ফাতেহ ডেস্ক
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ফরহাদ হোসেনের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
বিশেষ করে বয়স্ক, বিধবা এবং প্রতিবন্ধী ভাতার সুবিধাভোগীরা তার হাতে নাজেহাল হচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘুষ দিতে না পারায় বেশ কিছু জীবিত সুবিধাভোগীকে তালিকায় মৃত বলে ঘোষণা করে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছেন এই কর্মকর্তা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ১৩ হাজার ৯৫০ জন প্রতিবন্ধী, বিধবা ও বয়স্ক ভাতার সুবিধাভোগী রয়েছেন। করোনাভাইরাস মহামারি ও আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে এবার সরকারি নির্দেশনায় একসঙ্গে তিন মাসের জায়গায় ছয় মাসের ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। প্রতিজন প্রতিবন্ধী ৭৫০ টাকা মাসিক হারে ৬ মাসে ৪ হাজার ৫০০ টাকা, বিধবা ও বয়স্ক ভাতা মাসে ৫০০ টাকা হারে ৬ মাসে ৩ হাজার টাকা করে পাবেন।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, এই টাকা তুলতে গিয়ে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা প্রতিজন সুবিধাভোগীর কাছ থেকে অগ্রিম ২০০ টাকা করে নিয়েছেন। কেবল তাই নয়, বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললে আগামীতে তালিকা থেকে বাদ দেওয়ারও হুমকি দেওয়া হয়। এদিকে ঘুষের সেই টাকা দিতে না পারায় বেশ কিছু সুবিধাভোগীকে জীবিত থাকা অবস্থাতেও তালিকায় মৃত দেখানো হয়েছে।
এমন দুজন বৃদ্ধা উপজেলার চাঁদখানা ইউনিয়নের রাহেলা বেগম (৮২) এবং ময়না রানী রায় (৭০)। এই দুই বৃদ্ধার অভিযোগ, গতকাল রোববার তারা ভাতার টাকা তুলতে গেলে ব্যাংকের লোকজন তাদের জানান, সমাজসেবা অফিস থেকে পাঠানো তালিকায় তাদেরকে মৃত দেখানো হয়েছে। তাই সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বসে থাকার পর তারা খালি হাতে ফিরে গেছেন।
তবে ঘুষের টাকা দিতে না পারায় তালিকায় সুবিধাভোগীদের মৃত দেখানোর বিষয়টি অস্বীকার করেন কিশোরগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘তালিকা তৈরিতে ভুল হতেই পারে। বাদপড়া ব্যক্তিরা অফিসে এসে যোগাযোগ করলেই তাদেরকে তালিকাভুক্ত করা হবে।’
-এ
The post ঘুষ না দেওয়ায় জীবিতকে মৃত বানালেন সমাজসেবা কর্মকর্তা! appeared first on Fateh24.
from Fateh24 https://ift.tt/3dUVRYA
No comments:
Post a Comment