ফাতেহ ডেস্ক
নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জনসহ জেলার ঊর্ধ্বতন বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা কোয়ারেন্টাইনে আছেন। এছাড়া, নারায়ণগঞ্জ ১০০ শয্যা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের একজন চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। বিভিন্ন সভা ও কার্যক্রমে ওই ডাক্তারের সংস্পর্শে এসব ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসেছিলেন এরকম সন্দেহে তারা কোয়ারেন্টাইনে আছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মনিরুল ইসলাম।
করোনা ফোকাল পারসন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাও বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন।
এছাড়া জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) জায়েদুল আলম কোয়ারেন্টিনে আছেন। তবে তারা কোয়ারান্টিনে থাকলেও বাসা থেকে বসেই টেলিফোনে দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন সহকর্মীদের।
জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন গতকাল মঙ্গলবার রাত থেকে হঠাৎ অসুস্থ বোধ করলে আজ বুধবার তিনি তার বাংলোয় রেস্টে ছিলেন। বাংলো থেকেই জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন দুপুরে তার করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠায়। এদিকে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্যসচিব ও জেলা সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইমতিয়াজ আজ থেকে কোয়ারেন্টাইনে আছেন। এ ছাড়া জেলা করোনা ফোকাল পারসন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম করোনা সন্দেহে বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জন এবং জেলা করোনা ফোকাল পারসন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম তারা কেউ বুধবার অফিস করেননি। তবে বাকিদের মুঠোফোনে যোগাযোগ করে পাওয়া গেলেও জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিনের মুঠোফোন রিসিভ করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সেলিম রেজা।
এছাড়া, জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলমও বুধবার অফিসে আসেননি। তার কোয়ারেন্টাইনে থাকার বিষয়টি পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন। তবে এসপি জায়েদুল আলম বলেন, ‘আমি সুস্থ আছি। তবে ডিসি ও সিভিল সার্জন একটু অসুস্থ। এছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলামের করোনা সন্দেহ হওয়ায় যেহেতু তার সংস্পর্শে ছিলাম, তাই বাড়িতেই অফিস করছি। আর এই মুহূর্তে আমাদের সবার সামাজিক দূরত্ব মেনে পরিস্থিতি মোকাবিলা প্রয়োজন।’
এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সেলিম রেজা বলেন, ‘জেলা প্রশাসক বাড়িতে আছেন। জনসমাগম যেন কম হয় এ কারণে অফিসে কম সময় দেওয়া হচ্ছে। তবে আমাদের সব কাজ চলছে।’
করোনার নমুনা পরীক্ষার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘তিনি (ডিসি) কাশিসহ অসুস্থ অনুভব করেছিলেন। এ কারণে ভাবির পরামর্শে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে তিনি এখন সুস্থ আছেন। চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই।’
এ ব্যাপারে জেলা সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইমতিয়াজ বলেন, ‘আমি আসলে কোয়ারেন্টাইনে আছি। বাসায় বসে অফিস করছি। টেলিফোনে নির্দেশ দিচ্ছি।’
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে করোনাবিষয়ক জেলা ফোকাল পারসন ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি আইসোলেশনে আছি। শরীর ভালো না, অসুস্থ। মুঠোফোনে যতটুকু পারছি চালিয়ে যাচ্ছি।’
স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা জানান, কোয়ারেন্টাইনে থাকা অবস্থায় তাদের শরীরে জ্বর ও কাশি এগুলো দেখা দিলে তাঁদেরও করোনাভাইরাস পরীক্ষা করাতে হবে।
উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এক নারীসহ ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ডবয়সহ মোট ৪৬ জন। তারা আইইডিসিআরের অধীনে চিকিৎসাধীন রয়েছে
-এ
The post নারায়ণগঞ্জের ডিসি-সিভিল সার্জন-পুলিশ সুপার হোম কোয়ারেন্টাইনে appeared first on Fateh24.
from Fateh24 https://ift.tt/2RDsxxd
No comments:
Post a Comment