েছে। এদিক বিবেচনায় ইজরাইল তাদের জন্য তুলনামূলক সুরক্ষাদাতা হিসেবে নিজেদেরকে প্রস্তুত করেছে।

তুরস্কের হুমকি থেকে আত্মরক্ষা

আরব আমিরাত-ইজরাইল শান্তিচুক্তি সম্পাদিত হওয়ার অল্প কদিন আগেই তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হুলুসি আকার আরব আমিরাতকে হুমকি এবং চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, আরব আমিরাত সিরিয়া এবং লিবিয়ায় অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক ভূমিকা পালন করেছেন। সঠিক সময়ে এবং সঠিক স্থানে তুরস্ক ঠিকই এর হিসেব বুঝিয়ে দিবে।

তাই কোনো কোনো বিশ্লেষক মনে করেন, ইজরাইলের সাথে আরব আমিরাতের এই চুক্তি এবং সম্পর্কের পিছনে তুরস্কের এই হুমকির ও হাত রয়েছে। আমিরাত নিশ্চিত যে, এককভাবে তারা কিছুতেই তুরস্কের বিরোধিতা করতে পারবে না। তাই নিজেদের নিরাপত্তার জন্য তারা ইজরাইল এবং আমেরিকার কাছে ছুটেছে। যারা কোনোরূপ ভাবনা এবং চিন্তা না করেই তুরস্কের যে কোনো পদক্ষেপের বিরোধিতা করে। যদিও তারা জানে না কীভাবে তারা এই বিরোধিতা বাস্তবায়ন করবে।

অতিরিক্ত নিরাপত্তা লাভ

বিগত বছরগুলোতে আরব আমিরাত ইজরাইলি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মাধ্যমে বেশ ফায়েদা লাভ করেছে। এ কথা এখন সবাই জেনে গেছে। তবে এখন প্রকাশ্যে সম্পর্কের কথা ঘোষণা দেয়ার কারণে আরব আমিরাত আরও ব্যাপকভাবে ইজরাইলি টেকনোলোজি ব্যবহার করে নিজেদের নিরাপত্তাকে নিষ্কণ্টক করারা সুযোগ পাবে। আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনোয়ার গারগাস স্পষ্টভাবে এদিকে ইঙ্গিত করেছেন। তিনি বলেন, আরব আমিরাত যে সকল বিষয়ের প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছে সেগুলো হচ্ছে, কৃষি, খাদ্যের নিরাপত্তা, সাইবার প্রটেক্ট, পর্যটন খাত এবং টেকনোলোজির উৎকর্ষ।
এ ছাড়াও আরব প্রণালী সংকট এবং ইয়ামান যুদ্ধে আমিরাতের ব্যর্থতাকে ঢাকতে এবং আমেরিকায় নিজেদের ভাবমূর্তি অক্ষুন্ন রাখাসহ আরও বেশ কিছু কারণে আরব আমিরাত এই চুক্তির দিকে এগিয়েছে। যে চুক্তিকে ইসলামি বিশ্ব বিশ্বাসঘাতকতা আখ্যা দিলেও আরও কতক আরব রাষ্ট্র এটিকে ইতিবাচক দৃষ্টিতেও দেখছে।

 

The post নর্মালাইজেশন: আরব রাষ্ট্রগুলো কেন ইজরাইলের সাথে পরকীয়ায় আগ্রহী appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/2FS0zL6

No comments:

Post a Comment