ফাতেহ ডেস্ক:
করোনা পরিস্থিতির কারণে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে দুটি বিকল্প পরিকল্পনার কথা ভাবছেন নীতিনির্ধারকরা। একটি হলো- করোনার আক্রমণ শেষ হলে দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া। সকল ছুটি বাতিল করে নির্ধারিত সময়ে সিলেবাস শেষ করা। অপরটি হলো- ২০২০ শিক্ষাবর্ষের ডিসেম্বরের পরিবর্তে আগামী বছরের (২০২১) ফেব্রুয়ারিতে বার্ষিক পরীক্ষা ও ফলাফল প্রকাশ করা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডকে (এনসিটিবি)।
এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহা বলেন, ‘বিষয়টি নির্ধারণ করতে কয়েকটি সভা হয়েছে। সেখানে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও ছিলেন। মূলত শিক্ষার্থীদের সিলেবাস শেষ করতে দুটি প্রস্তাব এসেছে। কিন্তু কবে নাগাদ করোনার প্রকোপ শেষ হবে আর কবে স্কুল-কলেজ খুলবে, সেটি আমরা মোটামুটি একটা ধারণা না পেলে সামনে এগোনো যাচ্ছে না। এ বিষয়ে আরও বৈঠক হবে।‘
তিনি বলেন, ‘যদি আগস্ট বা সেপ্টেম্বরে স্কুল খুলে দেয়া হয়, তাহলে এনসিটিবির প্রস্তাব ছিল, চলতি শিক্ষাবর্ষকে আগামী বছরের ফেরুয়ারি পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া। ফেব্রুয়ারিতেই বার্ষিক পরীক্ষাসহ অন্যান্য পরীক্ষা নেয়া। এতে শিক্ষার্থীরা ভালোভাবে পড়ে ও শিখে পরবর্তী শ্রেণিতে উন্নীত হতে পারবে। আর পরবর্তী শিক্ষাবর্ষ ২০২১ সালের মার্চ থেকে শুরু করা। আগামী শিক্ষাবর্ষে বিভিন্ন ধরনের ছুটি কমিয়ে ১০ মাসে শিক্ষাবর্ষ শেষ করা। তবে বিকল্প প্রস্তাবও এসেছে। সেখানে ২০২০ সালের মধ্যেই সব পরীক্ষা শেষ করার কথা বলা হয়েছে। এতে সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করা ও ঐচ্ছিক ছুটি কমানোর কথা বলা হয়েছে। তবে কবে নাগাদ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে পারে, সেটা মোটামুটিভাবে জানতে পারলে এনসিটিবি চূড়ান্ত প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দেবে।‘
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি থাকবে আগামী ৩০ মে পর্যন্ত। রোজা ও ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হতে পারে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
The post ডিসেম্বরের পরিবর্তে বার্ষিক পরীক্ষা হতে পারে ফেব্রুয়ারিতে appeared first on Fateh24.
from Fateh24 https://ift.tt/3dwxPTw
No comments:
Post a Comment