Wednesday, December 16, 2020

টিকা সংরক্ষণে ৪৯০টি ফ্রিজ কিনবে সরকার

ফাতেহ ডেস্ব:

করোনা টিকা সংরক্ষণ ও বিতরণে আপাতত দেশে বিদ্যমান কোল্ড চেইন ও ফ্রিজার ভ্যান ব্যবহার করবে সরকার। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের টিকাদান কর্মসূচির টিকা রাখার ব্যবস্থাপনাকেই যথেষ্ট বলে মনে করছে সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ। বিশেষ করে প্রতি তিন মাস পরপর অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৫০ লাখ ডোজ করে যে তিন কোটি টিকা আসবে, সেটা রাখতে সরকারের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) ব্যবহৃত কোল্ড চেইন যথেষ্ট বলে মনে করা হচ্ছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের মতে, চলমান হাম-রুবেলা টিকাদান কর্মসূচির ৩ কোটি ৪০ লাখ টিকা ইপিআই কর্মসূচির কোল্ড চেইনে রাখা আছে। করোনা ভ্যাকসিন আসতে আসতে এ টিকা দেওয়া শেষ হয়ে যাবে। এক মাসের মধ্যে এসব কোল্ড চেইন খালি হয়ে যাবে। তখন সেখানে করোনা ভ্যাকসিন রাখা যাবে। দেশে সরকারি পর্যায়ে দুই ধরনের কোল্ড চেইন আছে ২-৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড ও মাইনাস ১৫-২৫ সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রার। দুই ধরনের ভ্যাকসিন রাখা যায়। অক্সফোর্ডের টিকার জন্য প্রয়োজন ২-৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রার কোল্ড চেইন। সুতরাং কোল্ড চেইনের অভাব হবে না।

অবশ্য পরবর্তী সময়ে গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনস অ্যান্ড ইমিউনাইজেশনস-গ্যাভি-কোভেক্স ফ্যাসিলিটি থেকে যে ৬ কোটি ৮০ লাখ টিকা পাওয়ার কথা রয়েছে, সেটা সংরক্ষণের জন্য সরকার কোল্ড চেইন বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা। তারা দেশ রূপান্তরকে বলেন, প্রথম তিন কোটি টিকা সংরক্ষণে কোল্ড চেইনের জন্য ফ্রিজ কেনা, সংরক্ষণ ও যারা টিকা দেবে তাদের মজুরির জন্য ৩১৭ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে দেশের সব উপজেলার জন্য ৪৯০টি ফ্রিজ কেনা হবে। এ সপ্তাহেই এ সংক্রান্ত ক্রয়াদেশ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে কেন্দ্রীয় ঔষধাগারে পাঠানোর কথা রয়েছে। কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের কর্মকর্তারা মনে করছেন, ক্রয়াদেশ পাওয়ার পর ৪০-৪৫ দিনের মধ্যে এসব ফ্রিজ সরবরাহ করা সম্ভব।

এমনকি রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেও এ টিকা সংরক্ষণের ব্যবস্থা আছে। প্রয়োজন হলে সরকার সেই কোল্ড চেইন ভাড়া করতে পারে। বাংলাদেশ এগ্রিকালচার ডেভেলপমেন্ট করপোরেশনের (বিএডিসি) দুটি বড় কোল্ড চেইন আছে। গতবার যখন এমআর (হাম-রুবেলা) ক্যাম্পেইনের অনেক ভ্যাকসিন এসেছে, তখন ভাড়া নিয়ে ওখানে দুই মাস রাখা হয়েছিল।

পাশাপাশি ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে টিকা আমদানি করে সরকারকে দেওয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকোর কোল্ড চেইন ব্যবস্থাপনাও যথেষ্ট বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা। তারা দেশ রূপান্তরকে বলেন, তিন মাস পরপর যে ৫০ লাখ করে টিকা আসবে, সেটা প্রতিষ্ঠানের কোল্ড চেইনে রাখা সম্ভব। এ টিকা সরকার নির্ধারিত স্থানে পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ২-৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রার পর্যাপ্ত ফ্রিজার ভ্যান রয়েছে বলেও জানান তারা।

এমনকি করোনার টিকা বিতরণ পদ্ধতির খসড়াও করে ফেলেছে সরকার। এ সংক্রান্ত খসড়া জাতীয় পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, সারা দেশে ৬ হাজার ৩০০টি স্থানে টিকা দেওয়া হবে। এসব স্থানের মধ্যে আছে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, জেলা সদর ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কার্যালয় এবং ১০০ বিশেষ জায়গা। এসব স্থানে ১৯ হাজার ৪৬৯টি দল টিকা দেওয়ার কাজে যুক্ত থাকবে। প্রতিটি দলে ছয়জন সদস্য থাকবেন। প্রতিটি দল দৈনিক ১০০ থেকে ১৫০ জনকে টিকা দেবে। সরকারি ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত টিকা দেওয়া হবে।

তবে প্রাথমিকভাবে সব সরকারি হাসপাতাল, অর্থাৎ ঢাকা থেকে শুরু করে উপজেলা পর্যন্ত সরকারি হাসপাতালে ও ইউনিয়ন পরিষদে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনার কথা ভাবা হচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ইপিআই কর্মকর্তারা জানান, পেশা অনুযায়ী টিকা দেওয়ার নির্দিষ্ট তারিখ থাকবে। যেদিন যাদের তারিখ পড়বে, সেটা আগেভাগেই তাদের জানিয়ে দেওয়া হবে। সে অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট পেশার লোকজন এসে টিকা নেবে। প্রত্যেক বিভাগের আলাদা তালিকা থাকবে। তবে এটা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। এটা নিয়ে এখনো কাজ শেষ হয়নি।

টিকা সংরক্ষণ ও বিতরণসহ টিকা ব্যবস্থাপনার ব্যাপারে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম গতকাল বুধবার রাতে দেশ রূপান্তরকে বলেন, ভ্যাকসিন সংরক্ষণের জন্য দেশে একটা কোল্ড চেইন আছে। ইপিআই কর্মসূচির সেই কোল্ড চেইন আপাতত ব্যবহার করব। এরপর আরও যে ভ্যাকসিন আসবে, সেই কোল্ড চেইন তৈরির জন্য যা যা লাগবে, তা কিনতে ইতিমধ্যেই আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি। কেন্দ্রীয় ঔষধাগারকে শিগগির কেনার কার্যাদেশ দিয়ে দেব। সিএমএসডি কেনার ব্যবস্থা করবে।

এ কর্মকর্তা বলেন, আমাদের সব জেলায় ফ্রিজ রয়েছে। আমরা যদি হাম-রুবেলার ভ্যাকসিন দিয়ে দিতে পারি, তাহলে অমাদের সব স্টোরেজ খালি থাকবে। আপাতত প্রতি তিন মাস পরপর ৫০ লাখ ডোজ করে আসবে, একেকটা ভায়েলে ১০ ডোজ করে থাকবে, তাতে ভলিউম বেশি নয়। আমাদের বর্তমানে যে ক্যাপাসিটি আছে, সেটার বাইরে অল্প কিছু ফ্রিজ লাগবে। সেটারও হিসাব করেছি। জেলা ও উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত কোল্ড চেইন আছে। আগামীতে যখন কোভেক্স ও গ্যাভি অ্যালায়েন্স থেকে আরও ভ্যাকসিন পাব, ততদিনে আমাদের সক্ষমতা আরও বাড়াব। করোনার টিকা বিতরণ পদ্ধতির জন্য একটা ডিপ্লোয়মেন্ট প্ল্যান করা হয়েছে বলেও জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এ প্রধান কর্মকর্তা।

কোল্ড চেইনের ফ্রিজ কেনার ব্যাপারে এখনো স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে কোনো ক্রয়াদেশ বা স্পেসিফিকেশন আসেনি বলে জানান কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের পরিচালক আবু হেনা মোর্শেদ জামান। তিনি দেশ রূপান্তরকে বলেন, এখনো আমি অফিশিয়ালি চিঠি পাইনি যে আমাকে কী কী কিনতে হবে বা কী করতে হবে। আমরা জানি যে কোল্ড চেইন ব্যবস্থাপনা ও টিকার বিষয়ে আমরা অথরিটি, আমাদেরই করতে হবে। আমরা অপেক্ষা করছি। মানসিক প্রস্তুতি রেখেছি করার। আনুষ্ঠানিক আদেশ পেলে তখন বুঝব কোন স্পেসিফিকেশনে কিনতে হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এটা নিয়ে কাজ করছে। তারা তৈরি করছে। আশা করছি আগামী সপ্তাহের মধ্যেই আদেশ পেয়ে যাব। সরকার আশা করছে জানুয়ারির মধ্যেই সবকিছু করতে পারবেন। আমরাও আশা করছি ব্যবস্থাপনা আমরাও করতে পারব।

এ কর্মকর্তা বলেন, ইতিমধ্যেই কেনাকাটার ব্যাপারে ডিপিএমএ পদ্ধতি সিসিএ অর্থাৎ ক্যাবিনেট কমিটি অব ইকোনমিক অ্যাসোসিয়েশনের অনুমতি পেয়েছে। সুতরাং আমরা ডিপিএমএ পদ্ধতিতেই কিনব। ৪০-৪৫ দিনের মধ্যে সাপ্লাই দিয়ে দিতে পারি। কোল্ড চেইনের ক্ষেত্রে দুটি জিনিস জানতে হবে। কোন স্পেসিফিকেশন চাইছেন যদি লোকালি প্রডিউস হয়, দেশে এমন পণ্য উৎপাদনও হচ্ছে। সেটা হলে তো বেশি সময় লাগবে না।

সে ক্ষেত্রে কোন দেশ থেকে কোল্ড চেইনের জন্য ফ্রিজ কেনা হতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দু-তিনটি দেশের দিকে নজর রেখে আমরা ওয়ার্কআউট করছি। চীন সিনোভ্যাক নামে একটি ভ্যাকসিন করেছে। তাদের কোল্ড চেইন আছে। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে যে ভ্যাকসিন আনছি, তাদের কোল্ড চেইন আছে। সঙ্গে ইউরোপের দিকে নজর রাখতে পারি। এখন আমাদের দরকার তুলনামূলক কম দামে কোথায় থেকে ভালো জিনিসটা পাব, সেটা বের করা। আমরা চাইব দ্রুত ভালো জিনিস আনতে।

কোল্ড চেইনের ব্যাপারে টিকা ব্যবস্থাপনা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য সচিব এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মা, শিশু ও কৈশোর স্বাস্থ্য কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. শামসুল হক দেশ রূপান্তরকে বলেন, হাম-রুবেলার চিন্তা ছিল। সেটা শুরু হয়ে গেছে। দুই সপ্তাহের মধ্যে শেষ হবে। এ টিকা মাঠে চলে গেছে, জেলা পর্যায়ে নেই। কাজেই জেলার কোল্ড চেইন খালি। সেখানে তিন কোটি ভ্যাকসিন রাখতে পারব। আসবে মাত্র ৫০ লাখ। এর মধ্যে উপজেলার কোল্ড চেইনও খালি হয়ে যাবে। উপজেলা ও সিটি করপোরেশনে শুরু হয়ে গেছে। ওদের স্টোরও খালি হয়ে যাবে। তাহলে প্রথম দফায় যে ৫০ লাখ ভ্যাকসিন আসবে, সেটা রাখা নিয়ে চিন্তা নেই। তারপরও আমরা টিকা সংরক্ষণ সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছি। কারণ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা তিন দফায় প্রতি মাসে ৫০ লাখ করে টিকা আসবে। তৃতীয়বারের সময় হয়তো গ্যাভির থেকেও কিছু টিকা পেয়ে যাব। তখন হয়তো কিছু টিকা জমবে। সেটাও তিন-চার মাস পরে। সেজন্য কিছু ফ্রিজ কেনার প্রস্তুতি নিয়েছি।

কোল্ড চেইনের ব্যাপারে ব্যবস্থাপনা কী জানতে চাইলে বেক্সিমকোর মার্কেটিং বিভাগের পরিচালক রিজভী উল কবির দেশ রূপান্তরকে বলেন, অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনের বড় সুবিধা হচ্ছে ২-৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রা লাগে। এর জন্য যে ফ্রিজ লাগে, সেটা বাংলাদেশে সহজলভ্য এবং অনেক আছে। আমরা এয়ারপোর্টে আসার পর ফ্রিজার ভ্যানে করে সেটা ফ্যাক্টরিতে আনব। আমাদের ফ্যাক্টরিতে এ তাপমাত্রার মধ্যে রাখার ব্যবস্থাপনা আছে। এরকম ওয়ার হাউজিং রয়েছে। সেখান থেকে ফ্রিজার ভ্যানে করে সারা দেশে পৌঁছে দেব। এরকম ফ্রিজার ভ্যান আমাদের অনেক আছে। এসব ভ্যান ভ্যাকসিন, ইনসুলিন এরকম পণ্যের জন্য। এরকম ভ্যানে ২-৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রা আছে এবং লকার থাকে যেখানে সবসময় তাপমাত্রা মেপে দেখা হয় ঠিক আছে কি না। সরকার যেখানে যেখানে বলবে, আমরা সেখানে পৌঁছে দেব। তিন কোটি ভ্যাকসিন আসবে ছয় মাসে। প্রত্যেক মাসে ৫০ লাখ করে। এ পরিমাণ ভ্যাকসিন রাখার ব্যবস্থা আমাদের আছে বলেন এ কর্মকর্তা।

নতুন কোল্ড চেইন তৈরি ও ফ্রিজার গাড়ি কেনাসহ টিকা সংরক্ষণাগার তৈরি করতে কী পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, সব উপজেলার জন্য, অর্থাৎ ৪৯০টি ফ্রিজ কেনা হবে। সিএমএসডি কিনবে। তাদের বলা হয়েছে। মোট ডিপ্লোয়মেন্টের জন্য ৩১৭ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। এর মধ্যে কোল্ড চেইন করা, ফ্রিজ কেনা, যে লোকটা টিকা দেবে তার মজুরি। প্রথম তিন কোটি টিকার জন্য এ বাজেট।

প্রতি ফ্রিজে কী পরিমাণ টিকা রাখা যায় জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ইপিআই কর্মসূচির এক কর্মকর্তা দেশ রূপান্তরকে বলেন, টিকার ভায়াল ১০ ডোজের। অর্থাৎ এক কার্টনে ১২ হাজার টিকা। এরকম ছয় কার্টনে ৭২ হাজার ডোজ। এক লাখের বেশি ডোজ টিকা একটা ফ্রিজে রাখা যাবে। অর্থাৎ প্রতি উপজেলায় একটা ফ্রিজে এক লাখের বেশি টিকা রাখা যাবে। আমরা যেভাবে তালিকা করেছি, তাতে প্রথমদিকে উপজেলা পর্যায়ে বেশি গ্রাহক থাকবে না।

বর্তমানে দেশে কী পরিমাণ কোল্ড চেইন আছে জানতে চাইলে এ কর্মকর্তা বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সেন্ট্রাল পর্যায়ে একটা ক্যাপাসিটি আছে। টিকা সংরক্ষণের জন্য ধারণক্ষমতাকে তিন ভাগে ভাগ করি সেন্ট্রাল, জেলা ও উপজেলা পর্যায়। সেন্ট্রালে ইপিআই হেডকোয়ার্টারে রাখা হয়। সেখানে অনেক ফ্রিজ। ডব্লিউআইসি, ওয়াশিং কুল রুম আছে ১৬টি। এখানে বিরাট ভলিউম রাখা যায়। এছাড়া ঢাকার বিমানবন্দরে বিপুল পরিমাণ টিকা সংরক্ষণের কোল্ড চেইন রয়েছে। বিএডিসির দুটি বড় কোল্ড চেইন আছে। সরবরাহের জন্য দেশে অনেক ফ্রিজ গাড়ি আছে। সেগুলো ভাড়া নেওয়া যাবে।

কারা টিকা দেবে জানতে চাইলে ডা. শামসুল হক দেশ রূপান্তরকে বলেন, জনশক্তি লাগবে। প্রচুর স্বেচ্ছাসেবী লাগবে। দৈনিক ভিত্তিতে আমরা ভলান্টিয়ার নেব। আমাদের ইপিআই কর্মসূচিতে এমন ভলান্টিয়ার আছে, পাওয়া যাবে। তাদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। ভ্যাকসিন দেবে সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের দক্ষ প্রশিক্ষিত লোকজন। যেমন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট, নার্স, মিডওয়াইফ। ভলান্টিয়াররা দেবে না, তারা সহযোগিতা করবে। ভ্যাকসিন দেওয়ার মতো লোকবল আছে। এখন যে রুটিন ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে, সেটা স্বাস্থ্য সহকারীরা দিচ্ছেন। করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য এসব স্বাস্থ্য সহকারীসহ টেকনিক্যাল ব্যক্তিদেরই রাখা হবে, যারা টিকা দিতে পারেন।

The post টিকা সংরক্ষণে ৪৯০টি ফ্রিজ কিনবে সরকার appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/34BRuj5

No comments:

Post a Comment