Thursday, October 24, 2024

এ বছর সরকারি অর্থে কেউ হজে যাবে না: সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

হজের খরচ কমানোর চেষ্টা চলছে, এ বছর সরকারি অর্থে কেউ হজে যাবে না বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম।

সরকারি খরচে হজপালন নিয়ে প্রচুর সমালোচনা থাকলেও অনেকেই এ জন্য রীতিমতো তদবরি পর্যন্ত করেন।

প্রতিবছর সরকারি অর্থে অবসরপ্রাপ্ত সচিব থেকে শুরু করে বিচারপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক ব্যক্তি ও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনেকেই হজে যান।

চলতি বছর (২০২৪) ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭১ জনকে হজ পালনের জন্য সৌদি আরব পাঠায় আওয়ামী লীগ সরকার। এর আগের বছর সরকারি খরচে হজে যান ২৩ জন।

এর আগে ২০২৩ সালের ২২ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান জানিয়েছিলেন, সরকারি খরচে ২০২২ সালে ২৫৪ জনকে হজে পাঠানো হয়েছে।

সংসদে তিনি আরও জানান, ২০১৪ সাল থেকে সরকার নির্দিষ্টসংখ্যক ধর্মপ্রাণ মুসলমানকে সরকারি খরচে হজপালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে পাঠানোর কার্যক্রম চালু করে। এর মধ্যে ২০২০ ও ২০২১ সালে মহামারি করোনার কারণে কাউকে হজে পাঠানো হয়নি। এই দুই বছর ছাড়া গত সাত বছরে ১ হাজার ৯১৮ জনকে সরকারি খরচে হজে পাঠানো হয়েছে।

এর মধ্যে ২০১৪ সালে ১২৫ জন, ২০১৫ সালে ২৬৮ জন, ২০১৬ সালে ২৮৩, ২০১৭ সালে ৩৩৪, ২০১৮ সালে ৩৪০ জন, ২০১৯ সালে ৩১৪ এবং ২০২২ সালে ২৫৪ জনকে সরকারি খরচে হজে পাঠানো হয়।

The post এ বছর সরকারি অর্থে কেউ হজে যাবে না: সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/gd26TYH

Saturday, May 18, 2024

ভারতে সত্যিই কি মুসলিমদের সংখ্যা বেড়েছে!

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কাউন্সিল (ইএসি) কর্তৃক প্রকাশিত নতুন এক ওয়াকিং পেপারে বলা হয়েছে ১৯৫০ সালের পর ভারতে মুসলিম জনসংখ্যা ৪৩ শতাংশের বেশি বেড়েছে।

এ প্রতিবেদেন প্রকাশের পরই তা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। দেশটিতে চলতে জাতীয় নির্বাচনের প্রচার প্রচারণা। আর এসব প্রচারণায় মুসলিম সমর্থিত বিরোধীদলের প্রার্থীরা মোদির কঠোর সমালোচনা করছে। অন্যদিকে ভারতের ক্ষমতাসীন পার্টি মোদির দল বিজেপি এই প্রতিবেদনকে সুষ্ঠুভাবে ক্ষতিয়ে দেখার আহ্বান জানিয়েছে।

এই প্রতিবেদন নিয়ে সমালোচনার পর প্রশ্ন উঠেছে ভারতে কী মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠতা বাড়ছে?

ওয়াকিং পেপারে মূলত ১৯৫০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বৈশ্বিক জনসংখ্যা চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়াও এখানে বিশ্বের ধর্মীয় জনগোষ্ঠীর সংখ্যা পাওয়া যায়। অ্যাসোসিয়েশন অব রিলিজিয়াস ডাটা আর্কাইভ (এআডিএ) এটি প্রকাশ করেছে। যা অনলাইনে বিনামূল্যে ব্যবহার করা যায়।

এই প্রতিবেদনের শেষে বলা হয়েছে, ভারতে মুসলিম জনগোষ্ঠী ৪৩.১৫ শতাংশ বেড়েছে। শতাংশ হিসেবে ৯.৮৪ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪.৯ শতাংশে। অন্যদিকে ১৯৫০ সালে ২০১৫ সালের মধ্যে হিন্দু জনসংখ্যা কমেছে ৭.৮২ শতাংশ। যা ৮৪.৬৮ শতাংশ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ৭৮.০৬ শতাংশে।

মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি ভারতে খ্রিষ্টান, শিখ এবং বৌদ্ধ ধর্মের জনসংখ্যাও বেড়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে ১৬৭ দেশর জনসংখ্যা চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কা এবং ভুটান।

প্রতিবেদনে দেশটিতে সংখ্যালঘু বৃদ্ধি পাওয়ায় বলা হচ্ছে সংখ্যালঘুরা শুধু নিরাপদই নয় একই সঙ্গে তারা বর্ধনশীলও। যদিও আন্তর্জাতিক একাধিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ভারতের সংখ্যালঘুরা ধর্মীয়ভাবে স্বাধীন নয়।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এ প্রতিবেদনে দুর্বলতা রয়েছে এবং এটি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রকাশ করা হয়েছে। সুতরাং এটি নিয়ে সমালোচনা থাকবেই।

যুক্তরাষ্ট্রের বাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অর্থনীতি এবং ভিজিটিং অধ্যাপক সন্তোষ মেহেরোত্রা বলেন, এটি ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য করা হয়েছে, গবেষণার জন্য নয়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিবেদনটি একটি জরিপের ওপর ভিত্তি করে প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু এতে আদম শুমারির কোনো তথ্য উল্লেখ করা হয়নি। ভারতে সর্বশেষ আদমশুমারি অনুষ্ঠিত হয় ২০১১ সালে। পরবর্তী আদমশুমারি ২০১১ সালে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও করোনা মহামারির কারণে তা হয়নি। মোদিও পরবর্তীতে আদমশুমারির নতুন কোনো দিনক্ষণ ঘোষণা করেননি।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংখ্যাবিদ এবং মেরি স্ক্লোডোস্কা-কিউরি ফেলো আশিশ গুপ্ত বলেন, ওই প্রতিবেদনে কোনো শুমারির তথ্য যুক্ত করা হয়নি। তাই প্রকাশিত তথ্যে কোনো ভুল থাকলেও নীতিগত দিক দিয়ে কিছু করার নেই। কারণ গত ১৪ বছর ধরে ভারতে আদম শুমারি নেই।

তিনি বলেন, বাস্তবে আমরা যা দেখেছি তা হলো ভারতে হিন্দু জনগোষ্ঠী বাড়ছে। ১৯৫১ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত দেশটিতে ৩ কোটি ৫৪ লাখ মুসলিম জনগোষ্ঠী বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ কোটি ২ লাখে। অন্যদিকে এ সময়ে হিন্দু জনগোষ্ঠী ৩০ কোটি ৩ লাখ থেকে বেড়ে হয়েছে ৯৬ কোটি ৬ লাখ। সুতরাং প্রতিবেদনটি নিয়ে সংশয় রয়েছে।

সূত্র: আল জাজিরা

The post ভারতে সত্যিই কি মুসলিমদের সংখ্যা বেড়েছে! appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/PzF2hqJ

Wednesday, February 21, 2024

হজের মৌসুমে মক্কা-মদিনায় কাজের সুযোগ

আসন্ন পবিত্র হজ মৌসুমে সৌদি আরবের তিনটি শহরে খণ্ডকালীন চাকরির সুযোগ রয়েছে। দেশটির হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মক্কা, মদিনা ও জেদ্দা শহরে হজের সময় শূন্য পদে বেশ কিছু লোক নিয়োগ দেওয়া হবে।

মন্ত্রণালয়ের ঘোষণামতে পদগুলো হলো হজ কন্ট্রোলার, কাস্টমার সার্ভিস, মেকানিক্যাল টেকনিশিয়ান, ড্রাইভার ও প্রকৌশলী। এসব পদে কতজনকে নিয়োগ দেওয়া হবে তা নির্দিষ্ট করা হয়নি।

আগ্রহীদের লিংকে ( https://ift.tt/d0eM8DO ) আবেদন করতে বলা হয়।

গত ১২ ফেব্রুয়ারি সৌদি আরবে বসবাস করা স্থানীয় নাগরিক ও মুসলিম অভিবাসীদের জন্য হজের অনলাইন নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এবার সৌদি হজযাত্রীদের জন্য আবাসন ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করে চার হাজার ৯৯ রিয়াল থেকে ১৩ হাজার ২৬৫ রিয়ালের মধ্যে চারটি হজ প্যাকেজ ঘোষণা দেওয়া হয়। পুরো অর্থ চার ধাপে পরিশোধ করা যাবে।

এর মধ্যে ২০ শতাংশ রমজান মাস শুরুর আগে এবং ৪০ শতাংশ ২০ রমজানের আগে শোধ করতে হবে।

গত বছর করোনা-পরবর্তীকালের সর্ববৃহৎ হজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে ১৮ লাখের বেশি মানুষ অংশ নেন। এর মধ্যে ১৬ লাখ ৬০ হাজার ৯১৫ জন বিদেশি মুসলিম ছিলেন।

এদিকে গত বছর বিভিন্ন দেশ থেকে ১৩ কোটি ৫৫ লাখের বেশি মুসলিম ওমরাহ পালন করেন, যা ছিল সৌদি আরবের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংখ্যা। একই বছর ২৮ কোটির বেশি মুসল্লি পবিত্র মসজিদে নববীতে নামাজ পড়েন ও রওজা শরিফ জিয়ারত করেন।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ১ মার্চ হজের ভিসা ইস্যু শুরু হয়ে ২৯ এপ্রিল শেষ হবে। এরপর ৯ মে থেকে সৌদি আরবে হজযাত্রীদের গমন শুরু হবে।

সূত্র : গালফ নিউজ

The post হজের মৌসুমে মক্কা-মদিনায় কাজের সুযোগ appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/RNGdwD8

Wednesday, January 24, 2024

২০২৩ সালে পবিত্র মসজিদে নববীতে ২৮ কোটির বেশি মুসল্লি

হজ ও ওমরাহ পালনের আগে বা পরে মুসল্লিরা পবিত্র মসজিদে নববীতে যান। ইসলামের দ্বিতীয় এই সম্মানিত স্থানে এসে তাঁরা নামাজ আদায়ের পাশাপাশি প্রিয় নবী (সা.)-এর পবিত্র রওজা শরিফ জিয়ারত করেন এবং ঐতিহাসিক স্থানগুলো পরিদর্শন করেন। গত এক বছরে ২৮ কোটির বেশি মুসল্লি পবিত্র এই মসজিদ পরিদর্শন করেন। গত ২২ জানুয়ারি সৌদি আরবের সংবাদ সংস্থা এই তথ্য জানায়।

মক্কা ও মদিনার পবিত্র দুই মসজিদের তত্ত্বাবধানকারী জেনারেল অথরিটি এক বিবৃতিতে জানায়, ২০২৩ সালে ২৮ কোটির বেশি মুসল্লি পবিত্র মসজিদে নববী পরিদর্শন করেন। পবিত্র মসজিদে নববীতে আগত মুসল্লি ও দর্শনার্থীদের স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে নামাজ ও অন্যান্য ইবাদত নিশ্চিত করতে এর তত্ত্বাবধানকারী প্রতিষ্ঠানসহ সংশ্লিষ্ট সব বিভাগ প্রয়োজনীয় সব সেবা দিয়ে যাচ্ছে।

এদিকে গত এক সপ্তাহে পবিত্র মসজিদে নববীতে ৫৮ লাখের বেশি মুসল্লি ও দর্শনার্থী উপস্থিত হয়েছেন। এর মধ্যে এক লাখ ৩০ হাজার ৪০১ জন পুরুষ এবং এক লাখ ১৫ হাজার ৫৫১ জন নারী রয়েছেন।

গত ২৮ জমাদিউস সানি থেকে ৪ রজব পর্যন্ত তাঁরা পবিত্র এই মসজিদে আসেন এবং পবিত্র রওজা শরিফ জিয়ারত করেন। এ সময় মসজিদের নির্ধারিত স্থানে এক লাখ ২৩ হাজার ২০০ জমজমের পানি প্যাক এবং ৯৯ হাজার ৮৩২টি হালকা খাবার বিতরণ করা হয়।

২০২৩ সালে বিভিন্ন দেশ থেকে ১৩ কোটি ৫৫ লাখের বেশি মুসলিম ওমরাহ পালন করেন, যা ছিল সৌদি আরবের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংখ্যা। এর আগে গত বছরের জুলাইয়ে করোনা-পরবর্তী সময়ের সবচেয়ে বেশিসংখ্যক মুসলিম হজ পালন করেন।

এতে ১৮ লাখ ৪৫ হাজার ৪৫ জন অংশ নেন, যার মধ্যে ১৬ লাখ ৬০ হাজার ৯১৫ জন বিদেশি হজযাত্রী ছিলেন।

সূত্র : সৌদি গেজেট

The post ২০২৩ সালে পবিত্র মসজিদে নববীতে ২৮ কোটির বেশি মুসল্লি appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/TxgnuXL

Tuesday, January 23, 2024

খরচ বাড়ায় মুসল্লিদের হজে আগ্রহ কমছে, বাড়ছে ওমরায়

এবার হজের অর্ধেক কোটাও পূরণ হয়নি। দুই দফা সময় বাড়ানোর পরও কোটা পূরণ হবার আগেই বৃহস্পতিবার হজ নিবন্ধন শেষ করা হয়েছে। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে চলতি বছরের ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মতিউল ইসলাম শুক্রবার বিকালে ডয়চে ভেলেকে বলেন, “শেষ পর্যন্ত এবার হজে যাওয়ার জন্য ৫৩ হাজারের কিছু বেশি মানুষ নিবন্ধন করেছেন। আমরা আর সময় বাড়াবো না।”

তিন জানান, ” গতবারের চেয়ে হজ খরচ এবার এক লাখ টাকার মতো কমানো হলেও আগের মতো সাড়া পাওয়া যায়নি।”

গত ১৫ নভেম্বর নিবন্ধন শুরুর পর থেকে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৫৩ হাজার ১১৫ জন নিবন্ধন করেছেন। বাংলাদেশ থেকে এবার এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের হজ করার অনুমতি দিয়েছিল সৌদি আরবের ধর্মমন্ত্রণালয়। হজ চুক্তি অনুযায়ী এখনো কোটা ফাঁকা রয়েছে ৭৪ হাজার ৮৩টি। ফলে মোট কোটার ৫৮ শতাংশ খালি রেখেই হজ নিবন্ধন শেষ করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

১৫ নভেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছিল প্রথম দফা হজ নিবন্ধনের সময়। পরে সময় ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। হজযাত্রীদের সাড়া না পাওয়ায় সর্বশেষ নিবন্ধনের সময় বাড়িয়ে ১৮ জানুয়ারি করা হয়।

মোট ৫৩ হাজার ১১৫ জন হজযাত্রীর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় তিন হাজার ৮০২ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪৯ হাজার ৩১৩ জন নিবন্ধন করেছেন। কোটার ৪২ শতাংশ হজযাত্রী নিবন্ধন করেছেন।

খরচ বাঁচাতে অনেকেই এখন ওমরাহর দিকে ঝুঁকছেন: এস শাহাদাত হোসাইন

এবার সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যাওয়ার দুটি প্যাকেজ নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে সর্বনিম্ন প্যাকেজের মূল্য পাঁচ লাখ ৭৮ হাজার ৮৪০ টাকা। আর বিশেষ প্যাকেজের মূল্য ৯ লাখ ৩৬ হাজার ৩২০ টাকা। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় দুটি প্যাকেজের মূল্য যথাক্রমে পাঁচ লাখ ৮৯ হাজার ৮০০ টাকা এবং আট লাখ ২৮ হাজার ৮১৮ টাকা। গত বছরের চেয়ে এ বছর সর্বনিম্ন প্যাকেজের মূল্য এক লাখ ৪ হাজার ১৬০ টাকা কমানো হয়েছে।

গতবারও একই পরিস্থিতি হয়েছিল। কোটার বিপরীতে প্রায় সাড়ে তিন হাজার নিবন্ধন কম ছিল। কিন্তু এবার গতবারের চেয়ে সাড়া আরো অনেক কম।

হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েন অব বাংলাদেশ (হাব)-এর সভাপতি এস শাহাদাত হোসাইন বলেন, “এ বছর হজ খরচ গত বারের তুলনায় এক লাখ টাকার মতো কমলেও করোনার আগের তুলনায় অনেক বেশি। আর তার বিপরীতে ওমরাহ খরচ অনেক কম। সর্বোচ্চ দেড় লাখ টাকার মধ্যে একজন ওমরাহ করতে পারেন। ফলে খরচ বাঁচাতে অনেকেই এখন ওমরাহর দিকে ঝুঁকছেন।”

“এছাড়া সৌদি আরব হজ নীতিতে অনেক পরিবর্তন আনায় খরচ বেড়ে যাচ্ছে। তাদের মনোভাব দেখে মনে হচ্ছে ভবিষ্যতে তারা তাদের ব্যবস্থাপনায়ই মুসলিম দেশ থেকে হজ যাত্রী নেবে। পুরো ব্যবসাটা তারা করতে চায়। অমুসলিম দেশ থেকে তারা এখন অনলাইনে সরাসরি হজ যাত্রী নিচ্ছে। ওমরাহ অনলাইনে করে ফেলেছে। হজও হয়তো পুরোটা অনলাইনে হয়ে যাবে। তখন কোটা থাকলেও হজ এজেন্সির প্রয়োজন থাকবে বলে মনে হয় না,” জানান হাব সভাপতি।

বাংলাদেশে হজ এজন্সি আছে এক হাজার ২৫০টি। এর বাইরে ট্র্যাভেল এজেন্টরাও হজযাত্রীদের নিয়ে কাজ করেন। তাদের হজযাত্রী কমে গেলেও ব্যবস্থাপনাসহ অন্যান্য খরচ একই আছে। টিকিট বিক্রিও নির্ধারিত তিনটি এয়ার লাইন্সের অনেক কমে যাবে। ফলে হজ ও ট্র্যাভেল এজেন্সিগুলো আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছে। কোনো কোনো এজেন্সি হজকেন্দ্রিক ব্যবসা এরই মধ্যে গুটিয়ে নিয়েছে।

এক লাখ টাকা গত বছরের তুলনায় কমিয়েছি, আর কমানো সম্ভব নয়: মতিউল ইসলাম

অ্যাসোসিয়েন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ (আটাব)-এর মহাসচিব আব্দুস সালাম আরেফ জানান,‘ ‘ ২০১৮-১৯ সালের সঙ্গে তুলনা করলে হজের খরচ ৮০ ভাগ বেড়েছে। এটা সব দেশেই। এর সঙ্গে ডলারের দাম বাড়ায় আরো খরচ বেড়েছে। একজনের হজের খরচ দিয়ে ছয়জন ওমরাহ করতে পারেন। ফলে ওমরাহর প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। এখন বছরে পাঁচ লাখ মুসলমান ওমরাহ করতে যান।”

তিনি বলেন, “আগ্রহ কমে যাওয়ার কারণে আমরা ট্র্যাভেল এজেন্টরাও ক্ষতির মুখে পড়ছি। টিকিট বিক্রি অর্ধেকের নীচে নেমে গেছে।”

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মতিউল ইসলাম ডয়চে ভেলেকে বলেন, “সৌদি আরবে এখন বাসাভাড়া বেড়ে গেছে, ১৭ শতাংশ ভ্যাট যুক্ত হয়েছে। সেখানে অনেক বাড়ি ভেঙে ফেলায় বাড়ি ভাড়া অনেক বেড়ে গেছে। সব খরচই বেড়েছে। তারপরও আমরা এক লাখ টাকা গত বছরের তুলনায় কমিয়েছি। আর কমানো সম্ভব নয়।”

তার কথা, “এটা ব্যক্তিগত ইবাদত। তারাপরও আমরা নানাভাবে উদ্বুদ্ধ করেছি। কিন্তু না গেলে তো কিছু করার নেই। তবে ওমরাহর খরচ কম হওয়ার অনকেই ওমরাহ করতে যাচ্ছেন। ওমরাহ যাত্রী দিন দিন বাড়ছে।”

সূত্র: ডিডব্লিউ বাংলা

The post খরচ বাড়ায় মুসল্লিদের হজে আগ্রহ কমছে, বাড়ছে ওমরায় appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/ce9m8iG

Friday, January 19, 2024

করোনার নতুন ধরন বাংলাদেশেও শনাক্ত

পাশের দেশ ভারতে আতঙ্ক ছড়ানো করোনাভাইরাসের নতুন ধরন জেএন-১ বাংলাদেশেও শনাক্ত হয়েছে। পাঁচজনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন ধরনটি পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরীন এ তথ্য জানিয়েছেন।

জেএন-১ উপধরন শনাক্ত হওয়া পাঁচজনের মধ্যে ঢাকা এবং ঢাকার বাইরের রয়েছেন। প্রত্যেকেই ভালো আছেন। এ নিয়ে উদ্বেগের কিছুই নেই। এদের মধ্যে কারও দেশের বাইরে থেকে আসার কোনো তথ্য নেই। তারা দেশেই ছিলেন।

মাস্ক পরা ও ভ্যাকসিন নেয়ার পরামর্শ

এদিকে করোনা সংক্রমণ বাড়ায় সতর্কতামূলক মাস্ক পরার পাশাপাশি টিকার পরবর্তী ডোজ নেয়ার পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদফতর।

১৩ জানুয়ারি অধিফতরের সমন্বিত নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্বের বেশ কিছু দেশে কোভিড ১৯-এর নতুন ভ্যারিয়েন্ট জেএন.১-এর সংক্রমণ বেড়েছে। এ অবস্থায় উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে যেমন: হাসপাতাল, চিকিৎসা কেন্দ্র এবং উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তি, যাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম, তাদের সতর্কতা হিসেবে মাস্ক ব্যবহার করার পরামর্শ দেয়া হলো।

উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের চতুর্থ ডোজ ভ্যাকসিন নেয়ার পরামর্শ দেয়া হলো। সার্জারি অথবা অন্য কোনো রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে কেবল কোভিড-১৯ লক্ষণ বা উপসর্গ থাকলে কেভিড-১৯ পরীক্ষা করার পরামর্শ দেয় অধিদফতর।

The post করোনার নতুন ধরন বাংলাদেশেও শনাক্ত appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/DJGIA8e

Sunday, December 10, 2023

পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এক বছরে ২২ কোটি টাকা দান

চলতি বছরে চারবার খোলা হয়েছে কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স। এ চারবারে মোট ২১ কোটি ৮৭ লাখ ৮৫ হাজার ১৮১ টাকা পাওয়া গেছে। টাকার পাশাপাশি হীরা, বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকারও পাওয়া গেছে বিপুল পরিমাণ।

সবশেষ শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টায় মসজিদের ৯টি দানবাক্স খুলে ২৩ বস্তা টাকা পাওয়া যায়। ২২০ জনের একটি দল ১৫ ঘণ্টা গণনা শেষ রেকর্ড ছয় কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৪২৩ টাকা পাওয়া গেছে বলে জানায়।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ এবং পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখের উপস্থিতিতে মসজিদের দানবাক্সগুলো খোলা হয়।

এরআগে গত ১৯ আগস্ট মসজিদের আটটি দানবাক্স খোলা হয়েছিল। তখন ২৩ বস্তায় পাঁচ কোটি ৭৮ লাখ ৯ হাজার ৩২৫ টাকা এবং বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা, স্বর্ণালংকার ও হীরা পাওয়া যায়।

তার আগে ৬ মে রমজানের কারণে চারমাস পর দানবাক্স খোলা হয়েছিল। তখন ১৯টি বস্তায় পাঁচ কোটি ৫৯ লাখ ৭ হাজার ৬৮৯ টাকা এবং বৈদেশিক মুদ্রা, স্বর্ণালংকার ও হীরা পাওয়া গিয়েছিল।

এছাড়া চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি তিন মাস একদিন পর দানবাক্স খোলা হয়েছিল। ২০টি বস্তায় তখন পাওয়া যায় চার কোটি ১৮ লাখ ১৬ হাজার ৭৪৪ টাকা এবং বৈদেশিক মুদ্রা, স্বর্ণালংকার ও হীরা।

ঐতিহ্যবাহী পাগলা মসজিদে আটটি লোহার দানবাক্স থাকলেও এবার আরও একটি দানবাক্স বাড়ানো হয়েছে। দানের পরিমাণ বাড়ায় এখন পাগলা মসজিদের দানবাক্সের সংখ্যা ৯টি।

পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটি সূত্র জানিয়েছে, মসজিদের দান থেকে পাওয়া এসব অর্থ সংশ্লিষ্ট মসজিদসহ জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদরাসা ও এতিমখানার পাশাপাশি বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় হয়। এছাড়া করোনাকালে রোগীদের সেবায় নিয়োজিত শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৮০ জন স্বেচ্ছাসেবককেও অনুদান দেওয়া হয়েছিল এ দানের টাকা থেকে।

মসজিদটিকে আন্তর্জাতিকমানের দৃষ্টিনন্দন ইসলামিক কমপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যার নামকরণ হবে ‘পাগলা মসজিদ ইসলামিক কমপ্লেক্স’। খুব শিগগির এর কাজ শুরু হবে। এটি নির্মাণে প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৫ কোটি টাকা। সেখানে ৩০ হাজার মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন।

জনশ্রুতি রয়েছে, একসময় এক সাধকের বাস ছিল কিশোরগঞ্জ শহরের হারুয়া ও রাখুয়াইল এলাকার মাঝপথে প্রবাহিত নরসুন্দা নদের মধ্যবর্তী স্থানে জেগে ওঠা উঁচু টিলাকৃতির স্থানটিতে। মুসলিম-হিন্দু নির্বিশেষে সব ধর্মের লোকজনের যাতায়াত ছিল ওই সাধকের আস্তানায়। ওই সাধকের দেহাবসানের পর তার উপাসনালয়টিকে মসজিদ হিসেবে ব্যবহার শুরু করেন এলাকাবাসী।

কিন্তু ওই সাধকের দেহাবসানের পর থেকে আশ্চর্যজনকভাবে স্থানীয় এমনকি দেশের দূর-দূরান্তের লোকজনের ভিড় বাড়তে থাকে সেখানে। মানত কিংবা দান খয়রাত করলে মনের বাসনা পূরণ হয়—এমন বিশ্বাস থেকে বিভিন্ন ধর্ম-বর্ণের নারী-পুরুষ ছুটে আসেন এ মসজিদে। তারা নগদ টাকা-পয়সা, সোনা ও রুপার অলংকারের পাশাপাশি গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগি দান করেন।

বিশেষ করে প্রতি শুক্রবার এ মসজিদে মানত নিয়ে আসা বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষের ঢল নামে। আগতদের মধ্যে মুসলিমদের বেশিরভাগই জুমার নামাজ আদায় করেন মসজিদে। এ ইতিহাস প্রায় আড়াইশ বছরেরও পুরোনো বলে জানা যায়।

The post পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এক বছরে ২২ কোটি টাকা দান appeared first on Fateh24.



from Fateh24 https://ift.tt/w6RLPMp